মাদারীপুর প্রতিনিধি

টগবগে যুবক রাকিব মহাজন। দালালদের খপ্পরে পড়ে ২০ বছর বয়সে বাড়ি থেকে বের হন ইউরোপের দেশ ইতালি যাবেন বলে। এ জন্য দালালকে দিতে হয়েছে ২৭ লাখ টাকা। কিন্তু তিন বছরেও পৌঁছাতে পারেননি ইতালি। লিবিয়ায় নিয়ে জিম্মি করা হয় তাঁকে। নির্যাতন করে পরিবারের কাছ থেকে নেওয়া হয় আরও ১৮ লাখ টাকা। এরপরও মুক্তি মেলেনি রাকিবের। গত বুধবার রাতে তাঁর চিরমুক্তির খবর পায় পরিবার।
রাকিব মহাজন মাদারীপুর সদরের খোয়াজপুর ইউনিয়নের পখিরা গ্রামের নাজিম উদ্দিন মহাজনের ছেলে। একই উপজেলার দালাল জাহাঙ্গীর মৃধার খপ্পরে পড়েন রাকিব। জাহাঙ্গীর তাঁর ভায়েরা শরীয়তপুরের পালং উপজেলার ধানুকা ইউনিয়নের ছোট বিনোদপুর গ্রামের সোহাগ মাতুব্বরের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন রাকিবের। সোহাগ মাতুব্বরের সঙ্গে ২৭ লাখ টাকায় ইতালি পৌঁছে দেওয়ার চুক্তি হয়। তিন বছর আগে পুরো টাকা দিয়ে ইতালির উদ্দেশে বাড়ি থেকে বের হন রাকিব। লিবিয়ায় নিয়ে তাঁকে জিম্মি করা হয়।
আরও টাকার জন্য নির্যাতন চালাতে থাকে দালাল সোহাগ মাতুব্বর ও তাঁর লোকজন। কোনো উপায় না পেয়ে রাকিবের বাবা নাজিম উদ্দিন ধারদেনা করে ৫ লাখ টাকা দেন। তাতেও কোনো কাজ হয়নি। চলতে থাকে নির্যাতন।
দুই বছর চার মাস পর আরেক দালাল সদরের ঝাউদি ইউনিয়নের ব্রাহ্মন্দী গ্রামের মাজেদ খলিফার কাছে যান নাজিম উদ্দিন। তাঁকেও ১৫ লাখ টাকা দেন। তবুও মুক্তি মেলেনি রাকিবের। নির্যাতনের একপর্যায়ে গত মঙ্গলবার রাকিব গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে সেখানকার একটি হাসপাতালে নেওয়ার পর মারা যান। পরদিন বুধবার রাতে রাকিবের মৃত্যুর খবর তাঁর পরিবারকে জানান দালাল মাজেদ খলিফা। তাঁর মৃত্যুর সংবাদে শোকের ছায়া নেমে আসে পরিবারে।
রাকিবের বাবা নাজিম উদ্দিন মহাজন বলেন, ‘দফায় দফায় টাকা দিয়ে আমি সর্বস্বান্ত হয়ে গেছি। এ পর্যন্ত সোহাগ আর মাজেদকে ৪৫ লাখ টাকা দিয়েছি। তারপরও ছেলের মৃত্যুর খবর শুনতে হলো। আমার ছেলেকে না খাইয়ে ও নির্যাতন করে মেরে ফেলেছে। কয়েক দিন আগেও আমার ছেলে ভিডিওতে তার নির্যাতনের কথা বলেছে। এত টাকা দালালদের দিয়েও ছেলেকে বাঁচাতে পারলাম না। ছেলেকে শেষ দেখাটাও দেখতে পারব কি না জানি না।’ ছেলের লাশ দেশে আনা ও দালালদের বিচারের দাবি জানান তিনি।
দালাল জাহাঙ্গীর মৃধা বলেন, ‘সোহাগ আমার ভায়রা, তাই আমাকে জড়ানো হচ্ছে। কেউ বলতে পারবে না, আমি তাদের কাছ থেকে টাকা নিয়েছি। আর ওই ছেলে অসুস্থ হয়ে লিবিয়ায় মারা গেছে। আমার ভায়রা বরং সেখানে ট্রিটমেন্ট করেছে। এর বেশি কিছু জানি না।’ আরেক দালাল মাজেদ খলিফার বাড়িতে কাউকে পাওয়া যায়নি। তাঁর মোবাইল ফোনও বন্ধ পাওয়া গেছে।
এদিকে, মানব পাচারকারী চক্রের অন্যতম সদস্য কামাল মাতুব্বরকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে দিয়েছেন ভুক্তভোগী ও এলাকাবাসী। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে মাদারীপুর আদালত চত্বর থেকে তাঁকে আটক করা হয়। অভিযুক্ত কামাল মাতুব্বরের বাড়ি ডাসার উপজেলার পূর্ব কমলাপুর গ্রামে। তাঁর বিরুদ্ধে অর্ধশত মানুষের অভিযোগ রয়েছে।
একাধিক সূত্রে জানা গেছে, ডাসার উপজেলার উত্তর খিলগ্রামের রাজিব মাতুব্বর, নিজাম সরদার, তাইফুল, তারেক মাতুব্বরসহ একাধিক ব্যক্তিকে ইতালি নেওয়ার চুক্তি করেন কামাল। এ জন্য প্রত্যেকের কাছ থেকে নেওয়া হয় ১৩ লাখ টাকা করে। গত বছরের মার্চ মাসে সবাইকে নেওয়া হয় লিবিয়ায়। সেখানে সবাইকে বিক্রি করে দেওয়া হয় মাফিয়াদের কাছে। নির্যাতন করে প্রত্যেকের পরিবারের কাছ থেকে আদায় করা হয় লাখ লাখ টাকা। কয়েক দফা টাকা দিয়ে কেউ কেউ মুক্তি পেলেও অনেকের খোঁজও পাচ্ছে না পরিবার। তাই অভিযুক্ত কামালের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন স্বজন ও এলাকাবাসী।
ভুক্তভোগী রাজিব মাতুব্বর বলেন, ‘কামাল আমাকে ইতালি পাঠানোর প্রলোভন দেখান। তাঁর দুই ছেলে ইতালি থাকায় টাকা দেই। কিন্তু ইতালির পরিবর্তে লিবিয়ায় নিয়ে অমানবিক নির্যাতন করে লাখ লাখ আদায় করেন কামাল ও তাঁর চক্রের সদস্যরা। একপর্যায়ে একটি ছোট নৌকায় তুলে দেওয়া হয়। পরে পুলিশের হাতে ধরা পড়ে ৬ মাস জেলখানায় ছিলাম। সেখান থেকে বাংলাদেশ সরকার আমাকে ফেরত আনে। আমি কামালের বিচার চাই।’
আরেক ভুক্তভোগী তাইফুল মাতুব্বরের মা অফিয়া বেগম বলেন, ‘আমার ছেলেকে ইতালি পাঠানোর জন্য কামাল দালাল ৩০ লাখ টাকা নেয়। সেখানে ছেলেকে মাফিয়াদের কাছে বিক্রি করে দেয়। পরে মাফিয়াদের আরও ২০ লাখ টাকা দেওয়া হয়। কিন্তু এখনো আমার ছেলের কোনো সন্ধান পাচ্ছি না।’
আরেক ভুক্তভোগী তারেক মাতুব্বর বলেন, ‘গত বছরের ২৪ মার্চ কামাল মাতুব্বর আমাদের প্রথমে দুবাই নেয়। পরে সেখান থেকে লিবিয়া নিয়ে একটি ছোট্ট রুমে আটকে রাখে। ঠিকমতো খাবারও দেয়নি। মাফিয়ারা মারধর করে পরিবারকে কল দিয়ে সেই শব্দ শোনায়। পরে বাধ্য হয়ে পরিবারের লোকজন মুক্তিপণের টাকা দেয়। আমি ভাগ্যক্রমে পাঁচ মাস পর কোনোমতে দেশে ফিরে এসেছি। আমি এ ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।’
মাদারীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, কামাল মাতুব্বরের বিরুদ্ধে ডাসার থানায় মামলা করা হয়েছে। সেই মামলাটি বর্তমানে সিআইডিতে রয়েছে। তদন্তকারী কর্মকর্তা ঢাকা থেকে রওনা দিয়েছেন, তাঁর কাছে আসামিকে হস্তান্তর করা হবে। এ ছাড়া, রাকিবের ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পুলিশ সুপার মো. সাইফুজ্জামান বলেন, ‘বেশ কিছু তথ্য পেয়েছি মাদারীপুরে দালাল চক্রের বিরুদ্ধে। তদন্ত করে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

টগবগে যুবক রাকিব মহাজন। দালালদের খপ্পরে পড়ে ২০ বছর বয়সে বাড়ি থেকে বের হন ইউরোপের দেশ ইতালি যাবেন বলে। এ জন্য দালালকে দিতে হয়েছে ২৭ লাখ টাকা। কিন্তু তিন বছরেও পৌঁছাতে পারেননি ইতালি। লিবিয়ায় নিয়ে জিম্মি করা হয় তাঁকে। নির্যাতন করে পরিবারের কাছ থেকে নেওয়া হয় আরও ১৮ লাখ টাকা। এরপরও মুক্তি মেলেনি রাকিবের। গত বুধবার রাতে তাঁর চিরমুক্তির খবর পায় পরিবার।
রাকিব মহাজন মাদারীপুর সদরের খোয়াজপুর ইউনিয়নের পখিরা গ্রামের নাজিম উদ্দিন মহাজনের ছেলে। একই উপজেলার দালাল জাহাঙ্গীর মৃধার খপ্পরে পড়েন রাকিব। জাহাঙ্গীর তাঁর ভায়েরা শরীয়তপুরের পালং উপজেলার ধানুকা ইউনিয়নের ছোট বিনোদপুর গ্রামের সোহাগ মাতুব্বরের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন রাকিবের। সোহাগ মাতুব্বরের সঙ্গে ২৭ লাখ টাকায় ইতালি পৌঁছে দেওয়ার চুক্তি হয়। তিন বছর আগে পুরো টাকা দিয়ে ইতালির উদ্দেশে বাড়ি থেকে বের হন রাকিব। লিবিয়ায় নিয়ে তাঁকে জিম্মি করা হয়।
আরও টাকার জন্য নির্যাতন চালাতে থাকে দালাল সোহাগ মাতুব্বর ও তাঁর লোকজন। কোনো উপায় না পেয়ে রাকিবের বাবা নাজিম উদ্দিন ধারদেনা করে ৫ লাখ টাকা দেন। তাতেও কোনো কাজ হয়নি। চলতে থাকে নির্যাতন।
দুই বছর চার মাস পর আরেক দালাল সদরের ঝাউদি ইউনিয়নের ব্রাহ্মন্দী গ্রামের মাজেদ খলিফার কাছে যান নাজিম উদ্দিন। তাঁকেও ১৫ লাখ টাকা দেন। তবুও মুক্তি মেলেনি রাকিবের। নির্যাতনের একপর্যায়ে গত মঙ্গলবার রাকিব গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে সেখানকার একটি হাসপাতালে নেওয়ার পর মারা যান। পরদিন বুধবার রাতে রাকিবের মৃত্যুর খবর তাঁর পরিবারকে জানান দালাল মাজেদ খলিফা। তাঁর মৃত্যুর সংবাদে শোকের ছায়া নেমে আসে পরিবারে।
রাকিবের বাবা নাজিম উদ্দিন মহাজন বলেন, ‘দফায় দফায় টাকা দিয়ে আমি সর্বস্বান্ত হয়ে গেছি। এ পর্যন্ত সোহাগ আর মাজেদকে ৪৫ লাখ টাকা দিয়েছি। তারপরও ছেলের মৃত্যুর খবর শুনতে হলো। আমার ছেলেকে না খাইয়ে ও নির্যাতন করে মেরে ফেলেছে। কয়েক দিন আগেও আমার ছেলে ভিডিওতে তার নির্যাতনের কথা বলেছে। এত টাকা দালালদের দিয়েও ছেলেকে বাঁচাতে পারলাম না। ছেলেকে শেষ দেখাটাও দেখতে পারব কি না জানি না।’ ছেলের লাশ দেশে আনা ও দালালদের বিচারের দাবি জানান তিনি।
দালাল জাহাঙ্গীর মৃধা বলেন, ‘সোহাগ আমার ভায়রা, তাই আমাকে জড়ানো হচ্ছে। কেউ বলতে পারবে না, আমি তাদের কাছ থেকে টাকা নিয়েছি। আর ওই ছেলে অসুস্থ হয়ে লিবিয়ায় মারা গেছে। আমার ভায়রা বরং সেখানে ট্রিটমেন্ট করেছে। এর বেশি কিছু জানি না।’ আরেক দালাল মাজেদ খলিফার বাড়িতে কাউকে পাওয়া যায়নি। তাঁর মোবাইল ফোনও বন্ধ পাওয়া গেছে।
এদিকে, মানব পাচারকারী চক্রের অন্যতম সদস্য কামাল মাতুব্বরকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে দিয়েছেন ভুক্তভোগী ও এলাকাবাসী। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে মাদারীপুর আদালত চত্বর থেকে তাঁকে আটক করা হয়। অভিযুক্ত কামাল মাতুব্বরের বাড়ি ডাসার উপজেলার পূর্ব কমলাপুর গ্রামে। তাঁর বিরুদ্ধে অর্ধশত মানুষের অভিযোগ রয়েছে।
একাধিক সূত্রে জানা গেছে, ডাসার উপজেলার উত্তর খিলগ্রামের রাজিব মাতুব্বর, নিজাম সরদার, তাইফুল, তারেক মাতুব্বরসহ একাধিক ব্যক্তিকে ইতালি নেওয়ার চুক্তি করেন কামাল। এ জন্য প্রত্যেকের কাছ থেকে নেওয়া হয় ১৩ লাখ টাকা করে। গত বছরের মার্চ মাসে সবাইকে নেওয়া হয় লিবিয়ায়। সেখানে সবাইকে বিক্রি করে দেওয়া হয় মাফিয়াদের কাছে। নির্যাতন করে প্রত্যেকের পরিবারের কাছ থেকে আদায় করা হয় লাখ লাখ টাকা। কয়েক দফা টাকা দিয়ে কেউ কেউ মুক্তি পেলেও অনেকের খোঁজও পাচ্ছে না পরিবার। তাই অভিযুক্ত কামালের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন স্বজন ও এলাকাবাসী।
ভুক্তভোগী রাজিব মাতুব্বর বলেন, ‘কামাল আমাকে ইতালি পাঠানোর প্রলোভন দেখান। তাঁর দুই ছেলে ইতালি থাকায় টাকা দেই। কিন্তু ইতালির পরিবর্তে লিবিয়ায় নিয়ে অমানবিক নির্যাতন করে লাখ লাখ আদায় করেন কামাল ও তাঁর চক্রের সদস্যরা। একপর্যায়ে একটি ছোট নৌকায় তুলে দেওয়া হয়। পরে পুলিশের হাতে ধরা পড়ে ৬ মাস জেলখানায় ছিলাম। সেখান থেকে বাংলাদেশ সরকার আমাকে ফেরত আনে। আমি কামালের বিচার চাই।’
আরেক ভুক্তভোগী তাইফুল মাতুব্বরের মা অফিয়া বেগম বলেন, ‘আমার ছেলেকে ইতালি পাঠানোর জন্য কামাল দালাল ৩০ লাখ টাকা নেয়। সেখানে ছেলেকে মাফিয়াদের কাছে বিক্রি করে দেয়। পরে মাফিয়াদের আরও ২০ লাখ টাকা দেওয়া হয়। কিন্তু এখনো আমার ছেলের কোনো সন্ধান পাচ্ছি না।’
আরেক ভুক্তভোগী তারেক মাতুব্বর বলেন, ‘গত বছরের ২৪ মার্চ কামাল মাতুব্বর আমাদের প্রথমে দুবাই নেয়। পরে সেখান থেকে লিবিয়া নিয়ে একটি ছোট্ট রুমে আটকে রাখে। ঠিকমতো খাবারও দেয়নি। মাফিয়ারা মারধর করে পরিবারকে কল দিয়ে সেই শব্দ শোনায়। পরে বাধ্য হয়ে পরিবারের লোকজন মুক্তিপণের টাকা দেয়। আমি ভাগ্যক্রমে পাঁচ মাস পর কোনোমতে দেশে ফিরে এসেছি। আমি এ ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।’
মাদারীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, কামাল মাতুব্বরের বিরুদ্ধে ডাসার থানায় মামলা করা হয়েছে। সেই মামলাটি বর্তমানে সিআইডিতে রয়েছে। তদন্তকারী কর্মকর্তা ঢাকা থেকে রওনা দিয়েছেন, তাঁর কাছে আসামিকে হস্তান্তর করা হবে। এ ছাড়া, রাকিবের ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পুলিশ সুপার মো. সাইফুজ্জামান বলেন, ‘বেশ কিছু তথ্য পেয়েছি মাদারীপুরে দালাল চক্রের বিরুদ্ধে। তদন্ত করে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
মাদারীপুর প্রতিনিধি

টগবগে যুবক রাকিব মহাজন। দালালদের খপ্পরে পড়ে ২০ বছর বয়সে বাড়ি থেকে বের হন ইউরোপের দেশ ইতালি যাবেন বলে। এ জন্য দালালকে দিতে হয়েছে ২৭ লাখ টাকা। কিন্তু তিন বছরেও পৌঁছাতে পারেননি ইতালি। লিবিয়ায় নিয়ে জিম্মি করা হয় তাঁকে। নির্যাতন করে পরিবারের কাছ থেকে নেওয়া হয় আরও ১৮ লাখ টাকা। এরপরও মুক্তি মেলেনি রাকিবের। গত বুধবার রাতে তাঁর চিরমুক্তির খবর পায় পরিবার।
রাকিব মহাজন মাদারীপুর সদরের খোয়াজপুর ইউনিয়নের পখিরা গ্রামের নাজিম উদ্দিন মহাজনের ছেলে। একই উপজেলার দালাল জাহাঙ্গীর মৃধার খপ্পরে পড়েন রাকিব। জাহাঙ্গীর তাঁর ভায়েরা শরীয়তপুরের পালং উপজেলার ধানুকা ইউনিয়নের ছোট বিনোদপুর গ্রামের সোহাগ মাতুব্বরের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন রাকিবের। সোহাগ মাতুব্বরের সঙ্গে ২৭ লাখ টাকায় ইতালি পৌঁছে দেওয়ার চুক্তি হয়। তিন বছর আগে পুরো টাকা দিয়ে ইতালির উদ্দেশে বাড়ি থেকে বের হন রাকিব। লিবিয়ায় নিয়ে তাঁকে জিম্মি করা হয়।
আরও টাকার জন্য নির্যাতন চালাতে থাকে দালাল সোহাগ মাতুব্বর ও তাঁর লোকজন। কোনো উপায় না পেয়ে রাকিবের বাবা নাজিম উদ্দিন ধারদেনা করে ৫ লাখ টাকা দেন। তাতেও কোনো কাজ হয়নি। চলতে থাকে নির্যাতন।
দুই বছর চার মাস পর আরেক দালাল সদরের ঝাউদি ইউনিয়নের ব্রাহ্মন্দী গ্রামের মাজেদ খলিফার কাছে যান নাজিম উদ্দিন। তাঁকেও ১৫ লাখ টাকা দেন। তবুও মুক্তি মেলেনি রাকিবের। নির্যাতনের একপর্যায়ে গত মঙ্গলবার রাকিব গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে সেখানকার একটি হাসপাতালে নেওয়ার পর মারা যান। পরদিন বুধবার রাতে রাকিবের মৃত্যুর খবর তাঁর পরিবারকে জানান দালাল মাজেদ খলিফা। তাঁর মৃত্যুর সংবাদে শোকের ছায়া নেমে আসে পরিবারে।
রাকিবের বাবা নাজিম উদ্দিন মহাজন বলেন, ‘দফায় দফায় টাকা দিয়ে আমি সর্বস্বান্ত হয়ে গেছি। এ পর্যন্ত সোহাগ আর মাজেদকে ৪৫ লাখ টাকা দিয়েছি। তারপরও ছেলের মৃত্যুর খবর শুনতে হলো। আমার ছেলেকে না খাইয়ে ও নির্যাতন করে মেরে ফেলেছে। কয়েক দিন আগেও আমার ছেলে ভিডিওতে তার নির্যাতনের কথা বলেছে। এত টাকা দালালদের দিয়েও ছেলেকে বাঁচাতে পারলাম না। ছেলেকে শেষ দেখাটাও দেখতে পারব কি না জানি না।’ ছেলের লাশ দেশে আনা ও দালালদের বিচারের দাবি জানান তিনি।
দালাল জাহাঙ্গীর মৃধা বলেন, ‘সোহাগ আমার ভায়রা, তাই আমাকে জড়ানো হচ্ছে। কেউ বলতে পারবে না, আমি তাদের কাছ থেকে টাকা নিয়েছি। আর ওই ছেলে অসুস্থ হয়ে লিবিয়ায় মারা গেছে। আমার ভায়রা বরং সেখানে ট্রিটমেন্ট করেছে। এর বেশি কিছু জানি না।’ আরেক দালাল মাজেদ খলিফার বাড়িতে কাউকে পাওয়া যায়নি। তাঁর মোবাইল ফোনও বন্ধ পাওয়া গেছে।
এদিকে, মানব পাচারকারী চক্রের অন্যতম সদস্য কামাল মাতুব্বরকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে দিয়েছেন ভুক্তভোগী ও এলাকাবাসী। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে মাদারীপুর আদালত চত্বর থেকে তাঁকে আটক করা হয়। অভিযুক্ত কামাল মাতুব্বরের বাড়ি ডাসার উপজেলার পূর্ব কমলাপুর গ্রামে। তাঁর বিরুদ্ধে অর্ধশত মানুষের অভিযোগ রয়েছে।
একাধিক সূত্রে জানা গেছে, ডাসার উপজেলার উত্তর খিলগ্রামের রাজিব মাতুব্বর, নিজাম সরদার, তাইফুল, তারেক মাতুব্বরসহ একাধিক ব্যক্তিকে ইতালি নেওয়ার চুক্তি করেন কামাল। এ জন্য প্রত্যেকের কাছ থেকে নেওয়া হয় ১৩ লাখ টাকা করে। গত বছরের মার্চ মাসে সবাইকে নেওয়া হয় লিবিয়ায়। সেখানে সবাইকে বিক্রি করে দেওয়া হয় মাফিয়াদের কাছে। নির্যাতন করে প্রত্যেকের পরিবারের কাছ থেকে আদায় করা হয় লাখ লাখ টাকা। কয়েক দফা টাকা দিয়ে কেউ কেউ মুক্তি পেলেও অনেকের খোঁজও পাচ্ছে না পরিবার। তাই অভিযুক্ত কামালের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন স্বজন ও এলাকাবাসী।
ভুক্তভোগী রাজিব মাতুব্বর বলেন, ‘কামাল আমাকে ইতালি পাঠানোর প্রলোভন দেখান। তাঁর দুই ছেলে ইতালি থাকায় টাকা দেই। কিন্তু ইতালির পরিবর্তে লিবিয়ায় নিয়ে অমানবিক নির্যাতন করে লাখ লাখ আদায় করেন কামাল ও তাঁর চক্রের সদস্যরা। একপর্যায়ে একটি ছোট নৌকায় তুলে দেওয়া হয়। পরে পুলিশের হাতে ধরা পড়ে ৬ মাস জেলখানায় ছিলাম। সেখান থেকে বাংলাদেশ সরকার আমাকে ফেরত আনে। আমি কামালের বিচার চাই।’
আরেক ভুক্তভোগী তাইফুল মাতুব্বরের মা অফিয়া বেগম বলেন, ‘আমার ছেলেকে ইতালি পাঠানোর জন্য কামাল দালাল ৩০ লাখ টাকা নেয়। সেখানে ছেলেকে মাফিয়াদের কাছে বিক্রি করে দেয়। পরে মাফিয়াদের আরও ২০ লাখ টাকা দেওয়া হয়। কিন্তু এখনো আমার ছেলের কোনো সন্ধান পাচ্ছি না।’
আরেক ভুক্তভোগী তারেক মাতুব্বর বলেন, ‘গত বছরের ২৪ মার্চ কামাল মাতুব্বর আমাদের প্রথমে দুবাই নেয়। পরে সেখান থেকে লিবিয়া নিয়ে একটি ছোট্ট রুমে আটকে রাখে। ঠিকমতো খাবারও দেয়নি। মাফিয়ারা মারধর করে পরিবারকে কল দিয়ে সেই শব্দ শোনায়। পরে বাধ্য হয়ে পরিবারের লোকজন মুক্তিপণের টাকা দেয়। আমি ভাগ্যক্রমে পাঁচ মাস পর কোনোমতে দেশে ফিরে এসেছি। আমি এ ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।’
মাদারীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, কামাল মাতুব্বরের বিরুদ্ধে ডাসার থানায় মামলা করা হয়েছে। সেই মামলাটি বর্তমানে সিআইডিতে রয়েছে। তদন্তকারী কর্মকর্তা ঢাকা থেকে রওনা দিয়েছেন, তাঁর কাছে আসামিকে হস্তান্তর করা হবে। এ ছাড়া, রাকিবের ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পুলিশ সুপার মো. সাইফুজ্জামান বলেন, ‘বেশ কিছু তথ্য পেয়েছি মাদারীপুরে দালাল চক্রের বিরুদ্ধে। তদন্ত করে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

টগবগে যুবক রাকিব মহাজন। দালালদের খপ্পরে পড়ে ২০ বছর বয়সে বাড়ি থেকে বের হন ইউরোপের দেশ ইতালি যাবেন বলে। এ জন্য দালালকে দিতে হয়েছে ২৭ লাখ টাকা। কিন্তু তিন বছরেও পৌঁছাতে পারেননি ইতালি। লিবিয়ায় নিয়ে জিম্মি করা হয় তাঁকে। নির্যাতন করে পরিবারের কাছ থেকে নেওয়া হয় আরও ১৮ লাখ টাকা। এরপরও মুক্তি মেলেনি রাকিবের। গত বুধবার রাতে তাঁর চিরমুক্তির খবর পায় পরিবার।
রাকিব মহাজন মাদারীপুর সদরের খোয়াজপুর ইউনিয়নের পখিরা গ্রামের নাজিম উদ্দিন মহাজনের ছেলে। একই উপজেলার দালাল জাহাঙ্গীর মৃধার খপ্পরে পড়েন রাকিব। জাহাঙ্গীর তাঁর ভায়েরা শরীয়তপুরের পালং উপজেলার ধানুকা ইউনিয়নের ছোট বিনোদপুর গ্রামের সোহাগ মাতুব্বরের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন রাকিবের। সোহাগ মাতুব্বরের সঙ্গে ২৭ লাখ টাকায় ইতালি পৌঁছে দেওয়ার চুক্তি হয়। তিন বছর আগে পুরো টাকা দিয়ে ইতালির উদ্দেশে বাড়ি থেকে বের হন রাকিব। লিবিয়ায় নিয়ে তাঁকে জিম্মি করা হয়।
আরও টাকার জন্য নির্যাতন চালাতে থাকে দালাল সোহাগ মাতুব্বর ও তাঁর লোকজন। কোনো উপায় না পেয়ে রাকিবের বাবা নাজিম উদ্দিন ধারদেনা করে ৫ লাখ টাকা দেন। তাতেও কোনো কাজ হয়নি। চলতে থাকে নির্যাতন।
দুই বছর চার মাস পর আরেক দালাল সদরের ঝাউদি ইউনিয়নের ব্রাহ্মন্দী গ্রামের মাজেদ খলিফার কাছে যান নাজিম উদ্দিন। তাঁকেও ১৫ লাখ টাকা দেন। তবুও মুক্তি মেলেনি রাকিবের। নির্যাতনের একপর্যায়ে গত মঙ্গলবার রাকিব গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে সেখানকার একটি হাসপাতালে নেওয়ার পর মারা যান। পরদিন বুধবার রাতে রাকিবের মৃত্যুর খবর তাঁর পরিবারকে জানান দালাল মাজেদ খলিফা। তাঁর মৃত্যুর সংবাদে শোকের ছায়া নেমে আসে পরিবারে।
রাকিবের বাবা নাজিম উদ্দিন মহাজন বলেন, ‘দফায় দফায় টাকা দিয়ে আমি সর্বস্বান্ত হয়ে গেছি। এ পর্যন্ত সোহাগ আর মাজেদকে ৪৫ লাখ টাকা দিয়েছি। তারপরও ছেলের মৃত্যুর খবর শুনতে হলো। আমার ছেলেকে না খাইয়ে ও নির্যাতন করে মেরে ফেলেছে। কয়েক দিন আগেও আমার ছেলে ভিডিওতে তার নির্যাতনের কথা বলেছে। এত টাকা দালালদের দিয়েও ছেলেকে বাঁচাতে পারলাম না। ছেলেকে শেষ দেখাটাও দেখতে পারব কি না জানি না।’ ছেলের লাশ দেশে আনা ও দালালদের বিচারের দাবি জানান তিনি।
দালাল জাহাঙ্গীর মৃধা বলেন, ‘সোহাগ আমার ভায়রা, তাই আমাকে জড়ানো হচ্ছে। কেউ বলতে পারবে না, আমি তাদের কাছ থেকে টাকা নিয়েছি। আর ওই ছেলে অসুস্থ হয়ে লিবিয়ায় মারা গেছে। আমার ভায়রা বরং সেখানে ট্রিটমেন্ট করেছে। এর বেশি কিছু জানি না।’ আরেক দালাল মাজেদ খলিফার বাড়িতে কাউকে পাওয়া যায়নি। তাঁর মোবাইল ফোনও বন্ধ পাওয়া গেছে।
এদিকে, মানব পাচারকারী চক্রের অন্যতম সদস্য কামাল মাতুব্বরকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে দিয়েছেন ভুক্তভোগী ও এলাকাবাসী। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে মাদারীপুর আদালত চত্বর থেকে তাঁকে আটক করা হয়। অভিযুক্ত কামাল মাতুব্বরের বাড়ি ডাসার উপজেলার পূর্ব কমলাপুর গ্রামে। তাঁর বিরুদ্ধে অর্ধশত মানুষের অভিযোগ রয়েছে।
একাধিক সূত্রে জানা গেছে, ডাসার উপজেলার উত্তর খিলগ্রামের রাজিব মাতুব্বর, নিজাম সরদার, তাইফুল, তারেক মাতুব্বরসহ একাধিক ব্যক্তিকে ইতালি নেওয়ার চুক্তি করেন কামাল। এ জন্য প্রত্যেকের কাছ থেকে নেওয়া হয় ১৩ লাখ টাকা করে। গত বছরের মার্চ মাসে সবাইকে নেওয়া হয় লিবিয়ায়। সেখানে সবাইকে বিক্রি করে দেওয়া হয় মাফিয়াদের কাছে। নির্যাতন করে প্রত্যেকের পরিবারের কাছ থেকে আদায় করা হয় লাখ লাখ টাকা। কয়েক দফা টাকা দিয়ে কেউ কেউ মুক্তি পেলেও অনেকের খোঁজও পাচ্ছে না পরিবার। তাই অভিযুক্ত কামালের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন স্বজন ও এলাকাবাসী।
ভুক্তভোগী রাজিব মাতুব্বর বলেন, ‘কামাল আমাকে ইতালি পাঠানোর প্রলোভন দেখান। তাঁর দুই ছেলে ইতালি থাকায় টাকা দেই। কিন্তু ইতালির পরিবর্তে লিবিয়ায় নিয়ে অমানবিক নির্যাতন করে লাখ লাখ আদায় করেন কামাল ও তাঁর চক্রের সদস্যরা। একপর্যায়ে একটি ছোট নৌকায় তুলে দেওয়া হয়। পরে পুলিশের হাতে ধরা পড়ে ৬ মাস জেলখানায় ছিলাম। সেখান থেকে বাংলাদেশ সরকার আমাকে ফেরত আনে। আমি কামালের বিচার চাই।’
আরেক ভুক্তভোগী তাইফুল মাতুব্বরের মা অফিয়া বেগম বলেন, ‘আমার ছেলেকে ইতালি পাঠানোর জন্য কামাল দালাল ৩০ লাখ টাকা নেয়। সেখানে ছেলেকে মাফিয়াদের কাছে বিক্রি করে দেয়। পরে মাফিয়াদের আরও ২০ লাখ টাকা দেওয়া হয়। কিন্তু এখনো আমার ছেলের কোনো সন্ধান পাচ্ছি না।’
আরেক ভুক্তভোগী তারেক মাতুব্বর বলেন, ‘গত বছরের ২৪ মার্চ কামাল মাতুব্বর আমাদের প্রথমে দুবাই নেয়। পরে সেখান থেকে লিবিয়া নিয়ে একটি ছোট্ট রুমে আটকে রাখে। ঠিকমতো খাবারও দেয়নি। মাফিয়ারা মারধর করে পরিবারকে কল দিয়ে সেই শব্দ শোনায়। পরে বাধ্য হয়ে পরিবারের লোকজন মুক্তিপণের টাকা দেয়। আমি ভাগ্যক্রমে পাঁচ মাস পর কোনোমতে দেশে ফিরে এসেছি। আমি এ ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।’
মাদারীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, কামাল মাতুব্বরের বিরুদ্ধে ডাসার থানায় মামলা করা হয়েছে। সেই মামলাটি বর্তমানে সিআইডিতে রয়েছে। তদন্তকারী কর্মকর্তা ঢাকা থেকে রওনা দিয়েছেন, তাঁর কাছে আসামিকে হস্তান্তর করা হবে। এ ছাড়া, রাকিবের ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পুলিশ সুপার মো. সাইফুজ্জামান বলেন, ‘বেশ কিছু তথ্য পেয়েছি মাদারীপুরে দালাল চক্রের বিরুদ্ধে। তদন্ত করে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

গাজীপুরের টঙ্গীতে উড়ালসেতুর নিচে অজ্ঞাতনামা (৩০) এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রোববার সকাল ৯টার দিকে বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্পের উড়ালসেতুর টঙ্গী স্টেশন রোড অংশের নিচে মরদেহটির সন্ধান মেলে।
৪ মিনিট আগে
নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার নিঝুম দ্বীপ ইউনিয়নে আগুন লাগার কোনো চিহ্ন না থাকা সত্ত্বেও প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে ‘ঘর পোড়ানোর’ মিথ্যা মামলা দায়ের করার অভিযোগ উঠেছে। জমি নিয়ে বিরোধের জেরে অন্য স্থানের আগুনের চিত্র দেখিয়ে এই মামলা করা হয় বলে দাবি করছেন এলাকাবাসী।
১০ মিনিট আগে
জেলা বিএনপির দপ্তর সম্পাদক মামুনুর রশিদ আজকের পত্রিকাকে জানিয়েছেন, মহাসচিবের তিন দিনের সাংগঠনিক কর্মসূচির প্রথম দিন আজ। তিনি বেলা ১১টায় সদর উপজেলার জগন্নাথপুরে একটি মতবিনিময় সভায় অংশ নেবেন। একই দিনে তিনি বিভিন্ন এলাকায় আরও তিনটি মতবিনিময় সভা করবেন।
৪৩ মিনিট আগে
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নালিতাবাড়ী থানা-পুলিশ আমবাগান এলাকায় অভিযান চালায়। এ সময় মেহেদীকে আটক করা হলেও তাঁর সঙ্গে থাকা আরও দুই সহযোগী পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যান। পরে মেহেদীর দেহ তল্লাশি করে ১ হাজার টাকার ২১টি জাল নোট উদ্ধার করা হয়।
১ ঘণ্টা আগেটঙ্গী (গাজীপুর) প্রতিনিধি

গাজীপুরের টঙ্গীতে উড়ালসেতুর নিচে অজ্ঞাতনামা (৩০) এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রোববার সকাল ৯টার দিকে বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্পের উড়ালসেতুর টঙ্গী স্টেশন রোড অংশের নিচে মরদেহটির সন্ধান মেলে।
থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ আলী মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুরের তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানোর প্রস্তুতি নিয়েছেন।
স্থানীয় বাসিন্দাদের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, রোববার সকালে স্থানীয় লোকজন বিআরটি প্রকল্পের উড়ালসেতুর ৬৮ নম্বর পিলারের পাশে ওই যুবকের মরদেহটি দেখতে পায়। পুলিশকে খবর পাঠালে পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। এই যুবককে দুর্বৃত্তরা অন্য কোথাও হত্যা করে মরদেহটি সেতুর নিচে ফেলে গেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে পুলিশ।
টঙ্গী পশ্চিম থানা-পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারুন অর রশিদের ভাষ্য, যুবকের পরিচয় শনাক্তে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) সদস্যদের খবর পাঠানো হয়েছে। আঙুলের ছাপ নিয়ে পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা চলছে। মরদেহে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।

গাজীপুরের টঙ্গীতে উড়ালসেতুর নিচে অজ্ঞাতনামা (৩০) এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রোববার সকাল ৯টার দিকে বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্পের উড়ালসেতুর টঙ্গী স্টেশন রোড অংশের নিচে মরদেহটির সন্ধান মেলে।
থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ আলী মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুরের তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানোর প্রস্তুতি নিয়েছেন।
স্থানীয় বাসিন্দাদের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, রোববার সকালে স্থানীয় লোকজন বিআরটি প্রকল্পের উড়ালসেতুর ৬৮ নম্বর পিলারের পাশে ওই যুবকের মরদেহটি দেখতে পায়। পুলিশকে খবর পাঠালে পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। এই যুবককে দুর্বৃত্তরা অন্য কোথাও হত্যা করে মরদেহটি সেতুর নিচে ফেলে গেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে পুলিশ।
টঙ্গী পশ্চিম থানা-পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারুন অর রশিদের ভাষ্য, যুবকের পরিচয় শনাক্তে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) সদস্যদের খবর পাঠানো হয়েছে। আঙুলের ছাপ নিয়ে পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা চলছে। মরদেহে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।

টগবগে যুবক রাকিব মহাজন। দালালদের খপ্পরে পড়ে ২০ বছর বয়সে বাড়ি থেকে বের হন ইউরোপের দেশ ইতালি যাবেন বলে। এ জন্য দালালকে দিতে হয়েছে ২৭ লাখ টাকা। কিন্তু তিন বছরেও পৌঁছাতে পারেননি ইতালি। লিবিয়ায় নিয়ে জিম্মি করা হয় তাঁকে।
২৪ জানুয়ারি ২০২৫
নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার নিঝুম দ্বীপ ইউনিয়নে আগুন লাগার কোনো চিহ্ন না থাকা সত্ত্বেও প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে ‘ঘর পোড়ানোর’ মিথ্যা মামলা দায়ের করার অভিযোগ উঠেছে। জমি নিয়ে বিরোধের জেরে অন্য স্থানের আগুনের চিত্র দেখিয়ে এই মামলা করা হয় বলে দাবি করছেন এলাকাবাসী।
১০ মিনিট আগে
জেলা বিএনপির দপ্তর সম্পাদক মামুনুর রশিদ আজকের পত্রিকাকে জানিয়েছেন, মহাসচিবের তিন দিনের সাংগঠনিক কর্মসূচির প্রথম দিন আজ। তিনি বেলা ১১টায় সদর উপজেলার জগন্নাথপুরে একটি মতবিনিময় সভায় অংশ নেবেন। একই দিনে তিনি বিভিন্ন এলাকায় আরও তিনটি মতবিনিময় সভা করবেন।
৪৩ মিনিট আগে
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নালিতাবাড়ী থানা-পুলিশ আমবাগান এলাকায় অভিযান চালায়। এ সময় মেহেদীকে আটক করা হলেও তাঁর সঙ্গে থাকা আরও দুই সহযোগী পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যান। পরে মেহেদীর দেহ তল্লাশি করে ১ হাজার টাকার ২১টি জাল নোট উদ্ধার করা হয়।
১ ঘণ্টা আগেহাতিয়া (নোয়াখালী) প্রতিনিধি

নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার নিঝুম দ্বীপ ইউনিয়নে আগুন লাগার কোনো চিহ্ন না থাকা সত্ত্বেও প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে ‘ঘর পোড়ানোর’ মিথ্যা মামলা দায়ের করার অভিযোগ উঠেছে। জমি নিয়ে বিরোধের জেরে অন্য স্থানের আগুনের চিত্র দেখিয়ে এই মামলা করা হয় বলে দাবি করছেন এলাকাবাসী। মিথ্যা মামলায় আসামি হওয়ায় বিপাকে পড়েছে স্থানীয় ব্যবসায়ী বেলাল উদ্দিনের পরিবার। এই মিথ্যা মামলা থেকে প্রতিবেশীকে বাঁচাতে শনিবার (৮ নভেম্বর) বিকেলে মানববন্ধন করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
জানা যায়, গত ১১ আগস্ট নিঝুম দ্বীপ ইউনিয়নে ঘর পোড়ানোর অভিযোগ এনে একটি মামলা করা হয় হাতিয়া ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে। নিঝুম দ্বীপ ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের মজিবুল হকের স্ত্রী শিরীন আকতার বাদী হয়ে মামলাটি করেন। মামলায় ব্যবসায়ী বেলাল উদ্দিনসহ ১০ জনকে আসামি করা হয়। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দেন উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তাকে। কিন্তু দায়িত্বপ্রাপ্ত তদন্ত কর্মকর্তা কাজী ইমরান হোসেন ঘটনাস্থলে না গিয়ে শুধু বাদীর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ঘটনাটি সত্য বলে প্রতিবেদন দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
ঘটনাটি জানাজানি হওয়ার পর স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে সমালোচনার ঝড় ওঠে। শনিবার বিকেলে দুই শতাধিক লোক নিঝুম দ্বীপ হরিণ বাজারে মানববন্ধন করেন।
মানববন্ধনে বাজারের ব্যবসায়ী, মসজিদের ইমাম, জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা বক্তব্য দেন।
বক্তারা দৃঢ়ভাবে বলেন, বাজারের পাশে বাদীর বাড়ি এবং এই ঘরটি বাজার থেকে দেখা যায়। এই ঘরে আগুন দেওয়ার মতো কোনো ঘটনা ঘটেনি। ব্যবসায়ী বেলালের সঙ্গে বাদীর জমি নিয়ে পুরোনো বিরোধ রয়েছে। সে কারণে অন্য জায়গার ছবি দেখিয়ে মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে।
তাঁরা মামলার পূর্ণ তদন্ত এবং ব্যবসায়ী বেলালসহ সব আসামির অব্যাহতি দাবি করেন।
এ বিষয়ে মামলার বাদী শিরীন আক্তার জানান, ছয় মাস আগে রাতে তাঁদের ঘরের দক্ষিণ পাশের রান্নাঘরের বেড়ায় আগুন লেগেছিল। প্রতিবেশীরা এসে তা নিভিয়ে ফেলায় তেমন ক্ষতি হয়নি। তবে কে আগুন লাগিয়েছে তা তিনি দেখেননি। পরে কেন তিনি আগুনে ঘর পোড়ানোর মামলা দিলেন, সেই প্রশ্নের কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি।
নিঝুম দ্বীপ ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান লাকী আকতার নিশ্চিত করেছেন, ঘর পোড়ানোর মামলাটি সম্পূর্ণ মিথ্যা তথ্য দিয়ে করা হয়েছে এবং এখানে আগুন লাগার কোনো ঘটনা ঘটেনি।
লাকী আকতার আরও জানান, ব্যবসায়ী বেলাল উদ্দিন স্থানীয় বাসিন্দাদের উপস্থিতিতে নুরবানু থেকে জমিটি ১৪ লাখ টাকায় ক্রয় করেন। এরপর নুরবানুর ছেলে আরও ৮ লাখ টাকা নিয়েও ব্যবসায়ীকে হয়রানি করে আসছেন এবং এ পর্যন্ত চারটি মিথ্যা মামলা দিয়েছেন। এই বিরোধ নিয়ে একাধিকবার সালিস বৈঠক হলেও নুরবানুর ছেলে উপস্থিত হননি।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও উপজেলা সমাজসেবা অফিসার কাজী ইমরান হোসেন বলেন, ‘মামলার বাদী ঘরে আগুন দেওয়ার ভিডিও ও ছবি এনে দিয়েছেন। তাতে আমার কাছে ঘটনাটি সত্য বলে মনে হয়েছে। সে মোতাবেক আমি প্রতিবেদন দিয়েছি। আমার সঙ্গে আসামিরা দেখা করেছে। তারা ঘটনাটি সত্য নয় বলে জানিয়েছে। আমি তাদেরকে পুনঃ তদন্তের জন্য আদালতে আবেদন করতে বলেছি।’

নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার নিঝুম দ্বীপ ইউনিয়নে আগুন লাগার কোনো চিহ্ন না থাকা সত্ত্বেও প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে ‘ঘর পোড়ানোর’ মিথ্যা মামলা দায়ের করার অভিযোগ উঠেছে। জমি নিয়ে বিরোধের জেরে অন্য স্থানের আগুনের চিত্র দেখিয়ে এই মামলা করা হয় বলে দাবি করছেন এলাকাবাসী। মিথ্যা মামলায় আসামি হওয়ায় বিপাকে পড়েছে স্থানীয় ব্যবসায়ী বেলাল উদ্দিনের পরিবার। এই মিথ্যা মামলা থেকে প্রতিবেশীকে বাঁচাতে শনিবার (৮ নভেম্বর) বিকেলে মানববন্ধন করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
জানা যায়, গত ১১ আগস্ট নিঝুম দ্বীপ ইউনিয়নে ঘর পোড়ানোর অভিযোগ এনে একটি মামলা করা হয় হাতিয়া ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে। নিঝুম দ্বীপ ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের মজিবুল হকের স্ত্রী শিরীন আকতার বাদী হয়ে মামলাটি করেন। মামলায় ব্যবসায়ী বেলাল উদ্দিনসহ ১০ জনকে আসামি করা হয়। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দেন উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তাকে। কিন্তু দায়িত্বপ্রাপ্ত তদন্ত কর্মকর্তা কাজী ইমরান হোসেন ঘটনাস্থলে না গিয়ে শুধু বাদীর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ঘটনাটি সত্য বলে প্রতিবেদন দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
ঘটনাটি জানাজানি হওয়ার পর স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে সমালোচনার ঝড় ওঠে। শনিবার বিকেলে দুই শতাধিক লোক নিঝুম দ্বীপ হরিণ বাজারে মানববন্ধন করেন।
মানববন্ধনে বাজারের ব্যবসায়ী, মসজিদের ইমাম, জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা বক্তব্য দেন।
বক্তারা দৃঢ়ভাবে বলেন, বাজারের পাশে বাদীর বাড়ি এবং এই ঘরটি বাজার থেকে দেখা যায়। এই ঘরে আগুন দেওয়ার মতো কোনো ঘটনা ঘটেনি। ব্যবসায়ী বেলালের সঙ্গে বাদীর জমি নিয়ে পুরোনো বিরোধ রয়েছে। সে কারণে অন্য জায়গার ছবি দেখিয়ে মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে।
তাঁরা মামলার পূর্ণ তদন্ত এবং ব্যবসায়ী বেলালসহ সব আসামির অব্যাহতি দাবি করেন।
এ বিষয়ে মামলার বাদী শিরীন আক্তার জানান, ছয় মাস আগে রাতে তাঁদের ঘরের দক্ষিণ পাশের রান্নাঘরের বেড়ায় আগুন লেগেছিল। প্রতিবেশীরা এসে তা নিভিয়ে ফেলায় তেমন ক্ষতি হয়নি। তবে কে আগুন লাগিয়েছে তা তিনি দেখেননি। পরে কেন তিনি আগুনে ঘর পোড়ানোর মামলা দিলেন, সেই প্রশ্নের কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি।
নিঝুম দ্বীপ ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান লাকী আকতার নিশ্চিত করেছেন, ঘর পোড়ানোর মামলাটি সম্পূর্ণ মিথ্যা তথ্য দিয়ে করা হয়েছে এবং এখানে আগুন লাগার কোনো ঘটনা ঘটেনি।
লাকী আকতার আরও জানান, ব্যবসায়ী বেলাল উদ্দিন স্থানীয় বাসিন্দাদের উপস্থিতিতে নুরবানু থেকে জমিটি ১৪ লাখ টাকায় ক্রয় করেন। এরপর নুরবানুর ছেলে আরও ৮ লাখ টাকা নিয়েও ব্যবসায়ীকে হয়রানি করে আসছেন এবং এ পর্যন্ত চারটি মিথ্যা মামলা দিয়েছেন। এই বিরোধ নিয়ে একাধিকবার সালিস বৈঠক হলেও নুরবানুর ছেলে উপস্থিত হননি।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও উপজেলা সমাজসেবা অফিসার কাজী ইমরান হোসেন বলেন, ‘মামলার বাদী ঘরে আগুন দেওয়ার ভিডিও ও ছবি এনে দিয়েছেন। তাতে আমার কাছে ঘটনাটি সত্য বলে মনে হয়েছে। সে মোতাবেক আমি প্রতিবেদন দিয়েছি। আমার সঙ্গে আসামিরা দেখা করেছে। তারা ঘটনাটি সত্য নয় বলে জানিয়েছে। আমি তাদেরকে পুনঃ তদন্তের জন্য আদালতে আবেদন করতে বলেছি।’

টগবগে যুবক রাকিব মহাজন। দালালদের খপ্পরে পড়ে ২০ বছর বয়সে বাড়ি থেকে বের হন ইউরোপের দেশ ইতালি যাবেন বলে। এ জন্য দালালকে দিতে হয়েছে ২৭ লাখ টাকা। কিন্তু তিন বছরেও পৌঁছাতে পারেননি ইতালি। লিবিয়ায় নিয়ে জিম্মি করা হয় তাঁকে।
২৪ জানুয়ারি ২০২৫
গাজীপুরের টঙ্গীতে উড়ালসেতুর নিচে অজ্ঞাতনামা (৩০) এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রোববার সকাল ৯টার দিকে বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্পের উড়ালসেতুর টঙ্গী স্টেশন রোড অংশের নিচে মরদেহটির সন্ধান মেলে।
৪ মিনিট আগে
জেলা বিএনপির দপ্তর সম্পাদক মামুনুর রশিদ আজকের পত্রিকাকে জানিয়েছেন, মহাসচিবের তিন দিনের সাংগঠনিক কর্মসূচির প্রথম দিন আজ। তিনি বেলা ১১টায় সদর উপজেলার জগন্নাথপুরে একটি মতবিনিময় সভায় অংশ নেবেন। একই দিনে তিনি বিভিন্ন এলাকায় আরও তিনটি মতবিনিময় সভা করবেন।
৪৩ মিনিট আগে
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নালিতাবাড়ী থানা-পুলিশ আমবাগান এলাকায় অভিযান চালায়। এ সময় মেহেদীকে আটক করা হলেও তাঁর সঙ্গে থাকা আরও দুই সহযোগী পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যান। পরে মেহেদীর দেহ তল্লাশি করে ১ হাজার টাকার ২১টি জাল নোট উদ্ধার করা হয়।
১ ঘণ্টা আগেঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের আগমন উপলক্ষে ঠাকুরগাঁওয়ে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। তিন দিনের সাংগঠনিক কর্মসূচিতে যোগ দিতে তিনি ঢাকা থেকে ঠাকুরগাঁওয়ের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন। তাঁর এই সফরকে কেন্দ্র করে স্থানীয় নেতা-কর্মীদের মধ্যে তৈরি হয়েছে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা।
বিএনপির মহাসচিব আজ রোববার ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার জগন্নাথপুর ইউনিয়নবাসীর সঙ্গে মতবিনিময় করবেন। এই জনসভা ও মতবিনিময়ের জন্য দৌলতপুর বালিকা উচ্চবিদ্যালয় মাঠে সুদৃশ্য মঞ্চ প্রস্তুত করা হয়েছে।
জেলা বিএনপির দপ্তর সম্পাদক মামুনুর রশিদ আজকের পত্রিকাকে জানিয়েছেন, মহাসচিবের তিন দিনের সাংগঠনিক কর্মসূচির প্রথম দিন আজ। তিনি বেলা ১১টায় সদর উপজেলার জগন্নাথপুরে একটি মতবিনিময় সভায় অংশ নেবেন। একই দিনে তিনি বিভিন্ন এলাকায় আরও তিনটি মতবিনিময় সভা করবেন।

এদিকে দলীয় মহাসচিবের আগমনকে কেন্দ্র করে বিএনপির বিভিন্ন স্তরের নেতা-কর্মীরা সকাল থেকে সমাবেশ স্থলে যোগ দিতে শুরু করেছেন। অনেক এলাকায় নেতা-কর্মীরা ব্যান্ড পার্টিসহ আনন্দ মিছিল করছেন। মির্জা ফখরুলকে স্বাগত জানাতে এবং কর্মসূচি সফল করতে তাঁদের এই উচ্ছ্বাস ও সরব উপস্থিতি চোখে পড়ার মতো।

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের আগমন উপলক্ষে ঠাকুরগাঁওয়ে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। তিন দিনের সাংগঠনিক কর্মসূচিতে যোগ দিতে তিনি ঢাকা থেকে ঠাকুরগাঁওয়ের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন। তাঁর এই সফরকে কেন্দ্র করে স্থানীয় নেতা-কর্মীদের মধ্যে তৈরি হয়েছে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা।
বিএনপির মহাসচিব আজ রোববার ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার জগন্নাথপুর ইউনিয়নবাসীর সঙ্গে মতবিনিময় করবেন। এই জনসভা ও মতবিনিময়ের জন্য দৌলতপুর বালিকা উচ্চবিদ্যালয় মাঠে সুদৃশ্য মঞ্চ প্রস্তুত করা হয়েছে।
জেলা বিএনপির দপ্তর সম্পাদক মামুনুর রশিদ আজকের পত্রিকাকে জানিয়েছেন, মহাসচিবের তিন দিনের সাংগঠনিক কর্মসূচির প্রথম দিন আজ। তিনি বেলা ১১টায় সদর উপজেলার জগন্নাথপুরে একটি মতবিনিময় সভায় অংশ নেবেন। একই দিনে তিনি বিভিন্ন এলাকায় আরও তিনটি মতবিনিময় সভা করবেন।

এদিকে দলীয় মহাসচিবের আগমনকে কেন্দ্র করে বিএনপির বিভিন্ন স্তরের নেতা-কর্মীরা সকাল থেকে সমাবেশ স্থলে যোগ দিতে শুরু করেছেন। অনেক এলাকায় নেতা-কর্মীরা ব্যান্ড পার্টিসহ আনন্দ মিছিল করছেন। মির্জা ফখরুলকে স্বাগত জানাতে এবং কর্মসূচি সফল করতে তাঁদের এই উচ্ছ্বাস ও সরব উপস্থিতি চোখে পড়ার মতো।

টগবগে যুবক রাকিব মহাজন। দালালদের খপ্পরে পড়ে ২০ বছর বয়সে বাড়ি থেকে বের হন ইউরোপের দেশ ইতালি যাবেন বলে। এ জন্য দালালকে দিতে হয়েছে ২৭ লাখ টাকা। কিন্তু তিন বছরেও পৌঁছাতে পারেননি ইতালি। লিবিয়ায় নিয়ে জিম্মি করা হয় তাঁকে।
২৪ জানুয়ারি ২০২৫
গাজীপুরের টঙ্গীতে উড়ালসেতুর নিচে অজ্ঞাতনামা (৩০) এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রোববার সকাল ৯টার দিকে বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্পের উড়ালসেতুর টঙ্গী স্টেশন রোড অংশের নিচে মরদেহটির সন্ধান মেলে।
৪ মিনিট আগে
নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার নিঝুম দ্বীপ ইউনিয়নে আগুন লাগার কোনো চিহ্ন না থাকা সত্ত্বেও প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে ‘ঘর পোড়ানোর’ মিথ্যা মামলা দায়ের করার অভিযোগ উঠেছে। জমি নিয়ে বিরোধের জেরে অন্য স্থানের আগুনের চিত্র দেখিয়ে এই মামলা করা হয় বলে দাবি করছেন এলাকাবাসী।
১০ মিনিট আগে
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নালিতাবাড়ী থানা-পুলিশ আমবাগান এলাকায় অভিযান চালায়। এ সময় মেহেদীকে আটক করা হলেও তাঁর সঙ্গে থাকা আরও দুই সহযোগী পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যান। পরে মেহেদীর দেহ তল্লাশি করে ১ হাজার টাকার ২১টি জাল নোট উদ্ধার করা হয়।
১ ঘণ্টা আগেনালিতাবাড়ী (শেরপুর) প্রতিনিধি

শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলায় ১ হাজার টাকার ২১টি জাল নোটসহ মেহেদী হাসান (২৫) নামের এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ। শনিবার রাতে উপজেলার আমবাগান এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁকে আটক করা হয়। আটক মেহেদী উপজেলার মধ্যমকুড়া গ্রামের মোজাম্মেল হকের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নালিতাবাড়ী থানা-পুলিশ আমবাগান এলাকায় অভিযান চালায়। এ সময় মেহেদীকে আটক করা হলেও তাঁর সঙ্গে থাকা আরও দুই সহযোগী পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যান। পরে মেহেদীর দেহ তল্লাশি করে ১ হাজার টাকার ২১টি জাল নোট উদ্ধার করা হয়।
নালিতাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহেল রানা বলেন, ‘আটক মেহেদীর কাছ থেকে উদ্ধার করা নোটগুলো এতটা নিখুঁতভাবে তৈরি যে খালি চোখে আসল-নকল শনাক্ত করা কঠিন।’

শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলায় ১ হাজার টাকার ২১টি জাল নোটসহ মেহেদী হাসান (২৫) নামের এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ। শনিবার রাতে উপজেলার আমবাগান এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁকে আটক করা হয়। আটক মেহেদী উপজেলার মধ্যমকুড়া গ্রামের মোজাম্মেল হকের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নালিতাবাড়ী থানা-পুলিশ আমবাগান এলাকায় অভিযান চালায়। এ সময় মেহেদীকে আটক করা হলেও তাঁর সঙ্গে থাকা আরও দুই সহযোগী পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যান। পরে মেহেদীর দেহ তল্লাশি করে ১ হাজার টাকার ২১টি জাল নোট উদ্ধার করা হয়।
নালিতাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহেল রানা বলেন, ‘আটক মেহেদীর কাছ থেকে উদ্ধার করা নোটগুলো এতটা নিখুঁতভাবে তৈরি যে খালি চোখে আসল-নকল শনাক্ত করা কঠিন।’

টগবগে যুবক রাকিব মহাজন। দালালদের খপ্পরে পড়ে ২০ বছর বয়সে বাড়ি থেকে বের হন ইউরোপের দেশ ইতালি যাবেন বলে। এ জন্য দালালকে দিতে হয়েছে ২৭ লাখ টাকা। কিন্তু তিন বছরেও পৌঁছাতে পারেননি ইতালি। লিবিয়ায় নিয়ে জিম্মি করা হয় তাঁকে।
২৪ জানুয়ারি ২০২৫
গাজীপুরের টঙ্গীতে উড়ালসেতুর নিচে অজ্ঞাতনামা (৩০) এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রোববার সকাল ৯টার দিকে বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্পের উড়ালসেতুর টঙ্গী স্টেশন রোড অংশের নিচে মরদেহটির সন্ধান মেলে।
৪ মিনিট আগে
নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার নিঝুম দ্বীপ ইউনিয়নে আগুন লাগার কোনো চিহ্ন না থাকা সত্ত্বেও প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে ‘ঘর পোড়ানোর’ মিথ্যা মামলা দায়ের করার অভিযোগ উঠেছে। জমি নিয়ে বিরোধের জেরে অন্য স্থানের আগুনের চিত্র দেখিয়ে এই মামলা করা হয় বলে দাবি করছেন এলাকাবাসী।
১০ মিনিট আগে
জেলা বিএনপির দপ্তর সম্পাদক মামুনুর রশিদ আজকের পত্রিকাকে জানিয়েছেন, মহাসচিবের তিন দিনের সাংগঠনিক কর্মসূচির প্রথম দিন আজ। তিনি বেলা ১১টায় সদর উপজেলার জগন্নাথপুরে একটি মতবিনিময় সভায় অংশ নেবেন। একই দিনে তিনি বিভিন্ন এলাকায় আরও তিনটি মতবিনিময় সভা করবেন।
৪৩ মিনিট আগে