Ajker Patrika

উপজেলা দিয়ে রাজনীতিতে সক্রিয় সাবেক দুই এমপি

জাহিদ হাসান, যশোর
আপডেট : ১৪ মে ২০২৪, ১০: ২১
উপজেলা দিয়ে রাজনীতিতে সক্রিয় সাবেক দুই এমপি

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যশোরের পরাজিত দুই হেভিওয়েট প্রার্থী রাজনীতিতে প্রত্যাবর্তনের চেষ্টা করছেন। উপজেলা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যশোর-৬ (কেশবপুর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শাহীন চাকলাদার সদরের আর যশোর-৫ (মনিরামপুর) আসনের সাবেক সংসদ প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য নিজ উপজেলার রাজনীতিতে সক্রিয় হয়েছেন। দুজনেই উপজেলা নির্বাচনে পছন্দের প্রার্থী দিয়েছেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচনে স্বপনের প্রার্থী আমজাদ হোসেন লাভলু বিজয়ী হয়েছেন। তিনি নেতা-কর্মীদের নিয়ে আনন্দমিছিলের নামে শক্তির মহড়াও দিয়েছেন।

অন্যদিকে, সদর ছেড়ে কেশবপুরের এমপি নির্বাচিত হওয়ার পর গত তিন বছর সদরের রাজনীতিতে আধিপত্যে ভাটা পড়ে শাহীনের। সংসদ নির্বাচনে পরাজিত হয়ে আবার তিনি মনোনিবেশ করেছেন সদরের রাজনীতিতে। চাচাতো ভাই তৌহিদ চাকলাদার ফন্টুকে উপজেলা পরিষদের চেয়ারে বসাতে চান তিনি। নিজ প্রার্থীকে জেতানোর মাধ্যমে সদরের রাজনীতিতে আধিপত্য প্রত্যাবর্তনের চেষ্টা শাহীনের।

আওয়ামী লীগ সূত্রে জানা গেছে, শাহীন চাকলাদার ও স্বপন ভট্টাচার্য—দুজনেই দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পেয়েও পরাজিত হন। পরাজিত হয়ে দুই হেভিওয়েট নেতার রাজনীতিতে ভাটা পড়ে।

জানা গেছে, স্বপন ভট্টাচার্য পরাজিত হন জেলা কৃষক লীগের সহসভাপতি এস এম ইয়াকুব আলীর কাছে। নতুন মুখের কাছে এই হেভিওয়েট প্রতিমন্ত্রী ধরাশায়ী হওয়ার পর উপজেলার রাজনীতি অনেকটা একপেশে হয়ে যায়। পরে ঘুরে দাঁড়ানোর পথ বেছে নেন উপজেলা নির্বাচনে। প্রথম ধাপের নির্বাচনে স্বপন ভট্টাচার্য উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন লাভলুকে সমর্থন করেন। অন্যদিকে বর্তমান এমপি ইয়াকুব আলী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ফারুক হোসেনকে সমর্থন করেন। নির্বাচনে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে বিজয়ী হন লাভলু। নির্বাচনের এক দিন পরেই উপজেলায় বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে নেতা-কর্মীদের সমাগম ঘটিয়ে বিজয় মিছিল ও সমাবেশ করেন স্বপন ভট্টাচার্য। এটি বিজয় মিছিল নামে তাঁর শক্তির মহড়া এবং মধুর প্রতিশোধ উদ্‌যাপন বলে মনে করছেন নেতা-কর্মীরা।

পরাজিত হওয়ার পরে রাজনীতিতে ভাটা পড়েনি দাবি করে স্বপন ভট্টাচার্য বলেন, ‘পরাজিত হয়েও নেতা-কর্মীদের পাশে ছিলাম। নেতা-কর্মীরাও পাশে ছিলেন। এখনো উপজেলায় আমার জনপ্রিয়তা রয়েছে, নেতা-কর্মীও রয়েছেন। নিজেদের ভেতর নির্বাচন হওয়ায় দ্বন্দ্ব-গ্রুপিং হচ্ছে, থাকবে। কিন্তু জনগণের সমর্থন কোন দিকে, সেটাই মূল বিষয়।’

এদিকে উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক নেতা আজিজুল ইসলামের কাছে পরাজিত হওয়ার পর কেশবপুরে দলীয় কর্মসূচিতে তেমন একটা দেখা যায়নি শাহীন চাকলাদারকে। কেশবপুরের রাজনীতি থেকে মুখ ফিরিয়ে নেন তিনি। তবে এখন পুরোদমে সদরের রাজনীতিতে মনোনিবেশ তাঁর।

নেতা-কর্মীরা জানিয়েছেন, সদরে শাহীনের বেশ প্রভাব রয়েছে, রয়েছে অনেক অনুসারী। তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালনের সঙ্গে এই উপজেলার টানা তিনবারের উপজেলা চেয়ারম্যান ছিলেন। তবে কেশবপুরের সংসদ সদস্য হওয়ার পর সদরের রাজনীতিতে কিছুটা আলগা হয়ে গিয়েছিলেন। তাই এখন আবারও সদরের রাজনীতিতে আধিপত্য বিস্তার করতে চান তিনি। তারই প্রথম ধাপ হিসেবে উপজেলায় বসাতে চান চাচাতো ভাই তৌহিদ চাকলাদার ফন্টুকে। তবে শাহীনের সদরে প্রত্যাবর্তনের চেষ্টায় ছাড় দিতে নারাজ যশোর-৩ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ। তিনি চেয়ারম্যান প্রার্থী আনোয়ার হোসেন বিপুলকে সমর্থন দিয়েছেন।

শাহীন চাকলাদার বলেন, ‘কেশবপুর আওয়ামী লীগে অনৈক্য। তাই ওখানে আর যাইনি। সদর ছেড়ে কেশবপুরে চলে যাওয়ায় সদরে দলের সাংগঠনিক গতিশীলতা নেই বললেই চলে। তাই সংগঠনকে গতিশীল করতে কাজ করছি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

কার্গো ভিলেজে আগুন: বিমানবন্দরের ভল্ট ভেঙে চুরি হলো ৭ আগ্নেয়াস্ত্র

আন্তর্জাতিক সালিসের দ্বারস্থ হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে বাংলাদেশ-আদানি

বিচার বিভাগ: পদোন্নতির প্যানেলে ১১ শতাধিক কর্মকর্তা

দলীয় মনোনয়ন পছন্দ না হওয়ায় বিশৃঙ্খলা, বিএনপির ৪ নেতা বহিষ্কার

‘সাকিবের পোস্টার স্টেডিয়ামে ঢুকবে কি না, বিসিবির ডিসিপ্লিনারি কমিটি দেখবে’

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ফ্যাসিস্ট হাসিনার বিচারের রায় আগামী সপ্তাহে: মাহফুজ আলম

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি
আপডেট : ০৪ নভেম্বর ২০২৫, ১৪: ৪৪
লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে জুলাই শহীদ পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাত অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম। ছবি: আজকের পত্রিকা
লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে জুলাই শহীদ পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাত অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম। ছবি: আজকের পত্রিকা

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেছেন, ‘আমরা যে অঙ্গীকার নিয়ে এসেছিলাম, বিচারের কাজ শুরু করব। আমরা বিচারের কাজ শুরু করতে পেরেছি। আগামী সপ্তাহে ফ্যাসিস্ট খুনি শেখ হাসিনার বিচার হবে এবং একটা রায় পাব। এতে জুলাই শহীদদের পরিবারের কিছুটা হলেও ব্যথা লাঘব হবে।’

আজ মঙ্গলবার দুপুরে লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে জুলাই শহীদ পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় তিনি এসব কথা বলেন। মাহফুজ আলম বলেন, ‘আরও অনেকেরই ট্রাইব্যুনালে বিচারকাজ চলছে। ট্রাইব্যুনাল চলমান রয়েছে। যাঁরা ছাত্র-জনতাকে হত্যার সঙ্গে ও গুমের সঙ্গে জড়িত ছিলেন, তাঁদের সবারই বিচার হবে। পরবর্তী সরকারে যাঁরা আসবেন, তাঁরা এ বিচারকাজ এগিয়ে নেবেন।’

উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘সংস্কারকাজে আমরা অনেক দূর অগ্রসর হয়েছি। রাজনৈতিক দলগুলো ঐকমত্য হয়ে জুলাই সনদে স্বাক্ষর করেছে। এটা বাংলাদেশের জন্য বড় একটি প্রাপ্তি যে রাজনৈতিক দলগুলো বসে সরকার গৃহীত একটা দলিলে আসতে পারা। সবাই মিলে সর্বসম্মত হয়েছেন। এর ভেতর দিয়ে বাংলাদেশ একটা নতুন পর্যায়ে গেল। জুলাই সনদ ও সংস্কার কার্যক্রমের মাধ্যমে পরবর্তীকালে যে নির্বাচিত সরকার আসবে, তারা যদি এই কাজগুলো করতে পারে, তাহলে আমরা যে নতুন বাংলাদেশ চেয়েছিলাম, সে রকম একটা বাংলাদেশ হবে। যেখানে সবার ক্ষমতার ভারসাম্য থাকবে। বিচারে আইনের শাসন থাকবে, সুবিচার থাকবে। গুম-খুন আর ফেরত আসবে না।’

রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশে মাহফুজ আলম বলেন, ‘আসুন বাংলাদেশ পন্থার মধ্য দিয়ে আমরা যারা ফ্যাসিবাদবিরোধী শক্তি আছি, ঐক্যবদ্ধ হই। সংস্কারগুলো করার জন্য সরকারকে সহযোগিতা করুন। শহীদদের পথ অনুসরণ করে আমরা শাহাদাতের পথ বেছে নেব। আমরা আবার লড়াই করব। আমরা শুধু আওয়ামী লীগের ফ্যাসিস্ট শাসনব্যবস্থা উৎখাত করে সন্তুষ্ট নই, বরং আওয়ামী লীগ ফ্যাসিজমের যত বৈশিষ্ট্য বিভিন্ন প্রান্তে, প্রশাসনে, শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনে রয়ে গেছে, তাদেরকেও বিচারের আওতায় আনব।’

এই উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘আমার এলাকায় রামগঞ্জ তথা লক্ষ্মীপুরে মাদক নিরাময় কেন্দ্র, নার্সিং কলেজ স্থাপন, সদর হাসপাতালের উন্নতি, শিক্ষাব্যবস্থাসহ অনেকগুলো কমিশন সংস্কারের প্রস্তাবনা প্রস্তুত করেছে। খুব শিগগির রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ঐকমত্যের ভিত্তিতে যে সংস্কার না করলেই নয়, নির্বাচনের পূর্বে সেসব সংস্কার করতে চাই। এই সংস্কারগুলো মুখের বুলি নয়। শেখ হাসিনা যে প্রতিষ্ঠানগুলো ধ্বংস করে দিয়েছেন, যে প্রতিষ্ঠানগুলো হাসিনাকে টিকিয়ে রেখেছে, সেই প্রতিষ্ঠানগুলোকে একই রকম রেখে আমরা নির্বাচন করতে পারি না। নির্বাচন করার আগে অবশ্যই হাসিনার ওই প্রতিষ্ঠান ও দালালেরা আছে, তাদের উৎখাত করে এবং খুনি হাসিনাসহ তাঁর দোসরদের বিচার করে আমাদের নির্বাচনের দিকে এগোতে হবে। সাবেক মন্ত্রী মরহুম জিয়াউল হক জিয়ার রেখে যাওয়া অসমাপ্ত কাজগুলো সমাপ্ত করা হবে।’

এ সময় আগামী সংসদ নির্বাচনে লক্ষ্মীপুর-১ (রামগঞ্জ) আসন থেকে নির্বাচন করবেন কি না জানতে চাইলে জবাবে উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বিষয়টি এড়িয়ে যান। সভা শেষে রামগঞ্জের দরিদ্র কৃষকদের মধ্যে কৃষি প্রণোদনা বিতরণ, জুলাই শহীদ পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ এবং সাবেক এমপি ও প্রতিমন্ত্রী জিয়াউল হক জিয়ার নবম মৃত্যুবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে যোগ দেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

কার্গো ভিলেজে আগুন: বিমানবন্দরের ভল্ট ভেঙে চুরি হলো ৭ আগ্নেয়াস্ত্র

আন্তর্জাতিক সালিসের দ্বারস্থ হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে বাংলাদেশ-আদানি

বিচার বিভাগ: পদোন্নতির প্যানেলে ১১ শতাধিক কর্মকর্তা

দলীয় মনোনয়ন পছন্দ না হওয়ায় বিশৃঙ্খলা, বিএনপির ৪ নেতা বহিষ্কার

‘সাকিবের পোস্টার স্টেডিয়ামে ঢুকবে কি না, বিসিবির ডিসিপ্লিনারি কমিটি দেখবে’

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

দলীয় প্রার্থী ঘোষণার পর গাংনীতে বিএনপির দুই পক্ষের ব্যাপক সংঘর্ষ-ভাঙচুর, আহত ১০

গাংনী (মেহেরপুর) প্রতিনিধি
আপডেট : ০৪ নভেম্বর ২০২৫, ১৩: ৪২
মেহেরপুরের গাংনীতে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া–পাল্টা ধাওয়া, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ। ছবি: আজকের পত্রিকা
মেহেরপুরের গাংনীতে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া–পাল্টা ধাওয়া, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ। ছবি: আজকের পত্রিকা

দলীয় প্রার্থীর প্রাথমিক তালিকা প্রকাশের পরপরই মেহেরপুরের গাংনীতে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে ব্যাপক পাল্টাপাল্টি ধাওয়া, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে গাংনী বাজারে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। বর্তমানে এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।

জানা গেছে, গতকাল সোমবার বিএনপি থেকে মেহেরপুর-২ আসনে আমজাদ হোসেনকে দলীয় প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা দেওয়ার পর থেকে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছিল। এর জেরে আজ পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।

গাংনী উপজেলা বিএনপির সভাপতি আলফাজ উদ্দিন কালু, যিনি মনোনয়ন না পাওয়া জেলা বিএনপির সভাপতি জাভেদ মাসুদ মিল্টনের সমর্থক। তিনি অভিযোগ করেন, আমজাদ হোসেনের সমর্থকেরা তাঁদের অফিসে ভাঙচুর চালিয়েছেন। অন্যদিকে আমজাদ হোসেনের সমর্থকেরা অভিযোগ করেন, প্রথমে মিল্টনের সমর্থকেরা একতরফাভাবে হামলা চালান। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তখন দর্শকের ভূমিকায় ছিল।

জানতে চাইলে মেহেরপুর-২ (গাংনী) আসনে বিএনপির মনোনয়ন পাওয়া সাবেক এমপি আমজাদ হোসেন বলেন, ‘মনোনয়ন না পাওয়া জেলা বিএনপির সভাপতি জাভেদ মাসুদ মিল্টনের সমর্থকেরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে উপজেলা বিএনপির কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর করেছে। এতে অন্তত ১০ নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন।’

মেহেরপুরের গাংনীতে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া–পাল্টা ধাওয়া, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ। ছবি: আজকের পত্রিকা
মেহেরপুরের গাংনীতে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া–পাল্টা ধাওয়া, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ। ছবি: আজকের পত্রিকা

বক্তব্য জানতে বিএনপির সভাপতি জাভেদ মাসুদ মিল্টনের মোবাইল ফোনে কল দেওয়া হলে তা বন্ধ পাওয়া যায়। এ বিষয়ে গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বানী ইসরাইল বলেন, উভয় পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার পর গাংনীতে উত্তেজনা বিরাজ করছে। তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ কাজ করছে।

মেহেরপুরের গাংনীতে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া–পাল্টা ধাওয়া, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ। ছবি: আজকের পত্রিকা
মেহেরপুরের গাংনীতে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া–পাল্টা ধাওয়া, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ। ছবি: আজকের পত্রিকা

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

কার্গো ভিলেজে আগুন: বিমানবন্দরের ভল্ট ভেঙে চুরি হলো ৭ আগ্নেয়াস্ত্র

আন্তর্জাতিক সালিসের দ্বারস্থ হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে বাংলাদেশ-আদানি

বিচার বিভাগ: পদোন্নতির প্যানেলে ১১ শতাধিক কর্মকর্তা

দলীয় মনোনয়ন পছন্দ না হওয়ায় বিশৃঙ্খলা, বিএনপির ৪ নেতা বহিষ্কার

‘সাকিবের পোস্টার স্টেডিয়ামে ঢুকবে কি না, বিসিবির ডিসিপ্লিনারি কমিটি দেখবে’

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

নাটোর গুদাম থেকে ১৫০ বস্তা চাল লুট

নাটোর প্রতিনিধি 
নাটোরে গুদামে শাটারের তালা ভেঙে ও কেটে চাল লুট। ছবি: আজকের পত্রিকা
নাটোরে গুদামে শাটারের তালা ভেঙে ও কেটে চাল লুট। ছবি: আজকের পত্রিকা

নাটোর শহরতলির ফুলবাগান এলাকার সেলিম ভূঁইয়া নামের এক ব্যবসায়ীর গুদাম থেকে ১৫০ বস্তা চাল লুট করে নিয়েছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল সোমবার দিবাগত রাত ২টার দিকে এই ঘটনা ঘটে।

সিসিটিভি ফুটেজ দেখে পুলিশ জানায়, সোমবার রাত আনুমানিক ২টার দিকে ফুলবাগান এলাকার সড়ক ভবন-সংলগ্ন সেলিম ট্রেডার্সের সামনে একটি ট্রাক এনে দাঁড় করায় দুর্বৃত্তরা। তারা শাটারের তালা ভেঙে ও কেটে দোকানে প্রবেশ করে ক্যাশ বাক্স থেকে নগদ ১২ হাজার টাকাসহ প্রায় ১৫০ বস্তা চাল ট্রাকে লোড করে নিয়ে যায়।

ব্যবসায়ী সেলিম ভূঁইয়া বলেন, ‘ফজরের নামাজের সময় স্থানীয় এক ব্যক্তি ফোনে জানান, গুদামের শাটার কাটা ও আরেকটি পুরোপুরি খোলা। পরে সেখানে এসে দেখি, দুর্বৃত্তরা স্তূপাকারে রাখা চালের বস্তাগুলো নিয়ে গেছে। স্টক রেজিস্টার থেকে জেনেছি, চালের বস্তা ছিল ১৫০টি।’

এ বিষয়ে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহাবুর রহমান আজকের পত্রিকাকে জানান, এই ঘটনায় একটি মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

কার্গো ভিলেজে আগুন: বিমানবন্দরের ভল্ট ভেঙে চুরি হলো ৭ আগ্নেয়াস্ত্র

আন্তর্জাতিক সালিসের দ্বারস্থ হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে বাংলাদেশ-আদানি

বিচার বিভাগ: পদোন্নতির প্যানেলে ১১ শতাধিক কর্মকর্তা

দলীয় মনোনয়ন পছন্দ না হওয়ায় বিশৃঙ্খলা, বিএনপির ৪ নেতা বহিষ্কার

‘সাকিবের পোস্টার স্টেডিয়ামে ঢুকবে কি না, বিসিবির ডিসিপ্লিনারি কমিটি দেখবে’

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

সাতক্ষীরায় মনোনয়ন না পাওয়া প্রার্থীর সমর্থনে সড়ক অবরোধ

দেবহাটা ও সাতক্ষীরা প্রতিনিধি
আপডেট : ০৪ নভেম্বর ২০২৫, ১৩: ২৫
সাতক্ষীরা-৩ আসনে বিএনপির মনোনয়ন না পাওয়ায় অধ্যাপক মো. শহিদুল আলমের সমর্থকদের সড়ক অবরোধ। ছবি: আজকের পত্রিকা
সাতক্ষীরা-৩ আসনে বিএনপির মনোনয়ন না পাওয়ায় অধ্যাপক মো. শহিদুল আলমের সমর্থকদের সড়ক অবরোধ। ছবি: আজকের পত্রিকা

সাতক্ষীরা-৩ (আশাশুনি-কালিগঞ্জ) আসনে বিএনপির মনোনয়ন না পাওয়ায় ‘গরিবের ডাক্তার’ নামে পরিচিত মো. শহিদুল আলমের সমর্থকেরা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন।

আজ মঙ্গলবার সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত কালিগঞ্জ প্রধান মহাসড়কে স্থানীয় নেতা-কর্মী ও সমর্থকেরা টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেন। এতে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়, সাধারণ মানুষ ভোগান্তিতে পড়ে।

বিক্ষোভকারীরা অভিযোগ করেন, শহিদুল আলম দীর্ঘদিন ধরে সাধারণ মানুষের পাশে থেকে মানবিক সেবা দিয়ে আসছেন। কিন্তু তাঁকে মনোনয়ন না দিয়ে অন্যকে প্রার্থী করায় দলীয় নেতা-কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে।

এ সময় তাঁরা শহিদুল আলমকে মনোনয়ন দেওয়ার দাবিতে স্লোগান দেন এবং কেন্দ্রীয় নেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। বিক্ষোভে উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা জেলা বিএনপির সদস্য শেখ নুরুজ্জামান, নলতা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. আজিজুর রহমান, নলতা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি কেসমতুল বারি, সাধারণ সম্পাদক মিলন কুমার সরকার, কালিগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক দপ্তর সম্পাদক শেখ খায়রুল আলম, সাবেক ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক ও ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

কার্গো ভিলেজে আগুন: বিমানবন্দরের ভল্ট ভেঙে চুরি হলো ৭ আগ্নেয়াস্ত্র

আন্তর্জাতিক সালিসের দ্বারস্থ হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে বাংলাদেশ-আদানি

বিচার বিভাগ: পদোন্নতির প্যানেলে ১১ শতাধিক কর্মকর্তা

দলীয় মনোনয়ন পছন্দ না হওয়ায় বিশৃঙ্খলা, বিএনপির ৪ নেতা বহিষ্কার

‘সাকিবের পোস্টার স্টেডিয়ামে ঢুকবে কি না, বিসিবির ডিসিপ্লিনারি কমিটি দেখবে’

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত