ময়মনসিংহ প্রতিনিধি

‘আমার ছেলে তুহিন কালকে (বৃহস্পতিবার) বলেছিল, “আমি তোমাকে আগামী মাসে চোখের ডাক্তার দেখাব। ডাক্তার অপারেশন করানোর কথা বললে, অপারেশন করাব। আম্মা কোনো চিন্তা করো না। তুমি ভালো হয়ে যাবে।’’’ বুক চাপড়ে আহাজারি করতে করতে এসব কথা বলছিলেন গাজীপুরে দুর্বৃত্তদের হাতে নিহত সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিনের ৭৫ বছর বয়সী মা সাবিহা খাতুন।
আজ শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া উপজেলার ৬ নম্বর ফুলবাড়িয়া ইউনিয়নের ভাটিপাড়া গ্রামে তুহিনের বাড়িতে গিয়ে তাঁর মাকে এমন বিলাপ করতে দেখা যায়। তিনি মো. হাসান জামাল ও সাবিহা খাতুন দম্পতির ছেলে। পাঁচ ভাই ও দুই বোনের মাঝে সবার ছোট তুহিন।
আসাদুজ্জামান তুহিনের স্ত্রীর নাম মুক্তা আক্তার। তাঁদের দুটি শিশুসন্তান রয়েছে। বড় ছেলে তৌকিরের বয়স সাত এবং ছোট ছেলে ফাহিমের বয়স তিন বছর।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে গাজীপুরের চান্দনায় দুর্বৃত্তরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে তুহিনকে কুপিয়ে হত্যা করে। তাঁর মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে আজ সকাল থেকে আত্মীয়স্বজন, প্রতিবেশীরা তাঁর গ্রামের বাড়ি ভাটিপাড়া আসতে শুরু করেন।
ছেলের নির্মম মৃত্যুর খবরে পাগলপ্রায় বৃদ্ধ বাবা মো. হাসান জামাল। ক্ষণেক্ষণেই মূর্ছা যাচ্ছিলেন তিনি। আহাজারি করতে করতে হাসান জামাল বলেন, ‘কী অপরাধ করেছিল আমার ছেলে? কী অন্যায় করেছিল সে? কেন এমন হলো। আমি কারও ক্ষতি চাই না। তোমরা আমার ছেলেকে এনে দাও।’
তুহিনের বোন সাইদা আক্তার রত্না বলেন, ‘মাঝে মাঝে আমাদের খোঁজখবর নেয়। আমার ভাই কোনো দিন কোনো রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিল না। কখনো খারাপ ছেলেদের সঙ্গে আড্ডা দিত না। কেন আমার ভাইকে হত্যা করা হলো। আমার ভাইয়ের কী অপরাধ ছিল। আমার ভাইকে যারা হত্যা করেছে, তাদের ফাঁসি চাই।’ এসব কথা বলতে বলতে কান্নায় ভেঙে পড়েন রত্না।

বাড়িতে উপস্থিত স্বজনেরা জানান, আসাদুজ্জামান তুহিন ২০০৫ সালে ফুলবাড়িয়া আল হেরা স্কুল থেকে এসএসসি, ২০০৭ সালে সিলেট এম সাইফুর রহমান কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। এরপর গাজীপুরের ভাওয়াল কলেজ থেকে অনার্স করে সেখানে ভাই জসিম উদ্দিনের ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত হন। পরে একটি ওষুধ কোম্পানিতে চাকরি নেন। পাশাপাশি ২০১২ সালে সংবাদপত্রে কাজ শুরু করে ওষুধ কোম্পানির চাকরি ছেড়ে দেন। এরই মধ্যে ২০০৯ বা ১০ সালের দিকে হঠাৎ বড় ভাই জসিম ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে মারা যান।
তুহিন গাজীপুরে বসবাস করতেন। তাঁর অপর ভাই সেলিমও সেখানে থাকেন। সেলিম পরিবহনশ্রমিকের কাজ করেন। দ্বিতীয় ভাই জাহাঙ্গীর আলম কক্সবাজারের টেকনাফে পরিবার নিয়ে বসবাস করেন এবং অন্য ভাই শাজাহান মিয়া সিলেটে বসবাস করেন। তাঁদের দুই বোনের বিয়ে হয়ে যাওয়ায় বর্তমানে গ্রামের বাড়িতে বৃদ্ধ বাবা ও মা বসবাস করেন। তাঁরা বার্ধক্যজনিত নানা রোগে আক্রান্ত। ছেলেরাই তাঁদের দেখভাল করে আসছিলেন।
জানা গেছে, গাজীপুর নগরীর চান্দনা চৌরাস্তায় গতকাল রাত ৮টার দিকে আসাদুজ্জামান তুহিনকে (৩৮) কুপিয়ে হত্যা করেন চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও ছিনতাইকারী দলের সদস্যরা। তাঁরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে এক ব্যক্তিকে ধাওয়া করেছিলেন। সাংবাদিক আসাদুজ্জামান সেই দৃশ্য মোবাইল ফোনে ভিডিও করছিলেন। তখন আসাদুজ্জামানকে ধাওয়া করে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। ঘটনাস্থলের একটি দোকানের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে এ তথ্য জানিয়েছে পুলিশ।
তুহিনের সহকর্মী শামীম হোসেন বলেন, ‘চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় আমরা দুজন একদিক থেকে অন্য পাশে হেঁটে যাচ্ছিলাম। ঠিক এমন সময় একজন নারী ও পুরুষ আমাদের পাশ কাটিয়ে চলে যান। এমন সময় কয়েকজন লোক দেশীয় ধারালো অস্ত্র নিয়ে বলতে থাকেন—এই পাইছি, তোরা আয়। ওই ব্যক্তি দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করেন। তখন তাঁরা ধারালো অস্ত্র নিয়ে তাঁকে ধাওয়া করেন। এ সময় তুহিন মোবাইল ফোন বের করে তাঁদের পেছনে দৌড় দেন। পরে আমি তুহিনকে খুঁজতে এগিয়ে যাই। অস্ত্রধারী ব্যক্তিরা হঠাৎ থেমে গিয়ে পেছনে তাকান। তুহিন তখন দৌড়ে চায়ের দোকানে ঢুকে যান। ঠিক ওই মুহূর্তে তাঁরাও চায়ের দোকানে ঢুকে তুহিনকে কুপিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যান। আমি চৌরাস্তা এলাকায় পুলিশের গাড়ি খুঁজতে থাকি। কোনো গাড়ি দেখতে না পেয়ে বাসন থানার ওসিকে ফোন করি। কিছু সময় পর পুলিশ আসে।’
ঘটনার পর রাতেই নিহত তুহিনের বড় ভাই মো. সেলিম ও অপর একজন বাদী হয়ে গাজীপুর মহানগরীর বাসন থানায় দুটি মামলা করেন।
বাসন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহীন খান বলেন, এ ঘটনায় পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। অপরাধে জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেলে তাঁদের গ্রেপ্তার দেখানো হবে।
গাজীপুর মহানগর পুলিশের উপকমিশনার (অপরাধ, উত্তর) মো. রবিউল হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের ধারণা, একজনকে মারধরের ঘটনার ভিডিও ধারণ করায় তুহিনকে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে।’

‘আমার ছেলে তুহিন কালকে (বৃহস্পতিবার) বলেছিল, “আমি তোমাকে আগামী মাসে চোখের ডাক্তার দেখাব। ডাক্তার অপারেশন করানোর কথা বললে, অপারেশন করাব। আম্মা কোনো চিন্তা করো না। তুমি ভালো হয়ে যাবে।’’’ বুক চাপড়ে আহাজারি করতে করতে এসব কথা বলছিলেন গাজীপুরে দুর্বৃত্তদের হাতে নিহত সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিনের ৭৫ বছর বয়সী মা সাবিহা খাতুন।
আজ শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া উপজেলার ৬ নম্বর ফুলবাড়িয়া ইউনিয়নের ভাটিপাড়া গ্রামে তুহিনের বাড়িতে গিয়ে তাঁর মাকে এমন বিলাপ করতে দেখা যায়। তিনি মো. হাসান জামাল ও সাবিহা খাতুন দম্পতির ছেলে। পাঁচ ভাই ও দুই বোনের মাঝে সবার ছোট তুহিন।
আসাদুজ্জামান তুহিনের স্ত্রীর নাম মুক্তা আক্তার। তাঁদের দুটি শিশুসন্তান রয়েছে। বড় ছেলে তৌকিরের বয়স সাত এবং ছোট ছেলে ফাহিমের বয়স তিন বছর।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে গাজীপুরের চান্দনায় দুর্বৃত্তরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে তুহিনকে কুপিয়ে হত্যা করে। তাঁর মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে আজ সকাল থেকে আত্মীয়স্বজন, প্রতিবেশীরা তাঁর গ্রামের বাড়ি ভাটিপাড়া আসতে শুরু করেন।
ছেলের নির্মম মৃত্যুর খবরে পাগলপ্রায় বৃদ্ধ বাবা মো. হাসান জামাল। ক্ষণেক্ষণেই মূর্ছা যাচ্ছিলেন তিনি। আহাজারি করতে করতে হাসান জামাল বলেন, ‘কী অপরাধ করেছিল আমার ছেলে? কী অন্যায় করেছিল সে? কেন এমন হলো। আমি কারও ক্ষতি চাই না। তোমরা আমার ছেলেকে এনে দাও।’
তুহিনের বোন সাইদা আক্তার রত্না বলেন, ‘মাঝে মাঝে আমাদের খোঁজখবর নেয়। আমার ভাই কোনো দিন কোনো রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিল না। কখনো খারাপ ছেলেদের সঙ্গে আড্ডা দিত না। কেন আমার ভাইকে হত্যা করা হলো। আমার ভাইয়ের কী অপরাধ ছিল। আমার ভাইকে যারা হত্যা করেছে, তাদের ফাঁসি চাই।’ এসব কথা বলতে বলতে কান্নায় ভেঙে পড়েন রত্না।

বাড়িতে উপস্থিত স্বজনেরা জানান, আসাদুজ্জামান তুহিন ২০০৫ সালে ফুলবাড়িয়া আল হেরা স্কুল থেকে এসএসসি, ২০০৭ সালে সিলেট এম সাইফুর রহমান কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। এরপর গাজীপুরের ভাওয়াল কলেজ থেকে অনার্স করে সেখানে ভাই জসিম উদ্দিনের ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত হন। পরে একটি ওষুধ কোম্পানিতে চাকরি নেন। পাশাপাশি ২০১২ সালে সংবাদপত্রে কাজ শুরু করে ওষুধ কোম্পানির চাকরি ছেড়ে দেন। এরই মধ্যে ২০০৯ বা ১০ সালের দিকে হঠাৎ বড় ভাই জসিম ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে মারা যান।
তুহিন গাজীপুরে বসবাস করতেন। তাঁর অপর ভাই সেলিমও সেখানে থাকেন। সেলিম পরিবহনশ্রমিকের কাজ করেন। দ্বিতীয় ভাই জাহাঙ্গীর আলম কক্সবাজারের টেকনাফে পরিবার নিয়ে বসবাস করেন এবং অন্য ভাই শাজাহান মিয়া সিলেটে বসবাস করেন। তাঁদের দুই বোনের বিয়ে হয়ে যাওয়ায় বর্তমানে গ্রামের বাড়িতে বৃদ্ধ বাবা ও মা বসবাস করেন। তাঁরা বার্ধক্যজনিত নানা রোগে আক্রান্ত। ছেলেরাই তাঁদের দেখভাল করে আসছিলেন।
জানা গেছে, গাজীপুর নগরীর চান্দনা চৌরাস্তায় গতকাল রাত ৮টার দিকে আসাদুজ্জামান তুহিনকে (৩৮) কুপিয়ে হত্যা করেন চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও ছিনতাইকারী দলের সদস্যরা। তাঁরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে এক ব্যক্তিকে ধাওয়া করেছিলেন। সাংবাদিক আসাদুজ্জামান সেই দৃশ্য মোবাইল ফোনে ভিডিও করছিলেন। তখন আসাদুজ্জামানকে ধাওয়া করে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। ঘটনাস্থলের একটি দোকানের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে এ তথ্য জানিয়েছে পুলিশ।
তুহিনের সহকর্মী শামীম হোসেন বলেন, ‘চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় আমরা দুজন একদিক থেকে অন্য পাশে হেঁটে যাচ্ছিলাম। ঠিক এমন সময় একজন নারী ও পুরুষ আমাদের পাশ কাটিয়ে চলে যান। এমন সময় কয়েকজন লোক দেশীয় ধারালো অস্ত্র নিয়ে বলতে থাকেন—এই পাইছি, তোরা আয়। ওই ব্যক্তি দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করেন। তখন তাঁরা ধারালো অস্ত্র নিয়ে তাঁকে ধাওয়া করেন। এ সময় তুহিন মোবাইল ফোন বের করে তাঁদের পেছনে দৌড় দেন। পরে আমি তুহিনকে খুঁজতে এগিয়ে যাই। অস্ত্রধারী ব্যক্তিরা হঠাৎ থেমে গিয়ে পেছনে তাকান। তুহিন তখন দৌড়ে চায়ের দোকানে ঢুকে যান। ঠিক ওই মুহূর্তে তাঁরাও চায়ের দোকানে ঢুকে তুহিনকে কুপিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যান। আমি চৌরাস্তা এলাকায় পুলিশের গাড়ি খুঁজতে থাকি। কোনো গাড়ি দেখতে না পেয়ে বাসন থানার ওসিকে ফোন করি। কিছু সময় পর পুলিশ আসে।’
ঘটনার পর রাতেই নিহত তুহিনের বড় ভাই মো. সেলিম ও অপর একজন বাদী হয়ে গাজীপুর মহানগরীর বাসন থানায় দুটি মামলা করেন।
বাসন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহীন খান বলেন, এ ঘটনায় পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। অপরাধে জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেলে তাঁদের গ্রেপ্তার দেখানো হবে।
গাজীপুর মহানগর পুলিশের উপকমিশনার (অপরাধ, উত্তর) মো. রবিউল হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের ধারণা, একজনকে মারধরের ঘটনার ভিডিও ধারণ করায় তুহিনকে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে।’
ময়মনসিংহ প্রতিনিধি

‘আমার ছেলে তুহিন কালকে (বৃহস্পতিবার) বলেছিল, “আমি তোমাকে আগামী মাসে চোখের ডাক্তার দেখাব। ডাক্তার অপারেশন করানোর কথা বললে, অপারেশন করাব। আম্মা কোনো চিন্তা করো না। তুমি ভালো হয়ে যাবে।’’’ বুক চাপড়ে আহাজারি করতে করতে এসব কথা বলছিলেন গাজীপুরে দুর্বৃত্তদের হাতে নিহত সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিনের ৭৫ বছর বয়সী মা সাবিহা খাতুন।
আজ শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া উপজেলার ৬ নম্বর ফুলবাড়িয়া ইউনিয়নের ভাটিপাড়া গ্রামে তুহিনের বাড়িতে গিয়ে তাঁর মাকে এমন বিলাপ করতে দেখা যায়। তিনি মো. হাসান জামাল ও সাবিহা খাতুন দম্পতির ছেলে। পাঁচ ভাই ও দুই বোনের মাঝে সবার ছোট তুহিন।
আসাদুজ্জামান তুহিনের স্ত্রীর নাম মুক্তা আক্তার। তাঁদের দুটি শিশুসন্তান রয়েছে। বড় ছেলে তৌকিরের বয়স সাত এবং ছোট ছেলে ফাহিমের বয়স তিন বছর।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে গাজীপুরের চান্দনায় দুর্বৃত্তরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে তুহিনকে কুপিয়ে হত্যা করে। তাঁর মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে আজ সকাল থেকে আত্মীয়স্বজন, প্রতিবেশীরা তাঁর গ্রামের বাড়ি ভাটিপাড়া আসতে শুরু করেন।
ছেলের নির্মম মৃত্যুর খবরে পাগলপ্রায় বৃদ্ধ বাবা মো. হাসান জামাল। ক্ষণেক্ষণেই মূর্ছা যাচ্ছিলেন তিনি। আহাজারি করতে করতে হাসান জামাল বলেন, ‘কী অপরাধ করেছিল আমার ছেলে? কী অন্যায় করেছিল সে? কেন এমন হলো। আমি কারও ক্ষতি চাই না। তোমরা আমার ছেলেকে এনে দাও।’
তুহিনের বোন সাইদা আক্তার রত্না বলেন, ‘মাঝে মাঝে আমাদের খোঁজখবর নেয়। আমার ভাই কোনো দিন কোনো রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিল না। কখনো খারাপ ছেলেদের সঙ্গে আড্ডা দিত না। কেন আমার ভাইকে হত্যা করা হলো। আমার ভাইয়ের কী অপরাধ ছিল। আমার ভাইকে যারা হত্যা করেছে, তাদের ফাঁসি চাই।’ এসব কথা বলতে বলতে কান্নায় ভেঙে পড়েন রত্না।

বাড়িতে উপস্থিত স্বজনেরা জানান, আসাদুজ্জামান তুহিন ২০০৫ সালে ফুলবাড়িয়া আল হেরা স্কুল থেকে এসএসসি, ২০০৭ সালে সিলেট এম সাইফুর রহমান কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। এরপর গাজীপুরের ভাওয়াল কলেজ থেকে অনার্স করে সেখানে ভাই জসিম উদ্দিনের ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত হন। পরে একটি ওষুধ কোম্পানিতে চাকরি নেন। পাশাপাশি ২০১২ সালে সংবাদপত্রে কাজ শুরু করে ওষুধ কোম্পানির চাকরি ছেড়ে দেন। এরই মধ্যে ২০০৯ বা ১০ সালের দিকে হঠাৎ বড় ভাই জসিম ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে মারা যান।
তুহিন গাজীপুরে বসবাস করতেন। তাঁর অপর ভাই সেলিমও সেখানে থাকেন। সেলিম পরিবহনশ্রমিকের কাজ করেন। দ্বিতীয় ভাই জাহাঙ্গীর আলম কক্সবাজারের টেকনাফে পরিবার নিয়ে বসবাস করেন এবং অন্য ভাই শাজাহান মিয়া সিলেটে বসবাস করেন। তাঁদের দুই বোনের বিয়ে হয়ে যাওয়ায় বর্তমানে গ্রামের বাড়িতে বৃদ্ধ বাবা ও মা বসবাস করেন। তাঁরা বার্ধক্যজনিত নানা রোগে আক্রান্ত। ছেলেরাই তাঁদের দেখভাল করে আসছিলেন।
জানা গেছে, গাজীপুর নগরীর চান্দনা চৌরাস্তায় গতকাল রাত ৮টার দিকে আসাদুজ্জামান তুহিনকে (৩৮) কুপিয়ে হত্যা করেন চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও ছিনতাইকারী দলের সদস্যরা। তাঁরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে এক ব্যক্তিকে ধাওয়া করেছিলেন। সাংবাদিক আসাদুজ্জামান সেই দৃশ্য মোবাইল ফোনে ভিডিও করছিলেন। তখন আসাদুজ্জামানকে ধাওয়া করে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। ঘটনাস্থলের একটি দোকানের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে এ তথ্য জানিয়েছে পুলিশ।
তুহিনের সহকর্মী শামীম হোসেন বলেন, ‘চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় আমরা দুজন একদিক থেকে অন্য পাশে হেঁটে যাচ্ছিলাম। ঠিক এমন সময় একজন নারী ও পুরুষ আমাদের পাশ কাটিয়ে চলে যান। এমন সময় কয়েকজন লোক দেশীয় ধারালো অস্ত্র নিয়ে বলতে থাকেন—এই পাইছি, তোরা আয়। ওই ব্যক্তি দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করেন। তখন তাঁরা ধারালো অস্ত্র নিয়ে তাঁকে ধাওয়া করেন। এ সময় তুহিন মোবাইল ফোন বের করে তাঁদের পেছনে দৌড় দেন। পরে আমি তুহিনকে খুঁজতে এগিয়ে যাই। অস্ত্রধারী ব্যক্তিরা হঠাৎ থেমে গিয়ে পেছনে তাকান। তুহিন তখন দৌড়ে চায়ের দোকানে ঢুকে যান। ঠিক ওই মুহূর্তে তাঁরাও চায়ের দোকানে ঢুকে তুহিনকে কুপিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যান। আমি চৌরাস্তা এলাকায় পুলিশের গাড়ি খুঁজতে থাকি। কোনো গাড়ি দেখতে না পেয়ে বাসন থানার ওসিকে ফোন করি। কিছু সময় পর পুলিশ আসে।’
ঘটনার পর রাতেই নিহত তুহিনের বড় ভাই মো. সেলিম ও অপর একজন বাদী হয়ে গাজীপুর মহানগরীর বাসন থানায় দুটি মামলা করেন।
বাসন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহীন খান বলেন, এ ঘটনায় পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। অপরাধে জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেলে তাঁদের গ্রেপ্তার দেখানো হবে।
গাজীপুর মহানগর পুলিশের উপকমিশনার (অপরাধ, উত্তর) মো. রবিউল হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের ধারণা, একজনকে মারধরের ঘটনার ভিডিও ধারণ করায় তুহিনকে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে।’

‘আমার ছেলে তুহিন কালকে (বৃহস্পতিবার) বলেছিল, “আমি তোমাকে আগামী মাসে চোখের ডাক্তার দেখাব। ডাক্তার অপারেশন করানোর কথা বললে, অপারেশন করাব। আম্মা কোনো চিন্তা করো না। তুমি ভালো হয়ে যাবে।’’’ বুক চাপড়ে আহাজারি করতে করতে এসব কথা বলছিলেন গাজীপুরে দুর্বৃত্তদের হাতে নিহত সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিনের ৭৫ বছর বয়সী মা সাবিহা খাতুন।
আজ শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া উপজেলার ৬ নম্বর ফুলবাড়িয়া ইউনিয়নের ভাটিপাড়া গ্রামে তুহিনের বাড়িতে গিয়ে তাঁর মাকে এমন বিলাপ করতে দেখা যায়। তিনি মো. হাসান জামাল ও সাবিহা খাতুন দম্পতির ছেলে। পাঁচ ভাই ও দুই বোনের মাঝে সবার ছোট তুহিন।
আসাদুজ্জামান তুহিনের স্ত্রীর নাম মুক্তা আক্তার। তাঁদের দুটি শিশুসন্তান রয়েছে। বড় ছেলে তৌকিরের বয়স সাত এবং ছোট ছেলে ফাহিমের বয়স তিন বছর।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে গাজীপুরের চান্দনায় দুর্বৃত্তরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে তুহিনকে কুপিয়ে হত্যা করে। তাঁর মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে আজ সকাল থেকে আত্মীয়স্বজন, প্রতিবেশীরা তাঁর গ্রামের বাড়ি ভাটিপাড়া আসতে শুরু করেন।
ছেলের নির্মম মৃত্যুর খবরে পাগলপ্রায় বৃদ্ধ বাবা মো. হাসান জামাল। ক্ষণেক্ষণেই মূর্ছা যাচ্ছিলেন তিনি। আহাজারি করতে করতে হাসান জামাল বলেন, ‘কী অপরাধ করেছিল আমার ছেলে? কী অন্যায় করেছিল সে? কেন এমন হলো। আমি কারও ক্ষতি চাই না। তোমরা আমার ছেলেকে এনে দাও।’
তুহিনের বোন সাইদা আক্তার রত্না বলেন, ‘মাঝে মাঝে আমাদের খোঁজখবর নেয়। আমার ভাই কোনো দিন কোনো রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিল না। কখনো খারাপ ছেলেদের সঙ্গে আড্ডা দিত না। কেন আমার ভাইকে হত্যা করা হলো। আমার ভাইয়ের কী অপরাধ ছিল। আমার ভাইকে যারা হত্যা করেছে, তাদের ফাঁসি চাই।’ এসব কথা বলতে বলতে কান্নায় ভেঙে পড়েন রত্না।

বাড়িতে উপস্থিত স্বজনেরা জানান, আসাদুজ্জামান তুহিন ২০০৫ সালে ফুলবাড়িয়া আল হেরা স্কুল থেকে এসএসসি, ২০০৭ সালে সিলেট এম সাইফুর রহমান কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। এরপর গাজীপুরের ভাওয়াল কলেজ থেকে অনার্স করে সেখানে ভাই জসিম উদ্দিনের ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত হন। পরে একটি ওষুধ কোম্পানিতে চাকরি নেন। পাশাপাশি ২০১২ সালে সংবাদপত্রে কাজ শুরু করে ওষুধ কোম্পানির চাকরি ছেড়ে দেন। এরই মধ্যে ২০০৯ বা ১০ সালের দিকে হঠাৎ বড় ভাই জসিম ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে মারা যান।
তুহিন গাজীপুরে বসবাস করতেন। তাঁর অপর ভাই সেলিমও সেখানে থাকেন। সেলিম পরিবহনশ্রমিকের কাজ করেন। দ্বিতীয় ভাই জাহাঙ্গীর আলম কক্সবাজারের টেকনাফে পরিবার নিয়ে বসবাস করেন এবং অন্য ভাই শাজাহান মিয়া সিলেটে বসবাস করেন। তাঁদের দুই বোনের বিয়ে হয়ে যাওয়ায় বর্তমানে গ্রামের বাড়িতে বৃদ্ধ বাবা ও মা বসবাস করেন। তাঁরা বার্ধক্যজনিত নানা রোগে আক্রান্ত। ছেলেরাই তাঁদের দেখভাল করে আসছিলেন।
জানা গেছে, গাজীপুর নগরীর চান্দনা চৌরাস্তায় গতকাল রাত ৮টার দিকে আসাদুজ্জামান তুহিনকে (৩৮) কুপিয়ে হত্যা করেন চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও ছিনতাইকারী দলের সদস্যরা। তাঁরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে এক ব্যক্তিকে ধাওয়া করেছিলেন। সাংবাদিক আসাদুজ্জামান সেই দৃশ্য মোবাইল ফোনে ভিডিও করছিলেন। তখন আসাদুজ্জামানকে ধাওয়া করে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। ঘটনাস্থলের একটি দোকানের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে এ তথ্য জানিয়েছে পুলিশ।
তুহিনের সহকর্মী শামীম হোসেন বলেন, ‘চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় আমরা দুজন একদিক থেকে অন্য পাশে হেঁটে যাচ্ছিলাম। ঠিক এমন সময় একজন নারী ও পুরুষ আমাদের পাশ কাটিয়ে চলে যান। এমন সময় কয়েকজন লোক দেশীয় ধারালো অস্ত্র নিয়ে বলতে থাকেন—এই পাইছি, তোরা আয়। ওই ব্যক্তি দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করেন। তখন তাঁরা ধারালো অস্ত্র নিয়ে তাঁকে ধাওয়া করেন। এ সময় তুহিন মোবাইল ফোন বের করে তাঁদের পেছনে দৌড় দেন। পরে আমি তুহিনকে খুঁজতে এগিয়ে যাই। অস্ত্রধারী ব্যক্তিরা হঠাৎ থেমে গিয়ে পেছনে তাকান। তুহিন তখন দৌড়ে চায়ের দোকানে ঢুকে যান। ঠিক ওই মুহূর্তে তাঁরাও চায়ের দোকানে ঢুকে তুহিনকে কুপিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যান। আমি চৌরাস্তা এলাকায় পুলিশের গাড়ি খুঁজতে থাকি। কোনো গাড়ি দেখতে না পেয়ে বাসন থানার ওসিকে ফোন করি। কিছু সময় পর পুলিশ আসে।’
ঘটনার পর রাতেই নিহত তুহিনের বড় ভাই মো. সেলিম ও অপর একজন বাদী হয়ে গাজীপুর মহানগরীর বাসন থানায় দুটি মামলা করেন।
বাসন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহীন খান বলেন, এ ঘটনায় পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। অপরাধে জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেলে তাঁদের গ্রেপ্তার দেখানো হবে।
গাজীপুর মহানগর পুলিশের উপকমিশনার (অপরাধ, উত্তর) মো. রবিউল হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের ধারণা, একজনকে মারধরের ঘটনার ভিডিও ধারণ করায় তুহিনকে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে।’

সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলায় রোহিঙ্গা নারী রোকেয়া বেগমকে নাগরিক ও চারিত্রিক সনদ দেওয়ার ঘটনায় ভদ্রঘাট ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) প্যানেল চেয়ারম্যান মো. লিয়াকত আলী খান মোহামকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে।
৭ মিনিট আগে
এদিকে পিস্তল ঠেকিয়ে গুলি করার সময় মোবাইলে লাইভে ব্যস্ত যুবককে নিয়েও সন্দেহের সৃষ্টি হয়েছে। পিস্তল হাতে হামলাকারী যুবক লাইভে থাকা যুবককে ঠেলে সামনে হাত বাড়িয়ে বাবলাকে গুলি করেন। এ বিষয়ে বাবলার ভাই আজিজকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘ভারতে অবস্থানরত সাজ্জাদ (বড় সাজ্জাদ) আমার ভাইকে গুলি করার দৃশ্য...
১১ মিনিট আগে
সিরাজগঞ্জের তাড়াশে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে সংঘর্ষের ঘটনায় করা মামলায় সাজাপ্রাপ্ত একই পরিবারের ৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল বুধবার রাতে নিজ বাড়ি থেকে পুলিশ তাঁদের গ্রেপ্তার করে। তাড়াশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জিয়াউর রহমান এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
১৯ মিনিট আগে
লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলায় একটি তুলার গুদামে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। আজ বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) দুপুরে উপজেলার তুষভান্ডার ইউনিয়নের কাকিনা খাদ্যগুদাম এলাকার সালেমা অটোরাইস মিলের ভেতরে থাকা তুলার গোডাউনে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
১৯ মিনিট আগেসিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি

সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলায় রোহিঙ্গা নারী রোকেয়া বেগমকে নাগরিক ও চারিত্রিক সনদ দেওয়ার ঘটনায় ভদ্রঘাট ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) প্যানেল চেয়ারম্যান মো. লিয়াকত আলী খান মোহামকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে।
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপসচিব মো. নুরে আলম স্বাক্ষরিত সাময়িক বরখাস্তের আদেশের চিঠিটি গত ২০ অক্টোবর ইস্যু হলেও প্যানেল চেয়ারম্যান এটি ৩ নভেম্বর হাতে পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন ভদ্রঘাট ইউনিয়ন পরিষদের সচিব ওমর ফারুক। এরপর বিষয়টি আজ বৃহস্পতিবার জানাজানি হয়।
জানা গেছে, রোহিঙ্গা রোকেয়া বেগম বাংলাদেশি নাগরিক না হয়েও ভদ্রঘাট ইউনিয়ন পরিষদ থেকে নাগরিক সনদপত্র সংগ্রহ করেন। সেই সনদ ব্যবহার করে তিনি জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) করার জন্য কামারখন্দ উপজেলা নির্বাচন অফিসে গেলে ধরা পড়েন।
এর আগে গত ২৫ আগস্টে রোকেয়া বেগম ও তাঁর স্বামী মো. আনিছ ভুয়া কাগজপত্র নিয়ে এনআইডি করতে গেলে নির্বাচন কর্মকর্তার সন্দেহ হয়। পরে জিজ্ঞাসাবাদে তাঁরা কক্সবাজারের উখিয়া টেংখালী ক্যাম্প-১২, জি-৪ ব্লকের রোহিঙ্গা শরণার্থী বলে স্বীকার করেন। আর ওই দিন বিকেলেই কামারখন্দ উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মাসুদ রানা বাদী হয়ে কামারখন্দ থানায় মামলা করেন। এরপর পুলিশ রোকেয়া ও তাঁর স্বামী আনিছকে গ্রেপ্তার করে জেলহাজতে পাঠায়।
রোকেয়ার নাগরিক সনদে দেখা গেছে, ৪০২ নম্বর ক্রমিকের ওই সনদটি ইস্যু করা হয়েছে গত ৮ আগস্ট। তাতে রোকেয়ার নাম, পিতার নাম সাব্বির আহমেদ, মাতার নাম রাশিদা বেগম ও ঠিকানা বানিয়াগাতী গ্রাম উল্লেখ আছে। তাতে স্বাক্ষর করেছেন ইউপি প্যানেল চেয়ারম্যান মো. লিয়াকত আলী।
জানতে চাইলে প্যানেল চেয়ারম্যান মো. লিয়াকত আলী বলেন, ‘আমাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে, তবে আমার স্বাক্ষর জাল করে ওই সনদ তৈরি করা হয়েছে। আমি এতে জড়িত নই। এ বিষয়ে আমি লিখিত জবাব আজ সন্ধ্যার আগেই অফিসে জমা দেব।’
এ বিষয়ে কামারখন্দ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বিপাশা হোসাইন বলেন, তাঁকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে এবং ১০ কর্মদিবসের মধ্যে লিখিত জবাব দিতে বলা হয়েছে। তাঁর জবাব পাওয়ার পর জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে।

সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলায় রোহিঙ্গা নারী রোকেয়া বেগমকে নাগরিক ও চারিত্রিক সনদ দেওয়ার ঘটনায় ভদ্রঘাট ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) প্যানেল চেয়ারম্যান মো. লিয়াকত আলী খান মোহামকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে।
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপসচিব মো. নুরে আলম স্বাক্ষরিত সাময়িক বরখাস্তের আদেশের চিঠিটি গত ২০ অক্টোবর ইস্যু হলেও প্যানেল চেয়ারম্যান এটি ৩ নভেম্বর হাতে পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন ভদ্রঘাট ইউনিয়ন পরিষদের সচিব ওমর ফারুক। এরপর বিষয়টি আজ বৃহস্পতিবার জানাজানি হয়।
জানা গেছে, রোহিঙ্গা রোকেয়া বেগম বাংলাদেশি নাগরিক না হয়েও ভদ্রঘাট ইউনিয়ন পরিষদ থেকে নাগরিক সনদপত্র সংগ্রহ করেন। সেই সনদ ব্যবহার করে তিনি জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) করার জন্য কামারখন্দ উপজেলা নির্বাচন অফিসে গেলে ধরা পড়েন।
এর আগে গত ২৫ আগস্টে রোকেয়া বেগম ও তাঁর স্বামী মো. আনিছ ভুয়া কাগজপত্র নিয়ে এনআইডি করতে গেলে নির্বাচন কর্মকর্তার সন্দেহ হয়। পরে জিজ্ঞাসাবাদে তাঁরা কক্সবাজারের উখিয়া টেংখালী ক্যাম্প-১২, জি-৪ ব্লকের রোহিঙ্গা শরণার্থী বলে স্বীকার করেন। আর ওই দিন বিকেলেই কামারখন্দ উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মাসুদ রানা বাদী হয়ে কামারখন্দ থানায় মামলা করেন। এরপর পুলিশ রোকেয়া ও তাঁর স্বামী আনিছকে গ্রেপ্তার করে জেলহাজতে পাঠায়।
রোকেয়ার নাগরিক সনদে দেখা গেছে, ৪০২ নম্বর ক্রমিকের ওই সনদটি ইস্যু করা হয়েছে গত ৮ আগস্ট। তাতে রোকেয়ার নাম, পিতার নাম সাব্বির আহমেদ, মাতার নাম রাশিদা বেগম ও ঠিকানা বানিয়াগাতী গ্রাম উল্লেখ আছে। তাতে স্বাক্ষর করেছেন ইউপি প্যানেল চেয়ারম্যান মো. লিয়াকত আলী।
জানতে চাইলে প্যানেল চেয়ারম্যান মো. লিয়াকত আলী বলেন, ‘আমাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে, তবে আমার স্বাক্ষর জাল করে ওই সনদ তৈরি করা হয়েছে। আমি এতে জড়িত নই। এ বিষয়ে আমি লিখিত জবাব আজ সন্ধ্যার আগেই অফিসে জমা দেব।’
এ বিষয়ে কামারখন্দ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বিপাশা হোসাইন বলেন, তাঁকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে এবং ১০ কর্মদিবসের মধ্যে লিখিত জবাব দিতে বলা হয়েছে। তাঁর জবাব পাওয়ার পর জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে।

‘আমার ছেলে তুহিন কালকে (বৃহস্পতিবার) বলেছিল, “আমি তোমাকে আগামী মাসে চোখের ডাক্তার দেখাব। ডাক্তার অপারেশন করানোর কথা বললে, অপারেশন করাব। আম্মা কোনো চিন্তা করো না। তুমি ভালো হয়ে যাবে।’’’
০৮ আগস্ট ২০২৫
এদিকে পিস্তল ঠেকিয়ে গুলি করার সময় মোবাইলে লাইভে ব্যস্ত যুবককে নিয়েও সন্দেহের সৃষ্টি হয়েছে। পিস্তল হাতে হামলাকারী যুবক লাইভে থাকা যুবককে ঠেলে সামনে হাত বাড়িয়ে বাবলাকে গুলি করেন। এ বিষয়ে বাবলার ভাই আজিজকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘ভারতে অবস্থানরত সাজ্জাদ (বড় সাজ্জাদ) আমার ভাইকে গুলি করার দৃশ্য...
১১ মিনিট আগে
সিরাজগঞ্জের তাড়াশে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে সংঘর্ষের ঘটনায় করা মামলায় সাজাপ্রাপ্ত একই পরিবারের ৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল বুধবার রাতে নিজ বাড়ি থেকে পুলিশ তাঁদের গ্রেপ্তার করে। তাড়াশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জিয়াউর রহমান এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
১৯ মিনিট আগে
লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলায় একটি তুলার গুদামে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। আজ বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) দুপুরে উপজেলার তুষভান্ডার ইউনিয়নের কাকিনা খাদ্যগুদাম এলাকার সালেমা অটোরাইস মিলের ভেতরে থাকা তুলার গোডাউনে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
১৯ মিনিট আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

‘তোর সময় শেষ, যা খাওয়ার খেয়ে নে’—গুলি করে হত্যার তিন দিন আগে মোবাইল ফোনে এমন হুমকি দেওয়া হয়েছিল ‘সন্ত্রাসী’ সরোয়ার হোসেন ওরফে বাবলাকে (৪৩)। প্রতিপক্ষ চট্টগ্রামের দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী সাজ্জাদ হোসেন ওরফে ছোট সাজ্জাদের সেকেন্ড ইন কমান্ড রায়হান এই হুমকি দিয়েছিলেন বলে বাবলার বাবার অভিযোগ।
হত্যাকাণ্ডের পর গতকাল বুধবার রাতে বাবলার বাবা আবদুল কাদের চট্টগ্রাম নগরের বায়েজিদ বোস্তামীর চালিতাতলী এলাকার খন্দকারপাড়ার বাড়িতে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।

এর আগে গতকাল সন্ধ্যার পর নগরীর চালিতাতলী হাজির পোল এলাকায় চট্টগ্রাম-৮ (বোয়ালখালী ও চান্দগাঁও) আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী ও চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এরশাদ উল্লাহর গণসংযোগের সময় পেছন থেকে গুলিতে বাবলার মৃত্যু হয়।
আবদুল কাদের জানান, তাঁর ছেলেকে গুলি করে হত্যার আগে দুবার ‘খতম’ করার হুমকি দিয়েছিল প্রতিপক্ষ সন্ত্রাসী গ্রুপ। সাত দিন ও তিন দিন আগে এসব হুমকি এসেছিল। বাবলা এ বিষয়ে সতর্ক থাকলেও একেবারে নিজ এলাকায় ঢুকে এভাবে গুলি করার বিষয়টি তিনি তেমন আমলে নেননি। কারণ, হুমকি এসেছিল মোবাইল ফোনে।
বাবলার ছোট ভাই মো. আজিজ বলেন, ‘এক সপ্তাহ আগে আমার ভাইকে প্রাণে মারার হুমকি দিয়েছিল হত্যাকারীরা। ওরা বলেছিল আমার ভাইয়ের সময় আর এক সপ্তাহ আছে। ওরা একাধিকবার এক সপ্তাহ সময় আছে জানিয়ে হুমকি দিত। হুমকির ঠিক এক সপ্তাহের মাথায় তারা আমার ভাইকে হত্যা করল।’
আজিজ কাতারপ্রবাসী ছিলেন। দুই বছর আগে দেশে আসেন। এলাকায় নতুন ভবন করার সময় ইট ও বালু সরবরাহের কাজ করেন। এ কারণে সাজ্জাদদের রোষানলে পড়েন তাঁরা। এ ক্ষেত্রে প্রতিপক্ষ শক্তি হিসেবে সাজ্জাদদের সামনে ছিলেন সরোয়ার হোসেন বাবলা।
এদিকে সরোয়ারের বাবা আবদুল কাদের সাংবাদিকদের জানান, তাঁর ছেলেকে প্রায়ই হুমকি দিতেন বিদেশে পলাতক সন্ত্রাসী সাজ্জাদ আলী, তাঁর সহযোগী সাজ্জাদ হোসেন ওরফে ছোট সাজ্জাদ, মো. রায়হান ও জিশানরা। গতকাল তাঁর বাড়ি থেকে ২০০ থেকে ৩০০ গজ দূরে রাস্তার পাশে দোকানে গণসংযোগ চালান বিএনপি নেতা এরশাদ উল্লাহ। একেবারে বাড়ির পাশে এসে কেউ তাঁকে হত্যা করবে, সে ব্যাপারে সতর্ক ছিলেন না বাবলা। পরিবারের সদস্যরাও তা কল্পনা করেননি।
আবদুল কাদের বলেন, ‘বাড়ির পাশে বায়তুন নুর জামে মসজিদে মাগরিবের নামাজে প্রথম কাতারে এরশাদ উল্লাহ, বাবলা দ্বিতীয় কাতারে ও আমি তৃতীয় কাতারে ছিলাম। নামাজ শেষে বের হওয়ার পরই সাত থেকে আট রাউন্ড গুলি। পরে দেখলাম, আমার ছেলে রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে পড়ে আছে। অটোরিকশায় করে হাসপাতালের পথে রওনা দিলাম ছেলেকে কোলে নিয়ে। তাড়াতাড়ি যাওয়ার জন্য মাঝপথে রিকশা ছেড়ে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় উঠে হাসপাতালে যাওয়ার আগেই আমার ছেলে আর নেই।’ পাঞ্জাবি ও লুঙ্গিতে লেগে থাকা ছোপ ছোপ রক্ত নিয়েই কথা বলছিলেন তিনি।
এদিকে পিস্তল ঠেকিয়ে গুলি করার সময় মোবাইলে লাইভে ব্যস্ত যুবককে নিয়েও সন্দেহের সৃষ্টি হয়েছে। পিস্তল হাতে হামলাকারী যুবক লাইভে থাকা যুবককে ঠেলে সামনে হাত বাড়িয়ে বাবলাকে গুলি করেন।
এ বিষয়ে বাবলার ভাই আজিজকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘ভারতে অবস্থানরত সাজ্জাদ (বড় সাজ্জাদ) আমার ভাইকে গুলি করার দৃশ্য দেখতে চেয়েছিল। এটা হয়তো দেখাচ্ছিল ওই যুবক।’
ওই যুবকের পরিচয় সম্পর্কে জানতে চাইলে বিএনপি নেতা ইদ্রিস আলী বলেন, ‘ওই যুবক অতি উৎসাহী হয়ে লাইভ করতে পারেন। তবে তাকে আমরা চিনতে পারছি না।’
জানা গেছে, সরোয়ার হোসেন বাবলার লাশ ময়নাতদন্তের জন্য আজ সকালে ফ্রিজ থেকে বের করে মর্গে নেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে ঘটনার পর ওই এলাকায় দোকানপাট বন্ধ রয়েছে। এলাকার পরিস্থিতি থমথমে। হত্যার সঙ্গে কারা জড়িত, সে বিষয়ে কেউ মুখ খুলতে রাজি নন। সবার মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। যে দোকানের ভেতরে বাবলাকে গুলি করা হয়েছে, সেটিও বন্ধ রয়েছে।
জানা গেছে, গতকাল মাগরিবের নামাজের পর বায়েজিদ বোস্তামী থানার চালিতাতলীর খন্দকারপাড়া এলাকায় নির্বাচনী জনসংযোগ করছিলেন চট্টগ্রাম-৮ আসনের বিএনপির প্রার্থী এরশাদ উল্লাহ। ‘চালিতাতলীর মাটি, এরশাদ ভাইয়ের ঘাঁটি’—এ ধরনের স্লোগানও চলছিল। একপর্যায়ে লিফলেট বিতরণের জন্য পাশের একটি দোকানে ঢোকেন এরশাদ উল্লাহ। তাঁর সঙ্গে ২০-২৫ জন নেতা-কর্মী ছিলেন। হত্যাকারীরা ওই নেতা-কর্মীদের বহরে ঢুকে মিশে যায়। হঠাৎ গুলির শব্দ। ছত্রভঙ্গ হয়ে যান নেতা-কর্মীরা। খুব কাছ থেকে ঘাড়ের নিচে পিস্তল ঠেকিয়ে গুলি করা হয় বাবলাকে। গুলিবিদ্ধ হন এরশাদ উল্লাহসহ চারজন। এরশাদ উল্লাহসহ অন্যরা নগরের বেসরকারি হাসপাতাল এভারকেয়ারে চিকিৎসাধীন। তাঁরা আশঙ্কামুক্ত বলে জানিয়েছেন ওই হাসপাতালের জিএম রাম প্রসাদ।

‘তোর সময় শেষ, যা খাওয়ার খেয়ে নে’—গুলি করে হত্যার তিন দিন আগে মোবাইল ফোনে এমন হুমকি দেওয়া হয়েছিল ‘সন্ত্রাসী’ সরোয়ার হোসেন ওরফে বাবলাকে (৪৩)। প্রতিপক্ষ চট্টগ্রামের দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী সাজ্জাদ হোসেন ওরফে ছোট সাজ্জাদের সেকেন্ড ইন কমান্ড রায়হান এই হুমকি দিয়েছিলেন বলে বাবলার বাবার অভিযোগ।
হত্যাকাণ্ডের পর গতকাল বুধবার রাতে বাবলার বাবা আবদুল কাদের চট্টগ্রাম নগরের বায়েজিদ বোস্তামীর চালিতাতলী এলাকার খন্দকারপাড়ার বাড়িতে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।

এর আগে গতকাল সন্ধ্যার পর নগরীর চালিতাতলী হাজির পোল এলাকায় চট্টগ্রাম-৮ (বোয়ালখালী ও চান্দগাঁও) আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী ও চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এরশাদ উল্লাহর গণসংযোগের সময় পেছন থেকে গুলিতে বাবলার মৃত্যু হয়।
আবদুল কাদের জানান, তাঁর ছেলেকে গুলি করে হত্যার আগে দুবার ‘খতম’ করার হুমকি দিয়েছিল প্রতিপক্ষ সন্ত্রাসী গ্রুপ। সাত দিন ও তিন দিন আগে এসব হুমকি এসেছিল। বাবলা এ বিষয়ে সতর্ক থাকলেও একেবারে নিজ এলাকায় ঢুকে এভাবে গুলি করার বিষয়টি তিনি তেমন আমলে নেননি। কারণ, হুমকি এসেছিল মোবাইল ফোনে।
বাবলার ছোট ভাই মো. আজিজ বলেন, ‘এক সপ্তাহ আগে আমার ভাইকে প্রাণে মারার হুমকি দিয়েছিল হত্যাকারীরা। ওরা বলেছিল আমার ভাইয়ের সময় আর এক সপ্তাহ আছে। ওরা একাধিকবার এক সপ্তাহ সময় আছে জানিয়ে হুমকি দিত। হুমকির ঠিক এক সপ্তাহের মাথায় তারা আমার ভাইকে হত্যা করল।’
আজিজ কাতারপ্রবাসী ছিলেন। দুই বছর আগে দেশে আসেন। এলাকায় নতুন ভবন করার সময় ইট ও বালু সরবরাহের কাজ করেন। এ কারণে সাজ্জাদদের রোষানলে পড়েন তাঁরা। এ ক্ষেত্রে প্রতিপক্ষ শক্তি হিসেবে সাজ্জাদদের সামনে ছিলেন সরোয়ার হোসেন বাবলা।
এদিকে সরোয়ারের বাবা আবদুল কাদের সাংবাদিকদের জানান, তাঁর ছেলেকে প্রায়ই হুমকি দিতেন বিদেশে পলাতক সন্ত্রাসী সাজ্জাদ আলী, তাঁর সহযোগী সাজ্জাদ হোসেন ওরফে ছোট সাজ্জাদ, মো. রায়হান ও জিশানরা। গতকাল তাঁর বাড়ি থেকে ২০০ থেকে ৩০০ গজ দূরে রাস্তার পাশে দোকানে গণসংযোগ চালান বিএনপি নেতা এরশাদ উল্লাহ। একেবারে বাড়ির পাশে এসে কেউ তাঁকে হত্যা করবে, সে ব্যাপারে সতর্ক ছিলেন না বাবলা। পরিবারের সদস্যরাও তা কল্পনা করেননি।
আবদুল কাদের বলেন, ‘বাড়ির পাশে বায়তুন নুর জামে মসজিদে মাগরিবের নামাজে প্রথম কাতারে এরশাদ উল্লাহ, বাবলা দ্বিতীয় কাতারে ও আমি তৃতীয় কাতারে ছিলাম। নামাজ শেষে বের হওয়ার পরই সাত থেকে আট রাউন্ড গুলি। পরে দেখলাম, আমার ছেলে রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে পড়ে আছে। অটোরিকশায় করে হাসপাতালের পথে রওনা দিলাম ছেলেকে কোলে নিয়ে। তাড়াতাড়ি যাওয়ার জন্য মাঝপথে রিকশা ছেড়ে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় উঠে হাসপাতালে যাওয়ার আগেই আমার ছেলে আর নেই।’ পাঞ্জাবি ও লুঙ্গিতে লেগে থাকা ছোপ ছোপ রক্ত নিয়েই কথা বলছিলেন তিনি।
এদিকে পিস্তল ঠেকিয়ে গুলি করার সময় মোবাইলে লাইভে ব্যস্ত যুবককে নিয়েও সন্দেহের সৃষ্টি হয়েছে। পিস্তল হাতে হামলাকারী যুবক লাইভে থাকা যুবককে ঠেলে সামনে হাত বাড়িয়ে বাবলাকে গুলি করেন।
এ বিষয়ে বাবলার ভাই আজিজকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘ভারতে অবস্থানরত সাজ্জাদ (বড় সাজ্জাদ) আমার ভাইকে গুলি করার দৃশ্য দেখতে চেয়েছিল। এটা হয়তো দেখাচ্ছিল ওই যুবক।’
ওই যুবকের পরিচয় সম্পর্কে জানতে চাইলে বিএনপি নেতা ইদ্রিস আলী বলেন, ‘ওই যুবক অতি উৎসাহী হয়ে লাইভ করতে পারেন। তবে তাকে আমরা চিনতে পারছি না।’
জানা গেছে, সরোয়ার হোসেন বাবলার লাশ ময়নাতদন্তের জন্য আজ সকালে ফ্রিজ থেকে বের করে মর্গে নেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে ঘটনার পর ওই এলাকায় দোকানপাট বন্ধ রয়েছে। এলাকার পরিস্থিতি থমথমে। হত্যার সঙ্গে কারা জড়িত, সে বিষয়ে কেউ মুখ খুলতে রাজি নন। সবার মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। যে দোকানের ভেতরে বাবলাকে গুলি করা হয়েছে, সেটিও বন্ধ রয়েছে।
জানা গেছে, গতকাল মাগরিবের নামাজের পর বায়েজিদ বোস্তামী থানার চালিতাতলীর খন্দকারপাড়া এলাকায় নির্বাচনী জনসংযোগ করছিলেন চট্টগ্রাম-৮ আসনের বিএনপির প্রার্থী এরশাদ উল্লাহ। ‘চালিতাতলীর মাটি, এরশাদ ভাইয়ের ঘাঁটি’—এ ধরনের স্লোগানও চলছিল। একপর্যায়ে লিফলেট বিতরণের জন্য পাশের একটি দোকানে ঢোকেন এরশাদ উল্লাহ। তাঁর সঙ্গে ২০-২৫ জন নেতা-কর্মী ছিলেন। হত্যাকারীরা ওই নেতা-কর্মীদের বহরে ঢুকে মিশে যায়। হঠাৎ গুলির শব্দ। ছত্রভঙ্গ হয়ে যান নেতা-কর্মীরা। খুব কাছ থেকে ঘাড়ের নিচে পিস্তল ঠেকিয়ে গুলি করা হয় বাবলাকে। গুলিবিদ্ধ হন এরশাদ উল্লাহসহ চারজন। এরশাদ উল্লাহসহ অন্যরা নগরের বেসরকারি হাসপাতাল এভারকেয়ারে চিকিৎসাধীন। তাঁরা আশঙ্কামুক্ত বলে জানিয়েছেন ওই হাসপাতালের জিএম রাম প্রসাদ।

‘আমার ছেলে তুহিন কালকে (বৃহস্পতিবার) বলেছিল, “আমি তোমাকে আগামী মাসে চোখের ডাক্তার দেখাব। ডাক্তার অপারেশন করানোর কথা বললে, অপারেশন করাব। আম্মা কোনো চিন্তা করো না। তুমি ভালো হয়ে যাবে।’’’
০৮ আগস্ট ২০২৫
সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলায় রোহিঙ্গা নারী রোকেয়া বেগমকে নাগরিক ও চারিত্রিক সনদ দেওয়ার ঘটনায় ভদ্রঘাট ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) প্যানেল চেয়ারম্যান মো. লিয়াকত আলী খান মোহামকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে।
৭ মিনিট আগে
সিরাজগঞ্জের তাড়াশে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে সংঘর্ষের ঘটনায় করা মামলায় সাজাপ্রাপ্ত একই পরিবারের ৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল বুধবার রাতে নিজ বাড়ি থেকে পুলিশ তাঁদের গ্রেপ্তার করে। তাড়াশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জিয়াউর রহমান এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
১৯ মিনিট আগে
লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলায় একটি তুলার গুদামে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। আজ বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) দুপুরে উপজেলার তুষভান্ডার ইউনিয়নের কাকিনা খাদ্যগুদাম এলাকার সালেমা অটোরাইস মিলের ভেতরে থাকা তুলার গোডাউনে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
১৯ মিনিট আগেতাড়াশ (সিরাজগঞ্জ) সংবাদদাতা

সিরাজগঞ্জের তাড়াশে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে সংঘর্ষের ঘটনায় করা মামলায় সাজাপ্রাপ্ত একই পরিবারের ৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল বুধবার রাতে নিজ বাড়ি থেকে পুলিশ তাঁদের গ্রেপ্তার করে। তাড়াশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জিয়াউর রহমান এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন উপজেলার হেমনগর গ্রামের মো. আব্দুল করিম (৬০), মো. শাহ আলম (৪০), নুরুজ্জামান (৪৫), নুরুল আমিন (৪১), রুহুল আমিন (৪২), বাটুল হোসেন (৩৮), হাবিবুল্লাহ (৩৫), আরিফুল ইসলাম (৩২) ও স্বপন আলী (৩৬)। তাঁরা সবাই একই পরিবারের সদস্য বলে জানা গেছে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, উপজেলার হেমনগর গ্রামে ১৮ শতাংশ জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে ২০১৮ সালে নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলা সদরের আশিক উল্লার সঙ্গে হেমনগর গ্রামের উল্লেখিত আসামিদের সংঘর্ষ হয়। এতে মামলার বাদী আশিক উল্লা গুরুতর জখম হন। তিনি হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে সিরাজগঞ্জ ফৌজদারি আদালতে মামলা দায়ের করেন। দীর্ঘ শুনানি শেষে বিজ্ঞ আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেয়।
এ বিষয়ে পেশকার আশিকুর রহমান বলেন, আসামিরা পলাতক থাকায় তাঁদের বিরুদ্ধে আদালত গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। তাড়াশ থানার ওসি জিয়াউর রহমান বলেন, সাজাপ্রাপ্ত পরোয়ানাভুক্ত আসামিদের গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গ্রেপ্তার করা হয়। আইনি কার্যক্রম শেষে তাঁদের বৃহস্পতিবার বিকেলে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

সিরাজগঞ্জের তাড়াশে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে সংঘর্ষের ঘটনায় করা মামলায় সাজাপ্রাপ্ত একই পরিবারের ৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল বুধবার রাতে নিজ বাড়ি থেকে পুলিশ তাঁদের গ্রেপ্তার করে। তাড়াশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জিয়াউর রহমান এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন উপজেলার হেমনগর গ্রামের মো. আব্দুল করিম (৬০), মো. শাহ আলম (৪০), নুরুজ্জামান (৪৫), নুরুল আমিন (৪১), রুহুল আমিন (৪২), বাটুল হোসেন (৩৮), হাবিবুল্লাহ (৩৫), আরিফুল ইসলাম (৩২) ও স্বপন আলী (৩৬)। তাঁরা সবাই একই পরিবারের সদস্য বলে জানা গেছে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, উপজেলার হেমনগর গ্রামে ১৮ শতাংশ জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে ২০১৮ সালে নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলা সদরের আশিক উল্লার সঙ্গে হেমনগর গ্রামের উল্লেখিত আসামিদের সংঘর্ষ হয়। এতে মামলার বাদী আশিক উল্লা গুরুতর জখম হন। তিনি হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে সিরাজগঞ্জ ফৌজদারি আদালতে মামলা দায়ের করেন। দীর্ঘ শুনানি শেষে বিজ্ঞ আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেয়।
এ বিষয়ে পেশকার আশিকুর রহমান বলেন, আসামিরা পলাতক থাকায় তাঁদের বিরুদ্ধে আদালত গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। তাড়াশ থানার ওসি জিয়াউর রহমান বলেন, সাজাপ্রাপ্ত পরোয়ানাভুক্ত আসামিদের গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গ্রেপ্তার করা হয়। আইনি কার্যক্রম শেষে তাঁদের বৃহস্পতিবার বিকেলে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

‘আমার ছেলে তুহিন কালকে (বৃহস্পতিবার) বলেছিল, “আমি তোমাকে আগামী মাসে চোখের ডাক্তার দেখাব। ডাক্তার অপারেশন করানোর কথা বললে, অপারেশন করাব। আম্মা কোনো চিন্তা করো না। তুমি ভালো হয়ে যাবে।’’’
০৮ আগস্ট ২০২৫
সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলায় রোহিঙ্গা নারী রোকেয়া বেগমকে নাগরিক ও চারিত্রিক সনদ দেওয়ার ঘটনায় ভদ্রঘাট ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) প্যানেল চেয়ারম্যান মো. লিয়াকত আলী খান মোহামকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে।
৭ মিনিট আগে
এদিকে পিস্তল ঠেকিয়ে গুলি করার সময় মোবাইলে লাইভে ব্যস্ত যুবককে নিয়েও সন্দেহের সৃষ্টি হয়েছে। পিস্তল হাতে হামলাকারী যুবক লাইভে থাকা যুবককে ঠেলে সামনে হাত বাড়িয়ে বাবলাকে গুলি করেন। এ বিষয়ে বাবলার ভাই আজিজকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘ভারতে অবস্থানরত সাজ্জাদ (বড় সাজ্জাদ) আমার ভাইকে গুলি করার দৃশ্য...
১১ মিনিট আগে
লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলায় একটি তুলার গুদামে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। আজ বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) দুপুরে উপজেলার তুষভান্ডার ইউনিয়নের কাকিনা খাদ্যগুদাম এলাকার সালেমা অটোরাইস মিলের ভেতরে থাকা তুলার গোডাউনে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
১৯ মিনিট আগেলালমনিরহাট প্রতিনিধি

লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলায় একটি তুলার গুদামে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।
আজ বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) দুপুরে উপজেলার তুষভান্ডার ইউনিয়নের কাকিনা খাদ্যগুদাম এলাকার সালেমা অটোরাইস মিলের ভেতরে থাকা তুলার গোডাউনে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানায়, উপজেলার তুষভান্ডার ইউনিয়নের কাকিনা খাদ্যগুদাম এলাকার সালেমা অটোরাইস মিলের ভেতরে থাকা তুলার গুদামে হঠাৎ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে কালীগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের একটি ইউনিট দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। প্রায় এক ঘণ্টার চেষ্টায় ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হন।
ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী শেখ আলী আকবর ও আলমগীর হোসেন বলেন, চোখের সামনে সব পুড়ে ছাই হয়েছে। প্রায় ২০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
কালীগঞ্জ উপজেলা ফায়ার সার্ভিসের লিডার সাইফুল ইসলাম জানান, তুলার গুদাম হওয়ায় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। যে কারণে তুলাগুলো রক্ষা করা সম্ভব হয়নি। ফায়ার সার্ভিসের ১টি ইউনিট নিরলস চেষ্টা করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনায় আশপাশের এলাকাসহ পাশে থাকা মূল খাদ্যগুদামটি রক্ষা করা সম্ভব হয়েছে।

লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলায় একটি তুলার গুদামে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।
আজ বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) দুপুরে উপজেলার তুষভান্ডার ইউনিয়নের কাকিনা খাদ্যগুদাম এলাকার সালেমা অটোরাইস মিলের ভেতরে থাকা তুলার গোডাউনে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানায়, উপজেলার তুষভান্ডার ইউনিয়নের কাকিনা খাদ্যগুদাম এলাকার সালেমা অটোরাইস মিলের ভেতরে থাকা তুলার গুদামে হঠাৎ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে কালীগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের একটি ইউনিট দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। প্রায় এক ঘণ্টার চেষ্টায় ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হন।
ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী শেখ আলী আকবর ও আলমগীর হোসেন বলেন, চোখের সামনে সব পুড়ে ছাই হয়েছে। প্রায় ২০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
কালীগঞ্জ উপজেলা ফায়ার সার্ভিসের লিডার সাইফুল ইসলাম জানান, তুলার গুদাম হওয়ায় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। যে কারণে তুলাগুলো রক্ষা করা সম্ভব হয়নি। ফায়ার সার্ভিসের ১টি ইউনিট নিরলস চেষ্টা করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনায় আশপাশের এলাকাসহ পাশে থাকা মূল খাদ্যগুদামটি রক্ষা করা সম্ভব হয়েছে।

‘আমার ছেলে তুহিন কালকে (বৃহস্পতিবার) বলেছিল, “আমি তোমাকে আগামী মাসে চোখের ডাক্তার দেখাব। ডাক্তার অপারেশন করানোর কথা বললে, অপারেশন করাব। আম্মা কোনো চিন্তা করো না। তুমি ভালো হয়ে যাবে।’’’
০৮ আগস্ট ২০২৫
সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলায় রোহিঙ্গা নারী রোকেয়া বেগমকে নাগরিক ও চারিত্রিক সনদ দেওয়ার ঘটনায় ভদ্রঘাট ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) প্যানেল চেয়ারম্যান মো. লিয়াকত আলী খান মোহামকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে।
৭ মিনিট আগে
এদিকে পিস্তল ঠেকিয়ে গুলি করার সময় মোবাইলে লাইভে ব্যস্ত যুবককে নিয়েও সন্দেহের সৃষ্টি হয়েছে। পিস্তল হাতে হামলাকারী যুবক লাইভে থাকা যুবককে ঠেলে সামনে হাত বাড়িয়ে বাবলাকে গুলি করেন। এ বিষয়ে বাবলার ভাই আজিজকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘ভারতে অবস্থানরত সাজ্জাদ (বড় সাজ্জাদ) আমার ভাইকে গুলি করার দৃশ্য...
১১ মিনিট আগে
সিরাজগঞ্জের তাড়াশে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে সংঘর্ষের ঘটনায় করা মামলায় সাজাপ্রাপ্ত একই পরিবারের ৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল বুধবার রাতে নিজ বাড়ি থেকে পুলিশ তাঁদের গ্রেপ্তার করে। তাড়াশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জিয়াউর রহমান এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
১৯ মিনিট আগে