মেহেদী হাসিন, রংপুর
‘লকডাউনের আগোত বিভিন্ন জাগাত দোকান নিয়া গেছনু। কুড়িগ্রামের রাজারহাট, তিস্তা, সৈয়দপুর, বদরগঞ্জের বিভিন্ন বাজার এলাকাত যায়া দোকান ধরি বসছুনু। পাঁচ সাত শ টাকা করি কামাই হইতো। কিন্তু লকডাউনোত যাওয়া বন্দ। ব্যবসাও হয় না। এখন কোনোমতে একশ-দেড়শ টাকা লাভ টেকে। আইজ দুই কেজি বাদাম নিয়া আসছু, বিক্রি হওচে না। এই ট্যাকা দিয়া সংসার চলে না। তবিল ঘাটতি। লস করি খাইছি। একটা লোন শোধ হইলে আরেকটা তুলি। এ্যাংকা করি কোনোমতে চলোচি।’
এই হলো সংক্ষেপে হরে কৃষ্ণের বর্তমান অবস্থা। রংপুরের বদরগঞ্জ পৌরশহরের বাসিন্দা তিনি। ফেরি করে রংপুরসহ আশপাশের জেলায় বাদাম, সন্দেশ ও চানাচুর বিক্রি করেন। সকাল থেকে স্কুল কলেজের সামনে আর বিকেলে বিভিন্ন হাটে দোকান দেন। দিনে আয় হয় ৫ শ থেকে ৭ শ টাকা। এই দিয়েই চলে স্ত্রী-পুত্রসহ তিনজনের সংসার।
তবে করোনাভাইরাসের কারণে গত বছর থেকে স্কুল কলেজ বন্ধ। হরে কৃষ্ণের ব্যবসায়ও ভাটা। লকডাউনের কারণে পরিবহন বন্ধ থাকায় দূরে যেতে পারছেন না, বাইরে বসলেও তেমন ক্রেতা পান না। আয় কমে যাওয়ায় মূলধন খরচ করে সংসার চালাতে হচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে হয়তো ব্যবসার পুঁজিই শেষ হয়ে যাবে।
ব্যবসায় মন্দা, বিভিন্ন এনজিও থেকে ঋণও নিয়েছেন ষাটোর্ধ্ব হরে কৃষ্ণ। এখন সপ্তাহে কিস্তি দিতে হয় ৮ শ টাকা। সংসার খরচ আর এনজিওর কিস্তির চাপ মিলে তিনি এখন দিশেহারা।
বৃহস্পতিবার বিকেলে বদরগঞ্জের মধুপুরের বোর্ডঘর বাজারে হরে কৃষ্ণের সঙ্গে আলাপ হয় এই প্রতিনিধির। তখন তাঁর ডালিতে কেজিখানেক বাদাম। ফ্যাল ফ্যাল করে তাকাচ্ছেন পথচারীদের দিকে। আশা, কেউ যদি এসে পাঁচ টাকার বাদাম কেনে। কিন্তু সবাই চলে যায়, তাঁকে যেন খেয়ালও করে না!
লকডাউনে বাদাম বিক্রি না হলেও আত্মসম্মান বিক্রি করেননি হরে কৃষ্ণ। সহায়তার জন্য কারও কাছে হাত না পেতে যা বিক্রি হয় তা দিয়েই টানছেন সংসারের ঘানি। দ্বাদশ শ্রেণি পড়ুয়া একমাত্র ছেলেকে উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত করার বাসনা তাঁর। কিন্তু লকডাউন সব এলোমেলো করে দিয়েছে।
হরে কৃষ্ণের কোনো জমি নেই। বাবার ১০ শতক জমিতে আরও সাতজন অংশীদার। সবাই মিলে ওই জায়গাতেই বাস করেন। সরকারি ঘরের জন্য কারও সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন কি–না এমন প্রশ্নে হরে কৃষ্ণ বলেন, ‘শুনছু পৌরসভার লোকের জন্যে নাকি নোয়ায় ওগলা বাড়ি। কার গোরত যাইতাম, কাঁয় মোক বাড়ি দেবে?’
হরে কৃষ্ণের বিষয়ে জানালে বদরগঞ্জ পৌর মেয়র টুটুল চৌধুরী বলেন, এবারের ঈদে সাড়ে ৫ হাজার পরিবারকে ১০ কেজি করে চাল দেওয়া হবে। এ জন্য ছবি, কার্ড নেওয়া হয়েছে। হরে কৃষ্ণ যদি আসেন তাহলে অবশ্যই তাঁকে সহযোগিতা করা হবে।
‘লকডাউনের আগোত বিভিন্ন জাগাত দোকান নিয়া গেছনু। কুড়িগ্রামের রাজারহাট, তিস্তা, সৈয়দপুর, বদরগঞ্জের বিভিন্ন বাজার এলাকাত যায়া দোকান ধরি বসছুনু। পাঁচ সাত শ টাকা করি কামাই হইতো। কিন্তু লকডাউনোত যাওয়া বন্দ। ব্যবসাও হয় না। এখন কোনোমতে একশ-দেড়শ টাকা লাভ টেকে। আইজ দুই কেজি বাদাম নিয়া আসছু, বিক্রি হওচে না। এই ট্যাকা দিয়া সংসার চলে না। তবিল ঘাটতি। লস করি খাইছি। একটা লোন শোধ হইলে আরেকটা তুলি। এ্যাংকা করি কোনোমতে চলোচি।’
এই হলো সংক্ষেপে হরে কৃষ্ণের বর্তমান অবস্থা। রংপুরের বদরগঞ্জ পৌরশহরের বাসিন্দা তিনি। ফেরি করে রংপুরসহ আশপাশের জেলায় বাদাম, সন্দেশ ও চানাচুর বিক্রি করেন। সকাল থেকে স্কুল কলেজের সামনে আর বিকেলে বিভিন্ন হাটে দোকান দেন। দিনে আয় হয় ৫ শ থেকে ৭ শ টাকা। এই দিয়েই চলে স্ত্রী-পুত্রসহ তিনজনের সংসার।
তবে করোনাভাইরাসের কারণে গত বছর থেকে স্কুল কলেজ বন্ধ। হরে কৃষ্ণের ব্যবসায়ও ভাটা। লকডাউনের কারণে পরিবহন বন্ধ থাকায় দূরে যেতে পারছেন না, বাইরে বসলেও তেমন ক্রেতা পান না। আয় কমে যাওয়ায় মূলধন খরচ করে সংসার চালাতে হচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে হয়তো ব্যবসার পুঁজিই শেষ হয়ে যাবে।
ব্যবসায় মন্দা, বিভিন্ন এনজিও থেকে ঋণও নিয়েছেন ষাটোর্ধ্ব হরে কৃষ্ণ। এখন সপ্তাহে কিস্তি দিতে হয় ৮ শ টাকা। সংসার খরচ আর এনজিওর কিস্তির চাপ মিলে তিনি এখন দিশেহারা।
বৃহস্পতিবার বিকেলে বদরগঞ্জের মধুপুরের বোর্ডঘর বাজারে হরে কৃষ্ণের সঙ্গে আলাপ হয় এই প্রতিনিধির। তখন তাঁর ডালিতে কেজিখানেক বাদাম। ফ্যাল ফ্যাল করে তাকাচ্ছেন পথচারীদের দিকে। আশা, কেউ যদি এসে পাঁচ টাকার বাদাম কেনে। কিন্তু সবাই চলে যায়, তাঁকে যেন খেয়ালও করে না!
লকডাউনে বাদাম বিক্রি না হলেও আত্মসম্মান বিক্রি করেননি হরে কৃষ্ণ। সহায়তার জন্য কারও কাছে হাত না পেতে যা বিক্রি হয় তা দিয়েই টানছেন সংসারের ঘানি। দ্বাদশ শ্রেণি পড়ুয়া একমাত্র ছেলেকে উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত করার বাসনা তাঁর। কিন্তু লকডাউন সব এলোমেলো করে দিয়েছে।
হরে কৃষ্ণের কোনো জমি নেই। বাবার ১০ শতক জমিতে আরও সাতজন অংশীদার। সবাই মিলে ওই জায়গাতেই বাস করেন। সরকারি ঘরের জন্য কারও সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন কি–না এমন প্রশ্নে হরে কৃষ্ণ বলেন, ‘শুনছু পৌরসভার লোকের জন্যে নাকি নোয়ায় ওগলা বাড়ি। কার গোরত যাইতাম, কাঁয় মোক বাড়ি দেবে?’
হরে কৃষ্ণের বিষয়ে জানালে বদরগঞ্জ পৌর মেয়র টুটুল চৌধুরী বলেন, এবারের ঈদে সাড়ে ৫ হাজার পরিবারকে ১০ কেজি করে চাল দেওয়া হবে। এ জন্য ছবি, কার্ড নেওয়া হয়েছে। হরে কৃষ্ণ যদি আসেন তাহলে অবশ্যই তাঁকে সহযোগিতা করা হবে।
টাঙ্গাইলের মধুপুর, ঘাটাইল ও সখীপুরসহ জেলার বিভিন্ন এলাকার বনভূমিকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে প্রায় ৫০০ করাতকল। এর মধ্যে ৩ শতাধিক করাতকলই অবৈধ। এ সব করাতকলে প্রতিদিন বনের কাঠ চেরাই করা হচ্ছে। পরে সেগুলো পাচার করা হচ্ছে ঢাকা-গাজীপুরসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায়। এদিকে কমছে বনের গাছ, কিছু কিছু এলাকায় গাছ কমে গিয়
৩ ঘণ্টা আগেনারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের শীর্ষ ডাকাত সর্দার সাহেব আলীকে ধরতে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছেন র্যাব-১১ এর সদস্যরা। সংঘবদ্ধ ডাকাত দলের হামলায় তিনজন র্যাব সদস্য আহতের খবর পাওয়া গেছে। তবে, তাৎক্ষণিকভাবে আহত কর্মকর্তাদের নাম-পদবি পাওয়া সম্ভব হয়নি। মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) রাতে ৯ টার দিকে নাসিক ৪ নম্বর ওয়ার্
৫ ঘণ্টা আগেমালিক-শ্রমিকদের দ্বন্দ্বে রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও নাটোর থেকে দূরপাল্লার বাস চলাচল আবার বন্ধ রয়েছে। উভয় পক্ষ তিন দফা বৈঠকে বসলেও সমস্যার সমাধান হয়নি। ফলে উত্তরের এই তিন জেলার যাত্রীরা চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।
৬ ঘণ্টা আগেরাজধানীর সিদ্ধেশ্বরী গার্লস স্কুলের নবম শ্রেণির এক ছাত্রীকে (১৬) খিলগাঁও থেকে অপহরণের অভিযোগে ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩-এ এই মামলা দায়ের করেন স্কুলছাত্রীর মা।
৭ ঘণ্টা আগে