যশোরের মনিরামপুর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক প্রণয় বিশ্বাসের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের কারণ অকারণে মারধর ও গালমন্দ করার অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে অভিভাবকদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। অভিভাবকদের অভিযোগ, ওই শিক্ষক ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের শাসন করার সময় পা ব্যবহার করেন।
একই অভিযোগ ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষক পরিমল বিশ্বাসের বিরুদ্ধে। তিনি হাঁটু ও কনুই দিয়ে ছাত্রদের শিরদাঁড়ায় আঘাত করার পাশাপাশি গালমন্দ করেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
এ ঘটনার বিচার চেয়ে একাধিক অভিভাবক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের কাছে অভিযোগ করেছেন। ঘটনা তদন্ত করে প্রধান শিক্ষক সত্যতাও পেয়েছেন। যদিও অভিযুক্ত দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র তাহসিন মাহাদীর মা মনোয়ারা খাতুন বলেন, ‘গত শনিবার শ্রেণিকক্ষে শিক্ষক না থাকায় আমার ছেলে বাইরে পানি পান করতে যায়। সে ফিরে এসে দেখে শ্রেণিকক্ষে তথ্য ও প্রযুক্তির শিক্ষক প্রণয় বিশ্বাস। আমার ছেলে শ্রেণিকক্ষে প্রবেশের অনুমতি চাইলে শিক্ষক কোনো জবাব দেননি। একপর্যায়ে মাহাদী ভেতরে ঢুকলে শিক্ষক তার উরুতে লাথি মারেন।’
মনোয়ারা খাতুন বলেন, ‘ভালো প্রতিষ্ঠান ভেবে ৮-১০ কিলোমিটার দূরে থেকেও ছেলেকে সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে ভর্তি করিয়েছি। রোববার সকালে ছেলের মুখে এসব শুনে তাকে নিয়ে বিদ্যালয়ে আসি। এরপর ষষ্ঠ শ্রেণিতে গিয়ে শিক্ষার্থীদের কাছে ঘটনা জানতে চাইলে এক-তৃতীয়াংশ শিক্ষার্থী মুখ খোলে।’
মনোয়ারা আরও বলেন, ‘কিছু থেকে কিছু হলে এই শিক্ষক বাচ্চাদের লাথি মারেন। কদিন আগে ষষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্রকে লাথি মারতে মারতে তিনি দরজা থেকে বেঞ্চ পর্যন্ত নিয়ে যান। সপ্তম শ্রেণির ছাত্রদের কয়েকজনের অভিযোগ একই।’
প্রধান শিক্ষক তপন বিশ্বাসকে ঘটনা জানিয়েছেন উল্লেখ করে মনোয়ারা বেগম বলেন, ‘প্রধান শিক্ষকের অনুরোধে বিষয়টি গোপন রেখেছিলাম। কিন্তু তিনি কোনো বিচার করেননি। তিন দিন ধরে আমি ছেলেকে ওই বিদ্যালয়ে পাঠাচ্ছি না। তাকে চণ্ডীপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ক্লাস করাচ্ছি। এ বিষয়ে জেলা ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা দপ্তরে লিখিত অভিযোগের প্রস্তুতি নিচ্ছি আমরা।’
এদিকে ষষ্ঠ শ্রেণির শাহরিয়ার কবিরের বাবা হুমায়ুন কবির অভিযোগ করেন, ‘প্রণয় বিশ্বাস বাচ্চাদের জুতা পায়ে লাথি মারেন। আর বিদ্যালয়ের অপর শিক্ষক পরিমল বিশ্বাস ছেলেদের হাঁটু ও কনুই দিয়ে কোমরের ওপর শিরদাঁড়ায় আঘাত করেন। তিনি (পরিমল) বাচ্চাদের গালমন্দও করেন। এ জন্য কদিন আমার ছেলে বিদ্যালয়ে যায়নি। আমি ঘটনা প্রধান শিক্ষককে বলেছি। কোনো বিচার পাইনি। উল্টো শুনছি এ ঘটনা বাড়িতে জানালে বাচ্চাদের ছাড়পত্র দেওয়ার হুমকি দিচ্ছেন শিক্ষকেরা।’
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বহুদিন ধরে শিক্ষক প্রণয় বিশ্বাস ও পরিমল বিশ্বাস শিক্ষার্থীদের সঙ্গে এ ধরনের আচরণ করে এলেও বিদ্যালয় থেকে বের করে দেওয়ার ভয়ে শিশুরা অভিভাবকদের কিছু জানায় না।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে মোবাইল নম্বরে যোগাযোগ করা হলে শিক্ষক প্রণয় বিশ্বাস এ ব্যাপারে কথা বলতে রাজি হননি। আর পরিমল বিশ্বাস কল রিসিভ করেননি। তবে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তপন কুমার দাস ঘটনার সত্যতা স্বীকার করছেন।
প্রধান শিক্ষক আজ বৃহস্পতিবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অভিযোগ পাওয়ার পর আমি পৃথকভাবে শ্রেণির অন্য বাচ্চাদের সঙ্গে কথা বলে ঘটনার সত্যতা পাইছি। অভিযুক্ত দুই শিক্ষকও ঘটনা স্বীকার করেছেন। তাঁরা এমন আচরণ করবেন না বলে অঙ্গীকার করেছেন।’
এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে মনিরামপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বিকাশ চন্দ্র সরকার বলেন, ‘আমি বিষয়টি প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে আলোচনা করব। তবে প্রতিকার পেতে গেলে অভিভাবকদের বিভাগীয় উপপরিচালকের (শিক্ষা) সঙ্গে কথা বলতে হবে।’
যশোরের মনিরামপুর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক প্রণয় বিশ্বাসের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের কারণ অকারণে মারধর ও গালমন্দ করার অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে অভিভাবকদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। অভিভাবকদের অভিযোগ, ওই শিক্ষক ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের শাসন করার সময় পা ব্যবহার করেন।
একই অভিযোগ ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষক পরিমল বিশ্বাসের বিরুদ্ধে। তিনি হাঁটু ও কনুই দিয়ে ছাত্রদের শিরদাঁড়ায় আঘাত করার পাশাপাশি গালমন্দ করেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
এ ঘটনার বিচার চেয়ে একাধিক অভিভাবক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের কাছে অভিযোগ করেছেন। ঘটনা তদন্ত করে প্রধান শিক্ষক সত্যতাও পেয়েছেন। যদিও অভিযুক্ত দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র তাহসিন মাহাদীর মা মনোয়ারা খাতুন বলেন, ‘গত শনিবার শ্রেণিকক্ষে শিক্ষক না থাকায় আমার ছেলে বাইরে পানি পান করতে যায়। সে ফিরে এসে দেখে শ্রেণিকক্ষে তথ্য ও প্রযুক্তির শিক্ষক প্রণয় বিশ্বাস। আমার ছেলে শ্রেণিকক্ষে প্রবেশের অনুমতি চাইলে শিক্ষক কোনো জবাব দেননি। একপর্যায়ে মাহাদী ভেতরে ঢুকলে শিক্ষক তার উরুতে লাথি মারেন।’
মনোয়ারা খাতুন বলেন, ‘ভালো প্রতিষ্ঠান ভেবে ৮-১০ কিলোমিটার দূরে থেকেও ছেলেকে সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে ভর্তি করিয়েছি। রোববার সকালে ছেলের মুখে এসব শুনে তাকে নিয়ে বিদ্যালয়ে আসি। এরপর ষষ্ঠ শ্রেণিতে গিয়ে শিক্ষার্থীদের কাছে ঘটনা জানতে চাইলে এক-তৃতীয়াংশ শিক্ষার্থী মুখ খোলে।’
মনোয়ারা আরও বলেন, ‘কিছু থেকে কিছু হলে এই শিক্ষক বাচ্চাদের লাথি মারেন। কদিন আগে ষষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্রকে লাথি মারতে মারতে তিনি দরজা থেকে বেঞ্চ পর্যন্ত নিয়ে যান। সপ্তম শ্রেণির ছাত্রদের কয়েকজনের অভিযোগ একই।’
প্রধান শিক্ষক তপন বিশ্বাসকে ঘটনা জানিয়েছেন উল্লেখ করে মনোয়ারা বেগম বলেন, ‘প্রধান শিক্ষকের অনুরোধে বিষয়টি গোপন রেখেছিলাম। কিন্তু তিনি কোনো বিচার করেননি। তিন দিন ধরে আমি ছেলেকে ওই বিদ্যালয়ে পাঠাচ্ছি না। তাকে চণ্ডীপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ক্লাস করাচ্ছি। এ বিষয়ে জেলা ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা দপ্তরে লিখিত অভিযোগের প্রস্তুতি নিচ্ছি আমরা।’
এদিকে ষষ্ঠ শ্রেণির শাহরিয়ার কবিরের বাবা হুমায়ুন কবির অভিযোগ করেন, ‘প্রণয় বিশ্বাস বাচ্চাদের জুতা পায়ে লাথি মারেন। আর বিদ্যালয়ের অপর শিক্ষক পরিমল বিশ্বাস ছেলেদের হাঁটু ও কনুই দিয়ে কোমরের ওপর শিরদাঁড়ায় আঘাত করেন। তিনি (পরিমল) বাচ্চাদের গালমন্দও করেন। এ জন্য কদিন আমার ছেলে বিদ্যালয়ে যায়নি। আমি ঘটনা প্রধান শিক্ষককে বলেছি। কোনো বিচার পাইনি। উল্টো শুনছি এ ঘটনা বাড়িতে জানালে বাচ্চাদের ছাড়পত্র দেওয়ার হুমকি দিচ্ছেন শিক্ষকেরা।’
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বহুদিন ধরে শিক্ষক প্রণয় বিশ্বাস ও পরিমল বিশ্বাস শিক্ষার্থীদের সঙ্গে এ ধরনের আচরণ করে এলেও বিদ্যালয় থেকে বের করে দেওয়ার ভয়ে শিশুরা অভিভাবকদের কিছু জানায় না।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে মোবাইল নম্বরে যোগাযোগ করা হলে শিক্ষক প্রণয় বিশ্বাস এ ব্যাপারে কথা বলতে রাজি হননি। আর পরিমল বিশ্বাস কল রিসিভ করেননি। তবে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তপন কুমার দাস ঘটনার সত্যতা স্বীকার করছেন।
প্রধান শিক্ষক আজ বৃহস্পতিবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অভিযোগ পাওয়ার পর আমি পৃথকভাবে শ্রেণির অন্য বাচ্চাদের সঙ্গে কথা বলে ঘটনার সত্যতা পাইছি। অভিযুক্ত দুই শিক্ষকও ঘটনা স্বীকার করেছেন। তাঁরা এমন আচরণ করবেন না বলে অঙ্গীকার করেছেন।’
এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে মনিরামপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বিকাশ চন্দ্র সরকার বলেন, ‘আমি বিষয়টি প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে আলোচনা করব। তবে প্রতিকার পেতে গেলে অভিভাবকদের বিভাগীয় উপপরিচালকের (শিক্ষা) সঙ্গে কথা বলতে হবে।’
মিনারুল চিরকুটে লিখে গিয়েছেন, ‘আমরা মরে গেলাম ঋণের দায়ে আর খাওয়ার অভাবে।’ সেই মিনারুল এবং তার স্ত্রী সন্তানদের জন্য চল্লিশা খাওয়ালেন তাঁর পরিবার। তাও আবার ধার-দেনা করে। শনিবার দুপুরে বামনশিকড় গ্রামের বাড়িতেই এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে প্রায় এক লাখ টাকা খরচ হয়। চল্লিশায় দুপুরের খাবার খান সমাজের..
১০ মিনিট আগেসক্ষমতা বৃদ্ধির ফলে দেশের দ্বিতীয় বৃহৎ সমুদ্রবন্দর মোংলায় কনটেইনার হ্যান্ডলিংয়ে নতুন রেকর্ড তৈরি হয়েছে। চলতি অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে (জুলাই ও আগস্ট) বন্দরে হ্যান্ডলিং করা হয়েছে ৬ হাজার ৭৬৯ টিইইউস কনটেইনার, যা পূর্ববর্তী বছরের একই সময়ের তুলনায় অনেক বেশি।
৪ ঘণ্টা আগেনীলফামারীর সৈয়দপুর রেল কারখানার ইয়ার্ডে প্রায় তিন মাস পড়ে আছে ট্রেনের তিনটি কোচ। স্প্রিং সংকটের কারণে কোচগুলো মেরামত করা যাচ্ছে না। প্রতিটি ২ কোটি টাকা ব্যয়ে ইন্দোনেশিয়া থেকে আমদানি করা ওই কোচগুলো খোলা জায়গায় থেকে নষ্ট হচ্ছে।
৪ ঘণ্টা আগেআসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বরিশাল-৫ (নগর ও সদর) আসনে অংশগ্রহণ করতে চান বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। বিএনপির প্রভাবশালী এ নেতা সম্প্রতি নগরীতে সংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়, আইনজীবীদের সঙ্গে বৈঠক, গণসংযোগ, প্রচারণার মাধ্যমে এমনটি ইঙ্গিত দিয়েছেন।
৪ ঘণ্টা আগে