Ajker Patrika

প্রচারের অভাবে আড়ালে অনন্য স্থাপত্যশৈলীর ‘ঈশা খাঁ’র মাজার

রিয়াদ হোসাইন, কালীগঞ্জ (গাজীপুর)
আপডেট : ১৫ নভেম্বর ২০২২, ১৭: ১১
প্রচারের অভাবে আড়ালে অনন্য স্থাপত্যশৈলীর ‘ঈশা খাঁ’র মাজার

গত বছরের শেষদিকে গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলা প্রশাসনের অর্থায়নে লাল সিরামিক ইট দিয়ে প্রাচীন নির্মাণ কৌশল সমৃদ্ধ একটি আধুনিক স্থাপত্যশৈলীর মাধ্যমে সংস্কার করা হয়েছিল ঈশা খাঁর মাজার। সাড়ে ১৭ ফিট উচ্চতার এবং ২৪ ফিট দৈর্ঘ্য ও প্রস্থবিশিষ্ট সমাধির প্রধান ফটকে রয়েছে ঈশা খাঁর সংক্ষিপ্ত জীবন বৃত্তান্ত। এমন দারুণ স্থাপত্যশৈলী থাকার পরেও পর্যটকদের নজর কাড়তে পারেনি।

প্রচার হীনতা ও অযত্নের কারণে অনেকটাই অগোচরে থেকে যাচ্ছে ঈশা খাঁর স্তম্ভটি। এক সময়ের দুর্দান্ত দাপুটে এই মহানায়কের মাজারটি এখন লোকচক্ষুর আড়ালে রয়েছে। এমনকি ইতিহাস থেকে হারিয়ে যেতে বসেছে।

জানা গেছে, ঈশা খাঁ গাজীপুরের কালীগঞ্জের বক্তারপুর, কিশোরগঞ্জের এগারসিন্ধুসহ ২২ পরগনার শাসক ছিলেন। জীবনের শেষ সময়ে এসে বক্তারপুর এলাকায় ঘাঁটিটি স্থাপন করেন তিনি। পরে তিনি মারাত্মকভাবে অসুস্থ হলে আর কোথাও যেতে পারেননি। তাঁর মৃত্যুর পরে এখানেই তাঁকে সমাধিস্থ করা হয়। বাংলাদেশ প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ স্বীকৃতিপ্রাপ্ত এ জায়গাটি অযত্নেই পড়েছিল। পরে গত বছরের ডিসেম্বরে তৎকালীন জেলা প্রশাসক এস. এম. তরিকুল ইসলামের তত্ত্বাবধানে সাবেক কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) শিবলী সাদিকের উদ্যোগে ও পরিকল্পনায় উপজেলা প্রশাসনের অর্থায়নের ১০ লাখ টাকা ব্যয়ে ‘ঈশা খাঁ’র আধুনিক সমাধিস্থ নির্মাণ করা হয়।

সেই থেকে ভাবা হয়েছিল সারা দেশে এর ব্যাপক প্রচার এবং প্রসার ঘটবে। কিন্তু পর্যাপ্ত প্রচারের অভাবে আজ তা মুখ থুবড়ে পড়েছে। অনুন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা এবং বাসযোগ্য কোনো পর্যটন হোটেল-মোটেল না থাকায় এমন দুরবস্থা হয়েছে বলে মনে করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

এ বিষয়ে বক্তারপুর গ্রামের ষাটোর্ধ্ব মো. লোকমান মোল্লা জানান, তিনি ছোটবেলা থেকেই জেনে এসেছেন এ অঞ্চলে ঈশা খাঁর মাজার রয়েছে। কিন্তু রক্ষণাবেক্ষণের তেমন কোনো ব্যবস্থা ছিল না। মাঝে মধ্যে দু’একজনকে ঘুরতে আসতে দেখতেন তিনি।

প্রচার হীনতা ও অযত্নের কারণে অনেকটাই অগোচরে রয়েছে ঈশা খাঁর মাজারস্থানীয় ব্যবসায়ী মো. মাসুম সরকার বলেন, ‘বক্তারপুর গ্রামে ইতিহাসের মহাবীর ঈশা খাঁর মাজার রয়েছে। এটা আমাদের অঞ্চলের মানুষের জন্য অত্যন্ত গর্বের হলেও সারা দেশের মানুষের কাছে এ বিষয়টি অজানাই থেকে গেছে। সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় যদি এর প্রচার এবং প্রসার করা যেত তাহলে এ অঞ্চলটি পর্যটন নগরী হয়ে উঠত। এতে এখানকার সাধারণ মানুষজনের আয়-রোজগারও বাড়ত।’ 

স্থানীয় এক স্কুলশিক্ষক মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘আমাদের গ্রাম বক্তারপুর কালীগঞ্জ সদর থেকে ৫ কিলোমিটার এলাকার ভেতরে অবস্থিত। ঢাকা শহরের খুব সন্নিকটেও বটে। এ গ্রামে রয়েছে পর্যটনের মতো বহু জায়গা। ঈশা খাঁর সমাধিস্থলের পাশাপাশি রয়েছে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলা ভূমি বিল বেলাই। তবে এ এলাকায় পর্যটকদের জন্য নেই কোনো ভালো হোটেল-মোটেল। তাই এখানে দূরদূরান্ত থেকে পর্যটকেরা আসতে চান না​। এ জন্য সরকারি উদ্যোগে পর্যটকদের জন্য কম খরচে থাকার ব্যবস্থা যদি করা যেত তাহলে পর্যটকেরা এখানে ঘুরতে আসবেন। এতে করে এ অঞ্চলের মানুষজনের জীবনযাত্রার মান বৃদ্ধি পাবে।’ 

বক্তারপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আতিকুর রহমান ফারুক বলেন, ‘ঈশা খাঁ বাস্তব জীবনে একজন বড় মাপের যোদ্ধা এবং শাসক ছিলেন। শেষজীবনে তিনি তাঁর গন্তব্যে যাওয়ার পথে বক্তারপুরে এসে ঘাঁটি স্থাপন করেন। এখানেই মারাত্মক রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান তিনি। পরে এখানেই তাঁকে সমাধিস্থ করা হয়। এ জন্য আমরা গর্বিত যে, তাঁর মতো একজন বীর শাসক আমাদের মাটিতে ঘুমিয়ে আছেন। এ বিষয়ে আমাদের পরবর্তী প্রজন্মকে জানতে হবে। যেহেতু তিনি ইতিহাসের একজন মহানায়ক। তাই তাঁর ব্যাপারে জানাটা আমাদের সন্তানদের জন্য আবশ্যক।’ 

এ ব্যাপারে কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আসসাদিকজামান বলেন, ঈশা খাঁর মাজারকে রক্ষণাবেক্ষণের জন্য সরকার নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এরই ধারাবাহিকতায় তাঁর মাজারের চারপাশে উন্নত স্থাপত্যশৈলীর মাধ্যমে সৌন্দর্য বৃদ্ধির পাশাপাশি সুরক্ষা দেয়াল নির্মাণ করা হয়েছে। অচিরেই প্রচার এবং প্রসারের বিষয়টিও উপজেলা প্রশাসন অবশ্যই দেখবে এবং যুগোপযোগী সিদ্ধান্ত নেবে। 

উল্লেখ্য, প্রখ্যাত ঐতিহাসিক এফ বি ব্রাডলি-বার্ট ১৯০৬ সালে প্রকাশিত ‘দা রোমান্স অফ অ্যান ইস্টার্ন ক্যাপিটাল’ গ্রন্থের ৬২ পৃষ্ঠায় উল্লেখ করেছে ‘বর্তমান গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলার বক্তারপুরে ঈশা খাঁ’র কবর অবস্থিত’। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘জুলাই যোদ্ধাদের’ দাবি মেনে সনদের অঙ্গীকারনামায় জরুরি সংশোধন আনল কমিশন

অঙ্গীকারনামায় সংশোধনীর পরও বিক্ষোভ, মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ রণক্ষেত্র

দুই দাবিতে জুলাই সনদ স্বাক্ষরের মঞ্চে অবস্থান ‘জুলাই যোদ্ধাদের’

জুলাই জাতীয় সনদের ৫ নম্বর দফা সংশোধনের যে প্রস্তাব দিলেন সালাহউদ্দিন

রাকসুতে ভিপি-এজিএসে শিবির, জিএস পদে আধিপত্যবিরোধী ঐক্যের জয়

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

পীরগাছায় বিএনপি নেতার ওপর হামলার জেরে সড়ক অবরোধ, চেয়ারম্যানের গাড়ি ভাঙচুর

পীরগাছা (রংপুর) প্রতিনিধি
পীরগাছা সদর ইউপি চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতা মোস্তাফিজার রহমান রেজার ওপর হামলা চালানো হয় এবং তাঁর গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা
পীরগাছা সদর ইউপি চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতা মোস্তাফিজার রহমান রেজার ওপর হামলা চালানো হয় এবং তাঁর গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা

রংপুরের পীরগাছায় বিএনপির এক নেতাকে মারধরের ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত রংপুর-গাইবান্ধা আঞ্চলিক মহাসড়ক অবরোধ করে রাখেন তাঁর অনুসারীরা। অবরোধ চলাকালে পীরগাছা সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতা মোস্তাফিজার রহমান রেজার ওপর হামলা চালানো হয় এবং তাঁর গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। এতে মহাসড়কে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়।

আজ শুক্রবার দুপুরে উপজেলার দেউতি বাজারে এই ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, গত বুধবার (১৫ অক্টোবর) সন্ধ্যায় পীরগাছা উপজেলা পরিষদ হলরুমে সদ্য প্রয়াত রংপুর জেলা বিএনপির সদস্যসচিব আনিছুর রহমান লাকুর স্মরণসভায় যোগ দিতে এসেছিলেন পারুল ইউনিয়ন বিএনপির নেতা রাশেদুল ইসলাম রাশেদ। এ সময় উপজেলা পরিষদসংলগ্ন বটতলায় দুর্বৃত্তরা তাঁর ওপর হামলা চালায়। হামলাকারীরা উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক জুয়েল হোসেন মণ্ডলের অনুসারী বলে জানা যায়।

রাশেদের ওপর হামলার ঘটনায় পুলিশ মামলা না নেওয়ায় শুক্রবার সকাল ৮টা থেকে রংপুর-গাইবান্ধা আঞ্চলিক মহাসড়কের দেউতি বাজারে সড়ক অবরোধ করেন আহত রাশেদের অনুসারীরা। এ সময় তাঁরা উপজেলা বিএনপির সভাপতি আমিনুল ইসলাম রাঙ্গা এবং সাংগঠনিক সম্পাদক জুয়েল মণ্ডলের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে থাকে।

সবেলা সাড়ে ১১টার দিকে পীরগাছা সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতা মোস্তাফিজার রহমান রেজা রংপুর শহর থেকে পীরগাছা যাওয়ার পথে এই অবরোধের মুখে পড়েন। চেয়ারম্যান রেজা উপজেলা বিএনপির সভাপতি আমিনুল ইসলাম রাঙ্গার চাচাতো ভাই হওয়ায় অবরোধকারীরা তাঁর প্রতি ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে।

পরিস্থিতি সামাল দিতে কয়েক ব্যক্তি চেয়ারম্যানের গাড়িকে ঘুরিয়ে অন্য একটি রাস্তায় পাঠালেও উত্তেজিত লোকজন তাঁর গাড়ির পিছু ধাওয়া করেন। একপর্যায়ে প্রাণ বাঁচাতে চেয়ারম্যান রেজা নিরুপায় হয়ে একজনের বাড়িতে ঢুকে আশ্রয় নেন। এ সময় উত্তেজিত লোকজন ওই বাড়িটিতেও ঢোকার চেষ্টা করেন এবং চেয়ারম্যানের গাড়িটি ভাঙচুর করেন।

খবর পেয়ে সেনাবাহিনী ও পুলিশ দেউতি বাজারে গিয়ে অবরোধকারীদের ছত্রভঙ্গ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনে সড়ক যোগাযোগ স্বাভাবিক করে। তবে যেখানে চেয়ারম্যান রেজা অবরুদ্ধ ছিলেন, সেখানে তারা পৌঁছানি। পরে স্থানীয় বিএনপির নেতা-কর্মী ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সহযোগিতায় চেয়ারম্যান রেজা অবরুদ্ধ অবস্থা থেকে মুক্তি পান।

এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বর্তমানে পীরগাছায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।

এ বিষয়ে পীরগাছা থানার ওসি (তদন্ত) আমিরুল ইসলাম বলেন, ‘খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনে সড়ক যোগাযোগ স্বাভাবিক করেছে। এখনো মোস্তাফিজার রহমান রেজার পক্ষ থেকে কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

তিনি আরও জানান, বিএনপি নেতা রাশেদের ওপর হামলার ঘটনায় তাঁরা একটি এজাহার পেয়েছেন এবং মামলার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘জুলাই যোদ্ধাদের’ দাবি মেনে সনদের অঙ্গীকারনামায় জরুরি সংশোধন আনল কমিশন

অঙ্গীকারনামায় সংশোধনীর পরও বিক্ষোভ, মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ রণক্ষেত্র

দুই দাবিতে জুলাই সনদ স্বাক্ষরের মঞ্চে অবস্থান ‘জুলাই যোদ্ধাদের’

জুলাই জাতীয় সনদের ৫ নম্বর দফা সংশোধনের যে প্রস্তাব দিলেন সালাহউদ্দিন

রাকসুতে ভিপি-এজিএসে শিবির, জিএস পদে আধিপত্যবিরোধী ঐক্যের জয়

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বেনাপোল বন্দরের শৃঙ্খলা রক্ষায় ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ

বেনাপোল (যশোর) প্রতিনিধি 
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

বেনাপোল বন্দরে অনিয়ম ও দুর্নীতি রোধে এবার ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দিয়েছে সরকার। বন্দরের অন্যান্য নিরাপত্তা সংস্থার পাশাপাশি কাজ করবেন উপজেলা পরিষদের দুই ম্যাজিস্ট্রেট। গতকাল বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) যশোর জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. আজাহারুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক চিঠির আদেশে স্থায়ী নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত অস্থায়ী ভিত্তিতে দুজনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। নিয়োগপ্রাপ্তরা হলেন শার্শা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী নাজিব হাসান ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. নিয়াজ মাখদুম।

নিয়োগপত্র সূত্রে জানা গেছে, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় কর্তৃক বেনাপোল স্থলবন্দরের ব্যবস্থাপনাসংক্রান্ত গঠিত কমিটির বেনাপোল স্থলবন্দরের অনিয়ম ও ব্যবস্থাপনার বিষয়ে দাখিল করা তদন্ত প্রতিবেদনের সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে এ নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। স্থায়ীভাবে ম্যাজিস্ট্রেট পদায়নের আগপর্যন্ত (১৬ অক্টোবর) হতে বেনাপোল স্থলবন্দরের আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও অপরাধ প্রতিরোধ কার্যক্রমকে কার্যকর করার লক্ষ্যে যশোরের বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের আদেশক্রমে অস্থায়ীভাবে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দেওয়া হয়।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, বেনাপোল বন্দরে প্রথম থেকেই নানান অনিয়ম ও রাজস্ব ফাঁকির অভিযোগ রয়েছে। তবে ৫ আগস্টের পর এক শ্রেণির দুর্নীতিবাজ ব্যবসায়ী বেনাপোল বন্দর থেকে শুল্ক ফাঁকি দিয়ে আমদানি পণ্য পাচার আরও বাড়িয়েছে। এসব দুনীতিবাজ সন্ত্রাসী প্রকৃতির। এর আগে বন্দরের নিরাপত্তাকর্মী এক আনসার সদস্যকে হাতুড়িপেটা করে হত্যা করেন আমদানি পণ্য পাচারকারীরা। অনিয়ম বন্ধ করতে বন্দরে তিনটি নিরাপত্তা বাহিনীর তিন শতাধিক নিরাপত্তাকর্মী রয়েছেন। কিন্তু তাঁদের বিরুদ্ধে রয়েছে দায়িত্ব পালনে অবহেলা ও অনিয়ম রোধে ব্যর্থতার অভিযোগ। ফলে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় শৃঙ্খলা রক্ষার আবেদন জানালে ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দেওয়া হয়।

সূত্র বলছে, গত ২২ সেপ্টেম্বর রাতে বন্দর এলাকা থেকে একটি ভারতীয় ট্রাকের পণ্য গোপনে আরেকটি বাংলাদেশি ট্রাকে লোড করা হয়। পরে ঢাকাগামী পণ্যবাহী ট্রাকটি বেনাপোল বন্দরের বাইপাস সড়কের ওপর থেকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিজিবি আটক করে। ট্রাকটি বেনাপোল বিজিবি ক্যাম্পে নিয়ে তল্লাশি করে ১ হাজার ৪৭৬টি শাড়ি, ২১৫টি থ্রি-পিস, মোটরসাইকেলের দুটি টায়ার, ১০ হাজার ৬৯৩টি ওষুধ ও ৭৪ হাজার ৪৫৫টি কসমেটিকস ক্রিম জব্দ করা হয়। গত ২৩ সেপ্টেম্বর কাগজপত্র ছাড়া একটি ভারতীয় পণ্যবোঝাই ট্রাক আটক হয়।

বেনাপোল বন্দর পরিচালক শামিম হোসেন জানান, চোরাচালান রোধে সরাসরি ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা বাস্তায়ন হবে। বন্দরের ভেতরে চুরি, বহিরাগত প্রবেশ ও কাগজপত্রবিহীন পণ্য প্রবেশ রোধে বন্দরের নিরাপত্তাকর্মীদের পাশাপাশি কার্যকার ভূমিকা পালন করবেন ম্যাজিস্ট্রেট।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘জুলাই যোদ্ধাদের’ দাবি মেনে সনদের অঙ্গীকারনামায় জরুরি সংশোধন আনল কমিশন

অঙ্গীকারনামায় সংশোধনীর পরও বিক্ষোভ, মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ রণক্ষেত্র

দুই দাবিতে জুলাই সনদ স্বাক্ষরের মঞ্চে অবস্থান ‘জুলাই যোদ্ধাদের’

জুলাই জাতীয় সনদের ৫ নম্বর দফা সংশোধনের যে প্রস্তাব দিলেন সালাহউদ্দিন

রাকসুতে ভিপি-এজিএসে শিবির, জিএস পদে আধিপত্যবিরোধী ঐক্যের জয়

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ইয়াবার টাকা দিতে না পারায় থাপ্পড়, ক্ষুব্ধ হয়ে মাদক কারবারিকে হত্যা

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি
আটককৃত রাকিবুল ইসলাম রাহুল। ছবি: সংগৃহীত
আটককৃত রাকিবুল ইসলাম রাহুল। ছবি: সংগৃহীত

কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলায় নির্মাণাধীন একটি বাড়ি থেকে মাদক কারবারি শাহিন হোসেনের (৩৫) লাশ উদ্ধারের ঘটনায় রাকিবুল ইসলাম রাহুল (২১) নামে এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ। আটক রাহুল উপজেলার মাঠপাড়া গ্রামের ওসমান আলীর ছেলে। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে তিনি শাহিনকে হত্যার দায় স্বীকার করেছেন।

খোকসা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মঈনুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, খুন হওয়া ব্যক্তি মাদক কারবারের সঙ্গে জড়িত ছিলেন এবং মূলত মাদক নিয়েই এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে।

এর আগে গত মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে মাঠপাড়া গ্রামের নির্মাণাধীন একটি বাড়ির বারান্দা থেকে পলিথিন দিয়ে ঢাকা অবস্থায় শাহিনের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত শাহিন একই এলাকার মৃত আছের আলীর ছেলে।

এ ঘটনায় মৃত শাহিনের স্ত্রী বাদী হয়ে খোকসা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।

খোকসা থানা-পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শাহিনের মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) দুপুরে নিজ এলাকা থেকে রাহুলকে আটক করা হয়। এ সময় তাঁর কাছ থেকে শাহিনের তিনটি মোবাইল ফোন ও মানিব্যাগ উদ্ধার করা হয়।

পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে রাহুল স্বীকার করেন, ঘটনার দিন তিনি শাহিনের কাছ থেকে দুটি ইয়াবা নিয়ে সেবন করেন। টাকা দিতে না পারায় শাহীন তাঁকে গালিগালাজ, হুমকি এবং মুখে থাপ্পড় দেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে রাহুল নাইলনের রশির ফাঁস বানিয়ে শাহিনের গলায় শক্ত করে বেঁধে তাঁকে হত্যা করেন।

আজ শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) দুপুরে আসামি রাহুলকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘জুলাই যোদ্ধাদের’ দাবি মেনে সনদের অঙ্গীকারনামায় জরুরি সংশোধন আনল কমিশন

অঙ্গীকারনামায় সংশোধনীর পরও বিক্ষোভ, মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ রণক্ষেত্র

দুই দাবিতে জুলাই সনদ স্বাক্ষরের মঞ্চে অবস্থান ‘জুলাই যোদ্ধাদের’

জুলাই জাতীয় সনদের ৫ নম্বর দফা সংশোধনের যে প্রস্তাব দিলেন সালাহউদ্দিন

রাকসুতে ভিপি-এজিএসে শিবির, জিএস পদে আধিপত্যবিরোধী ঐক্যের জয়

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

খুলনায় আড়াই মাসের মাথায় ঘরে ঢুকে যুবককে ফের গুলি

খুলনা প্রতিনিধি
আপডেট : ১৭ অক্টোবর ২০২৫, ১৮: ১১
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

খুলনা নগরীর ২ নম্বর কাস্টমস ঘাট এলাকায় বাড়ির ভেতরে ঢুকে সোহেল (২৮) নামের এক যুবককে গুলি করেছে দুর্বৃত্তরা। গুরুতর অবস্থায় তাঁকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আজ শুক্রবার বেলা ৩টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

এর আগে গত ৩ আগস্ট একই এলাকায় দুর্বৃত্তরা সোহেলকে লক্ষ্য করে গুলি করেছিল। তখনো তিনি গুলিবিদ্ধ হয়ে চিকিৎসা নিয়েছিলেন।

জানা গেছে, আহত সোহেল বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার মিশন বাড়িয়া গ্রামের স্বপন শিকদার ছেলে। তিনি ২ নম্বর কাস্টমস ঘাট এলাকায় পরিবার নিয়ে ভাড়া বাসায় থাকেন।

খুলনা সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুল হাই আজকের পত্রিকাকে বলেন, স্থানীয় মনিরুল ইসলামের ভাড়া বাসায় থাকেন সোহেল। তিনি দুপুরে স্ত্রী ও সন্তানকে নিয়ে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন। এ সময় তিনটি মোটরসাইকেলে ছয় ব্যক্তি এসে ঘরে ঢুকে সোহেলের মাথায় গুলি করে পালিয়ে যায়। প্রতিবেশীরা তাঁকে দ্রুত উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান।

গত ৩ আগস্ট গুলির ঘটনা সম্পর্কে সে সময় খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের উপপুলিশ কমিশনার মো. আবু তারেক জানিয়েছিলেন, সোহেল স্থানীয় একটি সন্ত্রাসী গ্রুপের সদস্য। মাদক ও টাকার লেনদেন নিয়ে ওই গুলির ঘটনা ঘটতে পারে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘জুলাই যোদ্ধাদের’ দাবি মেনে সনদের অঙ্গীকারনামায় জরুরি সংশোধন আনল কমিশন

অঙ্গীকারনামায় সংশোধনীর পরও বিক্ষোভ, মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ রণক্ষেত্র

দুই দাবিতে জুলাই সনদ স্বাক্ষরের মঞ্চে অবস্থান ‘জুলাই যোদ্ধাদের’

জুলাই জাতীয় সনদের ৫ নম্বর দফা সংশোধনের যে প্রস্তাব দিলেন সালাহউদ্দিন

রাকসুতে ভিপি-এজিএসে শিবির, জিএস পদে আধিপত্যবিরোধী ঐক্যের জয়

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত