Ajker Patrika

মনিরামপুরে আংশিক বই নিয়ে ফিরেছে শিক্ষার্থীরা, পায়নি অনেকে 

আপডেট : ০২ জানুয়ারি ২০২৩, ১০: ৫৪
মনিরামপুরে আংশিক বই নিয়ে ফিরেছে শিক্ষার্থীরা, পায়নি অনেকে 

বই উৎসবের প্রথম দিনে যশোরের মনিরামপুরে সব বই হাতে পায়নি শিক্ষার্থীরা। বছরের প্রথম দিনে নতুন বইয়ের গন্ধ নিতে পারেনি উপজেলার মাধ্যমিক স্তরের ষষ্ঠ ও মাদ্রাসা পর্যায়ের সপ্তম শ্রেণির কোনো শিক্ষার্থী। অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা সব বই হাতে পেলেও আংশিক বই নিয়ে ফিরতে হয়েছে স্কুল পর্যায়ের সপ্তম ও নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের। আর মাদ্রাসা পর্যায়ে নবম শ্রেণিতে শিক্ষার্থীরা পেয়েছে আংশিক বই।

এদিকে প্রাথমিক পর্যায়ে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে শতভাগ বই বিতরণ হলেও তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থীরা পেয়েছে তিনটি করে বই। আর পঞ্চম শ্রেণিতে বিতরণ করা হয়েছে মাত্র দুটি করে।

আজ রোববার উপজেলার প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও মাদ্রাসা পর্যায়ে অন্তত ১০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানদের সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য মিলেছে। বই উৎসব উপলক্ষে মনিরামপুর সরকারি বালিকা ও বালক উচ্চবিদ্যালয়ে বই বিতরণ অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কবির হোসেন ও মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বিকাশ সরকার।

মনিরামপুর সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নারায়ণ চন্দ্র দেবনাথ বলেন, ‘আমরা ষষ্ঠ শ্রেণির কোনো বই পাইনি। সপ্তমে চারটা করে বই দিতে পেরেছি। অষ্টমে সব বই দিয়েছি। আর নবম শ্রেণিতে গ্রুপ বইগুলো দিতে পেরেছি।’

কুয়াদা উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ওয়াজেদ আলী বলেন, ‘ষষ্ঠ শ্রেণিতে কোনো বই দিতে পারিনি। সপ্তমে চারটি আর নবমে বিজ্ঞান ও বাণিজ্য বিভাগে তিনটি ও মানবিক বিভাগে দুটি করে বই দিতে পেরেছি।’

কালারহাট ও ইত্যা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তৌহিদ এলাহি ও সুকুমার রায় বলেন, ‘আমরা নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের শুধু তথ্য ও যোগাযোগ বিষয়ের বই দিতে পেরেছি।’

টেংরামারী সম্মিলনী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র ইমন বলে, ‘আজ নতুন বই আনতে স্কুলে গিয়েছি। পরে স্কুল থেকে শুধু তথ্য ও যোগাযোগ বই দিয়েছে।’

মনিরামপুর ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ বলেন, ‘সপ্তম শ্রেণির কোনো বই পাইনি। ষষ্ঠ ও অষ্টমে সব বই দিয়েছি। আর নবমে একটি করে বই পাইছি।’ একই তথ্য জানিয়েছেন কোদলাপাড়া দাখিল মাদ্রাসা ও বাসুদেবপুর ছিদ্দিকীয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপারিনটেনডেন্ট মুক্তার আলী ও হারুনর রশিদ।

এদিকে প্রাথমিক স্তরে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীরা সব বই হাতে পেয়েছে। বাকি তিন শ্রেণিতে শিক্ষার্থীরা আংশিক বই পেয়েছে বলে জানিয়েছেন উপজেলার চণ্ডিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সায়ফুল ইসলাম।

মনিরামপুর শিক্ষা কর্মকর্তা সেহেলি ফেরদৌস বলেন, ‘আমার ৪০ হাজার ৫৬৪ সেট বইয়ের চাহিদা আছে। তার মধ্যে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে শতভাগ বই দিতে পেরেছি। তৃতীয় শ্রেণিতে ইংরেজি, বিজ্ঞান ও ধর্ম শিক্ষা এবং চতুর্থ শ্রেণিতে ইংরেজি, সমাজ ও ধর্ম শিক্ষার বই বিতরণ করা হয়েছে। তা ছাড়া পঞ্চম শ্রেণিতে ইংরেজি ও সমাজ—এ দুটি বই বিতরণ করতে পেরেছি।

সব বই বিতরণ না হওয়ার কারণ জানতে চাইলে মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বিকাশ চন্দ্র সরকার বলেন, ‘সরকার চলতি বছর থেকে ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে নতুন কারিকুলাম চালু করেছে। এ জন্য আমরা স্কুল পর্যায়ে ষষ্ঠ ও মাদ্রাসা স্তরে সপ্তম শ্রেণির কোনো বই এখনো হাতে পাইনি। অন্য শ্রেণিগুলোতে যা পেয়েছি সব বিতরণ হয়েছে।’

মনিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কবির হোসেন বলেন, ‘বই যা বাকি আছে সেগুলো আসছে। আমরা হাতে পেলে তা শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিতরণ করব।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সিরাজগঞ্জে অডিটরিয়ামের ওয়াশরুম থেকে বৃদ্ধের লাশ উদ্ধার

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি  
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

সিরাজগঞ্জের কাজীপুরে শহীদ এম মনসুর আলী আধুনিক অডিটরিয়ামের ওয়াশরুম থেকে এক বৃদ্ধের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রোববার (১৪ ডিসেম্বর) বিকেলে অডিটরিয়ামের দ্বিতীয় তলার একটি ওয়াশরুম থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।

পুলিশ জানায়, বিকেলে শহীদ অডিটরিয়ামের দ্বিতীয় তলা থেকে দুর্গন্ধ পেয়ে স্থানীয় কয়েকজন সেখানে যান। এ সময় ওয়াশরুমের ভেতরে এক ব্যক্তির লাশ পড়ে থাকতে দেখা যায়। পরে বিষয়টি পুলিশকে জানানো হলে তারা ঘটনাস্থলে যায়।

পুলিশের ভাষ্য, গত বছরের ৫ আগস্ট অডিটরিয়ামে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার পর থেকে ওই ভবনে মানুষের তেমন চলাচল ছিল না।

এদিকে লাশ উদ্ধারের পর মমতা খাতুন নামে এক নারী ঘটনাস্থলে এসে দাবি করেন, উদ্ধার হওয়া লাশটি তাঁর বাবার। তিনি জানান, তাঁর বাবা প্রায় ২০ থেকে ২৫ দিন আগে বাড়ি থেকে বের হয়েছিলেন। এরপর আর তাঁর কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।

কাজীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ মো. এনায়েতুর রহমান মোবাইল ফোনে বলেন, স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে। লাশটির পরিচয় শনাক্তে চেষ্টা চলছে। সেই সঙ্গে ঘটনাটি তদন্ত করা হচ্ছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বগুড়ায় পুলিশ কনস্টেবল থেকে খোয়া গেছে ১০ রাউন্ড গুলি

বগুড়া প্রতিনিধি
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

বগুড়া সদর থানায় পাহারার দায়িত্বে থাকা পুলিশ কনস্টেবলের কাছ থেকে শটগানের ১০ রাউন্ড গুলি খোয়া গেছে।

গতকাল শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত আড়াইটা থেকে ভোররাত ৪টার মধ্যে এ ঘটনা ঘটে। আজ রোববার সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত খোয়া যাওয়া গুলি পাওয়া যায়নি।

বগুড়া জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) আতোয়ার হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

বগুড়া সদর থানা-পুলিশের একটি সূত্র জানায়, গতকাল দিবাগত রাত ১২টা থেকে ভোররাত ৪টা পর্যন্ত থানা পাহারার (সেন্ট্রি) দায়িত্বে ছিলেন কনস্টেবল অসিত কুমার। রাত আড়াইটার দিকে তিনি থানা থেকে বের হয়ে সাতমাথায় চা পান করতে যান। এ সময় তাঁর কাছে থাকা শটগানের ১০ রাউন্ড গুলি খোয়া যায়।

ভোররাত ৪টায় কনস্টেবল নুরুজ্জামান দায়িত্ব বুঝে নেওয়ার সময় অসিত কুমার ১০ রাউন্ড গুলি খোয়া যাওয়ার ঘটনাটি প্রকাশ করেন। আজ সকাল থেকে বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করেও খোয়া যাওয়া গুলির হদিস পাওয়া যায়নি।

বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আতোয়ার হোসেন বলেন, সদর থানা থেকে খোয়া যাওয়া গুলি এখনো পাওয়া যায়নি। সদর থানা থেকে এ-সংক্রান্ত প্রতিবেদন পাওয়া গেলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

জামায়াত প্রার্থীর সভায় পুলিশ কর্মকর্তার গান, ভিডিও ভাইরাল

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি
সাতক্ষীরায় জামায়াত প্রার্থীর সভায় পুলিশ কর্মকর্তা। ছবি: সংগৃহীত
সাতক্ষীরায় জামায়াত প্রার্থীর সভায় পুলিশ কর্মকর্তা। ছবি: সংগৃহীত

সাতক্ষীরায় দাঁড়িপাল্লা প্রতীকের প্রার্থীর সভায় এক পুলিশ কর্মকর্তার গান (জামায়াতের গুণগান-সংবলিত) পরিবেশনের অভিযোগ উঠেছে। আজ রোববার এর একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে বিষয়টি নিয়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে।

অভিযুক্ত মো. মহিবুল্লাহ পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক এএসআই, সশস্ত্র)। তিনি বাগেরহাট পুলিশ লাইনসে কর্মরত। এর আগে সাতক্ষীরা পুলিশ লাইনসে ছিলেন তিনি।

তিন মিনিট ১১ সেকেন্ডের ভিডিওতে দেখা যায়, সাতক্ষীরা–২ (সদর-দেবহাটা) আসনে দাঁড়িপাল্লা প্রতীকের প্রার্থী মুহাদ্দিস আব্দুল খালেকের একটি নির্বাচনী পথসভায় পুলিশের পোশাক পরিহিত মো. মহিবুল্লাহ গান পরিবেশন করেন। মাঝে মাঝে নারায়ে তাকবির স্লোগান দিয়ে দর্শকদের উজ্জীবিত করেন।

সূত্রে জানা গেছে, পথসভাটি ৭ ডিসেম্বরের। সাতক্ষীরা শহরের ১ নম্বর ওয়ার্ডের কাটিয়া আমতলা মোড়ে ওই পথসভা হয়। সভায় ১ নম্বর ওয়ার্ড জামায়াতের আমির মো. জিয়াউর রহমানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন দলের মনোনীত প্রার্থী ও কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সেক্রেটারি মুহাদ্দিস আব্দুল খালেক। সভার মাঝপথে মো. মহিবুল্লাহ এই গান পরিবেশন করেন।

আরও জানা গেছে, পুলিশের ওই এএসআই সাতক্ষীরা পুলিশ লাইনসে কর্মরত থাকাকালে আগরদাড়ির একটি মাহফিলে ইসলামি গান পরিবেশন করেছিলেন। তাঁর সংগীতে মুগ্ধ হয়ে মুহাদ্দিস আব্দুল খালেক তাঁকে পুরস্কৃত করেন। বাগেরহাটে বদলি হয়ে গেলেও তিনি খোঁজ নিয়ে ওই পথসভায় আসেন।

জানতে চাইলে এএসআই মো. মহিবুল্লাহ বলেন, ‘আমি কোনো রাজনৈতিক বক্তব্য দিইনি। মুহাদ্দিস আব্দুল খালেক আমাকে পুরস্কৃত করেছিলেন, সে কারণে আমি ইসলামি একটি সংগীত পরিবেশন করেছি’ বলেই লাইনটি কেটে দেন। পরে তাঁর নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।

এ বিষয়ে সাতক্ষীরা শহর জামায়াতের সেক্রেটারি খোরশেদ আলম বলেন, ‘পুলিশের পোশাক পরা ওই ব্যক্তি স্টেজে উঠে সংগীত পরিবেশন করতে চান। আমরা নিষেধ করা সত্ত্বেও তিনি সংগীত পরিবেশন করেছেন।’

সাতক্ষীরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মুকিত হাসান খাঁন জানান, অভিযুক্ত পুলিশ সদস্য বর্তমানে সাতক্ষীরায় কর্মরত নন। অপর প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পুলিশের পোশাক পরে কোনো রাজনৈতিক দলের প্রচারণায় অংশ নেওয়ার সুযোগ নেই।

বাগেরহাটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মুহাম্মদ মহিদুর রহমান বলেন, ‘বিষয়টি সম্পর্কে অবগত নই। এমন কিছু ঘটে থাকলে খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

পরকীয়ার অপবাদ দিয়ে গৃহবধূকে ধর্ষণচেষ্টা, কৌশলে পালিয়ে রক্ষা

মির্জাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে পরকীয়ার অপবাদ দিয়ে ঘরে ঢুকে এক গৃহবধূকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে থানায় মামলা হয়েছে। ধর্ষণের চেষ্টাকালে ওই গৃহবধূ কৌশলে পালিয়ে রক্ষা পান। গতকাল শনিবার বিকেলে উপজেলার একটি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

ভুক্তভোগী ওই গৃহবধূ গতকাল রাতে আজাহার মিয়া (৪২) ও রাজিব মিয়া (৩৫) নামের দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা করেন। ঘটনার পর থেকে তাঁরা পলাতক রয়েছেন। পুলিশ আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালাচ্ছে।

মামলার বাদী গৃহবধূ বলেন, ‘ঘটনার দিন বিকেলে শিশুসন্তান নিয়ে ভাড়া বাসায় ঘুমিয়ে ছিলাম। এ সময় আজাহার মিয়া ও রাজিব মিয়া আমার কক্ষের দরজা খুলতে বলেন। ঘরে অন্য পুরুষ রয়েছে—এমন অভিযোগ তুলে তাঁরা জোর করে শয়নকক্ষে ঢুকে পড়েন। এ সময় আশপাশের লোকজন জড়ো হলে তাঁরা ভয়ভীতি দেখিয়ে তাঁদের সরিয়ে দেন। এরপর শিশুকে জিম্মি ও স্বামীকে হত্যার ভয় দেখিয়ে ওই দুই ব্যক্তি ধর্ষণের চেষ্টা করেন। একপর্যায়ে কৌশলে ঘর থেকে বেরিয়ে আসি।’

এলাকার একাধিক বাসিন্দার সঙ্গে কথা হলে তাঁরা বলেন, যাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাঁরা এভাবেই এলাকায় প্রভাব বিস্তার করেন। সন্ধ্যার পর মদ পান করে এলাকায় অপরাধ কর্মকাণ্ড চালান।

বাড়ির মালিক বলেন, ‘অভিযুক্ত ব্যক্তিরা নানাভাবে অত্যাচার-নির্যাতন করে আসছে। এলাকায় তাদের বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ রয়েছে। আমার বাসার ভাড়াটের সঙ্গে যা হয়েছে, তা শতভাগ সত্য।’

মির্জাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গৃহবধূকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে এক নারী দুজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। আমরা আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু করেছি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত