Ajker Patrika

প্রচণ্ড তাপে রেললাইন বেঁকে গিয়ে দুর্ঘটনা মোকাবিলায় নজরদারি বাড়াল কর্তৃপক্ষ

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
আপডেট : ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৫: ১২
প্রচণ্ড তাপে রেললাইন বেঁকে গিয়ে দুর্ঘটনা মোকাবিলায় নজরদারি বাড়াল কর্তৃপক্ষ

এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে সারা দেশে প্রচণ্ড তাপপ্রবাহ চলছে। এর প্রভাব মানুষসহ অন্যান্য প্রাণি ছাড়াও প্রকৃতি ও জড়বস্তুতেও পড়েছে। এই সপ্তাহে ময়মনসিংহে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। প্রচণ্ড এই তাপে রেললাইন বেঁকে গিয়ে দুর্ঘটনার আশঙ্কায় নজরদারি বাড়িয়েছে কর্তৃপক্ষ।

রেলওয়ে সূত্রে জানা যায়, অতিরিক্ত ঠান্ডা ও তাপের কারণে রেললাইন সংকুচিত ও সম্প্রসারিত হয়ে দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা থাকে। সাধারণত তাপমাত্রা ৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা তার বেশি হলে রেললাইন বেঁকে যাওয়ার ঝুঁকি তৈরি হয়। কিন্তু অন্যান্য জিনিসের চেয়ে ধাতু অনেক বেশি তাপ পরিবহন করে। যেমন তাপমাত্রা যদি ৩০-৩৫ ডিগ্রি থাকে, রেললাইনের পাতে সেটা ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত হতে পারে। এ জন্য রেলে দুর্ঘটনার শঙ্কা থেকে যায়। যে কারণে লাইনে সার্বক্ষণিক তদারক করা হচ্ছে। এ ছাড়া ত্রুটিপূর্ণ লাইন মেরামতের কাজ চলছে।

রেলওয়ের ময়মনসিংহ জোন হচ্ছে ময়মনসিংহ থেকে শ্রীপুর, বিদ্যাগঞ্জ, মোহনগঞ্জ, আঠারোবাড়ী, জারিয়া জাঞ্জাইল ও ভৈরব রেলপথের মোট ২০২ কিলোমিটার। দীর্ঘ এই রেলপথের কোথাও কোথাও বছরের পর বছর অযত্ন-অবহেলায় পড়ে থেকে পচন ধরেছে স্লিপারে। কোনো কোনো স্থানে আবার অস্তিত্বই নেই নাট-বল্টু বা হুকের। বেহাল অবস্থা গুরুত্বপূর্ণ রেল সেতুগুলোরও। কাঠের স্লিপারের ওপর লাইন বসিয়ে আটকানো হয় ক্লিপ দিয়ে। প্রতিটি স্লিপারের দুই পাশে কমপক্ষে আটটি করে ক্লিপ থাকার নিয়ম রয়েছে। কিন্তু বেশির ভাগ স্লিপারেই ক্লিপের বালাই নেই। গরমে এসব স্থানে রেললাইন বেঁকে যাওয়ার আশঙ্কা করছে স্থানীয়রা।

সানকিপাড়া রেলক্রসিং এলাকার বাসিন্দা শাহাদাত হোসেন বলেন, নগরীর মধ্যেই রেললাইনের খারাপ অবস্থা। কংক্রিটের স্লিপারের পাশাপাশি রয়েছে কাঠের স্লিপার। কাঠের স্লিপারের বেশির অংশে নেই নাট-বল্টু। যে কারণে তীব্র গরমে রেললাইন অনেকটাই ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষের নজরদারি বাড়ানো প্রয়োজন।

গৌরীপুরের বাসিন্দা নাজমুল হাসান জনি বলেন, ব্রিটিশ আমলে ময়মনসিংহে রেললাইন স্থাপন করা হয়েছে। এরপর থেকে সামান্য মেরামত ছাড়া বড় কোনো ধরনের মেরামতের উদ্যোগ আমাদের চোখে পড়েনি। গৌরীপুর থেকে ময়মনসিংহ রুটে ট্রেন একেবারেই ধীরে ধীরে চলে। অনেক স্থানে নেই স্লিপার; তা থাকলেও নাট-বল্টু কম। মাঝেমধ্যে স্থানীয়রা নাট-বল্টু তুলে নিয়ে যায়। সেগুলো ভালো করে লাগানোও হয়নি। এখন যে গরম পড়েছে, যদি দুর্ঘটনা ঘটে, তাহলে তা অস্বাভাবিক বলে মনে হবে না।

