মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে রাস উৎসবে দোহার নৃত্য শেষে হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন শিল্পী অবসরপ্রাপ্ত উপসহকারী কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা পূর্ণচন্দ্র সিনহা (৬০)। গতকাল মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে উপজেলার মাধবপুর শিববাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
মৃত পূর্ণচন্দ্র সিনহা ইসলামপুর ইউনিয়নের কালারাই বিলের বাসিন্দা।
জানা গেছে, মণিপুরি ললিতকলা একাডেমির রাস উৎসবে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বাদ্যযন্ত্র বাজানোর পর অস্বস্তি লাগে পূর্ণচন্দ্র সিনহার। পরে তিনি শিববাজার জোড়ামণ্ডপের পাশেই বোনের বাড়িতে যান। সেখানে হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। এ সময় স্থানীয়রা তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতাল নেওয়ার পথেই মারা যান পূর্ণচন্দ্র সিনহা।
কমলগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুর রাজ্জাক বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, রাস উৎসব উপলক্ষে টানা কয়েক দিন ধরে বাদ্যযন্ত্র বাজিয়ে প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন পূর্ণচন্দ্র সিনহা। টানা বাদ্যযন্ত্র বাজানো এবং বয়স বেশি হওয়ায় হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান তিনি।
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে রাস উৎসবে দোহার নৃত্য শেষে হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন শিল্পী অবসরপ্রাপ্ত উপসহকারী কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা পূর্ণচন্দ্র সিনহা (৬০)। গতকাল মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে উপজেলার মাধবপুর শিববাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
মৃত পূর্ণচন্দ্র সিনহা ইসলামপুর ইউনিয়নের কালারাই বিলের বাসিন্দা।
জানা গেছে, মণিপুরি ললিতকলা একাডেমির রাস উৎসবে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বাদ্যযন্ত্র বাজানোর পর অস্বস্তি লাগে পূর্ণচন্দ্র সিনহার। পরে তিনি শিববাজার জোড়ামণ্ডপের পাশেই বোনের বাড়িতে যান। সেখানে হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। এ সময় স্থানীয়রা তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতাল নেওয়ার পথেই মারা যান পূর্ণচন্দ্র সিনহা।
কমলগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুর রাজ্জাক বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, রাস উৎসব উপলক্ষে টানা কয়েক দিন ধরে বাদ্যযন্ত্র বাজিয়ে প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন পূর্ণচন্দ্র সিনহা। টানা বাদ্যযন্ত্র বাজানো এবং বয়স বেশি হওয়ায় হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান তিনি।
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে রাস উৎসবে দোহার নৃত্য শেষে হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন শিল্পী অবসরপ্রাপ্ত উপসহকারী কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা পূর্ণচন্দ্র সিনহা (৬০)। গতকাল মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে উপজেলার মাধবপুর শিববাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
মৃত পূর্ণচন্দ্র সিনহা ইসলামপুর ইউনিয়নের কালারাই বিলের বাসিন্দা।
জানা গেছে, মণিপুরি ললিতকলা একাডেমির রাস উৎসবে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বাদ্যযন্ত্র বাজানোর পর অস্বস্তি লাগে পূর্ণচন্দ্র সিনহার। পরে তিনি শিববাজার জোড়ামণ্ডপের পাশেই বোনের বাড়িতে যান। সেখানে হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। এ সময় স্থানীয়রা তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতাল নেওয়ার পথেই মারা যান পূর্ণচন্দ্র সিনহা।
কমলগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুর রাজ্জাক বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, রাস উৎসব উপলক্ষে টানা কয়েক দিন ধরে বাদ্যযন্ত্র বাজিয়ে প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন পূর্ণচন্দ্র সিনহা। টানা বাদ্যযন্ত্র বাজানো এবং বয়স বেশি হওয়ায় হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান তিনি।
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে রাস উৎসবে দোহার নৃত্য শেষে হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন শিল্পী অবসরপ্রাপ্ত উপসহকারী কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা পূর্ণচন্দ্র সিনহা (৬০)। গতকাল মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে উপজেলার মাধবপুর শিববাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
মৃত পূর্ণচন্দ্র সিনহা ইসলামপুর ইউনিয়নের কালারাই বিলের বাসিন্দা।
জানা গেছে, মণিপুরি ললিতকলা একাডেমির রাস উৎসবে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বাদ্যযন্ত্র বাজানোর পর অস্বস্তি লাগে পূর্ণচন্দ্র সিনহার। পরে তিনি শিববাজার জোড়ামণ্ডপের পাশেই বোনের বাড়িতে যান। সেখানে হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। এ সময় স্থানীয়রা তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতাল নেওয়ার পথেই মারা যান পূর্ণচন্দ্র সিনহা।
কমলগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুর রাজ্জাক বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, রাস উৎসব উপলক্ষে টানা কয়েক দিন ধরে বাদ্যযন্ত্র বাজিয়ে প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন পূর্ণচন্দ্র সিনহা। টানা বাদ্যযন্ত্র বাজানো এবং বয়স বেশি হওয়ায় হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান তিনি।
সুনামগঞ্জের যাদুকাটা নদীতে চলছে বালু লুটের মহোৎসব। অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের ফলে হুমকির মুখে রয়েছে নদীর তীরবর্তী বসতবাড়ি ও কৃষিজমি থেকে শুরু করে রাস্তাঘাট, ৮৬ কোটি টাকার আরেফিন-অদ্বৈত মৈত্রী সেতু এবং ঐতিহ্যবাহী অদ্বৈত মন্দিরের মতো স্থাপনা।
২ মিনিট আগেচট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সারিবদ্ধ আটটি কফিন। প্রতিটিতে শায়িত একেকজন প্রবাসী। কিছুদিন আগেই তাঁরা হাসিমুখে বিদেশে পাড়ি দিয়েছিলেন। সন্তানের কপালে চুমু দিয়ে, স্ত্রীকে সন্তানের দায়িত্ব বুঝিয়ে দিয়ে দেশ ছেড়েছিলেন। মা-বাবার কাছে আরজি ছিল, ‘নিজের খেয়াল রেখো।’ কিন্তু আজ তাঁরা নিথর।
৫ মিনিট আগেদেশের রাজনীতিতে রাজধানী-লাগোয়া শিল্পনগরী গাজীপুর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে ইতিমধ্যে পুরো জেলায় বইছে নির্বাচনী হাওয়া। তফসিল ঘোষণার আগেই গাজীপুরের মাঠে নেমে পড়েছেন বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, এনসিপি, গণঅধিকার পরিষদসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের
৮ মিনিট আগেপুরান ঢাকার আরমানি টোলায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী মো. জুবায়েদ হোসেনকে হত্যার ঘটনায় তাঁর ছাত্রীকে আটক করেছে পুলিশ। রোববার (১৯ অক্টোবর) রাত ১১টা ২০ মিনিটের দিকে বংশালের নূর বক্স রোডে রৌশান ভিলা থেকে ওই ছাত্রীকে (এইচএসসি শিক্ষার্থী) আটক করে নিয়ে যায় পুলিশ। জুবায়েদ তাকে বাসায় গিয়ে পড়াতেন
২ ঘণ্টা আগেবিশ্বজিত রায়, সুনামগঞ্জ
সুনামগঞ্জের যাদুকাটা নদীতে চলছে বালু লুটের মহোৎসব। অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের ফলে হুমকির মুখে রয়েছে নদীর তীরবর্তী বসতবাড়ি ও কৃষিজমি থেকে শুরু করে রাস্তাঘাট, ৮৬ কোটি টাকার আরেফিন-অদ্বৈত মৈত্রী সেতু এবং ঐতিহ্যবাহী অদ্বৈত মন্দিরের মতো স্থাপনা। দীর্ঘদিন ধরে ইজারাদার এবং বর্তমানে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের লোকজন মিলে এই নদীতে লুটপাট চালিয়েছে। ৫ আগস্টের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর বিএনপি নেতাদের মিত্র হিসেবে পেয়েছেন ইজারাদারেরা। বিশেষ করে সম্প্রতি (৭-১১ অক্টোবর) প্রায় শতকোটি টাকার বালু লুটের ঘটনায় স্থানীয়রা হতভম্ব।
যাদুকাটা নদীর উৎপত্তি ভারতের মেঘালয়ের খাসিয়া পাহাড়ে। তাহিরপুর উপজেলার বারেকটিলা ও লাউড়গড়ের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করা এই নদী একসময় ছিল মাত্র পাঁচ কিলোমিটার দীর্ঘ এবং ৫৭ মিটার প্রশস্ত। কিন্তু বছরের পর বছর অবৈধ বালু উত্তোলনের ফলে এর গড় প্রস্থ এখন এক কিলোমিটার ছাড়িয়ে গেছে। ইজারাদার ও স্থানীয় রাজনীতিকদের পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একাংশের বিরুদ্ধেও এই লুটপাটে জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে।
সম্প্রতি এ নিয়ে সমালোচনা শুরু হলে ১৪ অক্টোবর তাহিরপুর থানায় বালুমহাল ও বালু ব্যবস্থাপনা আইনে মামলা করেন ইজারাদারের লোকজন। যদিও এটিকে লোকদেখানো বলছেন স্থানীয়রা। একই দিন থানার এসআই পংকজ দাশ বাদী হয়ে আরও চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। ১৬ অক্টোবর সুনামগঞ্জ পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মোহাইমিনুল হক ৩৭ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত ২০ জনকে আসামি করে আরেকটি মামলা করেন। এই মামলায় আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতা-কর্মীদের পাশাপাশি স্থানীয় প্রভাবশালীদের নাম উঠে এসেছে।
আসামিদের মধ্যে রয়েছেন তাহিরপুর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা আফতাব উদ্দিন, তাঁর ভাই উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক রাকাব উদ্দিন, আওয়ামী লীগ নেতা বিশ্বজিৎ সরকার এবং নদীর তীরসংলগ্ন এলাকার বাসিন্দা মোশাহিদ আলম ওরফে রানু মেম্বার। রানু মেম্বার এর আগেও একই অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। এ ছাড়া অভিযুক্তের তালিকায় রয়েছেন আওয়ামী লীগের আব্দুল কাইয়ুম খেলু মাস্টার, খাজা মাঈন উদ্দিন, আবু বক্কর, বিএনপির রফিকুল ইসলাম, বিএনপি নেতা গোলাপ মাহমুদের চাচাতো ভাই শিপন, শোভন, শাহান, ৯ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি প্রার্থী আব্দুল মান্নান প্রমুখ।
জানা যায়, এই লুটপাটের অগ্রভাগে ছিলেন খেলু মাস্টার ও খাজা মাঈন উদ্দিন। যদিও প্রথমে তারাই বালু সরানোর ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন। পরে প্রভাবশালীদের সঙ্গে সমঝোতা করে তাঁরাও বালু লুটে শামিল হন।
স্থানীয় পরিবেশ আন্দোলনের কর্মী আবুল হোসেন বলেন, এখন প্রশাসনের অবস্থা ‘ঠেলার নাম বাবাজি’। নোটিশ দেওয়া, বাঁশের বেড়া দেওয়া; সবই ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা। পুলিশ, বিজিবি, প্রশাসন সবাই জানে কারা এসবের পেছনে রয়েছে। প্রকৃতপক্ষে ইজারাদারের খেয়াল-খুশিতেই সব চলছে।
যাদুকাটা-১ ও যাদুকাটা-২ বালুমহাল নিয়ে দীর্ঘদিন মামলা চলার পর গত ১৯ আগস্ট আদালত শ্রমিকদের স্বার্থে এবং যান্ত্রিক পদ্ধতি ছাড়া বালু উত্তোলনের শর্তে ইজারার পক্ষে রায় দেন। এরপর জেলা প্রশাসন ১০০ কোটি ৬ লাখ ২৫ হাজার টাকায় বালুমহাল ইজারা দেয়। কিন্তু ইজারার শর্ত মানা হয়নি। শ্যালো ইঞ্জিন ও ড্রেজারের মাধ্যমে নদীর বুক ও তীরবর্তী এলাকা ধ্বংস করা হচ্ছে।
গত ২৬ আগস্ট জেলা প্রশাসন ফেসবুকে বালু লুটের আশঙ্কা প্রকাশ করে সতর্ক করলেও তা ঠেকাতে ব্যর্থ হয়। নিরীহ শ্রমিকেরা জেল-জরিমানার শিকার হলেও মূল হোতারা ধরাছোঁয়ার বাইরে। স্থানীয়রা জানান, হাজার হাজার নৌকা নদীর তীরে ঢুকে পাড় কাটছে। ইজারাদার ও প্রভাবশালীরা প্রতি ফুটে ২০ টাকা এবং রয়্যালটি হিসেবে ২৫ টাকা আদায় করছেন।
ইজারাদার শাহ রুবেল আহমদ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমরা বালু লুট ঠেকাতে পুলিশ ক্যাম্পের আবেদন করেছি। নদীর তীরে বাঁশের বেড়া দিচ্ছি।
সরেজমিনে দেখা যায়, যাদুকাটা যেন এখন তীরহারা এক প্রশস্ত নদী। অবৈধ বালু উত্তোলনের ফলে হাওর-বাঁওড়, চর, ছড়া, শিমুলবাগান, বিজিবি ক্যাম্প, ঘাগটিয়া, লাউড়েরগড়, গড়কাটিসহ ১৫-২০টি গ্রাম বিপন্ন অবস্থায় রয়েছে।
২০০১ সাল থেকে পাড় কাটা শুরু হলেও ২০২১ সালে বালুমহাল ইজারার পর এটি মহোৎসবে পরিণত হয়। ভূমিমালিকেরা জমি রক্ষা করতে না পেরে বাধ্য হয়ে বালুখেকোদের কাছে জমি বিক্রি করছেন, কেউবা বিনামূল্যে ছেড়ে দিচ্ছেন। তাহিরপুর থানার ওসি মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘নদীর পাড় কাটার ঘটনায় মামলা হয়েছে। আইনি কার্যক্রম চলছে। পরিবেশ এখন শান্ত।’
সুনামগঞ্জ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল জাকারিয়া কাদির বলেন, গভীর রাতে অবৈধ বালু উত্তোলন ঠেকানো তাঁদের একার পক্ষে সম্ভব নয়। তবে জেলা প্রশাসনকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ ইলিয়াস মিয়া বলেন, ‘ইজারাদারকে শোকজ করা হয়েছে। এভাবে চললে ইজারা বাতিল হবে।’
সুনামগঞ্জের যাদুকাটা নদীতে চলছে বালু লুটের মহোৎসব। অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের ফলে হুমকির মুখে রয়েছে নদীর তীরবর্তী বসতবাড়ি ও কৃষিজমি থেকে শুরু করে রাস্তাঘাট, ৮৬ কোটি টাকার আরেফিন-অদ্বৈত মৈত্রী সেতু এবং ঐতিহ্যবাহী অদ্বৈত মন্দিরের মতো স্থাপনা। দীর্ঘদিন ধরে ইজারাদার এবং বর্তমানে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের লোকজন মিলে এই নদীতে লুটপাট চালিয়েছে। ৫ আগস্টের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর বিএনপি নেতাদের মিত্র হিসেবে পেয়েছেন ইজারাদারেরা। বিশেষ করে সম্প্রতি (৭-১১ অক্টোবর) প্রায় শতকোটি টাকার বালু লুটের ঘটনায় স্থানীয়রা হতভম্ব।
যাদুকাটা নদীর উৎপত্তি ভারতের মেঘালয়ের খাসিয়া পাহাড়ে। তাহিরপুর উপজেলার বারেকটিলা ও লাউড়গড়ের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করা এই নদী একসময় ছিল মাত্র পাঁচ কিলোমিটার দীর্ঘ এবং ৫৭ মিটার প্রশস্ত। কিন্তু বছরের পর বছর অবৈধ বালু উত্তোলনের ফলে এর গড় প্রস্থ এখন এক কিলোমিটার ছাড়িয়ে গেছে। ইজারাদার ও স্থানীয় রাজনীতিকদের পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একাংশের বিরুদ্ধেও এই লুটপাটে জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে।
সম্প্রতি এ নিয়ে সমালোচনা শুরু হলে ১৪ অক্টোবর তাহিরপুর থানায় বালুমহাল ও বালু ব্যবস্থাপনা আইনে মামলা করেন ইজারাদারের লোকজন। যদিও এটিকে লোকদেখানো বলছেন স্থানীয়রা। একই দিন থানার এসআই পংকজ দাশ বাদী হয়ে আরও চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। ১৬ অক্টোবর সুনামগঞ্জ পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মোহাইমিনুল হক ৩৭ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত ২০ জনকে আসামি করে আরেকটি মামলা করেন। এই মামলায় আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতা-কর্মীদের পাশাপাশি স্থানীয় প্রভাবশালীদের নাম উঠে এসেছে।
আসামিদের মধ্যে রয়েছেন তাহিরপুর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা আফতাব উদ্দিন, তাঁর ভাই উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক রাকাব উদ্দিন, আওয়ামী লীগ নেতা বিশ্বজিৎ সরকার এবং নদীর তীরসংলগ্ন এলাকার বাসিন্দা মোশাহিদ আলম ওরফে রানু মেম্বার। রানু মেম্বার এর আগেও একই অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। এ ছাড়া অভিযুক্তের তালিকায় রয়েছেন আওয়ামী লীগের আব্দুল কাইয়ুম খেলু মাস্টার, খাজা মাঈন উদ্দিন, আবু বক্কর, বিএনপির রফিকুল ইসলাম, বিএনপি নেতা গোলাপ মাহমুদের চাচাতো ভাই শিপন, শোভন, শাহান, ৯ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি প্রার্থী আব্দুল মান্নান প্রমুখ।
জানা যায়, এই লুটপাটের অগ্রভাগে ছিলেন খেলু মাস্টার ও খাজা মাঈন উদ্দিন। যদিও প্রথমে তারাই বালু সরানোর ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন। পরে প্রভাবশালীদের সঙ্গে সমঝোতা করে তাঁরাও বালু লুটে শামিল হন।
স্থানীয় পরিবেশ আন্দোলনের কর্মী আবুল হোসেন বলেন, এখন প্রশাসনের অবস্থা ‘ঠেলার নাম বাবাজি’। নোটিশ দেওয়া, বাঁশের বেড়া দেওয়া; সবই ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা। পুলিশ, বিজিবি, প্রশাসন সবাই জানে কারা এসবের পেছনে রয়েছে। প্রকৃতপক্ষে ইজারাদারের খেয়াল-খুশিতেই সব চলছে।
যাদুকাটা-১ ও যাদুকাটা-২ বালুমহাল নিয়ে দীর্ঘদিন মামলা চলার পর গত ১৯ আগস্ট আদালত শ্রমিকদের স্বার্থে এবং যান্ত্রিক পদ্ধতি ছাড়া বালু উত্তোলনের শর্তে ইজারার পক্ষে রায় দেন। এরপর জেলা প্রশাসন ১০০ কোটি ৬ লাখ ২৫ হাজার টাকায় বালুমহাল ইজারা দেয়। কিন্তু ইজারার শর্ত মানা হয়নি। শ্যালো ইঞ্জিন ও ড্রেজারের মাধ্যমে নদীর বুক ও তীরবর্তী এলাকা ধ্বংস করা হচ্ছে।
গত ২৬ আগস্ট জেলা প্রশাসন ফেসবুকে বালু লুটের আশঙ্কা প্রকাশ করে সতর্ক করলেও তা ঠেকাতে ব্যর্থ হয়। নিরীহ শ্রমিকেরা জেল-জরিমানার শিকার হলেও মূল হোতারা ধরাছোঁয়ার বাইরে। স্থানীয়রা জানান, হাজার হাজার নৌকা নদীর তীরে ঢুকে পাড় কাটছে। ইজারাদার ও প্রভাবশালীরা প্রতি ফুটে ২০ টাকা এবং রয়্যালটি হিসেবে ২৫ টাকা আদায় করছেন।
ইজারাদার শাহ রুবেল আহমদ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমরা বালু লুট ঠেকাতে পুলিশ ক্যাম্পের আবেদন করেছি। নদীর তীরে বাঁশের বেড়া দিচ্ছি।
সরেজমিনে দেখা যায়, যাদুকাটা যেন এখন তীরহারা এক প্রশস্ত নদী। অবৈধ বালু উত্তোলনের ফলে হাওর-বাঁওড়, চর, ছড়া, শিমুলবাগান, বিজিবি ক্যাম্প, ঘাগটিয়া, লাউড়েরগড়, গড়কাটিসহ ১৫-২০টি গ্রাম বিপন্ন অবস্থায় রয়েছে।
২০০১ সাল থেকে পাড় কাটা শুরু হলেও ২০২১ সালে বালুমহাল ইজারার পর এটি মহোৎসবে পরিণত হয়। ভূমিমালিকেরা জমি রক্ষা করতে না পেরে বাধ্য হয়ে বালুখেকোদের কাছে জমি বিক্রি করছেন, কেউবা বিনামূল্যে ছেড়ে দিচ্ছেন। তাহিরপুর থানার ওসি মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘নদীর পাড় কাটার ঘটনায় মামলা হয়েছে। আইনি কার্যক্রম চলছে। পরিবেশ এখন শান্ত।’
সুনামগঞ্জ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল জাকারিয়া কাদির বলেন, গভীর রাতে অবৈধ বালু উত্তোলন ঠেকানো তাঁদের একার পক্ষে সম্ভব নয়। তবে জেলা প্রশাসনকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ ইলিয়াস মিয়া বলেন, ‘ইজারাদারকে শোকজ করা হয়েছে। এভাবে চললে ইজারা বাতিল হবে।’
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে রাস উৎসবে দোহার নৃত্য শেষে হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন শিল্পী অবসরপ্রাপ্ত উপসহকারী কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা পূর্ণচন্দ্র সিনহা (৬০)। গতকাল মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে উপজেলার মাধবপুর শিববাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
০৯ নভেম্বর ২০২২চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সারিবদ্ধ আটটি কফিন। প্রতিটিতে শায়িত একেকজন প্রবাসী। কিছুদিন আগেই তাঁরা হাসিমুখে বিদেশে পাড়ি দিয়েছিলেন। সন্তানের কপালে চুমু দিয়ে, স্ত্রীকে সন্তানের দায়িত্ব বুঝিয়ে দিয়ে দেশ ছেড়েছিলেন। মা-বাবার কাছে আরজি ছিল, ‘নিজের খেয়াল রেখো।’ কিন্তু আজ তাঁরা নিথর।
৫ মিনিট আগেদেশের রাজনীতিতে রাজধানী-লাগোয়া শিল্পনগরী গাজীপুর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে ইতিমধ্যে পুরো জেলায় বইছে নির্বাচনী হাওয়া। তফসিল ঘোষণার আগেই গাজীপুরের মাঠে নেমে পড়েছেন বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, এনসিপি, গণঅধিকার পরিষদসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের
৮ মিনিট আগেপুরান ঢাকার আরমানি টোলায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী মো. জুবায়েদ হোসেনকে হত্যার ঘটনায় তাঁর ছাত্রীকে আটক করেছে পুলিশ। রোববার (১৯ অক্টোবর) রাত ১১টা ২০ মিনিটের দিকে বংশালের নূর বক্স রোডে রৌশান ভিলা থেকে ওই ছাত্রীকে (এইচএসসি শিক্ষার্থী) আটক করে নিয়ে যায় পুলিশ। জুবায়েদ তাকে বাসায় গিয়ে পড়াতেন
২ ঘণ্টা আগেওমানে সড়ক দুর্ঘটনা
সবুর শুভ, চট্টগ্রাম
চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সারিবদ্ধ আটটি কফিন। প্রতিটিতে শায়িত একেকজন প্রবাসী। কিছুদিন আগেই তাঁরা হাসিমুখে বিদেশে পাড়ি দিয়েছিলেন। সন্তানের কপালে চুমু দিয়ে, স্ত্রীকে সন্তানের দায়িত্ব বুঝিয়ে দিয়ে দেশ ছেড়েছিলেন। মা-বাবার কাছে আরজি ছিল, ‘নিজের খেয়াল রেখো।’ কিন্তু আজ তাঁরা নিথর। গত শনিবার রাত ৮টা ১৫ মিনিটে চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছায় তাঁদের মরদেহ। রাত ৯টা ২০ মিনিটে স্বজনদের কাছে কফিনগুলো হস্তান্তর করা হয়।
৮ অক্টোবর ওমানের ধুকুম প্রদেশের সিদরা এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হন আট প্রবাসী। তাঁদের মধ্যে সাতজনই সন্দ্বীপের, একজন রাউজানের। পরিবারের মুখে হাসি ফোটাতে অর্থনৈতিক সচ্ছলতার স্বপ্ন নিয়ে রোদে পুড়ে, ঘামে ভিজে পরিশ্রম করতেন। কথা ছিল উপহারভর্তি ব্যাগ নিয়ে দেশে ফিরবেন। কিন্তু ফিরলেন কফিনে।
নিহত ব্যক্তিরা হলেন আমিন মাঝি (৫০), মো. সাহাবুদ্দিন (২৮), মো. বাবলু (২৮), মো. রকি (২৭), মো. আরজু (২৬), মো. জুয়েল (২৮), মোশারফ হোসেন রনি (২৬) ও মো. আলাউদ্দিন। প্রথম সাতজন সন্দ্বীপের, আলাউদ্দিন রাউজানের। সবার পরিবারে বুকফাটা আর্তনাদ। সারিকাইত ৪ নম্বর ওয়ার্ডে মো. আরজুর বাড়ির পথে দূর থেকেই শোনা যায় কান্নার রোল। আরজুর তিন বছরের মেয়ে আনিসাকে নিয়ে বিলাপ করতে করতে আনিসার দাদা শহীদুল্লাহ বলছিলেন, ‘ও এখন কাকে বাবা ডাকবে?’
একই এলাকার মো. বাবলুর দুই সন্তান। চার বছরের ছেলে ও তিন বছরের মেয়ে। সন্তানদের ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কায় তাঁর স্ত্রী। মো. সাহাবুদ্দিনের ১৪ মাসের মেয়ে, মো. রকির চার মাসের ছেলে নুর ইয়ামীন। রকির বাবা ইব্রাহীম জানান, দুর্ঘটনার আগে ভিডিও কলে রকি ছেলের সঙ্গে কথা বলেছিলেন। ইয়ামীন বাবার ডাক আর শুনবে না।
গতকাল সকাল ৯টা ১৫ মিনিটে সন্দ্বীপের এনাম নাহার মোড়সংলগ্ন পূর্ব সন্দ্বীপ উচ্চবিদ্যালয় মাঠে সাত প্রবাসীর জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে এই জানাজায় চোখের পানিতে সাত রেমিট্যান্স যোদ্ধাকে শেষ বিদায় জানায় এলাকাবাসী।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মংচিংনু মারমা বলেন, রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের আকস্মিক মৃত্যুতে সন্দ্বীপবাসী শোকাহত। এই শোক প্রকাশের কোনো ভাষা নেই। এই আর্তনাদের কোনো উত্তর নেই।
সন্দ্বীপ নাগরিক সমাজের সভাপতি অধ্যক্ষ মুকতাদের আজাদ খান জানান, সাহাবুদ্দিন ও বাবলু ছিলেন এক আত্মা। একসঙ্গে পড়াশোনা, বেড়ে ওঠা। গত ২১ সেপ্টেম্বর একই ফ্লাইটে ওমানে গিয়েছিলেন। দুর্ঘটনাও তাঁদের আলাদা করতে পারেনি।
দুর্ঘটনার এক দিন আগে ফেসবুকে সন্দ্বীপে লাশবাহী স্পিডবোট চালুর খবর দিয়েছিলেন আমিন মাঝি। কিন্তু নিয়তির পরিহাস, তাঁরই লাশ বহন করে এল সেই স্পিডবোট। তাঁর বাবা আলী কব্বর জানান, মেয়ের বিয়ে দিতে দেশে ফেরার কথা ছিল আমিনের। কিন্তু এলেন লাশ হয়ে।
চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সারিবদ্ধ আটটি কফিন। প্রতিটিতে শায়িত একেকজন প্রবাসী। কিছুদিন আগেই তাঁরা হাসিমুখে বিদেশে পাড়ি দিয়েছিলেন। সন্তানের কপালে চুমু দিয়ে, স্ত্রীকে সন্তানের দায়িত্ব বুঝিয়ে দিয়ে দেশ ছেড়েছিলেন। মা-বাবার কাছে আরজি ছিল, ‘নিজের খেয়াল রেখো।’ কিন্তু আজ তাঁরা নিথর। গত শনিবার রাত ৮টা ১৫ মিনিটে চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছায় তাঁদের মরদেহ। রাত ৯টা ২০ মিনিটে স্বজনদের কাছে কফিনগুলো হস্তান্তর করা হয়।
৮ অক্টোবর ওমানের ধুকুম প্রদেশের সিদরা এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হন আট প্রবাসী। তাঁদের মধ্যে সাতজনই সন্দ্বীপের, একজন রাউজানের। পরিবারের মুখে হাসি ফোটাতে অর্থনৈতিক সচ্ছলতার স্বপ্ন নিয়ে রোদে পুড়ে, ঘামে ভিজে পরিশ্রম করতেন। কথা ছিল উপহারভর্তি ব্যাগ নিয়ে দেশে ফিরবেন। কিন্তু ফিরলেন কফিনে।
নিহত ব্যক্তিরা হলেন আমিন মাঝি (৫০), মো. সাহাবুদ্দিন (২৮), মো. বাবলু (২৮), মো. রকি (২৭), মো. আরজু (২৬), মো. জুয়েল (২৮), মোশারফ হোসেন রনি (২৬) ও মো. আলাউদ্দিন। প্রথম সাতজন সন্দ্বীপের, আলাউদ্দিন রাউজানের। সবার পরিবারে বুকফাটা আর্তনাদ। সারিকাইত ৪ নম্বর ওয়ার্ডে মো. আরজুর বাড়ির পথে দূর থেকেই শোনা যায় কান্নার রোল। আরজুর তিন বছরের মেয়ে আনিসাকে নিয়ে বিলাপ করতে করতে আনিসার দাদা শহীদুল্লাহ বলছিলেন, ‘ও এখন কাকে বাবা ডাকবে?’
একই এলাকার মো. বাবলুর দুই সন্তান। চার বছরের ছেলে ও তিন বছরের মেয়ে। সন্তানদের ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কায় তাঁর স্ত্রী। মো. সাহাবুদ্দিনের ১৪ মাসের মেয়ে, মো. রকির চার মাসের ছেলে নুর ইয়ামীন। রকির বাবা ইব্রাহীম জানান, দুর্ঘটনার আগে ভিডিও কলে রকি ছেলের সঙ্গে কথা বলেছিলেন। ইয়ামীন বাবার ডাক আর শুনবে না।
গতকাল সকাল ৯টা ১৫ মিনিটে সন্দ্বীপের এনাম নাহার মোড়সংলগ্ন পূর্ব সন্দ্বীপ উচ্চবিদ্যালয় মাঠে সাত প্রবাসীর জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে এই জানাজায় চোখের পানিতে সাত রেমিট্যান্স যোদ্ধাকে শেষ বিদায় জানায় এলাকাবাসী।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মংচিংনু মারমা বলেন, রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের আকস্মিক মৃত্যুতে সন্দ্বীপবাসী শোকাহত। এই শোক প্রকাশের কোনো ভাষা নেই। এই আর্তনাদের কোনো উত্তর নেই।
সন্দ্বীপ নাগরিক সমাজের সভাপতি অধ্যক্ষ মুকতাদের আজাদ খান জানান, সাহাবুদ্দিন ও বাবলু ছিলেন এক আত্মা। একসঙ্গে পড়াশোনা, বেড়ে ওঠা। গত ২১ সেপ্টেম্বর একই ফ্লাইটে ওমানে গিয়েছিলেন। দুর্ঘটনাও তাঁদের আলাদা করতে পারেনি।
দুর্ঘটনার এক দিন আগে ফেসবুকে সন্দ্বীপে লাশবাহী স্পিডবোট চালুর খবর দিয়েছিলেন আমিন মাঝি। কিন্তু নিয়তির পরিহাস, তাঁরই লাশ বহন করে এল সেই স্পিডবোট। তাঁর বাবা আলী কব্বর জানান, মেয়ের বিয়ে দিতে দেশে ফেরার কথা ছিল আমিনের। কিন্তু এলেন লাশ হয়ে।
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে রাস উৎসবে দোহার নৃত্য শেষে হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন শিল্পী অবসরপ্রাপ্ত উপসহকারী কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা পূর্ণচন্দ্র সিনহা (৬০)। গতকাল মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে উপজেলার মাধবপুর শিববাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
০৯ নভেম্বর ২০২২সুনামগঞ্জের যাদুকাটা নদীতে চলছে বালু লুটের মহোৎসব। অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের ফলে হুমকির মুখে রয়েছে নদীর তীরবর্তী বসতবাড়ি ও কৃষিজমি থেকে শুরু করে রাস্তাঘাট, ৮৬ কোটি টাকার আরেফিন-অদ্বৈত মৈত্রী সেতু এবং ঐতিহ্যবাহী অদ্বৈত মন্দিরের মতো স্থাপনা।
২ মিনিট আগেদেশের রাজনীতিতে রাজধানী-লাগোয়া শিল্পনগরী গাজীপুর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে ইতিমধ্যে পুরো জেলায় বইছে নির্বাচনী হাওয়া। তফসিল ঘোষণার আগেই গাজীপুরের মাঠে নেমে পড়েছেন বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, এনসিপি, গণঅধিকার পরিষদসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের
৮ মিনিট আগেপুরান ঢাকার আরমানি টোলায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী মো. জুবায়েদ হোসেনকে হত্যার ঘটনায় তাঁর ছাত্রীকে আটক করেছে পুলিশ। রোববার (১৯ অক্টোবর) রাত ১১টা ২০ মিনিটের দিকে বংশালের নূর বক্স রোডে রৌশান ভিলা থেকে ওই ছাত্রীকে (এইচএসসি শিক্ষার্থী) আটক করে নিয়ে যায় পুলিশ। জুবায়েদ তাকে বাসায় গিয়ে পড়াতেন
২ ঘণ্টা আগেত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন
মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান, গাজীপুর
দেশের রাজনীতিতে রাজধানী-লাগোয়া শিল্পনগরী গাজীপুর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে ইতিমধ্যে পুরো জেলায় বইছে নির্বাচনী হাওয়া। তফসিল ঘোষণার আগেই গাজীপুরের মাঠে নেমে পড়েছেন বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, এনসিপি, গণঅধিকার পরিষদসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীরা।
শহর থেকে গ্রাম—সবখানে দেখা যাচ্ছে সম্ভাব্য প্রার্থীদের বিলবোর্ড, ব্যানার, পোস্টার আর মিছিলের প্রতিযোগিতা। চলছে প্রচারপত্র বিতরণ, উঠান বৈঠক, সমাবেশ-পথসভা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমভিত্তিক প্রচারও জমজমাট।
সীমানা পুর্নির্ধারণের পর জেলায় সংসদীয় আসন বেড়ে হয়েছে ছয়টি। আসন বাড়ানোয় সম্ভাব্য প্রার্থী ও ভোটারদেরও আগ্রহ বেড়েছে।
বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের দায়িত্বশীল নেতাদের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, বিএনপি চারটি আসনে প্রার্থী ঠিক করেছে। অন্যদিকে জামায়াতে ইসলামী ছয়টি আসনেই একক প্রার্থী ঘোষণা করেছে। সেসব সম্ভাব্য প্রার্থী দাঁড়িপাল্লা নিয়ে এলাকায় ভোটারদের দ্বারে দ্বারে যাচ্ছেন। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ পাঁচটি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করে হাতপাখা প্রতীকে প্রচার শুরু করেছে। আর পাঁচ আসনে এনসিপির সম্ভাব্য একক প্রার্থী প্রচারণা চালাচ্ছেন। মাঠে রয়েছেন গণঅধিকারের মনোনয়নপ্রত্যাশীরাও।
গাজীপুর-১ আসন
কালিয়াকৈর উপজেলা এবং মহানগরীর ৭ নম্বর ওয়ার্ড থেকে ১২ নম্বর ওয়ার্ড (কোনাবাড়ী থানা) এলাকা নিয়ে গঠিত। আসনটি এবার দ্বিতীয়বারের মতো পুনর্গঠন করা হয়েছে। আসনটি শ্রীপুরের সঙ্গে যুক্ত ছিল। প্রথমবার এটিকে শ্রীপুর থেকে আলাদা করে মহানগরীর কোনাবাড়ী ও কাশিমপুর থানার সঙ্গে যুক্ত করা হয়। এবার এখান থেকে কোনাবাড়ী থানা কেটে নিয়ে গাজীপুর-২-এ যুক্ত করা হয়েছে।
এই আসনে বিএনপি থেকে চারজন নতুন মুখ মনোনয়নপ্রত্যাশী। তাঁদের কেউই আগে সংসদ নির্বাচনে অংশ নেননি। তাঁরা হলেন কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক (ঢাকা বিভাগ) কাজী সাইয়্যেদুল আলম বাবুল, কেন্দ্রীয় নেতা হুমায়ুন কবির খান, কালিয়াকৈর পৌরসভার সাবেক মেয়র মো. মুজিবুর রহমান, জেলা বিএনপির সদস্যসচিব ও তানভীর আহমেদ সিদ্দিকীর ছেলে ব্যারিস্টার ইশরাক আহমেদ সিদ্দিকী।
এখানে জামায়াতে ইসলামীর ঘোষিত প্রার্থী মানারাত ট্রাস্টি বোর্ডের সাধারণ সম্পাদক, সাবেক সচিব মু. শাহ আলম বকশী এবং ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের জি এম রুহুল আমিন নিজ প্রতীক নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রচার শুরু করেছেন।
সাইয়্যেদুল আলম বাবুল বলেন, ‘দলের দুঃসময়ে সংগঠন ধরে রেখেছি। এবার মনোনয়ন পেলে কালিয়াকৈরের উন্নয়নে নিজেকে নিবেদন করব।’
শাহ আলম বকশী বলেন, ‘আমি এলাকার উন্নয়নের পাশাপাশি অনিয়ম, দুর্নীতি, ঘুষ, চাঁদাবাজি বন্ধ করব এবং মাদকমুক্ত সমাজ গঠনে কাজ করব।’
গাজীপুর-২ আসন
এই আসনটি পুনর্গঠন করা হয়েছে। আসনটি বর্তমানে মহানগরীর ১ নম্বর ওয়ার্ড থেকে ৬ নম্বর এবং ১৩ নম্বর থেকে ৩১ নম্বর ওয়ার্ড (মহানগরীর সদর মেট্রো থানা, বাসন, গাছা ও কাশিমপুর থানা) ও গাজীপুর সদর উপজেলার বাড়িয়া ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত।
এই আসন শ্রমিক-অধ্যুষিত ও সবচেয়ে আলোচিত। এখানে বিএনপি থেকে প্রার্থী হওয়ার দৌড়ে যাঁরা রয়েছেন তাঁরা সবাই জাতীয় নির্বাচনে নতুন মুখ। তবে ভোটারদের কাছে সুপরিচিত। তাঁরা হলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ডা. মাজহারুল আলম, মহানগর বিএনপির সভাপতি মো. শওকত হোসেন সরকার, এই আসনের সাবেক এমপি, প্রতিমন্ত্রী ও গাজীপুর সিটির সাবেক মেয়র অধ্যাপক এম এ মান্নানের সন্তান ও গাজীপুর মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এম মঞ্জুরুল করিম রনি।
এই আসনে জামায়াতে ইসলামীর ঘোষিত প্রার্থী গাজীপুর মহানগর নায়েবে আমির ও কেন্দ্রীয় মজলিশের শুরা সদস্য মুহাম্মদ হোসেন আলী। ইসলামী আন্দোলনের সম্ভাব্য প্রার্থী মাওলানা এম এ হানিফ সরকার। এখানে গণঅধিকার পরিষদ থেকে লড়বেন দলের জেলা আহ্বায়ক পাঠান আজহার।
এম মঞ্জুরুল করিম রনি বলেন, ‘আমি পাড়ায় পাড়ায় মানুষের দ্বারে দ্বারে যাচ্ছি। দলের ৩১ দফার প্রচার, সভা-সমাবেশ করছি। বিএনপি ও আমার বাবার ভালোবাসায় মানুষ উজ্জীবিত। আশা করি, সবাই আমার পাশে থাকবেন।’
ডা. মাজহারুল বলেন, ‘চাঁদাবাজি-দখলবাজিমুক্ত সমাজ গঠনের অঙ্গীকার নিয়ে মাঠে নেমেছি।’
গাজীপুর-৩ আসন
আসনটি গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলা, গাজীপুর সদর উপজেলার মির্জাপুর, ভাওয়াল গড় ও পিরুজালী ইউনিয়ন এবং গাজীপুর ক্যান্টনমেন্ট এলাকা নিয়ে গঠিত। আসনটি কালিয়াকৈর থেকে আলাদা হওয়ার পর শ্রীপুর থেকে জাতীয় নির্বাচনে কেউ বিএনপির প্রার্থী হিসেবে অংশ নেওয়ার সুযোগ পাননি।
এই আসনে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহস্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ও গাজীপুর জেলার যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যাপক ডা. রফিকুল ইসলাম বাচ্চু এবং জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ও জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সাখাওয়াত হোসেন সবুজ।
এই আসনে জামায়াতে ইসলামীর সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে প্রচারে অংশ নিচ্ছেন জেলা আমির ড. জাহাঙ্গীর আলম। এখানে ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী হতে পারেন হাফেজ মাওলানা আলমগীর হোসাইন। এনসিপি থেকে মনোনয়ন চাইবেন মেজর (অব.) আবদুল্লাহ আল মামুন।
ডা. রফিকুল ইসলাম বাচ্চু বলেন, স্বৈরাচার-ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলন করতে গিয়ে তিনি জেল-জুলুমের শিকার হয়েছেন। দল মনোনয়ন দিলে এবং নির্বাচিত হলে দুর্নীতি ও মাদকমুক্ত এলাকা গড়বেন।
গাজীপুর-৪ আসন
আসনটি কাপাসিয়া উপজেলা এলাকা নিয়ে গঠিত। এই আসন এখন সবচেয়ে বেশি আলোচিত। কারণ এখানে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন প্রয়াত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আ স ম হান্নান শাহের ছেলে শাহ রিয়াজুল হান্নান রিয়াজ। গত ১১ সেপ্টেম্বর বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর কাপাসিয়ায় এক স্মরণসভায় রিয়াজুল হান্নানকে আনুষ্ঠানিকভাবে দলের প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা দেন।
এখানে জামায়াতের ঘোষিত প্রার্থী হিসেবে এলাকায় ব্যাপক প্রচার ও গণসংযোগ করছেন ইসলামী ছাত্র শিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি সালাহউদ্দিন আইউবী। এখানে ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী হতে পারেন মাওলানা কাজীম উদ্দীন এবং এনসিপির সম্ভাব্য প্রার্থী কেন্দ্রীয় যুগ্ম মুখ্য সংগঠক ও নির্বাহী কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট আলী নাছের খান।
রিয়াজুল হান্নান বলেন, ‘স্বৈরাচারী সরকারের পতন ও মানুষের ভোটাধিকার পুনরুদ্ধারের জন্য অনেকবার মিথ্যা মামলা-হামলার শিকার হয়েছি, গ্রেপ্তার হয়েছি। আমি বাবার আদর্শ নিয়ে কাজ করছি।’
সালাহউদ্দিন আইউবী বলেন, ‘মানুষ আর দুঃশাসন-অনিয়ম দেখতে চায় না। বৈষম্যমুক্ত দেশ গড়ার প্রত্যয়ে কাজ করছি। কাপাসিয়ার মানুষ জামায়াতকেই বেছে নেবে বলে আশা করছি।’
গাজীপুর-৫ আসন
আসনটি গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলা ও গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ৪০, ৪১ এবং ৪২ নম্বর ওয়ার্ড এলাকা নিয়ে গঠিত। এখানে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক এ কে এম ফজলুল হক মিলন। তিনি এর আগেও এখান থেকে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন।
এই আসনে জামায়াতের ঘোষিত প্রার্থী গাজীপুর মহানগর শাখার নায়েবে আমির ও কালীগঞ্জ ফোরামের সভাপতি খায়রুল হাসান। তিনি জামায়াতের কেন্দ্রীয় মজলিশের শুরার সদস্য। তিনি নেতা-কর্মীদের সঙ্গে এলাকায় ব্যাপক প্রচার ও গণসংযোগ করছেন।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সম্ভাব্য প্রার্থী মাওলানা গাজী আতাউর রহমান। এ ছাড়া এনসিপির পক্ষ থেকে নির্বাচনী প্রচার চালাচ্ছেন এম এম শোয়াইব।
ফজলুল হক মিলন বলেন, ‘আমি উন্নয়নের রাজনীতিতে বিশ্বাস করি। কালীগঞ্জবাসী আমাকে আগেও যেভাবে ভালোবেসেছেন, এবারও তেমন সাড়া দিচ্ছেন।’
গাজীপুর-৬ আসন
আসনটি নতুন। জনসংখ্যার অনুপাত বিবেচনায় সম্প্রতি এটি বাড়ানো হয়েছে। আসনটি গাজীপুর মহানগরীর ৩১ নম্বর ওয়ার্ড থেকে ৩৯ নম্বর এবং ৪৩ নম্বর থেকে ৫৭ নম্বর ওয়ার্ড (টঙ্গী পূর্ব ও টঙ্গী পশ্চিম থানা এবং পুবাইল থানা) এলাকা নিয়ে গঠিত।
এখানে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য, শ্রমিকনেতা ও বীর মুক্তিযোদ্ধা হাসান উদ্দিন সরকার। তিনি সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এবং টঙ্গী পৌরসভার প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান। এখানে বিএনপির অন্য মনোনয়নপ্রত্যাশীরা হলেন জাতীয় শ্রমিক দলের কার্যকরী সভাপতি সালাউদ্দিন সরকার, টঙ্গী পূর্ব থানা বিএনপির সভাপতি সরকার জাবেদ আহাম্মেদ সুমন ও সাধারণ সম্পাদক গাজী সালাউদ্দিন।
জামায়াতে ইসলামীর সম্ভাব্য প্রার্থী দলের তুরস্ক শাখার সভাপতি ড. হাফিজুর রহমান। এখানে গণঅধিকার পরিষদের প্রার্থী হতে পারেন আব্দুর রহমান ও ইসলামী আন্দোলনের সম্ভাব্য প্রার্থী এম এ হানিফ সরকার। এনসিপির একক প্রার্থী হতে পারেন নাবীল ইউসুফ।
হাসান উদ্দিন সরকার বলেন, ‘গাজীপুর-৬ বিএনপির দুর্গ হবে। ৩১ দফার বাস্তবায়ন ও শ্রমিকদের অধিকার রক্ষাই আমার লক্ষ্য।’
নাবীল ইউসুফ বলেন, ‘গাজীপুর-৬-কে আমি একটি মডেল আসন হিসেবে গড়ে তুলতে চাই—যেখানে থাকবে আধুনিক অবকাঠামো, মাদকমুক্ত সমাজ ও নিরাপদ শহর।’
দেশের রাজনীতিতে রাজধানী-লাগোয়া শিল্পনগরী গাজীপুর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে ইতিমধ্যে পুরো জেলায় বইছে নির্বাচনী হাওয়া। তফসিল ঘোষণার আগেই গাজীপুরের মাঠে নেমে পড়েছেন বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, এনসিপি, গণঅধিকার পরিষদসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীরা।
শহর থেকে গ্রাম—সবখানে দেখা যাচ্ছে সম্ভাব্য প্রার্থীদের বিলবোর্ড, ব্যানার, পোস্টার আর মিছিলের প্রতিযোগিতা। চলছে প্রচারপত্র বিতরণ, উঠান বৈঠক, সমাবেশ-পথসভা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমভিত্তিক প্রচারও জমজমাট।
সীমানা পুর্নির্ধারণের পর জেলায় সংসদীয় আসন বেড়ে হয়েছে ছয়টি। আসন বাড়ানোয় সম্ভাব্য প্রার্থী ও ভোটারদেরও আগ্রহ বেড়েছে।
বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের দায়িত্বশীল নেতাদের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, বিএনপি চারটি আসনে প্রার্থী ঠিক করেছে। অন্যদিকে জামায়াতে ইসলামী ছয়টি আসনেই একক প্রার্থী ঘোষণা করেছে। সেসব সম্ভাব্য প্রার্থী দাঁড়িপাল্লা নিয়ে এলাকায় ভোটারদের দ্বারে দ্বারে যাচ্ছেন। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ পাঁচটি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করে হাতপাখা প্রতীকে প্রচার শুরু করেছে। আর পাঁচ আসনে এনসিপির সম্ভাব্য একক প্রার্থী প্রচারণা চালাচ্ছেন। মাঠে রয়েছেন গণঅধিকারের মনোনয়নপ্রত্যাশীরাও।
গাজীপুর-১ আসন
কালিয়াকৈর উপজেলা এবং মহানগরীর ৭ নম্বর ওয়ার্ড থেকে ১২ নম্বর ওয়ার্ড (কোনাবাড়ী থানা) এলাকা নিয়ে গঠিত। আসনটি এবার দ্বিতীয়বারের মতো পুনর্গঠন করা হয়েছে। আসনটি শ্রীপুরের সঙ্গে যুক্ত ছিল। প্রথমবার এটিকে শ্রীপুর থেকে আলাদা করে মহানগরীর কোনাবাড়ী ও কাশিমপুর থানার সঙ্গে যুক্ত করা হয়। এবার এখান থেকে কোনাবাড়ী থানা কেটে নিয়ে গাজীপুর-২-এ যুক্ত করা হয়েছে।
এই আসনে বিএনপি থেকে চারজন নতুন মুখ মনোনয়নপ্রত্যাশী। তাঁদের কেউই আগে সংসদ নির্বাচনে অংশ নেননি। তাঁরা হলেন কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক (ঢাকা বিভাগ) কাজী সাইয়্যেদুল আলম বাবুল, কেন্দ্রীয় নেতা হুমায়ুন কবির খান, কালিয়াকৈর পৌরসভার সাবেক মেয়র মো. মুজিবুর রহমান, জেলা বিএনপির সদস্যসচিব ও তানভীর আহমেদ সিদ্দিকীর ছেলে ব্যারিস্টার ইশরাক আহমেদ সিদ্দিকী।
এখানে জামায়াতে ইসলামীর ঘোষিত প্রার্থী মানারাত ট্রাস্টি বোর্ডের সাধারণ সম্পাদক, সাবেক সচিব মু. শাহ আলম বকশী এবং ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের জি এম রুহুল আমিন নিজ প্রতীক নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রচার শুরু করেছেন।
সাইয়্যেদুল আলম বাবুল বলেন, ‘দলের দুঃসময়ে সংগঠন ধরে রেখেছি। এবার মনোনয়ন পেলে কালিয়াকৈরের উন্নয়নে নিজেকে নিবেদন করব।’
শাহ আলম বকশী বলেন, ‘আমি এলাকার উন্নয়নের পাশাপাশি অনিয়ম, দুর্নীতি, ঘুষ, চাঁদাবাজি বন্ধ করব এবং মাদকমুক্ত সমাজ গঠনে কাজ করব।’
গাজীপুর-২ আসন
এই আসনটি পুনর্গঠন করা হয়েছে। আসনটি বর্তমানে মহানগরীর ১ নম্বর ওয়ার্ড থেকে ৬ নম্বর এবং ১৩ নম্বর থেকে ৩১ নম্বর ওয়ার্ড (মহানগরীর সদর মেট্রো থানা, বাসন, গাছা ও কাশিমপুর থানা) ও গাজীপুর সদর উপজেলার বাড়িয়া ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত।
এই আসন শ্রমিক-অধ্যুষিত ও সবচেয়ে আলোচিত। এখানে বিএনপি থেকে প্রার্থী হওয়ার দৌড়ে যাঁরা রয়েছেন তাঁরা সবাই জাতীয় নির্বাচনে নতুন মুখ। তবে ভোটারদের কাছে সুপরিচিত। তাঁরা হলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ডা. মাজহারুল আলম, মহানগর বিএনপির সভাপতি মো. শওকত হোসেন সরকার, এই আসনের সাবেক এমপি, প্রতিমন্ত্রী ও গাজীপুর সিটির সাবেক মেয়র অধ্যাপক এম এ মান্নানের সন্তান ও গাজীপুর মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এম মঞ্জুরুল করিম রনি।
এই আসনে জামায়াতে ইসলামীর ঘোষিত প্রার্থী গাজীপুর মহানগর নায়েবে আমির ও কেন্দ্রীয় মজলিশের শুরা সদস্য মুহাম্মদ হোসেন আলী। ইসলামী আন্দোলনের সম্ভাব্য প্রার্থী মাওলানা এম এ হানিফ সরকার। এখানে গণঅধিকার পরিষদ থেকে লড়বেন দলের জেলা আহ্বায়ক পাঠান আজহার।
এম মঞ্জুরুল করিম রনি বলেন, ‘আমি পাড়ায় পাড়ায় মানুষের দ্বারে দ্বারে যাচ্ছি। দলের ৩১ দফার প্রচার, সভা-সমাবেশ করছি। বিএনপি ও আমার বাবার ভালোবাসায় মানুষ উজ্জীবিত। আশা করি, সবাই আমার পাশে থাকবেন।’
ডা. মাজহারুল বলেন, ‘চাঁদাবাজি-দখলবাজিমুক্ত সমাজ গঠনের অঙ্গীকার নিয়ে মাঠে নেমেছি।’
গাজীপুর-৩ আসন
আসনটি গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলা, গাজীপুর সদর উপজেলার মির্জাপুর, ভাওয়াল গড় ও পিরুজালী ইউনিয়ন এবং গাজীপুর ক্যান্টনমেন্ট এলাকা নিয়ে গঠিত। আসনটি কালিয়াকৈর থেকে আলাদা হওয়ার পর শ্রীপুর থেকে জাতীয় নির্বাচনে কেউ বিএনপির প্রার্থী হিসেবে অংশ নেওয়ার সুযোগ পাননি।
এই আসনে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহস্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ও গাজীপুর জেলার যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যাপক ডা. রফিকুল ইসলাম বাচ্চু এবং জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ও জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সাখাওয়াত হোসেন সবুজ।
এই আসনে জামায়াতে ইসলামীর সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে প্রচারে অংশ নিচ্ছেন জেলা আমির ড. জাহাঙ্গীর আলম। এখানে ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী হতে পারেন হাফেজ মাওলানা আলমগীর হোসাইন। এনসিপি থেকে মনোনয়ন চাইবেন মেজর (অব.) আবদুল্লাহ আল মামুন।
ডা. রফিকুল ইসলাম বাচ্চু বলেন, স্বৈরাচার-ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলন করতে গিয়ে তিনি জেল-জুলুমের শিকার হয়েছেন। দল মনোনয়ন দিলে এবং নির্বাচিত হলে দুর্নীতি ও মাদকমুক্ত এলাকা গড়বেন।
গাজীপুর-৪ আসন
আসনটি কাপাসিয়া উপজেলা এলাকা নিয়ে গঠিত। এই আসন এখন সবচেয়ে বেশি আলোচিত। কারণ এখানে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন প্রয়াত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আ স ম হান্নান শাহের ছেলে শাহ রিয়াজুল হান্নান রিয়াজ। গত ১১ সেপ্টেম্বর বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর কাপাসিয়ায় এক স্মরণসভায় রিয়াজুল হান্নানকে আনুষ্ঠানিকভাবে দলের প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা দেন।
এখানে জামায়াতের ঘোষিত প্রার্থী হিসেবে এলাকায় ব্যাপক প্রচার ও গণসংযোগ করছেন ইসলামী ছাত্র শিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি সালাহউদ্দিন আইউবী। এখানে ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী হতে পারেন মাওলানা কাজীম উদ্দীন এবং এনসিপির সম্ভাব্য প্রার্থী কেন্দ্রীয় যুগ্ম মুখ্য সংগঠক ও নির্বাহী কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট আলী নাছের খান।
রিয়াজুল হান্নান বলেন, ‘স্বৈরাচারী সরকারের পতন ও মানুষের ভোটাধিকার পুনরুদ্ধারের জন্য অনেকবার মিথ্যা মামলা-হামলার শিকার হয়েছি, গ্রেপ্তার হয়েছি। আমি বাবার আদর্শ নিয়ে কাজ করছি।’
সালাহউদ্দিন আইউবী বলেন, ‘মানুষ আর দুঃশাসন-অনিয়ম দেখতে চায় না। বৈষম্যমুক্ত দেশ গড়ার প্রত্যয়ে কাজ করছি। কাপাসিয়ার মানুষ জামায়াতকেই বেছে নেবে বলে আশা করছি।’
গাজীপুর-৫ আসন
আসনটি গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলা ও গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ৪০, ৪১ এবং ৪২ নম্বর ওয়ার্ড এলাকা নিয়ে গঠিত। এখানে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক এ কে এম ফজলুল হক মিলন। তিনি এর আগেও এখান থেকে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন।
এই আসনে জামায়াতের ঘোষিত প্রার্থী গাজীপুর মহানগর শাখার নায়েবে আমির ও কালীগঞ্জ ফোরামের সভাপতি খায়রুল হাসান। তিনি জামায়াতের কেন্দ্রীয় মজলিশের শুরার সদস্য। তিনি নেতা-কর্মীদের সঙ্গে এলাকায় ব্যাপক প্রচার ও গণসংযোগ করছেন।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সম্ভাব্য প্রার্থী মাওলানা গাজী আতাউর রহমান। এ ছাড়া এনসিপির পক্ষ থেকে নির্বাচনী প্রচার চালাচ্ছেন এম এম শোয়াইব।
ফজলুল হক মিলন বলেন, ‘আমি উন্নয়নের রাজনীতিতে বিশ্বাস করি। কালীগঞ্জবাসী আমাকে আগেও যেভাবে ভালোবেসেছেন, এবারও তেমন সাড়া দিচ্ছেন।’
গাজীপুর-৬ আসন
আসনটি নতুন। জনসংখ্যার অনুপাত বিবেচনায় সম্প্রতি এটি বাড়ানো হয়েছে। আসনটি গাজীপুর মহানগরীর ৩১ নম্বর ওয়ার্ড থেকে ৩৯ নম্বর এবং ৪৩ নম্বর থেকে ৫৭ নম্বর ওয়ার্ড (টঙ্গী পূর্ব ও টঙ্গী পশ্চিম থানা এবং পুবাইল থানা) এলাকা নিয়ে গঠিত।
এখানে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য, শ্রমিকনেতা ও বীর মুক্তিযোদ্ধা হাসান উদ্দিন সরকার। তিনি সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এবং টঙ্গী পৌরসভার প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান। এখানে বিএনপির অন্য মনোনয়নপ্রত্যাশীরা হলেন জাতীয় শ্রমিক দলের কার্যকরী সভাপতি সালাউদ্দিন সরকার, টঙ্গী পূর্ব থানা বিএনপির সভাপতি সরকার জাবেদ আহাম্মেদ সুমন ও সাধারণ সম্পাদক গাজী সালাউদ্দিন।
জামায়াতে ইসলামীর সম্ভাব্য প্রার্থী দলের তুরস্ক শাখার সভাপতি ড. হাফিজুর রহমান। এখানে গণঅধিকার পরিষদের প্রার্থী হতে পারেন আব্দুর রহমান ও ইসলামী আন্দোলনের সম্ভাব্য প্রার্থী এম এ হানিফ সরকার। এনসিপির একক প্রার্থী হতে পারেন নাবীল ইউসুফ।
হাসান উদ্দিন সরকার বলেন, ‘গাজীপুর-৬ বিএনপির দুর্গ হবে। ৩১ দফার বাস্তবায়ন ও শ্রমিকদের অধিকার রক্ষাই আমার লক্ষ্য।’
নাবীল ইউসুফ বলেন, ‘গাজীপুর-৬-কে আমি একটি মডেল আসন হিসেবে গড়ে তুলতে চাই—যেখানে থাকবে আধুনিক অবকাঠামো, মাদকমুক্ত সমাজ ও নিরাপদ শহর।’
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে রাস উৎসবে দোহার নৃত্য শেষে হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন শিল্পী অবসরপ্রাপ্ত উপসহকারী কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা পূর্ণচন্দ্র সিনহা (৬০)। গতকাল মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে উপজেলার মাধবপুর শিববাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
০৯ নভেম্বর ২০২২সুনামগঞ্জের যাদুকাটা নদীতে চলছে বালু লুটের মহোৎসব। অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের ফলে হুমকির মুখে রয়েছে নদীর তীরবর্তী বসতবাড়ি ও কৃষিজমি থেকে শুরু করে রাস্তাঘাট, ৮৬ কোটি টাকার আরেফিন-অদ্বৈত মৈত্রী সেতু এবং ঐতিহ্যবাহী অদ্বৈত মন্দিরের মতো স্থাপনা।
২ মিনিট আগেচট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সারিবদ্ধ আটটি কফিন। প্রতিটিতে শায়িত একেকজন প্রবাসী। কিছুদিন আগেই তাঁরা হাসিমুখে বিদেশে পাড়ি দিয়েছিলেন। সন্তানের কপালে চুমু দিয়ে, স্ত্রীকে সন্তানের দায়িত্ব বুঝিয়ে দিয়ে দেশ ছেড়েছিলেন। মা-বাবার কাছে আরজি ছিল, ‘নিজের খেয়াল রেখো।’ কিন্তু আজ তাঁরা নিথর।
৫ মিনিট আগেপুরান ঢাকার আরমানি টোলায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী মো. জুবায়েদ হোসেনকে হত্যার ঘটনায় তাঁর ছাত্রীকে আটক করেছে পুলিশ। রোববার (১৯ অক্টোবর) রাত ১১টা ২০ মিনিটের দিকে বংশালের নূর বক্স রোডে রৌশান ভিলা থেকে ওই ছাত্রীকে (এইচএসসি শিক্ষার্থী) আটক করে নিয়ে যায় পুলিশ। জুবায়েদ তাকে বাসায় গিয়ে পড়াতেন
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
পুরান ঢাকার আরমানি টোলায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী মো. জুবায়েদ হোসেনকে হত্যার ঘটনায় তাঁর ছাত্রীকে আটক করেছে পুলিশ। রোববার (১৯ অক্টোবর) রাত ১১টা ২০ মিনিটের দিকে বংশালের নূর বক্স রোডে রৌশান ভিলা থেকে ওই ছাত্রীকে (এইচএসসি শিক্ষার্থী) আটক করে নিয়ে যায় পুলিশ। জুবায়েদ তাকে বাসায় গিয়ে পড়াতেন।
ডিএমপির লালবাগ বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মল্লিক আহসান উদ্দিন সামী গণমাধ্যমকে বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে ছাত্রীকে আটক করা হয়েছে এবং বাড়ির অন্য সদস্যদেরও হেফাজতে রাখা হয়েছে। এ ছাড়া সিসিটিভির ফুটেজ দেখে ইতিমধ্যে আমরা দুজনকে শনাক্ত করতে পেরেছি। তাদের আটকের জন্য আমাদের কয়েকটি টিম মাঠে কাজ করছে। আশা করি খুব স্বল্প সময়ের মধ্যে তাদেরও আটক করতে সক্ষম হব। এখন এর বেশি কিছু বলতে পারছি না।’
এর আগে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে জুবায়েদ যে বাড়িতে টিউশনি করতেন, সেই বাড়ির সিঁড়িতেই তাঁর রক্তাক্ত লাশ পাওয়া যায়। এর দেড় ঘণ্টা পর বিষয়টি জানাজানি হলে পুলিশ ওই বাসাটি ঘিরে রাখে। দীর্ঘ সাড়ে ছয় ঘণ্টা ধরে ঘটনাস্থলে পুলিশ ও পিবিআই তদন্ত করে প্রাথমিক আলামত সংগ্রহ করে। পরে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মিটফোর্ড হাসপাতালে পাঠায় পুলিশ।
এদিকে, জুবায়েদ হত্যার প্রতিবাদে তাঁতীবাজার মোড়ে বংশাল থানার সামনে রাস্তা অবরোধ করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করছেন বলে জানা গেছে। সর্বশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত তারা বংশাল থানার সামনের রাস্তা অবরোধ করে রেখেছেন।
উল্লেখ্য, নিহত জুবায়েদ হোসেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৯-২০ সেশনের ১৫তম ব্যাচের পরিসংখ্যান বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী এবং শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ছিলেন।
পুরান ঢাকার আরমানি টোলায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী মো. জুবায়েদ হোসেনকে হত্যার ঘটনায় তাঁর ছাত্রীকে আটক করেছে পুলিশ। রোববার (১৯ অক্টোবর) রাত ১১টা ২০ মিনিটের দিকে বংশালের নূর বক্স রোডে রৌশান ভিলা থেকে ওই ছাত্রীকে (এইচএসসি শিক্ষার্থী) আটক করে নিয়ে যায় পুলিশ। জুবায়েদ তাকে বাসায় গিয়ে পড়াতেন।
ডিএমপির লালবাগ বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মল্লিক আহসান উদ্দিন সামী গণমাধ্যমকে বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে ছাত্রীকে আটক করা হয়েছে এবং বাড়ির অন্য সদস্যদেরও হেফাজতে রাখা হয়েছে। এ ছাড়া সিসিটিভির ফুটেজ দেখে ইতিমধ্যে আমরা দুজনকে শনাক্ত করতে পেরেছি। তাদের আটকের জন্য আমাদের কয়েকটি টিম মাঠে কাজ করছে। আশা করি খুব স্বল্প সময়ের মধ্যে তাদেরও আটক করতে সক্ষম হব। এখন এর বেশি কিছু বলতে পারছি না।’
এর আগে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে জুবায়েদ যে বাড়িতে টিউশনি করতেন, সেই বাড়ির সিঁড়িতেই তাঁর রক্তাক্ত লাশ পাওয়া যায়। এর দেড় ঘণ্টা পর বিষয়টি জানাজানি হলে পুলিশ ওই বাসাটি ঘিরে রাখে। দীর্ঘ সাড়ে ছয় ঘণ্টা ধরে ঘটনাস্থলে পুলিশ ও পিবিআই তদন্ত করে প্রাথমিক আলামত সংগ্রহ করে। পরে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মিটফোর্ড হাসপাতালে পাঠায় পুলিশ।
এদিকে, জুবায়েদ হত্যার প্রতিবাদে তাঁতীবাজার মোড়ে বংশাল থানার সামনে রাস্তা অবরোধ করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করছেন বলে জানা গেছে। সর্বশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত তারা বংশাল থানার সামনের রাস্তা অবরোধ করে রেখেছেন।
উল্লেখ্য, নিহত জুবায়েদ হোসেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৯-২০ সেশনের ১৫তম ব্যাচের পরিসংখ্যান বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী এবং শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ছিলেন।
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে রাস উৎসবে দোহার নৃত্য শেষে হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন শিল্পী অবসরপ্রাপ্ত উপসহকারী কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা পূর্ণচন্দ্র সিনহা (৬০)। গতকাল মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে উপজেলার মাধবপুর শিববাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
০৯ নভেম্বর ২০২২সুনামগঞ্জের যাদুকাটা নদীতে চলছে বালু লুটের মহোৎসব। অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের ফলে হুমকির মুখে রয়েছে নদীর তীরবর্তী বসতবাড়ি ও কৃষিজমি থেকে শুরু করে রাস্তাঘাট, ৮৬ কোটি টাকার আরেফিন-অদ্বৈত মৈত্রী সেতু এবং ঐতিহ্যবাহী অদ্বৈত মন্দিরের মতো স্থাপনা।
২ মিনিট আগেচট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সারিবদ্ধ আটটি কফিন। প্রতিটিতে শায়িত একেকজন প্রবাসী। কিছুদিন আগেই তাঁরা হাসিমুখে বিদেশে পাড়ি দিয়েছিলেন। সন্তানের কপালে চুমু দিয়ে, স্ত্রীকে সন্তানের দায়িত্ব বুঝিয়ে দিয়ে দেশ ছেড়েছিলেন। মা-বাবার কাছে আরজি ছিল, ‘নিজের খেয়াল রেখো।’ কিন্তু আজ তাঁরা নিথর।
৫ মিনিট আগেদেশের রাজনীতিতে রাজধানী-লাগোয়া শিল্পনগরী গাজীপুর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে ইতিমধ্যে পুরো জেলায় বইছে নির্বাচনী হাওয়া। তফসিল ঘোষণার আগেই গাজীপুরের মাঠে নেমে পড়েছেন বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, এনসিপি, গণঅধিকার পরিষদসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের
৮ মিনিট আগে