কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
কুড়িগ্রামে একটি বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান ও সহকারীর বিরুদ্ধে বিগত বছরের উদ্বৃত্ত বই গোপনে বিক্রি করার অভিযোগ উঠেছে। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে এ বই বিক্রির ঘটনা ঘটলেও, সম্প্রতি বিষয়টি প্রকাশ পেয়েছে। তবে অভিযোগের বিষয়টি অস্বীকার করে প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ দাবি করেছেন, কোনো সরকারি বই বিক্রি করা হয়নি। এ দিকে বিষয়টি নিয়ে তদন্ত কমিটি গঠনের কথা জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
এ ঘটনা ঘটেছে শহরের খলিলগঞ্জ স্কুল অ্যান্ড কলেজে। প্রতিষ্ঠানটির সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, শিক্ষার্থীদের জন্য বরাদ্দ সরকারি বই বিতরণের পর উদ্বৃত্ত বই কর্তৃপক্ষের কাছে ফেরত দেওয়ার বিধান থাকলেও অধ্যক্ষ ও সহকারী প্রধান শিক্ষকের যোগসাজশে তা বিক্রি করেছেন।
বিষয়টির সত্যতা স্বীকার করে সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জহুরুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা বিষয়টি জেনেছি। এভাবে সরকারি বই বিক্রির কোনো এখতিয়ার প্রতিষ্ঠান প্রধানের নেই। এরই মধ্যে বিক্রিকৃত কিছু বই উদ্ধার করা হয়েছে।’
নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রতিষ্ঠানটির কয়েকজন শিক্ষক ও অভিভাবক সদস্য আজকের পত্রিকাকে জানান, এক মাস আগে গোপনে রাতে সহকারী প্রধান শিক্ষক আনোয়ারুল ইসলাম সরদার স্টোর রুম থেকে গত বছরের উদ্বৃত্ত বই বের করে বিক্রি করেন। এ সময় দায়িত্বরত নৈশ প্রহরী তাঁকে প্রশ্ন করলে, তিনি অধ্যক্ষের নির্দেশনার কথা বলে স্টোর রুম থেকে বই বের করে কাগজ বিক্রেতা হান্নানের কাছে হস্তান্তর করেন। হান্নান একটি ট্রলিতে করে প্রায় ৫ মণ বই স্কুল থেকে নিয়ে যান।
জানা গেছে, কাগজ ব্যবসায়ী হান্নান কিছু বই বিভিন্ন দোকানে বিক্রি করেছেন। অবশিষ্ট বই তিনি শহরের পুরোনো রেল স্টেশনের কাছে রুবেল নামে এক কাগজ ব্যবসায়ীর কাছে বিক্রি করে দেন। সেসব বই কেনার কথা স্বীকারও করেছেন হান্নান ও রুবেল। রুবেলের দোকানে গিয়ে কিছু সরকারি বই পাওয়া গেছে।
প্রতিষ্ঠানটির নৈশ প্রহরী কাদের আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কয়েক দিন আগে সহকারী প্রধান শিক্ষক আনোয়ারুল ইসলাম সরদার কাগজ ব্যবসায়ী হান্নানকে সঙ্গে নিয়ে এসে স্টোর রুম থেকে এক ট্রলি বই বের করে নিয়ে যান। তাকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, অধ্যক্ষ ম্যাডাম নিয়ে যেতে বলেছে। আমি আর কিছু জানি না।’
কাগজ ব্যবসায়ী হান্নান বলেন, ‘প্রায় এক মাস আগে আমি প্রায় তিন মণ বই কিনে নিয়ে সেগুলো বিক্রি করে দিয়েছি। আর কে কে বই নিয়ে গেছে সেটা জানি না।’
নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রতিষ্ঠানটির একজন শিক্ষক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিগত বছরের প্রায় দুই থেকে আড়াই শ সেট বই বিক্রি করা হয়েছে। প্রতি বছর চাহিদার চেয়ে বেশি বই নেওয়া হয়। অধ্যক্ষ উদ্বৃত্ত বই ফেরত দেন না, বিক্রি করে দেন।’
এ বিষয়ে খলিলগঞ্জ স্কুল অ্যান্ড কলেজের সহকারী প্রধান শিক্ষক আনোয়ারুল ইসলাম সরদার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অধ্যক্ষ ম্যাডামের নির্দেশে কিছু কাগজপত্র বিক্রি করেছিলাম। এ বিষয়ে ম্যাডামের সঙ্গে কথা বলুন।’
তবে এ বিষয়ে অধ্যক্ষ রিতা রাণী দাবি করেন—শুধু পুরোনো কাগজপত্র ও কিছু গাইডবই বিক্রি করা হয়েছে। সেখানে সরকারি বই ছিল না। বিদায়ের আগ মুহূর্তে তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হচ্ছে।
অধ্যক্ষ রিতা রাণী বলেন, ‘অনেক বছর ধরে প্রতিষ্ঠান চালাচ্ছি। এত দিন কোনো সমস্যা হয়নি। এখন বিদায়ের আগে আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে এসব অভিযোগ করা হচ্ছে। আমি সরকারি বই বিক্রি করিনি।’
সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জহুরুল হক আজ শনিবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কোনো প্রতিষ্ঠানে বিতরণের পর উদ্বৃত্ত বই থাকলে তা কর্তৃপক্ষকে অবহিত করে ফেরত দিতে হয়। উপজেলা কমিটির মাধ্যমে যথাযথ প্রক্রিয়া ছাড়া সরকারি বই বিক্রির কোনো বিধান নেই। প্রতিষ্ঠান প্রধান বিধি-বহির্ভূত কাজ করেছেন। সম্প্রতি ঘটনাটি জানার পর আমরা কিছু বই উদ্ধার করে প্রতিষ্ঠানে ফেরত এনেছি। ঘটনা তদন্তে কমিটি করা হচ্ছে। জড়িতদের বিরুদ্ধে বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) রাসেদুল হাসান আজ শনিবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঘটনা তদন্তে ইতিমধ্যে মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। প্রতিবেদন পেলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করা হবে।’
কুড়িগ্রামে একটি বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান ও সহকারীর বিরুদ্ধে বিগত বছরের উদ্বৃত্ত বই গোপনে বিক্রি করার অভিযোগ উঠেছে। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে এ বই বিক্রির ঘটনা ঘটলেও, সম্প্রতি বিষয়টি প্রকাশ পেয়েছে। তবে অভিযোগের বিষয়টি অস্বীকার করে প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ দাবি করেছেন, কোনো সরকারি বই বিক্রি করা হয়নি। এ দিকে বিষয়টি নিয়ে তদন্ত কমিটি গঠনের কথা জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
এ ঘটনা ঘটেছে শহরের খলিলগঞ্জ স্কুল অ্যান্ড কলেজে। প্রতিষ্ঠানটির সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, শিক্ষার্থীদের জন্য বরাদ্দ সরকারি বই বিতরণের পর উদ্বৃত্ত বই কর্তৃপক্ষের কাছে ফেরত দেওয়ার বিধান থাকলেও অধ্যক্ষ ও সহকারী প্রধান শিক্ষকের যোগসাজশে তা বিক্রি করেছেন।
বিষয়টির সত্যতা স্বীকার করে সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জহুরুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা বিষয়টি জেনেছি। এভাবে সরকারি বই বিক্রির কোনো এখতিয়ার প্রতিষ্ঠান প্রধানের নেই। এরই মধ্যে বিক্রিকৃত কিছু বই উদ্ধার করা হয়েছে।’
নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রতিষ্ঠানটির কয়েকজন শিক্ষক ও অভিভাবক সদস্য আজকের পত্রিকাকে জানান, এক মাস আগে গোপনে রাতে সহকারী প্রধান শিক্ষক আনোয়ারুল ইসলাম সরদার স্টোর রুম থেকে গত বছরের উদ্বৃত্ত বই বের করে বিক্রি করেন। এ সময় দায়িত্বরত নৈশ প্রহরী তাঁকে প্রশ্ন করলে, তিনি অধ্যক্ষের নির্দেশনার কথা বলে স্টোর রুম থেকে বই বের করে কাগজ বিক্রেতা হান্নানের কাছে হস্তান্তর করেন। হান্নান একটি ট্রলিতে করে প্রায় ৫ মণ বই স্কুল থেকে নিয়ে যান।
জানা গেছে, কাগজ ব্যবসায়ী হান্নান কিছু বই বিভিন্ন দোকানে বিক্রি করেছেন। অবশিষ্ট বই তিনি শহরের পুরোনো রেল স্টেশনের কাছে রুবেল নামে এক কাগজ ব্যবসায়ীর কাছে বিক্রি করে দেন। সেসব বই কেনার কথা স্বীকারও করেছেন হান্নান ও রুবেল। রুবেলের দোকানে গিয়ে কিছু সরকারি বই পাওয়া গেছে।
প্রতিষ্ঠানটির নৈশ প্রহরী কাদের আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কয়েক দিন আগে সহকারী প্রধান শিক্ষক আনোয়ারুল ইসলাম সরদার কাগজ ব্যবসায়ী হান্নানকে সঙ্গে নিয়ে এসে স্টোর রুম থেকে এক ট্রলি বই বের করে নিয়ে যান। তাকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, অধ্যক্ষ ম্যাডাম নিয়ে যেতে বলেছে। আমি আর কিছু জানি না।’
কাগজ ব্যবসায়ী হান্নান বলেন, ‘প্রায় এক মাস আগে আমি প্রায় তিন মণ বই কিনে নিয়ে সেগুলো বিক্রি করে দিয়েছি। আর কে কে বই নিয়ে গেছে সেটা জানি না।’
নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রতিষ্ঠানটির একজন শিক্ষক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিগত বছরের প্রায় দুই থেকে আড়াই শ সেট বই বিক্রি করা হয়েছে। প্রতি বছর চাহিদার চেয়ে বেশি বই নেওয়া হয়। অধ্যক্ষ উদ্বৃত্ত বই ফেরত দেন না, বিক্রি করে দেন।’
এ বিষয়ে খলিলগঞ্জ স্কুল অ্যান্ড কলেজের সহকারী প্রধান শিক্ষক আনোয়ারুল ইসলাম সরদার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অধ্যক্ষ ম্যাডামের নির্দেশে কিছু কাগজপত্র বিক্রি করেছিলাম। এ বিষয়ে ম্যাডামের সঙ্গে কথা বলুন।’
তবে এ বিষয়ে অধ্যক্ষ রিতা রাণী দাবি করেন—শুধু পুরোনো কাগজপত্র ও কিছু গাইডবই বিক্রি করা হয়েছে। সেখানে সরকারি বই ছিল না। বিদায়ের আগ মুহূর্তে তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হচ্ছে।
অধ্যক্ষ রিতা রাণী বলেন, ‘অনেক বছর ধরে প্রতিষ্ঠান চালাচ্ছি। এত দিন কোনো সমস্যা হয়নি। এখন বিদায়ের আগে আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে এসব অভিযোগ করা হচ্ছে। আমি সরকারি বই বিক্রি করিনি।’
সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জহুরুল হক আজ শনিবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কোনো প্রতিষ্ঠানে বিতরণের পর উদ্বৃত্ত বই থাকলে তা কর্তৃপক্ষকে অবহিত করে ফেরত দিতে হয়। উপজেলা কমিটির মাধ্যমে যথাযথ প্রক্রিয়া ছাড়া সরকারি বই বিক্রির কোনো বিধান নেই। প্রতিষ্ঠান প্রধান বিধি-বহির্ভূত কাজ করেছেন। সম্প্রতি ঘটনাটি জানার পর আমরা কিছু বই উদ্ধার করে প্রতিষ্ঠানে ফেরত এনেছি। ঘটনা তদন্তে কমিটি করা হচ্ছে। জড়িতদের বিরুদ্ধে বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) রাসেদুল হাসান আজ শনিবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঘটনা তদন্তে ইতিমধ্যে মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। প্রতিবেদন পেলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করা হবে।’
চট্টগ্রামে দুই কোম্পানির কাছ থেকে ৬০ কোটি টাকা ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ ও তাঁর স্ত্রী রুকমিলা জামানসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় চট্টগ্রাম-১ এ মামলা দুটি
১৯ মিনিট আগেরংপুরের জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক লিয়াকত আলী বাদলের ওপর হামলার ঘটনায় নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে কুড়িগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়ন (কেজিইউজে)। গতকাল সোমবার সংগঠনের আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম রিগান ও সদস্যসচিব মনোয়ার হোসেন লিটন স্বাক্ষরিত এক প্রতিবাদ লিপিতে ঘটনার নিন্দা জানানো হয়।
৩৬ মিনিট আগেনোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলায় আন্তঃস্কুল ফুটবল প্রতিযোগিতার খেলায় দুই দলের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে ১০ জন খেলোয়াড় আহত হন। আহতদের মধ্যে দুজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগেসৌদি আরবের রিয়াদে ফেনীর পরশুরামের প্রবাসী যুবক আবদুস সালাম ভূঁইয়া সজীবকে (২৮) অপহরণ করেছে দুর্বৃত্তরা। লোহার শিকলে বেঁধে নির্যাতনের ভিডিও পাঠিয়ে তার পরিবারের কাছে পাঁচ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেছে অপহরণকারীরা। সজীব উপজেলার চিথলিয়া ইউনিয়নের পূর্ব অলকা গ্রামের আমিনুর রহমান ভূঁইয়ার ছেলে।
১ ঘণ্টা আগে