Ajker Patrika

যশোরে অনুমতি না পেলেও সমাবেশ করবে বিএনপি: অনিন্দ্য ইসলাম অমিত

যশোর প্রতিনিধি
আপডেট : ২৫ মে ২০২৩, ১৯: ৪৫
যশোরে অনুমতি না পেলেও সমাবেশ করবে বিএনপি: অনিন্দ্য ইসলাম অমিত

২৭ মে যশোরে সমাবেশ করবে বিএনপি। এতে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে। এ সমাবেশ প্রতিহতের হুমকি দিয়েছেন যশোর জেলা আওয়ামী লীগ। তবে আওয়ামী লীগের এই হুমকি আমলে নিচ্ছে না বিএনপির নেতারা। তাঁরা বলছেন, সরকারদলীয় নেতা-কর্মীদের হুমকি-ধমকি বাধা দিলেও বিএনপি এ সমাবেশ হতে পিছু হটবে না। এমনকি পুলিশ অনুমতি না দিলেও এই সমাবেশ করবেন তাঁরা। 

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে যশোর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন দলটির খুলনা বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত।

গায়েবি মামলায় গ্রেপ্তার, নির্যাতনসহ সরকার পদত্যাগের ১০ দফা দাবিতে বিএনপির কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে ২৭ মে বিক্ষোভ সমাবেশ করবে যশোর জেলা বিএনপি। এই সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের। সমাবেশ সফল করতে জেলা বিএনপি ইতিমধ্যে সব উপজেলা ও ইউনিয়নে প্রস্তুতিসভা সম্পন্ন করেছে। 

তবে সমাবেশের এক দিন বাকি থাকলেও জেলা প্রশাসন এখনো সমাবেশস্থলের অনুমতি দেয়নি। বিএনপির জনসভাকে ঘিরে যখন সব প্রস্তুতি চলছে, সেই মুহূর্তে যশোর আওয়ামী লীগ ঘোষণা দিয়েছেন বিএনপির সমাবেশ প্রতিহত করার। গত কয়েক দিনে জেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের হুমকিমূলক বক্তব্য আর সমাবেশের অনুমতি না পাওয়া নিয়ে বিএনপির সার্বিক অবস্থান সম্পর্কে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে জেলা বিএনপি।

সংবাদ সম্মেলনে খুলনা বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত বলেন, ‘আগামী ২৭ মে যশোরে বিএনপির সমাবেশ করার দিনক্ষণ চূড়ান্ত হওয়ার পর থেকে পুলিশ নেতা-কর্মীদের গণগ্রেপ্তার নেমেছে। এই গণগ্রেপ্তারের মধ্যেই আমরা সকল প্রস্তুতি নিয়েছি। তবে দুঃখের বিষয় আমরা সমাবেশ স্থলের অনুমতি চাইলেও জেলা প্রশাসন এখনো অনুমতি দেয়নি। প্রথমে আমরা শহরের কেন্দ্রীয় ঈদগা ও টাউন হল ময়দানে অনুমতি চেয়েছিলাম। কিন্তু ঈদগায়ে ঈদের প্যান্ডেল থাকাতে অনুমতি দেয়নি। 

‘আর টাউন হল ময়দানে আমাদের সমাবেশের অনুমতি চাইলে আমাদের না দিয়ে সরকারদলীয় শ্রমিক সংগঠনটিকে অনুমতি দিয়েছে। এই সমাবেশ প্রশাসন অনুমতি দিলেও করব, না দিলেও করব। ২৭ মে শহরের ভোলা ট্যাংক রোডে সমাবেশ করা হবে। সরকারদলীয় নেতা-কর্মীদের হামলা-হুমকি উপেক্ষা করেই এই সমাবেশ সফল করা হবে। আমাদের যে দাবি সেই দাবিতে সাধারণ জনগণের দাবি। সেই দাবি আদায়ে আমরা নৈতিক অবস্থান থেকে সরে দাঁড়াব না। যশোরে সমাবেশকে ঘিরে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের বিভিন্ন হুমকিমূলক বক্তব্য দিচ্ছে। তাদের সেই হুমকিতে বিএনপি নেতা-কর্মীরা বিচলিত না।’

আওয়ামী লীগের প্রতি ওয়ার্ডে পাহারা দেওয়ার ক্ষেত্রে কোনো সংঘাতের আশঙ্কা করছেন কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘বাংলাদেশের সংবিধান আমাকে সভা-সমাবেশ করার অধিকার দিয়েছে। সেই সংবিধান রক্ষার শপথ নিয়ে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আছেন; কিংবা সংবিধান সমুন্নত রাখার জন্য যে সমস্ত সরকারি কর্মকর্তারা যশোরে দায়িত্ব পালন করছেন—তাঁরা নিশ্চয়ই এটা বিবেচনা করবে। দায়িত্বটা তাঁদের। আমি আমার গণতান্ত্রিক অধিকারের বাইরে কিছু বলছি না।

‘আওয়ামী লীগ সব জায়গায় তারা সংঘাত সৃষ্টি করার পাঁয়তারা করেছে। প্রশাসন দিয়ে চেষ্টা করেছে, গাড়ি-ঘোড়া বন্ধ করে দিয়ে চেষ্টা করেছে। তারা তো কোনো পথই বাকি রাখেনি। নতুন কোনো পথ খোলাও রাখেনি। আমরা সংঘাত এড়িয়েই সমাবেশে করব। বিএনপি দায়িত্বশীল সংগঠন। সংবিধানে যে অধিকার রয়েছে; সেই অধিকার আদায়ে রাজপথে থাকবে বিএনপি। বিএনপি সন্ত্রাসী রাজনীতিকে প্রশ্রয় দেয় না।’

সংবাদ সম্মেলনে জেলা বিএনপির সদস্যসচিব বলেন, ‘আমরা সন্ত্রাসী রাজনীতি পছন্দ করি না। আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের হুমকিতে আমরা বিচলিত না। তাঁরা তো সমাবেশ করতে দেবেন না বলেই প্রশাসন দিয়ে এখনো সমাবেশস্থলের অনুমতি দিতে দেননি। আর পুলিশ দিয়ে বিএনপি নেতা-কর্মীদের মিথ্যা মামলা দিয়ে কারাগারে পাঠাচ্ছেন। আমাদের রাজপথে প্রতিবন্ধকতা আসবেই; আমরা সেটি পার করেই সমাবেশ সফল করব।’ 

প্রেস কনফারেন্সে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক নার্গিস ইসলাম, যুগ্ম আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেন খোকন, নগর বিএনপির সভাপতি রফিকুল ইসলাম চৌধুরী মুল্লুক চাঁদ প্রমুখ।

এই বিষয়ে জেলা পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) আজকের পত্রিকাকে বলেন, একই দিনে দুটি সমাবেশে কোনো ধরনের সহিংসতার আশঙ্কা দেখছি না। তার পরেও সমাবেশকে কেন্দ্র করে পুলিশ সব ধরনের ব্যবস্থা নিবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

আইনি স্বীকৃতিসহ ১৫ দফা দাবিতে রাজধানীতে বাকপ্রতিবন্ধীদের অবস্থান কর্মসূচি-র‍্যালি

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
পল্টন এলাকা থেকে একটি মিছিল শুরু করে প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান নেন শ্রবণ ও বাকপ্রতিবন্ধীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা
পল্টন এলাকা থেকে একটি মিছিল শুরু করে প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান নেন শ্রবণ ও বাকপ্রতিবন্ধীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

আইনগত স্বীকৃতি ও সুরক্ষাসহ ১৫ দফা দাবি নিয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন শ্রবণ ও বাকপ্রতিবন্ধীরা। আজ সোমবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জাতীয় বধির ঐক্য পরিষদ ব্যানারে এ অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন তাঁরা। এর আগে পল্টন এলাকা থেকে একটি মিছিল শুরু করে প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান নেন আন্দোলনকারীরা।

লিখিত বক্তব্যে শ্রবণ ও বাকপ্রতিবন্ধীরা জানান, প্রতিবন্ধী সুরক্ষা আইন ২০১৩-এ শ্রবণ ও বাকপ্রতিবন্ধী শব্দের পরিবর্তে আন্তর্জাতিক স্বীকৃত ‘বধির’ ব্যবহার করতে হবে। বাকপ্রতিবন্ধীদের মালিকানাধীন সম্পত্তি রক্ষায় বিরোধ মামলার জন্য ৫০ শতাংশ খরচ মওকুফ করতে হবে। জাতীয় সংসদে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য মোট পাঁচ শতাংশ সংরক্ষিত আসন বরাদ্দ এবং শ্রবণ ও বাক প্রতিবন্ধীদের জন্য পৃথকভাবে দুই শতাংশ কোটা নিশ্চিত করতে হবে।

তাঁরা আরও জানান, শ্রবণ ও বাকপ্রতিবন্ধীদের জন্য পৃথক আবাসিক কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা ও কার্যকরীকরণ নিশ্চিত এবং শিক্ষকদের জন্য ইশারা ভাষায় প্রশিক্ষণ বাধ্যতামূলক করতে হবে। এছাড়া প্রশিক্ষণ ও শিক্ষক নিয়োগ, আর্থিক ভাতা ও সহায়তা, কর্মসংস্থান ও কোটা, বাসস্থান ও ভূমি সংক্রান্ত সুবিধাসহ ১৫ দাবি জানান তাঁরা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

রোগী সেজে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে চুরি, সাত নারী গ্রেপ্তার

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি
গ্রেপ্তারকৃত সাত নারী। ছবি: আজকের পত্রিকা
গ্রেপ্তারকৃত সাত নারী। ছবি: আজকের পত্রিকা

রোগী সেজে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে চুরির ঘটনায় সাত নারীকে গ্রেপ্তার করছে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তিরা সবাই জামালপুর ও বগুড়ার সারিয়াকান্দি এলাকার বাসিন্দা। তাঁদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

পুলিশ ও হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, প্রতিনিয়ত সদর হাসপাতালে লাইনে দাঁড়ানো রোগীদের টাকা, গয়না ও মোবাইল চুরির ঘটনা ঘটছে। গতকাল রোববার দুপুরে কুলসুমা বেগম নামে এক নারী ডাক্তার দেখানোর জন্য টিকিট কেটে লাইনে দাঁড়ান। এ সময় তাঁর ব্যাগ থেকে ছয় হাজার টাকা চুরির করার সময় হাতেনাতে এক নারীকে আটক করে স্থানীয়রা। পরে তাঁর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী রাতে শহরের বিভিন্ন বাসায় অভিযান চালিয়ে আরও ছয় নারীকে আটক করা হয়। জড়িত সাত নারীই সদর হাসপাতালে রোগী সেজে চুরির সঙ্গে জড়িত বলে জানিয়েছে পুলিশ। তাঁরা একই এলাকায় দুই থেকে তিন মাসের বেশি অবস্থান করেন না।

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুল মোন্নাফ বলেন, ‘গ্রেপ্তারকৃত সবাই চোর চক্রের সদস্য। তারা দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে রোগী সেজে চুরিসহ নানা অপরাধ করে থাকে। তারা কয়েক দিন আগে এই শহরে বাসাভাড়া নিয়েছে। এর আগেও বিভিন্ন স্থানে একই কাজ করে আসছিল এই চক্র। এই চক্রের সঙ্গে আরও কারা জড়িত, তাদের চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

গাজীপুরে রাস্তা আটকে চলাচল করা পুলিশ কমিশনার নাজমুল করিম বরখাস্ত

বিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা ­­
ড. নাজমুল করিম খান। ছবি: আজকের পত্রিকা
ড. নাজমুল করিম খান। ছবি: আজকের পত্রিকা

গাজীপুর মহানগর পুলিশের (জিএমপি) সাবেক কমিশনার নাজমুল করিম খানকে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে সরকার। গতকাল রোববার এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পুলিশ-১ শাখা।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, নাজমুল করিমকে জনস্বার্থে সরকারি কাজ থেকে বিরত রাখা আবশ্যক ও সমীচীন হওয়ায় সরকারি চাকরি আইনের ৩৯ (১) ধারা অনুযায়ী তাঁকে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো। সাময়িক বরখাস্তকালীন তিনি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সংযুক্ত থাকবেন এবং বিধি অনুযায়ী খোরপোষ ভাতা পাবেন।

নাজমুল করিমকে কেন সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে প্রজ্ঞাপনে তা জানানো হয়নি।

তবে রাস্তা বন্ধ করে এই পুলিশ কর্মকর্তার অফিসে যাতায়াত নিয়ে গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশের পর গত ১ সেপ্টেম্বর জিএমপি কমিশনার পদ থেকে প্রত্যাহার করে তাঁকে পুলিশ সদর দপ্তরে সংযুক্ত করা হয়।

সরকারি চাকরি আইনের ৩৯ (১) ধারার বিধান অনুযায়ী কোনো কর্মচারীর বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার প্রস্তাব করা হলে বা বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের পদক্ষেপ নেওয়া হলে তাঁকে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা যায়।

নাজমুল করিমকে বিরুদ্ধে এ ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে কিনা প্রজ্ঞাপনে তা জানানো হয়নি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

রাজধানীতে গুলিতে নিহত মামুন শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমনের প্রধান সহযোগী

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ১০ নভেম্বর ২০২৫, ১৪: ৫২
ছবি ভিডিও থেকে নেওয়া
ছবি ভিডিও থেকে নেওয়া

পুরান ঢাকার সূত্রাপুরে ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে সকালে দুর্বৃত্তদের গুলিতে তারিক সাইফ মামুন (৫৫) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। আজ সোমবার বেলা ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। নিহতের জাতীয় পরিচয়পত্র থেকে জানা যায়, মামুনের বাবার নাম এস এম ইকবাল। তাঁর বাড়ি লক্ষ্মীপুরের সদর উপজেলার মোবারক কলোনি এলাকায়।

ওই ব্যক্তি পেশায় ব্যবসায়ী বলে দাবি করেছেন তাঁর স্ত্রী। তবে পুলিশ বলছে, ওই ব্যক্তি চিহ্নিত শীর্ষ সন্ত্রাসী। ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) লালবাগ বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার (লালবাগ বিভাগ) মল্লিক আহসান উদ্দিন সামী বলেন, ‘গুলিতে নিহত ব্যক্তিটি শীর্ষ সন্ত্রাসী মামুন। তিনি কোনো ব্যবসায়ী নন। তিনি ইমন-মামুন গ্রুপের মামুন।’

পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, ঢালিউড নায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা এবং সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল (অব.) আজিজ আহমেদের ভাই সাইদ আহমেদ টিপু হত্যা মামলায় ঢাকার আন্ডারগ্রাউন্ড সন্ত্রাসী গ্রুপ ইমন-মামুন জড়িত। এই গ্রুপের ইমন বর্তমানে পলাতক। মামুন আজ মামলায় হাজিরা দিতে গিয়েছিলেন।

ঘটনার বর্ণনায় ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ার্ড মাস্টার মহিবুল্লাহ জানান, আনুমানিক বেলা ১১টার দিকে হাসপাতালের সামনে গোলাগুলি হয়। গুলির শব্দ শুনে হাসপাতালের মূল ফটকের সামনে এসে তিনি এক ব্যক্তিকে রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখেন। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে হাসপাতালে ভেতরে আনা হয়। অবস্থার অবনতি দেখে সেখান থেকে দ্রুত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ মো. ফারুক হাসপাতালে আনার পর মৃত ঘোষণার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মরদেহ মর্গে রাখা হয়েছে।

ঢাকা মেডিকেলে নিহতের পূর্বপরিচিত দাবি করা জনৈক ফাইজুল হক অপু জানান, সকালে তারিক সাইফ মামুনের ফোন নম্বর থেকে তাঁকে কল করে ঘটনাটি জানানো হয়। এরপর তিনি ঢাকা মেডিকেলে এসে পরিচয় শনাক্ত করেন।

ঢামেকে মামুনের স্ত্রী দীপা জানান, মিরপুরে মামুনের গার্মেন্টস ব্যবসা রয়েছে। দুই মেয়েকে নিয়ে আফতাবনগরের এফ-ব্লকে থাকেন তাঁরা। তিনি আরও জানান, দুই দিন পর আজ সকাল ৯টার দিকে বাসা থেকে বের হয়েছিলেন মামুন। জজকোর্টে একটি মামলার হাজিরা দিতে গিয়েছিলেন। এরপরই ফোনে তাঁর মৃত্যুর খবর আসে।

দীপা বলেন, ‘কারা আমার স্বামীকে খুন করছে জানি না।’ এ সময় ‘ইমন’ নামে এক ব্যক্তির নাম উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘ইমন ছাড়া কেউ এই কাজ করে নাই। কয়েক দিন আগে ইমনই লোক দিয়ে মামুনকে মারধর করেছিল।’

তবে ইমনের সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু বলতে তাৎক্ষণিকভাবে রাজি হননি দীপা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত