Ajker Patrika

বিধবার ঘরে মাদক সেবনের অভিযোগ, পদ হারালেন বিএনপি নেতা

মনিরামপুর (যশোর) প্রতিনিধি
অভিযুক্ত বিএনপি নেতা জি এম খলিলুর রহমান। ছবি: সংগৃহীত
অভিযুক্ত বিএনপি নেতা জি এম খলিলুর রহমান। ছবি: সংগৃহীত

যশোরের মনিরামপুরে এক বিধবার ঘরে গাঁজা ও ইয়াবা সেবনের অভিযোগ উঠেছে নেহালপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জি এম খলিলুর রহমানের বিরুদ্ধে। অভিযোগটি জানাজানি হওয়ার পর দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে তাঁকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন খোকন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

ঘটনাটি ঘটে গত বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ইউনিয়নের পাঁচাকড়ি এলাকায়। ওই বিধবা অভিযোগ করেন, তাঁর প্রতিবন্ধী ছেলের ভাতার কার্ড করে দেওয়ার কথা বলে খলিলুর রহমান তাঁর বাড়িতে যান।

বিধবা জানান, তাঁর দুই ছেলে-মেয়ে রেখে স্বামী দুই বছর আগে মারা যান। ছেলের প্রতিবন্ধী ভাতার কার্ডের জন্য তিনি খলিলুর রহমানের কাছে একাধিকবার গিয়েছিলেন। খলিলুর তাঁকে আশ্বস্ত করেছিলেন যে তিনিই ভাতার বইটি বাড়িতে পৌঁছে দেবেন।

ওই নারী বলেন, ‘গত বৃহস্পতিবার বিকেলে খলিলুর রহমান ছেলের ভাতার বই নিয়ে আমার বাড়িতে এসে ঘরের ভেতরে ঢোকেন। এরপর তিনি আমার কাছে পাঁচ মিনিট সময় চান। আমাকে পাঁচ মিনিট ঘরে বসতে বলেন। এরপর আমার কাছে দেশলাই চান। তার কথায় আমি ভয় পেয়ে মেয়েকে নিয়ে ঘর থেকে বেরিয়ে যাই। এরপর খলিলুর রহমান ঘরের দরজা বন্ধ করে ভেতরে দীর্ঘক্ষণ বসে গাঁজা ও ইয়াবা সেবন করেন।’

তিনি আরও বলেন, এই দৃশ্য দেখে আশপাশের লোকজন কানাঘুষা শুরু করে। তিনি দ্রুত জসিম নামে একজনকে ফোন করে ডাকেন, কিন্তু খলিলুর ঘর থেকে বের হননি। পরে আরও কয়েকজন লোক এলে খলিলুর দরজা খুলে বেরিয়ে যান। ওই নারী এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।

অভিযুক্ত জি এম খলিলুর রহমান বলেন, ‘আমি ওই নারীর বাড়িতে তার ছেলের ভাতার বই পৌঁছে দিতে গিয়েছিলাম। সেখানে ১০ মিনিট বসে আমি চলে আসি। আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সত্য নয়, আমি দলীয় গ্রুপিংয়ের শিকার।’ তিনি আরও দাবি করেন, পদ স্থগিত-সংক্রান্ত জেলা কমিটির চিঠি তিনি হাতে পাননি, কেবল ফেসবুকে দেখেছেন।

স্থানীয় বিএনপি সদস্য শফিকুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে তিনি ওই বাড়িতে গিয়ে খলিলুর রহমানকে দেখতে পান এবং তিনি দ্রুত সেখান থেকে চলে যান।

মনিরামপুর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান মিন্টু বলেন, খলিলুর রহমানের বিরুদ্ধে সালিস করে টাকা নেওয়াসহ ১২টি অভিযোগ জমা পড়েছে এবং তাঁর বিরুদ্ধে তিনটি মাদক মামলার কাগজও রয়েছে। তিনি আরও জানান, সম্প্রতি খলিলুর রহমানকে নিয়ে এক নারী-সংক্রান্ত একটি ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ার পর জেলা কমিটি সম্ভবত এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‎ডিভোর্সের পরও জোর করে রাতযাপন, বর্তমান স্বামীকে নিয়ে প্রাক্তন স্বামীকে হত্যা ‎

৯ পুলিশ পরিদর্শক বাধ্যতামূলক অবসরে

গণবিক্ষোভ আতঙ্কে মোদি সরকার, ১৯৭৪-পরবর্তী সব আন্দোলন নিয়ে গবেষণার নির্দেশ

পাকিস্তানের সেনাপ্রধান আসিম মুনিরের ‘সন্ত্রাসী খেল’ ফাঁস করে দিলেন জঙ্গিগোষ্ঠী জইশের সদস্য

নিজের বিচারের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি কলেজশিক্ষকের

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত