Ajker Patrika

সাশ্রয়ী দামে ইলিশ বিক্রির ব্যবস্থা নেওয়া হবে: মৎস্য উপদেষ্টা

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে মতবিনিময় সভায় মৎস্য উপদেষ্টা। ছবি: আজকের পত্রিকা
কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে মতবিনিময় সভায় মৎস্য উপদেষ্টা। ছবি: আজকের পত্রিকা

দেশের কিছু এলাকায় বিএফডিসির মাধ্যমে সাশ্রয়ী দামে ইলিশ বিক্রির ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। তিনি বলেন, ‘গত মৌসুমের তুলনায় জুলাই মাসে ৩৭ ভাগ কম ইলিশ ধরা পড়েছে। আর আগস্ট মাসে ৪৭ ভাগ ইলিশ কম ধরা পড়েছে। যার কারণে বাজারে ইলিশের দাম বেশি। আমরা দামটা কমাতে পারিনি।’

আজ সোমবার কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে গতকাল রোববার সন্ধ্যায় সরকারি সফরে কুড়িগ্রাম আসেন মৎস্য উপদেষ্টা।

দেশের মানুষের জন্য সুলভ মূল্যে ইলিশ প্রাপ্তির সুযোগ না থাকা প্রসঙ্গে ফরিদা আখতার বলেন, ‘আমি খুবই দুঃখিত যে বাংলাদেশের মানুষের এখনো প্রাপ্যতা বাড়াতে পারিনি। এটার জন্য আমার মনে অনেক দুঃখ আছে।

‘ইতিমধ্যে আমরা সরকারিভাবে মাছ বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছি। ফিশারিজ ডেভেলপমেন্ট করপোরেশনের (বিএফডিসি) মাধ্যমে কিছু এলাকায় সাশ্রয়ী মূল্যে মাছ বিক্রির ব্যবস্থা নেওয়া হবে। উত্তরবঙ্গের কিছু মাছ সীমিত আকারে বিএফডিসির মাধ্যমে পাঠানোর উদ্যোগ নেব।’

ইলিশ রক্ষায় মন্ত্রণালয়ের প্রচেষ্টার কথা জানিয়ে মৎস্য উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা খুব সফলভাবে মা ইলিশ রক্ষা করতে পেরেছিলাম। প্রজননের হার ছিল প্রায় ৫২ শতাংশ। তার মানে ইলিশ বেশি পাওয়ার সম্ভাবনা ছিল। এবার ৫৮ দিন সফলভাবে জাটকা নিধন বন্ধ করতে পারলেও কোস্ট গার্ড, নৌ পুলিশ ও মৎস্য কর্মকর্তাদের অভিযানে হাজার হাজার টন কারেন্ট জাল ধরা পড়েছে। আমি মনে করি, আমাদের জাটকা সংরক্ষণটা জরুরি। এবার যে জাটকা রক্ষা হয়েছে, এর সুফল আমরা আগামী বছর পাব।’

ফরিদা আখতার বলেন, ‘এবার সময়মতো বৃষ্টি হয়নি। ডুবোচর ও পলি পড়ে নদীর নাব্যতা কমে গেছে। যে সময়ে ইলিশ সমুদ্র থেকে পদ্মা-মেঘনায় আসবে, সে সময়ে, জুলাই-আগস্টে আমরা তেমন ইলিশ পাইনি। ফলে ইলিশের বাজারে যে প্রাপ্যতা, সেটা আমরা আশানুরূপ পাইনি। সে কারণে আমরা দামটাকে কমাতে পারিনি।’

ভারতে ইলিশ রপ্তানিতে চাপ রয়েছে কি না—এমন প্রশ্নে উপদেষ্টা বলেন, ‘ভারতে মাছ পাঠানোর ব্যাপারটা দুর্গাপূজার সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়ে গেছে। প্রায় ছয় বছর ধরে ভারতে মাছ রপ্তানি হয়ে আসছে। সেখান থেকে যখন অনুরোধ আসে, তখন সৌজন্যবোধের কারণে দেওয়া হয়েছে। চাপটা সেই অর্থে নয়। যখন অনুরোধ আসে এবং দুর্গাপূজার মতো উৎসবের কথা বলা হয়, তখন সেখানে না বলাটা একটু অসুবিধা হয়। অন্য ধর্ম এবং আমাদের সম্প্রীতির যে ব্যাপারটা আমরা দেখাতে চাই, সে জন্যই এটা করা হয়েছে।’

মৎস্য খাতে প্রণোদনা চালুর প্রশ্নে ফরিদা আখতার বলেন, ‘কৃষিতে যেমন প্রণোদনা আছে, মৎস্য খাতে তেমন প্রণোদনা নেই বললেই চলে। তবে আমরা ইতিমধ্যে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছি। অন্তত কৃষিতে বিদ্যুতের যে দাম নির্ধারণ করা হয়েছে, মৎস্য চাষে তেমন করা যায় কি না, সেটা নিয়ে আমরা আলোচনা করছি, চেষ্টা করছি। বন্যার পরে ক্ষতিগ্রস্ত মৎস্যচাষিদের সহায়তা দেওয়ার বিষয়ে দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা করা হবে। আমার মনে হয়, এটা খুবই দরকার।’

এ সময় কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক সিফাত মেহনাজ, পুলিশ সুপার মাহফুজুর রহমানসহ সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বিক্ষোভ থেকে সহিংসতায় উত্তাল ভাঙ্গা, মসজিদে আশ্রয় নিয়েছেন পুলিশ সদস্যরা

দাওয়াত না দেওয়ায় মাদ্রাসার সব খাবার খেয়ে গেলেন বিএনপির নেতা-কর্মীরা

উত্তাল ভাঙ্গা: থানাসহ চারটি সরকারি দপ্তরে হামলা-ভাঙচুর, পুলিশসহ আহত অনেকে

সন্তানের গলা কেটে লাশ বাবার হাতে তুলে দিলেন মা

ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনসহ ৫ দাবিতে জামায়াতের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত