জাহিদ হাসান, যশোর প্রতিনিধি

১৯৭১ সালের ১১ ডিসেম্বর বেলা ৩টা। বিভিন্ন বয়সী মানুষের উপস্থিতিতে কানায় কানায় পূর্ণ যশোর ইনস্টিটিউটের মাঠ। প্রস্তুত মাঠের ভেতরের মঞ্চটিও। এমন সময় লাল-সবুজের পতাকাবাহী কালো রঙের শেভ্রোলেট সিডেন কারে চড়ে এলেন মুজিবনগর সরকারের প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ। সঙ্গে ছিলেন অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলামসহ মন্ত্রিপরিষদের সদস্যরা।
প্রধানমন্ত্রীসহ নেতারা যখন মঞ্চে উঠলেন, উপস্থিত জনসাধারণ দাঁড়িয়ে পতাকা নাড়িয়ে মুহুর্মুহু জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে তাঁদের স্বাগত জানায়। জনসভায় তাজউদ্দীন আহমদ প্রায় ২০ মিনিটের বক্তব্যে সবাইকে যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশকে গড়ে তোলার আহ্বান জানান। একই সঙ্গে ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করা জামায়াতে ইসলামী, মুসলিম লীগ ও নেজামে ইসলামকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেন। সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টার সেই দিনের জনসভা শেষ করে বেনাপোল-পেট্রাপোল সীমান্ত দিয়ে আবার কলকাতায় ফিরে যান তাজউদ্দীন আহমদসহ নেতারা। স্বাধীন বাংলার প্রথম জনসভার সেদিনের সেই মাঠে দাঁড়িয়ে দৈনিক আজকের পত্রিকাকে সেই স্মৃতি রোমন্থন করেন জনসভার নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা বীর মুক্তিযোদ্ধা আফজাল হোসেন দোদুল।
বাংলাদেশের গৌরবময় মুক্তিযুদ্ধে ১৯৭১ সালের ১১ ডিসেম্বর একটি স্মরণীয় দিন। এই দিনে হানাদার বাহিনীর কবলমুক্ত যশোরে স্বাধীন বাংলার প্রথম জনসভা অনুষ্ঠিত হয়েছিল। জনসভায় প্রবাসী সরকারের প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ সমবেত জনতার উদ্দেশে বলেছিলেন, ‘আর ধ্বংস নয়, যুদ্ধ নয়। এ মুহূর্তে কাজ হলো যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশকে গড়ে তোলা।’ সেদিন তিনি সর্বস্তরের মানুষকে স্বাধীনতাযুদ্ধের চেতনায় দেশ পুনর্গঠনে আত্মনিয়োগ করার আহ্বান জানিয়েছিলেন। অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলামসহ জনসভায় আরও উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য ফণীভূষণ মজুমদার, রওশন আলী, মোশাররফ হোসেন, তবিবর রহমান সরদার, এম আর আকতার মুকুল, জহির রায়হান প্রমুখ।
সেদিন মঞ্চের পাশে নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার আফজাল হোসেন দোদুল। তিনি সেই দিনের স্মৃতিচারণা করে বলেন, ‘১৯৭১ সালের ১১ ডিসেম্বর দুপুরের পর থেকে যশোরসহ বিভিন্ন জেলার মানুষেরা এই জনসভায় আসতে থাকে। কারও কারও হাতে ছিল সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা। আড়াইটার দিকে কালো রঙের শেভ্রোলেট সিডেন কারে চড়ে কলকাতা থেকে যশোরে আসেন তাজউদ্দীন আহমদ। তাঁর আগে ছিল কর্নেল খন্দকার নাজমুল হুদা বীর বিক্রমের খোলা জিপ গাড়িটি। পেছনে ছিল মিত্র বাহিনীর বহর। প্রথম সেদিন তাঁদের গার্ড অব অনার দেওয়া হয়। বেলা ৩টার দিকে মাঠে প্রবেশ করেন প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ, অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলামসহ মন্ত্রিপরিষদের সদস্য ও যশোরের নেতারা। ৩টা থেকে শুরু হওয়া এই জনসভা শেষ হয় সন্ধ্যায়। তারপর যশোর থেকে আবার বেনাপোল দিয়ে কলকাতা চলে যান তাঁরা।
তাজউদ্দীন আহমদ সেদিন বক্তব্যে বলেন, এই দেশ অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র হবে। ইসলামিক ও স্বাধীনতাবিরোধী দলগুলো রাজনীতি করতে পারবে না। তাদের রাজনীতি নিষিদ্ধ করা হয়। এই জনসভার মাধ্যমে যশোরের তৎকালীন ডিসি ওয়ালি উল ইসলাম এবং কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কাঞ্চন ঘোষালকে নির্দেশ দেন, আইনশৃঙ্খলার যেন কোনো অবনতি না হয়। ১৫ থেকে ২০ মিনিট বক্তব্য দেন তিনি।
তাজউদ্দীন যখন বক্তব্য দিচ্ছিলেন তখন হঠাৎ খুলনার দিক থেকে কামানের শব্দ ভেসে আসে বলে জানান দোদুল। এ জনসভায় শুধু যশোর নয়; দেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। কারণ তাজউদ্দীন দেশের অনেক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত ও পরিকল্পনা নেন এই জনসভা থেকে। এরপর নজরুল ইসলাম, মোশারফ হোসেন বক্তব্য দেন। দোদুল বলেন, জনসভার কথা বেশি প্রচার না হওয়ার কারণে লোকজন কম এসেছিল।
স্বাধীনতার পর যশোর ইনস্টিটিউট মাঠে যে মঞ্চে জনসভা হয়েছিল, পরবর্তী সময়ে সেটির নামকরণ হয় ‘স্বাধীনতা উন্মুক্ত মঞ্চ’। দীর্ঘদিন ধরে এই মঞ্চটি অযত্ন অবহেলায় পড়ে থাকার পর স্বাধীনতার ৫০ বছর পর ২০২২ সালে যশোর জেলা পরিষদ মঞ্চটি ৬০ লাখ টাকা ব্যয়ে পুনর্নির্মাণ করে। বর্তমানে সেটি দৃষ্টিনন্দন হয়েছে। এ বিষয়ে আফজাল হোসেন দোদুল বলেন, ‘দীর্ঘদিন পরিত্যক্ত অবস্থায় ছিল মঞ্চটি। মুক্তিযোদ্ধাদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে এখন এটি দৃষ্টিনন্দন করা হয়েছে। তাতে আমরা খুশি।’ তবে তিনি আক্ষেপ করে বলেন, দিনটি বাঙালি জাতির একটি স্মরণীয় দিন। আর যশোরবাসীর জন্য দিনটি গৌরব ও অহংকারের। তবে সেই ইতিহাস নতুন প্রজন্মের সামনে তুলে ধরার কোনো উদ্যোগ নেই সরকার বা জেলা প্রশাসনের।
মুক্ত স্বদেশের মাটিতে অনুষ্ঠিত প্রথম এ জনসভার খবর সংগ্রহের জন্য উপস্থিত ছিলেন লন্ডনের ডেইলি টেলিগ্রাফ পত্রিকার সাংবাদিক পিটার গিল, নিউইয়র্ক টাইমস পত্রিকার সিডনি এস এইচ সানবার্গ, ওয়াশিংটন পোস্টের প্রতিনিধিসহ বহু বিদেশি সাংবাদিক। সেই বহরে ছিলেন কুষ্টিয়ার সাংবাদিক আব্দুল হামিদ রায়হান। সমাবেশের তিন দিন আগেই কলকাতা থেকে ক্যামেরাসহ সরঞ্জামাদি নিয়ে চলে আসেন যশোরে। বর্তমানে অসুস্থ অবস্থায় যশোর শহরের বারান্দীপাড়ায় মেয়ের বাসায় রয়েছেন তিনি।
সেদিনের ঐতিহাসিক জনসভার কথা মনে করে ফটোগ্রাফার মুক্তিযোদ্ধা হামিদ বলেন, ‘মুজিবনগর সরকারের হেডকোয়ার্টার্স ছিল কলকাতার থিয়েটার রোডে। ১১ ডিসেম্বর যশোর টাউন হল মাঠের জনসভায় প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ, অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, মনসুর আলী, কামারুজ্জামান, জহির রায়হানদের আসার খবরে দুপুর থেকে মাঠে লোকজন আসতে শুরু করে। মাঠ ছিল ছোট, জনসভায় সহস্রাধিক মানুষের উপস্থিতি ঘটে। তারা ভাষণ দিলেন, মানুষ সেগুলো শুনল। সেই জনসভায় বিদেশি কয়েকজন সাংবাদিক এবং বাংলাদেশের একমাত্র আমিই উপস্থিত ছিলাম।’
মুক্তিযোদ্ধা হামিদ আরও বলেন, ‘ভাষণ শেষে তাঁরা যখন চলে গেলেন, তাঁদের সঙ্গে আমিও যাই। কলকাতার ধর্মতলায় একটি স্টুডিও থেকে ছবিগুলো ওয়াশ করাই। পরদিন জয়বাংলা পত্রিকায় ছবি ছাপা হয়। আমি সেই কাগজ নিয়ে দেশে ফিরে আসি। এরপর ১৩ ডিসেম্বর কুষ্টিয়ায় এবং ২০ ডিসেম্বর খুলনার সমাবেশে যোগ দিই।’
মুক্তিযোদ্ধা হামিদ বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে (আগে-পরে) পাঁচ শতাধিক ছবি তুলি। যার নেগেটিভ এখনো আমার স্টুডিওতে (কুষ্টিয়ার রূপান্তর ফটো স্টুডিও) সংরক্ষণ করা আছে। সেই সময়কার ছবি মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর, সামরিক জাদুঘর, দৃক গ্যালারি, বেঙ্গল গ্যালারি এবং লন্ডনেও রয়েছে।’
এদিকে দিনটি উপলক্ষে যশোর জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় ঐতিহাসিক টাউন হল ময়দানে আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে জেলা সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট।

১৯৭১ সালের ১১ ডিসেম্বর বেলা ৩টা। বিভিন্ন বয়সী মানুষের উপস্থিতিতে কানায় কানায় পূর্ণ যশোর ইনস্টিটিউটের মাঠ। প্রস্তুত মাঠের ভেতরের মঞ্চটিও। এমন সময় লাল-সবুজের পতাকাবাহী কালো রঙের শেভ্রোলেট সিডেন কারে চড়ে এলেন মুজিবনগর সরকারের প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ। সঙ্গে ছিলেন অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলামসহ মন্ত্রিপরিষদের সদস্যরা।
প্রধানমন্ত্রীসহ নেতারা যখন মঞ্চে উঠলেন, উপস্থিত জনসাধারণ দাঁড়িয়ে পতাকা নাড়িয়ে মুহুর্মুহু জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে তাঁদের স্বাগত জানায়। জনসভায় তাজউদ্দীন আহমদ প্রায় ২০ মিনিটের বক্তব্যে সবাইকে যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশকে গড়ে তোলার আহ্বান জানান। একই সঙ্গে ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করা জামায়াতে ইসলামী, মুসলিম লীগ ও নেজামে ইসলামকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেন। সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টার সেই দিনের জনসভা শেষ করে বেনাপোল-পেট্রাপোল সীমান্ত দিয়ে আবার কলকাতায় ফিরে যান তাজউদ্দীন আহমদসহ নেতারা। স্বাধীন বাংলার প্রথম জনসভার সেদিনের সেই মাঠে দাঁড়িয়ে দৈনিক আজকের পত্রিকাকে সেই স্মৃতি রোমন্থন করেন জনসভার নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা বীর মুক্তিযোদ্ধা আফজাল হোসেন দোদুল।
বাংলাদেশের গৌরবময় মুক্তিযুদ্ধে ১৯৭১ সালের ১১ ডিসেম্বর একটি স্মরণীয় দিন। এই দিনে হানাদার বাহিনীর কবলমুক্ত যশোরে স্বাধীন বাংলার প্রথম জনসভা অনুষ্ঠিত হয়েছিল। জনসভায় প্রবাসী সরকারের প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ সমবেত জনতার উদ্দেশে বলেছিলেন, ‘আর ধ্বংস নয়, যুদ্ধ নয়। এ মুহূর্তে কাজ হলো যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশকে গড়ে তোলা।’ সেদিন তিনি সর্বস্তরের মানুষকে স্বাধীনতাযুদ্ধের চেতনায় দেশ পুনর্গঠনে আত্মনিয়োগ করার আহ্বান জানিয়েছিলেন। অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলামসহ জনসভায় আরও উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য ফণীভূষণ মজুমদার, রওশন আলী, মোশাররফ হোসেন, তবিবর রহমান সরদার, এম আর আকতার মুকুল, জহির রায়হান প্রমুখ।
সেদিন মঞ্চের পাশে নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার আফজাল হোসেন দোদুল। তিনি সেই দিনের স্মৃতিচারণা করে বলেন, ‘১৯৭১ সালের ১১ ডিসেম্বর দুপুরের পর থেকে যশোরসহ বিভিন্ন জেলার মানুষেরা এই জনসভায় আসতে থাকে। কারও কারও হাতে ছিল সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা। আড়াইটার দিকে কালো রঙের শেভ্রোলেট সিডেন কারে চড়ে কলকাতা থেকে যশোরে আসেন তাজউদ্দীন আহমদ। তাঁর আগে ছিল কর্নেল খন্দকার নাজমুল হুদা বীর বিক্রমের খোলা জিপ গাড়িটি। পেছনে ছিল মিত্র বাহিনীর বহর। প্রথম সেদিন তাঁদের গার্ড অব অনার দেওয়া হয়। বেলা ৩টার দিকে মাঠে প্রবেশ করেন প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ, অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলামসহ মন্ত্রিপরিষদের সদস্য ও যশোরের নেতারা। ৩টা থেকে শুরু হওয়া এই জনসভা শেষ হয় সন্ধ্যায়। তারপর যশোর থেকে আবার বেনাপোল দিয়ে কলকাতা চলে যান তাঁরা।
তাজউদ্দীন আহমদ সেদিন বক্তব্যে বলেন, এই দেশ অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র হবে। ইসলামিক ও স্বাধীনতাবিরোধী দলগুলো রাজনীতি করতে পারবে না। তাদের রাজনীতি নিষিদ্ধ করা হয়। এই জনসভার মাধ্যমে যশোরের তৎকালীন ডিসি ওয়ালি উল ইসলাম এবং কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কাঞ্চন ঘোষালকে নির্দেশ দেন, আইনশৃঙ্খলার যেন কোনো অবনতি না হয়। ১৫ থেকে ২০ মিনিট বক্তব্য দেন তিনি।
তাজউদ্দীন যখন বক্তব্য দিচ্ছিলেন তখন হঠাৎ খুলনার দিক থেকে কামানের শব্দ ভেসে আসে বলে জানান দোদুল। এ জনসভায় শুধু যশোর নয়; দেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। কারণ তাজউদ্দীন দেশের অনেক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত ও পরিকল্পনা নেন এই জনসভা থেকে। এরপর নজরুল ইসলাম, মোশারফ হোসেন বক্তব্য দেন। দোদুল বলেন, জনসভার কথা বেশি প্রচার না হওয়ার কারণে লোকজন কম এসেছিল।
স্বাধীনতার পর যশোর ইনস্টিটিউট মাঠে যে মঞ্চে জনসভা হয়েছিল, পরবর্তী সময়ে সেটির নামকরণ হয় ‘স্বাধীনতা উন্মুক্ত মঞ্চ’। দীর্ঘদিন ধরে এই মঞ্চটি অযত্ন অবহেলায় পড়ে থাকার পর স্বাধীনতার ৫০ বছর পর ২০২২ সালে যশোর জেলা পরিষদ মঞ্চটি ৬০ লাখ টাকা ব্যয়ে পুনর্নির্মাণ করে। বর্তমানে সেটি দৃষ্টিনন্দন হয়েছে। এ বিষয়ে আফজাল হোসেন দোদুল বলেন, ‘দীর্ঘদিন পরিত্যক্ত অবস্থায় ছিল মঞ্চটি। মুক্তিযোদ্ধাদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে এখন এটি দৃষ্টিনন্দন করা হয়েছে। তাতে আমরা খুশি।’ তবে তিনি আক্ষেপ করে বলেন, দিনটি বাঙালি জাতির একটি স্মরণীয় দিন। আর যশোরবাসীর জন্য দিনটি গৌরব ও অহংকারের। তবে সেই ইতিহাস নতুন প্রজন্মের সামনে তুলে ধরার কোনো উদ্যোগ নেই সরকার বা জেলা প্রশাসনের।
মুক্ত স্বদেশের মাটিতে অনুষ্ঠিত প্রথম এ জনসভার খবর সংগ্রহের জন্য উপস্থিত ছিলেন লন্ডনের ডেইলি টেলিগ্রাফ পত্রিকার সাংবাদিক পিটার গিল, নিউইয়র্ক টাইমস পত্রিকার সিডনি এস এইচ সানবার্গ, ওয়াশিংটন পোস্টের প্রতিনিধিসহ বহু বিদেশি সাংবাদিক। সেই বহরে ছিলেন কুষ্টিয়ার সাংবাদিক আব্দুল হামিদ রায়হান। সমাবেশের তিন দিন আগেই কলকাতা থেকে ক্যামেরাসহ সরঞ্জামাদি নিয়ে চলে আসেন যশোরে। বর্তমানে অসুস্থ অবস্থায় যশোর শহরের বারান্দীপাড়ায় মেয়ের বাসায় রয়েছেন তিনি।
সেদিনের ঐতিহাসিক জনসভার কথা মনে করে ফটোগ্রাফার মুক্তিযোদ্ধা হামিদ বলেন, ‘মুজিবনগর সরকারের হেডকোয়ার্টার্স ছিল কলকাতার থিয়েটার রোডে। ১১ ডিসেম্বর যশোর টাউন হল মাঠের জনসভায় প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ, অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, মনসুর আলী, কামারুজ্জামান, জহির রায়হানদের আসার খবরে দুপুর থেকে মাঠে লোকজন আসতে শুরু করে। মাঠ ছিল ছোট, জনসভায় সহস্রাধিক মানুষের উপস্থিতি ঘটে। তারা ভাষণ দিলেন, মানুষ সেগুলো শুনল। সেই জনসভায় বিদেশি কয়েকজন সাংবাদিক এবং বাংলাদেশের একমাত্র আমিই উপস্থিত ছিলাম।’
মুক্তিযোদ্ধা হামিদ আরও বলেন, ‘ভাষণ শেষে তাঁরা যখন চলে গেলেন, তাঁদের সঙ্গে আমিও যাই। কলকাতার ধর্মতলায় একটি স্টুডিও থেকে ছবিগুলো ওয়াশ করাই। পরদিন জয়বাংলা পত্রিকায় ছবি ছাপা হয়। আমি সেই কাগজ নিয়ে দেশে ফিরে আসি। এরপর ১৩ ডিসেম্বর কুষ্টিয়ায় এবং ২০ ডিসেম্বর খুলনার সমাবেশে যোগ দিই।’
মুক্তিযোদ্ধা হামিদ বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে (আগে-পরে) পাঁচ শতাধিক ছবি তুলি। যার নেগেটিভ এখনো আমার স্টুডিওতে (কুষ্টিয়ার রূপান্তর ফটো স্টুডিও) সংরক্ষণ করা আছে। সেই সময়কার ছবি মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর, সামরিক জাদুঘর, দৃক গ্যালারি, বেঙ্গল গ্যালারি এবং লন্ডনেও রয়েছে।’
এদিকে দিনটি উপলক্ষে যশোর জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় ঐতিহাসিক টাউন হল ময়দানে আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে জেলা সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট।

কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলায় ডাকাতির প্রস্তুতিকালে দুটি মাইক্রোবাসসহ চারজনকে আটক করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে অভিযান চালিয়ে তাঁদের আটক করা হয়।
১ ঘণ্টা আগে
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন দুই দিনের সরকারি সফরে নিজ জেলা পাবনায় পৌঁছেছেন। শনিবার (৮ নভেম্বর) সকাল ৯টা ৪০ মিনিটে তিনি হেলিকপ্টারযোগে ঢাকা থেকে পাবনা স্টেডিয়ামে পৌঁছান। এ সময় পাবনা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মফিজুল ইসলাম ও পুলিশ সুপার মোরতোজা আলী খান তাঁকে স্বাগত জানান।
১ ঘণ্টা আগে
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার চৌমুহনী পৌর এলাকায় আব্দুল কাদের জিলানীকে (কানকাটা কাদের) পিটিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাতে চৌমুহনী পৌরসভার হাজীপুরের ছেরাং বাড়ির সামনে এই ঘটনা ঘটে। নিহত আব্দুল কাদের জিলানী হাজীপুর এলাকার মৃত গোফরান মিয়ার ছেলে।
২ ঘণ্টা আগে
আজ শনিবার (৮ নভেম্বর) তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৭.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা সারা দেশের মধ্যে সর্বনিম্ন। সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়াবিদ জিতেন্দ্রনাথ রায় এই তথ্য নিশ্চিত করেন। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতা ছিল ৭৩ শতাংশ।
২ ঘণ্টা আগেচকরিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি

কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলায় ডাকাতির প্রস্তুতিকালে দুটি মাইক্রোবাসসহ চারজনকে আটক করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে অভিযান চালিয়ে তাঁদেরকে আটক করা হয়।
আটক ব্যক্তিরা হলেন চকরিয়া উপজেলার সাহারবিল ইউনিয়নের চোয়ারফাঁড়ি গ্রামের মৃত কালু মিয়ার ছেলে সেলিম (৩৫), পশ্চিম বড় ভেওলার ইলিশিয়া গ্রামের মৃত আলী আহম্মদের ছেলে নাছির উদ্দিন (৪৫), পূর্ব বড় ভেওলার ইদমনি গ্রামের আকতার আহমদের ছেলে তৌহিদুল ইসলাম (২৪) ও সাহারবিলের কোরালখালী গ্রামের নুরুল আমিনের ছেলে আব্দুল্লাহ আল নোমান (২১)। পুলিশের দাবি, তাঁরা সবাই ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্য।
পুলিশ জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ জানতে পারে, চকরিয়া পৌর শহরের সাবরেজিস্ট্রার অফিসের পেছনে ডাকাত দলের সদস্যরা অবস্থান করছেন। এমন তথ্যের ভিত্তিতে চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তৌহিদুল আনোয়ারের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ওই এলাকায় অভিযান চালায়। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ডাকাত দলের সদস্যরা পালানোর সময় চারজনকে আটক করা হয়।
চকরিয়া থানার ওসি তৌহিদুল আনোয়ার বলেন, আটক ব্যক্তিরা সংঘবদ্ধ ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্য। ডাকাতি ও চুরিতে ব্যবহৃত দুটি মাইক্রোবাস জব্দ করা হয়েছে। আটক চারজনের বিরুদ্ধে খুন, অস্ত্র, ডাকাতি, চুরিসহ নানা অপরাধে অসংখ্য মামলা রয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে নতুন মামলার প্রক্রিয়া চলছে।

কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলায় ডাকাতির প্রস্তুতিকালে দুটি মাইক্রোবাসসহ চারজনকে আটক করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে অভিযান চালিয়ে তাঁদেরকে আটক করা হয়।
আটক ব্যক্তিরা হলেন চকরিয়া উপজেলার সাহারবিল ইউনিয়নের চোয়ারফাঁড়ি গ্রামের মৃত কালু মিয়ার ছেলে সেলিম (৩৫), পশ্চিম বড় ভেওলার ইলিশিয়া গ্রামের মৃত আলী আহম্মদের ছেলে নাছির উদ্দিন (৪৫), পূর্ব বড় ভেওলার ইদমনি গ্রামের আকতার আহমদের ছেলে তৌহিদুল ইসলাম (২৪) ও সাহারবিলের কোরালখালী গ্রামের নুরুল আমিনের ছেলে আব্দুল্লাহ আল নোমান (২১)। পুলিশের দাবি, তাঁরা সবাই ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্য।
পুলিশ জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ জানতে পারে, চকরিয়া পৌর শহরের সাবরেজিস্ট্রার অফিসের পেছনে ডাকাত দলের সদস্যরা অবস্থান করছেন। এমন তথ্যের ভিত্তিতে চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তৌহিদুল আনোয়ারের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ওই এলাকায় অভিযান চালায়। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ডাকাত দলের সদস্যরা পালানোর সময় চারজনকে আটক করা হয়।
চকরিয়া থানার ওসি তৌহিদুল আনোয়ার বলেন, আটক ব্যক্তিরা সংঘবদ্ধ ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্য। ডাকাতি ও চুরিতে ব্যবহৃত দুটি মাইক্রোবাস জব্দ করা হয়েছে। আটক চারজনের বিরুদ্ধে খুন, অস্ত্র, ডাকাতি, চুরিসহ নানা অপরাধে অসংখ্য মামলা রয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে নতুন মামলার প্রক্রিয়া চলছে।

বাংলাদেশের গৌরবময় মুক্তিযুদ্ধে ১৯৭১ সালের ১১ ডিসেম্বর একটি স্মরণীয় দিন। এই দিনে হানাদার বাহিনীর কবলমুক্ত যশোরে স্বাধীন বাংলার প্রথম জনসভা অনুষ্ঠিত হয়েছিল। জনসভায় প্রবাসী সরকারের প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ সমবেত জনতার উদ্দেশে বলেছিলেন, ‘আর ধ্বংস নয়, যুদ্ধ নয়। এ মুহূর্তে কাজ হলো যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদ
১১ ডিসেম্বর ২০২৩
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন দুই দিনের সরকারি সফরে নিজ জেলা পাবনায় পৌঁছেছেন। শনিবার (৮ নভেম্বর) সকাল ৯টা ৪০ মিনিটে তিনি হেলিকপ্টারযোগে ঢাকা থেকে পাবনা স্টেডিয়ামে পৌঁছান। এ সময় পাবনা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মফিজুল ইসলাম ও পুলিশ সুপার মোরতোজা আলী খান তাঁকে স্বাগত জানান।
১ ঘণ্টা আগে
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার চৌমুহনী পৌর এলাকায় আব্দুল কাদের জিলানীকে (কানকাটা কাদের) পিটিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাতে চৌমুহনী পৌরসভার হাজীপুরের ছেরাং বাড়ির সামনে এই ঘটনা ঘটে। নিহত আব্দুল কাদের জিলানী হাজীপুর এলাকার মৃত গোফরান মিয়ার ছেলে।
২ ঘণ্টা আগে
আজ শনিবার (৮ নভেম্বর) তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৭.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা সারা দেশের মধ্যে সর্বনিম্ন। সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়াবিদ জিতেন্দ্রনাথ রায় এই তথ্য নিশ্চিত করেন। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতা ছিল ৭৩ শতাংশ।
২ ঘণ্টা আগেপাবনা প্রতিনিধি

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন দুই দিনের সরকারি সফরে নিজ জেলা পাবনায় পৌঁছেছেন। শনিবার (৮ নভেম্বর) সকাল ৯টা ৪০ মিনিটে তিনি হেলিকপ্টারযোগে ঢাকা থেকে পাবনা স্টেডিয়ামে পৌঁছান। এ সময় পাবনা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মফিজুল ইসলাম ও পুলিশ সুপার মোরতোজা আলী খান তাঁকে স্বাগত জানান। পরে ৯টা ৪৫ মিনিটে সার্কিট হাউসে উপস্থিত হয়ে গার্ড অব অনার গ্রহণ করেন। বেলা ১১টায় পাবনা সদরের আরিফপুর কবরস্থানে মা-বাবার কবর জিয়ারত করবেন রাষ্ট্র্রপতি।
এরপর বেলা ১১টা ৩০ মিনিটে পাবনা শহরের কালাচাঁদপাড়ার জুবলী ট্যাংক এলাকার নিজ বাড়িতে যাবেন। সেখানে বেলা ১টায় আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে সাক্ষাৎ ও সময় কাটাবেন। এ ছাড়া সার্কিট হাউসে রাত যাপন করবেন।
সফরের শেষ দিন রোববার (৯ নভেম্বর) সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে সার্কিট হাউসে গার্ড অব অনার গ্রহণ করবেন। বেলা ১১টায় পাবনা স্টেডিয়ামের হেলিপ্যাডে উপস্থিত হবেন এবং বঙ্গভবনের উদ্দেশে যাত্রা করবেন।
এদিকে রাষ্ট্রপতির সফরকে ঘিরে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। স্টেডিয়াম, সার্কিট হাউস, আরিফপুর কবরস্থান ও তাঁর নিজ বাসভবন এলাকায় নিশ্চিদ্র নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ৫ আগস্ট-পরবর্তী সময়ে প্রায় ১৫ মাস পর নিজ জেলায় এলেন রাষ্ট্র্রপতি সাহাবুদ্দিন। এর আগে পতিত সরকারের সময় রাষ্ট্র্রপতি পাবনা সফরে এলে সাজ সাজ রব পড়ে যেত। ব্যানার, শুভেচ্ছা ফেস্টুন আর তোরণে ছেয়ে যেত পুরো এলাকা। কিন্তু এবার তাঁর সফর ঘিরে জেলায় নেই কোনো উচ্ছ্বাস। অনেকটা নীরবতা বিরাজ করছে তাঁর সফর ঘিরে।
২০২৩ সালের ২৪ এপ্রিল ২২তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর ওই বছরের ১৫ মে পাবনায় প্রথম সফরে যান তিনি। সব মিলিয়ে তিনি চারবার পাবনা সফর করেছেন। এটি তাঁর পঞ্চম সফর।

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন দুই দিনের সরকারি সফরে নিজ জেলা পাবনায় পৌঁছেছেন। শনিবার (৮ নভেম্বর) সকাল ৯টা ৪০ মিনিটে তিনি হেলিকপ্টারযোগে ঢাকা থেকে পাবনা স্টেডিয়ামে পৌঁছান। এ সময় পাবনা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মফিজুল ইসলাম ও পুলিশ সুপার মোরতোজা আলী খান তাঁকে স্বাগত জানান। পরে ৯টা ৪৫ মিনিটে সার্কিট হাউসে উপস্থিত হয়ে গার্ড অব অনার গ্রহণ করেন। বেলা ১১টায় পাবনা সদরের আরিফপুর কবরস্থানে মা-বাবার কবর জিয়ারত করবেন রাষ্ট্র্রপতি।
এরপর বেলা ১১টা ৩০ মিনিটে পাবনা শহরের কালাচাঁদপাড়ার জুবলী ট্যাংক এলাকার নিজ বাড়িতে যাবেন। সেখানে বেলা ১টায় আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে সাক্ষাৎ ও সময় কাটাবেন। এ ছাড়া সার্কিট হাউসে রাত যাপন করবেন।
সফরের শেষ দিন রোববার (৯ নভেম্বর) সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে সার্কিট হাউসে গার্ড অব অনার গ্রহণ করবেন। বেলা ১১টায় পাবনা স্টেডিয়ামের হেলিপ্যাডে উপস্থিত হবেন এবং বঙ্গভবনের উদ্দেশে যাত্রা করবেন।
এদিকে রাষ্ট্রপতির সফরকে ঘিরে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। স্টেডিয়াম, সার্কিট হাউস, আরিফপুর কবরস্থান ও তাঁর নিজ বাসভবন এলাকায় নিশ্চিদ্র নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ৫ আগস্ট-পরবর্তী সময়ে প্রায় ১৫ মাস পর নিজ জেলায় এলেন রাষ্ট্র্রপতি সাহাবুদ্দিন। এর আগে পতিত সরকারের সময় রাষ্ট্র্রপতি পাবনা সফরে এলে সাজ সাজ রব পড়ে যেত। ব্যানার, শুভেচ্ছা ফেস্টুন আর তোরণে ছেয়ে যেত পুরো এলাকা। কিন্তু এবার তাঁর সফর ঘিরে জেলায় নেই কোনো উচ্ছ্বাস। অনেকটা নীরবতা বিরাজ করছে তাঁর সফর ঘিরে।
২০২৩ সালের ২৪ এপ্রিল ২২তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর ওই বছরের ১৫ মে পাবনায় প্রথম সফরে যান তিনি। সব মিলিয়ে তিনি চারবার পাবনা সফর করেছেন। এটি তাঁর পঞ্চম সফর।

বাংলাদেশের গৌরবময় মুক্তিযুদ্ধে ১৯৭১ সালের ১১ ডিসেম্বর একটি স্মরণীয় দিন। এই দিনে হানাদার বাহিনীর কবলমুক্ত যশোরে স্বাধীন বাংলার প্রথম জনসভা অনুষ্ঠিত হয়েছিল। জনসভায় প্রবাসী সরকারের প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ সমবেত জনতার উদ্দেশে বলেছিলেন, ‘আর ধ্বংস নয়, যুদ্ধ নয়। এ মুহূর্তে কাজ হলো যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদ
১১ ডিসেম্বর ২০২৩
কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলায় ডাকাতির প্রস্তুতিকালে দুটি মাইক্রোবাসসহ চারজনকে আটক করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে অভিযান চালিয়ে তাঁদের আটক করা হয়।
১ ঘণ্টা আগে
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার চৌমুহনী পৌর এলাকায় আব্দুল কাদের জিলানীকে (কানকাটা কাদের) পিটিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাতে চৌমুহনী পৌরসভার হাজীপুরের ছেরাং বাড়ির সামনে এই ঘটনা ঘটে। নিহত আব্দুল কাদের জিলানী হাজীপুর এলাকার মৃত গোফরান মিয়ার ছেলে।
২ ঘণ্টা আগে
আজ শনিবার (৮ নভেম্বর) তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৭.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা সারা দেশের মধ্যে সর্বনিম্ন। সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়াবিদ জিতেন্দ্রনাথ রায় এই তথ্য নিশ্চিত করেন। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতা ছিল ৭৩ শতাংশ।
২ ঘণ্টা আগেনোয়াখালী প্রতিনিধি

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার চৌমুহনী পৌর এলাকায় আব্দুল কাদের জিলানীকে (কানকাটা কাদের) পিটিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাতে চৌমুহনী পৌরসভার হাজীপুরের ছেরাং বাড়ির সামনে এই ঘটনা ঘটে। নিহত আব্দুল কাদের জিলানী হাজীপুর এলাকার মৃত গোফরান মিয়ার ছেলে।
এলাকাবাসী জানান, আব্দুল কাদের খারাপ প্রকৃতির লোক। তিনি মাদকাসক্ত ও মাদক কারবারের সঙ্গে জড়িত। তাঁর বিরুদ্ধে থানায় মাদকসহ বিভিন্ন ঘটনায় চারটি মামলা রয়েছে।
পুলিশ জানায়, মাদক কারবার নিয়ে কিছু লোকের সঙ্গে তাঁর বিরোধ চলছিল। ধারণা করা হচ্ছে, এই বিরোধের জেরে রাতে প্রতিপক্ষের লোকজন তাঁকে পিটিয়ে হত্যা করেছে। স্থানীয় লোকজন তাঁর মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে থানায় খবর দেয়। রাতেই পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে।
বেগমগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) কুতুব উদ্দিন জানান, মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবার সকালে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেলের হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এই ঘটনায় পরে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার চৌমুহনী পৌর এলাকায় আব্দুল কাদের জিলানীকে (কানকাটা কাদের) পিটিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাতে চৌমুহনী পৌরসভার হাজীপুরের ছেরাং বাড়ির সামনে এই ঘটনা ঘটে। নিহত আব্দুল কাদের জিলানী হাজীপুর এলাকার মৃত গোফরান মিয়ার ছেলে।
এলাকাবাসী জানান, আব্দুল কাদের খারাপ প্রকৃতির লোক। তিনি মাদকাসক্ত ও মাদক কারবারের সঙ্গে জড়িত। তাঁর বিরুদ্ধে থানায় মাদকসহ বিভিন্ন ঘটনায় চারটি মামলা রয়েছে।
পুলিশ জানায়, মাদক কারবার নিয়ে কিছু লোকের সঙ্গে তাঁর বিরোধ চলছিল। ধারণা করা হচ্ছে, এই বিরোধের জেরে রাতে প্রতিপক্ষের লোকজন তাঁকে পিটিয়ে হত্যা করেছে। স্থানীয় লোকজন তাঁর মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে থানায় খবর দেয়। রাতেই পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে।
বেগমগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) কুতুব উদ্দিন জানান, মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবার সকালে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেলের হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এই ঘটনায় পরে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

বাংলাদেশের গৌরবময় মুক্তিযুদ্ধে ১৯৭১ সালের ১১ ডিসেম্বর একটি স্মরণীয় দিন। এই দিনে হানাদার বাহিনীর কবলমুক্ত যশোরে স্বাধীন বাংলার প্রথম জনসভা অনুষ্ঠিত হয়েছিল। জনসভায় প্রবাসী সরকারের প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ সমবেত জনতার উদ্দেশে বলেছিলেন, ‘আর ধ্বংস নয়, যুদ্ধ নয়। এ মুহূর্তে কাজ হলো যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদ
১১ ডিসেম্বর ২০২৩
কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলায় ডাকাতির প্রস্তুতিকালে দুটি মাইক্রোবাসসহ চারজনকে আটক করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে অভিযান চালিয়ে তাঁদের আটক করা হয়।
১ ঘণ্টা আগে
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন দুই দিনের সরকারি সফরে নিজ জেলা পাবনায় পৌঁছেছেন। শনিবার (৮ নভেম্বর) সকাল ৯টা ৪০ মিনিটে তিনি হেলিকপ্টারযোগে ঢাকা থেকে পাবনা স্টেডিয়ামে পৌঁছান। এ সময় পাবনা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মফিজুল ইসলাম ও পুলিশ সুপার মোরতোজা আলী খান তাঁকে স্বাগত জানান।
১ ঘণ্টা আগে
আজ শনিবার (৮ নভেম্বর) তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৭.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা সারা দেশের মধ্যে সর্বনিম্ন। সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়াবিদ জিতেন্দ্রনাথ রায় এই তথ্য নিশ্চিত করেন। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতা ছিল ৭৩ শতাংশ।
২ ঘণ্টা আগেপঞ্চগড় প্রতিনিধি

দেশের উত্তরাঞ্চলীয় সীমান্তবর্তী উপজেলা তেঁতুলিয়ায় শীতের পরশ লাগতে শুরু করেছে। দিন পেরিয়ে সন্ধ্যা নামলেই ঠান্ডা বাড়ে, আর সকাল পর্যন্ত এই শীতের অনুভূতি স্পষ্ট থাকে। স্থানীয় অনেক বাসিন্দা ইতিমধ্যে গরম কাপড় ব্যবহার শুরু করেছেন।
আজ শনিবার (৮ নভেম্বর) তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৭ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা সারা দেশের মধ্যে সর্বনিম্ন। সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়াবিদ জিতেন্দ্রনাথ রায় এই তথ্য নিশ্চিত করেন। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতা ছিল ৭৩ শতাংশ।
আগের দিন শুক্রবার এই অঞ্চলের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। মাত্র এক দিনের ব্যবধানে তাপমাত্রা প্রায় ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমে যাওয়ায় স্থানীয়ভাবে শীতের তীব্রতা আরও বেড়েছে। আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছে, ঐতিহাসিকভাবে শীত মৌসুমে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা তেঁতুলিয়াতেই রেকর্ড করা হয় এবং নভেম্বরের মধ্যভাগ থেকে উত্তরাঞ্চলে শীত আরও বাড়তে পারে।
সন্ধ্যার পর থেকে স্থানীয় বাজারে গরম চা, ভাজাপোড়া এবং ঐতিহ্যবাহী ভাপা পিঠার দোকানে মানুষের ভিড় বাড়ছে। স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুল কাদের বলেন, ‘সন্ধ্যা হলেই ঠান্ডা লাগে। রাতে ও ভোরে চাদর ছাড়া থাকা যায় না।’
তেঁতুলিয়া ঘুরতে আসা পর্যটক ফিরোজ আলী তাঁর অভিজ্ঞতা জানিয়েছেন, ‘এখানকার বাতাস ঢাকার তুলনায় অনেক ঠান্ডা। এখানে এসে শীতটা স্পষ্টভাবে অনুভূত হচ্ছে।’
আবহাওয়াবিদ জিতেন্দ্রনাথ রায় বলেন, তাপমাত্রা ধীরে ধীরে কমছে। সামনে আরও কয়েক দিন তাপমাত্রা কমার সম্ভাবনা রয়েছে।

দেশের উত্তরাঞ্চলীয় সীমান্তবর্তী উপজেলা তেঁতুলিয়ায় শীতের পরশ লাগতে শুরু করেছে। দিন পেরিয়ে সন্ধ্যা নামলেই ঠান্ডা বাড়ে, আর সকাল পর্যন্ত এই শীতের অনুভূতি স্পষ্ট থাকে। স্থানীয় অনেক বাসিন্দা ইতিমধ্যে গরম কাপড় ব্যবহার শুরু করেছেন।
আজ শনিবার (৮ নভেম্বর) তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৭ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা সারা দেশের মধ্যে সর্বনিম্ন। সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়াবিদ জিতেন্দ্রনাথ রায় এই তথ্য নিশ্চিত করেন। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতা ছিল ৭৩ শতাংশ।
আগের দিন শুক্রবার এই অঞ্চলের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। মাত্র এক দিনের ব্যবধানে তাপমাত্রা প্রায় ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমে যাওয়ায় স্থানীয়ভাবে শীতের তীব্রতা আরও বেড়েছে। আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছে, ঐতিহাসিকভাবে শীত মৌসুমে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা তেঁতুলিয়াতেই রেকর্ড করা হয় এবং নভেম্বরের মধ্যভাগ থেকে উত্তরাঞ্চলে শীত আরও বাড়তে পারে।
সন্ধ্যার পর থেকে স্থানীয় বাজারে গরম চা, ভাজাপোড়া এবং ঐতিহ্যবাহী ভাপা পিঠার দোকানে মানুষের ভিড় বাড়ছে। স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুল কাদের বলেন, ‘সন্ধ্যা হলেই ঠান্ডা লাগে। রাতে ও ভোরে চাদর ছাড়া থাকা যায় না।’
তেঁতুলিয়া ঘুরতে আসা পর্যটক ফিরোজ আলী তাঁর অভিজ্ঞতা জানিয়েছেন, ‘এখানকার বাতাস ঢাকার তুলনায় অনেক ঠান্ডা। এখানে এসে শীতটা স্পষ্টভাবে অনুভূত হচ্ছে।’
আবহাওয়াবিদ জিতেন্দ্রনাথ রায় বলেন, তাপমাত্রা ধীরে ধীরে কমছে। সামনে আরও কয়েক দিন তাপমাত্রা কমার সম্ভাবনা রয়েছে।

বাংলাদেশের গৌরবময় মুক্তিযুদ্ধে ১৯৭১ সালের ১১ ডিসেম্বর একটি স্মরণীয় দিন। এই দিনে হানাদার বাহিনীর কবলমুক্ত যশোরে স্বাধীন বাংলার প্রথম জনসভা অনুষ্ঠিত হয়েছিল। জনসভায় প্রবাসী সরকারের প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ সমবেত জনতার উদ্দেশে বলেছিলেন, ‘আর ধ্বংস নয়, যুদ্ধ নয়। এ মুহূর্তে কাজ হলো যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদ
১১ ডিসেম্বর ২০২৩
কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলায় ডাকাতির প্রস্তুতিকালে দুটি মাইক্রোবাসসহ চারজনকে আটক করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে অভিযান চালিয়ে তাঁদের আটক করা হয়।
১ ঘণ্টা আগে
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন দুই দিনের সরকারি সফরে নিজ জেলা পাবনায় পৌঁছেছেন। শনিবার (৮ নভেম্বর) সকাল ৯টা ৪০ মিনিটে তিনি হেলিকপ্টারযোগে ঢাকা থেকে পাবনা স্টেডিয়ামে পৌঁছান। এ সময় পাবনা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মফিজুল ইসলাম ও পুলিশ সুপার মোরতোজা আলী খান তাঁকে স্বাগত জানান।
১ ঘণ্টা আগে
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার চৌমুহনী পৌর এলাকায় আব্দুল কাদের জিলানীকে (কানকাটা কাদের) পিটিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাতে চৌমুহনী পৌরসভার হাজীপুরের ছেরাং বাড়ির সামনে এই ঘটনা ঘটে। নিহত আব্দুল কাদের জিলানী হাজীপুর এলাকার মৃত গোফরান মিয়ার ছেলে।
২ ঘণ্টা আগে