পেঁয়াজ রপ্তানিতে ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে ভারত। কিন্তু সেই পেঁয়াজ আমদানি হওয়ার আগেই সাতক্ষীরার ভোমরা ও যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দর এলাকায় খুচরা বাজারে কেজিতে দাম প্রায় ১০ টাকা বেড়ে গেছে। তবে চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ স্থলবন্দর এলাকায় পেঁয়াজ আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে। স্থানীয় খুচরা ক্রেতা, বিক্রেতাসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানিয়েছেন প্রতিনিধিরা।
সাতক্ষীরা শহরের সুলতানপুর বড়বাজারে ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬৫ থেকে ৭০ টাকায়। খুচরা ব্যবসায়ীরা ভোমরা স্থলবন্দর থেকে পাইকারি দরে পেঁয়াজ কিনছেন ৫৮ থেকে ৬০ টাকায়। এক দিনের ব্যবধানে সেই পেঁয়াজের দাম ৫ থেকে ১০ টাকা বেড়ে গেছে।
সুলতানপুর বড়বাজারের ব্যবসায়ী আব্দুল হাকিম বলেন, ‘প্রশাসনের যত খবরদারি শুধু আমাদের ওপর। ভোমরায় গিয়ে তো রেড দিলেই হয়। আমরা যে দামে কিনি, তাতে একটু লাভ হলেই ছেড়ে দিই।’
পেঁয়াজ ক্রেতা আকলিমা খাতুন বলেন, ‘রিপোর্ট লিখে লাভ আছে? মাত্র দুই দিনের ব্যবধানে আজ পেঁয়াজ কিনছি ৭০ টাকা কেজিতে। অথচ মাত্র দুই দিন আগে পেঁয়াজ কিনেছি ৬০ টাকায়। প্রশাসনের নাকের ডগায় পেঁয়াজসহ মসল্লাপাতির দামে অরাজকতা চলছে। কিন্তু প্রশাসনের অভিযান কখনো নজরে আসেনি।’
ভোমরা স্থলবন্দরের পেঁয়াজ ব্যবসায়ী খোরশেদ আলম জানান, শতকরা ৪০ টাকা শুল্ক আরোপের আগের পেঁয়াজ ভোমরা স্থলবন্দরে এসেছে সর্বোচ্চ ৪৬ টাকায়। ভোমরা থেকে বিক্রি হয়েছে ৫০ টাকায়। তাহলে খুচরা বাজারে পেঁয়াজের দাম ৬৫ টাকা কেন হবে? প্রশ্ন রাখেন এ ব্যবসায়ী।
ভোমরা স্থলবন্দর সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মাকসুদ খান বলেন, ‘শুল্ক বাড়ার আগেই ২৩০ ডলারের পেঁয়াজ আমদানি করতে হয়েছে ২৪৫ থেকে ২৫৫ ডলারে। এ ছাড়া অন্যান্য খরচও বেড়েছে কয়েক গুণ। তাই ৫৫ টাকার নিচে পেঁয়াজ বিক্রির সুযোগ ছিল না।’
মাকসুদ খান আরও বলেন, ‘ভারতীয় অর্থ মন্ত্রণালয়ের রাজস্ব শাখা ১৯ আগস্ট পেঁয়াজের ওপর নতুন শুল্ক আরোপ করে। ভারত সরকারের উপসচিব অমৃতা তিতাস স্বাক্ষরিত চিঠিতে জানানো হয়, পেঁয়াজ রপ্তানির ক্ষেত্রে মূল্যের ওপর শতকরা ৪০ ভাগ শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। এখন প্রতি কেজি পেঁয়াজ আমদানি করতে খরচ হবে ৬৬ থেকে ৬৭ টাকা। সুতরাং, ভোমরা স্থলবন্দরেই পেঁয়াজ বেচতে হবে কমপক্ষে ৭০ টাকায়। তাতে খুচরা পর্যায়ে পেঁয়াজ ৭৫ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি করতে হবে।’
ভোমরা শুল্ক স্টেশনের তথ্য কর্মকর্তা শান্ত হাওলাদার বলেন, ৪০ ভাগ শুল্কযুক্ত পেঁয়াজ আজ বিকেল থেকে ভোমরা বন্দর দিয়ে আসা শুরু হয়েছে। এখন পর্যন্ত পাঁচটি ট্রাক এসেছে। আগের দরের ১৫-২০ ট্রাক পেঁয়াজও আজ এসেছে।
জেলা ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণের সহকারী পরিচালক নাজমুল হোসেন বলেন, ‘বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা হয়তো আগামীকালই চলে আসবে। সে অনুযায়ী আমরা বাজার মনিটরিং করব। কারসাজি পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দরের পরিচালক আব্দুল জলিল বলেন, গত রোববার থেকে আজ রোববার পর্যন্ত এক সপ্তাহে বেনাপোল বন্দর দিয়ে ৪৭১ টন পেঁয়াজ আমদানি করা হয়েছে। আমদানির পর যাতে বন্দরে পেঁয়াজ পড়ে না থাকে, সে জন্য বন্দর ও কাস্টমস কর্তৃপক্ষ তৎপর রয়েছে।
বেনাপোল দিয়ে পেঁয়াজ আমদানিকারক শওকত বলেন, আজ রোববার যশোরের স্থানীয় বাজারে প্রতি কেজি ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬৫ টাকায়। আর দেশীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা কেজি দরে।
বড় বাজারের তাপস এন্টারপ্রাইজের আশিস বিশ্বাস বলেন, ডলার সংকটসহ বিভিন্ন কারণে এলসি কম হওয়ায় পেঁয়াজের আমদানি কমেছে। এই সুযোগে অনেক অসাধু ব্যবসায়ী দাম বাড়িয়ে দিচ্ছেন। তাঁরা বিভিন্ন মোকাম থেকে যখন যে দামে পেঁয়াজ কেনেন, দুই থেকে চার টাকা লাভে বাজারে পেঁয়াজ বিক্রি করছেন তাঁরা।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে পুরোনো এলসিতেই পেঁয়াজ আমদানি হচ্ছে। সোনামসজিদ স্থলবন্দর কাস্টমসের ডেপুটি কমিশনার প্রভাত কুমার সিংহ বলেন, আজ বিকেল ৫টা পর্যন্ত আগের দামের ৩০টি পেঁয়াজবাহী ট্রাক সোনামসজিদ বন্দরে ঢুকেছে। বর্ধিত শুল্কযুক্ত পেঁয়াজ এখন পর্যন্ত আমদানি শুরু হয়নি।
পানামা সোনামসজিদ পোর্ট লিংক লিমিটেডের পোর্ট ম্যানেজার মাইনুল ইসলাম বলেন, এখনো বাংলাদেশে ঢোকার অপেক্ষায় রয়েছে শতাধিক পেঁয়াজবাহী ট্রাক। আগামীকাল সোমবার থেকে বর্ধিত শুল্কের পেঁয়াজ আসা শুরু করতে পারে।
পেঁয়াজ রপ্তানিতে ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে ভারত। কিন্তু সেই পেঁয়াজ আমদানি হওয়ার আগেই সাতক্ষীরার ভোমরা ও যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দর এলাকায় খুচরা বাজারে কেজিতে দাম প্রায় ১০ টাকা বেড়ে গেছে। তবে চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ স্থলবন্দর এলাকায় পেঁয়াজ আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে। স্থানীয় খুচরা ক্রেতা, বিক্রেতাসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানিয়েছেন প্রতিনিধিরা।
সাতক্ষীরা শহরের সুলতানপুর বড়বাজারে ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬৫ থেকে ৭০ টাকায়। খুচরা ব্যবসায়ীরা ভোমরা স্থলবন্দর থেকে পাইকারি দরে পেঁয়াজ কিনছেন ৫৮ থেকে ৬০ টাকায়। এক দিনের ব্যবধানে সেই পেঁয়াজের দাম ৫ থেকে ১০ টাকা বেড়ে গেছে।
সুলতানপুর বড়বাজারের ব্যবসায়ী আব্দুল হাকিম বলেন, ‘প্রশাসনের যত খবরদারি শুধু আমাদের ওপর। ভোমরায় গিয়ে তো রেড দিলেই হয়। আমরা যে দামে কিনি, তাতে একটু লাভ হলেই ছেড়ে দিই।’
পেঁয়াজ ক্রেতা আকলিমা খাতুন বলেন, ‘রিপোর্ট লিখে লাভ আছে? মাত্র দুই দিনের ব্যবধানে আজ পেঁয়াজ কিনছি ৭০ টাকা কেজিতে। অথচ মাত্র দুই দিন আগে পেঁয়াজ কিনেছি ৬০ টাকায়। প্রশাসনের নাকের ডগায় পেঁয়াজসহ মসল্লাপাতির দামে অরাজকতা চলছে। কিন্তু প্রশাসনের অভিযান কখনো নজরে আসেনি।’
ভোমরা স্থলবন্দরের পেঁয়াজ ব্যবসায়ী খোরশেদ আলম জানান, শতকরা ৪০ টাকা শুল্ক আরোপের আগের পেঁয়াজ ভোমরা স্থলবন্দরে এসেছে সর্বোচ্চ ৪৬ টাকায়। ভোমরা থেকে বিক্রি হয়েছে ৫০ টাকায়। তাহলে খুচরা বাজারে পেঁয়াজের দাম ৬৫ টাকা কেন হবে? প্রশ্ন রাখেন এ ব্যবসায়ী।
ভোমরা স্থলবন্দর সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মাকসুদ খান বলেন, ‘শুল্ক বাড়ার আগেই ২৩০ ডলারের পেঁয়াজ আমদানি করতে হয়েছে ২৪৫ থেকে ২৫৫ ডলারে। এ ছাড়া অন্যান্য খরচও বেড়েছে কয়েক গুণ। তাই ৫৫ টাকার নিচে পেঁয়াজ বিক্রির সুযোগ ছিল না।’
মাকসুদ খান আরও বলেন, ‘ভারতীয় অর্থ মন্ত্রণালয়ের রাজস্ব শাখা ১৯ আগস্ট পেঁয়াজের ওপর নতুন শুল্ক আরোপ করে। ভারত সরকারের উপসচিব অমৃতা তিতাস স্বাক্ষরিত চিঠিতে জানানো হয়, পেঁয়াজ রপ্তানির ক্ষেত্রে মূল্যের ওপর শতকরা ৪০ ভাগ শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। এখন প্রতি কেজি পেঁয়াজ আমদানি করতে খরচ হবে ৬৬ থেকে ৬৭ টাকা। সুতরাং, ভোমরা স্থলবন্দরেই পেঁয়াজ বেচতে হবে কমপক্ষে ৭০ টাকায়। তাতে খুচরা পর্যায়ে পেঁয়াজ ৭৫ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি করতে হবে।’
ভোমরা শুল্ক স্টেশনের তথ্য কর্মকর্তা শান্ত হাওলাদার বলেন, ৪০ ভাগ শুল্কযুক্ত পেঁয়াজ আজ বিকেল থেকে ভোমরা বন্দর দিয়ে আসা শুরু হয়েছে। এখন পর্যন্ত পাঁচটি ট্রাক এসেছে। আগের দরের ১৫-২০ ট্রাক পেঁয়াজও আজ এসেছে।
জেলা ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণের সহকারী পরিচালক নাজমুল হোসেন বলেন, ‘বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা হয়তো আগামীকালই চলে আসবে। সে অনুযায়ী আমরা বাজার মনিটরিং করব। কারসাজি পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দরের পরিচালক আব্দুল জলিল বলেন, গত রোববার থেকে আজ রোববার পর্যন্ত এক সপ্তাহে বেনাপোল বন্দর দিয়ে ৪৭১ টন পেঁয়াজ আমদানি করা হয়েছে। আমদানির পর যাতে বন্দরে পেঁয়াজ পড়ে না থাকে, সে জন্য বন্দর ও কাস্টমস কর্তৃপক্ষ তৎপর রয়েছে।
বেনাপোল দিয়ে পেঁয়াজ আমদানিকারক শওকত বলেন, আজ রোববার যশোরের স্থানীয় বাজারে প্রতি কেজি ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬৫ টাকায়। আর দেশীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা কেজি দরে।
বড় বাজারের তাপস এন্টারপ্রাইজের আশিস বিশ্বাস বলেন, ডলার সংকটসহ বিভিন্ন কারণে এলসি কম হওয়ায় পেঁয়াজের আমদানি কমেছে। এই সুযোগে অনেক অসাধু ব্যবসায়ী দাম বাড়িয়ে দিচ্ছেন। তাঁরা বিভিন্ন মোকাম থেকে যখন যে দামে পেঁয়াজ কেনেন, দুই থেকে চার টাকা লাভে বাজারে পেঁয়াজ বিক্রি করছেন তাঁরা।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে পুরোনো এলসিতেই পেঁয়াজ আমদানি হচ্ছে। সোনামসজিদ স্থলবন্দর কাস্টমসের ডেপুটি কমিশনার প্রভাত কুমার সিংহ বলেন, আজ বিকেল ৫টা পর্যন্ত আগের দামের ৩০টি পেঁয়াজবাহী ট্রাক সোনামসজিদ বন্দরে ঢুকেছে। বর্ধিত শুল্কযুক্ত পেঁয়াজ এখন পর্যন্ত আমদানি শুরু হয়নি।
পানামা সোনামসজিদ পোর্ট লিংক লিমিটেডের পোর্ট ম্যানেজার মাইনুল ইসলাম বলেন, এখনো বাংলাদেশে ঢোকার অপেক্ষায় রয়েছে শতাধিক পেঁয়াজবাহী ট্রাক। আগামীকাল সোমবার থেকে বর্ধিত শুল্কের পেঁয়াজ আসা শুরু করতে পারে।
জানা যায়, জনদুর্ভোগ কমাতে গত ১৬ এপ্রিল উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সেতুর দুই পাশে দুটি সাইনবোর্ড লাগানো হয়। এতে সেতুর ওপর সব ধরনের দোকানপাট ও যানবাহন রাখা নিষেধ বলে সতর্ক করা হয়। ২০১১ সালে নির্মিত এই নতুন সেতুতে যানজট এড়াতে একসময় ট্রাফিক পুলিশ রাখা হলেও কয়েক মাস পর তাদের তুলে নেওয়া হয়।
১৫ মিনিট আগে২০২৪ সালের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের আগে পর্যন্ত রফিকুল আলমকে বিএনপির কোনো কর্মসূচিতে দেখা যায়নি। সেই সময় আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য আবু রেজা মোহাম্মদ নদভীর সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠতা ও ব্যবসা ছিল। অভিযোগ আছে, গত ১৬ বছর আওয়ামী লীগের শাসনামলে তিনি ওইসব নেতাদের সঙ্গে মিলে নির্বিঘ্নে ব্যবসা চালিয়ে
১ ঘণ্টা আগেচট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে একটি মার্কেটে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। আগুনে পুরানো জাহাজের সরঞ্জাম বিক্রির দুটি দোকান ও একটি অক্সিজেন সিলিন্ডারের দোকানসহ মোট তিনটি দোকান পুড়ে গেছে। এ ছাড়া, মার্কেটের আরও কয়েকটি দোকান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গতকাল শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার মাদামবিবিরহাট চেয়ারম্যান
১ ঘণ্টা আগেচিঠি ছাড়াও বিদেশ অথবা দেশে আপনজনের কাছে টাকা পাঠাতে একমাত্র নির্ভরযোগ্য মাধ্যম এটি। বর্তমান বিশ্বায়নের যুগে ই-মেইল, অনলাইন আর মোবাইল ব্যাংকিংয়ের সুবাদে এই পোস্ট অফিসের গুরুত্ব এখন আর নেই বললেই চলে। তবু এখনো এই পোস্ট অফিসে জীবনবীমা, সঞ্চয়পত্রের টাকা জামানত রাখা কিংবা জরুরি কাগজপত্র পাঠাতে নির্ভরযোগ্য
১ ঘণ্টা আগে