গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি

গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার হরিদাশপুর ইউনিয়নের খাগাইল গ্রামে খাল খননের মাটিতে নষ্ট হচ্ছে ধানখেত। পানি উন্নয়ন বোর্ড এই খাল খনন করছে। চাষের জন্য অতীব প্রয়োজনীয় খাগাইল খালটি খনন করে এর দুই পাশের বোরো ধানের জমিতে ফেলানো হচ্ছে মাটি। এতে ফলন্ত ধান নষ্ট হয়ে ব্যাপক ক্ষতির শিকার হচ্ছেন কয়েক শত কৃষক। পানি উন্নয়ন বোর্ডে লিখিতভাবে জানিয়েও কোনো প্রতিকার পাননি ওই এলাকার কৃষকেরা।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী বলেছেন, খালে পানি থাকায় সময়মতো কাজ শুরু করতে পারেননি। আর কাজ দেরিতে শুরু করে কৃষকদের ক্ষতির জন্য নির্বাহী প্রকৌশলীকে দায়ী করলেন স্থানীয় ইউনিয়ন চেয়ারম্যান।
২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসের ২৫ তারিখে জয় ট্রেডার্স নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে প্রায় দেড় কিলোমিটারের খাগাইল খালটি পুনঃ খননের কার্যাদেশ দেয় গোপালগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড। অদৃশ্য কারণে খননের কাজ শুরু হয় ২০২৪ সালের মার্চের প্রথম সপ্তাহে।
যে সময়টিতে খালের দুই পাড়ের বেশির ভাগ জমির ধানে শিষ বের হওয়া শুরু হয়। ধান নষ্ট হওয়ায় জমিতে মাটি ফেলতে নিষেধ করেন কৃষকেরা। কিন্তু ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের লোকজন প্রভাব খাটিয়ে খাল খননের মাটি জোর করে ফেলেছে সেই ধানের ওপরে। বিলের এক ফসলি বোরো ধানের এ জমিই কৃষকদের বেঁচে থাকার একমাত্র অবলম্বন। এ ঘটনার ফলে এখানকার কৃষকদের প্রায় ১০ একর জমির ধানের ক্ষতি হয়েছে। তাই ক্ষতি পূরণের দাবি ফসল হারানো কৃষকদের।
ভুক্তভোগী কৃষক নিয়ামত খাঁ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের এখানে এক ফসলি জমি। আমার দুই জায়গায় মোট দুই বিঘা জমিতে ধান হয়। আমরা গরিব মানুষ। এই ধান লাগিয়ে আমরা খাই। আমার ধানের ভেতর দিয়ে মাটি ফেলায় চলে গেছে। মানা করছি শোনে নায়। বলছে অল্প একটু ফেলাবানি। কিন্তু তা না করে প্রায় অর্ধেক জমির ধান নষ্ট করে ফেলেছে।’
ভুক্তভোগী এক কৃষকের স্ত্রী স্বপ্না বেগম বলেন, ‘দ্যাড় (দেড়) বিঘে জমি রুইছি আমরা। সে জমিতে ফুলা ধান, তার ওপর মাটি ফেলাইছে। আমাগে আর কোনো কামাই নাই। আমাগে মরণ (মৃত্যু) ছাড়া আর কোনো ফত (রাস্তা) নাই। ছয়ড়া ছেলে-মেয়ে এ্যাল্যা (একা) বেডা কামাই হরে তাই দিয়ে আমরা খাইয়ে, দিন যাইয়ে রাত ফোয়াইয়ে কোন রহম বাইচে থাহি। এইভাবে ধানের উপর মাটি ফেলানুর কোন যুক্তি আছে।’
ভুক্তভোগী কৃষক শাহানুর মোল্লা বলেন, ‘আমাগে একই ফসল, এর পরে আর কোনো ফসল নাই। আমাগে যে কি ক্ষতি করে গেছে। আমাগে আগে বললো না কেন। কাতি (কার্তিক) মাসে যদি বলতো এই জমিগুলো লাগাইও না, তাহলে আমরা লাগাতাম না। তারপর আমাগে যে ফুলা (শিষ বের হওয়া শুরু) ধানডা তার উপরে মাটি ফেলাইছে। বলার পরেও শোনলো না। তাগে মোনমত কাজ চালায়ই (চালিয়ে) গেছে। আমরা কৃষক মানুষ আমরা কি খাইয়ে বাচপো।’
ভুক্তভোগী কৃষক আবুল মৃধা বলেন, ‘আমাকে জমির ফোলা ধানের উপর মাটি ফেলাইছে। কিছুদিন পরে আবার মাটি ফেলালি ধান আরও নষ্ট হবে। জমি জড়াইয়ে কাটছে। পরে এসমস্ত জমি ভাইঙ্গে খালের মধ্যি পড়বে। আমাগেতো কিছুই থাকবে না। আমাগে যে ক্ষতি হইছে তাই আমাগে বুইঝে দিক।’
হরিদাশপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. ইলিয়াস হোসেন ক্ষোভ প্রকাশ করে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘খাগাইল খালটি খনন করা এলাকার কৃষকদের জন্য খুবই জরুরি। এই খালের টেন্ডার হওয়ার পরে পানি উন্নয়ন বোর্ডের গোপালগঞ্জের নির্বাহী প্রকৌশলীর সঙ্গে অনেকবার কথা হয়েছে। তাঁর কাছে এই খাল খননের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি জানান খালের টেন্ডার হয়েছে। দ্রুতই ওয়ার্ক অর্ডার দিয়ে কাজ শুরু করা হবে।
‘তাঁকে বলা হয়েছে শীত মৌসুমে খাল খনন করলে মাটি ফেলানোর পর্যাপ্ত জায়গা পাওয়া যাবে। খনন শেষে কৃষক তাদের চাষাবাদও করতে পারবে। যত দ্রুত সম্ভব কাজটা শুরু করার জন্য তখন নির্বাহী প্রকৌশলীকে অনুরোধ করে বলি; যেহেতু আমার নির্বাচনী এলাকা ও আমার নিজের গ্রাম, সেহেতু কাজ শুরু করার আগে যেন অবহিত করা হয়। যাতে কাজটি করতে তাদের সাহায্য করা যায়। কিন্তু ওয়ার্ক অর্ডার হওয়া ও চলতি মাসের প্রথম দিকে কাজ শুরু করেও আমাকে জানানো হয়নি।’
চেয়ারম্যান আরও বলেন, ‘পরে খোঁজ নিয়ে জানতে পারলাম ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ওয়ার্ক অর্ডার হয়েছে। সেপ্টেম্বরে কাজ শুরু হওয়ার কথা। কিন্তু সেই কাজ কেন পাঁচ মাস পরে ধানি জমি নষ্ট করে শুরু হলো। আমি কৃষকদের এই ব্যাপক ক্ষতির জন্য ঠিকাদার নয়, নির্বাহী প্রকৌশলীকেই দায়ী করব। কাজ শুরুর অনুমতি যখন দেওয়া হলো তখন খনন শুরু করলে কৃষকদের এই ক্ষতি হতো না। আমি মনে করি তিনি আমার জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করেছেন এবং এটি তিনি ইচ্ছাকৃতভাবে করেছেন।’
গোপালগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডর নির্বাহী প্রকৌশলী এস এম রেফাত জামিল বলেন, ‘দেড় কিলোমিটার দৈর্ঘ্য ও ২০ ফুট প্রশস্তের খাগাইল খালটির পুনঃ খনন কাজের ওয়ার্ক অর্ডার ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সে সময় খালে পানি থাকায় খাল খনন করা সম্ভব হয়নি। ডিসেম্বর মাসের শেষ দিকে পানি শুকিয়ে যাওয়ায় জানুয়ারি মাসে কাজ শুরু করা হয়। চলতি বছরের জুন মাসে খননকাজের মেয়াদ শেষ হবে। কৃষকদের সেচের সুবিধার জন্য এই খাল খননের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তাদের বোঝানোর চেষ্টা করেছি আমরা খাল খননে এক্সকাভেটর ব্যবহার করছি যাতে খালের দুই পাড়ে মানুষ কম ক্ষতিগ্রস্ত হয়। যে মাটিটা উঠবে সেটি খালের দুই পাড়ে রাখা যাবে। সেই মাটিটা ভবিষ্যতে তারা তাদের জমিতে ব্যবহার করতে পারবে। এটি পলি সংবলিত মাটি। এটি জমির উর্বরতা বাড়াবে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে আলাপ আলোচনার পরে তারা কিছুটা আশ্বস্ত হয়েছে এবং কাজটি চলমান রয়েছে।’
নির্বাহী প্রকৌশলী আরও বলেন, ‘আমরা মাঠপর্যায়ে কাজটি বাস্তবায়নের পূর্বে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি যিনি আছেন তাঁকে জানিয়েছি, যেন শুকনো মৌসুমেই কাজটা করা যায়। এই জমিগুলো এক ফসলি এবং ফসল যখন জমিতে সেই মুহূর্তেই কাজটা হবে। এ কারণে কৃষকেরা কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে, এ বিষয়ে আগেই আমরা সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানকে জানিয়েছিলাম। তারপরও মাঠপর্যায়ে কৃষকদের ক্ষতি কিছুটা হচ্ছে। কিন্তু আমাদের ডিজাইন, এস্টিমেট এখানে কোথাও ক্ষতিপূরণ দেওয়ার সুযোগ নেই। তাই আমরা কৃষকদের কোনো ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ব্যবস্থা নিতে পারব না। ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে তাদের জমিতে সেচের জন্য এতটুকু ক্ষতি মেনে নিতে কৃষকদের অনুরোধ করছি।’

গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার হরিদাশপুর ইউনিয়নের খাগাইল গ্রামে খাল খননের মাটিতে নষ্ট হচ্ছে ধানখেত। পানি উন্নয়ন বোর্ড এই খাল খনন করছে। চাষের জন্য অতীব প্রয়োজনীয় খাগাইল খালটি খনন করে এর দুই পাশের বোরো ধানের জমিতে ফেলানো হচ্ছে মাটি। এতে ফলন্ত ধান নষ্ট হয়ে ব্যাপক ক্ষতির শিকার হচ্ছেন কয়েক শত কৃষক। পানি উন্নয়ন বোর্ডে লিখিতভাবে জানিয়েও কোনো প্রতিকার পাননি ওই এলাকার কৃষকেরা।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী বলেছেন, খালে পানি থাকায় সময়মতো কাজ শুরু করতে পারেননি। আর কাজ দেরিতে শুরু করে কৃষকদের ক্ষতির জন্য নির্বাহী প্রকৌশলীকে দায়ী করলেন স্থানীয় ইউনিয়ন চেয়ারম্যান।
২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসের ২৫ তারিখে জয় ট্রেডার্স নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে প্রায় দেড় কিলোমিটারের খাগাইল খালটি পুনঃ খননের কার্যাদেশ দেয় গোপালগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড। অদৃশ্য কারণে খননের কাজ শুরু হয় ২০২৪ সালের মার্চের প্রথম সপ্তাহে।
যে সময়টিতে খালের দুই পাড়ের বেশির ভাগ জমির ধানে শিষ বের হওয়া শুরু হয়। ধান নষ্ট হওয়ায় জমিতে মাটি ফেলতে নিষেধ করেন কৃষকেরা। কিন্তু ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের লোকজন প্রভাব খাটিয়ে খাল খননের মাটি জোর করে ফেলেছে সেই ধানের ওপরে। বিলের এক ফসলি বোরো ধানের এ জমিই কৃষকদের বেঁচে থাকার একমাত্র অবলম্বন। এ ঘটনার ফলে এখানকার কৃষকদের প্রায় ১০ একর জমির ধানের ক্ষতি হয়েছে। তাই ক্ষতি পূরণের দাবি ফসল হারানো কৃষকদের।
ভুক্তভোগী কৃষক নিয়ামত খাঁ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের এখানে এক ফসলি জমি। আমার দুই জায়গায় মোট দুই বিঘা জমিতে ধান হয়। আমরা গরিব মানুষ। এই ধান লাগিয়ে আমরা খাই। আমার ধানের ভেতর দিয়ে মাটি ফেলায় চলে গেছে। মানা করছি শোনে নায়। বলছে অল্প একটু ফেলাবানি। কিন্তু তা না করে প্রায় অর্ধেক জমির ধান নষ্ট করে ফেলেছে।’
ভুক্তভোগী এক কৃষকের স্ত্রী স্বপ্না বেগম বলেন, ‘দ্যাড় (দেড়) বিঘে জমি রুইছি আমরা। সে জমিতে ফুলা ধান, তার ওপর মাটি ফেলাইছে। আমাগে আর কোনো কামাই নাই। আমাগে মরণ (মৃত্যু) ছাড়া আর কোনো ফত (রাস্তা) নাই। ছয়ড়া ছেলে-মেয়ে এ্যাল্যা (একা) বেডা কামাই হরে তাই দিয়ে আমরা খাইয়ে, দিন যাইয়ে রাত ফোয়াইয়ে কোন রহম বাইচে থাহি। এইভাবে ধানের উপর মাটি ফেলানুর কোন যুক্তি আছে।’
ভুক্তভোগী কৃষক শাহানুর মোল্লা বলেন, ‘আমাগে একই ফসল, এর পরে আর কোনো ফসল নাই। আমাগে যে কি ক্ষতি করে গেছে। আমাগে আগে বললো না কেন। কাতি (কার্তিক) মাসে যদি বলতো এই জমিগুলো লাগাইও না, তাহলে আমরা লাগাতাম না। তারপর আমাগে যে ফুলা (শিষ বের হওয়া শুরু) ধানডা তার উপরে মাটি ফেলাইছে। বলার পরেও শোনলো না। তাগে মোনমত কাজ চালায়ই (চালিয়ে) গেছে। আমরা কৃষক মানুষ আমরা কি খাইয়ে বাচপো।’
ভুক্তভোগী কৃষক আবুল মৃধা বলেন, ‘আমাকে জমির ফোলা ধানের উপর মাটি ফেলাইছে। কিছুদিন পরে আবার মাটি ফেলালি ধান আরও নষ্ট হবে। জমি জড়াইয়ে কাটছে। পরে এসমস্ত জমি ভাইঙ্গে খালের মধ্যি পড়বে। আমাগেতো কিছুই থাকবে না। আমাগে যে ক্ষতি হইছে তাই আমাগে বুইঝে দিক।’
হরিদাশপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. ইলিয়াস হোসেন ক্ষোভ প্রকাশ করে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘খাগাইল খালটি খনন করা এলাকার কৃষকদের জন্য খুবই জরুরি। এই খালের টেন্ডার হওয়ার পরে পানি উন্নয়ন বোর্ডের গোপালগঞ্জের নির্বাহী প্রকৌশলীর সঙ্গে অনেকবার কথা হয়েছে। তাঁর কাছে এই খাল খননের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি জানান খালের টেন্ডার হয়েছে। দ্রুতই ওয়ার্ক অর্ডার দিয়ে কাজ শুরু করা হবে।
‘তাঁকে বলা হয়েছে শীত মৌসুমে খাল খনন করলে মাটি ফেলানোর পর্যাপ্ত জায়গা পাওয়া যাবে। খনন শেষে কৃষক তাদের চাষাবাদও করতে পারবে। যত দ্রুত সম্ভব কাজটা শুরু করার জন্য তখন নির্বাহী প্রকৌশলীকে অনুরোধ করে বলি; যেহেতু আমার নির্বাচনী এলাকা ও আমার নিজের গ্রাম, সেহেতু কাজ শুরু করার আগে যেন অবহিত করা হয়। যাতে কাজটি করতে তাদের সাহায্য করা যায়। কিন্তু ওয়ার্ক অর্ডার হওয়া ও চলতি মাসের প্রথম দিকে কাজ শুরু করেও আমাকে জানানো হয়নি।’
চেয়ারম্যান আরও বলেন, ‘পরে খোঁজ নিয়ে জানতে পারলাম ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ওয়ার্ক অর্ডার হয়েছে। সেপ্টেম্বরে কাজ শুরু হওয়ার কথা। কিন্তু সেই কাজ কেন পাঁচ মাস পরে ধানি জমি নষ্ট করে শুরু হলো। আমি কৃষকদের এই ব্যাপক ক্ষতির জন্য ঠিকাদার নয়, নির্বাহী প্রকৌশলীকেই দায়ী করব। কাজ শুরুর অনুমতি যখন দেওয়া হলো তখন খনন শুরু করলে কৃষকদের এই ক্ষতি হতো না। আমি মনে করি তিনি আমার জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করেছেন এবং এটি তিনি ইচ্ছাকৃতভাবে করেছেন।’
গোপালগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডর নির্বাহী প্রকৌশলী এস এম রেফাত জামিল বলেন, ‘দেড় কিলোমিটার দৈর্ঘ্য ও ২০ ফুট প্রশস্তের খাগাইল খালটির পুনঃ খনন কাজের ওয়ার্ক অর্ডার ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সে সময় খালে পানি থাকায় খাল খনন করা সম্ভব হয়নি। ডিসেম্বর মাসের শেষ দিকে পানি শুকিয়ে যাওয়ায় জানুয়ারি মাসে কাজ শুরু করা হয়। চলতি বছরের জুন মাসে খননকাজের মেয়াদ শেষ হবে। কৃষকদের সেচের সুবিধার জন্য এই খাল খননের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তাদের বোঝানোর চেষ্টা করেছি আমরা খাল খননে এক্সকাভেটর ব্যবহার করছি যাতে খালের দুই পাড়ে মানুষ কম ক্ষতিগ্রস্ত হয়। যে মাটিটা উঠবে সেটি খালের দুই পাড়ে রাখা যাবে। সেই মাটিটা ভবিষ্যতে তারা তাদের জমিতে ব্যবহার করতে পারবে। এটি পলি সংবলিত মাটি। এটি জমির উর্বরতা বাড়াবে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে আলাপ আলোচনার পরে তারা কিছুটা আশ্বস্ত হয়েছে এবং কাজটি চলমান রয়েছে।’
নির্বাহী প্রকৌশলী আরও বলেন, ‘আমরা মাঠপর্যায়ে কাজটি বাস্তবায়নের পূর্বে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি যিনি আছেন তাঁকে জানিয়েছি, যেন শুকনো মৌসুমেই কাজটা করা যায়। এই জমিগুলো এক ফসলি এবং ফসল যখন জমিতে সেই মুহূর্তেই কাজটা হবে। এ কারণে কৃষকেরা কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে, এ বিষয়ে আগেই আমরা সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানকে জানিয়েছিলাম। তারপরও মাঠপর্যায়ে কৃষকদের ক্ষতি কিছুটা হচ্ছে। কিন্তু আমাদের ডিজাইন, এস্টিমেট এখানে কোথাও ক্ষতিপূরণ দেওয়ার সুযোগ নেই। তাই আমরা কৃষকদের কোনো ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ব্যবস্থা নিতে পারব না। ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে তাদের জমিতে সেচের জন্য এতটুকু ক্ষতি মেনে নিতে কৃষকদের অনুরোধ করছি।’
গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি

গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার হরিদাশপুর ইউনিয়নের খাগাইল গ্রামে খাল খননের মাটিতে নষ্ট হচ্ছে ধানখেত। পানি উন্নয়ন বোর্ড এই খাল খনন করছে। চাষের জন্য অতীব প্রয়োজনীয় খাগাইল খালটি খনন করে এর দুই পাশের বোরো ধানের জমিতে ফেলানো হচ্ছে মাটি। এতে ফলন্ত ধান নষ্ট হয়ে ব্যাপক ক্ষতির শিকার হচ্ছেন কয়েক শত কৃষক। পানি উন্নয়ন বোর্ডে লিখিতভাবে জানিয়েও কোনো প্রতিকার পাননি ওই এলাকার কৃষকেরা।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী বলেছেন, খালে পানি থাকায় সময়মতো কাজ শুরু করতে পারেননি। আর কাজ দেরিতে শুরু করে কৃষকদের ক্ষতির জন্য নির্বাহী প্রকৌশলীকে দায়ী করলেন স্থানীয় ইউনিয়ন চেয়ারম্যান।
২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসের ২৫ তারিখে জয় ট্রেডার্স নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে প্রায় দেড় কিলোমিটারের খাগাইল খালটি পুনঃ খননের কার্যাদেশ দেয় গোপালগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড। অদৃশ্য কারণে খননের কাজ শুরু হয় ২০২৪ সালের মার্চের প্রথম সপ্তাহে।
যে সময়টিতে খালের দুই পাড়ের বেশির ভাগ জমির ধানে শিষ বের হওয়া শুরু হয়। ধান নষ্ট হওয়ায় জমিতে মাটি ফেলতে নিষেধ করেন কৃষকেরা। কিন্তু ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের লোকজন প্রভাব খাটিয়ে খাল খননের মাটি জোর করে ফেলেছে সেই ধানের ওপরে। বিলের এক ফসলি বোরো ধানের এ জমিই কৃষকদের বেঁচে থাকার একমাত্র অবলম্বন। এ ঘটনার ফলে এখানকার কৃষকদের প্রায় ১০ একর জমির ধানের ক্ষতি হয়েছে। তাই ক্ষতি পূরণের দাবি ফসল হারানো কৃষকদের।
ভুক্তভোগী কৃষক নিয়ামত খাঁ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের এখানে এক ফসলি জমি। আমার দুই জায়গায় মোট দুই বিঘা জমিতে ধান হয়। আমরা গরিব মানুষ। এই ধান লাগিয়ে আমরা খাই। আমার ধানের ভেতর দিয়ে মাটি ফেলায় চলে গেছে। মানা করছি শোনে নায়। বলছে অল্প একটু ফেলাবানি। কিন্তু তা না করে প্রায় অর্ধেক জমির ধান নষ্ট করে ফেলেছে।’
ভুক্তভোগী এক কৃষকের স্ত্রী স্বপ্না বেগম বলেন, ‘দ্যাড় (দেড়) বিঘে জমি রুইছি আমরা। সে জমিতে ফুলা ধান, তার ওপর মাটি ফেলাইছে। আমাগে আর কোনো কামাই নাই। আমাগে মরণ (মৃত্যু) ছাড়া আর কোনো ফত (রাস্তা) নাই। ছয়ড়া ছেলে-মেয়ে এ্যাল্যা (একা) বেডা কামাই হরে তাই দিয়ে আমরা খাইয়ে, দিন যাইয়ে রাত ফোয়াইয়ে কোন রহম বাইচে থাহি। এইভাবে ধানের উপর মাটি ফেলানুর কোন যুক্তি আছে।’
ভুক্তভোগী কৃষক শাহানুর মোল্লা বলেন, ‘আমাগে একই ফসল, এর পরে আর কোনো ফসল নাই। আমাগে যে কি ক্ষতি করে গেছে। আমাগে আগে বললো না কেন। কাতি (কার্তিক) মাসে যদি বলতো এই জমিগুলো লাগাইও না, তাহলে আমরা লাগাতাম না। তারপর আমাগে যে ফুলা (শিষ বের হওয়া শুরু) ধানডা তার উপরে মাটি ফেলাইছে। বলার পরেও শোনলো না। তাগে মোনমত কাজ চালায়ই (চালিয়ে) গেছে। আমরা কৃষক মানুষ আমরা কি খাইয়ে বাচপো।’
ভুক্তভোগী কৃষক আবুল মৃধা বলেন, ‘আমাকে জমির ফোলা ধানের উপর মাটি ফেলাইছে। কিছুদিন পরে আবার মাটি ফেলালি ধান আরও নষ্ট হবে। জমি জড়াইয়ে কাটছে। পরে এসমস্ত জমি ভাইঙ্গে খালের মধ্যি পড়বে। আমাগেতো কিছুই থাকবে না। আমাগে যে ক্ষতি হইছে তাই আমাগে বুইঝে দিক।’
হরিদাশপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. ইলিয়াস হোসেন ক্ষোভ প্রকাশ করে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘খাগাইল খালটি খনন করা এলাকার কৃষকদের জন্য খুবই জরুরি। এই খালের টেন্ডার হওয়ার পরে পানি উন্নয়ন বোর্ডের গোপালগঞ্জের নির্বাহী প্রকৌশলীর সঙ্গে অনেকবার কথা হয়েছে। তাঁর কাছে এই খাল খননের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি জানান খালের টেন্ডার হয়েছে। দ্রুতই ওয়ার্ক অর্ডার দিয়ে কাজ শুরু করা হবে।
‘তাঁকে বলা হয়েছে শীত মৌসুমে খাল খনন করলে মাটি ফেলানোর পর্যাপ্ত জায়গা পাওয়া যাবে। খনন শেষে কৃষক তাদের চাষাবাদও করতে পারবে। যত দ্রুত সম্ভব কাজটা শুরু করার জন্য তখন নির্বাহী প্রকৌশলীকে অনুরোধ করে বলি; যেহেতু আমার নির্বাচনী এলাকা ও আমার নিজের গ্রাম, সেহেতু কাজ শুরু করার আগে যেন অবহিত করা হয়। যাতে কাজটি করতে তাদের সাহায্য করা যায়। কিন্তু ওয়ার্ক অর্ডার হওয়া ও চলতি মাসের প্রথম দিকে কাজ শুরু করেও আমাকে জানানো হয়নি।’
চেয়ারম্যান আরও বলেন, ‘পরে খোঁজ নিয়ে জানতে পারলাম ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ওয়ার্ক অর্ডার হয়েছে। সেপ্টেম্বরে কাজ শুরু হওয়ার কথা। কিন্তু সেই কাজ কেন পাঁচ মাস পরে ধানি জমি নষ্ট করে শুরু হলো। আমি কৃষকদের এই ব্যাপক ক্ষতির জন্য ঠিকাদার নয়, নির্বাহী প্রকৌশলীকেই দায়ী করব। কাজ শুরুর অনুমতি যখন দেওয়া হলো তখন খনন শুরু করলে কৃষকদের এই ক্ষতি হতো না। আমি মনে করি তিনি আমার জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করেছেন এবং এটি তিনি ইচ্ছাকৃতভাবে করেছেন।’
গোপালগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডর নির্বাহী প্রকৌশলী এস এম রেফাত জামিল বলেন, ‘দেড় কিলোমিটার দৈর্ঘ্য ও ২০ ফুট প্রশস্তের খাগাইল খালটির পুনঃ খনন কাজের ওয়ার্ক অর্ডার ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সে সময় খালে পানি থাকায় খাল খনন করা সম্ভব হয়নি। ডিসেম্বর মাসের শেষ দিকে পানি শুকিয়ে যাওয়ায় জানুয়ারি মাসে কাজ শুরু করা হয়। চলতি বছরের জুন মাসে খননকাজের মেয়াদ শেষ হবে। কৃষকদের সেচের সুবিধার জন্য এই খাল খননের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তাদের বোঝানোর চেষ্টা করেছি আমরা খাল খননে এক্সকাভেটর ব্যবহার করছি যাতে খালের দুই পাড়ে মানুষ কম ক্ষতিগ্রস্ত হয়। যে মাটিটা উঠবে সেটি খালের দুই পাড়ে রাখা যাবে। সেই মাটিটা ভবিষ্যতে তারা তাদের জমিতে ব্যবহার করতে পারবে। এটি পলি সংবলিত মাটি। এটি জমির উর্বরতা বাড়াবে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে আলাপ আলোচনার পরে তারা কিছুটা আশ্বস্ত হয়েছে এবং কাজটি চলমান রয়েছে।’
নির্বাহী প্রকৌশলী আরও বলেন, ‘আমরা মাঠপর্যায়ে কাজটি বাস্তবায়নের পূর্বে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি যিনি আছেন তাঁকে জানিয়েছি, যেন শুকনো মৌসুমেই কাজটা করা যায়। এই জমিগুলো এক ফসলি এবং ফসল যখন জমিতে সেই মুহূর্তেই কাজটা হবে। এ কারণে কৃষকেরা কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে, এ বিষয়ে আগেই আমরা সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানকে জানিয়েছিলাম। তারপরও মাঠপর্যায়ে কৃষকদের ক্ষতি কিছুটা হচ্ছে। কিন্তু আমাদের ডিজাইন, এস্টিমেট এখানে কোথাও ক্ষতিপূরণ দেওয়ার সুযোগ নেই। তাই আমরা কৃষকদের কোনো ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ব্যবস্থা নিতে পারব না। ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে তাদের জমিতে সেচের জন্য এতটুকু ক্ষতি মেনে নিতে কৃষকদের অনুরোধ করছি।’

গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার হরিদাশপুর ইউনিয়নের খাগাইল গ্রামে খাল খননের মাটিতে নষ্ট হচ্ছে ধানখেত। পানি উন্নয়ন বোর্ড এই খাল খনন করছে। চাষের জন্য অতীব প্রয়োজনীয় খাগাইল খালটি খনন করে এর দুই পাশের বোরো ধানের জমিতে ফেলানো হচ্ছে মাটি। এতে ফলন্ত ধান নষ্ট হয়ে ব্যাপক ক্ষতির শিকার হচ্ছেন কয়েক শত কৃষক। পানি উন্নয়ন বোর্ডে লিখিতভাবে জানিয়েও কোনো প্রতিকার পাননি ওই এলাকার কৃষকেরা।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী বলেছেন, খালে পানি থাকায় সময়মতো কাজ শুরু করতে পারেননি। আর কাজ দেরিতে শুরু করে কৃষকদের ক্ষতির জন্য নির্বাহী প্রকৌশলীকে দায়ী করলেন স্থানীয় ইউনিয়ন চেয়ারম্যান।
২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসের ২৫ তারিখে জয় ট্রেডার্স নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে প্রায় দেড় কিলোমিটারের খাগাইল খালটি পুনঃ খননের কার্যাদেশ দেয় গোপালগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড। অদৃশ্য কারণে খননের কাজ শুরু হয় ২০২৪ সালের মার্চের প্রথম সপ্তাহে।
যে সময়টিতে খালের দুই পাড়ের বেশির ভাগ জমির ধানে শিষ বের হওয়া শুরু হয়। ধান নষ্ট হওয়ায় জমিতে মাটি ফেলতে নিষেধ করেন কৃষকেরা। কিন্তু ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের লোকজন প্রভাব খাটিয়ে খাল খননের মাটি জোর করে ফেলেছে সেই ধানের ওপরে। বিলের এক ফসলি বোরো ধানের এ জমিই কৃষকদের বেঁচে থাকার একমাত্র অবলম্বন। এ ঘটনার ফলে এখানকার কৃষকদের প্রায় ১০ একর জমির ধানের ক্ষতি হয়েছে। তাই ক্ষতি পূরণের দাবি ফসল হারানো কৃষকদের।
ভুক্তভোগী কৃষক নিয়ামত খাঁ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের এখানে এক ফসলি জমি। আমার দুই জায়গায় মোট দুই বিঘা জমিতে ধান হয়। আমরা গরিব মানুষ। এই ধান লাগিয়ে আমরা খাই। আমার ধানের ভেতর দিয়ে মাটি ফেলায় চলে গেছে। মানা করছি শোনে নায়। বলছে অল্প একটু ফেলাবানি। কিন্তু তা না করে প্রায় অর্ধেক জমির ধান নষ্ট করে ফেলেছে।’
ভুক্তভোগী এক কৃষকের স্ত্রী স্বপ্না বেগম বলেন, ‘দ্যাড় (দেড়) বিঘে জমি রুইছি আমরা। সে জমিতে ফুলা ধান, তার ওপর মাটি ফেলাইছে। আমাগে আর কোনো কামাই নাই। আমাগে মরণ (মৃত্যু) ছাড়া আর কোনো ফত (রাস্তা) নাই। ছয়ড়া ছেলে-মেয়ে এ্যাল্যা (একা) বেডা কামাই হরে তাই দিয়ে আমরা খাইয়ে, দিন যাইয়ে রাত ফোয়াইয়ে কোন রহম বাইচে থাহি। এইভাবে ধানের উপর মাটি ফেলানুর কোন যুক্তি আছে।’
ভুক্তভোগী কৃষক শাহানুর মোল্লা বলেন, ‘আমাগে একই ফসল, এর পরে আর কোনো ফসল নাই। আমাগে যে কি ক্ষতি করে গেছে। আমাগে আগে বললো না কেন। কাতি (কার্তিক) মাসে যদি বলতো এই জমিগুলো লাগাইও না, তাহলে আমরা লাগাতাম না। তারপর আমাগে যে ফুলা (শিষ বের হওয়া শুরু) ধানডা তার উপরে মাটি ফেলাইছে। বলার পরেও শোনলো না। তাগে মোনমত কাজ চালায়ই (চালিয়ে) গেছে। আমরা কৃষক মানুষ আমরা কি খাইয়ে বাচপো।’
ভুক্তভোগী কৃষক আবুল মৃধা বলেন, ‘আমাকে জমির ফোলা ধানের উপর মাটি ফেলাইছে। কিছুদিন পরে আবার মাটি ফেলালি ধান আরও নষ্ট হবে। জমি জড়াইয়ে কাটছে। পরে এসমস্ত জমি ভাইঙ্গে খালের মধ্যি পড়বে। আমাগেতো কিছুই থাকবে না। আমাগে যে ক্ষতি হইছে তাই আমাগে বুইঝে দিক।’
হরিদাশপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. ইলিয়াস হোসেন ক্ষোভ প্রকাশ করে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘খাগাইল খালটি খনন করা এলাকার কৃষকদের জন্য খুবই জরুরি। এই খালের টেন্ডার হওয়ার পরে পানি উন্নয়ন বোর্ডের গোপালগঞ্জের নির্বাহী প্রকৌশলীর সঙ্গে অনেকবার কথা হয়েছে। তাঁর কাছে এই খাল খননের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি জানান খালের টেন্ডার হয়েছে। দ্রুতই ওয়ার্ক অর্ডার দিয়ে কাজ শুরু করা হবে।
‘তাঁকে বলা হয়েছে শীত মৌসুমে খাল খনন করলে মাটি ফেলানোর পর্যাপ্ত জায়গা পাওয়া যাবে। খনন শেষে কৃষক তাদের চাষাবাদও করতে পারবে। যত দ্রুত সম্ভব কাজটা শুরু করার জন্য তখন নির্বাহী প্রকৌশলীকে অনুরোধ করে বলি; যেহেতু আমার নির্বাচনী এলাকা ও আমার নিজের গ্রাম, সেহেতু কাজ শুরু করার আগে যেন অবহিত করা হয়। যাতে কাজটি করতে তাদের সাহায্য করা যায়। কিন্তু ওয়ার্ক অর্ডার হওয়া ও চলতি মাসের প্রথম দিকে কাজ শুরু করেও আমাকে জানানো হয়নি।’
চেয়ারম্যান আরও বলেন, ‘পরে খোঁজ নিয়ে জানতে পারলাম ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ওয়ার্ক অর্ডার হয়েছে। সেপ্টেম্বরে কাজ শুরু হওয়ার কথা। কিন্তু সেই কাজ কেন পাঁচ মাস পরে ধানি জমি নষ্ট করে শুরু হলো। আমি কৃষকদের এই ব্যাপক ক্ষতির জন্য ঠিকাদার নয়, নির্বাহী প্রকৌশলীকেই দায়ী করব। কাজ শুরুর অনুমতি যখন দেওয়া হলো তখন খনন শুরু করলে কৃষকদের এই ক্ষতি হতো না। আমি মনে করি তিনি আমার জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করেছেন এবং এটি তিনি ইচ্ছাকৃতভাবে করেছেন।’
গোপালগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডর নির্বাহী প্রকৌশলী এস এম রেফাত জামিল বলেন, ‘দেড় কিলোমিটার দৈর্ঘ্য ও ২০ ফুট প্রশস্তের খাগাইল খালটির পুনঃ খনন কাজের ওয়ার্ক অর্ডার ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সে সময় খালে পানি থাকায় খাল খনন করা সম্ভব হয়নি। ডিসেম্বর মাসের শেষ দিকে পানি শুকিয়ে যাওয়ায় জানুয়ারি মাসে কাজ শুরু করা হয়। চলতি বছরের জুন মাসে খননকাজের মেয়াদ শেষ হবে। কৃষকদের সেচের সুবিধার জন্য এই খাল খননের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তাদের বোঝানোর চেষ্টা করেছি আমরা খাল খননে এক্সকাভেটর ব্যবহার করছি যাতে খালের দুই পাড়ে মানুষ কম ক্ষতিগ্রস্ত হয়। যে মাটিটা উঠবে সেটি খালের দুই পাড়ে রাখা যাবে। সেই মাটিটা ভবিষ্যতে তারা তাদের জমিতে ব্যবহার করতে পারবে। এটি পলি সংবলিত মাটি। এটি জমির উর্বরতা বাড়াবে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে আলাপ আলোচনার পরে তারা কিছুটা আশ্বস্ত হয়েছে এবং কাজটি চলমান রয়েছে।’
নির্বাহী প্রকৌশলী আরও বলেন, ‘আমরা মাঠপর্যায়ে কাজটি বাস্তবায়নের পূর্বে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি যিনি আছেন তাঁকে জানিয়েছি, যেন শুকনো মৌসুমেই কাজটা করা যায়। এই জমিগুলো এক ফসলি এবং ফসল যখন জমিতে সেই মুহূর্তেই কাজটা হবে। এ কারণে কৃষকেরা কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে, এ বিষয়ে আগেই আমরা সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানকে জানিয়েছিলাম। তারপরও মাঠপর্যায়ে কৃষকদের ক্ষতি কিছুটা হচ্ছে। কিন্তু আমাদের ডিজাইন, এস্টিমেট এখানে কোথাও ক্ষতিপূরণ দেওয়ার সুযোগ নেই। তাই আমরা কৃষকদের কোনো ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ব্যবস্থা নিতে পারব না। ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে তাদের জমিতে সেচের জন্য এতটুকু ক্ষতি মেনে নিতে কৃষকদের অনুরোধ করছি।’

নোয়াখালীর সুবর্ণচরে নির্বাচনী আচরণবিধি বাস্তবায়নে ব্যানার, ফেস্টুন, তোরণ ও বিলবোর্ড অপসারণ করেছে উপজেলা প্রশাসন। রোববার (১৪ ডিসেম্বর) দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আকিব ওসমানের নেতৃত্বে এই অভিযান চালানো হয়।
৭ মিনিট আগে
পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পাবিপ্রবি) এবং জাপানের ইয়ামানাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে সমঝোতা স্মারক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। আজ রোববার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে এই চুক্তি স্বাক্ষর হয়। পাবিপ্রবির পক্ষে উপাচার্য প্রফেসর ড. এস এম আব্দুল আওয়াল এবং ইয়ামানাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের
১৩ মিনিট আগে
জামায়াত নেতারা আসায় নেত্রকোনার মোহনগঞ্জে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের অনুষ্ঠান থেকে বেরিয়ে গেলেন মুক্তিযোদ্ধারা। আজ রোববার উপজেলার অডিটরিয়ামে এ ঘটনা ঘটে।
২০ মিনিট আগে
রাজধানীর পল্টনে ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ওসমান শরিফ হাদি গুলিবিদ্ধের ঘটনায় আরও দুজনকে আটক করা হয়েছে। সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে লোক পারাপারের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে শেরপুর থেকে তাঁদের আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
২২ মিনিট আগেসুবর্ণচর (নোয়াখালী) প্রতিনিধি

নোয়াখালীর সুবর্ণচরে নির্বাচনী আচরণবিধি বাস্তবায়নে ব্যানার, ফেস্টুন, তোরণ ও বিলবোর্ড অপসারণ করেছে উপজেলা প্রশাসন।
রোববার (১৪ ডিসেম্বর) দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আকিব ওসমানের নেতৃত্বে এই অভিযান চালানো হয়।
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সব ধরনের রাজনৈতিক প্রচারসামগ্রী অপসারণের কথা থাকলেও নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তা সরানো হয়নি। ফলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সরাসরি উদ্যোগ নেওয়া হয়।
এর আগে গত শনিবার রাতে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে মাইকিং করে রাজনৈতিক দলগুলোকে নিজ নিজ ব্যানার, ফেস্টুন, তোরণ ও বিলবোর্ড নিজ দায়িত্বে অপসারণের জন্য অনুরোধ জানানো হয়। নির্দেশনা অমান্য করায় রোববার দুপুরে প্রশাসন নিজ উদ্যোগে এসব প্রচারসামগ্রী অপসারণ করে।
অভিযান পরিচালনায় সহযোগিতা করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ছেনমং রাখাইন ও চরজব্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লুৎফর রহমানসহ পুলিশ সদস্যরা। এ ছাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও অভিযানে অংশ নেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আকিব ওসমান বলেন, নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী উপজেলায় সব রাজনৈতিক ব্যানার, ফেস্টুন, তোরণ ও বিলবোর্ড অপসারণ করা হচ্ছে। আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্যভাবে আয়োজন করতে উপজেলা প্রশাসন বদ্ধপরিকর।

নোয়াখালীর সুবর্ণচরে নির্বাচনী আচরণবিধি বাস্তবায়নে ব্যানার, ফেস্টুন, তোরণ ও বিলবোর্ড অপসারণ করেছে উপজেলা প্রশাসন।
রোববার (১৪ ডিসেম্বর) দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আকিব ওসমানের নেতৃত্বে এই অভিযান চালানো হয়।
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সব ধরনের রাজনৈতিক প্রচারসামগ্রী অপসারণের কথা থাকলেও নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তা সরানো হয়নি। ফলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সরাসরি উদ্যোগ নেওয়া হয়।
এর আগে গত শনিবার রাতে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে মাইকিং করে রাজনৈতিক দলগুলোকে নিজ নিজ ব্যানার, ফেস্টুন, তোরণ ও বিলবোর্ড নিজ দায়িত্বে অপসারণের জন্য অনুরোধ জানানো হয়। নির্দেশনা অমান্য করায় রোববার দুপুরে প্রশাসন নিজ উদ্যোগে এসব প্রচারসামগ্রী অপসারণ করে।
অভিযান পরিচালনায় সহযোগিতা করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ছেনমং রাখাইন ও চরজব্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লুৎফর রহমানসহ পুলিশ সদস্যরা। এ ছাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও অভিযানে অংশ নেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আকিব ওসমান বলেন, নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী উপজেলায় সব রাজনৈতিক ব্যানার, ফেস্টুন, তোরণ ও বিলবোর্ড অপসারণ করা হচ্ছে। আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্যভাবে আয়োজন করতে উপজেলা প্রশাসন বদ্ধপরিকর।

গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার হরিদাশপুর ইউনিয়নের খাগাইল গ্রামে খাল খননের মাটিতে নষ্ট হচ্ছে ধানখেত। পানি উন্নয়ন বোর্ড এই খাল খনন করছে। চাষের জন্য অতীব প্রয়োজনীয় খাগাইল খালটি খনন করে এর দুই পাশের বোরো ধানের জমিতে ফেলানো হচ্ছে মাটি। এতে ফলন্ত ধান নষ্ট হয়ে ব্যাপক ক্ষতির শিকার হচ্ছেন কয়েক শত কৃষক। পানি উন্নয়ন বো
২৯ মার্চ ২০২৪
পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পাবিপ্রবি) এবং জাপানের ইয়ামানাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে সমঝোতা স্মারক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। আজ রোববার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে এই চুক্তি স্বাক্ষর হয়। পাবিপ্রবির পক্ষে উপাচার্য প্রফেসর ড. এস এম আব্দুল আওয়াল এবং ইয়ামানাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের
১৩ মিনিট আগে
জামায়াত নেতারা আসায় নেত্রকোনার মোহনগঞ্জে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের অনুষ্ঠান থেকে বেরিয়ে গেলেন মুক্তিযোদ্ধারা। আজ রোববার উপজেলার অডিটরিয়ামে এ ঘটনা ঘটে।
২০ মিনিট আগে
রাজধানীর পল্টনে ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ওসমান শরিফ হাদি গুলিবিদ্ধের ঘটনায় আরও দুজনকে আটক করা হয়েছে। সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে লোক পারাপারের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে শেরপুর থেকে তাঁদের আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
২২ মিনিট আগেপাবনা প্রতিনিধি

পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পাবিপ্রবি) এবং জাপানের ইয়ামানাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে সমঝোতা স্মারক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। আজ রোববার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে এই চুক্তি স্বাক্ষর হয়। পাবিপ্রবির পক্ষে উপাচার্য প্রফেসর ড. এস এম আব্দুল আওয়াল এবং ইয়ামানাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে ভাইস প্রেডিডেন্ট প্রফেসর ড. মাসানারি হানাওয়া চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।
এই সমঝোতা স্মারক চুক্তির ফলে উভয় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষাগত ও একাডেমিক সহযোগিতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে কাজ করবে। পাবিপ্রবির শিক্ষার্থীরা জাপানের মর্যাদাপূর্ণ মেক্সট স্কলারশিপ লাভ করবে। স্কলারশিপ প্রাপ্তরা জাপানে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ, নতুন প্রযুক্তি ও গবেষণার সঙ্গে পরিচিত হবেন এবং একাডেমিক অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারবেন।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপাচার্য প্রফেসর ড. এস এম আব্দুল আওয়াল বলেন, ‘১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর আমাদের বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে মেধাশূন্য করা হয়েছিল। আমরা আজকে সমঝোতা স্মারক চুক্তির দিন হিসেবে বেছে নিয়েছি। কারণ, আমরা বুদ্ধিবৃত্তিক মানুষ গড়তে চাই। আমরা প্রমাণ করতে চাই আমরা হেরে যাইনি।’
প্রফেসর ড. মাসানারি হানাওয়া বলেন, ‘সমঝোতা স্মারক চুক্তির ফলে শিক্ষা, গবেষণা, রিসোর্স এবং মানবসম্পদ তৈরির লক্ষ্যে আমরা উভয়ে মিলে কাজ করব। আমরা কার্যকর সমঝোতা গড়ে তুলব। আমাদের মধ্যে দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্ক তৈরি হবে। ফলে আমাদের মধ্যে জ্ঞানের অংশীদারত্বের পথ সৃষ্টি হবে। এতে আমরা দুই পক্ষই লাভবান হব।’

পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পাবিপ্রবি) এবং জাপানের ইয়ামানাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে সমঝোতা স্মারক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। আজ রোববার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে এই চুক্তি স্বাক্ষর হয়। পাবিপ্রবির পক্ষে উপাচার্য প্রফেসর ড. এস এম আব্দুল আওয়াল এবং ইয়ামানাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে ভাইস প্রেডিডেন্ট প্রফেসর ড. মাসানারি হানাওয়া চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।
এই সমঝোতা স্মারক চুক্তির ফলে উভয় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষাগত ও একাডেমিক সহযোগিতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে কাজ করবে। পাবিপ্রবির শিক্ষার্থীরা জাপানের মর্যাদাপূর্ণ মেক্সট স্কলারশিপ লাভ করবে। স্কলারশিপ প্রাপ্তরা জাপানে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ, নতুন প্রযুক্তি ও গবেষণার সঙ্গে পরিচিত হবেন এবং একাডেমিক অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারবেন।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপাচার্য প্রফেসর ড. এস এম আব্দুল আওয়াল বলেন, ‘১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর আমাদের বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে মেধাশূন্য করা হয়েছিল। আমরা আজকে সমঝোতা স্মারক চুক্তির দিন হিসেবে বেছে নিয়েছি। কারণ, আমরা বুদ্ধিবৃত্তিক মানুষ গড়তে চাই। আমরা প্রমাণ করতে চাই আমরা হেরে যাইনি।’
প্রফেসর ড. মাসানারি হানাওয়া বলেন, ‘সমঝোতা স্মারক চুক্তির ফলে শিক্ষা, গবেষণা, রিসোর্স এবং মানবসম্পদ তৈরির লক্ষ্যে আমরা উভয়ে মিলে কাজ করব। আমরা কার্যকর সমঝোতা গড়ে তুলব। আমাদের মধ্যে দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্ক তৈরি হবে। ফলে আমাদের মধ্যে জ্ঞানের অংশীদারত্বের পথ সৃষ্টি হবে। এতে আমরা দুই পক্ষই লাভবান হব।’

গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার হরিদাশপুর ইউনিয়নের খাগাইল গ্রামে খাল খননের মাটিতে নষ্ট হচ্ছে ধানখেত। পানি উন্নয়ন বোর্ড এই খাল খনন করছে। চাষের জন্য অতীব প্রয়োজনীয় খাগাইল খালটি খনন করে এর দুই পাশের বোরো ধানের জমিতে ফেলানো হচ্ছে মাটি। এতে ফলন্ত ধান নষ্ট হয়ে ব্যাপক ক্ষতির শিকার হচ্ছেন কয়েক শত কৃষক। পানি উন্নয়ন বো
২৯ মার্চ ২০২৪
নোয়াখালীর সুবর্ণচরে নির্বাচনী আচরণবিধি বাস্তবায়নে ব্যানার, ফেস্টুন, তোরণ ও বিলবোর্ড অপসারণ করেছে উপজেলা প্রশাসন। রোববার (১৪ ডিসেম্বর) দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আকিব ওসমানের নেতৃত্বে এই অভিযান চালানো হয়।
৭ মিনিট আগে
জামায়াত নেতারা আসায় নেত্রকোনার মোহনগঞ্জে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের অনুষ্ঠান থেকে বেরিয়ে গেলেন মুক্তিযোদ্ধারা। আজ রোববার উপজেলার অডিটরিয়ামে এ ঘটনা ঘটে।
২০ মিনিট আগে
রাজধানীর পল্টনে ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ওসমান শরিফ হাদি গুলিবিদ্ধের ঘটনায় আরও দুজনকে আটক করা হয়েছে। সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে লোক পারাপারের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে শেরপুর থেকে তাঁদের আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
২২ মিনিট আগেনেত্রকোনা, প্রতিনিধি

জামায়াত নেতারা আসায় নেত্রকোনার মোহনগঞ্জে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের অনুষ্ঠান থেকে বেরিয়ে গেলেন মুক্তিযোদ্ধারা। আজ রোববার উপজেলার অডিটরিয়ামে এ ঘটনা ঘটে।
এর আগে সকালে দিবসটি উপলক্ষে উপজেলা পরিষদ চত্বরে স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। পরে বেলা ১১টার দিকে উপজেলার অডিটরিয়ামে আলোচনা সভার আয়োজন করে প্রশাসন।
আলোচনা সভায় জামায়াতে ইসলামীর নেতাদের দাওয়াত দেওয়ায় স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা সভা বর্জন করে চলে যান। পরে শহরের স্টেশন রোডে মুক্তিযোদ্ধা সংসদে জরুরি সংবাদ সম্মেলন ডাকেন তাঁরা।
এ সময় মুক্তিযোদ্ধারা বলেন, ‘স্বাধীনতাবিরোধী জামায়াতে ইসলামীর নেতাদের মঞ্চে স্থান দেওয়ায় আমরা আলোচনা সভা বর্জন করি। যারা আমাদের স্বাধীনতাযুদ্ধে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করল, তাদের সঙ্গে আমরা বসতে পারি না। এখানে আমরা কোনো আপস করতে পারি না।’
তাঁরা আরও বলেন, ‘এর আগে আমরা উপজেলা প্রশাসনকে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের আলোচনা সভায় জামায়াতকে না রাখতে ইউএনওর প্রতি অনুরোধ জানাই। কিন্তু আমাদের অনুরোধ তিনি রাখেননি।’
এ সময় বক্তব্য দেন উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডের আহ্বায়ক আব্দুল খালেক, যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুর রহমান ও সদস্যসচিব গোলাম মোস্তফা।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আমেনা খাতুন আজকের পত্রিকাকে বলেন, সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক সব রাজনৈতিক নেতাকে দাওয়াত দিয়েছি। বীর মুক্তিযোদ্ধারা সভায় বিলম্বে যাওয়ায় আমাদের পাশেই তাঁদের জন্য আলাদা চেয়ারও রেখেছিলাম। কিন্তু উনারা চেয়ারে না বসে ব্যস্ততা দেখিয়ে হলরুম ত্যাগ করেন।’

জামায়াত নেতারা আসায় নেত্রকোনার মোহনগঞ্জে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের অনুষ্ঠান থেকে বেরিয়ে গেলেন মুক্তিযোদ্ধারা। আজ রোববার উপজেলার অডিটরিয়ামে এ ঘটনা ঘটে।
এর আগে সকালে দিবসটি উপলক্ষে উপজেলা পরিষদ চত্বরে স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। পরে বেলা ১১টার দিকে উপজেলার অডিটরিয়ামে আলোচনা সভার আয়োজন করে প্রশাসন।
আলোচনা সভায় জামায়াতে ইসলামীর নেতাদের দাওয়াত দেওয়ায় স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা সভা বর্জন করে চলে যান। পরে শহরের স্টেশন রোডে মুক্তিযোদ্ধা সংসদে জরুরি সংবাদ সম্মেলন ডাকেন তাঁরা।
এ সময় মুক্তিযোদ্ধারা বলেন, ‘স্বাধীনতাবিরোধী জামায়াতে ইসলামীর নেতাদের মঞ্চে স্থান দেওয়ায় আমরা আলোচনা সভা বর্জন করি। যারা আমাদের স্বাধীনতাযুদ্ধে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করল, তাদের সঙ্গে আমরা বসতে পারি না। এখানে আমরা কোনো আপস করতে পারি না।’
তাঁরা আরও বলেন, ‘এর আগে আমরা উপজেলা প্রশাসনকে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের আলোচনা সভায় জামায়াতকে না রাখতে ইউএনওর প্রতি অনুরোধ জানাই। কিন্তু আমাদের অনুরোধ তিনি রাখেননি।’
এ সময় বক্তব্য দেন উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডের আহ্বায়ক আব্দুল খালেক, যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুর রহমান ও সদস্যসচিব গোলাম মোস্তফা।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আমেনা খাতুন আজকের পত্রিকাকে বলেন, সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক সব রাজনৈতিক নেতাকে দাওয়াত দিয়েছি। বীর মুক্তিযোদ্ধারা সভায় বিলম্বে যাওয়ায় আমাদের পাশেই তাঁদের জন্য আলাদা চেয়ারও রেখেছিলাম। কিন্তু উনারা চেয়ারে না বসে ব্যস্ততা দেখিয়ে হলরুম ত্যাগ করেন।’

গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার হরিদাশপুর ইউনিয়নের খাগাইল গ্রামে খাল খননের মাটিতে নষ্ট হচ্ছে ধানখেত। পানি উন্নয়ন বোর্ড এই খাল খনন করছে। চাষের জন্য অতীব প্রয়োজনীয় খাগাইল খালটি খনন করে এর দুই পাশের বোরো ধানের জমিতে ফেলানো হচ্ছে মাটি। এতে ফলন্ত ধান নষ্ট হয়ে ব্যাপক ক্ষতির শিকার হচ্ছেন কয়েক শত কৃষক। পানি উন্নয়ন বো
২৯ মার্চ ২০২৪
নোয়াখালীর সুবর্ণচরে নির্বাচনী আচরণবিধি বাস্তবায়নে ব্যানার, ফেস্টুন, তোরণ ও বিলবোর্ড অপসারণ করেছে উপজেলা প্রশাসন। রোববার (১৪ ডিসেম্বর) দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আকিব ওসমানের নেতৃত্বে এই অভিযান চালানো হয়।
৭ মিনিট আগে
পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পাবিপ্রবি) এবং জাপানের ইয়ামানাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে সমঝোতা স্মারক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। আজ রোববার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে এই চুক্তি স্বাক্ষর হয়। পাবিপ্রবির পক্ষে উপাচার্য প্রফেসর ড. এস এম আব্দুল আওয়াল এবং ইয়ামানাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের
১৩ মিনিট আগে
রাজধানীর পল্টনে ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ওসমান শরিফ হাদি গুলিবিদ্ধের ঘটনায় আরও দুজনকে আটক করা হয়েছে। সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে লোক পারাপারের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে শেরপুর থেকে তাঁদের আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
২২ মিনিট আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানীর পল্টনে ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ওসমান শরিফ হাদি গুলিবিদ্ধের ঘটনায় আরও দুজনকে আটক করা হয়েছে। সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে লোক পারাপারের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে শেরপুর থেকে তাঁদের আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
এর আগে হাদির ওপর হামলায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলের মালিক আব্দুল হান্নানকে আটক করে র্যাব। তাঁকে পল্টন থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীর মিন্টু রোডে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার এন এস নজরুল ইসলাম।
ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার জানান, গত শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুর আনুমানিক ২টা ২৫ মিনিটে রাজধানীর পল্টন এলাকার বক্স কালভার্ট ডিয়ার টাওয়ারের সামনে মোটরসাইকেল আরোহী দুজন দুর্বৃত্ত ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ওসমান হাদির ওপর নেক্কারজনক হামলা চালায়। হেলমেট পরিহিত অবস্থায় হামলাকারীরা খুব কাছ থেকে গুলি করে পালিয়ে যায়। এতে হাদি গুরুতর আহত হন এবং বর্তমানে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে তিনি চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
শেরপুরের নালিতাবাড়ী এলাকায় অভিযান চালিয়ে সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে লোক পারাপারের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে দুজনকে আটক করা হয়েছে। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। বিস্তারিত পরে জানানো যাবে বলেও জানান তিনি।
পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে, হামলার সঙ্গে জড়িতরা শেরপুর সীমান্ত দিয়ে ভারতে পালিয়ে গেছে, তাঁদের যারা সীমান্ত পার করে দিয়েছিলেন, আটককৃত এই দুজন তাঁদের মধ্যে অন্যতম।
নজরুল ইসলাম বলেন, ‘ঘটনার পরপরই ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ হামলাকারীদের গ্রেপ্তারে জোর তৎপরতা শুরু করে। ঘটনাস্থলের আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ করে ইতিমধ্যে হামলাকারী দুই সন্দেহভাজনকে শনাক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে গুলি করেছে ফয়সাল করিম এবং মোটরসাইকেল চালক ছিলেন মোহাম্মদ আলমগীর শেখ।’

ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার জানান, প্রাথমিক তদন্তে মোট তিনজনের সম্পৃক্ততার তথ্য পাওয়া গেছে। ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি ইতিমধ্যে উদ্ধার করা হয়েছে। মোটরসাইকেলের মালিক মান্নানকে র্যাব আটক করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে নজরুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের ইমিগ্রেশন ডাটাবেজ চেক করে এখন পর্যন্ত সন্দেহভাজনদের বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।’ তিনি বলেন, ফয়সাল করিম মাসুদের পাসপোর্ট নম্বর পাওয়া গেছে এবং তাঁর পাসপোর্ট ইতিমধ্যে ব্লক করা হয়েছে। ইমিগ্রেশন রেকর্ড অনুযায়ী, ফয়সালের সর্বশেষ বিদেশযাত্রা ছিল গত জুলাই মাসে। তিনি থাইল্যান্ড থেকে দেশে ফিরে আসেন। এরপর আর কোনো ডিপার্চারের তথ্য নেই।
অতিরিক্ত কমিশনার বলেন, স্থল সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে পালানোর সম্ভাবনা মাথায় রেখে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশকে (বিজিবি) সতর্ক করা হয়েছে। সব ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে সন্দেহভাজনদের বিষয়ে নজরদারি জোরদার করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘সোশ্যাল মিডিয়ায় নানা গুজব থাকলেও আমাদের কাছে এখন পর্যন্ত বিদেশে পালানোর কোনো অথেনটিক তথ্য নেই।’
ঘটনার পর এখনো কোনো মামলা দায়ের হয়নি। এ বিষয়ে অতিরিক্ত কমিশনার বলেন, ‘আহত ওসমান হাদির পরিবার বর্তমানে চিকিৎসা নিয়ে ব্যস্ত থাকায় মামলা করতে দেরি হচ্ছে। আমরা তাদের সঙ্গে দুইদিন ধরে যোগাযোগ করছি। প্রয়োজনে হাসপাতাল থেকে স্বাক্ষর নিয়ে মামলা করা হবে। তা না হলে পুলিশ বাদী হয়ে মামলা রেকর্ড করা হবে।’

রাজধানীর পল্টনে ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ওসমান শরিফ হাদি গুলিবিদ্ধের ঘটনায় আরও দুজনকে আটক করা হয়েছে। সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে লোক পারাপারের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে শেরপুর থেকে তাঁদের আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
এর আগে হাদির ওপর হামলায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলের মালিক আব্দুল হান্নানকে আটক করে র্যাব। তাঁকে পল্টন থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীর মিন্টু রোডে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার এন এস নজরুল ইসলাম।
ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার জানান, গত শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুর আনুমানিক ২টা ২৫ মিনিটে রাজধানীর পল্টন এলাকার বক্স কালভার্ট ডিয়ার টাওয়ারের সামনে মোটরসাইকেল আরোহী দুজন দুর্বৃত্ত ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ওসমান হাদির ওপর নেক্কারজনক হামলা চালায়। হেলমেট পরিহিত অবস্থায় হামলাকারীরা খুব কাছ থেকে গুলি করে পালিয়ে যায়। এতে হাদি গুরুতর আহত হন এবং বর্তমানে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে তিনি চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
শেরপুরের নালিতাবাড়ী এলাকায় অভিযান চালিয়ে সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে লোক পারাপারের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে দুজনকে আটক করা হয়েছে। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। বিস্তারিত পরে জানানো যাবে বলেও জানান তিনি।
পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে, হামলার সঙ্গে জড়িতরা শেরপুর সীমান্ত দিয়ে ভারতে পালিয়ে গেছে, তাঁদের যারা সীমান্ত পার করে দিয়েছিলেন, আটককৃত এই দুজন তাঁদের মধ্যে অন্যতম।
নজরুল ইসলাম বলেন, ‘ঘটনার পরপরই ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ হামলাকারীদের গ্রেপ্তারে জোর তৎপরতা শুরু করে। ঘটনাস্থলের আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ করে ইতিমধ্যে হামলাকারী দুই সন্দেহভাজনকে শনাক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে গুলি করেছে ফয়সাল করিম এবং মোটরসাইকেল চালক ছিলেন মোহাম্মদ আলমগীর শেখ।’

ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার জানান, প্রাথমিক তদন্তে মোট তিনজনের সম্পৃক্ততার তথ্য পাওয়া গেছে। ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি ইতিমধ্যে উদ্ধার করা হয়েছে। মোটরসাইকেলের মালিক মান্নানকে র্যাব আটক করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে নজরুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের ইমিগ্রেশন ডাটাবেজ চেক করে এখন পর্যন্ত সন্দেহভাজনদের বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।’ তিনি বলেন, ফয়সাল করিম মাসুদের পাসপোর্ট নম্বর পাওয়া গেছে এবং তাঁর পাসপোর্ট ইতিমধ্যে ব্লক করা হয়েছে। ইমিগ্রেশন রেকর্ড অনুযায়ী, ফয়সালের সর্বশেষ বিদেশযাত্রা ছিল গত জুলাই মাসে। তিনি থাইল্যান্ড থেকে দেশে ফিরে আসেন। এরপর আর কোনো ডিপার্চারের তথ্য নেই।
অতিরিক্ত কমিশনার বলেন, স্থল সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে পালানোর সম্ভাবনা মাথায় রেখে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশকে (বিজিবি) সতর্ক করা হয়েছে। সব ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে সন্দেহভাজনদের বিষয়ে নজরদারি জোরদার করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘সোশ্যাল মিডিয়ায় নানা গুজব থাকলেও আমাদের কাছে এখন পর্যন্ত বিদেশে পালানোর কোনো অথেনটিক তথ্য নেই।’
ঘটনার পর এখনো কোনো মামলা দায়ের হয়নি। এ বিষয়ে অতিরিক্ত কমিশনার বলেন, ‘আহত ওসমান হাদির পরিবার বর্তমানে চিকিৎসা নিয়ে ব্যস্ত থাকায় মামলা করতে দেরি হচ্ছে। আমরা তাদের সঙ্গে দুইদিন ধরে যোগাযোগ করছি। প্রয়োজনে হাসপাতাল থেকে স্বাক্ষর নিয়ে মামলা করা হবে। তা না হলে পুলিশ বাদী হয়ে মামলা রেকর্ড করা হবে।’

গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার হরিদাশপুর ইউনিয়নের খাগাইল গ্রামে খাল খননের মাটিতে নষ্ট হচ্ছে ধানখেত। পানি উন্নয়ন বোর্ড এই খাল খনন করছে। চাষের জন্য অতীব প্রয়োজনীয় খাগাইল খালটি খনন করে এর দুই পাশের বোরো ধানের জমিতে ফেলানো হচ্ছে মাটি। এতে ফলন্ত ধান নষ্ট হয়ে ব্যাপক ক্ষতির শিকার হচ্ছেন কয়েক শত কৃষক। পানি উন্নয়ন বো
২৯ মার্চ ২০২৪
নোয়াখালীর সুবর্ণচরে নির্বাচনী আচরণবিধি বাস্তবায়নে ব্যানার, ফেস্টুন, তোরণ ও বিলবোর্ড অপসারণ করেছে উপজেলা প্রশাসন। রোববার (১৪ ডিসেম্বর) দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আকিব ওসমানের নেতৃত্বে এই অভিযান চালানো হয়।
৭ মিনিট আগে
পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পাবিপ্রবি) এবং জাপানের ইয়ামানাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে সমঝোতা স্মারক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। আজ রোববার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে এই চুক্তি স্বাক্ষর হয়। পাবিপ্রবির পক্ষে উপাচার্য প্রফেসর ড. এস এম আব্দুল আওয়াল এবং ইয়ামানাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের
১৩ মিনিট আগে
জামায়াত নেতারা আসায় নেত্রকোনার মোহনগঞ্জে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের অনুষ্ঠান থেকে বেরিয়ে গেলেন মুক্তিযোদ্ধারা। আজ রোববার উপজেলার অডিটরিয়ামে এ ঘটনা ঘটে।
২০ মিনিট আগে