যশোর প্রতিনিধি

যশোর জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, জেলার আট পৌরসভার মেয়র, আট উপজেলার চেয়ারম্যানসহ ১৭ জনপ্রতিনিধিকে অপসারণের নির্দেশ দিয়েছে সরকার। তাঁদের স্থানে জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ অন্য কর্মকর্তাদের প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের পদ অপসারণ করা হলেও ভাঙা হচ্ছে না পরিষদ।
আজ সোমবার এ বিষয়ে পৃথক আদেশ জারি করেছে স্থানীয় সরকার বিভাগ। এদিকে স্থানীয় সরকারের আদেশ জারি হওয়ার প্রথম দিনই দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন নিয়োগ পাওয়া স্ব স্ব প্রশাসকেরা।
স্থানীয় সরকার বিভাগের পৃথক আদেশ জানা গেছে, যশোর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি সাইফুজ্জামান পিকুলকে অপসারণ করে প্রশাসকের দায়িত্বে পালন করবেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবরাউল হাছান মজুমদার। যশোর পৌরসভার মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মুক্তিযোদ্ধা হায়দার গণি খান পলাশকে অপসারণ করে প্রশাসকের দায়িত্ব পেয়েছেন জেলা প্রশাসকের স্থানীয় সরকারের উপপরিচালক রফিকুল হাসান। সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান তৌহিদ চাকলাদার ফন্টুকে অপসারণ করে প্রশাসক নিয়োগ পেয়েছেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)।
শার্শা উপজেলার চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেনকে অপসারণ করে প্রশাসক নিয়োগ করা হয়েছে ইউএনওকে। বেনাপোল পৌরসভার মেয়র নাসির হোসেনের পদে প্রশাসক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব), ঝিকরগাছা উপজেলার চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলামের পদ অপসারণ করে দায়িত্ব পেয়েছেন ইউএনও। পৌরসভার মেয়র মোস্তফা আনোয়ারের পদ অপসারণ করে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি)। চৌগাছা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এস এম হাবিবুর রহমানের পদ অপসারণ করে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ইউএনওকে।
চৌগাছা পৌরসভার মেয়র নুর উদ্দীন আল মামুন হিমেলের পদ অপসারণ করে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে উপজেলা সহকারী কমিশনারকে (ভূমি)। বাঘারপাড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার বিপুল ফারাজীর পদ অপসারণ করে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ইউএনওকে। পৌরসভার মেয়র কামরুজ্জামান বাচ্চুকে অপসারণ করে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে উপজেলা সহকারী কমিশনারকে (ভূমি)। অভয়নগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সরদার অলিয়ার রহমানের পদ অপসারণ করে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ইউএনওকে। নওয়াপাড়া পৌরসভার মেয়র সুশান্ত কুমার দাসকে অপসারণ করে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক)।
মনিরামপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন লাভলুকে অপসারণ করে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ইউএনওকে। পৌরসভার মেয়র মাহমুদুল হাসানকে অপসারণ করে দায়িত্ব পেয়েছেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিসি)। কেশবপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মফিজুর রহমানকে অপসারণ করে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ইউএনওকে। পৌরসভার মেয়র রফিকুল ইসলাম মোড়লকে অপসারণ করে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে।
অপসারণের পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় যশোর পৌরসভার মেয়র মুক্তিযোদ্ধা হায়দার গণি খান পলাশ আজকের পত্রিকা’কে বলেন, ‘সরকারের স্বৈরাচারী সিদ্ধান্ত এটি। গণতন্ত্রের ভিত্তি নেই। এই সরকার গণতন্ত্রকে বিশ্বাস করে না। যারা গণতন্ত্রের পক্ষে কথা বলে, তারাই এই অগণতান্ত্রিক কাজটা করল। আমি নির্বাচিত, প্রথম শ্রেণির পৌরসভার মেয়র প্রার্থী হিসাবে ৪৪ হাজার ভোট পেয়েছি। হঠাৎ করেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো। কারণ, আমরা আওয়ামী লীগ করি।’
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমলারা বাইরে থেকে এসেছে। তারাই প্রশাসকের দায়িত্ব পাবে। তারা কর্মচারীদের কথার বিশ্বাসে বেশি দূর উন্নয়ন করতে পারবে না। জনগণকে সেবা দিতে পারবে না।’
ঝিকরগাছা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘স্থানীয় সরকারের নির্বাচনে আমরা তো কোনো দলীয় প্রতীকে নির্বাচন করেনি। সব দল মতের ভোটারদের ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছি। কিন্তু সরকারের এভাবে হঠকারী সিদ্ধান্তকে নিন্দা জানাই। এতে সরকারের উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হবে।’
এর আগে শুক্রবার ‘স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৪ ’, ‘স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৪’, ‘জেলা পরিষদ (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৪’ ও ‘উপজেলা পরিষদ (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৪’ -এর খসড়া অনুমোদন করে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ। পরে তা অধ্যাদেশ আকারে জারি করা হয়। এই অধ্যাদেশ অনুযায়ী সরকারি সিদ্ধান্তের আলোকেই এসব জনপ্রতিনিধিদের তাদের পথ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়।
আরও খবর পড়ুন:

যশোর জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, জেলার আট পৌরসভার মেয়র, আট উপজেলার চেয়ারম্যানসহ ১৭ জনপ্রতিনিধিকে অপসারণের নির্দেশ দিয়েছে সরকার। তাঁদের স্থানে জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ অন্য কর্মকর্তাদের প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের পদ অপসারণ করা হলেও ভাঙা হচ্ছে না পরিষদ।
আজ সোমবার এ বিষয়ে পৃথক আদেশ জারি করেছে স্থানীয় সরকার বিভাগ। এদিকে স্থানীয় সরকারের আদেশ জারি হওয়ার প্রথম দিনই দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন নিয়োগ পাওয়া স্ব স্ব প্রশাসকেরা।
স্থানীয় সরকার বিভাগের পৃথক আদেশ জানা গেছে, যশোর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি সাইফুজ্জামান পিকুলকে অপসারণ করে প্রশাসকের দায়িত্বে পালন করবেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবরাউল হাছান মজুমদার। যশোর পৌরসভার মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মুক্তিযোদ্ধা হায়দার গণি খান পলাশকে অপসারণ করে প্রশাসকের দায়িত্ব পেয়েছেন জেলা প্রশাসকের স্থানীয় সরকারের উপপরিচালক রফিকুল হাসান। সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান তৌহিদ চাকলাদার ফন্টুকে অপসারণ করে প্রশাসক নিয়োগ পেয়েছেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)।
শার্শা উপজেলার চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেনকে অপসারণ করে প্রশাসক নিয়োগ করা হয়েছে ইউএনওকে। বেনাপোল পৌরসভার মেয়র নাসির হোসেনের পদে প্রশাসক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব), ঝিকরগাছা উপজেলার চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলামের পদ অপসারণ করে দায়িত্ব পেয়েছেন ইউএনও। পৌরসভার মেয়র মোস্তফা আনোয়ারের পদ অপসারণ করে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি)। চৌগাছা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এস এম হাবিবুর রহমানের পদ অপসারণ করে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ইউএনওকে।
চৌগাছা পৌরসভার মেয়র নুর উদ্দীন আল মামুন হিমেলের পদ অপসারণ করে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে উপজেলা সহকারী কমিশনারকে (ভূমি)। বাঘারপাড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার বিপুল ফারাজীর পদ অপসারণ করে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ইউএনওকে। পৌরসভার মেয়র কামরুজ্জামান বাচ্চুকে অপসারণ করে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে উপজেলা সহকারী কমিশনারকে (ভূমি)। অভয়নগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সরদার অলিয়ার রহমানের পদ অপসারণ করে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ইউএনওকে। নওয়াপাড়া পৌরসভার মেয়র সুশান্ত কুমার দাসকে অপসারণ করে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক)।
মনিরামপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন লাভলুকে অপসারণ করে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ইউএনওকে। পৌরসভার মেয়র মাহমুদুল হাসানকে অপসারণ করে দায়িত্ব পেয়েছেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিসি)। কেশবপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মফিজুর রহমানকে অপসারণ করে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ইউএনওকে। পৌরসভার মেয়র রফিকুল ইসলাম মোড়লকে অপসারণ করে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে।
অপসারণের পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় যশোর পৌরসভার মেয়র মুক্তিযোদ্ধা হায়দার গণি খান পলাশ আজকের পত্রিকা’কে বলেন, ‘সরকারের স্বৈরাচারী সিদ্ধান্ত এটি। গণতন্ত্রের ভিত্তি নেই। এই সরকার গণতন্ত্রকে বিশ্বাস করে না। যারা গণতন্ত্রের পক্ষে কথা বলে, তারাই এই অগণতান্ত্রিক কাজটা করল। আমি নির্বাচিত, প্রথম শ্রেণির পৌরসভার মেয়র প্রার্থী হিসাবে ৪৪ হাজার ভোট পেয়েছি। হঠাৎ করেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো। কারণ, আমরা আওয়ামী লীগ করি।’
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমলারা বাইরে থেকে এসেছে। তারাই প্রশাসকের দায়িত্ব পাবে। তারা কর্মচারীদের কথার বিশ্বাসে বেশি দূর উন্নয়ন করতে পারবে না। জনগণকে সেবা দিতে পারবে না।’
ঝিকরগাছা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘স্থানীয় সরকারের নির্বাচনে আমরা তো কোনো দলীয় প্রতীকে নির্বাচন করেনি। সব দল মতের ভোটারদের ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছি। কিন্তু সরকারের এভাবে হঠকারী সিদ্ধান্তকে নিন্দা জানাই। এতে সরকারের উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হবে।’
এর আগে শুক্রবার ‘স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৪ ’, ‘স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৪’, ‘জেলা পরিষদ (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৪’ ও ‘উপজেলা পরিষদ (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৪’ -এর খসড়া অনুমোদন করে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ। পরে তা অধ্যাদেশ আকারে জারি করা হয়। এই অধ্যাদেশ অনুযায়ী সরকারি সিদ্ধান্তের আলোকেই এসব জনপ্রতিনিধিদের তাদের পথ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়।
আরও খবর পড়ুন:
যশোর প্রতিনিধি

যশোর জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, জেলার আট পৌরসভার মেয়র, আট উপজেলার চেয়ারম্যানসহ ১৭ জনপ্রতিনিধিকে অপসারণের নির্দেশ দিয়েছে সরকার। তাঁদের স্থানে জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ অন্য কর্মকর্তাদের প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের পদ অপসারণ করা হলেও ভাঙা হচ্ছে না পরিষদ।
আজ সোমবার এ বিষয়ে পৃথক আদেশ জারি করেছে স্থানীয় সরকার বিভাগ। এদিকে স্থানীয় সরকারের আদেশ জারি হওয়ার প্রথম দিনই দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন নিয়োগ পাওয়া স্ব স্ব প্রশাসকেরা।
স্থানীয় সরকার বিভাগের পৃথক আদেশ জানা গেছে, যশোর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি সাইফুজ্জামান পিকুলকে অপসারণ করে প্রশাসকের দায়িত্বে পালন করবেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবরাউল হাছান মজুমদার। যশোর পৌরসভার মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মুক্তিযোদ্ধা হায়দার গণি খান পলাশকে অপসারণ করে প্রশাসকের দায়িত্ব পেয়েছেন জেলা প্রশাসকের স্থানীয় সরকারের উপপরিচালক রফিকুল হাসান। সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান তৌহিদ চাকলাদার ফন্টুকে অপসারণ করে প্রশাসক নিয়োগ পেয়েছেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)।
শার্শা উপজেলার চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেনকে অপসারণ করে প্রশাসক নিয়োগ করা হয়েছে ইউএনওকে। বেনাপোল পৌরসভার মেয়র নাসির হোসেনের পদে প্রশাসক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব), ঝিকরগাছা উপজেলার চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলামের পদ অপসারণ করে দায়িত্ব পেয়েছেন ইউএনও। পৌরসভার মেয়র মোস্তফা আনোয়ারের পদ অপসারণ করে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি)। চৌগাছা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এস এম হাবিবুর রহমানের পদ অপসারণ করে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ইউএনওকে।
চৌগাছা পৌরসভার মেয়র নুর উদ্দীন আল মামুন হিমেলের পদ অপসারণ করে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে উপজেলা সহকারী কমিশনারকে (ভূমি)। বাঘারপাড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার বিপুল ফারাজীর পদ অপসারণ করে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ইউএনওকে। পৌরসভার মেয়র কামরুজ্জামান বাচ্চুকে অপসারণ করে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে উপজেলা সহকারী কমিশনারকে (ভূমি)। অভয়নগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সরদার অলিয়ার রহমানের পদ অপসারণ করে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ইউএনওকে। নওয়াপাড়া পৌরসভার মেয়র সুশান্ত কুমার দাসকে অপসারণ করে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক)।
মনিরামপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন লাভলুকে অপসারণ করে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ইউএনওকে। পৌরসভার মেয়র মাহমুদুল হাসানকে অপসারণ করে দায়িত্ব পেয়েছেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিসি)। কেশবপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মফিজুর রহমানকে অপসারণ করে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ইউএনওকে। পৌরসভার মেয়র রফিকুল ইসলাম মোড়লকে অপসারণ করে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে।
অপসারণের পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় যশোর পৌরসভার মেয়র মুক্তিযোদ্ধা হায়দার গণি খান পলাশ আজকের পত্রিকা’কে বলেন, ‘সরকারের স্বৈরাচারী সিদ্ধান্ত এটি। গণতন্ত্রের ভিত্তি নেই। এই সরকার গণতন্ত্রকে বিশ্বাস করে না। যারা গণতন্ত্রের পক্ষে কথা বলে, তারাই এই অগণতান্ত্রিক কাজটা করল। আমি নির্বাচিত, প্রথম শ্রেণির পৌরসভার মেয়র প্রার্থী হিসাবে ৪৪ হাজার ভোট পেয়েছি। হঠাৎ করেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো। কারণ, আমরা আওয়ামী লীগ করি।’
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমলারা বাইরে থেকে এসেছে। তারাই প্রশাসকের দায়িত্ব পাবে। তারা কর্মচারীদের কথার বিশ্বাসে বেশি দূর উন্নয়ন করতে পারবে না। জনগণকে সেবা দিতে পারবে না।’
ঝিকরগাছা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘স্থানীয় সরকারের নির্বাচনে আমরা তো কোনো দলীয় প্রতীকে নির্বাচন করেনি। সব দল মতের ভোটারদের ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছি। কিন্তু সরকারের এভাবে হঠকারী সিদ্ধান্তকে নিন্দা জানাই। এতে সরকারের উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হবে।’
এর আগে শুক্রবার ‘স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৪ ’, ‘স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৪’, ‘জেলা পরিষদ (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৪’ ও ‘উপজেলা পরিষদ (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৪’ -এর খসড়া অনুমোদন করে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ। পরে তা অধ্যাদেশ আকারে জারি করা হয়। এই অধ্যাদেশ অনুযায়ী সরকারি সিদ্ধান্তের আলোকেই এসব জনপ্রতিনিধিদের তাদের পথ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়।
আরও খবর পড়ুন:

যশোর জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, জেলার আট পৌরসভার মেয়র, আট উপজেলার চেয়ারম্যানসহ ১৭ জনপ্রতিনিধিকে অপসারণের নির্দেশ দিয়েছে সরকার। তাঁদের স্থানে জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ অন্য কর্মকর্তাদের প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের পদ অপসারণ করা হলেও ভাঙা হচ্ছে না পরিষদ।
আজ সোমবার এ বিষয়ে পৃথক আদেশ জারি করেছে স্থানীয় সরকার বিভাগ। এদিকে স্থানীয় সরকারের আদেশ জারি হওয়ার প্রথম দিনই দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন নিয়োগ পাওয়া স্ব স্ব প্রশাসকেরা।
স্থানীয় সরকার বিভাগের পৃথক আদেশ জানা গেছে, যশোর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি সাইফুজ্জামান পিকুলকে অপসারণ করে প্রশাসকের দায়িত্বে পালন করবেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবরাউল হাছান মজুমদার। যশোর পৌরসভার মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মুক্তিযোদ্ধা হায়দার গণি খান পলাশকে অপসারণ করে প্রশাসকের দায়িত্ব পেয়েছেন জেলা প্রশাসকের স্থানীয় সরকারের উপপরিচালক রফিকুল হাসান। সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান তৌহিদ চাকলাদার ফন্টুকে অপসারণ করে প্রশাসক নিয়োগ পেয়েছেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)।
শার্শা উপজেলার চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেনকে অপসারণ করে প্রশাসক নিয়োগ করা হয়েছে ইউএনওকে। বেনাপোল পৌরসভার মেয়র নাসির হোসেনের পদে প্রশাসক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব), ঝিকরগাছা উপজেলার চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলামের পদ অপসারণ করে দায়িত্ব পেয়েছেন ইউএনও। পৌরসভার মেয়র মোস্তফা আনোয়ারের পদ অপসারণ করে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি)। চৌগাছা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এস এম হাবিবুর রহমানের পদ অপসারণ করে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ইউএনওকে।
চৌগাছা পৌরসভার মেয়র নুর উদ্দীন আল মামুন হিমেলের পদ অপসারণ করে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে উপজেলা সহকারী কমিশনারকে (ভূমি)। বাঘারপাড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার বিপুল ফারাজীর পদ অপসারণ করে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ইউএনওকে। পৌরসভার মেয়র কামরুজ্জামান বাচ্চুকে অপসারণ করে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে উপজেলা সহকারী কমিশনারকে (ভূমি)। অভয়নগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সরদার অলিয়ার রহমানের পদ অপসারণ করে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ইউএনওকে। নওয়াপাড়া পৌরসভার মেয়র সুশান্ত কুমার দাসকে অপসারণ করে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক)।
মনিরামপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন লাভলুকে অপসারণ করে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ইউএনওকে। পৌরসভার মেয়র মাহমুদুল হাসানকে অপসারণ করে দায়িত্ব পেয়েছেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিসি)। কেশবপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মফিজুর রহমানকে অপসারণ করে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ইউএনওকে। পৌরসভার মেয়র রফিকুল ইসলাম মোড়লকে অপসারণ করে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে।
অপসারণের পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় যশোর পৌরসভার মেয়র মুক্তিযোদ্ধা হায়দার গণি খান পলাশ আজকের পত্রিকা’কে বলেন, ‘সরকারের স্বৈরাচারী সিদ্ধান্ত এটি। গণতন্ত্রের ভিত্তি নেই। এই সরকার গণতন্ত্রকে বিশ্বাস করে না। যারা গণতন্ত্রের পক্ষে কথা বলে, তারাই এই অগণতান্ত্রিক কাজটা করল। আমি নির্বাচিত, প্রথম শ্রেণির পৌরসভার মেয়র প্রার্থী হিসাবে ৪৪ হাজার ভোট পেয়েছি। হঠাৎ করেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো। কারণ, আমরা আওয়ামী লীগ করি।’
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমলারা বাইরে থেকে এসেছে। তারাই প্রশাসকের দায়িত্ব পাবে। তারা কর্মচারীদের কথার বিশ্বাসে বেশি দূর উন্নয়ন করতে পারবে না। জনগণকে সেবা দিতে পারবে না।’
ঝিকরগাছা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘স্থানীয় সরকারের নির্বাচনে আমরা তো কোনো দলীয় প্রতীকে নির্বাচন করেনি। সব দল মতের ভোটারদের ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছি। কিন্তু সরকারের এভাবে হঠকারী সিদ্ধান্তকে নিন্দা জানাই। এতে সরকারের উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হবে।’
এর আগে শুক্রবার ‘স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৪ ’, ‘স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৪’, ‘জেলা পরিষদ (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৪’ ও ‘উপজেলা পরিষদ (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৪’ -এর খসড়া অনুমোদন করে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ। পরে তা অধ্যাদেশ আকারে জারি করা হয়। এই অধ্যাদেশ অনুযায়ী সরকারি সিদ্ধান্তের আলোকেই এসব জনপ্রতিনিধিদের তাদের পথ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়।
আরও খবর পড়ুন:

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেছেন, ‘আমরা যে অঙ্গীকার নিয়ে এসেছিলাম, বিচারের কাজ শুরু করব। আমরা বিচারের কাজ শুরু করতে পেরেছি। আগামী সপ্তাহে ফ্যাসিস্ট খুনি শেখ হাসিনার বিচার হবে এবং একটা রায় পাব। এতে জুলাই শহীদদের পরিবারের কিছুটা হলেও ব্যাথা লাঘব হবে।’
৩ মিনিট আগে
মেহেরপুরের গাংনীতে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে ব্যাপক পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে গাংনী বাজারে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগে
নাটোর শহরতলির ফুলবাগান এলাকার সেলিম ভূঁইয়া নামের এক ব্যবসায়ীর গুদাম থেকে ১৫০ বস্তা চাল লুট করে নিয়েছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল সোমবার দিবাগত রাত ২টার দিকে এই ঘটনা ঘটে। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে পুলিশ জানায়, সোমবার রাত আনুমানিক ২টার দিকে ফুলবাগান এলাকার সড়ক ভবন-সংলগ্ন সেলিম ট্রেডার্সের সামনে একটি ট্রাক এনে দাঁড়
১ ঘণ্টা আগে
সাতক্ষীরা-৩ (আশাশুনি-কালিগঞ্জ) আসনে বিএনপির মনোনয়ন না পাওয়ায় ‘গরিবের ডাক্তার’ নামে পরিচিত মো. শহিদুল আলমের সমর্থকেরা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন।
১ ঘণ্টা আগেলক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেছেন, ‘আমরা যে অঙ্গীকার নিয়ে এসেছিলাম, বিচারের কাজ শুরু করব। আমরা বিচারের কাজ শুরু করতে পেরেছি। আগামী সপ্তাহে ফ্যাসিস্ট খুনি শেখ হাসিনার বিচার হবে এবং একটা রায় পাব। এতে জুলাই শহীদদের পরিবারের কিছুটা হলেও ব্যাথা লাঘব হবে।’
আজ মঙ্গলবার দুপুরে লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে জুলাই শহীদ পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় তিনি এসব কথা বলেন। মাহফুজ আলম, ‘আরও অনেকেরই ট্রাইব্যুনালে বিচার কাজ চলছে। ট্রাইব্যুনাল চলমান রয়েছে। যারা ছাত্র জনতাকে হত্যার সঙ্গে ও গুমের সঙ্গে জড়িত ছিলেন তাদের সবারই বিচার হবে। পরবর্তী সরকারে যারা আসবেন তারা এ বিচার কাজ এগিয়ে নেবেন।’
উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘সংস্কার কাজে আমরা অনেক দূর অগ্রসর হয়েছি। রাজনৈতিক দলগুলো ঐক্যমত হয়ে জুলাই সনদে স্বাক্ষর করেছেন। এটা বাংলাদেশের জন্য বড় একটি প্রাপ্তি যে রাজনৈতিক দলগুলো বসে সরকার গৃহীত একটা দলিলে আসতে পারা। সবাই মিলে সর্বসম্মত হয়েছেন। এর ভেতর দিয়ে বাংলাদেশ একটা নতুন পর্যায়ে গেল। জুলাই সনদ ও সংস্কার কার্যক্রমের মাধ্যমে পরবর্তীতে যে নির্বাচিত সরকার আসবে তারা যদি এই কাজগুলো করতে পারে তাহলে আমরা যে নতুন বাংলাদেশ চেয়েছিলাম, সেরকম একটা বাংলাদেশ হবে। যেখানে সবার ক্ষমতার ভারসাম্য থাকবে। বিচারে আইনের শাসন থাকবে, সুবিচার থাকবে। গুম খুন আর ফেরত আসবে না।’
রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশে মাহফুজ আলম বলেন, ‘আসুন বাংলাদেশ-পন্থার মধ্য দিয়ে আমরা যারা ফ্যাসিবাদ-বিরোধী শক্তি আছি, ঐক্যবদ্ধ হই। সংস্কারগুলো করার জন্য সরকারকে সহযোগিতা করুন। শহীদদের পথ অনুসরণ করে আমরা শাহাদাতের পথ বেছে নেব। আমরা আবার লড়াই করব। আমরা শুধুমাত্র আওয়ামী লীগের ফ্যাসিস্ট শাসন-ব্যবস্থা উৎখাত করে সন্তুষ্ট নই, বরং আওয়ামী লীগ ফ্যাসিজমের যত বৈশিষ্ট্য বিভিন্ন প্রান্তে, প্রশাসনে, শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনে রয়ে গেছে, তাদেরকেও বিচারের আওতায় আনব।’
এই উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘আমার এলাকায় রামগঞ্জ তথা লক্ষ্মীপুরে মাদক নিরাময়কেন্দ্র, নার্সিং কলেজ স্থাপন, সদর হাসপাতাল উন্নতিকরণ ও শিক্ষা ব্যবস্থাসহ অনেকগুলো কমিশন সংস্কারের প্রস্তাবনা প্রস্তুত করেছে। খুব শিগগিরই রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ঐকমত্যের ভিত্তিতে যে সংস্কার না করলেই নয়, নির্বাচনের পূর্বে সেসব সংস্কার করতে চাই। এই সংস্কারগুলো মুখের বুলি নয়। শেখ হাসিনা যে প্রতিষ্ঠানগুলো ধ্বংস করে দিয়েছেন, যে প্রতিষ্ঠানগুলো হাসিনাকে টিকিয়ে রেখেছে, সেই প্রতিষ্ঠানগুলোকে একই রকম রেখে আমরা নির্বাচন করতে পারি না। নির্বাচন করার আগে অবশ্যই হাসিনার ওই প্রতিষ্ঠান ও দালালেরা আছে, তাদের উৎখাত করে এবং খুনি হাসিনাসহ তার দোসরদের বিচার করে আমাদের নির্বাচনের দিকে এগোতে হবে। সাবেক মন্ত্রী মরহুম জিয়াউল হক জিয়ার রেখে যাওয়া অসমাপ্ত কাজগুলো সমাপ্ত করা হবে।’
এ সময় আগামী সংসদ নির্বাচনে লক্ষ্মীপুর-১ (রামগঞ্জ) আসন থেকে নির্বাচন করবেন কিনা জানতে চাইলে জবাবে উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বিষয়টি এড়িয়ে যান। সভা শেষে রামগন্জের দরিদ্র কৃষকদের মাঝে কৃষি প্রণোদনা বিতরণ, জুলাই শহীদ পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ ও সাবেক এমপি ও প্রতিমন্ত্রী জিয়াউল হক জিয়ার ৯ম মৃত্যুবার্ষিকী অনুষ্ঠানে যোগদান করেন।

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেছেন, ‘আমরা যে অঙ্গীকার নিয়ে এসেছিলাম, বিচারের কাজ শুরু করব। আমরা বিচারের কাজ শুরু করতে পেরেছি। আগামী সপ্তাহে ফ্যাসিস্ট খুনি শেখ হাসিনার বিচার হবে এবং একটা রায় পাব। এতে জুলাই শহীদদের পরিবারের কিছুটা হলেও ব্যাথা লাঘব হবে।’
আজ মঙ্গলবার দুপুরে লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে জুলাই শহীদ পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় তিনি এসব কথা বলেন। মাহফুজ আলম, ‘আরও অনেকেরই ট্রাইব্যুনালে বিচার কাজ চলছে। ট্রাইব্যুনাল চলমান রয়েছে। যারা ছাত্র জনতাকে হত্যার সঙ্গে ও গুমের সঙ্গে জড়িত ছিলেন তাদের সবারই বিচার হবে। পরবর্তী সরকারে যারা আসবেন তারা এ বিচার কাজ এগিয়ে নেবেন।’
উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘সংস্কার কাজে আমরা অনেক দূর অগ্রসর হয়েছি। রাজনৈতিক দলগুলো ঐক্যমত হয়ে জুলাই সনদে স্বাক্ষর করেছেন। এটা বাংলাদেশের জন্য বড় একটি প্রাপ্তি যে রাজনৈতিক দলগুলো বসে সরকার গৃহীত একটা দলিলে আসতে পারা। সবাই মিলে সর্বসম্মত হয়েছেন। এর ভেতর দিয়ে বাংলাদেশ একটা নতুন পর্যায়ে গেল। জুলাই সনদ ও সংস্কার কার্যক্রমের মাধ্যমে পরবর্তীতে যে নির্বাচিত সরকার আসবে তারা যদি এই কাজগুলো করতে পারে তাহলে আমরা যে নতুন বাংলাদেশ চেয়েছিলাম, সেরকম একটা বাংলাদেশ হবে। যেখানে সবার ক্ষমতার ভারসাম্য থাকবে। বিচারে আইনের শাসন থাকবে, সুবিচার থাকবে। গুম খুন আর ফেরত আসবে না।’
রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশে মাহফুজ আলম বলেন, ‘আসুন বাংলাদেশ-পন্থার মধ্য দিয়ে আমরা যারা ফ্যাসিবাদ-বিরোধী শক্তি আছি, ঐক্যবদ্ধ হই। সংস্কারগুলো করার জন্য সরকারকে সহযোগিতা করুন। শহীদদের পথ অনুসরণ করে আমরা শাহাদাতের পথ বেছে নেব। আমরা আবার লড়াই করব। আমরা শুধুমাত্র আওয়ামী লীগের ফ্যাসিস্ট শাসন-ব্যবস্থা উৎখাত করে সন্তুষ্ট নই, বরং আওয়ামী লীগ ফ্যাসিজমের যত বৈশিষ্ট্য বিভিন্ন প্রান্তে, প্রশাসনে, শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনে রয়ে গেছে, তাদেরকেও বিচারের আওতায় আনব।’
এই উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘আমার এলাকায় রামগঞ্জ তথা লক্ষ্মীপুরে মাদক নিরাময়কেন্দ্র, নার্সিং কলেজ স্থাপন, সদর হাসপাতাল উন্নতিকরণ ও শিক্ষা ব্যবস্থাসহ অনেকগুলো কমিশন সংস্কারের প্রস্তাবনা প্রস্তুত করেছে। খুব শিগগিরই রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ঐকমত্যের ভিত্তিতে যে সংস্কার না করলেই নয়, নির্বাচনের পূর্বে সেসব সংস্কার করতে চাই। এই সংস্কারগুলো মুখের বুলি নয়। শেখ হাসিনা যে প্রতিষ্ঠানগুলো ধ্বংস করে দিয়েছেন, যে প্রতিষ্ঠানগুলো হাসিনাকে টিকিয়ে রেখেছে, সেই প্রতিষ্ঠানগুলোকে একই রকম রেখে আমরা নির্বাচন করতে পারি না। নির্বাচন করার আগে অবশ্যই হাসিনার ওই প্রতিষ্ঠান ও দালালেরা আছে, তাদের উৎখাত করে এবং খুনি হাসিনাসহ তার দোসরদের বিচার করে আমাদের নির্বাচনের দিকে এগোতে হবে। সাবেক মন্ত্রী মরহুম জিয়াউল হক জিয়ার রেখে যাওয়া অসমাপ্ত কাজগুলো সমাপ্ত করা হবে।’
এ সময় আগামী সংসদ নির্বাচনে লক্ষ্মীপুর-১ (রামগঞ্জ) আসন থেকে নির্বাচন করবেন কিনা জানতে চাইলে জবাবে উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বিষয়টি এড়িয়ে যান। সভা শেষে রামগন্জের দরিদ্র কৃষকদের মাঝে কৃষি প্রণোদনা বিতরণ, জুলাই শহীদ পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ ও সাবেক এমপি ও প্রতিমন্ত্রী জিয়াউল হক জিয়ার ৯ম মৃত্যুবার্ষিকী অনুষ্ঠানে যোগদান করেন।

যশোর জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, জেলার আট পৌরসভার মেয়র, আট উপজেলার চেয়ারম্যানসহ ১৭ জনপ্রতিনিধিকে অপসারণের নির্দেশ দিয়েছে সরকার। তাঁদের স্থানে জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ অন্য কর্মকর্তাদের প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
১৯ আগস্ট ২০২৪
মেহেরপুরের গাংনীতে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে ব্যাপক পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে গাংনী বাজারে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগে
নাটোর শহরতলির ফুলবাগান এলাকার সেলিম ভূঁইয়া নামের এক ব্যবসায়ীর গুদাম থেকে ১৫০ বস্তা চাল লুট করে নিয়েছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল সোমবার দিবাগত রাত ২টার দিকে এই ঘটনা ঘটে। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে পুলিশ জানায়, সোমবার রাত আনুমানিক ২টার দিকে ফুলবাগান এলাকার সড়ক ভবন-সংলগ্ন সেলিম ট্রেডার্সের সামনে একটি ট্রাক এনে দাঁড়
১ ঘণ্টা আগে
সাতক্ষীরা-৩ (আশাশুনি-কালিগঞ্জ) আসনে বিএনপির মনোনয়ন না পাওয়ায় ‘গরিবের ডাক্তার’ নামে পরিচিত মো. শহিদুল আলমের সমর্থকেরা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন।
১ ঘণ্টা আগেগাংনী (মেহেরপুর) প্রতিনিধি

দলীয় প্রার্থীর প্রাথমিক তালিকা প্রকাশের পরপরই মেহেরপুরের গাংনীতে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে ব্যাপক পাল্টাপাল্টি ধাওয়া, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে গাংনী বাজারে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। বর্তমানে এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।
জানা গেছে, গতকাল সোমবার বিএনপি থেকে মেহেরপুর-২ আসনে আমজাদ হোসেনকে দলীয় প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা দেওয়ার পর থেকে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছিল। এর জেরে আজ পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।
গাংনী উপজেলা বিএনপির সভাপতি আলফাজ উদ্দিন কালু, যিনি মনোনয়ন না পাওয়া জেলা বিএনপির সভাপতি জাভেদ মাসুদ মিল্টনের সমর্থক। তিনি অভিযোগ করেন, আমজাদ হোসেনের সমর্থকেরা তাঁদের অফিসে ভাঙচুর চালিয়েছেন। অন্যদিকে আমজাদ হোসেনের সমর্থকেরা অভিযোগ করেন, প্রথমে মিল্টনের সমর্থকেরা একতরফাভাবে হামলা চালান। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তখন দর্শকের ভূমিকায় ছিল।
জানতে চাইলে মেহেরপুর-২ (গাংনী) আসনে বিএনপির মনোনয়ন পাওয়া সাবেক এমপি আমজাদ হোসেন বলেন, ‘মনোনয়ন না পাওয়া জেলা বিএনপির সভাপতি জাভেদ মাসুদ মিল্টনের সমর্থকেরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে উপজেলা বিএনপির কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর করেছে। এতে অন্তত ১০ নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন।’

বক্তব্য জানতে বিএনপির সভাপতি জাভেদ মাসুদ মিল্টনের মোবাইল ফোনে কল দেওয়া হলে তা বন্ধ পাওয়া যায়। এ বিষয়ে গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বানী ইসরাইল বলেন, উভয় পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার পর গাংনীতে উত্তেজনা বিরাজ করছে। তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ কাজ করছে।


দলীয় প্রার্থীর প্রাথমিক তালিকা প্রকাশের পরপরই মেহেরপুরের গাংনীতে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে ব্যাপক পাল্টাপাল্টি ধাওয়া, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে গাংনী বাজারে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। বর্তমানে এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।
জানা গেছে, গতকাল সোমবার বিএনপি থেকে মেহেরপুর-২ আসনে আমজাদ হোসেনকে দলীয় প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা দেওয়ার পর থেকে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছিল। এর জেরে আজ পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।
গাংনী উপজেলা বিএনপির সভাপতি আলফাজ উদ্দিন কালু, যিনি মনোনয়ন না পাওয়া জেলা বিএনপির সভাপতি জাভেদ মাসুদ মিল্টনের সমর্থক। তিনি অভিযোগ করেন, আমজাদ হোসেনের সমর্থকেরা তাঁদের অফিসে ভাঙচুর চালিয়েছেন। অন্যদিকে আমজাদ হোসেনের সমর্থকেরা অভিযোগ করেন, প্রথমে মিল্টনের সমর্থকেরা একতরফাভাবে হামলা চালান। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তখন দর্শকের ভূমিকায় ছিল।
জানতে চাইলে মেহেরপুর-২ (গাংনী) আসনে বিএনপির মনোনয়ন পাওয়া সাবেক এমপি আমজাদ হোসেন বলেন, ‘মনোনয়ন না পাওয়া জেলা বিএনপির সভাপতি জাভেদ মাসুদ মিল্টনের সমর্থকেরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে উপজেলা বিএনপির কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর করেছে। এতে অন্তত ১০ নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন।’

বক্তব্য জানতে বিএনপির সভাপতি জাভেদ মাসুদ মিল্টনের মোবাইল ফোনে কল দেওয়া হলে তা বন্ধ পাওয়া যায়। এ বিষয়ে গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বানী ইসরাইল বলেন, উভয় পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার পর গাংনীতে উত্তেজনা বিরাজ করছে। তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ কাজ করছে।


যশোর জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, জেলার আট পৌরসভার মেয়র, আট উপজেলার চেয়ারম্যানসহ ১৭ জনপ্রতিনিধিকে অপসারণের নির্দেশ দিয়েছে সরকার। তাঁদের স্থানে জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ অন্য কর্মকর্তাদের প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
১৯ আগস্ট ২০২৪
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেছেন, ‘আমরা যে অঙ্গীকার নিয়ে এসেছিলাম, বিচারের কাজ শুরু করব। আমরা বিচারের কাজ শুরু করতে পেরেছি। আগামী সপ্তাহে ফ্যাসিস্ট খুনি শেখ হাসিনার বিচার হবে এবং একটা রায় পাব। এতে জুলাই শহীদদের পরিবারের কিছুটা হলেও ব্যাথা লাঘব হবে।’
৩ মিনিট আগে
নাটোর শহরতলির ফুলবাগান এলাকার সেলিম ভূঁইয়া নামের এক ব্যবসায়ীর গুদাম থেকে ১৫০ বস্তা চাল লুট করে নিয়েছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল সোমবার দিবাগত রাত ২টার দিকে এই ঘটনা ঘটে। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে পুলিশ জানায়, সোমবার রাত আনুমানিক ২টার দিকে ফুলবাগান এলাকার সড়ক ভবন-সংলগ্ন সেলিম ট্রেডার্সের সামনে একটি ট্রাক এনে দাঁড়
১ ঘণ্টা আগে
সাতক্ষীরা-৩ (আশাশুনি-কালিগঞ্জ) আসনে বিএনপির মনোনয়ন না পাওয়ায় ‘গরিবের ডাক্তার’ নামে পরিচিত মো. শহিদুল আলমের সমর্থকেরা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন।
১ ঘণ্টা আগেনাটোর প্রতিনিধি

নাটোর শহরতলির ফুলবাগান এলাকার সেলিম ভূঁইয়া নামের এক ব্যবসায়ীর গুদাম থেকে ১৫০ বস্তা চাল লুট করে নিয়েছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল সোমবার দিবাগত রাত ২টার দিকে এই ঘটনা ঘটে।
সিসিটিভি ফুটেজ দেখে পুলিশ জানায়, সোমবার রাত আনুমানিক ২টার দিকে ফুলবাগান এলাকার সড়ক ভবন-সংলগ্ন সেলিম ট্রেডার্সের সামনে একটি ট্রাক এনে দাঁড় করায় দুর্বৃত্তরা। তারা শাটারের তালা ভেঙে ও কেটে দোকানে প্রবেশ করে ক্যাশ বাক্স থেকে নগদ ১২ হাজার টাকাসহ প্রায় ১৫০ বস্তা চাল ট্রাকে লোড করে নিয়ে যায়।
ব্যবসায়ী সেলিম ভূঁইয়া বলেন, ‘ফজরের নামাজের সময় স্থানীয় এক ব্যক্তি ফোনে জানান, গুদামের শাটার কাটা ও আরেকটি পুরোপুরি খোলা। পরে সেখানে এসে দেখি, দুর্বৃত্তরা স্তূপাকারে রাখা চালের বস্তাগুলো নিয়ে গেছে। স্টক রেজিস্টার থেকে জেনেছি, চালের বস্তা ছিল ১৫০টি।’
এ বিষয়ে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহাবুর রহমান আজকের পত্রিকাকে জানান, এই ঘটনায় একটি মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

নাটোর শহরতলির ফুলবাগান এলাকার সেলিম ভূঁইয়া নামের এক ব্যবসায়ীর গুদাম থেকে ১৫০ বস্তা চাল লুট করে নিয়েছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল সোমবার দিবাগত রাত ২টার দিকে এই ঘটনা ঘটে।
সিসিটিভি ফুটেজ দেখে পুলিশ জানায়, সোমবার রাত আনুমানিক ২টার দিকে ফুলবাগান এলাকার সড়ক ভবন-সংলগ্ন সেলিম ট্রেডার্সের সামনে একটি ট্রাক এনে দাঁড় করায় দুর্বৃত্তরা। তারা শাটারের তালা ভেঙে ও কেটে দোকানে প্রবেশ করে ক্যাশ বাক্স থেকে নগদ ১২ হাজার টাকাসহ প্রায় ১৫০ বস্তা চাল ট্রাকে লোড করে নিয়ে যায়।
ব্যবসায়ী সেলিম ভূঁইয়া বলেন, ‘ফজরের নামাজের সময় স্থানীয় এক ব্যক্তি ফোনে জানান, গুদামের শাটার কাটা ও আরেকটি পুরোপুরি খোলা। পরে সেখানে এসে দেখি, দুর্বৃত্তরা স্তূপাকারে রাখা চালের বস্তাগুলো নিয়ে গেছে। স্টক রেজিস্টার থেকে জেনেছি, চালের বস্তা ছিল ১৫০টি।’
এ বিষয়ে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহাবুর রহমান আজকের পত্রিকাকে জানান, এই ঘটনায় একটি মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

যশোর জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, জেলার আট পৌরসভার মেয়র, আট উপজেলার চেয়ারম্যানসহ ১৭ জনপ্রতিনিধিকে অপসারণের নির্দেশ দিয়েছে সরকার। তাঁদের স্থানে জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ অন্য কর্মকর্তাদের প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
১৯ আগস্ট ২০২৪
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেছেন, ‘আমরা যে অঙ্গীকার নিয়ে এসেছিলাম, বিচারের কাজ শুরু করব। আমরা বিচারের কাজ শুরু করতে পেরেছি। আগামী সপ্তাহে ফ্যাসিস্ট খুনি শেখ হাসিনার বিচার হবে এবং একটা রায় পাব। এতে জুলাই শহীদদের পরিবারের কিছুটা হলেও ব্যাথা লাঘব হবে।’
৩ মিনিট আগে
মেহেরপুরের গাংনীতে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে ব্যাপক পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে গাংনী বাজারে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগে
সাতক্ষীরা-৩ (আশাশুনি-কালিগঞ্জ) আসনে বিএনপির মনোনয়ন না পাওয়ায় ‘গরিবের ডাক্তার’ নামে পরিচিত মো. শহিদুল আলমের সমর্থকেরা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন।
১ ঘণ্টা আগেদেবহাটা ও সাতক্ষীরা প্রতিনিধি

সাতক্ষীরা-৩ (আশাশুনি-কালিগঞ্জ) আসনে বিএনপির মনোনয়ন না পাওয়ায় ‘গরিবের ডাক্তার’ নামে পরিচিত মো. শহিদুল আলমের সমর্থকেরা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন।
আজ মঙ্গলবার সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত কালিগঞ্জ প্রধান মহাসড়কে স্থানীয় নেতা-কর্মী ও সমর্থকেরা টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেন। এতে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়, সাধারণ মানুষ ভোগান্তিতে পড়ে।
বিক্ষোভকারীরা অভিযোগ করেন, শহিদুল আলম দীর্ঘদিন ধরে সাধারণ মানুষের পাশে থেকে মানবিক সেবা দিয়ে আসছেন। কিন্তু তাঁকে মনোনয়ন না দিয়ে অন্যকে প্রার্থী করায় দলীয় নেতা-কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে।
এ সময় তাঁরা শহিদুল আলমকে মনোনয়ন দেওয়ার দাবিতে স্লোগান দেন এবং কেন্দ্রীয় নেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। বিক্ষোভে উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা জেলা বিএনপির সদস্য শেখ নুরুজ্জামান, নলতা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. আজিজুর রহমান, নলতা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি কেসমতুল বারি, সাধারণ সম্পাদক মিলন কুমার সরকার, কালিগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক দপ্তর সম্পাদক শেখ খায়রুল আলম, সাবেক ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক ও ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ।

সাতক্ষীরা-৩ (আশাশুনি-কালিগঞ্জ) আসনে বিএনপির মনোনয়ন না পাওয়ায় ‘গরিবের ডাক্তার’ নামে পরিচিত মো. শহিদুল আলমের সমর্থকেরা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন।
আজ মঙ্গলবার সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত কালিগঞ্জ প্রধান মহাসড়কে স্থানীয় নেতা-কর্মী ও সমর্থকেরা টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেন। এতে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়, সাধারণ মানুষ ভোগান্তিতে পড়ে।
বিক্ষোভকারীরা অভিযোগ করেন, শহিদুল আলম দীর্ঘদিন ধরে সাধারণ মানুষের পাশে থেকে মানবিক সেবা দিয়ে আসছেন। কিন্তু তাঁকে মনোনয়ন না দিয়ে অন্যকে প্রার্থী করায় দলীয় নেতা-কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে।
এ সময় তাঁরা শহিদুল আলমকে মনোনয়ন দেওয়ার দাবিতে স্লোগান দেন এবং কেন্দ্রীয় নেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। বিক্ষোভে উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা জেলা বিএনপির সদস্য শেখ নুরুজ্জামান, নলতা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. আজিজুর রহমান, নলতা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি কেসমতুল বারি, সাধারণ সম্পাদক মিলন কুমার সরকার, কালিগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক দপ্তর সম্পাদক শেখ খায়রুল আলম, সাবেক ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক ও ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ।

যশোর জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, জেলার আট পৌরসভার মেয়র, আট উপজেলার চেয়ারম্যানসহ ১৭ জনপ্রতিনিধিকে অপসারণের নির্দেশ দিয়েছে সরকার। তাঁদের স্থানে জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ অন্য কর্মকর্তাদের প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
১৯ আগস্ট ২০২৪
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেছেন, ‘আমরা যে অঙ্গীকার নিয়ে এসেছিলাম, বিচারের কাজ শুরু করব। আমরা বিচারের কাজ শুরু করতে পেরেছি। আগামী সপ্তাহে ফ্যাসিস্ট খুনি শেখ হাসিনার বিচার হবে এবং একটা রায় পাব। এতে জুলাই শহীদদের পরিবারের কিছুটা হলেও ব্যাথা লাঘব হবে।’
৩ মিনিট আগে
মেহেরপুরের গাংনীতে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে ব্যাপক পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে গাংনী বাজারে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগে
নাটোর শহরতলির ফুলবাগান এলাকার সেলিম ভূঁইয়া নামের এক ব্যবসায়ীর গুদাম থেকে ১৫০ বস্তা চাল লুট করে নিয়েছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল সোমবার দিবাগত রাত ২টার দিকে এই ঘটনা ঘটে। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে পুলিশ জানায়, সোমবার রাত আনুমানিক ২টার দিকে ফুলবাগান এলাকার সড়ক ভবন-সংলগ্ন সেলিম ট্রেডার্সের সামনে একটি ট্রাক এনে দাঁড়
১ ঘণ্টা আগে