Ajker Patrika
সরাসরি

ইউক্রেনের হয়ে মধ্যস্থতা নয়, পুতিনকে আলোচনার টেবিলে আনাই লক্ষ্য: ট্রাম্প

২২: ৪৭

যুক্তরাষ্ট্রে পা রাখামাত্র পুতিনকে গ্রেপ্তারের আহ্বান

যুক্তরাষ্ট্রে পা রাখামাত্র পুতিনকে গ্রেপ্তারের আহ্বান
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে পা রাখামাত্রই রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে গ্রেপ্তারের আহ্বান জানিয়েছে নিউইয়র্কের একটি জাদুঘর।

রকফেলার সেন্টারে শিল্প প্রদর্শনী আয়োজনকারী বেকা মিউজিয়াম একটি চিঠি প্রকাশ করেছে। এই চিঠিতে মার্কিন অ্যাটর্নি জেনারেল প্যাম বন্ডিকে অনুরোধ জানানো হয়েছে, পুতিন আলাস্কায় পৌঁছানোর সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে যেন গ্রেপ্তার করা হয়।

চিঠিতে পুতিনের শাসনামলে ইউক্রেনীয় শিশুদের জোরপূর্বক অপহরণ এবং অন্যান্য নৃশংসতার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) তাঁর বিরুদ্ধে যে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে, সেটিও তুলে ধরা হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্র আইসিসি-এর সদস্য না হলেও বেকা মিউজিয়াম বলেছে, মার্কিন ফেডারেল আইনের আওতায়—যেমন যুদ্ধাপরাধ সম্পর্কিত বিধান এবং ১৯৫৪ সালের হেগ কনভেনশনে এই ধরনের অপরাধের বিচার সম্ভব। কারণ এগুলো সশস্ত্র সংঘাতে সাংস্কৃতিক সম্পদ রক্ষার নিয়ম নির্ধারণ করে।

বেকা মিউজিয়ামের পরিচালক শোটা বাগাতুরিয়া কিয়েভ ইনডিপেনডেন্টকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘একটি জাতির সংস্কৃতি হলো দৃশ্যমান আত্মা। ইউক্রেনে সেই আত্মা এখন অবরুদ্ধ। বিশেষ করে, রুশ অধিকৃত এলাকাগুলোতে—যেখানে স্মৃতিস্তম্ভ ধ্বংস হচ্ছে, শিশুদের ছিনিয়ে নেওয়া হচ্ছে, আর গানগুলো স্তব্ধ করে দেওয়া হচ্ছে।’

২২: ৪৬

আলাস্কায় ট্রাম্প-পুতিন বৈঠকের সময়সূচি

আলাস্কায় ট্রাম্প-পুতিন বৈঠকের সময়সূচি
ভলোদিমির জেলেনস্কি। ফাইল ছবি

হোয়াইট হাউসের প্রাথমিক সূচি অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় সকাল ৬টা ৪৫ মিনিট (বাংলাদেশ সময় বিকেল ১১টা ৪৫ মিনিট) ট্রাম্পের আলাস্কার উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরুর কথা ছিল। তবে বাস্তবে এয়ার ফোর্স ওয়ান থেকে তাঁর উড্ডয়ন প্রায় ১ ঘণ্টা ২০ মিনিট দেরিতে হয়।

যদি মূল সূচিই অনুসরণ করা হয়, তবে স্থানীয় সময় সকাল ১১টা (বাংলাদেশ সময় রাত ৮টা) আলাস্কায় ট্রাম্প ও পুতিনের বৈঠক শুরু হওয়ার কথা।

ট্রাম্পের আলাস্কা থেকে যাত্রা শুরুর নির্ধারিত সময় স্থানীয় সময় বিকেল ৫টা ৪৫ মিনিট (বাংলাদেশ সময় রাত ২টা ৪৫ মিনিট, শনিবার ভোর)। এরপর তিনি ওয়াশিংটন ডিসিতে ফিরে যাবেন।

রুশ প্রতিনিধি দলের পক্ষ থেকে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক সময়সূচি প্রকাশ করা হয়নি।

২২: ৪৪

রুশ সেনাদের মনে মিশ্র প্রতিক্রিয়া, কেউ চায় যুদ্ধবিরতি, কেউ চূড়ান্ত বিজয়

রুশ সেনাদের মনে মিশ্র প্রতিক্রিয়া, কেউ চায় যুদ্ধবিরতি, কেউ চূড়ান্ত বিজয়
ছবি: রয়টার্স

ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ভ্লাদিমির পুতিনের মধ্যকার আসন্ন বৈঠক ঘিরে রুশ সেনাদের মনে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। যদিও যুদ্ধরত সেনাদের মধ্যে স্বাধীনভাবে জরিপ করা সম্ভব নয়, তবে তাদের মধ্যে দুটি স্পষ্ট প্রবণতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে—যারা সক্রিয়ভাবে যুদ্ধে জড়িত, তাদের মধ্যে অবসাদ ও ভাগ্যবাদী মনোভাব দেখা যাচ্ছে। অন্যদিকে যারা প্রকাশ্যে কথা বলছেন, তাদের মধ্যে রয়েছে বিজয়ের জন্য লড়ার দৃঢ় সংকল্প।

ফ্রন্টলাইনে থাকা অনেক সেনা বছরের পর বছর ধরে দায়িত্ব পাল্টে না আসায় শারীরিকভাবে ও মানসিকভাবে ভীষণ ক্লান্ত। একজন সেনা বিবিসিকে বলেন, ‘আমি শুনেছি, এখন বৈঠক ও সম্ভাব্য শান্তি চুক্তি নিয়ে অনেক আলোচনা হচ্ছে। কিন্তু সত্যি বলতে, তারা কী চুক্তি করবে তাতে আমার কিছু আসে যায় না। আমি আর আমার বন্ধুদের শুধু একটাই চাওয়া এটা শেষ হোক।’

উল্লেখ্য, ইউক্রেনে আগ্রাসন শুরুর আগে অধিকাংশ রুশ সেনাই ছিলেন সাধারণ নাগরিক। তাদের কেউ উচ্চ বেতন ও সামাজিক সুবিধার আকর্ষণে সেনাবাহিনীতে যোগ দিয়েছেন, আবার কেউ ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে সরকারি নির্দেশে সেনাবাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত হতে বাধ্য হয়েছেন।

অবশ্য, যেসব সেনাকে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা তাদের আসল নাম ব্যবহার করে জনসমক্ষে মতামত প্রকাশের অনুমতি দিয়েছেন, তাদের মধ্যে ভিন্ন এক মনোভাব দেখা যায়। তারা ক্লান্তি স্বীকার করলেও জোর দিয়ে বলছেন, বিজয় না আসা পর্যন্ত তারা যুদ্ধ চালিয়ে যেতে প্রস্তুত।

নিকিতা ত্রেতিয়াকভ একজন প্যারাট্রুপার। তিনি আগে সাংবাদিকতা করতেন। নিকিতা বিসিকে বলেন, ‘যেসব ভয়াবহ ভুল ও ক্ষয়ক্ষতি এড়ানো যেত, তা দেখে আমরা গভীরভাবে কষ্ট পাচ্ছি এবং প্রচণ্ড রাগান্বিত। আমরা সবকিছু ঠিক করার চেষ্টা করছি, অন্যায়ের মধ্যেও বেঁচে থাকার চেষ্টা করছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘কিন্তু আমরা এই যুদ্ধে যোগ দিয়েছি, এটি বিজয়ের মাধ্যমে শেষ করার জন্য। এটিকে পিছিয়ে দেওয়ার জন্য নয়, আমাদের সন্তানদের জন্য এই যুদ্ধ উত্তরাধিকার হিসেবে রেখে যাওয়ার জন্য নয়।’

২২: ৩৭

আমরা আমেরিকার ওপর ভরসা করছি: জেলেনস্কি

আলাস্কায় আজকের বহুল আলোচিত শীর্ষ বৈঠকের আগে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, ‘আমরা আমেরিকার ওপর ভরসা করছি।’

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক বিবৃতিতে জেলেনস্কি ট্রাম্পের মন্তব্যের সঙ্গে সুর মিলিয়ে জানান, আজকের বৈঠক নিঃসন্দেহে উচ্চ ঝুঁকির এবং এটি ন্যায়সঙ্গত শান্তির পথে একটি বাস্তব পথ খুলে দেবে বলে তাঁর আশা। তিনি আরও বলেন, এই বৈঠক ইউক্রেন, যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার মধ্যে একটি ত্রিপক্ষীয় বৈঠকের আদর্শিক ভিত্তি স্থাপন করবে।

পূর্ব ইউক্রেনে রাশিয়ার অগ্রযাত্রা ঠেকাতে ইউক্রেন অতিরিক্ত সেনা পাঠাচ্ছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন। এর মধ্যে দোনেৎস্ক ও জাপোরিঝঝিয়া অঞ্চল রয়েছে— যা আজকের আলোচনায় মূল ইস্যু হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।

বিবৃতির শেষে জেলেনস্কি যুদ্ধের অবসান ও রাশিয়ার ‘প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ’ নেওয়ার আহ্বান জানান।

২২: ২৫

ইউক্রেনের হয়ে মধ্যস্থতা নয়, পুতিনকে আলোচনার টেবিলে আনাই লক্ষ্য: ট্রাম্প

রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে একটি ‘ঐতিহাসিক’ বৈঠকে যোগ দিতে আলাস্কার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বিমানে ওঠার আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে তিনি এই বৈঠককে ‘উচ্চ ঝুঁকি’ বলে মন্তব্য করেছেন। এরপর এয়ার ফোর্স ওয়ানে ট্রাম্প সাংবাদিকদের জানান, তিনি ইউক্রেনের হয়ে মধ্যস্থতা করতে যাচ্ছেন না, বরং তাঁর লক্ষ্য হলো পুতিনকে আলোচনার টেবিলে আনা। তিনি বলেন, ‘আমি এখানে ইউক্রেনের জন্য সমঝোতা করতে আসিনি।’

ট্রাম্প আরও বলেন, ‘পুতিন বিশ্বাস করেন, তাঁর ধারাবাহিক হামলা তাঁকে আলোচনায় শক্তি দেবে, কিন্তু আমি মনে করি এতে তাঁর ক্ষতিই হবে। আমি মনে করি, পুতিনের সঙ্গে এই শীর্ষ বৈঠকে আমরা কিছু ফলাফল অর্জন করব। মানুষের জীবন বাঁচাতে আমি যুদ্ধ বন্দের করার চেষ্টা করছি। যদি রাশিয়া একটি চুক্তিতে না আসে, তবে তারা কঠোর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার মুখোমুখি হবে।’

ট্রাম্প আরও বলেন, ‘ভূমি বিনিময়ের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হবে, তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার দায়িত্ব ইউক্রেনের।’

এদিকে, ট্রাম্প আলাস্কায় রওনা হওয়ার সময় ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের এক পোস্টে বলেন, মার্কিন প্রেসিডেন্টের উচিত রাশিয়াকে ‘যুদ্ধ’ বন্ধে রাজি করানো। তিনি বলেন, ‘যুদ্ধ শেষ করার এটাই সময়, এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ অবশ্যই রাশিয়াকে নিতে হবে। আমরা আমেরিকার ওপর ভরসা করছি।’

আলাস্কার দূরবর্তী অ্যাঙ্কোরেজ শহরে ট্রাম্প-পুতিনের এই বৈঠক ইউক্রেনের ভবিষ্যতের জন্যও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে যুদ্ধ শুরুর পর এটিই হবে পুতিনের প্রথম পশ্চিমা দেশ সফর।

ট্রাম্পের প্রতিনিধিদলে রয়েছেন সেক্রেটারি অব স্টেট মার্কো রুবিও, ট্রেজারি সেক্রেটারি স্কট বেসেন্ট, কমার্স সেক্রেটারি হাওয়ার্ড লুটনিক এবং সিআইএ (CIA) পরিচালক জন র্যাটক্লিফ সহ আরও অনেকে।

এই আলোচনা এলমেন্ডর্ফ এয়ার ফোর্স বেসে স্থানীয় সময় শুক্রবার ১১টা ৩০ মিনিটে (বাংলাদেশ সময় রাত ১ টা ৩০) শুরু হবে। এই ঘাঁটিটি আলাস্কার সবচেয়ে বড় সামরিক স্থাপনা এবং স্নায়ুযুদ্ধের সময় সোভিয়েত ইউনিয়নের ওপর নজরদারির জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র ছিল। এই বৈঠকের ঐতিহাসিক তাৎপর্য আরও গভীর। কারণ যুক্তরাষ্ট্র ১৮৬৭ সালে রাশিয়ার কাছ থেকে আলাস্কা কিনেছিল—যে চুক্তিকে মস্কো প্রায়শই ভূমি বিনিময়ের বৈধতা বোঝাতে ব্যবহার করে।

ট্রাম্প এই শীর্ষ বৈঠককে পুতিনকে ‘পরীক্ষা’ করার একটি সুযোগ হিসেবে দেখছেন। তিনি বলেছেন, যে কোনো চূড়ান্ত চুক্তি হলে সেটি পুতিন ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে তাঁর উপস্থিতিতে একটি ত্রিপক্ষীয় বৈঠকের মাধ্যমে সম্পন্ন হবে।

২২: ২১

৬-৭ ঘণ্টা স্থায়ী হতে পারে পুতিন-ট্রাম্পের বৈঠক

আলাস্কায় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া বৈঠকটি ছয় থেকে সাত ঘণ্টা পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে বলে আশা করছে ক্রেমলিন। ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ এমনটাই জানিয়েছেন। খবর বিবিসির।

এর আগে ২০১৮ সালে হেলসিঙ্কিতে দুই নেতার বৈঠকটি প্রায় দুই ঘণ্টা স্থায়ী হয়েছিল। কিন্তু এবারের বৈঠকের সময়সীমা বেশি হওয়ার কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, দুই নেতার পাশাপাশি তাদের সহকারীরাও আলোচনায় অংশ নেবেন।

বৈঠকে ইউক্রেন যুদ্ধ, অর্থনৈতিক সহযোগিতা এবং বৈশ্বিক নিরাপত্তা নিয়ে আলোচনা হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এই বৈঠকটি ইউক্রেনের ভবিষ্যতের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

২২: ১৭

আলাস্কা বৈঠকের আগে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভে পুতিন

আলাস্কা বৈঠকের আগে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভে পুতিন
আলাস্কার পথে রওনা হওয়ার আগে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় রুশ-মার্কিন সহযোগিতার এই স্মারকে ফুল দিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন। ছবি: রয়টার্সের সৌজন্যে

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকের জন্য আলাস্কার পথে রওনা হওয়ার আগে একটি প্রতীকী কর্মসূচি পালন করেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় রুশ-মার্কিন সহযোগিতার স্মারক একটি স্মৃতিস্তম্ভে তিনি ফুল দিয়েছেন। ক্রেমলিন আশা করছে, এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ কূটনৈতিক পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হবে।

স্মৃতিস্তম্ভটিতে সোভিয়েত ও মার্কিন পাইলটদের হাত মেলানোর একটি দৃশ্য ফুটিয়ে তোলা হয়েছে, যা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়কার আলাস্কা-সাইবেরিয়া আকাশপথের কথা মনে করিয়ে দেয়। ১৯৪২ থেকে ১৯৪৫ সালের মধ্যে এই পথ দিয়ে প্রায় ৮ হাজার মার্কিন ‘লেন্ড-লিজ’ যুদ্ধবিমান সোভিয়েত ফ্রন্টে পাঠানো হয়েছিল।

আলাস্কার ফেয়ারব্যাংকসেও একই ধরনের একটি স্মৃতিস্তম্ভ রয়েছে, যেখানে একসময় রুশ ও আমেরিকান উভয় দেশের পতাকা উড়ত। কিন্তু ইউক্রেন যুদ্ধের পর ২০২২ সাল থেকে সেখানে শুধু আমেরিকার পতাকা রয়েছে। রুশ রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন জানিয়েছে, সেখানে আবারও রাশিয়ার পতাকা ওড়ানো হবে, যা হবে ‘গুরুত্বপূর্ণ প্রতীকী পদক্ষেপ’। আর এই প্রতীকী পদক্ষেপের মাধ্যমেই রাশিয়া আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নিজেদের একটি শক্তিশালী ক্ষমতাধর দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে চায়।

বিবিসি বলছে, এই স্মৃতিস্তম্ভ পরিদর্শনের মাধ্যমে পুতিন বার্তা দিতে চেয়েছেন, ‘একসময় মস্কো ও ওয়াশিংটন মিত্র ছিল, প্রতিপক্ষ নয়’। তবে, বর্তমান প্রেক্ষাপটে এই প্রতীকী পদক্ষেপের পেছনে অনেক প্রশ্ন রয়েছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় উভয় দেশ একটি সাধারণ শত্রুর বিরুদ্ধে নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষার জন্য সহযোগিতা করেছিল। কিন্তু আলাস্কার এই শীর্ষ বৈঠকের আগে দুই দেশের মধ্যে সেই ধরনের পারস্পরিক আস্থা ও বিশ্বাস এখন প্রায় শূন্য।