Ajker Patrika

প্রস্তুতির কর্মযজ্ঞে ব্যস্ত শোভাযাত্রার আঁতুড়ঘর

জাহিদ হাসান, যশোর 
আপডেট : ১২ এপ্রিল ২০২৫, ১০: ২১
যশোরের চারুপীঠ আর্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউটে চলছে বাংলা বর্ষবরণের প্রস্তুতি। ছবি: আজকের পত্রিকা
যশোরের চারুপীঠ আর্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউটে চলছে বাংলা বর্ষবরণের প্রস্তুতি। ছবি: আজকের পত্রিকা

কেউ কাগজ কেটে ফুল, প্যাঁচাসহ নানা পাখপাখালির আদল গড়ছেন। কেউ আবার গভীর মনোযোগে ছবি আঁকছেন বা নকশা করছেন কাগজে। নানা আকৃতি ও ধরনের মুখোশে দেওয়া হচ্ছে রং-তুলির পরশ।

এই কর্মযজ্ঞ চলছে বাংলা নববর্ষ বরণের শোভাযাত্রার আঁতুড়ঘর হিসেবে খ্যাত যশোরের চারুপীঠ আর্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউটে। যার হাত ধরে দেশে নববর্ষের শোভাযাত্রার সূচনা হয়েছিল, সেই মাহবুব জামিল শামীমের নেতৃত্বে চারুপীঠে শুরু হয়েছে বাংলা ১৪৩২ সালকে বরণের শোভাযাত্রার প্রস্তুতি। প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত কাজ করছেন শিল্পীরা। তৈরি করছেন নানা উপকরণ। চার দশক পেরিয়ে পাঁচ দশকে পদার্পণ করা শোভাযাত্রার এবারের প্রতিপাদ্য ‘যতনে রাখি ধরণীরে’।

বাংলাদেশের বর্ষবরণের শোভাযাত্রা এখন জাতিসংঘের ইউনেসকো স্বীকৃত সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের অংশ। এর সূচনা হয়েছিল ১৯৮৫ সালে চারুপীঠ যশোর থেকে। শুরুর বছরে এর নাম ছিল আনন্দ শোভাযাত্রা। উদ্যোক্তা ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউট থেকে সদ্য পাস করা শামীম। তাঁর সঙ্গে ছিলেন বন্ধু শিল্পী হীরন্ময় চন্দ্রসহ আরও কয়েকজন।

প্রথম বছরই আনন্দ শোভাযাত্রায় যশোরবাসীর অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে এমন সাড়া ফেলেছিল যে তা আর চারুপীঠের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকেনি। ঠিক পরের বছরই এখানে সম্মিলিতভাবে মঙ্গল শোভাযাত্রা নামে তা পালিত হয়। এর জন্য যাবতীয় উপকরণ তৈরি করেছিলেন চারুপীঠ যশোরের শিল্পীরা। দলমত-নির্বিশেষে সব পর্যায়ের মানুষ এ আয়োজনে যুক্ত হয়েছিলেন। যশোরের সাংস্কৃতিক অঙ্গনে তা সৃষ্টি করেছিল এক নতুন মহাকাব্য।

একুশের প্রভাতফেরি থেকে শোভাযাত্রার চিন্তা মাথায় আসে জানিয়ে শিল্পী শামীম বলেন, ‘তারুণ্যের রক্তে গড়া একুশের পথ ধরে আমাদের ভাষা, স্বাধীনতা। যাতে আছে হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান সবার মিলন। এ একুশের প্রভাতফেরিকেই যেন ফেলে আসা সব শিল্প-ঐতিহ্যের সম্ভারে সাজিয়ে এ উৎসব রচনা করা হয়েছিল।’

এবারের আয়োজন নিয়ে শামীম জানান, শোভাযাত্রায় সব সৃজনশীলতা একসঙ্গে জ্বলে উঠবে। এখানে ঘটবে নাচ, গান, নাটক, যাত্রাসহ বাঙালি সংস্কৃতির সব ধারার সম্মিলন। নদীতে জেলের মাছধরা, বাউলিয়ানা, জারি, সারি, ভাটিয়ালিতে মাতোয়ারা হয়ে পরিবেশের প্রতি ভালোবাসা তুলে ধরবেন অংশগ্রহণকারীরা। একটি বিশাল দৃশ্যমান ক্যানভাসে সবকিছু জীবন্ত ফুটিয়ে তোলার জন্য কর্মযজ্ঞ চলছে। শোভাযাত্রাটি যখন রাস্তায় বের হবে, তখনই আসলে বোঝা যাবে যে কী হয়েছে।

চারুপীঠের সাধারণ সম্পাদক মামুনুর রশীদের তথ্য অনুযায়ী, বিধ্বংসী নানা কর্মকাণ্ড থেকে পরিবেশ, প্রতিবেশ আর প্রাণিকুলকে রক্ষায় সচেতনতার বার্তা তুলে ধরা হবে যশোরের শোভাযাত্রায়। যেখানে থাকবে বন, বনের প্রাণী, পাহাড়, নদী ইত্যাদি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

চাঁদপুরে স্বর্ণালংকার চুরির ঘটনায় গ্রেপ্তার ২, নগদ টাকাসহ সোনা উদ্ধার

চাঁদপুর প্রতিনিধি
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন পুলিশ সুপার মুহম্মদ আব্দুর রকিব। ছবি: আজকের পত্রিকা
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন পুলিশ সুপার মুহম্মদ আব্দুর রকিব। ছবি: আজকের পত্রিকা

চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে ‘মা জুয়েলার্স’ নামক দোকানে স্বর্ণালংকার চুরির ঘটনায় মূল আসামি কামাল পারভেজ মিলন (৪৬) ও অপর আসামি মো. খলিল মৃধাকে (৪০) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে ৭ ভরি সোনা ও নগদ ৫ লাখ টাকাসহ চুরির কাজে ব্যবহৃত সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়। বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) দুপুরে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সম্মেলনকক্ষে প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান এসপি মুহম্মদ আব্দুর রকিব। এ সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অবস) মো. লুৎফুর রহমান, সহকারী পুলিশ সুপার মুকুর চাকমা উপস্থিত ছিলেন।

গ্রেপ্তার আসামি পারভেজ সাতক্ষীরা জেলার আশাশুনি থানার ফিরোজপুর গ্রামের ইসমাইল সরদারের ছেলে। তিনি বাস করেন খুলনা সদরের নিরালা আবাসিক এলাকায়।

অপর আসামি খলিল পিরোজপুর জেলার ইন্দুরকানি থানার দক্ষিণ ইন্দুরকানি গ্রামের নেছার উদ্দিন মৃধার ছেলে। তিনি থাকেন চাঁদপুর সদরের এনায়েতনগর শেখের হাট আশ্রয় বাড়িতে।

ফরিদগঞ্জ থানা পুলিশ জানায়, ১৫ অক্টোবর দিবাগত রাতে বাজারের থানা মোড় এলাকার মন্টু কর্মকারের মা জুয়েলার্সে চুরি হয়। চোর চক্র তাঁর দোকানের ক্যাশ বাক্সের তালা ভেঙে নগদ প্রায় ২৫ হাজার টাকা ও দোকানের ভেতরে থাকা সিন্দুকের তালা ভেঙে ২৪ ভরি ৯ আনা সোনা, যার আনুমানিক মূল্য ৫০ লাখ টাকা এবং ৩৫ ভরি রুপা, যার আনুমানিক মূল্য ১ লাখ ৫ হাজার টাকা চুরি করে নিয়ে যায়।

চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে গ্রেপ্তার দুই আসামি ও উদ্ধার করা সরঞ্জাম। ছবি: আজকের পত্রিকা
চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে গ্রেপ্তার দুই আসামি ও উদ্ধার করা সরঞ্জাম। ছবি: আজকের পত্রিকা

এই ঘটনায় ব্যবসায়ী মন্টু কর্মকার ২২ অক্টোবর ফরিদগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পান থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ আরিফুর রহমান। তিনি প্রথমে মূল আসামি পারভেজকে ২৯ অক্টোবর ভোর সাড়ে ৪টার দিকে খুলনা শহরের নিউমার্কেট এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেন। তাঁর দেওয়া তথ্যমতে, থানার অপর একটি টিম সদর উপজেলার এনায়েতনগর থেকে একই দিন ভোর সাড়ে ৫টার দিকে খলিলকে গ্রেপ্তার করে।

পুলিশ সুপার (এসপি) মুহাম্মদ আব্দুর রকিব বলেন, পারভেজের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে তাঁর ভাড়া বাসা থেকে ৭ ভরি ১ আনা ১ রত্তি স্বর্ণালংকারসহ দুটি মোবাইল ফোন এবং চোরাই কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন ধরনের সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়। পারভেজ জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন, চুরি করে নেওয়া স্বর্ণালংকারের মধ্যে ১২ ভরি স্বর্ণালংকার বিভিন্ন জায়গায় ১৩ লাখ ১০ হাজার টাকায় বিক্রি করেছেন এবং ওই টাকা থেকে তাঁর সহযোগী খলিল মৃধাকে ৫ লাখ টাকা দেন। খলিলের কাছ থেকে পুলিশ ওই ৫ লাখ টাকা উদ্ধার করে। বাকি ৫ ভরি সোনা উদ্ধার ও জড়িতদের আইনের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে।

পুলিশ সুপার আরও বলেন, ‘কামাল পারভেজ মিলন আন্তজেলা চোর চক্রের মূল হোতা। সে তার সহযোগী অন্যান্য আসামিদের সহায়তায় বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় স্বর্ণালংকারের দোকানে কৌশলে চুরি করে আসছে। তার বিরুদ্ধে ৭টি মামলা এবং খলিল মৃধার বিরুদ্ধে দুটি সিআর মামলার তথ্য পাওয়া গেছে। তাদেরকে আজই চাঁদপুর আদালতে সোপর্দ করা হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বাগেরহাটে মুনিগঞ্জ সেতুর নিচ থেকে ব্যবসায়ী উদ্ধার, হাসপাতালে মৃত্যু

বাগেরহাট প্রতিনিধি
ক্যাপশন: উদ্ধার করা ব্যবসায়ী ইব্রাহিম শেখ। ছবি: আজকের পত্রিকা
ক্যাপশন: উদ্ধার করা ব্যবসায়ী ইব্রাহিম শেখ। ছবি: আজকের পত্রিকা

বাগেরহাট শহরের মুনিগঞ্জ সেতুর নিচের পিলার-সংলগ্ন বেজমেন্ট থেকে ইব্রাহিম শেখ (৬০) নামের এক ব্যবসায়ীকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার সকালে স্থানীয় বাসিন্দাদের দেওয়া খবরের ভিত্তিতে পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যায়।

হাসপাতালে ভর্তি করার প্রায় দুই ঘণ্টা পর সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ওই ব্যবসায়ীর মৃত্যু হয়। নিহত ব্যক্তির পায়ে আঘাতের চিহ্ন ছিল। তিনি সাদা পাঞ্জাবি ও পায়জামা পরিহিত ছিলেন এবং পায়ে কালো রঙের জুতা ও মোজা ছিল।

নিহত ব্যবসায়ী ইব্রাহিম শেখ বাগেরহাট শহরের নোনাডাঙ্গা এলাকার বাবর আলী শেখের ছেলে। ব্যবসার কারণে তিনি স্ত্রী ও দুই মেয়েকে নিয়ে রাজধানীর শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এলাকায় থাকতেন। তবে এলাকায় এলে তিনি সদর উপজেলার কান্দাপাড়া এলাকায় শ্বশুরবাড়ির পাশে নির্মাণ করা নিজ বাড়িতে অবস্থান করতেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কান্দাপাড়ার ওই বাড়ি বিক্রির উদ্দেশ্যে তিনি ঢাকা থেকে বাগেরহাটে এসেছিলেন। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত তাঁর স্ত্রী ও দুই মেয়ে বাগেরহাটে এসে পৌঁছাননি।

বাগেরহাট মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদ-উল-হাসান জানান, নিহত ব্যক্তির মরদেহের সুরতহাল (প্রাথমিক পরীক্ষা) সম্পন্ন হয়েছে এবং ময়নাতদন্তের প্রস্তুতি চলছে। এই ঘটনায় প্রাথমিকভাবে একটি অপমৃত্যুর মামলা (ইউডি কেস) করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। পরিবারের পক্ষ থেকে এখনো কোনো অভিযোগ দাখিল করা হয়নি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

টঙ্গিবাড়ীতে অষ্টম শ্রেণির ছাত্রীকে অপহরণ করে বিয়ের চেষ্টা, গ্রেপ্তার ৩

টঙ্গিবাড়ী (মুন্সিগঞ্জ) প্রতিনিধি
গ্রেপ্তার করা তিন আসামি। ছবি: আজকের পত্রিকা
গ্রেপ্তার করা তিন আসামি। ছবি: আজকের পত্রিকা

মুন্সিগঞ্জের টঙ্গিবাড়ীতে এক অপ্রাপ্তবয়স্ক ছাত্রীকে অপহরণ করে জোরপূর্বক বিয়ের চেষ্টা করার অভিযোগে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন টঙ্গিবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল আলম।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন শরীয়তপুর জেলার নড়িয়া উপজেলার ব্যাপারীকান্দি গ্রামের মো. উজ্জল হাসান (২২), টঙ্গিবাড়ী উপজেলার পাঁচগাঁও গ্রামের আতাউল হক ঢালীর ছেলে মো. সিয়াম ঢালী (২০) এবং একই উপজেলার হাসাইল গ্রামের আবুল দেওয়ানের ছেলে মো. ইসমাঈল হোসেন দেওয়ান (২০)।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বুধবার সকালে ওই তিন যুবক ওই ছাত্রীকে অপহরণ করে মুন্সিগঞ্জ সদর এলাকায় নিয়ে জোরপূর্বক বিয়ের চেষ্টা চালান। খবর পেয়ে পুলিশ অভিযান চালিয়ে বুধবার (২৯ অক্টোবর) মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলা থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করে। পরে বৃহস্পতিবার গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের আদালতে পাঠানো হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বগুড়ায় হাতকড়াসহ পালিয়ে যাওয়া আওয়ামী লীগ নেতা গ্রেপ্তার

বগুড়া প্রতিনিধি
গ্রেপ্তার রেজ্জাকুল ইসলাম রাজু। ছবি: আজকের পত্রিকা
গ্রেপ্তার রেজ্জাকুল ইসলাম রাজু। ছবি: আজকের পত্রিকা

পুলিশের ওপর হামলা করে হাতকড়াসহ পালিয়ে যাওয়া আওয়ামী লীগ নেতা রেজ্জাকুল ইসলাম রাজুকে গ্রেপ্তার করেছে বগুড়া র‍্যাব। বুধবার দিবাগত রাতে ঢাকার আশুলিয়া থানার নবীনগর এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। র‍্যাব-১২ ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার ফিরোজ আহম্মেদ এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

গ্রেপ্তার রাজু শিবগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এবং উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান। তাঁর নামে একাধিক মামলা রয়েছে।

জানা গেছে, ৪ অক্টোবর সন্ধ্যা ৭টার দিকে শিবগঞ্জ উপজেলার চক ভোলাখাঁ গ্রামে তাঁর মামাতো ভাইয়ের বিবাহোত্তর অনুষ্ঠানে যোগ দেন রাজু। এই খবর পেয়ে শিবগঞ্জ থানা-পুলিশ তাঁকে আটক করে হাতকড়া পড়ায়। এ সময় রাজুর চিৎকার শুনে এলাকাবাসী পুলিশের ওপর হামলা করে রাজুকে হাতকড়াসহ ছিনিয়ে নেয়। এই ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে রাজুকে প্রধান আসামি করে দুই শতাধিক নারী-পুরুষের বিরুদ্ধে মামলা করে।

পুলিশ রাজুকে গ্রেপ্তার করতে না পারলেও ওই গ্রামের ১১ নারী এবং ১০ জন পুরুষকে গ্রেপ্তার করে। রাজু দীর্ঘদিন পলাতক থাকার পর গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বুধবার রাতে ঢাকা জেলার আশুলিয়া থানা এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। বৃহস্পতিবার রাজুকে শিবগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত