দৌলতপুর (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি
প্রচণ্ড দাবদাহ ও অনাবৃষ্টিতে নিচে নেমেছে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর। নলকূপ দিয়ে উঠছে না পর্যাপ্ত পানি। এর মধ্যে কয়েকটি নলকূপে শনাক্ত হয়েছে আর্সেনিক। এমন অবস্থায় বিপাকে পড়েছে কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলাবাসী। চাষাবাদে সেচ দূরের কথা, দৈনন্দিন চাহিদা মেটাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে তাঁদের।
উপজেলা জনস্বাস্থ্য বিভাগের তথ্যমতে, এখানকার প্রায় শতভাগ মানুষই ভূগর্ভস্থ পানির ওপর নির্ভরশীল। সুনির্দিষ্ট কোনো পরিসংখ্যান না থাকলেও ধারণা করা হচ্ছে, দৌলতপুর উপজেলায় প্রায় ৫০ হাজারের বেশি অগভীর নলকূপ (টিউবওয়েল) রয়েছে। এসব নলকূপের পানি পানসহ দৈনন্দিন কাজের চাহিদা মেটানো হয়। চাষাবাদের জন্য সেচের কাজে ব্যবহার করে।
উপজেলার তারাগুনিয়া শালিমপুর গ্রামের আল আমিন বলেন, ‘টিউবওয়েলের সঙ্গে মোটর লাগিয়ে পানি তুলছি। পাইপে পানি ধরে রাখা যাচ্ছে না। মোটর চালু করার পর দুই-তিন মিনিট পানি ওঠে, এরপর আর উঠছে না।’
নলকূপে পানির সংকটের পাশাপাশি অনেক এলাকায় আর্সেনিকের প্রাদুর্ভাবও দেখা দিয়েছে। উপজেলায় শতকরা অন্তত চারটি টিউবওয়েলে আর্সেনিক শনাক্ত হয়েছে বলে জানান উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল দপ্তরের উপসহকারী প্রকৌশলী খাদেমুল ইসলাম। এদিকে বিকল্প কোনো ব্যবস্থা না থাকায় আর্সেনিকযুক্ত পানি পান করতে বাধ্য হচ্ছে অনেক পরিবার।
সংশ্লিষ্টদের ধারণা, শুকনো মৌসুমে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় আর্সেনিকের মাত্রা বেড়ে গেছে।
হোগলবাড়ী ইউনিয়নের সোনাইকুণ্ডি গ্রামের সুলতান মণ্ডল বলেন, ‘অতিরিক্ত গরম পড়ার সঙ্গে সঙ্গে আমরা পানির তীব্র সংকটে ভুগছি। রাত ১২টার পরে টিউবওয়েল চাপাচাপি করে অল্প পরিমাণ পানি পেলেও সকাল থেকে আর পানি উঠছে না।’
উপজেলার হোগলবাড়িয়া, পিয়ারপুর, মথুরাপুর, দৌলতপুর, প্রাগপুর, আদাবাড়িয়া, রিফাইতপুর, বোয়ালিয়া ইউনিয়নের বেশির ভাগ গ্রামে টিউবওয়েলে পানি না ওঠায় দূর-দূরন্ত থেকে পানি নিয়ে আসছে। এসব গ্রামের মানুষ জানান, প্রতিবছর শুকনো মৌসুমে নলকূপে স্বাভাবিকের তুলনায় কিছুটা কম পানি ওঠে। কিন্তু এ বছর কোনো কোনো নলকূপে একেবারেই পানি উঠছে না। ফলে চরম পানির কষ্টে ভুগছেন।
স্থানীয় টিউবওয়েল মিস্ত্রি জান মোহাম্মদ জানান, এখানকার অধিকাংশ টিউবওয়েলের গভীরতা সাধারণত ৮০ থেকে ২০০ ফুট। দীর্ঘদিন বৃষ্টি না হওয়ায় পানির স্তর অনেক নিচে চলে গেছে। তাই টিউবওয়েলে পানি পাওয়া যাচ্ছে না।
এদিকে উপজেলার মথুরাপুর, প্রাগপুর, আদাবাড়িয়া, হোগলবাড়ীয়া, মরিচা ইউনিয়নের বেশির ভাগ নলকূপে পানিসংকটের পাশাপাশি আর্সেনিকের মাত্রা দেখা দিয়েছে। এলাকার অধিকাংশ মানুষ এখন নিরুপায় হয়ে আর্সেনিকযুক্ত পানি পান করছে। এতে দেহে আর্সেনিক সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
বাগোয়ান গ্রামের আকরাম হোসেন বলেন, গ্রামের বেশ কয়েকটি টিউবওয়েলের পানিতে আর্সেনিক ধরা পড়েছে। কিন্তু গ্রামের মানুষ বাধ্য হয়েই ওই পানিই পান করছেন।
এ ছাড়া পানি সংকটে কৃষি জমিতে সেচের খরচ বেড়েছে দ্বিগুণ। মথুরাপুর ইউনিয়নের আকরাম হোসেন বলেন, ডিজেলচালিত পাম্পে পানি কম ওঠায় সেচের সময় বেশি লাগছে। এতে তেলের খরচ বেড়েছে।
খাস মথুরাপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মনোয়ার কবির মিন্টু জানান, পানি সংকটের পাশাপাশি তার ইউনিয়নে আর্সেনিকের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। বিষয়টি উপজেলা সমন্বয় কমিটির সভায় তিনি জানিয়েছেন।
উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল দপ্তরের উপসহকারী প্রকৌশলী খাদেমুল ইসলাম বলেন, শুষ্ক মৌসুমে পানির স্তর কিছুটা নিচে চলে যাওয়ায় এ সমস্যা তৈরি হয়েছে। বর্ষা শুরু হলে নলকূপগুলো ফের সচল হয়ে যাবে। পানি পরীক্ষার মাধ্যমে আর্সেনিকযুক্ত নলকূপগুলোকে চিহ্নিত করে সেসব নলকূপের পানি পান না করার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ওবায়দুল্লাহ জানান, এ বিষয়টি নিয়ে মাঠপর্যায়ে তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
প্রচণ্ড দাবদাহ ও অনাবৃষ্টিতে নিচে নেমেছে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর। নলকূপ দিয়ে উঠছে না পর্যাপ্ত পানি। এর মধ্যে কয়েকটি নলকূপে শনাক্ত হয়েছে আর্সেনিক। এমন অবস্থায় বিপাকে পড়েছে কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলাবাসী। চাষাবাদে সেচ দূরের কথা, দৈনন্দিন চাহিদা মেটাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে তাঁদের।
উপজেলা জনস্বাস্থ্য বিভাগের তথ্যমতে, এখানকার প্রায় শতভাগ মানুষই ভূগর্ভস্থ পানির ওপর নির্ভরশীল। সুনির্দিষ্ট কোনো পরিসংখ্যান না থাকলেও ধারণা করা হচ্ছে, দৌলতপুর উপজেলায় প্রায় ৫০ হাজারের বেশি অগভীর নলকূপ (টিউবওয়েল) রয়েছে। এসব নলকূপের পানি পানসহ দৈনন্দিন কাজের চাহিদা মেটানো হয়। চাষাবাদের জন্য সেচের কাজে ব্যবহার করে।
উপজেলার তারাগুনিয়া শালিমপুর গ্রামের আল আমিন বলেন, ‘টিউবওয়েলের সঙ্গে মোটর লাগিয়ে পানি তুলছি। পাইপে পানি ধরে রাখা যাচ্ছে না। মোটর চালু করার পর দুই-তিন মিনিট পানি ওঠে, এরপর আর উঠছে না।’
নলকূপে পানির সংকটের পাশাপাশি অনেক এলাকায় আর্সেনিকের প্রাদুর্ভাবও দেখা দিয়েছে। উপজেলায় শতকরা অন্তত চারটি টিউবওয়েলে আর্সেনিক শনাক্ত হয়েছে বলে জানান উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল দপ্তরের উপসহকারী প্রকৌশলী খাদেমুল ইসলাম। এদিকে বিকল্প কোনো ব্যবস্থা না থাকায় আর্সেনিকযুক্ত পানি পান করতে বাধ্য হচ্ছে অনেক পরিবার।
সংশ্লিষ্টদের ধারণা, শুকনো মৌসুমে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় আর্সেনিকের মাত্রা বেড়ে গেছে।
হোগলবাড়ী ইউনিয়নের সোনাইকুণ্ডি গ্রামের সুলতান মণ্ডল বলেন, ‘অতিরিক্ত গরম পড়ার সঙ্গে সঙ্গে আমরা পানির তীব্র সংকটে ভুগছি। রাত ১২টার পরে টিউবওয়েল চাপাচাপি করে অল্প পরিমাণ পানি পেলেও সকাল থেকে আর পানি উঠছে না।’
উপজেলার হোগলবাড়িয়া, পিয়ারপুর, মথুরাপুর, দৌলতপুর, প্রাগপুর, আদাবাড়িয়া, রিফাইতপুর, বোয়ালিয়া ইউনিয়নের বেশির ভাগ গ্রামে টিউবওয়েলে পানি না ওঠায় দূর-দূরন্ত থেকে পানি নিয়ে আসছে। এসব গ্রামের মানুষ জানান, প্রতিবছর শুকনো মৌসুমে নলকূপে স্বাভাবিকের তুলনায় কিছুটা কম পানি ওঠে। কিন্তু এ বছর কোনো কোনো নলকূপে একেবারেই পানি উঠছে না। ফলে চরম পানির কষ্টে ভুগছেন।
স্থানীয় টিউবওয়েল মিস্ত্রি জান মোহাম্মদ জানান, এখানকার অধিকাংশ টিউবওয়েলের গভীরতা সাধারণত ৮০ থেকে ২০০ ফুট। দীর্ঘদিন বৃষ্টি না হওয়ায় পানির স্তর অনেক নিচে চলে গেছে। তাই টিউবওয়েলে পানি পাওয়া যাচ্ছে না।
এদিকে উপজেলার মথুরাপুর, প্রাগপুর, আদাবাড়িয়া, হোগলবাড়ীয়া, মরিচা ইউনিয়নের বেশির ভাগ নলকূপে পানিসংকটের পাশাপাশি আর্সেনিকের মাত্রা দেখা দিয়েছে। এলাকার অধিকাংশ মানুষ এখন নিরুপায় হয়ে আর্সেনিকযুক্ত পানি পান করছে। এতে দেহে আর্সেনিক সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
বাগোয়ান গ্রামের আকরাম হোসেন বলেন, গ্রামের বেশ কয়েকটি টিউবওয়েলের পানিতে আর্সেনিক ধরা পড়েছে। কিন্তু গ্রামের মানুষ বাধ্য হয়েই ওই পানিই পান করছেন।
এ ছাড়া পানি সংকটে কৃষি জমিতে সেচের খরচ বেড়েছে দ্বিগুণ। মথুরাপুর ইউনিয়নের আকরাম হোসেন বলেন, ডিজেলচালিত পাম্পে পানি কম ওঠায় সেচের সময় বেশি লাগছে। এতে তেলের খরচ বেড়েছে।
খাস মথুরাপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মনোয়ার কবির মিন্টু জানান, পানি সংকটের পাশাপাশি তার ইউনিয়নে আর্সেনিকের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। বিষয়টি উপজেলা সমন্বয় কমিটির সভায় তিনি জানিয়েছেন।
উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল দপ্তরের উপসহকারী প্রকৌশলী খাদেমুল ইসলাম বলেন, শুষ্ক মৌসুমে পানির স্তর কিছুটা নিচে চলে যাওয়ায় এ সমস্যা তৈরি হয়েছে। বর্ষা শুরু হলে নলকূপগুলো ফের সচল হয়ে যাবে। পানি পরীক্ষার মাধ্যমে আর্সেনিকযুক্ত নলকূপগুলোকে চিহ্নিত করে সেসব নলকূপের পানি পান না করার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ওবায়দুল্লাহ জানান, এ বিষয়টি নিয়ে মাঠপর্যায়ে তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
রাজধানীর রামপুরা ব্রিজের দুই রেলিং ঢুকে আছে একটি বাসের মাঝ বরাবর। যাত্রী নিতে আরেক বাসের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় নেমে চালক নিয়ন্ত্রণ হারালে ‘রইছ’ নামের বাসটির এই দশা হয়। ৪ জুন সকালের এই দুর্ঘটনায় বাসটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। যাত্রী বেশি নিতে বাসচালকদের অসুস্থ প্রতিযোগিতা, লক্কড়ঝক্কড় ও ফিটনেসবিহীন বাস দুর্ঘটনা
১ ঘণ্টা আগেগোপালগঞ্জ জেলা শহরের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি সড়কে বছরের পর বছর বাস, ট্রাক ও মাইক্রোবাস পার্ক করে রাখা হচ্ছে। বিভিন্ন সড়কের এক লেন দখল করে রাখা হচ্ছে এসব যানবাহন। এতে প্রতিদিন যানজটসহ নানা ভোগান্তিতে পড়ছে মানুষ। মালিক-শ্রমিকেরা বলছেন, নির্ধারিত স্ট্যান্ড না থাকায় বাধ্য হয়ে রাস্তায় গাড়ি রাখছেন তাঁরা।
২ ঘণ্টা আগেআলুতে বছরের পর বছর লাভ করে অভ্যস্ত জয়পুরহাটের কৃষক ও ব্যবসায়ীরা। তবে এবার পড়েছেন বড় ধরনের বিপাকে। একদিকে বাজারে আলুর দাম অস্থির, অন্যদিকে হিমাগারে সংরক্ষণ ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় হিমশিম খাচ্ছেন সবাই। সংরক্ষণ মৌসুমের শুরুতে স্থানীয় প্রশাসনের চাপে ভাড়া না বাড়াতে বাধ্য হলেও পরে কিছু হিমাগারের মালিক নানা অজুহা
২ ঘণ্টা আগেনীলফামারীর সৈয়দপুরে চলছে জুয়ার জমজমাট আসর। উপজেলার দেড় শতাধিক স্থানে এসব আসর বসে বলে জানা গেছে। প্রতিদিন ২০-৩০ লাখ টাকা লেনদেন হয় এসব আসরে। সেই হিসাবে প্রতি মাসে জুয়াড়িদের কাছে হাতবদল হয় ৬ থেকে ৯ কোটি টাকা। এদিকে, জুয়ার কারণে অনেক পরিবার সর্বস্বান্ত হচ্ছে। জুয়ার টাকা সংগ্রহ করতে গিয়ে এলাকায় বেড়েছে
২ ঘণ্টা আগে