দেবাশীষ দত্ত, কুষ্টিয়া

কুষ্টিয়ায় গত দেড় দশকে সাংবাদিকদের ওপর হামলা ও হত্যার ডজনখানেক ঘটনা ঘটেছে। তবে অধিকাংশ মামলার বিচারপ্রক্রিয়া আলোর মুখ দেখেনি। বেশির ভাগ মামলাই ক্ষমতাসীনদের চাপে মাঝপথে থমকে গেছে। বেশ কয়েকটি মামলা তদন্ত পর্যায়ে আটকে রয়েছে। মানবাধিকার ও সাংবাদিক সংগঠনগুলোর দাবি, বিচারহীনতার এ সংস্কৃতি অপরাধীদের আরও বেপরোয়া করে তুলছে। যে জন্য সাংবাদিকদের ওপর হামলা ও নির্যাতনের ঘটনাও বেড়েছে।
২০২২ সালের ৩ জুলাই রাতে কুষ্টিয়া শহরের সিঙ্গার মোড়ের পত্রিকা অফিস থেকে মোবাইল ফোনে কল পেয়ে বের হন হাসিবুর রহমান রুবেল। ৭ জুলাই কুমারখালী পৌরসভার তেবাড়িয়া এলাকায় গড়াই নদে তাঁর লাশ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় ৮ জুলাই তাঁর চাচা মিজানুর রহমান অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে কুমারখালী থানায় মামলা করেন। রুবেল স্থানীয় দৈনিক কুষ্টিয়ার খবর পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ও দৈনিক আমাদের নতুন সময় পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি ছিলেন।
রুবেল হত্যা মামলার কী অবস্থা, তা জানতে রুবেলের পরিবার ও পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। মামলার বাদী মিজানুর রহমান বলেন, ‘বিচার আল্লাহর ওপর ছেড়ে দিয়েছি। নৌ পুলিশের কোনো সহযোগিতা নেই। চার্জশিটও দেয়নি।’
পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলায় লক্ষ্মীকুণ্ডা নৌ থানার এসআই শামীম হোসেন বলেন, ‘মামলাটি এখনো তদন্তাধীন। অগ্রগতি ও অভিযোগপত্রের ব্যাপারে নতুন স্যার যোগদান করে ব্যবস্থা নেবেন।’
সংবাদ সংগ্রহে হামলা
২০২৪ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি দুপুরে দৌলতপুর উপজেলার ফিলিপনগর ইউনিয়নের সিরাজনগরে চাচাকে বাবা সাজিয়ে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় অ্যাডমিন ক্যাডারে চাকরির সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে হামলার শিকার হন বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল টুয়েন্টিফোরের কুষ্টিয়ার স্টাফ রিপোর্টার শরীফ বিশ্বাস, ক্যামেরাপারসন সুমন ও স্থানীয় সাংবাদিক বিদ্যুৎ খন্দকার। এ ঘটনায় শরীফ দৌলতপুর থানায় মামলা করেন। দেড় বছরেও এ মামলার চার্জশিট দেয়নি পুলিশ।
সাংবাদিক শরীফ বিশ্বাস বলেন, ‘মামলা করা হলেও নানা চাপে তা আর আলোর মুখ দেখেনি। পুলিশ চার্জশিট পর্যন্ত দেইনি। হতাশা নিয়ে আর যোগাযোগ করিনি।’
২০১১ সালে শিলাইদহের রবীন্দ্র কুঠিবাড়িতে স্থাপনাসহ রাস্তা নির্মাণে অনিয়ম ও দুর্নীতির সংবাদ সংগ্রহ করার সময় ঠিকাদারের লোকজনের হামলায় গুরুতর আহত হয়েছিলেন প্রথম আলোর সাংবাদিক তৌহিদী হাসান, একুশে টিভির জহুরুল ইসলাম ও আরটিভির শেখ হাসান বেলাল। এ ঘটনায় মামলা করা হলেও ঠিকাদার ওই আওয়ামী লীগ নেতার চাপে মামলা তুলে নিতে বাধ্য হন জহুরুল।
২০১৪ সালে প্রথম আলোর সাংবাদিক তৌহিদী হাসান ও চ্যানেল টুয়েন্টিফোরের সাংবাদিক শরীফ বিশ্বাস কুষ্টিয়া সরকারি কলেজে ভর্তি পরীক্ষায় শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা তাঁদের বেধড়ক মারধর করেন। সে সময় মামলা করতে দেওয়া হয়নি ভুক্তভোগী দুই সাংবাদিককে। বরং ঘটনা মীমাংসা করে নিতে উল্টো চাপ দেওয়া হয়েছিল।
প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক তৌহিদী হাসান বলেন, শিলাইদহের ঘটনায় মামলা তুলে নেওয়ার চাপ ছিল আর সরকারি কলেজের ঘটনায় মামলা করতেই দেওয়া হয়নি। তিনি মনে করেন, সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনা উদ্বেগজনক হারে বেড়েছে। যেখানে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগও দেওয়া হচ্ছে না।
২০১২ সালে কুষ্টিয়া শহরতলির একটি মাদ্রাসায় ছাত্রকে যৌন নির্যাতনের সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে হামলার শিকার হন ইনডিপেন্ডেন্ট টেলিভিশনের সাংবাদিক মিলনউল্লাহ ও ক্যামেরাপারসন নিয়ামুল হক। এ ঘটনায় মিলনউল্লাহ বাদী হয়ে মামলা করলেও পরে তিনি মামলা থেকে সরে আসতে বাধ্য হন। মিলনউল্লাহ বলেন, ‘মামলা নিয়ে অন্য রাজনীতি শুরু হয়েছিল। সেই সঙ্গে স্থানীয়ভাবে চাপও ছিল। তাই পরে বাধ্য হয়ে আমি সরে এসেছি।’
এদিকে চলতি বছরের ১৬ ফেব্রুয়ারি কুষ্টিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনার সংবাদ সংগ্রহকালে হামলা ও বেধড়ক মারধরের শিকার হয়েছেন স্থানীয় দৈনিক খবরওয়ালা পত্রিকার চিত্র সাংবাদিক ইমরান হোসেন। পরে কুষ্টিয়া মডেল থানায় মামলা করেছেন ইমরান।
সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক) কুষ্টিয়া জেলার শাখার সদস্য মিজানুর রহমান লাকী বলেন, মূলত ওপরে ওপরে সম্পর্ক দেখালেও সাংবাদিকদের পাশে কেউ থাকতে চায় না। কারণ দুর্নীতিগ্রস্ত কর্মকর্তা, রাজনৈতিক নেতা আর পুলিশ প্রশাসন—এরা সবাই সাংবাদিকদের প্রতিপক্ষ মনে করে। যে কারণে কোনো সাংবাদিক বিপদে পড়লে তারাই আবার প্রভাব বিস্তার করে। তা ছাড়া রাজনৈতিক ও প্রশাসনের চাপেও বাধ্য হতে হয় মামলা গুটিয়ে নিতে।
কুষ্টিয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি আল মামুন সাগর বলেন, ‘বিচারহীনতার সংস্কৃতির কারণে হামলাকারীরা সব সময় বহাল তবিয়তে থাকে। পুলিশ দুদিন পর আগ্রহ হারিয়ে ফেলে। পরে কোনো সহযোগিতা না পেয়ে হামলার শিকার সাংবাদিকও চাপে পড়ে মামলা তুলে নিতে বাধ্য হন। এ কারণে ওই মামলাগুলো আর আলোর মুখ দেখে না। এর জন্য প্রয়োজন রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় আইনের কঠোর প্রয়োগ। সর্বশেষ গাজীপুরে সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিন হত্যা আমাদের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়েছে।’
কুষ্টিয়ার অবসরপ্রাপ্ত সহকারী পুলিশ সুপার (সদর দপ্তর) মো. শহিদুল্লাহ মনে করেন, মামলায় প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষীর অভাব, ক্রাইম সিনের আলামত আমজনতার অসচেতনতার কারণে নষ্ট হয়ে যাওয়া এবং প্রথম দিকে সাংবাদিকেরা রুবেলের হত্যাকাণ্ড নিয়ে হইচই করলেও পরে হঠাৎ নীরব হয়ে যাওয়াই মামলাটি তদন্তাধীন থাকার কারণ হতে পারে।

কুষ্টিয়ায় গত দেড় দশকে সাংবাদিকদের ওপর হামলা ও হত্যার ডজনখানেক ঘটনা ঘটেছে। তবে অধিকাংশ মামলার বিচারপ্রক্রিয়া আলোর মুখ দেখেনি। বেশির ভাগ মামলাই ক্ষমতাসীনদের চাপে মাঝপথে থমকে গেছে। বেশ কয়েকটি মামলা তদন্ত পর্যায়ে আটকে রয়েছে। মানবাধিকার ও সাংবাদিক সংগঠনগুলোর দাবি, বিচারহীনতার এ সংস্কৃতি অপরাধীদের আরও বেপরোয়া করে তুলছে। যে জন্য সাংবাদিকদের ওপর হামলা ও নির্যাতনের ঘটনাও বেড়েছে।
২০২২ সালের ৩ জুলাই রাতে কুষ্টিয়া শহরের সিঙ্গার মোড়ের পত্রিকা অফিস থেকে মোবাইল ফোনে কল পেয়ে বের হন হাসিবুর রহমান রুবেল। ৭ জুলাই কুমারখালী পৌরসভার তেবাড়িয়া এলাকায় গড়াই নদে তাঁর লাশ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় ৮ জুলাই তাঁর চাচা মিজানুর রহমান অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে কুমারখালী থানায় মামলা করেন। রুবেল স্থানীয় দৈনিক কুষ্টিয়ার খবর পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ও দৈনিক আমাদের নতুন সময় পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি ছিলেন।
রুবেল হত্যা মামলার কী অবস্থা, তা জানতে রুবেলের পরিবার ও পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। মামলার বাদী মিজানুর রহমান বলেন, ‘বিচার আল্লাহর ওপর ছেড়ে দিয়েছি। নৌ পুলিশের কোনো সহযোগিতা নেই। চার্জশিটও দেয়নি।’
পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলায় লক্ষ্মীকুণ্ডা নৌ থানার এসআই শামীম হোসেন বলেন, ‘মামলাটি এখনো তদন্তাধীন। অগ্রগতি ও অভিযোগপত্রের ব্যাপারে নতুন স্যার যোগদান করে ব্যবস্থা নেবেন।’
সংবাদ সংগ্রহে হামলা
২০২৪ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি দুপুরে দৌলতপুর উপজেলার ফিলিপনগর ইউনিয়নের সিরাজনগরে চাচাকে বাবা সাজিয়ে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় অ্যাডমিন ক্যাডারে চাকরির সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে হামলার শিকার হন বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল টুয়েন্টিফোরের কুষ্টিয়ার স্টাফ রিপোর্টার শরীফ বিশ্বাস, ক্যামেরাপারসন সুমন ও স্থানীয় সাংবাদিক বিদ্যুৎ খন্দকার। এ ঘটনায় শরীফ দৌলতপুর থানায় মামলা করেন। দেড় বছরেও এ মামলার চার্জশিট দেয়নি পুলিশ।
সাংবাদিক শরীফ বিশ্বাস বলেন, ‘মামলা করা হলেও নানা চাপে তা আর আলোর মুখ দেখেনি। পুলিশ চার্জশিট পর্যন্ত দেইনি। হতাশা নিয়ে আর যোগাযোগ করিনি।’
২০১১ সালে শিলাইদহের রবীন্দ্র কুঠিবাড়িতে স্থাপনাসহ রাস্তা নির্মাণে অনিয়ম ও দুর্নীতির সংবাদ সংগ্রহ করার সময় ঠিকাদারের লোকজনের হামলায় গুরুতর আহত হয়েছিলেন প্রথম আলোর সাংবাদিক তৌহিদী হাসান, একুশে টিভির জহুরুল ইসলাম ও আরটিভির শেখ হাসান বেলাল। এ ঘটনায় মামলা করা হলেও ঠিকাদার ওই আওয়ামী লীগ নেতার চাপে মামলা তুলে নিতে বাধ্য হন জহুরুল।
২০১৪ সালে প্রথম আলোর সাংবাদিক তৌহিদী হাসান ও চ্যানেল টুয়েন্টিফোরের সাংবাদিক শরীফ বিশ্বাস কুষ্টিয়া সরকারি কলেজে ভর্তি পরীক্ষায় শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা তাঁদের বেধড়ক মারধর করেন। সে সময় মামলা করতে দেওয়া হয়নি ভুক্তভোগী দুই সাংবাদিককে। বরং ঘটনা মীমাংসা করে নিতে উল্টো চাপ দেওয়া হয়েছিল।
প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক তৌহিদী হাসান বলেন, শিলাইদহের ঘটনায় মামলা তুলে নেওয়ার চাপ ছিল আর সরকারি কলেজের ঘটনায় মামলা করতেই দেওয়া হয়নি। তিনি মনে করেন, সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনা উদ্বেগজনক হারে বেড়েছে। যেখানে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগও দেওয়া হচ্ছে না।
২০১২ সালে কুষ্টিয়া শহরতলির একটি মাদ্রাসায় ছাত্রকে যৌন নির্যাতনের সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে হামলার শিকার হন ইনডিপেন্ডেন্ট টেলিভিশনের সাংবাদিক মিলনউল্লাহ ও ক্যামেরাপারসন নিয়ামুল হক। এ ঘটনায় মিলনউল্লাহ বাদী হয়ে মামলা করলেও পরে তিনি মামলা থেকে সরে আসতে বাধ্য হন। মিলনউল্লাহ বলেন, ‘মামলা নিয়ে অন্য রাজনীতি শুরু হয়েছিল। সেই সঙ্গে স্থানীয়ভাবে চাপও ছিল। তাই পরে বাধ্য হয়ে আমি সরে এসেছি।’
এদিকে চলতি বছরের ১৬ ফেব্রুয়ারি কুষ্টিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনার সংবাদ সংগ্রহকালে হামলা ও বেধড়ক মারধরের শিকার হয়েছেন স্থানীয় দৈনিক খবরওয়ালা পত্রিকার চিত্র সাংবাদিক ইমরান হোসেন। পরে কুষ্টিয়া মডেল থানায় মামলা করেছেন ইমরান।
সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক) কুষ্টিয়া জেলার শাখার সদস্য মিজানুর রহমান লাকী বলেন, মূলত ওপরে ওপরে সম্পর্ক দেখালেও সাংবাদিকদের পাশে কেউ থাকতে চায় না। কারণ দুর্নীতিগ্রস্ত কর্মকর্তা, রাজনৈতিক নেতা আর পুলিশ প্রশাসন—এরা সবাই সাংবাদিকদের প্রতিপক্ষ মনে করে। যে কারণে কোনো সাংবাদিক বিপদে পড়লে তারাই আবার প্রভাব বিস্তার করে। তা ছাড়া রাজনৈতিক ও প্রশাসনের চাপেও বাধ্য হতে হয় মামলা গুটিয়ে নিতে।
কুষ্টিয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি আল মামুন সাগর বলেন, ‘বিচারহীনতার সংস্কৃতির কারণে হামলাকারীরা সব সময় বহাল তবিয়তে থাকে। পুলিশ দুদিন পর আগ্রহ হারিয়ে ফেলে। পরে কোনো সহযোগিতা না পেয়ে হামলার শিকার সাংবাদিকও চাপে পড়ে মামলা তুলে নিতে বাধ্য হন। এ কারণে ওই মামলাগুলো আর আলোর মুখ দেখে না। এর জন্য প্রয়োজন রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় আইনের কঠোর প্রয়োগ। সর্বশেষ গাজীপুরে সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিন হত্যা আমাদের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়েছে।’
কুষ্টিয়ার অবসরপ্রাপ্ত সহকারী পুলিশ সুপার (সদর দপ্তর) মো. শহিদুল্লাহ মনে করেন, মামলায় প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষীর অভাব, ক্রাইম সিনের আলামত আমজনতার অসচেতনতার কারণে নষ্ট হয়ে যাওয়া এবং প্রথম দিকে সাংবাদিকেরা রুবেলের হত্যাকাণ্ড নিয়ে হইচই করলেও পরে হঠাৎ নীরব হয়ে যাওয়াই মামলাটি তদন্তাধীন থাকার কারণ হতে পারে।
দেবাশীষ দত্ত, কুষ্টিয়া

কুষ্টিয়ায় গত দেড় দশকে সাংবাদিকদের ওপর হামলা ও হত্যার ডজনখানেক ঘটনা ঘটেছে। তবে অধিকাংশ মামলার বিচারপ্রক্রিয়া আলোর মুখ দেখেনি। বেশির ভাগ মামলাই ক্ষমতাসীনদের চাপে মাঝপথে থমকে গেছে। বেশ কয়েকটি মামলা তদন্ত পর্যায়ে আটকে রয়েছে। মানবাধিকার ও সাংবাদিক সংগঠনগুলোর দাবি, বিচারহীনতার এ সংস্কৃতি অপরাধীদের আরও বেপরোয়া করে তুলছে। যে জন্য সাংবাদিকদের ওপর হামলা ও নির্যাতনের ঘটনাও বেড়েছে।
২০২২ সালের ৩ জুলাই রাতে কুষ্টিয়া শহরের সিঙ্গার মোড়ের পত্রিকা অফিস থেকে মোবাইল ফোনে কল পেয়ে বের হন হাসিবুর রহমান রুবেল। ৭ জুলাই কুমারখালী পৌরসভার তেবাড়িয়া এলাকায় গড়াই নদে তাঁর লাশ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় ৮ জুলাই তাঁর চাচা মিজানুর রহমান অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে কুমারখালী থানায় মামলা করেন। রুবেল স্থানীয় দৈনিক কুষ্টিয়ার খবর পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ও দৈনিক আমাদের নতুন সময় পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি ছিলেন।
রুবেল হত্যা মামলার কী অবস্থা, তা জানতে রুবেলের পরিবার ও পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। মামলার বাদী মিজানুর রহমান বলেন, ‘বিচার আল্লাহর ওপর ছেড়ে দিয়েছি। নৌ পুলিশের কোনো সহযোগিতা নেই। চার্জশিটও দেয়নি।’
পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলায় লক্ষ্মীকুণ্ডা নৌ থানার এসআই শামীম হোসেন বলেন, ‘মামলাটি এখনো তদন্তাধীন। অগ্রগতি ও অভিযোগপত্রের ব্যাপারে নতুন স্যার যোগদান করে ব্যবস্থা নেবেন।’
সংবাদ সংগ্রহে হামলা
২০২৪ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি দুপুরে দৌলতপুর উপজেলার ফিলিপনগর ইউনিয়নের সিরাজনগরে চাচাকে বাবা সাজিয়ে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় অ্যাডমিন ক্যাডারে চাকরির সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে হামলার শিকার হন বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল টুয়েন্টিফোরের কুষ্টিয়ার স্টাফ রিপোর্টার শরীফ বিশ্বাস, ক্যামেরাপারসন সুমন ও স্থানীয় সাংবাদিক বিদ্যুৎ খন্দকার। এ ঘটনায় শরীফ দৌলতপুর থানায় মামলা করেন। দেড় বছরেও এ মামলার চার্জশিট দেয়নি পুলিশ।
সাংবাদিক শরীফ বিশ্বাস বলেন, ‘মামলা করা হলেও নানা চাপে তা আর আলোর মুখ দেখেনি। পুলিশ চার্জশিট পর্যন্ত দেইনি। হতাশা নিয়ে আর যোগাযোগ করিনি।’
২০১১ সালে শিলাইদহের রবীন্দ্র কুঠিবাড়িতে স্থাপনাসহ রাস্তা নির্মাণে অনিয়ম ও দুর্নীতির সংবাদ সংগ্রহ করার সময় ঠিকাদারের লোকজনের হামলায় গুরুতর আহত হয়েছিলেন প্রথম আলোর সাংবাদিক তৌহিদী হাসান, একুশে টিভির জহুরুল ইসলাম ও আরটিভির শেখ হাসান বেলাল। এ ঘটনায় মামলা করা হলেও ঠিকাদার ওই আওয়ামী লীগ নেতার চাপে মামলা তুলে নিতে বাধ্য হন জহুরুল।
২০১৪ সালে প্রথম আলোর সাংবাদিক তৌহিদী হাসান ও চ্যানেল টুয়েন্টিফোরের সাংবাদিক শরীফ বিশ্বাস কুষ্টিয়া সরকারি কলেজে ভর্তি পরীক্ষায় শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা তাঁদের বেধড়ক মারধর করেন। সে সময় মামলা করতে দেওয়া হয়নি ভুক্তভোগী দুই সাংবাদিককে। বরং ঘটনা মীমাংসা করে নিতে উল্টো চাপ দেওয়া হয়েছিল।
প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক তৌহিদী হাসান বলেন, শিলাইদহের ঘটনায় মামলা তুলে নেওয়ার চাপ ছিল আর সরকারি কলেজের ঘটনায় মামলা করতেই দেওয়া হয়নি। তিনি মনে করেন, সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনা উদ্বেগজনক হারে বেড়েছে। যেখানে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগও দেওয়া হচ্ছে না।
২০১২ সালে কুষ্টিয়া শহরতলির একটি মাদ্রাসায় ছাত্রকে যৌন নির্যাতনের সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে হামলার শিকার হন ইনডিপেন্ডেন্ট টেলিভিশনের সাংবাদিক মিলনউল্লাহ ও ক্যামেরাপারসন নিয়ামুল হক। এ ঘটনায় মিলনউল্লাহ বাদী হয়ে মামলা করলেও পরে তিনি মামলা থেকে সরে আসতে বাধ্য হন। মিলনউল্লাহ বলেন, ‘মামলা নিয়ে অন্য রাজনীতি শুরু হয়েছিল। সেই সঙ্গে স্থানীয়ভাবে চাপও ছিল। তাই পরে বাধ্য হয়ে আমি সরে এসেছি।’
এদিকে চলতি বছরের ১৬ ফেব্রুয়ারি কুষ্টিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনার সংবাদ সংগ্রহকালে হামলা ও বেধড়ক মারধরের শিকার হয়েছেন স্থানীয় দৈনিক খবরওয়ালা পত্রিকার চিত্র সাংবাদিক ইমরান হোসেন। পরে কুষ্টিয়া মডেল থানায় মামলা করেছেন ইমরান।
সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক) কুষ্টিয়া জেলার শাখার সদস্য মিজানুর রহমান লাকী বলেন, মূলত ওপরে ওপরে সম্পর্ক দেখালেও সাংবাদিকদের পাশে কেউ থাকতে চায় না। কারণ দুর্নীতিগ্রস্ত কর্মকর্তা, রাজনৈতিক নেতা আর পুলিশ প্রশাসন—এরা সবাই সাংবাদিকদের প্রতিপক্ষ মনে করে। যে কারণে কোনো সাংবাদিক বিপদে পড়লে তারাই আবার প্রভাব বিস্তার করে। তা ছাড়া রাজনৈতিক ও প্রশাসনের চাপেও বাধ্য হতে হয় মামলা গুটিয়ে নিতে।
কুষ্টিয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি আল মামুন সাগর বলেন, ‘বিচারহীনতার সংস্কৃতির কারণে হামলাকারীরা সব সময় বহাল তবিয়তে থাকে। পুলিশ দুদিন পর আগ্রহ হারিয়ে ফেলে। পরে কোনো সহযোগিতা না পেয়ে হামলার শিকার সাংবাদিকও চাপে পড়ে মামলা তুলে নিতে বাধ্য হন। এ কারণে ওই মামলাগুলো আর আলোর মুখ দেখে না। এর জন্য প্রয়োজন রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় আইনের কঠোর প্রয়োগ। সর্বশেষ গাজীপুরে সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিন হত্যা আমাদের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়েছে।’
কুষ্টিয়ার অবসরপ্রাপ্ত সহকারী পুলিশ সুপার (সদর দপ্তর) মো. শহিদুল্লাহ মনে করেন, মামলায় প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষীর অভাব, ক্রাইম সিনের আলামত আমজনতার অসচেতনতার কারণে নষ্ট হয়ে যাওয়া এবং প্রথম দিকে সাংবাদিকেরা রুবেলের হত্যাকাণ্ড নিয়ে হইচই করলেও পরে হঠাৎ নীরব হয়ে যাওয়াই মামলাটি তদন্তাধীন থাকার কারণ হতে পারে।

কুষ্টিয়ায় গত দেড় দশকে সাংবাদিকদের ওপর হামলা ও হত্যার ডজনখানেক ঘটনা ঘটেছে। তবে অধিকাংশ মামলার বিচারপ্রক্রিয়া আলোর মুখ দেখেনি। বেশির ভাগ মামলাই ক্ষমতাসীনদের চাপে মাঝপথে থমকে গেছে। বেশ কয়েকটি মামলা তদন্ত পর্যায়ে আটকে রয়েছে। মানবাধিকার ও সাংবাদিক সংগঠনগুলোর দাবি, বিচারহীনতার এ সংস্কৃতি অপরাধীদের আরও বেপরোয়া করে তুলছে। যে জন্য সাংবাদিকদের ওপর হামলা ও নির্যাতনের ঘটনাও বেড়েছে।
২০২২ সালের ৩ জুলাই রাতে কুষ্টিয়া শহরের সিঙ্গার মোড়ের পত্রিকা অফিস থেকে মোবাইল ফোনে কল পেয়ে বের হন হাসিবুর রহমান রুবেল। ৭ জুলাই কুমারখালী পৌরসভার তেবাড়িয়া এলাকায় গড়াই নদে তাঁর লাশ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় ৮ জুলাই তাঁর চাচা মিজানুর রহমান অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে কুমারখালী থানায় মামলা করেন। রুবেল স্থানীয় দৈনিক কুষ্টিয়ার খবর পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ও দৈনিক আমাদের নতুন সময় পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি ছিলেন।
রুবেল হত্যা মামলার কী অবস্থা, তা জানতে রুবেলের পরিবার ও পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। মামলার বাদী মিজানুর রহমান বলেন, ‘বিচার আল্লাহর ওপর ছেড়ে দিয়েছি। নৌ পুলিশের কোনো সহযোগিতা নেই। চার্জশিটও দেয়নি।’
পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলায় লক্ষ্মীকুণ্ডা নৌ থানার এসআই শামীম হোসেন বলেন, ‘মামলাটি এখনো তদন্তাধীন। অগ্রগতি ও অভিযোগপত্রের ব্যাপারে নতুন স্যার যোগদান করে ব্যবস্থা নেবেন।’
সংবাদ সংগ্রহে হামলা
২০২৪ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি দুপুরে দৌলতপুর উপজেলার ফিলিপনগর ইউনিয়নের সিরাজনগরে চাচাকে বাবা সাজিয়ে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় অ্যাডমিন ক্যাডারে চাকরির সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে হামলার শিকার হন বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল টুয়েন্টিফোরের কুষ্টিয়ার স্টাফ রিপোর্টার শরীফ বিশ্বাস, ক্যামেরাপারসন সুমন ও স্থানীয় সাংবাদিক বিদ্যুৎ খন্দকার। এ ঘটনায় শরীফ দৌলতপুর থানায় মামলা করেন। দেড় বছরেও এ মামলার চার্জশিট দেয়নি পুলিশ।
সাংবাদিক শরীফ বিশ্বাস বলেন, ‘মামলা করা হলেও নানা চাপে তা আর আলোর মুখ দেখেনি। পুলিশ চার্জশিট পর্যন্ত দেইনি। হতাশা নিয়ে আর যোগাযোগ করিনি।’
২০১১ সালে শিলাইদহের রবীন্দ্র কুঠিবাড়িতে স্থাপনাসহ রাস্তা নির্মাণে অনিয়ম ও দুর্নীতির সংবাদ সংগ্রহ করার সময় ঠিকাদারের লোকজনের হামলায় গুরুতর আহত হয়েছিলেন প্রথম আলোর সাংবাদিক তৌহিদী হাসান, একুশে টিভির জহুরুল ইসলাম ও আরটিভির শেখ হাসান বেলাল। এ ঘটনায় মামলা করা হলেও ঠিকাদার ওই আওয়ামী লীগ নেতার চাপে মামলা তুলে নিতে বাধ্য হন জহুরুল।
২০১৪ সালে প্রথম আলোর সাংবাদিক তৌহিদী হাসান ও চ্যানেল টুয়েন্টিফোরের সাংবাদিক শরীফ বিশ্বাস কুষ্টিয়া সরকারি কলেজে ভর্তি পরীক্ষায় শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা তাঁদের বেধড়ক মারধর করেন। সে সময় মামলা করতে দেওয়া হয়নি ভুক্তভোগী দুই সাংবাদিককে। বরং ঘটনা মীমাংসা করে নিতে উল্টো চাপ দেওয়া হয়েছিল।
প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক তৌহিদী হাসান বলেন, শিলাইদহের ঘটনায় মামলা তুলে নেওয়ার চাপ ছিল আর সরকারি কলেজের ঘটনায় মামলা করতেই দেওয়া হয়নি। তিনি মনে করেন, সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনা উদ্বেগজনক হারে বেড়েছে। যেখানে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগও দেওয়া হচ্ছে না।
২০১২ সালে কুষ্টিয়া শহরতলির একটি মাদ্রাসায় ছাত্রকে যৌন নির্যাতনের সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে হামলার শিকার হন ইনডিপেন্ডেন্ট টেলিভিশনের সাংবাদিক মিলনউল্লাহ ও ক্যামেরাপারসন নিয়ামুল হক। এ ঘটনায় মিলনউল্লাহ বাদী হয়ে মামলা করলেও পরে তিনি মামলা থেকে সরে আসতে বাধ্য হন। মিলনউল্লাহ বলেন, ‘মামলা নিয়ে অন্য রাজনীতি শুরু হয়েছিল। সেই সঙ্গে স্থানীয়ভাবে চাপও ছিল। তাই পরে বাধ্য হয়ে আমি সরে এসেছি।’
এদিকে চলতি বছরের ১৬ ফেব্রুয়ারি কুষ্টিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনার সংবাদ সংগ্রহকালে হামলা ও বেধড়ক মারধরের শিকার হয়েছেন স্থানীয় দৈনিক খবরওয়ালা পত্রিকার চিত্র সাংবাদিক ইমরান হোসেন। পরে কুষ্টিয়া মডেল থানায় মামলা করেছেন ইমরান।
সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক) কুষ্টিয়া জেলার শাখার সদস্য মিজানুর রহমান লাকী বলেন, মূলত ওপরে ওপরে সম্পর্ক দেখালেও সাংবাদিকদের পাশে কেউ থাকতে চায় না। কারণ দুর্নীতিগ্রস্ত কর্মকর্তা, রাজনৈতিক নেতা আর পুলিশ প্রশাসন—এরা সবাই সাংবাদিকদের প্রতিপক্ষ মনে করে। যে কারণে কোনো সাংবাদিক বিপদে পড়লে তারাই আবার প্রভাব বিস্তার করে। তা ছাড়া রাজনৈতিক ও প্রশাসনের চাপেও বাধ্য হতে হয় মামলা গুটিয়ে নিতে।
কুষ্টিয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি আল মামুন সাগর বলেন, ‘বিচারহীনতার সংস্কৃতির কারণে হামলাকারীরা সব সময় বহাল তবিয়তে থাকে। পুলিশ দুদিন পর আগ্রহ হারিয়ে ফেলে। পরে কোনো সহযোগিতা না পেয়ে হামলার শিকার সাংবাদিকও চাপে পড়ে মামলা তুলে নিতে বাধ্য হন। এ কারণে ওই মামলাগুলো আর আলোর মুখ দেখে না। এর জন্য প্রয়োজন রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় আইনের কঠোর প্রয়োগ। সর্বশেষ গাজীপুরে সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিন হত্যা আমাদের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়েছে।’
কুষ্টিয়ার অবসরপ্রাপ্ত সহকারী পুলিশ সুপার (সদর দপ্তর) মো. শহিদুল্লাহ মনে করেন, মামলায় প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষীর অভাব, ক্রাইম সিনের আলামত আমজনতার অসচেতনতার কারণে নষ্ট হয়ে যাওয়া এবং প্রথম দিকে সাংবাদিকেরা রুবেলের হত্যাকাণ্ড নিয়ে হইচই করলেও পরে হঠাৎ নীরব হয়ে যাওয়াই মামলাটি তদন্তাধীন থাকার কারণ হতে পারে।

আল-আমিনের বাবা আব্দুর রাজ্জাক জানান, ডাকাতদের হাতে দা, চায়নিজ কুড়াল ও আগ্নেয়াস্ত্র (শটগান) ছিল। ডাকাতি শেষে ডাকাত দলটি পুনরায় নৌপথে ট্রলারযোগে পালিয়ে যায়।
৭ মিনিট আগে
মেহেরপুরের গাংনীতে দুই মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে রাকেশ আহমেদ নামের একজন নিহত হয়েছে। এই ঘটনায় আহত হয়েছে আরও দুজন। রোববার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার বামন্দী বাসস্ট্যান্ডে এই ঘটনা ঘটে। নিহত রাকেশ আহমেদ উপজেলার তেরাইল গ্রামের মো. কামরুল ইসলামের ছেলে।
১৮ মিনিট আগে
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও ঢাকা-৮ আসন থেকে সম্ভাব্য সংসদ সদস্য প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ওপর সশস্ত্র হামলার ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিরা যাতে দেশ ছেড়ে পালাতে না পারে, সে জন্য পঞ্চগড় সীমান্ত এলাকায় বিশেষ টহল ও তল্লাশি জোরদার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
১ ঘণ্টা আগে
টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে যমুনা নদীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করায় পাঁচজনকে জরিমানা করা হয়েছে। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার যমুনা নদীতে এই অভিযান পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাহবুব হাসান।
১ ঘণ্টা আগেমুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি

মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ও আগ্নেয়াস্ত্রের মুখে জিম্মি করে স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকাসহ প্রায় ৫০ লাখ টাকার মালপত্র লুটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। শনিবার দিবাগত রাত ২টা থেকে ৩টার মধ্যে উপজেলার বালুচর ইউনিয়নের চান্দেরচর গ্রামের কুয়েতপ্রবাসী মো. আল-আমিনের ডুপ্লেক্স বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে। নৌপথে ট্রলারযোগে এসে ১২-১৫ জন মুখোশ পরা ডাকাত এই ডাকাতি করে।
ভুক্তভোগী পরিবার জানায়, কুয়েত থেকে দেশে ফেরার মাত্র পাঁচ দিনের মাথায় ডাকাতির কবলে পড়েন মো. আল-আমিন। ডাকাতেরা ঘরের দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশীয় অস্ত্র প্রদর্শন করে এবং একাধিক ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে পরিবারের সদস্যদের আতঙ্কিত করে তোলে। এ সময় তারা আনুমানিক ২৬ ভরি স্বর্ণালংকার, নগদ প্রায় ৫ লাখ টাকা, কুয়েতি মুদ্রা প্রায় ১০০ দিনার এবং দুটি মোবাইল ফোন লুট করে নেয়। লুট হওয়া মালপত্রের আনুমানিক মূল্য প্রায় ৫০ লাখ টাকা বলে দাবি করেছেন ভুক্তভোগীরা।
আল-আমিনের বাবা আব্দুর রাজ্জাক জানান, ডাকাতদের হাতে দা, চায়নিজ কুড়াল ও আগ্নেয়াস্ত্র (শটগান) ছিল। ডাকাতি শেষে ডাকাত দলটি পুনরায় নৌপথে ট্রলারযোগে পালিয়ে যায়।
এই ঘটনায় বাড়ির সিসিটিভি ফুটেজ উদ্ধার করা হয়েছে। ফুটেজে ১০-১৫ জনের একটি সশস্ত্র ডাকাত দলকে বাড়িতে প্রবেশ করতে দেখা গেছে।

সিরাজদিখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আ. হান্নান বলেন, ‘ডাকাতির খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত রয়েছি। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও অন্য কর্মকর্তারাও ঘটনাস্থলে রয়েছেন। এই ঘটনায় আমরা তদন্ত শুরু করেছি। আশা করছি, দ্রুত সময়ের মধ্যে ডাকাতদের শনাক্ত করতে পারব। তবে এখন পর্যন্ত এই ঘটনায় কোনো লিখিত অভিযোগ বা মামলা হয়নি।’

মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ও আগ্নেয়াস্ত্রের মুখে জিম্মি করে স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকাসহ প্রায় ৫০ লাখ টাকার মালপত্র লুটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। শনিবার দিবাগত রাত ২টা থেকে ৩টার মধ্যে উপজেলার বালুচর ইউনিয়নের চান্দেরচর গ্রামের কুয়েতপ্রবাসী মো. আল-আমিনের ডুপ্লেক্স বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে। নৌপথে ট্রলারযোগে এসে ১২-১৫ জন মুখোশ পরা ডাকাত এই ডাকাতি করে।
ভুক্তভোগী পরিবার জানায়, কুয়েত থেকে দেশে ফেরার মাত্র পাঁচ দিনের মাথায় ডাকাতির কবলে পড়েন মো. আল-আমিন। ডাকাতেরা ঘরের দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশীয় অস্ত্র প্রদর্শন করে এবং একাধিক ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে পরিবারের সদস্যদের আতঙ্কিত করে তোলে। এ সময় তারা আনুমানিক ২৬ ভরি স্বর্ণালংকার, নগদ প্রায় ৫ লাখ টাকা, কুয়েতি মুদ্রা প্রায় ১০০ দিনার এবং দুটি মোবাইল ফোন লুট করে নেয়। লুট হওয়া মালপত্রের আনুমানিক মূল্য প্রায় ৫০ লাখ টাকা বলে দাবি করেছেন ভুক্তভোগীরা।
আল-আমিনের বাবা আব্দুর রাজ্জাক জানান, ডাকাতদের হাতে দা, চায়নিজ কুড়াল ও আগ্নেয়াস্ত্র (শটগান) ছিল। ডাকাতি শেষে ডাকাত দলটি পুনরায় নৌপথে ট্রলারযোগে পালিয়ে যায়।
এই ঘটনায় বাড়ির সিসিটিভি ফুটেজ উদ্ধার করা হয়েছে। ফুটেজে ১০-১৫ জনের একটি সশস্ত্র ডাকাত দলকে বাড়িতে প্রবেশ করতে দেখা গেছে।

সিরাজদিখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আ. হান্নান বলেন, ‘ডাকাতির খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত রয়েছি। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও অন্য কর্মকর্তারাও ঘটনাস্থলে রয়েছেন। এই ঘটনায় আমরা তদন্ত শুরু করেছি। আশা করছি, দ্রুত সময়ের মধ্যে ডাকাতদের শনাক্ত করতে পারব। তবে এখন পর্যন্ত এই ঘটনায় কোনো লিখিত অভিযোগ বা মামলা হয়নি।’

কুষ্টিয়ায় গত দেড় দশকে সাংবাদিকদের ওপর হামলা ও হত্যার ডজনখানেক ঘটনা ঘটেছে। তবে অধিকাংশ মামলার বিচারপ্রক্রিয়া আলোর মুখ দেখেনি। বেশির ভাগ মামলাই ক্ষমতাসীনদের চাপে মাঝপথে থমকে গেছে। বেশ কয়েকটি মামলা তদন্ত পর্যায়ে আটকে রয়েছে।
১১ আগস্ট ২০২৫
মেহেরপুরের গাংনীতে দুই মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে রাকেশ আহমেদ নামের একজন নিহত হয়েছে। এই ঘটনায় আহত হয়েছে আরও দুজন। রোববার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার বামন্দী বাসস্ট্যান্ডে এই ঘটনা ঘটে। নিহত রাকেশ আহমেদ উপজেলার তেরাইল গ্রামের মো. কামরুল ইসলামের ছেলে।
১৮ মিনিট আগে
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও ঢাকা-৮ আসন থেকে সম্ভাব্য সংসদ সদস্য প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ওপর সশস্ত্র হামলার ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিরা যাতে দেশ ছেড়ে পালাতে না পারে, সে জন্য পঞ্চগড় সীমান্ত এলাকায় বিশেষ টহল ও তল্লাশি জোরদার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
১ ঘণ্টা আগে
টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে যমুনা নদীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করায় পাঁচজনকে জরিমানা করা হয়েছে। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার যমুনা নদীতে এই অভিযান পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাহবুব হাসান।
১ ঘণ্টা আগেগাংনী (মেহেরপুর) প্রতিনিধি

মেহেরপুরের গাংনীতে দুই মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে রাকেশ আহমেদ নামের একজন নিহত হয়েছে। এই ঘটনায় আহত হয়েছে আরও দুজন।
রোববার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার বামন্দী বাসস্ট্যান্ডে এই ঘটনা ঘটে। নিহত রাকেশ আহমেদ উপজেলার তেরাইল গ্রামের মো. কামরুল ইসলামের ছেলে। সে স্থানীয় বামন্দী নিশিপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজের দশম শ্রেণির ছাত্র ছিল।
আহত ব্যক্তিরা হলো মেহেরপুর মল্লিকপাড়ার আব্দুল বাকির ছেলে অভিক আহমেদ (২৮) ও বামন্দী মিনকুল ইসলামের ছেলে শয়ন আলী (১৬)।
প্রত্যক্ষদর্শী হাসেম আলী বলেন, দুটি মোটরসাইকেল বামন্দী বাসস্ট্যান্ডে পৌঁছালে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক একজনকে মৃত ঘোষণা করেন। অন্যজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর কর হয়। একজন স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে।
বামন্দী সেন্ট্রাল হাসপাতালের চিকিৎসক মাহফুজুর রহমান বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হওয়া রাকেশ আহমেদ নামের একজন মারা গেছে। হাসপাতালে আসার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে। আহত একজনকে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। আরেকজন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে।
গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উত্তম কুমার দাস বলেন, দুর্ঘটনার সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।

মেহেরপুরের গাংনীতে দুই মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে রাকেশ আহমেদ নামের একজন নিহত হয়েছে। এই ঘটনায় আহত হয়েছে আরও দুজন।
রোববার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার বামন্দী বাসস্ট্যান্ডে এই ঘটনা ঘটে। নিহত রাকেশ আহমেদ উপজেলার তেরাইল গ্রামের মো. কামরুল ইসলামের ছেলে। সে স্থানীয় বামন্দী নিশিপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজের দশম শ্রেণির ছাত্র ছিল।
আহত ব্যক্তিরা হলো মেহেরপুর মল্লিকপাড়ার আব্দুল বাকির ছেলে অভিক আহমেদ (২৮) ও বামন্দী মিনকুল ইসলামের ছেলে শয়ন আলী (১৬)।
প্রত্যক্ষদর্শী হাসেম আলী বলেন, দুটি মোটরসাইকেল বামন্দী বাসস্ট্যান্ডে পৌঁছালে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক একজনকে মৃত ঘোষণা করেন। অন্যজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর কর হয়। একজন স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে।
বামন্দী সেন্ট্রাল হাসপাতালের চিকিৎসক মাহফুজুর রহমান বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হওয়া রাকেশ আহমেদ নামের একজন মারা গেছে। হাসপাতালে আসার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে। আহত একজনকে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। আরেকজন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে।
গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উত্তম কুমার দাস বলেন, দুর্ঘটনার সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।

কুষ্টিয়ায় গত দেড় দশকে সাংবাদিকদের ওপর হামলা ও হত্যার ডজনখানেক ঘটনা ঘটেছে। তবে অধিকাংশ মামলার বিচারপ্রক্রিয়া আলোর মুখ দেখেনি। বেশির ভাগ মামলাই ক্ষমতাসীনদের চাপে মাঝপথে থমকে গেছে। বেশ কয়েকটি মামলা তদন্ত পর্যায়ে আটকে রয়েছে।
১১ আগস্ট ২০২৫
আল-আমিনের বাবা আব্দুর রাজ্জাক জানান, ডাকাতদের হাতে দা, চায়নিজ কুড়াল ও আগ্নেয়াস্ত্র (শটগান) ছিল। ডাকাতি শেষে ডাকাত দলটি পুনরায় নৌপথে ট্রলারযোগে পালিয়ে যায়।
৭ মিনিট আগে
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও ঢাকা-৮ আসন থেকে সম্ভাব্য সংসদ সদস্য প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ওপর সশস্ত্র হামলার ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিরা যাতে দেশ ছেড়ে পালাতে না পারে, সে জন্য পঞ্চগড় সীমান্ত এলাকায় বিশেষ টহল ও তল্লাশি জোরদার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
১ ঘণ্টা আগে
টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে যমুনা নদীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করায় পাঁচজনকে জরিমানা করা হয়েছে। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার যমুনা নদীতে এই অভিযান পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাহবুব হাসান।
১ ঘণ্টা আগেপঞ্চগড় প্রতিনিধি

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও ঢাকা-৮ আসন থেকে সম্ভাব্য সংসদ সদস্য প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ওপর সশস্ত্র হামলার ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিরা যাতে দেশ ছেড়ে পালাতে না পারে, সে জন্য পঞ্চগড় সীমান্ত এলাকায় বিশেষ টহল ও তল্লাশি জোরদার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
বিজিবি সূত্র জানায়, সীমান্ত এলাকায় নিজস্ব গোয়েন্দা তৎপরতা বৃদ্ধি করা হয়েছে। ব্যাটালিয়ন সদর ও বিওপির নিয়মিত টহলের পাশাপাশি বিশেষ টহল দল মোতায়েন করে সীমান্তবর্তী গুরুত্বপূর্ণ ও ঝুঁকিপূর্ণ স্থানগুলোতে তল্লাশি কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। বিশেষ টহলের অংশ হিসেবে সীমান্ত এলাকায় চলাচলকারী যানবাহন ও সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের তল্লাশি অব্যাহত রয়েছে।
এ ছাড়া ব্যাটালিয়নের অধীন বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে (আইসিপি) নজরদারি আরও জোরদার করা হয়েছে। আইসিপি দিয়ে যাতায়াতকারী যানবাহন ও যাত্রীদের নিবিড়ভাবে তল্লাশি করা হচ্ছে। পাশাপাশি কে-৯ ইউনিটের (ডগ স্কোয়াড) মাধ্যমে বিশেষ তল্লাশি কার্যক্রম চালানো হচ্ছে।

পঞ্চগড় ১৮ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ কায়েস বলেন, ‘আমাদের দায়িত্বপূর্ণ এলাকা দিয়ে কোনো সন্দেহভাজন ব্যক্তি যাতে পার্শ্ববর্তী দেশে পালাতে না পারে, সে বিষয়ে বিজিবি সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানোর পাশাপাশি সীমান্ত নিরাপত্তাও জোরদার করা হয়েছে।’

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও ঢাকা-৮ আসন থেকে সম্ভাব্য সংসদ সদস্য প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ওপর সশস্ত্র হামলার ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিরা যাতে দেশ ছেড়ে পালাতে না পারে, সে জন্য পঞ্চগড় সীমান্ত এলাকায় বিশেষ টহল ও তল্লাশি জোরদার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
বিজিবি সূত্র জানায়, সীমান্ত এলাকায় নিজস্ব গোয়েন্দা তৎপরতা বৃদ্ধি করা হয়েছে। ব্যাটালিয়ন সদর ও বিওপির নিয়মিত টহলের পাশাপাশি বিশেষ টহল দল মোতায়েন করে সীমান্তবর্তী গুরুত্বপূর্ণ ও ঝুঁকিপূর্ণ স্থানগুলোতে তল্লাশি কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। বিশেষ টহলের অংশ হিসেবে সীমান্ত এলাকায় চলাচলকারী যানবাহন ও সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের তল্লাশি অব্যাহত রয়েছে।
এ ছাড়া ব্যাটালিয়নের অধীন বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে (আইসিপি) নজরদারি আরও জোরদার করা হয়েছে। আইসিপি দিয়ে যাতায়াতকারী যানবাহন ও যাত্রীদের নিবিড়ভাবে তল্লাশি করা হচ্ছে। পাশাপাশি কে-৯ ইউনিটের (ডগ স্কোয়াড) মাধ্যমে বিশেষ তল্লাশি কার্যক্রম চালানো হচ্ছে।

পঞ্চগড় ১৮ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ কায়েস বলেন, ‘আমাদের দায়িত্বপূর্ণ এলাকা দিয়ে কোনো সন্দেহভাজন ব্যক্তি যাতে পার্শ্ববর্তী দেশে পালাতে না পারে, সে বিষয়ে বিজিবি সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানোর পাশাপাশি সীমান্ত নিরাপত্তাও জোরদার করা হয়েছে।’

কুষ্টিয়ায় গত দেড় দশকে সাংবাদিকদের ওপর হামলা ও হত্যার ডজনখানেক ঘটনা ঘটেছে। তবে অধিকাংশ মামলার বিচারপ্রক্রিয়া আলোর মুখ দেখেনি। বেশির ভাগ মামলাই ক্ষমতাসীনদের চাপে মাঝপথে থমকে গেছে। বেশ কয়েকটি মামলা তদন্ত পর্যায়ে আটকে রয়েছে।
১১ আগস্ট ২০২৫
আল-আমিনের বাবা আব্দুর রাজ্জাক জানান, ডাকাতদের হাতে দা, চায়নিজ কুড়াল ও আগ্নেয়াস্ত্র (শটগান) ছিল। ডাকাতি শেষে ডাকাত দলটি পুনরায় নৌপথে ট্রলারযোগে পালিয়ে যায়।
৭ মিনিট আগে
মেহেরপুরের গাংনীতে দুই মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে রাকেশ আহমেদ নামের একজন নিহত হয়েছে। এই ঘটনায় আহত হয়েছে আরও দুজন। রোববার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার বামন্দী বাসস্ট্যান্ডে এই ঘটনা ঘটে। নিহত রাকেশ আহমেদ উপজেলার তেরাইল গ্রামের মো. কামরুল ইসলামের ছেলে।
১৮ মিনিট আগে
টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে যমুনা নদীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করায় পাঁচজনকে জরিমানা করা হয়েছে। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার যমুনা নদীতে এই অভিযান পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাহবুব হাসান।
১ ঘণ্টা আগেভূঞাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে যমুনা নদীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করায় পাঁচজনকে জরিমানা করা হয়েছে। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার যমুনা নদীতে এই অভিযান পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাহবুব হাসান।
বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন অনুযায়ী দায়ের করা পাঁচটি পৃথক মামলায় অভিযুক্ত পাঁচজনকে ৫০ হাজার টাকা করে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন সিরাজগঞ্জের অছির আলীর ছেলে ইজতেহার (৫০), নড়াইলের দাউদ মোল্লার ছেলে নুর মোহাম্মদ (৩৬), বরগুনার নাসির খানের ছেলে হাসান (২৪), ভূঞাপুরের মোকতেল হোসেনের ছেলে করিম (৩৫) ও সানু মিয়ার ছেলে জহুরুল (৩০)।
এ সময় ভূঞাপুর থানা-পুলিশ, নৌ পুলিশসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহবুব হাসান বলেন, যমুনা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের দায়ে পাঁচজনকে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে অবৈধ বালু উত্তোলন রোধে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে যমুনা নদীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করায় পাঁচজনকে জরিমানা করা হয়েছে। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার যমুনা নদীতে এই অভিযান পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাহবুব হাসান।
বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন অনুযায়ী দায়ের করা পাঁচটি পৃথক মামলায় অভিযুক্ত পাঁচজনকে ৫০ হাজার টাকা করে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন সিরাজগঞ্জের অছির আলীর ছেলে ইজতেহার (৫০), নড়াইলের দাউদ মোল্লার ছেলে নুর মোহাম্মদ (৩৬), বরগুনার নাসির খানের ছেলে হাসান (২৪), ভূঞাপুরের মোকতেল হোসেনের ছেলে করিম (৩৫) ও সানু মিয়ার ছেলে জহুরুল (৩০)।
এ সময় ভূঞাপুর থানা-পুলিশ, নৌ পুলিশসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহবুব হাসান বলেন, যমুনা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের দায়ে পাঁচজনকে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে অবৈধ বালু উত্তোলন রোধে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

কুষ্টিয়ায় গত দেড় দশকে সাংবাদিকদের ওপর হামলা ও হত্যার ডজনখানেক ঘটনা ঘটেছে। তবে অধিকাংশ মামলার বিচারপ্রক্রিয়া আলোর মুখ দেখেনি। বেশির ভাগ মামলাই ক্ষমতাসীনদের চাপে মাঝপথে থমকে গেছে। বেশ কয়েকটি মামলা তদন্ত পর্যায়ে আটকে রয়েছে।
১১ আগস্ট ২০২৫
আল-আমিনের বাবা আব্দুর রাজ্জাক জানান, ডাকাতদের হাতে দা, চায়নিজ কুড়াল ও আগ্নেয়াস্ত্র (শটগান) ছিল। ডাকাতি শেষে ডাকাত দলটি পুনরায় নৌপথে ট্রলারযোগে পালিয়ে যায়।
৭ মিনিট আগে
মেহেরপুরের গাংনীতে দুই মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে রাকেশ আহমেদ নামের একজন নিহত হয়েছে। এই ঘটনায় আহত হয়েছে আরও দুজন। রোববার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার বামন্দী বাসস্ট্যান্ডে এই ঘটনা ঘটে। নিহত রাকেশ আহমেদ উপজেলার তেরাইল গ্রামের মো. কামরুল ইসলামের ছেলে।
১৮ মিনিট আগে
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও ঢাকা-৮ আসন থেকে সম্ভাব্য সংসদ সদস্য প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ওপর সশস্ত্র হামলার ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিরা যাতে দেশ ছেড়ে পালাতে না পারে, সে জন্য পঞ্চগড় সীমান্ত এলাকায় বিশেষ টহল ও তল্লাশি জোরদার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
১ ঘণ্টা আগে