ময়মনসিংহ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ইইই বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান এস এম আনোয়ারুল হক বলেন, তাপমাত্রা বেশি হলে রেললাইন বেঁকে যায়। অনেক দেশ এই সমস্যা সমাধানে রেললাইনে ব্যবহার করছে সাদা রং। কারণ সাদা রং সবচেয়ে কম তাপ শোষণ করে। তাতে তাপমাত্রা কম হয় ৫-১০ ডিগ্রি পর্যন্ত।

রেললাইন বেঁকে যাওয়ার ঝুঁকি কমাতে হলে দুপাশে গাছপালা লাগানো যেতে পারে। তাতে লাভ হয় দুটি। বন্যায় রেললাইনের নিচের মাটি সহজে সরে না। সেই সঙ্গে রেললাইন গরম কম হয়। কিন্তু গাছপালা না থাকলে সরাসরি সূর্যের তাপে গরম হয়ে রেললাইনের লোহার আকার বেড়ে যেতে পারে। তখন সেগুলো এঁকেবেঁকে জায়গা করে দেয় অতিরিক্ত অংশগুলোকে। এ ক্ষেত্রে নজরদারি বাড়ানোও প্রয়োজন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ময়মনসিংহ রেলওয়ের সহকারী নির্বাহী প্রকৌশলী আকরাম আলী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সারা দেশে তাপপ্রবাহ চলছে। বিষয়টি মাথায় রেখে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে রেললাইনে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। পুরোনো লাইন সংস্কারের পাশাপাশি নতুন লাইন যেন ত্রুটিমুক্ত থাকে আমরা খেয়াল রাখছি। গরমে টহল টিমের সদস্য বাড়ানো হয়েছে। সমস্যার কোনো নমুনা পাওয়া গেলে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। ঝুঁকির মধ্যে এখন পর্যন্ত পড়িনি। ঝুঁকিপূর্ণ জায়গায় তদারকি বাড়ানো হয়েছে। ২৫ কিলোমিটারের মতো লাইন রেন্যুয়াল করা হয়েছে। আশা রাখছি, সমস্যা হবে না।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

কাল মিষ্টি বিতরণে বারণ করেছিলেন, আজ মনোনয়ন স্থগিত—কে এই কামাল জামান

নীলফামারীতে হচ্ছে চীনা সরকারের উপহার ১০০০ শয্যার হাসপাতাল

‘তোমার জন্যই খুন করেছি’, স্ত্রীকে হত্যার পর প্রেমিকাকে সার্জনের বার্তা

প্রতীক পেল এনসিপি, বাসদ মার্ক্সবাদী ও আমজনগণ

ট্রাকের নিচে ঢুকে গেল অটোরিকশা, কলেজশিক্ষার্থীসহ নিহত ৬

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

‎মোহাম্মদপুরে ইউল্যাব শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ০৫ নভেম্বর ২০২৫, ০০: ৫৮
তানহা বিনতে বাশার
তানহা বিনতে বাশার

‎রাজধানীর মোহাম্মদপুরের নবীনগর হাউজিং এলাকায় একটি বাসা থেকে তানহা বিনতে বাশার নামের এক শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল সোমবার বিকেলে ওই শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

তানহা কুমিল্লার রেসকোর্স এলাকার বাসিন্দা ছিলেন। পড়াশোনা করতেন বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টসে (ইউল্যাব)।

আজ ‎মঙ্গলবার রাতে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী মো. রফিক আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, গতকাল বিকেলে নবীনগর হাউজিং এলাকার একটি বাসা থেকে তানহা নামের ইউল্যাবের এক শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে আত্মহত্যা করেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। ঘটনার পর লাশের সুরতহাল করে আজ শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিেকল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্ত করা হয়। ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

‎এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্টের পর মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।‎

‎এদিকে তানহার সঙ্গে ইউল্যাবের অপর এক শিক্ষার্থীর প্রেমের সম্পর্ক ছিল বলে দাবি করেছে তাঁর সহপাঠী ও পরিবার। তাঁদের দুজনের সম্পর্কের টানাপোড়নের মাঝেই তানহার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ‎

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

কাল মিষ্টি বিতরণে বারণ করেছিলেন, আজ মনোনয়ন স্থগিত—কে এই কামাল জামান

নীলফামারীতে হচ্ছে চীনা সরকারের উপহার ১০০০ শয্যার হাসপাতাল

‘তোমার জন্যই খুন করেছি’, স্ত্রীকে হত্যার পর প্রেমিকাকে সার্জনের বার্তা

প্রতীক পেল এনসিপি, বাসদ মার্ক্সবাদী ও আমজনগণ

ট্রাকের নিচে ঢুকে গেল অটোরিকশা, কলেজশিক্ষার্থীসহ নিহত ৬

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

গাজীপুরে তিনটি পত্রিকার প্রকাশনা সনদ বাতিল

গাজীপুর প্রতিনিধি
গাজীপুরে তিনটি পত্রিকার প্রকাশনা সনদ বাতিল

গাজীপুরের তিনটি পত্রিকার প্রকাশনা সনদ (ডিক্লারেশন) বাতিল করা হয়েছে। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের নির্দেশের আলোকে ডিক্লারেশন বাতিল করেন জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট নাফিসা আরেফিন। ডিক্লারেশন বাতিল হওয়া পত্রিকাগুলো হলো দৈনিক জনসংবাদ, দৈনিক আজকের গাজীপুর ও দৈনিক বাস্তব চিত্র।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, পত্রিকা তিনটির ডিক্লারেশন বাতিলের জন্য গত ১৭ সেপ্টেম্বর তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের উপপরিচালক (নিবন্ধন) ডায়ানা ইসলাম সীমা স্বাক্ষরিত পৃথক স্মারকে তিনটি চিঠি গাজীপুর জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে পাঠানো হয়।

চিঠিগুলোতে একই কারণ উল্লেখ করে বলা হয়, ছাপাখানা ও প্রকাশনা (ঘোষণা ও নিবন্ধীকরণ) আইন, ১৯৭৩ অনুযায়ী সংবাদপত্র প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গে এই অধিদপ্তরে চার কপি জমা দেওয়ার বিধান রয়েছে। কিন্তু গাজীপুর জেলা থেকে প্রকাশিত দৈনিক জনসংবাদ, দৈনিক আজকের গাজীপুর ও দৈনিক বাস্তব চিত্র পত্রিকা জানুয়ারি ২০২৪ থেকে আগস্ট ২০২৫ পর্যন্ত এই অধিদপ্তরে কোনো সংখ্যা জমা দেয়নি। এতে প্রতীয়মান হয় যে পত্রিকাগুলো প্রকাশিত হচ্ছে না।

তাই ১৯৭৩ সালের ছাপাখানা ও প্রকাশনা (ঘোষণা ও নিবন্ধীকরণ) আইন মোতাবেক ঘোষণাপত্র বাতিলের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।

চিঠি তিনটি গত ২২ সেপ্টেম্বর গাজীপুর জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কার্যালয়ে পৌঁছায়। পরে গাজীপুর জেলা ম্যাজিস্ট্রেট চিঠির আদেশ বাস্তবায়ন করেন বলে গতকাল সোমবার রাতে নিশ্চিত হওয়া গেছে।

গাজীপুর জেলা প্রশাসনের এক কর্মকর্তা জানান, পত্রিকাগুলোর প্রকাশনা সনদ (ডিক্লারেশন) বাতিল করার ক্ষেত্রে জেলা প্রশাসনের কোনো হাত ছিল না। জেলা প্রশাসন শুধু তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের নির্দেশের বাস্তবায়ন করেছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

কাল মিষ্টি বিতরণে বারণ করেছিলেন, আজ মনোনয়ন স্থগিত—কে এই কামাল জামান

নীলফামারীতে হচ্ছে চীনা সরকারের উপহার ১০০০ শয্যার হাসপাতাল

‘তোমার জন্যই খুন করেছি’, স্ত্রীকে হত্যার পর প্রেমিকাকে সার্জনের বার্তা

প্রতীক পেল এনসিপি, বাসদ মার্ক্সবাদী ও আমজনগণ

ট্রাকের নিচে ঢুকে গেল অটোরিকশা, কলেজশিক্ষার্থীসহ নিহত ৬

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

বরিশালে অপসো স্যালাইন ফার্মার অচলাবস্থা কাটেনি, কাল মালিক-শ্রমিক বৈঠক

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল
চাকরি ফেরতের দাবিতে আজ মঙ্গলবার বরিশাল নগরের বগুড়া সড়কে অপসো স্যালাইন ফার্মার কারখানার সামনে শ্রমিকদের অবস্থান। ছবি: আজকের পত্রিকা
চাকরি ফেরতের দাবিতে আজ মঙ্গলবার বরিশাল নগরের বগুড়া সড়কে অপসো স্যালাইন ফার্মার কারখানার সামনে শ্রমিকদের অবস্থান। ছবি: আজকের পত্রিকা

চাকরি ফেরতের দাবিতে শ্রমিকদের কর্মবিরতিতে বরিশালের অপসো স্যালাইন ফার্মা লিমিটেডে শুরু হওয়া অচলাবস্থা কাটেনি। আন্দোলনকারী শ্রমিকদের দেওয়া ৭২ ঘণ্টার আলটিমেটাম আজ মঙ্গলবার বিকেলে শেষ হয়। সমস্যা সমাধানে এ সময়ের মধ্যে মালিকপক্ষ তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করেনি। তবে আগামীকাল বুধবার বরিশাল শ্রম অধিদপ্তর মালিক ও শ্রমিক প্রতিনিধিদের নিয়ে সভা ডেকেছে।

৫৭০ জন শ্রমিক চাকরিচ্যুত করায় গত ২৯ অক্টোবর থেকে শ্রমিকেরা কর্মবিরতি পালন করছেন। তাঁরা চাকরি ফেরত চান। নগরের বগুড়া সড়কে কারখানার প্রধান ফটকের সামনে শ্রমিকেরা শনিবার থেকে অবস্থান নেন। বাম গণতান্ত্রিক জোট ও মহানগর বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক আফরোজা খানম নাসরিন সেখানে গিয়ে শ্রমিকদের দাবির প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন।

আজ বিকেলে শ্রমিকেরা বগুড়া সড়ক থেকে মিছিল নিয়ে প্রায় ৬ কিলোমিটার দূরে অপসোনিন গ্রুপের প্রধান কারখানার সামনে যান। সেখানে অন্য কারখানার শ্রমিকদের নিয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন।

অপসো স্যালাইন শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মো. রাকিব মিয়া জানান, কাল বুধবার শ্রম অধিদপ্তরের সভায় সমঝোতা না হলে সব কারখানায় কর্মবিরতি ও মহাসড়ক অবরোধের মতো কঠিন কর্মসূচিতে যাবেন।

বাসদ নেত্রী ডা. মনিষা চক্রবর্তী বলেন, আগামীকাল শ্রমিক প্রতিনিধি ও মালিক প্রতিনিধিদের বরিশাল শ্রম অধিদপ্তরের কার্যালয়ে সভা ডাকা হয়েছে। সভায় সমঝোতা না হলে শ্রমিকেরা কঠোর কর্মসূচিতে যাবেন।

ট্রেড ইউনিয়ন নেতা তুষার বলেন, ‘আমাদের মধ্যে ফাটল ধরানোর চেষ্টা করছে মালিকের লোকজন। এ জন্য সতর্ক থাকতে হবে। বুধবার শ্রম অধিদপ্তরে ৫৭০ জন শ্রমিকের ভাগ্য নির্ধারণ হতে পারে।’ তিনি শ্রম অধিদপ্তরের উপপরিচালক মনিরুজ্জামানকে দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, ‘আমরা চাই না মহাসড়ক অচল করে মানুষকে দুর্ভোগে ফেলতে।’

অপসো স্যালাইন কারখানায় কর্মরত স্টুরিপ্যাক (সিরিঞ্জ ও স্যালাইন সেট প্রস্তুতকারক) শাখার ৫৭০ জন শ্রমিককে গত বুধবার চাকরিচ্যুতির চিঠি দেয় কর্তৃপক্ষ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

কাল মিষ্টি বিতরণে বারণ করেছিলেন, আজ মনোনয়ন স্থগিত—কে এই কামাল জামান

নীলফামারীতে হচ্ছে চীনা সরকারের উপহার ১০০০ শয্যার হাসপাতাল

‘তোমার জন্যই খুন করেছি’, স্ত্রীকে হত্যার পর প্রেমিকাকে সার্জনের বার্তা

প্রতীক পেল এনসিপি, বাসদ মার্ক্সবাদী ও আমজনগণ

ট্রাকের নিচে ঢুকে গেল অটোরিকশা, কলেজশিক্ষার্থীসহ নিহত ৬

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

হাসিনার মন্ত্রীর বাড়িতে একটি করে হাড় কবর দিলেও ১০০ বাড়ি ফাঁকা: সারজিস

পঞ্চগড় প্রতিনিধি 
তেঁতুলিয়ায় রাজনৈতিক সভায় এনসিপি নেতা সারজিস আলম। ছবি: সংগৃহীত
তেঁতুলিয়ায় রাজনৈতিক সভায় এনসিপি নেতা সারজিস আলম। ছবি: সংগৃহীত

সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর দুর্নীতির কথা বলতে গিয়ে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেন, ‘শেখ হাসিনার ভূমিমন্ত্রীর ৩৬০টা বাড়ি কানাডায়। একটা মানুষের শরীরের হাড় হইল ২০৬টা। মরার পর হাড়গুলো আলাদা করে যদি একটা বাড়িতে একটা কবর হিসাবে রাখে, তাও ১০০টা বাড়ি পড়ে থাকবে। এ রকম করেই জনগণের টাকার লুটপাট করেছে।’

আজ মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) সন্ধ্যায় পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলায় এক রাজনৈতিক সভায় এনসিপি নেতা এসব কথা বলেন।

সভায় জুলাই সনদ নিয়ে সারজিস বলেন, ‘প্রায় ৩০-৪০ বছর আগে একবার গণভোট হয়েছিল। আবার সামনে গণভোট হবে। যে নিয়ম-কানুনগুলোর কারণে শেখ হাসিনা ধীরে ধীরে একজন স্বৈরাচার হয়ে উঠেছে, সেই নিয়ম-কানুনগুলোর পরিবর্তন দরকার আছে না নাই? এই জুলাই সনদ হলো সেই সনদ, যেখানে লেখা আছে—কোন পরিবর্তনগুলো হলে জনগণের সঙ্গে সরকারের ক্ষমতার একটি ভারসাম্য তৈরি হবে। কোন পরিবর্তনগুলো হলে আগামীতে কোনো সরকার আর স্বৈরাচারের সরকার হয়ে উঠতে পারবে না। কোন পরিবর্তনগুলো হলে আগামীর নেতার পা খালি আকাশে বেরাবেনি, মাটিতেও পড়বে। আমরা যে দলেরই হই না কেন, এই বাংলাদেশের জনগণের আগে, দেশের আগে কিংবা নিজের জীবনের নাগরিক সুবিধার আগে, কিংবা এগুলোর ঊর্ধ্বে কখনো দল হতে পারে না। দেশের চেয়ে কখনো দল বড় হতে পারে না।’

সভায় দলীয় নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে এনসিপি নেতা বলেন, এই দেশে ১৮-২০ কোটি মানুষের অধিকারের চেয়ে কখনো একটা দল বড় হতে পারে না। তাই অনুরোধ, আমরা যে দলেরই হই না কেন, গণভোটের দিন ওই জুলাই সনদে আমরা যেন জুলাই সনদের পক্ষে ‘হ্যাঁ’ ভোট দিই।

সভায় স্থানীয় এনসিপি নেতা-কর্মী ও সমর্থকেরা উপস্থিত ছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

কাল মিষ্টি বিতরণে বারণ করেছিলেন, আজ মনোনয়ন স্থগিত—কে এই কামাল জামান

নীলফামারীতে হচ্ছে চীনা সরকারের উপহার ১০০০ শয্যার হাসপাতাল

‘তোমার জন্যই খুন করেছি’, স্ত্রীকে হত্যার পর প্রেমিকাকে সার্জনের বার্তা

প্রতীক পেল এনসিপি, বাসদ মার্ক্সবাদী ও আমজনগণ

ট্রাকের নিচে ঢুকে গেল অটোরিকশা, কলেজশিক্ষার্থীসহ নিহত ৬

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত