Ajker Patrika

ভুল চিকিৎসায় প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগ, সংবাদ সম্মেলনে বিচার দাবি

­যশোর প্রতিনিধি
নিহত প্রসূতির চাচা আবদুল আলিম সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন। ছবি: আজকের পত্রিকা
নিহত প্রসূতির চাচা আবদুল আলিম সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন। ছবি: আজকের পত্রিকা

যশোরে ভুল চিকিৎসায় প্রসূতি মৃত্যুর অভিযোগ তুলে দেশ ক্লিনিকের লাইসেন্স বাতিল ও জড়িত মালিক ও চিকিৎসকদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন নিহতের পরিবার। এ নিয়ে আজ শনিবার দুপুরে যশোর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন নিহত প্রসূতি তাজরিন সুলতানার চাচা আবদুল আলিম।

সংবাদ সম্মেলনে আবদুল আলিমের অভিযোগ, গত ১৬ মে প্রসূতি তাজরিন সুলতানা রুকুকে দেশ ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। পরদিন ১৭ মে ভোরে চিকিৎসক সন্দীপ কুমার পাল ওরফে এসকে পাল সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমের তাজরিনের কন্যা সন্তান জন্ম হয়। ১৮ মে সকাল থেকে প্রসূতি অস্বাভাবিক পেট ফোলা শুরু হয়। বিকেলে ডা. শাহীন কবির এসে রোগী দেখে নার্সদের বলেন, ‘রোগীর পেটে গ্যাস হচ্ছে। সব ওষুধ পাল্টে দাও।’ নতুন ওষুধ খাওয়ার রোগীর অবস্থা আরও খারাপ হয়। রাতে ডা. সন্দীপ পালকে রোগীর অবস্থা জানানো হয়।

আবদুল আলিম আরও বলেন, ‘চিকিৎসক সন্দীপ পাল এসে বলেন, ‘‘রোগী ভালো আছে, টেনশনের কারণ নেই।’’ পরে আবার রোগীর অবস্থা জানাতে গেলে চিকিৎসক সন্দীপ পাল ক্ষিপ্ত হয়ে রোগীর স্বজনদের মারতে আসেন। একপর্যায়ে তিনি বলেন, ‘‘রোগীর ডায়রিয়ার লক্ষণ।’’ ওই অবস্থায় ১৯ মে দেশ ক্লিনিকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাজু আহমেদ ক্লিনিকে এলে আমরা তাকে রোগীর কাছে নিয়ে যাই। তিনি এসে বলেন, ‘‘এই কলেরার স্যালাইন কে দিয়েছেন? বলেই তিনি নিজেই টেনে স্যালাইন খুলে ফেলেন। তখন আমরা বলি, ডা. স্যার দিয়েছেন। এই ওষুধ খাওয়ানোর পর রোগী আর কথা বলতে পারছে না। রাজু আহমেদ আমাদের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে গালিগালাজ করেন।’

একপর্যায়ে তড়িঘড়ি করে রোগী রেফার্ড করে দেয় দেশ ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ। ২০ মে ভোরে খুলনা সিটি মেডিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোগী মারা যায়। এ ঘটনার বিচার চেয়ে ২৯ মে জেলা প্রশাসক ও সিভিল সার্জন বরাবর লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়।

তিনি বলেন, ‘দেশ ক্লিনিকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাজু আহমেদ, ডাক্তার সন্দীপ পালসহ চারজনের নামে গত ১৮ সেপ্টেম্বর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি সদর আদালতে মামলা করেছি। মামলাটি সিআইডিকে তদন্তের দায়িত্ব দিয়েছেন আদালত। মামলা তুলে নিতে বিবাদী পক্ষের লোকজন নানাভাবে হুমকি ধামকি দিচ্ছে। আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। অভিযুক্ত ক্লিনিকের লাইসেন্স বাতিল ও জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি।’

দেশ ক্লিনিকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাজু আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মারা যাওয়া রোগীর স্বজনেরা অভিযোগ করলেই তো আমরা অপরাধী নয়। রোগীর রিপোর্ট অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক তাকে চিকিৎসা দিয়েছে। এখানে যদি চিকিৎসক ও ক্লিনিক কর্তৃপক্ষের কোনো গাফিলতি থাকে; সেটা স্বাস্থ্য বিভাগের তদন্তে উঠে আসবে। তারা যেহেতু তদন্ত রির্পোট দেয়নি; তাহলে আমাদের ঢালাও ভাবে অভিযোগ দেওয়া ঠিক হবে না।

তিনি বলেন, ‘আমি নিজেই অসুস্থ; আমি কাউকে হুমকি দিব কীভাবে? শুনেছি আদালতে ভুক্তভোগীরা মামলা করেছে; আদালতেই বিচার করবে।’

এ বিষয়ে যশোরের সিভিল সার্জন ডা. মাহমুদুল হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘রোগীর যিনি সিজার করেছেন; সেই ডাক্তার সার্জারির ওপরে পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ডিগ্রিধারী নয়। আবার অপারেশনের পর রোগীর অবস্থা যখন অবনতি হয়; তখন ডাক্তার তার চিকিৎসার অবহেলা করেছে। তদন্ত রিপোর্ট এখনো আসেনি; তবে প্রাথমিক তদন্তে জানতে পেরেছি চিকিৎসকের গাফিলতি রয়েছে। তদন্ত রিপোর্ট পেলেই ডাক্তার ও ক্লিনিকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘সাকিবের পোস্টার স্টেডিয়ামে ঢুকবে কি না, বিসিবির ডিসিপ্লিনারি কমিটি দেখবে’

আন্তর্জাতিক সালিসের দ্বারস্থ হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে বাংলাদেশ-আদানি

‘তোমার জন্যই খুন করেছি’, স্ত্রীকে হত্যার পর প্রেমিকাকে সার্জনের বার্তা

নীলফামারীতে হচ্ছে চীনা সরকারের উপহার ১০০০ শয্যার হাসপাতাল

ট্রাকের নিচে ঢুকে গেল অটোরিকশা, কলেজশিক্ষার্থীসহ নিহত ৬

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

বরিশালে অপসো স্যালাইন ফার্মার অচলাবস্থা কাটেনি, কাল মালিক-শ্রমিক বৈঠক

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল
চাকরি ফেরতের দাবিতে আজ মঙ্গলবার বরিশাল নগরের বগুড়া সড়কে অপসো স্যালাইন ফার্মার কারখানার সামনে শ্রমিকদের অবস্থান। ছবি: আজকের পত্রিকা
চাকরি ফেরতের দাবিতে আজ মঙ্গলবার বরিশাল নগরের বগুড়া সড়কে অপসো স্যালাইন ফার্মার কারখানার সামনে শ্রমিকদের অবস্থান। ছবি: আজকের পত্রিকা

চাকরি ফেরতের দাবিতে শ্রমিকদের কর্মবিরতিতে বরিশালের অপসো স্যালাইন ফার্মা লিমিটেডে শুরু হওয়া অচলাবস্থা কাটেনি। আন্দোলনকারী শ্রমিকদের দেওয়া ৭২ ঘণ্টার আলটিমেটাম আজ মঙ্গলবার বিকেলে শেষ হয়। সমস্যা সমাধানে এ সময়ের মধ্যে মালিকপক্ষ তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করেনি। তবে আগামীকাল বুধবার বরিশাল শ্রম অধিদপ্তর মালিক ও শ্রমিক প্রতিনিধিদের নিয়ে সভা ডেকেছে।

৫৭০ জন শ্রমিক চাকরিচ্যুত করায় গত ২৯ অক্টোবর থেকে শ্রমিকেরা কর্মবিরতি পালন করছেন। তাঁরা চাকরি ফেরত চান। নগরের বগুড়া সড়কে কারখানার প্রধান ফটকের সামনে শ্রমিকেরা শনিবার থেকে অবস্থান নেন। বাম গণতান্ত্রিক জোট ও মহানগর বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক আফরোজা খানম নাসরিন সেখানে গিয়ে শ্রমিকদের দাবির প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন।

আজ বিকেলে শ্রমিকেরা বগুড়া সড়ক থেকে মিছিল নিয়ে প্রায় ৬ কিলোমিটার দূরে অপসোনিন গ্রুপের প্রধান কারখানার সামনে যান। সেখানে অন্য কারখানার শ্রমিকদের নিয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন।

অপসো স্যালাইন শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মো. রাকিব মিয়া জানান, কাল বুধবার শ্রম অধিদপ্তরের সভায় সমঝোতা না হলে সব কারখানায় কর্মবিরতি ও মহাসড়ক অবরোধের মতো কঠিন কর্মসূচিতে যাবেন।

বাসদ নেত্রী ডা. মনিষা চক্রবর্তী বলেন, আগামীকাল শ্রমিক প্রতিনিধি ও মালিক প্রতিনিধিদের বরিশাল শ্রম অধিদপ্তরের কার্যালয়ে সভা ডাকা হয়েছে। সভায় সমঝোতা না হলে শ্রমিকেরা কঠোর কর্মসূচিতে যাবেন।

ট্রেড ইউনিয়ন নেতা তুষার বলেন, ‘আমাদের মধ্যে ফাটল ধরানোর চেষ্টা করছে মালিকের লোকজন। এ জন্য সতর্ক থাকতে হবে। বুধবার শ্রম অধিদপ্তরে ৫৭০ জন শ্রমিকের ভাগ্য নির্ধারণ হতে পারে।’ তিনি শ্রম অধিদপ্তরের উপপরিচালক মনিরুজ্জামানকে দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, ‘আমরা চাই না মহাসড়ক অচল করে মানুষকে দুর্ভোগে ফেলতে।’

অপসো স্যালাইন কারখানায় কর্মরত স্টুরিপ্যাক (সিরিঞ্জ ও স্যালাইন সেট প্রস্তুতকারক) শাখার ৫৭০ জন শ্রমিককে গত বুধবার চাকরিচ্যুতির চিঠি দেয় কর্তৃপক্ষ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘সাকিবের পোস্টার স্টেডিয়ামে ঢুকবে কি না, বিসিবির ডিসিপ্লিনারি কমিটি দেখবে’

আন্তর্জাতিক সালিসের দ্বারস্থ হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে বাংলাদেশ-আদানি

‘তোমার জন্যই খুন করেছি’, স্ত্রীকে হত্যার পর প্রেমিকাকে সার্জনের বার্তা

নীলফামারীতে হচ্ছে চীনা সরকারের উপহার ১০০০ শয্যার হাসপাতাল

ট্রাকের নিচে ঢুকে গেল অটোরিকশা, কলেজশিক্ষার্থীসহ নিহত ৬

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

হাসিনার মন্ত্রীর বাড়িতে একটি করে হাড় কবর দিলেও ১০০ বাড়ি ফাঁকা: সারজিস

পঞ্চগড় প্রতিনিধি 
তেঁতুলিয়ায় রাজনৈতিক সভায় এনসিপি নেতা সারজিস আলম। ছবি: সংগৃহীত
তেঁতুলিয়ায় রাজনৈতিক সভায় এনসিপি নেতা সারজিস আলম। ছবি: সংগৃহীত

সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর দুর্নীতির কথা বলতে গিয়ে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেন, ‘শেখ হাসিনার ভূমিমন্ত্রীর ৩৬০টা বাড়ি কানাডায়। একটা মানুষের শরীরের হাড় হইল ২০৬টা। মরার পর হাড়গুলো আলাদা করে যদি একটা বাড়িতে একটা কবর হিসাবে রাখে, তাও ১০০টা বাড়ি পড়ে থাকবে। এ রকম করেই জনগণের টাকার লুটপাট করেছে।’

আজ মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) সন্ধ্যায় পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলায় এক রাজনৈতিক সভায় এনসিপি নেতা এসব কথা বলেন।

সভায় জুলাই সনদ নিয়ে সারজিস বলেন, ‘প্রায় ৩০-৪০ বছর আগে একবার গণভোট হয়েছিল। আবার সামনে গণভোট হবে। যে নিয়ম-কানুনগুলোর কারণে শেখ হাসিনা ধীরে ধীরে একজন স্বৈরাচার হয়ে উঠেছে, সেই নিয়ম-কানুনগুলোর পরিবর্তন দরকার আছে না নাই? এই জুলাই সনদ হলো সেই সনদ, যেখানে লেখা আছে—কোন পরিবর্তনগুলো হলে জনগণের সঙ্গে সরকারের ক্ষমতার একটি ভারসাম্য তৈরি হবে। কোন পরিবর্তনগুলো হলে আগামীতে কোনো সরকার আর স্বৈরাচারের সরকার হয়ে উঠতে পারবে না। কোন পরিবর্তনগুলো হলে আগামীর নেতার পা খালি আকাশে বেরাবেনি, মাটিতেও পড়বে। আমরা যে দলেরই হই না কেন, এই বাংলাদেশের জনগণের আগে, দেশের আগে কিংবা নিজের জীবনের নাগরিক সুবিধার আগে, কিংবা এগুলোর ঊর্ধ্বে কখনো দল হতে পারে না। দেশের চেয়ে কখনো দল বড় হতে পারে না।’

সভায় দলীয় নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে এনসিপি নেতা বলেন, এই দেশে ১৮-২০ কোটি মানুষের অধিকারের চেয়ে কখনো একটা দল বড় হতে পারে না। তাই অনুরোধ, আমরা যে দলেরই হই না কেন, গণভোটের দিন ওই জুলাই সনদে আমরা যেন জুলাই সনদের পক্ষে ‘হ্যাঁ’ ভোট দিই।

সভায় স্থানীয় এনসিপি নেতা-কর্মী ও সমর্থকেরা উপস্থিত ছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘সাকিবের পোস্টার স্টেডিয়ামে ঢুকবে কি না, বিসিবির ডিসিপ্লিনারি কমিটি দেখবে’

আন্তর্জাতিক সালিসের দ্বারস্থ হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে বাংলাদেশ-আদানি

‘তোমার জন্যই খুন করেছি’, স্ত্রীকে হত্যার পর প্রেমিকাকে সার্জনের বার্তা

নীলফামারীতে হচ্ছে চীনা সরকারের উপহার ১০০০ শয্যার হাসপাতাল

ট্রাকের নিচে ঢুকে গেল অটোরিকশা, কলেজশিক্ষার্থীসহ নিহত ৬

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

শ্রীবরদীতে ১০৬ বস্তা সার জব্দ

শ্রীবরদী (শেরপুর) প্রতিনিধি 
জব্দ করা সার। ছবি: আজকের পত্রিকা
জব্দ করা সার। ছবি: আজকের পত্রিকা

শেরপুরের শ্রীবরদীতে অবৈধভাবে মজুতকৃত ১০৬ বস্তা ডিএপি ও এমওপি সার জব্দ করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) রাতে উপজেলার রাণীশংকৈল ইউনিয়নের ভায়াডাঙ্গা বানিয়াপাড়া গ্রামে মোশারফ হোসেন বাবু নামে এক ব্যক্তির বাড়ি থেকে সারগুলো জব্দ করা হয়।

শ্রীবরদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মনীষা আহমেদ সারগুলো জব্দ করেন। এ সময় উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মাহমুদুল হাসান আকন্দ, রাণীশিমুল ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান সুজাসহ স্থানীয় এলাকাবাসী উপস্থিত ছিলেন।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মনীষা আহমেদ বলেন, অবৈধভাবে মজুতকৃত ১০৬ বস্তা সার জব্দ করে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জিম্মায় রাখা হয়েছে। পরবর্তীকালে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘সাকিবের পোস্টার স্টেডিয়ামে ঢুকবে কি না, বিসিবির ডিসিপ্লিনারি কমিটি দেখবে’

আন্তর্জাতিক সালিসের দ্বারস্থ হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে বাংলাদেশ-আদানি

‘তোমার জন্যই খুন করেছি’, স্ত্রীকে হত্যার পর প্রেমিকাকে সার্জনের বার্তা

নীলফামারীতে হচ্ছে চীনা সরকারের উপহার ১০০০ শয্যার হাসপাতাল

ট্রাকের নিচে ঢুকে গেল অটোরিকশা, কলেজশিক্ষার্থীসহ নিহত ৬

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ঋত্বিকের জন্মশতবর্ষ উদ্‌যাপন বাড়ির ধ্বংসস্তূপেই

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
রাজশাহীর ভেঙে ফেলা বাড়ির ধ্বংসস্তূপে ঋত্বিক ঘটকের জন্মশতবার্ষিকী উদ্‌যাপন করা হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা
রাজশাহীর ভেঙে ফেলা বাড়ির ধ্বংসস্তূপে ঋত্বিক ঘটকের জন্মশতবার্ষিকী উদ্‌যাপন করা হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা

বাংলা চলচ্চিত্রের অন্যতম প্রভাবশালী নির্মাতা ঋত্বিক ঘটকের জন্মশতবার্ষিকী উদ্‌যাপন করা হয়েছে রাজশাহীর ভেঙে ফেলা বাড়ির ধ্বংসস্তূপেই। মঙ্গলবার বিকেলে ঋত্বিক ঘটক ফিল্ম সোসাইটির উদ্যোগে রাজশাহী নগরের মিয়াপাড়ায় তাঁর পৈতৃক বাড়িতে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

ঋত্বিক ঘটক ফিল্ম সোসাইটি ২০০৯ সাল থেকে নিয়মিতভাবে এই চলচ্চিত্রকারের জন্মবার্ষিকী পালন করে আসছে। এবারের অনুষ্ঠানের শুরুতে জাতীয় সংগীত ও গণসংগীত পরিবেশন করা হয়। পরে প্রদীপ প্রজ্বালন, ঋত্বিক ঘটকের জীবন ও কর্ম নিয়ে আলোচনা এবং তাঁর কালজয়ী ছবি ‘মেঘে ঢাকা তারা’ নিয়ে নির্মিত জীবনীচিত্র প্রদর্শন করা হয়। এর আগে এই চলচ্চিত্রকারের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়।

অনুষ্ঠানে ঋত্বিক ঘটক ফিল্ম সোসাইটির সভাপতি আহসান কবির লিটন বলেন, ঋত্বিক ঘটকের রাজশাহীতে কাটানো দিনগুলো তাঁর সৃজনী জীবনে গভীর প্রভাব ফেলেছিল। পদ্মা নদী, শহরের পরিবেশ এবং সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য তাঁর ভাবনা ও চলচ্চিত্রে বারবার প্রতিফলিত হয়েছে।’

মিয়াপাড়ার এ বাড়িতেই ঋত্বিক ঘটকের শৈশব ও কৈশোর কেটেছে। তিনি রাজশাহী কলেজিয়েট স্কুল ও রাজশাহী কলেজে অধ্যয়ন করেন। এখান থেকেই সাহিত্য, নাটক ও চলচ্চিত্রের প্রতি তাঁর গভীর আগ্রহের সূচনা হয়। দেশভাগের পর ১৯৪৭ সালে তাঁর পরিবার ভারতে পাড়ি জমায়।

নিজের নির্মাণ করা চলচ্চিত্রে দেশভাগের বেদনা, মানবিক দৃঢ়তা ও সমাজবাস্তবতাকে কাব্যিক গভীরতায় তুলে ধরেছেন ঋত্বিক ঘটক। তাঁর বিখ্যাত ছবিগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘মেঘে ঢাকা তারা’, ‘কোমল গান্ধার’, ‘সুবর্ণরেখা’ ও ‘তিতাস একটি নদীর নাম’। শক্তিশালী গল্প ও আবেগঘন উপস্থাপনার জন্য তাঁর চলচ্চিত্র আজও দর্শক ও নির্মাতাদের অনুপ্রেরণার উৎস।

রাজশাহীর বাড়িটির ৩৪ শতাংশ জমি ১৯৮৯ সালে তৎকালীন এরশাদ সরকার রাজশাহী হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজকে ইজারা দেয়। এরপর জায়গাটির উত্তরে গড়ে তোলা হয়েছে হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজের আধুনিক ভবন। এ ভবনের দক্ষিণ অংশে ঋত্বিক ঘটকের স্মৃতিবিজড়িত পুরোনো বাড়ির ঘরগুলো দাঁড়িয়ে ছিল। বাড়িটি অপসারণ করে সেখানে অন্য স্থাপনা করার চেষ্টা অনেক আগে থেকেই করছিল হোমিও কলেজ কর্তৃপক্ষ।

তবে সাংস্কৃতিক কর্মীদের বাধার মুখে বারবার তা বন্ধ হয়েছে। দাবির মুখে বাড়িটি সংরক্ষণেরও উদ্যোগ নিয়েছিল জেলা প্রশাসন। এর মধ্যেই গত বছর অস্থিতিশীল পরিবেশের মধ্যে ৬ ও ৭ আগস্ট গোপনে বাড়িটি ভেঙে নিশ্চিহ্ন করে দেওয়া হয়। এখন সেখানে ভাঙা বাড়ির ইটগুলো স্তূপাকারে রয়েছে। ঋত্বিকের আর তেমন কোনো স্মৃতিচিহ্ন নেই।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘সাকিবের পোস্টার স্টেডিয়ামে ঢুকবে কি না, বিসিবির ডিসিপ্লিনারি কমিটি দেখবে’

আন্তর্জাতিক সালিসের দ্বারস্থ হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে বাংলাদেশ-আদানি

‘তোমার জন্যই খুন করেছি’, স্ত্রীকে হত্যার পর প্রেমিকাকে সার্জনের বার্তা

নীলফামারীতে হচ্ছে চীনা সরকারের উপহার ১০০০ শয্যার হাসপাতাল

ট্রাকের নিচে ঢুকে গেল অটোরিকশা, কলেজশিক্ষার্থীসহ নিহত ৬

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত