গাজীপুর প্রতিনিধি

গাজীপুরের একটি বেসরকারি কলেজের শতাধিক এইচএসসি পরীক্ষার্থীকে বোর্ড পরীক্ষার ফরম পূরণের জন্য হোস্টেলে থাকা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। তিন মাসের জন্য ৩৫ হাজার টাকা দিয়ে হোস্টেলে থাকতে না চাইলে তাদের টিসি দেওয়ার হুমকি দেওয়া ও অভিভাবকদের কাছ থেকে সম্মতি পত্রে স্বাক্ষর নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ১৬ এপ্রিল থেকে ফরম পূরণ শুরু হবে।
জানা গেছে, গাজীপুর মহানগরীর জোরপুকুর এলাকায় অবস্থিত গাজীপুর মেট্রোপলিটন কলেজে এ বছরের এইচএসসি নির্বাচনী পরীক্ষায় শতাধিক শিক্ষার্থী অকৃতকার্য হয়। পরে তাদের পুনরায় পরীক্ষা নিয়ে শর্ত সাপেক্ষে ফরম পূরণের সুযোগ দেওয়া হয়।
প্রথম শর্ত হচ্ছে, এ ছাত্রদের বাধ্যতামূলকভাবে ২৫ হাজার টাকার বিনিময়ে ৩ মাস কলেজের হোস্টেলে থাকতে হবে। এটি না মানলে তাদের টিসি দেওয়ার হুমকিও দেওয়া হচ্ছে। তবে, কলেজ কর্তৃপক্ষ বলছে, শিক্ষার্থীদের সুবিধার্থেই এই নিয়মটি চালু করা হয়েছে। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও অনেক আলোচনা সমালোচনা হচ্ছে।
একাধিক শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এবারের এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের টেস্ট পরীক্ষায় যারা একাধিক বিষয়ে অকৃতকার্য হয়েছে, তাদের পুনরায় পরীক্ষা নিয়ে ফরম পূরণের সুযোগ দেওয়া হয়। এই পরীক্ষার জন্য প্রতিজনের কাছ থেকে ২০০ টাকা করে ফি নেওয়া হয়। পুনরায় নেওয়া পরীক্ষার ফলাফলের পর গত শুক্রবার অভিভাবকদের ডাকা হয় কলেজে। পরে তাঁদের জোরপূর্বক শর্ত দেওয়া হয়। শর্ত হলো, জনপ্রতি ২৫ হাজার টাকা দিয়ে হোস্টেলে থাকতে হবে আগামী ৩ মাস।
অন্যথায় আগামী বছর পরীক্ষা দিতে হবে অথবা টিসি নিতে হবে। হোস্টেলে থাকার বিষয় চাপিয়ে দেওয়ায় একজন অভিভাবক পুরো বিষয় পুনরায় জানতে চাইলে তাঁর সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেন ওই প্রতিষ্ঠানের একজন পরিচালক। পরে জোরপূর্বক হোস্টেলে থাকার জন্য অভিভাবকদের অঙ্গীকারনামায় সই করিয়ে নেয়।
শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা জানান, ৩ মাসের হোস্টেল ফি ২৫ হাজার, ফরম পূরণের জন্য ৬ হাজার এবং আগামী আগস্ট মাস পর্যন্ত ৯ হাজার টাকা বেতন পরিশোধ করতে হবে। তবে হোস্টেলের পরিবেশ ভালো না, শিক্ষকও তেমন নেই এবং যাদের বাড়ি কলেজের পাশে তাদের কেন হোস্টেলে থাকতে হবে। জোরপূর্বক বেকায়দায় ফেলে এই টাকাগুলো নিচ্ছে।
কলেজ সূত্রে জানা গেছে, কলেজে এইচএসসি পরীক্ষার জন্য তিন বিভাগের কয়েক শ শিক্ষার্থী নির্বাচনী পরীক্ষায় অংশ নেয়। ওই পরীক্ষায় ১১৯ জন শিক্ষার্থী অকৃতকার্য হয়। এদেরকে আবারও পরীক্ষা নেওয়া হলে ১০০ জন পাস করে এবং ১৯ জন শিক্ষার্থী অকৃতকার্য হয়। অকৃতকার্য শিক্ষার্থীদের টিসি দেওয়া হয়েছে। বাকিরা যেন পাস করে, এ জন্য হোস্টেলে থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ জন্য তাদের খরচ হিসাবে ২৫ হাজার করে টাকা চাওয়া হয়েছে।
নাদিম নামে ওই কলেজের এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘হুট করে টিসি নেওয়ার আগমুহূর্তে বলছে অভিভাবক মিটিং। পরে ওই মিটিংয়ে বলা হয়েছে ২৫ হাজার টাকা করে দিয়ে হোস্টেলে থাকতে হবে। যদি হোস্টেলে ভালো নাও লাগে তবু টাকা দিতে হবে। মূলত এদের টাকা কামানোর এটা পদ্ধতি। যদি পরীক্ষা দিতে নাই দেবে কিংবা হোস্টেলে থাকার বাধ্যবাধকতা তাহলে পরীক্ষা কেন নিল।’
আলিফ নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘যারা ফেল করছে তাদের রিটেক পরীক্ষা নিয়ে পাস করিয়েছে। পরে তাদের বলা হয়েছে হোস্টেলে থাকতে হবে। হোস্টেলে থাকলেই ফরম পূরণ করাবে এবং পরীক্ষা দিতে দেবে, না হলে পরীক্ষা দিতে দেবে না। বিষয়টি হচ্ছে পরীক্ষার আগে কলেজ কর্তৃপক্ষের পরীক্ষার আগে বড় অঙ্কের টাকা কামানোর ধান্ধা। হোস্টেল ফি, ফরম পূরণ ও আগস্ট পর্যন্ত বেতন মিলিয়ে শিক্ষার্থী থেকে প্রায় ৪০ হাজার করে টাকা ওঠাবে। আমরা প্রতিবাদ করেও লাভ হচ্ছে না।’
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে যাওয়া একটি ভিডিওতে শোনা যায়, ওই কলেজের এক শিক্ষার্থী কলেজের এসব অনিয়ম নিয়ে পোস্ট করে। পরে কলেজের এক শিক্ষিকা ওই পোস্ট ডিলেট করতে বলেন। যদি না করা হয়, তাহলে কলেজ থেকে বের করে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়৷
মাহি নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, টেস্ট পরীক্ষার রেজাল্ট হওয়ার এক দিন পরে আবারও ফেল করা শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা নিয়েছে। সেখান হতে ১০০ জন পাস করছে এবং ১৯ জন ফেল করছে। ফেল করা শিক্ষার্থীদের টিসি দিয়ে দিয়েছে। বাকিদের অভিভাবক ডেকে এনে অঙ্গীকার নিয়েছে হোস্টেলে থাকার জন্য। প্রত্যেককে ২৫ হাজার দিতেই হবে। তাহলে যাদের বাসা কাছে তারা কেন হোস্টেলে থাকবে।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন কলেজের অধ্যক্ষ শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘এ বছর আমাদের মোট ৫৪৪ জন শিক্ষার্থী নির্বাচনী পরীক্ষায় অংশ নেয়। তাদের মধ্যে ১১৯ জন অকৃতকার্য হয়। আমরা তাদের পুনপরীক্ষা নিলে ১০০ জন উত্তীর্ণ হয়। তাদের যোগ্য বিবেচনা করেছি, বাকি ১৯ জনকে টিসি নিতে অথবা আগামী বছর পরীক্ষা দিতে বলেছি। এটা আমাদের কলেজ পরিচালনা কমিটির সিদ্ধান্ত। এটি আমাদের মানতে হচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা ভেবে দেখলাম বাইরে যদি প্রাইভেট পরে তাহলে প্রতি সাবজেক্টে মিনিমাম ১ হাজার করে লাগবে তাদের। তাহলে হিসাবে দাঁড়ায় ৩ মাসে ১৮ হাজার। এ জন্য আমাদের সিদ্ধান্ত হলো আমরা পড়াবো শিক্ষক দিয়ে। এজন্য তিনমাসে ১০ হাজার টাকা করে নিব। আমাদের হোস্টেলে রাখবো। এ জন্য ৩ মাসে ১৫ হাজার এই মোট ২৫ হাজার। এটি শিক্ষার্থীদের ভালোর জন্যই করেছি। এ সিদ্ধান্ত যদি কারও ভালো না লাগে তাহলে তাদের পথ খোলা আছে। তারা টিসি নিয়ে অন্য কলেজে পরীক্ষা দিবে। অথবা ভালো প্রস্তুতি নিয়ে আগামী বছর পরীক্ষা দিবে।’
এ বিষয়ে গাজীপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) আবিদা সুলতানা বলেন, ‘বিষয়টি আমরা জেনেছি। এজন্য এটি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য কাজ চলছে।’

গাজীপুরের একটি বেসরকারি কলেজের শতাধিক এইচএসসি পরীক্ষার্থীকে বোর্ড পরীক্ষার ফরম পূরণের জন্য হোস্টেলে থাকা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। তিন মাসের জন্য ৩৫ হাজার টাকা দিয়ে হোস্টেলে থাকতে না চাইলে তাদের টিসি দেওয়ার হুমকি দেওয়া ও অভিভাবকদের কাছ থেকে সম্মতি পত্রে স্বাক্ষর নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ১৬ এপ্রিল থেকে ফরম পূরণ শুরু হবে।
জানা গেছে, গাজীপুর মহানগরীর জোরপুকুর এলাকায় অবস্থিত গাজীপুর মেট্রোপলিটন কলেজে এ বছরের এইচএসসি নির্বাচনী পরীক্ষায় শতাধিক শিক্ষার্থী অকৃতকার্য হয়। পরে তাদের পুনরায় পরীক্ষা নিয়ে শর্ত সাপেক্ষে ফরম পূরণের সুযোগ দেওয়া হয়।
প্রথম শর্ত হচ্ছে, এ ছাত্রদের বাধ্যতামূলকভাবে ২৫ হাজার টাকার বিনিময়ে ৩ মাস কলেজের হোস্টেলে থাকতে হবে। এটি না মানলে তাদের টিসি দেওয়ার হুমকিও দেওয়া হচ্ছে। তবে, কলেজ কর্তৃপক্ষ বলছে, শিক্ষার্থীদের সুবিধার্থেই এই নিয়মটি চালু করা হয়েছে। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও অনেক আলোচনা সমালোচনা হচ্ছে।
একাধিক শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এবারের এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের টেস্ট পরীক্ষায় যারা একাধিক বিষয়ে অকৃতকার্য হয়েছে, তাদের পুনরায় পরীক্ষা নিয়ে ফরম পূরণের সুযোগ দেওয়া হয়। এই পরীক্ষার জন্য প্রতিজনের কাছ থেকে ২০০ টাকা করে ফি নেওয়া হয়। পুনরায় নেওয়া পরীক্ষার ফলাফলের পর গত শুক্রবার অভিভাবকদের ডাকা হয় কলেজে। পরে তাঁদের জোরপূর্বক শর্ত দেওয়া হয়। শর্ত হলো, জনপ্রতি ২৫ হাজার টাকা দিয়ে হোস্টেলে থাকতে হবে আগামী ৩ মাস।
অন্যথায় আগামী বছর পরীক্ষা দিতে হবে অথবা টিসি নিতে হবে। হোস্টেলে থাকার বিষয় চাপিয়ে দেওয়ায় একজন অভিভাবক পুরো বিষয় পুনরায় জানতে চাইলে তাঁর সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেন ওই প্রতিষ্ঠানের একজন পরিচালক। পরে জোরপূর্বক হোস্টেলে থাকার জন্য অভিভাবকদের অঙ্গীকারনামায় সই করিয়ে নেয়।
শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা জানান, ৩ মাসের হোস্টেল ফি ২৫ হাজার, ফরম পূরণের জন্য ৬ হাজার এবং আগামী আগস্ট মাস পর্যন্ত ৯ হাজার টাকা বেতন পরিশোধ করতে হবে। তবে হোস্টেলের পরিবেশ ভালো না, শিক্ষকও তেমন নেই এবং যাদের বাড়ি কলেজের পাশে তাদের কেন হোস্টেলে থাকতে হবে। জোরপূর্বক বেকায়দায় ফেলে এই টাকাগুলো নিচ্ছে।
কলেজ সূত্রে জানা গেছে, কলেজে এইচএসসি পরীক্ষার জন্য তিন বিভাগের কয়েক শ শিক্ষার্থী নির্বাচনী পরীক্ষায় অংশ নেয়। ওই পরীক্ষায় ১১৯ জন শিক্ষার্থী অকৃতকার্য হয়। এদেরকে আবারও পরীক্ষা নেওয়া হলে ১০০ জন পাস করে এবং ১৯ জন শিক্ষার্থী অকৃতকার্য হয়। অকৃতকার্য শিক্ষার্থীদের টিসি দেওয়া হয়েছে। বাকিরা যেন পাস করে, এ জন্য হোস্টেলে থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ জন্য তাদের খরচ হিসাবে ২৫ হাজার করে টাকা চাওয়া হয়েছে।
নাদিম নামে ওই কলেজের এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘হুট করে টিসি নেওয়ার আগমুহূর্তে বলছে অভিভাবক মিটিং। পরে ওই মিটিংয়ে বলা হয়েছে ২৫ হাজার টাকা করে দিয়ে হোস্টেলে থাকতে হবে। যদি হোস্টেলে ভালো নাও লাগে তবু টাকা দিতে হবে। মূলত এদের টাকা কামানোর এটা পদ্ধতি। যদি পরীক্ষা দিতে নাই দেবে কিংবা হোস্টেলে থাকার বাধ্যবাধকতা তাহলে পরীক্ষা কেন নিল।’
আলিফ নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘যারা ফেল করছে তাদের রিটেক পরীক্ষা নিয়ে পাস করিয়েছে। পরে তাদের বলা হয়েছে হোস্টেলে থাকতে হবে। হোস্টেলে থাকলেই ফরম পূরণ করাবে এবং পরীক্ষা দিতে দেবে, না হলে পরীক্ষা দিতে দেবে না। বিষয়টি হচ্ছে পরীক্ষার আগে কলেজ কর্তৃপক্ষের পরীক্ষার আগে বড় অঙ্কের টাকা কামানোর ধান্ধা। হোস্টেল ফি, ফরম পূরণ ও আগস্ট পর্যন্ত বেতন মিলিয়ে শিক্ষার্থী থেকে প্রায় ৪০ হাজার করে টাকা ওঠাবে। আমরা প্রতিবাদ করেও লাভ হচ্ছে না।’
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে যাওয়া একটি ভিডিওতে শোনা যায়, ওই কলেজের এক শিক্ষার্থী কলেজের এসব অনিয়ম নিয়ে পোস্ট করে। পরে কলেজের এক শিক্ষিকা ওই পোস্ট ডিলেট করতে বলেন। যদি না করা হয়, তাহলে কলেজ থেকে বের করে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়৷
মাহি নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, টেস্ট পরীক্ষার রেজাল্ট হওয়ার এক দিন পরে আবারও ফেল করা শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা নিয়েছে। সেখান হতে ১০০ জন পাস করছে এবং ১৯ জন ফেল করছে। ফেল করা শিক্ষার্থীদের টিসি দিয়ে দিয়েছে। বাকিদের অভিভাবক ডেকে এনে অঙ্গীকার নিয়েছে হোস্টেলে থাকার জন্য। প্রত্যেককে ২৫ হাজার দিতেই হবে। তাহলে যাদের বাসা কাছে তারা কেন হোস্টেলে থাকবে।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন কলেজের অধ্যক্ষ শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘এ বছর আমাদের মোট ৫৪৪ জন শিক্ষার্থী নির্বাচনী পরীক্ষায় অংশ নেয়। তাদের মধ্যে ১১৯ জন অকৃতকার্য হয়। আমরা তাদের পুনপরীক্ষা নিলে ১০০ জন উত্তীর্ণ হয়। তাদের যোগ্য বিবেচনা করেছি, বাকি ১৯ জনকে টিসি নিতে অথবা আগামী বছর পরীক্ষা দিতে বলেছি। এটা আমাদের কলেজ পরিচালনা কমিটির সিদ্ধান্ত। এটি আমাদের মানতে হচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা ভেবে দেখলাম বাইরে যদি প্রাইভেট পরে তাহলে প্রতি সাবজেক্টে মিনিমাম ১ হাজার করে লাগবে তাদের। তাহলে হিসাবে দাঁড়ায় ৩ মাসে ১৮ হাজার। এ জন্য আমাদের সিদ্ধান্ত হলো আমরা পড়াবো শিক্ষক দিয়ে। এজন্য তিনমাসে ১০ হাজার টাকা করে নিব। আমাদের হোস্টেলে রাখবো। এ জন্য ৩ মাসে ১৫ হাজার এই মোট ২৫ হাজার। এটি শিক্ষার্থীদের ভালোর জন্যই করেছি। এ সিদ্ধান্ত যদি কারও ভালো না লাগে তাহলে তাদের পথ খোলা আছে। তারা টিসি নিয়ে অন্য কলেজে পরীক্ষা দিবে। অথবা ভালো প্রস্তুতি নিয়ে আগামী বছর পরীক্ষা দিবে।’
এ বিষয়ে গাজীপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) আবিদা সুলতানা বলেন, ‘বিষয়টি আমরা জেনেছি। এজন্য এটি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য কাজ চলছে।’

ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে কলেজছাত্রীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগে আব্দুল করিম (৭২) নামের এক বৃদ্ধকে গাছের সঙ্গে বেঁধে রেখে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার পাগলা থানার একটি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এদিকে ওই বৃদ্ধের গলায় জুতার মালা পরানোর একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়
৮ মিনিট আগে
রংপুর মেডিকেলে চিকিৎসাধীন বাবাকে দেখতে বাড়ি থেকে বের হয়েছিলেন আমিরুল ইসলাম। কিন্তু পথ ভুলে কোথায় যেন তিনি চলে গেলেন। ফিরলেন না আর বাড়িতে। ২০১৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের ঘটনা এটি। তারপর কেটে গেছে এক যুগ।
১৬ মিনিট আগে
চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে সোনা চোরাচালানকে কেন্দ্র করে অপহরণের ২৩ দিন পর পাঁচ ব্যক্তিকে উদ্ধার করা হয়েছে। শ্বাসরুদ্ধকর অভিযানে বুধবার যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার একটি নির্জন খামারবাড়ি থেকে তাঁদের উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা জেলা-পুলিশ। পাঁচজনের শরীরেই নির্মম নির্যাতনের চিহ্ন রয়েছে।
২৯ মিনিট আগে
কিশোরগঞ্জের ইটনায় খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল আত্মসাতের মামলায় যুবদল নেতা দেলোয়ারকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বুধবার (৫ নভেম্বর) বেলা ৩টার দিকে উপজেলা পরিষদের সামনে থেকে দেলোয়ার হোসেনকে (৩২) গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি ইটনা উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ও উপজেলার মৃগা ইউনিয়নের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ডিলার জানু
৪০ মিনিট আগেময়মনসিংহ ও গফরগাঁও প্রতিনিধি

ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে কলেজছাত্রীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগে আব্দুল করিম (৭২) নামের এক বৃদ্ধকে গাছের সঙ্গে বেঁধে রেখে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার পাগলা থানার একটি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এদিকে ওই বৃদ্ধের গলায় জুতার মালা পরানোর একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে।
তবে পুলিশ বলছে, তারা গলায় জুতার মালা পরানোর বিষয়ে কিছু জানে না। আব্দুল করিমকে গাছের সঙ্গে বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। শ্লীলতাহানির অভিযোগে ওই কলেজছাত্রীর বাবা পাগলা থানায় মামলা করেছেন। আজ বুধবার পুলিশ আব্দুল করিমকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে।
এদিকে আজ দুপুরে পাগলা থানায় আটক অবস্থায় আব্দুল করিম নিজেকে বীর মুক্তিযোদ্ধা দাবি করে তাঁর বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি জানান, পূর্বশত্রুতার জেরে তাঁকে অপদস্থ করতে এ ঘটনায় ফাঁসানো হয়েছে।
মামলার বাদী বলেন, ‘ঘরে আমার কলেজপড়ুয়া মেয়েকে একা পেয়ে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করেছেন, তাই আব্দুল করিমের বিরুদ্ধে মামলা করেছি। তবে তাঁর গলায় জুতার মালা পরানোর বিষয়ে কিছু জানি না।’
ওই ছাত্রীর বড় ভাই বলেন, ‘এ ঘটনায় আমার বোন মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছে। আজ বাবা বোনকে সঙ্গে নিয়ে ময়মনসিংহ আদালতে যান জবানবন্দি দিতে।’
গফরগাঁও উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের উপজেলায় আব্দুল করিম নামে তালিকাভুক্ত কোনো মুক্তিযোদ্ধা নেই। মুক্তিযোদ্ধা পরিচয় দেওয়ায় মুক্তিযোদ্ধা সংসদ এ ঘটনায় নিন্দা জানাচ্ছে।’
পাগলা থানার (ওসি) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফেরদৌস আলম বলেন, ‘শ্লীলতাহানির অভিযোগে আব্দুল করিমকে আটক করে থানায় নিয়ে আসি। তবে পুলিশ ঘটনাস্থলে যাওয়ার আগে আব্দুল করিমকে জুতার মালা পরানো হয়েছে কি না, এ বিষয়ে জানা নেই। আসামিকে আদালতে হাজির করা হলে বিচারক তাঁকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।’
ময়মনসিংহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মনোতোষ বিশ্বাস আজকের পত্রিকাকে বলেন, ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত করে প্রাথমিকভাবে শ্লীলতাহানির চেষ্টার সত্যতা পাওয়া গেছে।

ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে কলেজছাত্রীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগে আব্দুল করিম (৭২) নামের এক বৃদ্ধকে গাছের সঙ্গে বেঁধে রেখে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার পাগলা থানার একটি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এদিকে ওই বৃদ্ধের গলায় জুতার মালা পরানোর একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে।
তবে পুলিশ বলছে, তারা গলায় জুতার মালা পরানোর বিষয়ে কিছু জানে না। আব্দুল করিমকে গাছের সঙ্গে বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। শ্লীলতাহানির অভিযোগে ওই কলেজছাত্রীর বাবা পাগলা থানায় মামলা করেছেন। আজ বুধবার পুলিশ আব্দুল করিমকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে।
এদিকে আজ দুপুরে পাগলা থানায় আটক অবস্থায় আব্দুল করিম নিজেকে বীর মুক্তিযোদ্ধা দাবি করে তাঁর বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি জানান, পূর্বশত্রুতার জেরে তাঁকে অপদস্থ করতে এ ঘটনায় ফাঁসানো হয়েছে।
মামলার বাদী বলেন, ‘ঘরে আমার কলেজপড়ুয়া মেয়েকে একা পেয়ে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করেছেন, তাই আব্দুল করিমের বিরুদ্ধে মামলা করেছি। তবে তাঁর গলায় জুতার মালা পরানোর বিষয়ে কিছু জানি না।’
ওই ছাত্রীর বড় ভাই বলেন, ‘এ ঘটনায় আমার বোন মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছে। আজ বাবা বোনকে সঙ্গে নিয়ে ময়মনসিংহ আদালতে যান জবানবন্দি দিতে।’
গফরগাঁও উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের উপজেলায় আব্দুল করিম নামে তালিকাভুক্ত কোনো মুক্তিযোদ্ধা নেই। মুক্তিযোদ্ধা পরিচয় দেওয়ায় মুক্তিযোদ্ধা সংসদ এ ঘটনায় নিন্দা জানাচ্ছে।’
পাগলা থানার (ওসি) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফেরদৌস আলম বলেন, ‘শ্লীলতাহানির অভিযোগে আব্দুল করিমকে আটক করে থানায় নিয়ে আসি। তবে পুলিশ ঘটনাস্থলে যাওয়ার আগে আব্দুল করিমকে জুতার মালা পরানো হয়েছে কি না, এ বিষয়ে জানা নেই। আসামিকে আদালতে হাজির করা হলে বিচারক তাঁকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।’
ময়মনসিংহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মনোতোষ বিশ্বাস আজকের পত্রিকাকে বলেন, ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত করে প্রাথমিকভাবে শ্লীলতাহানির চেষ্টার সত্যতা পাওয়া গেছে।

গাজীপুরের একটি বেসরকারি কলেজের শতাধিক এইচএসসি পরীক্ষার্থীকে বোর্ড পরীক্ষার ফরম পুরণের জন্য হোস্টেলে থাকা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। তিন মাসের জন্য ৩৫ হাজার টাকা দিয়ে হোস্টেলে থাকতে না চাইলে তাদের টিসি দেওয়ার হুমকি দেওয়া ও অভিভাবকদের কাছ থেকে সম্মতি পত্রে স্বাক্ষর নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। আগামী ১৬ এপ্রি
০১ এপ্রিল ২০২৪
রংপুর মেডিকেলে চিকিৎসাধীন বাবাকে দেখতে বাড়ি থেকে বের হয়েছিলেন আমিরুল ইসলাম। কিন্তু পথ ভুলে কোথায় যেন তিনি চলে গেলেন। ফিরলেন না আর বাড়িতে। ২০১৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের ঘটনা এটি। তারপর কেটে গেছে এক যুগ।
১৬ মিনিট আগে
চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে সোনা চোরাচালানকে কেন্দ্র করে অপহরণের ২৩ দিন পর পাঁচ ব্যক্তিকে উদ্ধার করা হয়েছে। শ্বাসরুদ্ধকর অভিযানে বুধবার যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার একটি নির্জন খামারবাড়ি থেকে তাঁদের উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা জেলা-পুলিশ। পাঁচজনের শরীরেই নির্মম নির্যাতনের চিহ্ন রয়েছে।
২৯ মিনিট আগে
কিশোরগঞ্জের ইটনায় খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল আত্মসাতের মামলায় যুবদল নেতা দেলোয়ারকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বুধবার (৫ নভেম্বর) বেলা ৩টার দিকে উপজেলা পরিষদের সামনে থেকে দেলোয়ার হোসেনকে (৩২) গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি ইটনা উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ও উপজেলার মৃগা ইউনিয়নের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ডিলার জানু
৪০ মিনিট আগেবালিয়াডাঙ্গী (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি

রংপুর মেডিকেলে চিকিৎসাধীন বাবাকে দেখতে বাড়ি থেকে বের হয়েছিলেন আমিরুল ইসলাম। কিন্তু পথ ভুলে কোথায় যেন তিনি চলে গেলেন। ফিরলেন না আর বাড়িতে। ২০১৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের ঘটনা এটি। তারপর কেটে গেছে এক যুগ। এত দিন ধরে আমিরুলকে খোঁজাখুঁজির চেষ্টা চালিয়ে গেছেন তাঁর বড় ভাই আনসারুল ইসলাম। অবশেষে আনসারুলের সব কষ্টের ফল মিলেছে। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের কল্যাণে হারিয়ে যাওয়া ভাই আমিরুলকে ফিরে পেয়েছেন তিনি। আজ বুধবার আমিরুলকে বাড়িতে ফিরিয়ে এনেছেন তিনি।
ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার চাড়োল ইউনিয়নের মাহৎপাড়া গ্রামের ঘটনা এটি। এই গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা পেষু মোহাম্মদের ছেলে আমিনুল ইসলাম (৫২)। বহু আগে একবার মাথায় আঘাত পেয়েছিলেন তিনি। এর পর থেকে অনেক কিছু তিনি ভুলে যেতেন। ১২ বছর আগে রংপুর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বাবাকে দেখতে গিয়ে হারিয়ে যান তিনি। ২ নভেম্বর ফেসবুকে ভিডিও দেখে তাঁর বড় ভাই আনসারুল ইসলাম জানতে পারেন, মেহেরপুরের সদর উপজেলার মনিরামপুর এলাকায় আমিরুল রয়েছেন। এরপর সেখানে গিয়ে ভাইকে বাড়িতে নিয়ে এসেছেন তিনি।
আনসারুল ইসলাম জানান, দিনাজপুরে গাড়ি মেরামতের কাজ করতেন আমিরুল। ওস্তাদ মাথায় রেঞ্জ দিয়ে তাঁর মাথায় একবার আঘাত করেছিলেন। এর পর থেকে মাঝেমধ্যে অনেক কিছু ভুলে যেতেন আমিরুল। পরে বাড়ি ফিরে কৃষিকাজ শুরু করেন। বিয়ে করলেও ছয় মাসের মাথায় স্ত্রী তাঁকে ত্যাগ করেন।
এত বছর পর হারানো ভাইকে ফিরে পাওয়ার অনুভূতির কথা জানাতে গিয়ে আনসারুল বলেন, ‘যখন মেহেরপুরে ১২ বছর পর আমার সামনে আমিরুলকে আনা হলো, বলা হলো কে এই লোক, চিনো? এক থেকে দেড় মিনিট পর ‘ভাই’ বলে চিৎকার দিয়ে বুকে ঝাঁপিয়ে পড়ল। এত দিন পর ভাইকে দেখা, তার মুখে ভাই ডাক শোনার যে কী আনন্দ, এটা মুখে বলে বোঝানো সম্ভব নয়।’
স্বজনরা জানান, হারিয়ে যাওয়া ছেলেকে অনেক খুঁজেছেন বাবা পেষু মোহাম্মদ। কিন্তু ছেলের ঘরে ফিরে আসা দেখে যেতে পারলেন না তিনি। গত ৪ জানুয়ারি বাবা পেষু মোহাম্মদ মারা গেছেন।
এদিকে এক যুগ পর বাড়ি ফিরে আসা আমিরুলকে একনজর দেখতে ছুটে আসছেন কৌতূহলী মানুষেরা। ছোট ভাইকে ফিরিয়ে আনতে বড় ভাইয়ের চেষ্টার প্রশংসা করছেন অনেকেই। প্রতিবেশীরা বলছেন, ছোটবেলা থেকে আমিরুলসহ সব ভাইবোনকে আদর স্নেহে বড় করেছেন বড় ভাই আনসারুল।
ভাইকে হারানোর পর তিনি সব সময় আফসোস করতেন, মন খারাপ করে থাকতেন। এত বছর পর ভাইকে ফিরে পেয়ে খুব খুশি হয়েছেন আনসারুল।
বালিয়াডাঙ্গী থানার ওসি দুরুল হোদা জানান, ‘নিখোঁজ আমিরুল ফেরার খবর থানায় অবগত করেননি তাঁর ভাই। তাঁরা অবগত না করলে আমরা খোঁজখবর নেব। তবে এটা ভালো খবর যে পরিবারটি দীর্ঘদিন পর তার স্বজনকে খুঁজে পেয়েছে।’

রংপুর মেডিকেলে চিকিৎসাধীন বাবাকে দেখতে বাড়ি থেকে বের হয়েছিলেন আমিরুল ইসলাম। কিন্তু পথ ভুলে কোথায় যেন তিনি চলে গেলেন। ফিরলেন না আর বাড়িতে। ২০১৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের ঘটনা এটি। তারপর কেটে গেছে এক যুগ। এত দিন ধরে আমিরুলকে খোঁজাখুঁজির চেষ্টা চালিয়ে গেছেন তাঁর বড় ভাই আনসারুল ইসলাম। অবশেষে আনসারুলের সব কষ্টের ফল মিলেছে। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের কল্যাণে হারিয়ে যাওয়া ভাই আমিরুলকে ফিরে পেয়েছেন তিনি। আজ বুধবার আমিরুলকে বাড়িতে ফিরিয়ে এনেছেন তিনি।
ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার চাড়োল ইউনিয়নের মাহৎপাড়া গ্রামের ঘটনা এটি। এই গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা পেষু মোহাম্মদের ছেলে আমিনুল ইসলাম (৫২)। বহু আগে একবার মাথায় আঘাত পেয়েছিলেন তিনি। এর পর থেকে অনেক কিছু তিনি ভুলে যেতেন। ১২ বছর আগে রংপুর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বাবাকে দেখতে গিয়ে হারিয়ে যান তিনি। ২ নভেম্বর ফেসবুকে ভিডিও দেখে তাঁর বড় ভাই আনসারুল ইসলাম জানতে পারেন, মেহেরপুরের সদর উপজেলার মনিরামপুর এলাকায় আমিরুল রয়েছেন। এরপর সেখানে গিয়ে ভাইকে বাড়িতে নিয়ে এসেছেন তিনি।
আনসারুল ইসলাম জানান, দিনাজপুরে গাড়ি মেরামতের কাজ করতেন আমিরুল। ওস্তাদ মাথায় রেঞ্জ দিয়ে তাঁর মাথায় একবার আঘাত করেছিলেন। এর পর থেকে মাঝেমধ্যে অনেক কিছু ভুলে যেতেন আমিরুল। পরে বাড়ি ফিরে কৃষিকাজ শুরু করেন। বিয়ে করলেও ছয় মাসের মাথায় স্ত্রী তাঁকে ত্যাগ করেন।
এত বছর পর হারানো ভাইকে ফিরে পাওয়ার অনুভূতির কথা জানাতে গিয়ে আনসারুল বলেন, ‘যখন মেহেরপুরে ১২ বছর পর আমার সামনে আমিরুলকে আনা হলো, বলা হলো কে এই লোক, চিনো? এক থেকে দেড় মিনিট পর ‘ভাই’ বলে চিৎকার দিয়ে বুকে ঝাঁপিয়ে পড়ল। এত দিন পর ভাইকে দেখা, তার মুখে ভাই ডাক শোনার যে কী আনন্দ, এটা মুখে বলে বোঝানো সম্ভব নয়।’
স্বজনরা জানান, হারিয়ে যাওয়া ছেলেকে অনেক খুঁজেছেন বাবা পেষু মোহাম্মদ। কিন্তু ছেলের ঘরে ফিরে আসা দেখে যেতে পারলেন না তিনি। গত ৪ জানুয়ারি বাবা পেষু মোহাম্মদ মারা গেছেন।
এদিকে এক যুগ পর বাড়ি ফিরে আসা আমিরুলকে একনজর দেখতে ছুটে আসছেন কৌতূহলী মানুষেরা। ছোট ভাইকে ফিরিয়ে আনতে বড় ভাইয়ের চেষ্টার প্রশংসা করছেন অনেকেই। প্রতিবেশীরা বলছেন, ছোটবেলা থেকে আমিরুলসহ সব ভাইবোনকে আদর স্নেহে বড় করেছেন বড় ভাই আনসারুল।
ভাইকে হারানোর পর তিনি সব সময় আফসোস করতেন, মন খারাপ করে থাকতেন। এত বছর পর ভাইকে ফিরে পেয়ে খুব খুশি হয়েছেন আনসারুল।
বালিয়াডাঙ্গী থানার ওসি দুরুল হোদা জানান, ‘নিখোঁজ আমিরুল ফেরার খবর থানায় অবগত করেননি তাঁর ভাই। তাঁরা অবগত না করলে আমরা খোঁজখবর নেব। তবে এটা ভালো খবর যে পরিবারটি দীর্ঘদিন পর তার স্বজনকে খুঁজে পেয়েছে।’

গাজীপুরের একটি বেসরকারি কলেজের শতাধিক এইচএসসি পরীক্ষার্থীকে বোর্ড পরীক্ষার ফরম পুরণের জন্য হোস্টেলে থাকা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। তিন মাসের জন্য ৩৫ হাজার টাকা দিয়ে হোস্টেলে থাকতে না চাইলে তাদের টিসি দেওয়ার হুমকি দেওয়া ও অভিভাবকদের কাছ থেকে সম্মতি পত্রে স্বাক্ষর নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। আগামী ১৬ এপ্রি
০১ এপ্রিল ২০২৪
ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে কলেজছাত্রীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগে আব্দুল করিম (৭২) নামের এক বৃদ্ধকে গাছের সঙ্গে বেঁধে রেখে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার পাগলা থানার একটি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এদিকে ওই বৃদ্ধের গলায় জুতার মালা পরানোর একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়
৮ মিনিট আগে
চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে সোনা চোরাচালানকে কেন্দ্র করে অপহরণের ২৩ দিন পর পাঁচ ব্যক্তিকে উদ্ধার করা হয়েছে। শ্বাসরুদ্ধকর অভিযানে বুধবার যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার একটি নির্জন খামারবাড়ি থেকে তাঁদের উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা জেলা-পুলিশ। পাঁচজনের শরীরেই নির্মম নির্যাতনের চিহ্ন রয়েছে।
২৯ মিনিট আগে
কিশোরগঞ্জের ইটনায় খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল আত্মসাতের মামলায় যুবদল নেতা দেলোয়ারকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বুধবার (৫ নভেম্বর) বেলা ৩টার দিকে উপজেলা পরিষদের সামনে থেকে দেলোয়ার হোসেনকে (৩২) গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি ইটনা উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ও উপজেলার মৃগা ইউনিয়নের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ডিলার জানু
৪০ মিনিট আগেচুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি

চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে সোনা চোরাচালানকে কেন্দ্র করে অপহরণের ২৩ দিন পর পাঁচ ব্যক্তিকে উদ্ধার করা হয়েছে। শ্বাসরুদ্ধকর অভিযানে আজ বুধবার যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার একটি নির্জন খামারবাড়ি থেকে তাঁদের উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা জেলা-পুলিশ। পাঁচজনের শরীরেই নির্মম নির্যাতনের চিহ্ন রয়েছে। এমনকি একজনের হাতের চারটি আঙুল কেটে দেওয়া হয়েছে।
অভিযানে অপহরণ চক্রে জড়িত তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি), সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সেল ও পুলিশ সুপারের বিশেষ টিমের সমন্বয়ে এই অভিযান চালানো হয়। এর আগে এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে আরও দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।
আজ সন্ধ্যায় সংবাদ সম্মেলনে জেলা পুলিশ জানায়, আজ সকাল ৭টায় ঝিকরগাছার হাজিরবাগ ইউনিয়নের কুল্লা গ্রামের রেজাউল ইসলামের খামারবাড়ি ঘিরে ফেলে পুলিশ। এই খামারবাড়ির গুদামেই অপহৃত ব্যক্তিদের আটক রাখা হয়েছিল। অভিযানের সময় ভিকটিমদের পাহারারত অবস্থায় থাকা মো. বিল্লাল হোসেন (৪০) ও তাঁর স্ত্রী মোছা. সাগরিকা খাতুনকে (২৮) গ্রেপ্তার করা হয়। এ ছাড়া অপহৃত ব্যক্তিদের চিকিৎসা দেওয়া পল্লিচিকিৎসক বিকাশ দেবনাথকেও (৩০) পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। তবে খামারবাড়ির মালিক রেজাউল ইসলাম ও আব্দুল গফ্ফার অভিযানের আগেই পালিয়ে যান।
পুলিশ জানায়, মূলত সোনা চোরাচালান ও ৫০ পিস সোনার বার খোয়া যাওয়াকে কেন্দ্র করে এই অপহরণের ঘটনা। অপহৃত ব্যক্তিদের অমানসিক শারীরিক নির্যাতন করা হয়। সবচেয়ে নির্মম বিষয়টি হলো, সোনা পাচারকারী ও অপহৃত ব্যক্তিদের মধ্যে একজন মো. শফিকুল ইসলামের চারটি আঙুল কেটে দেওয়া হয়েছে। সোনার বার উদ্ধারের জন্যই মালিকপক্ষের নির্দেশে এই নির্যাতন চালানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জামাল আল নাসের বলেন, গত ১২ ও ১৩ অক্টোবর গোয়ালপাড়া (মাঠপাড়া) গ্রামের শফিকুল ইসলাম শফি (৩৫), আনারুল ইসলাম (৫০), হাসান মিয়া (২৬), আবুল হোসেন (২৭) ও স্বপন ইসলাম (৪৪)—এই পাঁচজনকে অপহরণ করে নিয়ে যাওয়া হয়। এ ঘটনায় ভিকটিম হাসান মিয়ার বাবা শওকত আলী বাদী হয়ে আবদুল মজিদ, মিজানুর রহমান রুবেল, লালন মণ্ডল, আবদুস সামাদ, বিপ্লব হোসেন ও শাহীনের নাম উল্লেখের পাশাপাশি অজ্ঞাতনামা তিন থেকে চারজনের বিরুদ্ধে জীবননগর থানায় অপহরণ মামলা করেন।
মামলায় আসামি করা হয় স্থানীয় আবদুল হাকিম ফকিরের তিন ছেলে আবদুল মজিদ (৪০), আবদুস সামাদ (৪৫) ও বিপ্লব হোসেন (৫০); মনসুর আলীর ছেলে লালন মণ্ডল (৪২); বাবলুর ছেলে শাহিন (৩২) এবং মো. বারির ছেলে রুবেলকে (৩০)।
বিস্তারিত বিষয়ে জানতে চাইলে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জামাল আল নাসের বলেন, তদন্তের স্বার্থে এখনই সব তথ্য বলা সম্ভব হচ্ছে না। এই মামলার মূল আসামিরা এখনো পলাতক। উদ্ধার করা ভিকটিমদের দ্রুত চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা বর্তমানে পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন। এই অপহরণ ও নৃশংস নির্যাতনের সঙ্গে জড়িত মূল হোতাদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার প্রক্রিয়া চলছে।

চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে সোনা চোরাচালানকে কেন্দ্র করে অপহরণের ২৩ দিন পর পাঁচ ব্যক্তিকে উদ্ধার করা হয়েছে। শ্বাসরুদ্ধকর অভিযানে আজ বুধবার যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার একটি নির্জন খামারবাড়ি থেকে তাঁদের উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা জেলা-পুলিশ। পাঁচজনের শরীরেই নির্মম নির্যাতনের চিহ্ন রয়েছে। এমনকি একজনের হাতের চারটি আঙুল কেটে দেওয়া হয়েছে।
অভিযানে অপহরণ চক্রে জড়িত তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি), সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সেল ও পুলিশ সুপারের বিশেষ টিমের সমন্বয়ে এই অভিযান চালানো হয়। এর আগে এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে আরও দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।
আজ সন্ধ্যায় সংবাদ সম্মেলনে জেলা পুলিশ জানায়, আজ সকাল ৭টায় ঝিকরগাছার হাজিরবাগ ইউনিয়নের কুল্লা গ্রামের রেজাউল ইসলামের খামারবাড়ি ঘিরে ফেলে পুলিশ। এই খামারবাড়ির গুদামেই অপহৃত ব্যক্তিদের আটক রাখা হয়েছিল। অভিযানের সময় ভিকটিমদের পাহারারত অবস্থায় থাকা মো. বিল্লাল হোসেন (৪০) ও তাঁর স্ত্রী মোছা. সাগরিকা খাতুনকে (২৮) গ্রেপ্তার করা হয়। এ ছাড়া অপহৃত ব্যক্তিদের চিকিৎসা দেওয়া পল্লিচিকিৎসক বিকাশ দেবনাথকেও (৩০) পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। তবে খামারবাড়ির মালিক রেজাউল ইসলাম ও আব্দুল গফ্ফার অভিযানের আগেই পালিয়ে যান।
পুলিশ জানায়, মূলত সোনা চোরাচালান ও ৫০ পিস সোনার বার খোয়া যাওয়াকে কেন্দ্র করে এই অপহরণের ঘটনা। অপহৃত ব্যক্তিদের অমানসিক শারীরিক নির্যাতন করা হয়। সবচেয়ে নির্মম বিষয়টি হলো, সোনা পাচারকারী ও অপহৃত ব্যক্তিদের মধ্যে একজন মো. শফিকুল ইসলামের চারটি আঙুল কেটে দেওয়া হয়েছে। সোনার বার উদ্ধারের জন্যই মালিকপক্ষের নির্দেশে এই নির্যাতন চালানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জামাল আল নাসের বলেন, গত ১২ ও ১৩ অক্টোবর গোয়ালপাড়া (মাঠপাড়া) গ্রামের শফিকুল ইসলাম শফি (৩৫), আনারুল ইসলাম (৫০), হাসান মিয়া (২৬), আবুল হোসেন (২৭) ও স্বপন ইসলাম (৪৪)—এই পাঁচজনকে অপহরণ করে নিয়ে যাওয়া হয়। এ ঘটনায় ভিকটিম হাসান মিয়ার বাবা শওকত আলী বাদী হয়ে আবদুল মজিদ, মিজানুর রহমান রুবেল, লালন মণ্ডল, আবদুস সামাদ, বিপ্লব হোসেন ও শাহীনের নাম উল্লেখের পাশাপাশি অজ্ঞাতনামা তিন থেকে চারজনের বিরুদ্ধে জীবননগর থানায় অপহরণ মামলা করেন।
মামলায় আসামি করা হয় স্থানীয় আবদুল হাকিম ফকিরের তিন ছেলে আবদুল মজিদ (৪০), আবদুস সামাদ (৪৫) ও বিপ্লব হোসেন (৫০); মনসুর আলীর ছেলে লালন মণ্ডল (৪২); বাবলুর ছেলে শাহিন (৩২) এবং মো. বারির ছেলে রুবেলকে (৩০)।
বিস্তারিত বিষয়ে জানতে চাইলে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জামাল আল নাসের বলেন, তদন্তের স্বার্থে এখনই সব তথ্য বলা সম্ভব হচ্ছে না। এই মামলার মূল আসামিরা এখনো পলাতক। উদ্ধার করা ভিকটিমদের দ্রুত চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা বর্তমানে পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন। এই অপহরণ ও নৃশংস নির্যাতনের সঙ্গে জড়িত মূল হোতাদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার প্রক্রিয়া চলছে।

গাজীপুরের একটি বেসরকারি কলেজের শতাধিক এইচএসসি পরীক্ষার্থীকে বোর্ড পরীক্ষার ফরম পুরণের জন্য হোস্টেলে থাকা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। তিন মাসের জন্য ৩৫ হাজার টাকা দিয়ে হোস্টেলে থাকতে না চাইলে তাদের টিসি দেওয়ার হুমকি দেওয়া ও অভিভাবকদের কাছ থেকে সম্মতি পত্রে স্বাক্ষর নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। আগামী ১৬ এপ্রি
০১ এপ্রিল ২০২৪
ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে কলেজছাত্রীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগে আব্দুল করিম (৭২) নামের এক বৃদ্ধকে গাছের সঙ্গে বেঁধে রেখে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার পাগলা থানার একটি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এদিকে ওই বৃদ্ধের গলায় জুতার মালা পরানোর একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়
৮ মিনিট আগে
রংপুর মেডিকেলে চিকিৎসাধীন বাবাকে দেখতে বাড়ি থেকে বের হয়েছিলেন আমিরুল ইসলাম। কিন্তু পথ ভুলে কোথায় যেন তিনি চলে গেলেন। ফিরলেন না আর বাড়িতে। ২০১৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের ঘটনা এটি। তারপর কেটে গেছে এক যুগ।
১৬ মিনিট আগে
কিশোরগঞ্জের ইটনায় খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল আত্মসাতের মামলায় যুবদল নেতা দেলোয়ারকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বুধবার (৫ নভেম্বর) বেলা ৩টার দিকে উপজেলা পরিষদের সামনে থেকে দেলোয়ার হোসেনকে (৩২) গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি ইটনা উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ও উপজেলার মৃগা ইউনিয়নের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ডিলার জানু
৪০ মিনিট আগেঅষ্টগ্রাম প্রতিনিধি

কিশোরগঞ্জের ইটনায় খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল আত্মসাতের মামলায় যুবদল নেতা দেলোয়ারকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বুধবার (৫ নভেম্বর) বেলা ৩টার দিকে উপজেলা পরিষদের সামনে থেকে দেলোয়ার হোসেনকে (৩২) গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি ইটনা উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ও উপজেলার মৃগা ইউনিয়নের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ডিলার জানু মিয়ার ছেলে।
থানা-পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের ১৭ সেপ্টেম্বর খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল কালোবাজারে বিক্রির উদ্দেশ্যে একটি ট্রলারে করে তাড়াইল উপজেলায় নেওয়ার সময় ৭২ বস্তা চালসহ তিনজনকে আটক করে পুলিশ।
পরে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. বাবুল আকরাম বাদী হয়ে ইটনা থানায় ডিলার জানু মিয়া ও তাঁর ছেলেসহ ৮ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন।
এ বিষয়ে ইটনা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আনিছুর রহমান বলেন, ‘মামলার পর থেকে দেলোয়ার হোসেন পলাতক ছিলেন। আজ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এই মামলায় ৮ আসামির মধ্যে ইতিমধ্যে চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

কিশোরগঞ্জের ইটনায় খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল আত্মসাতের মামলায় যুবদল নেতা দেলোয়ারকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বুধবার (৫ নভেম্বর) বেলা ৩টার দিকে উপজেলা পরিষদের সামনে থেকে দেলোয়ার হোসেনকে (৩২) গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি ইটনা উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ও উপজেলার মৃগা ইউনিয়নের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ডিলার জানু মিয়ার ছেলে।
থানা-পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের ১৭ সেপ্টেম্বর খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল কালোবাজারে বিক্রির উদ্দেশ্যে একটি ট্রলারে করে তাড়াইল উপজেলায় নেওয়ার সময় ৭২ বস্তা চালসহ তিনজনকে আটক করে পুলিশ।
পরে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. বাবুল আকরাম বাদী হয়ে ইটনা থানায় ডিলার জানু মিয়া ও তাঁর ছেলেসহ ৮ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন।
এ বিষয়ে ইটনা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আনিছুর রহমান বলেন, ‘মামলার পর থেকে দেলোয়ার হোসেন পলাতক ছিলেন। আজ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এই মামলায় ৮ আসামির মধ্যে ইতিমধ্যে চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

গাজীপুরের একটি বেসরকারি কলেজের শতাধিক এইচএসসি পরীক্ষার্থীকে বোর্ড পরীক্ষার ফরম পুরণের জন্য হোস্টেলে থাকা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। তিন মাসের জন্য ৩৫ হাজার টাকা দিয়ে হোস্টেলে থাকতে না চাইলে তাদের টিসি দেওয়ার হুমকি দেওয়া ও অভিভাবকদের কাছ থেকে সম্মতি পত্রে স্বাক্ষর নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। আগামী ১৬ এপ্রি
০১ এপ্রিল ২০২৪
ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে কলেজছাত্রীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগে আব্দুল করিম (৭২) নামের এক বৃদ্ধকে গাছের সঙ্গে বেঁধে রেখে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার পাগলা থানার একটি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এদিকে ওই বৃদ্ধের গলায় জুতার মালা পরানোর একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়
৮ মিনিট আগে
রংপুর মেডিকেলে চিকিৎসাধীন বাবাকে দেখতে বাড়ি থেকে বের হয়েছিলেন আমিরুল ইসলাম। কিন্তু পথ ভুলে কোথায় যেন তিনি চলে গেলেন। ফিরলেন না আর বাড়িতে। ২০১৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের ঘটনা এটি। তারপর কেটে গেছে এক যুগ।
১৬ মিনিট আগে
চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে সোনা চোরাচালানকে কেন্দ্র করে অপহরণের ২৩ দিন পর পাঁচ ব্যক্তিকে উদ্ধার করা হয়েছে। শ্বাসরুদ্ধকর অভিযানে বুধবার যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার একটি নির্জন খামারবাড়ি থেকে তাঁদের উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা জেলা-পুলিশ। পাঁচজনের শরীরেই নির্মম নির্যাতনের চিহ্ন রয়েছে।
২৯ মিনিট আগে