Ajker Patrika

২০২২–২৩ অর্থবছর: ৩৯ কোটির গরিবের কম্বলে ব্যাপক দুর্নীতি

  • দরিদ্র মানুষকে দেওয়ার জন্য ৬ লাখ ২১ হাজার ১৯১টি কম্বল কেনা হয়
  • এসব কম্বলের দাম ধরা হয় ৩৮ কোটি ৭৬ লাখ ২১ হাজার ৯৯২ টাকা
  • দেড় কেজি ওজনের কথা বলা হলেও পাওয়া গেছে এক কেজির কম্বল
অরূপ রায়, সাভার 
২০২২–২৩ অর্থবছর: ৩৯ কোটির গরিবের কম্বলে ব্যাপক দুর্নীতি

বছর দুয়েক আগে ত্রাণ হিসেবে একটি কম্বল পেয়েছিলেন মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার রাধানগর গ্রামের নিত্য সূত্রধর। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার দপ্তর হয়ে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে তাঁর হাতে গিয়ে পৌঁছায় কম্বলটি। মন্ত্রণালয়ের ক্রয়সংক্রান্ত নথিতে কম্বলটির যে ওজন, আকার ও মূল্য দেখানো হয়েছে, বাস্তবতার সঙ্গে তার কোনো মিল পাওয়া যায়নি।

নিত্য সূত্রধর ত্রাণ হিসেবে কম্বলটি পাওয়ার দুদিন পর এর পরিমাপ করা হয়। এতে দেখা যায় ওজন ১ কেজি; আর ৬ ফুট লম্বা ও ৫ ফুট চওড়া। কিন্তু দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে কম্বলটির ওজন দেখানো হয়েছে ১ কেজি ৫০০ গ্রাম। আকার দেখানো হয়েছে ৭ ফুট ১ ইঞ্চি লম্বা আর ৬ ফুট ১ ইঞ্চি চওড়া। ক্রয়মূল্য দেখানো হয়েছে ৬২৫ টাকা। আর নিত্য সূত্রধরকে দেওয়া কম্বলটির বাজারমূল্য ২৫০ থেকে ৩০০ টাকার বেশি নয় বলে তাঁর দাবি।

এভাবে আকার, ওজন ও দামে হেরফের করে ২০২২-২৩ অর্থবছরে ৬ লাখ ২১ হাজার ১৯১টি কম্বল ক্রয়ে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির তথ্য পাওয়া গেছে। তথ্য অধিকার আইনে করা আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে সরবরাহ করা ২০২২-২৩ অর্থবছরের কম্বল ক্রয়সংক্রান্ত নথি সূত্রে এসব ধরা পড়ে।

মন্ত্রণালয়ের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, ২০২২-২৩ অর্থবছরে দেশের ৬ লাখ ২১ হাজার ১৯১ জন দরিদ্র মানুষের জন্য তিন ধাপে ৬ লাখ ২১ হাজার ১৯১টি কম্বল কেনা হয়েছিল। এর ক্রয়মূল্য দেখানো হয়েছে ৩৮ কোটি ৭৬ লাখ ২১ হাজার ৯৯২ টাকা। ওই টাকায় প্রথম ধাপে প্রতিটি কম্বলের ক্রয়মূল্য দেখানো হয় ৬৩২ টাকা, দ্বিতীয় ধাপে ৬১৮ এবং তৃতীয় ধাপে ৬২৫ টাকা।

রাজধানীর তোপখানা রোডের কম্পিউটার ওয়ার্ল্ড বিডি, বনানীর সাউথ বেঙ্গল ইন্টারন্যাশনাল ট্রেডিং এবং দিলকুশার এশিয়ান টেক্সটাইল মিলস নামের প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে এসব কম্বল কেনা হয়েছিল বলে সরবরাহ করা তথ্যে উল্লেখ করা হয়।

ত্রাণ হিসেবে কম্বল পাওয়া ব্যক্তি নিত্য সূত্রধর বলেন, ‘আমারে যে কম্বল দিচে (দিয়েছে), তার দাম ৩০০ টাকার ওপরে না। আমাগো বাজারে একই রকম ও একই ওজনের কম্বল বিক্রি হইতাছে (হচ্ছে) ২৫০-৩০০ টাকা কইরা।’

ত্রাণ হিসেবে গত বছর ও তাঁর আগের বছরের শীতে দুটি কম্বল পেয়েছেন রাধানগর গ্রামের খগেন্দ্র সূত্রধর। তাঁর একটি কম্বলের ওজন ২৫০ গ্রাম এবং অপরটির ওজন ১ কেজি। আকারেও বেশ ছোট।

জানতে চাইলে খগেন্দ্র সূত্রধর বলেন, ‘সরকার যে কম্বল আমাগো দিচে (দিয়েছে), তা নামেই কম্বল। এই কম্বলে শীত মানে না। বাজারে ৬০০-৭০০ টাকায় যে কম্বল পাওয়া যায়, তা সাইজেও বড়, মুটা আর গরম।’

সাভারের আশুলিয়ার জামগড়া এলাকার মকবুল হোসেন বলেন, ‘শীতে সরকারিভাবে যে কম্বল দেওয়া হয়, তা খুবই নিম্নমানের। গত বছর ৫০০ টাকা থেকে ৭০০ টাকায় যে কম্বল বিক্রি হয়েছে, তা সরকারি কম্বলের চেয়ে অনেক ভালো।’

এ বিষয়ে কথা বলার জন্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক রেজওয়ানুর রহমানের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘আমি এখন ব্যস্ত আছি, এ বিষয়ে পরে কথা বলব।’

আর দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. কামরুল হাসানের মোবাইল ফোনে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি তা ধরেননি। পরে ল্যান্ড ফোনে কল দিলে ব্যস্ততার কারণ দেখিয়ে তাঁর সহকারী কথা বলার সুযোগ দেননি।

প্রসঙ্গত, তথ্য অধিকার আইনে ২০২৩ সালের ২৬ মার্চ আজকের পত্রিকার পক্ষ থেকে করা এক আবেদনে দরিদ্র মানুষের মধ্যে বিতরণের জন্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের ২০২১-২২ ও ২০২২-২৩ অর্থবছরের কম্বল ক্রয়সংক্রান্ত তথ্য চাওয়া হয়েছিল। আবেদন করে তথ্য না পেয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে আপিল ও তথ্য কমিশনে অভিযোগ করা হয়। পরে তথ্য কমিশনের আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে প্রায় এক বছর পর ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে তথ্য সরবরাহ করা হয়।

সরবরাহ করা তথ্যে ২০২২-২৩ অর্থবছরের কম্বল ক্রয়সংক্রান্ত তথ্য থাকলেও ২০২১-২২ অর্থবছরের কোনো তথ্য ছিল না। ২০২১-২২ অর্থবছরে সরাসরি মন্ত্রণালয় থেকে কম্বল না কিনে স্থানীয়ভাবে কম্বল কেনার জন্য জেলায় জেলায় অর্থ বরাদ্দ দেওয়ার কথা জানানো হয়। কিন্তু কী পরিমাণ অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল, তার কোনো উল্লেখ নেই সরবরাহ করা তথ্যে।

পরে স্থানীয়ভাবে কম্বল কেনার তথ্য সংগ্রহের জন্য তথ্য অধিকার আইনে ঢাকার সাভার, ধামরাই এবং মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া ও শিবালয় উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয়ে তথ্য চেয়ে পৃথক আবেদন করা হয়। কিন্তু ওই সব দপ্তর থেকে কোনো তথ্য সরবরাহ করা হয়নি।

আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ধামরাই উপজেলার তখনকার প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা এ কে এম মমিনুল হক ২০২৩ সালের ৩০ আগস্ট এক পত্রে ২০১৮-১৯ অর্থবছর থেকে কম্বল ক্রয় বা বিতরণসংক্রান্ত কোনো তথ্য তাঁর কার্যালয়ে সংরক্ষিত নেই বলে জানান। আর অন্যরা কৌশলে বিষয়টি এড়িয়ে যান।

কম্বল ক্রয় বা বিতরণসংক্রান্ত কোনো তথ্য অফিসে সংরক্ষিত না থাকার কারণ জানতে চাইলে ধামরাই উপজেলার তৎকালীন প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা এ কে এম মমিনুল হক বলেছিলেন, ‘নেই, কিন্তু কেন নেই, তা আমার জানা নেই।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

চায়ের দোকান ভেঙে খাদে পড়ল মাইক্রোবাস

ঝালকাঠি প্রতিনিধি  
রাস্তার পাশে চায়ের দোকান ভেঙে খাদে পড়ে যায় মাইক্রোবাস। ছবি: আজকের পত্রিকা
রাস্তার পাশে চায়ের দোকান ভেঙে খাদে পড়ে যায় মাইক্রোবাস। ছবি: আজকের পত্রিকা

ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার একটি মাইক্রোবাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশের চায়ের দোকান ভেঙে খাদে পড়েছে। এই ঘটনায় অন্তত আটজন আহত হয়েছে। আজ বুধবার (২৯ অক্টোবর) সকালে বরিশাল-পটুয়াখালী মহাসড়কের দপদপিয়া জিরো পয়েন্ট এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, বরিশাল থেকে পটুয়াখালীগামী একটি মাইক্রোবাস দপদপিয়া জিরো পয়েন্ট এলাকায় পৌঁছালে চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন। এ সময় সড়কের পাশে দোকানে চা পানরত কয়েকজনকে চাপা দিয়ে মাইক্রোবাসটি খাদে পড়ে যায়। এতে দোকানের ক্রেতা ও মাইক্রোবাসের যাত্রীসহ আটজন আহত হন।

আহত ব্যক্তিদের মধ্যে গুরুতর অবস্থায় তিনজনকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তারা হলেন ভরতকাঠি এলাকার মজিদ হাওলাদার (৬০), মনির হাওলাদার (৪৫) ও হারুন (৬০)। অন্যরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মাইক্রোবাসের চালক সম্ভবত ঘুমিয়ে পড়েছিলেন, যার কারণে দুর্ঘটনাটি ঘটে।

নলছিটি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুস ছালাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, গুরুতর আহত তিনজনকে উদ্ধার করে বরিশালে পাঠানো হয়েছে। অন্যরা স্থানীয়ভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। মাইক্রোবাসটি আটক করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

রাস্তার পাশে পড়ে ছিল প্রবাসীর লাশ

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি  
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলায় সিরাজুল মণ্ডল (২৫) নামের এক প্রবাসীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ বুধবার সকালে উপজেলার কৈজুরী ইউনিয়নের পূর্ব চরকৈজুরী এলাকায় রাস্তার পাশ থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।

সিরাজুল উপজেলার গোপালপুর গ্রামের মৃত শাহাদৎ মণ্ডলের ছেলে।

মৃত ব্যক্তির ভাই আজিজুল মণ্ডল জানান, সিরাজুল দীর্ঘদিন প্রবাসে ছিলেন। সম্প্রতি দেশে ফেরেন। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর কেউ একজন তাঁকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়। এরপর তিনি আর ফেরেননি। আজ সকালে ফজরের নামাজে যাওয়ার পথে স্থানীয় মুসল্লিরা রাস্তার পাশে তাঁর লাশ দেখতে পান।

শাহজাদপুর থানার ডিউটি কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) মিজানুর রহমান লাশ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সিলেটে বিমানের ইঞ্জিনে বোর্ডিং ব্রিজের আঘাত, লন্ডন ফ্লাইট বিলম্ব

বিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা ­­
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

বোর্ডিং ব্রিজের আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি বোয়িং ৭৮৭-৮ (এস২-এজেটি) উড়োজাহাজের ইঞ্জিন। সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের বে-৩ নম্বরে লন্ডনগামী ফ্লাইটে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ কারণে উড়োজাহাজটি বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে এবং নির্ধারিত লন্ডন ফ্লাইট বিলম্বিত হয়েছে।

এদিকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের পক্ষ থেকে যাত্রীদের গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়ার জন্য বিকল্প উড়োজাহাজ প্রস্তুত করা হচ্ছে। পরিস্থিতি ও সম্ভাব্য প্রভাব বিবেচনা করে ফ্লাইট পরিচালনায় কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে।

সূত্র জানিয়েছে, এস২-এজেটি বিমান নির্ধারিত সময়সূচি অনুযায়ী (বিজি ৩৩৭ ফ্লাইটে এবং এস২-এজেটি বিমান বিজি ১২৫) ফ্লাইটে নিয়োজিত থাকবে। তবে বিজি ৩০৫ (টরন্টো) ফ্লাইট প্রায় ২ ঘণ্টা এবং বিজি ৩৪৭ (দুবাই) ফ্লাইট প্রায় ১ ঘণ্টা ৪৫ মিনিট বিলম্বে ছেড়ে যাবে।

বিমান কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, যাত্রীদের নিরাপত্তা ও সময়ানুবর্তিতা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ বিমানের মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) বোসরা ইসলাম জানান, বোর্ডিং ব্রিজটি গিয়ে উড়োজাহাজটির ইঞ্জিনের পাশে ধাক্কা লাগে। এতে উড়োজাহাজটি কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ঢাকা থেকে আরেকটি উড়োজাহাজ সিলেটে পাঠানো হয়েছে। দুপুর আড়াইটায় যাত্রীদের নিয়ে লন্ডনের উদ্দেশে ছেড়ে যাবে।

বোসরা আরও বলেন, উড়োজাহাজটির কী পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে এবং এ ঘটনার জন্য কারা দায়ী, সে বিষয়ে তদন্ত করার পরই বলা যাবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ধানখেতে ইঁদুর মারার বৈদ্যুতিক ফাঁদে প্রাণ গেল শিশুর

আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি 
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

বরগুনার তালতলী উপজেলায় ধানখেতে ইঁদুর মারার বৈদ্যুতিক ফাঁদে জড়িয়ে মো. ইমরান (৮) নামের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। আজ বুধবার সকালে উপজেলার বড়বগী ইউনিয়নের বড় ভাইজোড়া গ্রামে এই দুর্ঘটনা ঘটে।

মৃত ইমরান বড় ভাইজোড়া গ্রামের মো. সোহেল ফকিরের ছেলে। সে হরিণবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ত।

স্থানীয় লোকজন জানায়, উপজেলার বড় ভাইজোড়া গ্রামের আবু সালেহ আকন ধান চাষ করেন। তিনি ধানখেতে ইঁদুর মারার জন্য পার্শ্ববর্তী মসজিদ থেকে অবৈধভাবে বিদ্যুৎ-সংযোগ ব্যবহার করে বৈদ্যুতিক ফাঁদ পেতে রাখেন। আজ সকাল ৭টার দিকে ইমরান তার মা রিপা বেগমের সঙ্গে ধানখেতে ছাগলের জন্য ঘাস কাটতে যায়। ওই সময় ইমরান ধানখেতে পাতা বৈদ্যুতিক ফাঁদে জড়িয়ে বিদ্যুতায়িত হয়। স্বজনেরা তাকে উদ্ধার করে তালতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

তালতলী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক মাহফুজা আক্তার বলেন, হাসপাতালে নিয়ে আসার আগে শিশুটি মারা গেছে।

তালতলী পল্লী বিদ্যুৎ উপ-স্টেশনের সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) মো. ইমরান শেখ বলেন, মসজিদ থেকে বিদ্যুৎ-সংযোগ ব্যবহার করে ধানখেতে নেওয়া সম্পূর্ণভাবে অবৈধ। বিষয়টি তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তালতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহজালাল বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত