ফয়সাল পারভেজ, মাগুরা
কেউ দখল করেছেন নদীর পাড়, কেউবা নদীর সীমানায় নির্মাণ করেছেন দালান। এমনকি পুরোনো সেতুর পাশ দখলে নিয়েছেন প্রভাবশালীরা। স্থাপনা নির্মাণ করে ভাড়া দেওয়া হয়েছে খাবারের হোটেল, দোকানপাট হিসেবে। শুধু তা-ই নয়, নদীতে ফেলা হচ্ছে বাসাবাড়ির ময়লাও। এভাবেই দখল ও দূষণে মাগুরার নবগঙ্গা নদী এখন মরা খালে পরিণত হয়েছে। দখলদারদের তালিকা প্রশাসনের কাছে থাকলেও নবগঙ্গা রক্ষায় নীরব ভূমিকায় রয়েছে সংশ্লিষ্টরা।
সরেজমিনে জানা গেছে, নদীর পাড় দখল করে বেশির ভাগ দখলদার বানিয়েছে দোকানপাট। রয়েছে পাকা কয়েক তলা ভবন, ধর্মীয় উপাসনালয়। বেশির ভাগ দখলদারই স্থানীয় প্রভাবশালী। বিগত সরকারের আমলের নেতা-কর্মী কেউবা অনুসারী, না হয় সমাজসেবক। অভিযোগ রয়েছে, বছরের পর বছর প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই এ দখল চলছে।
মাগুরা পৌর ভূমি কার্যালয় থেকে পাওয়া তথ্যমতে, নবগঙ্গা নদীর শহরের অংশে শতাধিক দখলদার রয়েছে। ইতিমধ্যে দখলদারদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনার জন্য সুপারিশও রয়েছে ওপর মহলের। তবে এ ব্যবস্থার কথায় চিঠি চালাচালি হলেও কার্যত বাস্তবে দখলমুক্ত হয়নি নবগঙ্গা।
মাগুরা শহরের ঢাকা রোড এলাকায় নবগঙ্গার ওপর নির্মিত লাল সেতুর দক্ষিণ দিকে ৩ মিটার দূরত্বে নদীর জমিতে ব্যবসা চালাচ্ছেন রজব আলী মজনু। জেলা প্রশাসনের দখল তালিকায় তাঁর নাম প্রথমে রয়েছে। রজব মাগুরা-১ আসনের আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য সাইফুজ্জামান শিখরের স্বজন বলে পরিচিত।
দখলের জায়গায় একটি খাবারের দোকান ভাড়া দিয়েছেন রজব। মহাসড়কের পাশে প্রকাশ্যে নদী দখল করে আবার সাইনবোর্ড লাগিয়েছেন তিনিই ক্রয়সূত্রে মালিক। এ নিয়ে একটি মামলা চলমান ছিল বলে মাগুরা পানি উন্নয়ন বোর্ড থেকে জানা গেছে। এ বিষয়ে রজবের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
জেলা শহরের প্রাণকেন্দ্র দিয়ে নদীটি যাওয়ায় এর পাড় দখল করে নিয়েছেন প্রভাবশালীরা। সেই সঙ্গে নানা সংগঠনের ব্যানারেও নদীপাড়ের জমি ইজারা দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।
দখলের আরও অভিযোগ উঠেছে মাগুরার পুরোনো বাজার নদীসংলগ্ন পাড় এলাকা থেকে পৌরসভার শেষ সীমানা শীবরামপুর পর্যন্ত। বিশেষ করে মাগুরার নতুন বাজার নদীসংলগ্ন পাড় দখল করে গড়ে উঠেছে বেশ কিছু বাড়িঘর ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. মাহবুবুল হক জানান, তালিকা রয়েছে অনেক আগে থেকেই। এগুলো যাচাই-বাছাই করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কোনো সুপারিশ গ্রহণ করা হবে না বলেও তিনি জানান।
জেলা প্রশাসক মো. অহিদুল ইসলাম জানান, ‘অবৈধ দখল নিয়ে আমরা কাজ করছি। আমরা প্রশাসনের সবাইকে নিয়ে একটি তালিকা পেয়েছি। এটা নিয়ে আমরা দখলমুক্ত করতে মাঠে নামব। তবে নদী পুরোপুরি দখলমুক্ত করতে না পারলেও কিছু কাজ করার চেষ্টা থাকবে। এ জন্য জেলার সব সচেতন ব্যক্তিকেও সজাগ থাকতে হবে। সরকারি কোনো জায়গা আসলে দখল করা আইনগত অপরাধ। এ নিয়ে সবাই সজাগ হলে এসব দখল কমে যাবে।’
কেউ দখল করেছেন নদীর পাড়, কেউবা নদীর সীমানায় নির্মাণ করেছেন দালান। এমনকি পুরোনো সেতুর পাশ দখলে নিয়েছেন প্রভাবশালীরা। স্থাপনা নির্মাণ করে ভাড়া দেওয়া হয়েছে খাবারের হোটেল, দোকানপাট হিসেবে। শুধু তা-ই নয়, নদীতে ফেলা হচ্ছে বাসাবাড়ির ময়লাও। এভাবেই দখল ও দূষণে মাগুরার নবগঙ্গা নদী এখন মরা খালে পরিণত হয়েছে। দখলদারদের তালিকা প্রশাসনের কাছে থাকলেও নবগঙ্গা রক্ষায় নীরব ভূমিকায় রয়েছে সংশ্লিষ্টরা।
সরেজমিনে জানা গেছে, নদীর পাড় দখল করে বেশির ভাগ দখলদার বানিয়েছে দোকানপাট। রয়েছে পাকা কয়েক তলা ভবন, ধর্মীয় উপাসনালয়। বেশির ভাগ দখলদারই স্থানীয় প্রভাবশালী। বিগত সরকারের আমলের নেতা-কর্মী কেউবা অনুসারী, না হয় সমাজসেবক। অভিযোগ রয়েছে, বছরের পর বছর প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই এ দখল চলছে।
মাগুরা পৌর ভূমি কার্যালয় থেকে পাওয়া তথ্যমতে, নবগঙ্গা নদীর শহরের অংশে শতাধিক দখলদার রয়েছে। ইতিমধ্যে দখলদারদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনার জন্য সুপারিশও রয়েছে ওপর মহলের। তবে এ ব্যবস্থার কথায় চিঠি চালাচালি হলেও কার্যত বাস্তবে দখলমুক্ত হয়নি নবগঙ্গা।
মাগুরা শহরের ঢাকা রোড এলাকায় নবগঙ্গার ওপর নির্মিত লাল সেতুর দক্ষিণ দিকে ৩ মিটার দূরত্বে নদীর জমিতে ব্যবসা চালাচ্ছেন রজব আলী মজনু। জেলা প্রশাসনের দখল তালিকায় তাঁর নাম প্রথমে রয়েছে। রজব মাগুরা-১ আসনের আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য সাইফুজ্জামান শিখরের স্বজন বলে পরিচিত।
দখলের জায়গায় একটি খাবারের দোকান ভাড়া দিয়েছেন রজব। মহাসড়কের পাশে প্রকাশ্যে নদী দখল করে আবার সাইনবোর্ড লাগিয়েছেন তিনিই ক্রয়সূত্রে মালিক। এ নিয়ে একটি মামলা চলমান ছিল বলে মাগুরা পানি উন্নয়ন বোর্ড থেকে জানা গেছে। এ বিষয়ে রজবের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
জেলা শহরের প্রাণকেন্দ্র দিয়ে নদীটি যাওয়ায় এর পাড় দখল করে নিয়েছেন প্রভাবশালীরা। সেই সঙ্গে নানা সংগঠনের ব্যানারেও নদীপাড়ের জমি ইজারা দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।
দখলের আরও অভিযোগ উঠেছে মাগুরার পুরোনো বাজার নদীসংলগ্ন পাড় এলাকা থেকে পৌরসভার শেষ সীমানা শীবরামপুর পর্যন্ত। বিশেষ করে মাগুরার নতুন বাজার নদীসংলগ্ন পাড় দখল করে গড়ে উঠেছে বেশ কিছু বাড়িঘর ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. মাহবুবুল হক জানান, তালিকা রয়েছে অনেক আগে থেকেই। এগুলো যাচাই-বাছাই করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কোনো সুপারিশ গ্রহণ করা হবে না বলেও তিনি জানান।
জেলা প্রশাসক মো. অহিদুল ইসলাম জানান, ‘অবৈধ দখল নিয়ে আমরা কাজ করছি। আমরা প্রশাসনের সবাইকে নিয়ে একটি তালিকা পেয়েছি। এটা নিয়ে আমরা দখলমুক্ত করতে মাঠে নামব। তবে নদী পুরোপুরি দখলমুক্ত করতে না পারলেও কিছু কাজ করার চেষ্টা থাকবে। এ জন্য জেলার সব সচেতন ব্যক্তিকেও সজাগ থাকতে হবে। সরকারি কোনো জায়গা আসলে দখল করা আইনগত অপরাধ। এ নিয়ে সবাই সজাগ হলে এসব দখল কমে যাবে।’
দেশের দ্বিতীয় স্থলবন্দর হিসেবে পরিচিত হিলি। এই বন্দর এলাকায় অবস্থিত হাকিমপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। স্থলবন্দর ও উপজেলার লক্ষাধিক মানুষের চিকিৎসাসেবার একমাত্র ভরসা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি। তবে নানা কারণে বরাবরই মুখ থুবড়ে পড়ে আছে এটি। উন্নতমানের অপারেশন থিয়েটার থাকলেও চিকিৎসকের সংকটে আজও চালু হয়নি
৫ মিনিট আগেচট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচনে অবশেষে ১০টি প্যানেল ঘোষণা করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার ছাত্রদল, বাম ছাত্রসংগঠন ও ছাত্রশিবিরসহ বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে এসব প্যানেল ঘোষণা করা হয়। তবে এই নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন না বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের চবির তিন আলোচিত সমন্বয়ক।
৮ ঘণ্টা আগেআমনের ভরা মৌসুমে কুড়িগ্রামের কয়েকটি স্থানে সারসংকটের অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ করছেন কৃষকেরা। তাঁদের অভিযোগ, ডাই-অ্যামোনিয়াম ফসফেট (ডিএপি) এবং ইউরিয়া সারের জন্য ডিলার পয়েন্ট ও খুচরা বিক্রেতাদের কাছে গিয়ে শূন্য হাতে ফিরছেন তাঁরা। এতে করে আমন খেতসহ রবিশস্যের আগাম আবাদ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
৮ ঘণ্টা আগেভারতের আসাম থেকে কয়েক শ বছর আগে বাংলাদেশে এসে বসতি গড়ে খাসিয়া উপজাতির মানুষ। বসবাসের জন্য সিলেটের পাহাড়ি এলাকায় বন বিভাগের জমিতে নির্মাণ করে বসতঘর। তাদের পাড়াগুলো পুঞ্জি হিসেবে পরিচিত। মৌলভীবাজার জেলার ৭ উপজেলায় এমন ৬১টি পুঞ্জি রয়েছে খাসিয়াদের।
৮ ঘণ্টা আগে