Ajker Patrika

চাঁদা না পেয়ে ১৬ গাড়ি ভাঙচুর: অবশেষে আসামি যুবদল নেতা, গ্রেপ্তার দুই

ফরিদপুর প্রতিনিধি
জেলা যুবদলের সহসভাপতি গ্রেপ্তার মাসুদুর রহমান লিমন। ছবি: সংগৃহীত
জেলা যুবদলের সহসভাপতি গ্রেপ্তার মাসুদুর রহমান লিমন। ছবি: সংগৃহীত

ফরিদপুরে চাঁদা না পেয়ে জেলা যুবদলের সহসভাপতি মাসুদুর রহমান লিমনের নেতৃত্বে হামলা চালিয়ে ১৬টি গাড়ি ভাঙচুর ও চাঁদাবাজির ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। তবে এ মামলায় সাতজন আসামির মধ্যে সর্বশেষ আসামি করা হয়েছে এই যুবদল নেতাকে। ওই মামলায় পুলিশ তাঁকে সহ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে। অপরজন ৬ নম্বর আসামি আনন্দ শুভ্র রায়।

আজ বুধবার সকালে শহরের ওয়্যারলেসপাড়া এলাকা থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করে কোতোয়ালি থানা-পুলিশ। এর আগে গতকাল মঙ্গলবার রাতে সাতজনের নাম উল্লেখ করে মামলাটি করেন জেলা মাহিন্দ্রা মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ। এ ছাড়া মামলায় অজ্ঞাতনামা হিসেবে অনেককে আসামি করা হয়েছে।

সত্যতা নিশ্চিত করে তদন্তকারী কর্মকর্তা, কোতোয়ালি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সাহেব আলী বলেন, এ মামলায় দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্য আসামিদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

এ বিষয়ে মামলার বাদী আবুল কালাম আজাদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, যুবদল নেতাকে হুকুমের আসামি করা হয়েছে।

জানা যায়, গতকাল বিকেলে ফরিদপুরের ব্যস্ততম ভাঙ্গা রাস্তার মোড়ে শিবরামপুর, ধুলদী ও কানাইপুরগামী থ্রি-হুইলার মাহিন্দ্রা স্ট্যান্ডে হামলার ঘটনা ঘটে। প্রায় অর্ধশত ব্যক্তি লাঠিসোঁটা নিয়ে হামলা চালিয়ে সেখানে যাত্রী পরিবহনের জন্য অপেক্ষমাণ ১৬টি মাহিন্দ্রা গাড়ি ভাঙচুর করে। এ সময় কয়েকজন চালককে আহত করা হয়। তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

চাঁদা না দেওয়ায় ফরিদপুর জেলা যুবদলের সহসভাপতি মাসুদুর রহমান লিমনের নির্দেশে এ হামলা চালানো হয় বলে মাহিন্দ্রা মালিক সমিতির নেতারা ঘটনার পরপরই সাংবাদিকদের কাছে জানিয়েছেন।

ভাঙচুর করা যানবাহন। ছবি আজকের পত্রিকা
ভাঙচুর করা যানবাহন। ছবি আজকের পত্রিকা

মাহিন্দ্রা মালিক নেতা আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘আমাদের সমিতির আন্ডারে (তত্ত্বাবধানে) এই স্ট্যান্ড চলে, বাকিগুলো অন্যরা নিয়ন্ত্রণ করে। ৫ আগস্টের পর থেকে যুবদল নেতা লিমনের নেতৃত্বে আমাদের স্ট্যান্ড দখল করার চেষ্টা চলে এবং গাড়ির ট্রিপপ্রতি টাকা দাবি করে। কয়েকবার লিমন নিজেই এসে টাকা দাবি করে হুমকি দিয়ে যায়। একপর্যায়ে আমাদের স্ট্যান্ডের পাশেই আরেকটি অস্থায়ী স্ট্যান্ড করে সুবিধা নিয়ে সালথার মাহিন্দ্রা চলাচলের সুযোগ করে দিয়েছে এই লিমন। প্রতি ট্রিপ থেকে ৫০ থেকে ১০০ টাকা করে কালেকশন করে তার সহযোগী শাহিন হাওলাদারসহ কয়েকজন। এতে বাঁধা দেওয়ায় আমাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায় তার বাহিনী।’

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ৫ আগস্টের পর ভাঙ্গার রাস্তার মোড়ে ট্রাফিক পুলিশ বক্সসংলগ্ন একটি ঘর দখলে নেন এই যুবদল নেতা। তার আগে ওই ঘরটি জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি গোলাম মো. নাছিরের দখলে ছিল। বর্তমানে ওই টিনের চালার ঘরটি নিজের ব্যক্তিগত কার্যালয় বানিয়েছেন। এখানে বসেই ওই এলাকার পরিবহন সেক্টরে চাঁদাবাজি নিয়ন্ত্রণ করছেন। এ ছাড়া নিজেকে ১২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা দিয়ে ওই কার্যালয়ে একটি ব্যানারও টানিয়ে রেখেছেন যুবদল নেতা।

এদিকে সাংগঠনিক ব্যবস্থার বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা যুবদলের সভাপতি মো. রাজিব হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, চাঁদাবাজির বিষয়ে কেন্দ্র খুব কঠোর, এমন ঘটনায় কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। দু-এক দিনের মধ্যে কেন্দ্রকে প্রতিবেদনের মাধ্যমে জানানো হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

স্পিকারের বাসভবনই হবে প্রধানমন্ত্রীর অস্থায়ী আবাস

ঘরে সদ্য বিবাহিত বিক্রয় প্রতিনিধির লাশ, চিরকুটে লেখা ‘জীবন খুবই কঠিন’

জাতীয় সংসদ নির্বাচন: আলোচনায় আসনের ভাগ

নিয়মিত দাঁত ব্রাশ করেও মুখে দুর্গন্ধের কারণ, পরিত্রাণের উপায়

২৮ সেপ্টেম্বর থেকে ৯ অক্টোবর হাইস্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা নয়: শিক্ষা মন্ত্রণালয়

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত