দেবাশীষ দত্ত,কুষ্টিয়া
‘যাওয়ার সময় বাবা বলেছিল, তুই যাবি নে? আমি বলেছিলাম, না বাবা আমার শরীর খারাপ। বমি হচ্ছে, আমি যাব না। বাবা বলেছিল, আর কোন জায়গায় তোকে নিয়ে যাব না। ওই দিন বাবার সাথে শেষ কথা হয়েছিল। আর কোনো দিন কথা বলতে পারব না বাবার সাথে। বাবা আমারে কয়ে থুয়ে গেছিলো, তুই থাকিস আমি আসবনে।’
বাবার মরদেহের পাশে বসে কাঁদতে কাঁদতে কথাগুলো বলছিল চট্টগ্রামের জাঙ্গালিয়া এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত কুষ্টিয়ার আশীষ মণ্ডলের ৯ বছরের মেয়ে আনুশকা মণ্ডল পরী।
এর আগে আজ বৃহস্পতিবার বেলা দেড়টার দিকে আশীষের মরদেহ বহনকারী অ্যাম্বুলেন্সটি কুষ্টিয়া শহরের কুমারগাড়া ঘোষপাড়ায় বাড়িতে পৌঁছালে তার স্বজনেরা আহাজারি করে ওঠেন। তাঁকে শেষবারের মতো এক নজর শেষ দেখার জন্য ভিড় করে এলাকাবাসী।
বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, বারবার মূর্ছা যাচ্ছিলেন আশীষের স্ত্রী। স্বজনেরা তাঁকে বোঝানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হচ্ছিলেন। সে সময় পাশেই দাঁড়িয়ে ছিলেন শ্বশুর মিহির বিশ্বাস। কথা হলে চোখ মুছে তিনি বলেন, ‘গত রোববার কুষ্টিয়া থেকে জামাই (আশীষ) তার ভাইয়ের ছেলে দুর্জয়কে নিয়ে পিকনিকে যাওয়ার জন্য ঢাকায় বোন-জামাইয়ের বাড়িতে যায়। সেখানে থেকে বোন সাধনা রানী মণ্ডল, ভগ্নিপতি দিলীপ কুমার বিশ্বাস, ভাগনি আরাধ্যা বিশ্বাসসহ কয়েকজন মাইক্রোবাসে কক্সবাজার যাওয়ার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় পড়ে। এতে জামাই, তার বোন ও ভগ্নিপতির মৃত্যু হয়। আজ দুপুরে জামাইয়ের নিথর দেহ বাড়িতে পৌঁছেছে। এখন কীভাবে চলবে এই পরিবার এই ভেবে আমার মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ছে।’
স্বজন ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আশীষ মণ্ডল স্থানীয় একটি বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরি করতেন। কর্মস্থলের কাছাকাছি শহরের নিজ বাড়িতেই স্ত্রী ও এক মেয়েকে নিয়ে থাকতেন। খুব ছোটবেলায় মামা তাঁকে গ্রাম থেকে নিয়ে এসেছিলেন। সেই সূত্রে মামা বাড়ির পাশেই জমি কিনে স্থায়ী বসবাস করছেন।
নিহত আশীষ মণ্ডল কুমারখালী উপজেলার চাঁদপুর ইউনিয়নের শ্রীপুর গ্রামের মৃত যতীন্দ্রনাথ মণ্ডলের ছেলে।
এদিকে ভাগনেকে হারিয়ে বাকরুদ্ধ মামা গোপাল চন্দ্র বিশ্বাস। কথা হলে তিনি বলেন, ‘আশীষের যখন দেড় বছর বয়স তখন আমি তাকে আমার কাছে নিয়ে এসেছি। সন্তানের মতো কোলে-পিঠে করে ভাগনেকে বড় করেছি। কুষ্টিয়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট থেকে পড়াশোনা করে একটি বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরি করছিল। বিবাহিত জীবনে তার ৯ বছরের একটি মেয়ে আছে। এখন কোথায় যাবে ওরা? ওদের তো আর কেউ থাকল না।’
‘যাওয়ার সময় বাবা বলেছিল, তুই যাবি নে? আমি বলেছিলাম, না বাবা আমার শরীর খারাপ। বমি হচ্ছে, আমি যাব না। বাবা বলেছিল, আর কোন জায়গায় তোকে নিয়ে যাব না। ওই দিন বাবার সাথে শেষ কথা হয়েছিল। আর কোনো দিন কথা বলতে পারব না বাবার সাথে। বাবা আমারে কয়ে থুয়ে গেছিলো, তুই থাকিস আমি আসবনে।’
বাবার মরদেহের পাশে বসে কাঁদতে কাঁদতে কথাগুলো বলছিল চট্টগ্রামের জাঙ্গালিয়া এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত কুষ্টিয়ার আশীষ মণ্ডলের ৯ বছরের মেয়ে আনুশকা মণ্ডল পরী।
এর আগে আজ বৃহস্পতিবার বেলা দেড়টার দিকে আশীষের মরদেহ বহনকারী অ্যাম্বুলেন্সটি কুষ্টিয়া শহরের কুমারগাড়া ঘোষপাড়ায় বাড়িতে পৌঁছালে তার স্বজনেরা আহাজারি করে ওঠেন। তাঁকে শেষবারের মতো এক নজর শেষ দেখার জন্য ভিড় করে এলাকাবাসী।
বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, বারবার মূর্ছা যাচ্ছিলেন আশীষের স্ত্রী। স্বজনেরা তাঁকে বোঝানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হচ্ছিলেন। সে সময় পাশেই দাঁড়িয়ে ছিলেন শ্বশুর মিহির বিশ্বাস। কথা হলে চোখ মুছে তিনি বলেন, ‘গত রোববার কুষ্টিয়া থেকে জামাই (আশীষ) তার ভাইয়ের ছেলে দুর্জয়কে নিয়ে পিকনিকে যাওয়ার জন্য ঢাকায় বোন-জামাইয়ের বাড়িতে যায়। সেখানে থেকে বোন সাধনা রানী মণ্ডল, ভগ্নিপতি দিলীপ কুমার বিশ্বাস, ভাগনি আরাধ্যা বিশ্বাসসহ কয়েকজন মাইক্রোবাসে কক্সবাজার যাওয়ার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় পড়ে। এতে জামাই, তার বোন ও ভগ্নিপতির মৃত্যু হয়। আজ দুপুরে জামাইয়ের নিথর দেহ বাড়িতে পৌঁছেছে। এখন কীভাবে চলবে এই পরিবার এই ভেবে আমার মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ছে।’
স্বজন ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আশীষ মণ্ডল স্থানীয় একটি বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরি করতেন। কর্মস্থলের কাছাকাছি শহরের নিজ বাড়িতেই স্ত্রী ও এক মেয়েকে নিয়ে থাকতেন। খুব ছোটবেলায় মামা তাঁকে গ্রাম থেকে নিয়ে এসেছিলেন। সেই সূত্রে মামা বাড়ির পাশেই জমি কিনে স্থায়ী বসবাস করছেন।
নিহত আশীষ মণ্ডল কুমারখালী উপজেলার চাঁদপুর ইউনিয়নের শ্রীপুর গ্রামের মৃত যতীন্দ্রনাথ মণ্ডলের ছেলে।
এদিকে ভাগনেকে হারিয়ে বাকরুদ্ধ মামা গোপাল চন্দ্র বিশ্বাস। কথা হলে তিনি বলেন, ‘আশীষের যখন দেড় বছর বয়স তখন আমি তাকে আমার কাছে নিয়ে এসেছি। সন্তানের মতো কোলে-পিঠে করে ভাগনেকে বড় করেছি। কুষ্টিয়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট থেকে পড়াশোনা করে একটি বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরি করছিল। বিবাহিত জীবনে তার ৯ বছরের একটি মেয়ে আছে। এখন কোথায় যাবে ওরা? ওদের তো আর কেউ থাকল না।’
চলতি বছরের ১১ আগস্ট। যশোরের অভয়নগর উপজেলার শংকরপাশা গ্রামের সোনাচুনি বিলের মধ্যে একটি গাছের সঙ্গে গলায় কাপড় প্যাঁচানো অবস্থায় লিমন শেখ (২৫) নামের এক ভ্যানচালকের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। তিনি উপজেলার বুইকারা গ্রামের কাসেম শেখের ছেলে। শারীরিক প্রতিবন্ধী হলেও তিনি ইঞ্জিনচালিত ভ্যান চালিয়ে সংসার চালাতেন।
১ ঘণ্টা আগেগাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জনবল সংকট প্রকট আকার ধারণ করেছে। ৪৮টি পদ শূন্য থাকায় স্বাস্থ্যসেবা মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে অ্যানেসথেসিয়া চিকিৎসকের ঢাকায় প্রেষণে থাকা এবং দুই মেডিকেল কর্মকর্তার দীর্ঘদিন কর্মস্থলে অনুপস্থিতি।
১ ঘণ্টা আগেকিশোরীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের প্রতিবাদে অবরোধ এবং ১৪৪ ধারার মধ্যে খাগড়াছড়ির গুইমারায় গতকাল রোববার হামলায় তিনজন নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া ১৩ সেনাসদস্য, সাংবাদিকসহ অর্ধশতাধিক মানুষ আহত হয়েছেন। এ সময় আগুন দেওয়া হয়েছে একটি বাজারের দোকানপাটে।
৩ ঘণ্টা আগেজাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আবদুল হান্নান মাসউদ বলেছেন, ‘ভারত শেষ ট্রাম্পকার্ড খেলে পার্বত্য অঞ্চলকে অস্থিতিশীল করে তুলেছে। একটা ঘটনার মধ্য দিয়ে তারা পাহাড়ি-বাঙালিদের মুখোমুখি দাঁড় করিয়েছে। পার্বত্য অঞ্চল নিয়ে ষড়যন্ত্র করছে। ভারত আমাদের এই পার্বত্য অঞ্চলকে কেড়ে নিতে চায়
৩ ঘণ্টা আগে