Ajker Patrika

ভাঙ্গায় এবার রেলপথ অবরোধ, আটকে আছে ঢাকাগামী ট্রেন

ফরিদপুর প্রতিনিধি
আপডেট : ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৪: ২৭
ভাঙ্গা উপজেলার কৈডুবি সদরদি এলাকায় রেলপথের ৮১ নম্বর গেটে গাছের গুঁড়ি ফেলে রেখে বিক্ষোভ করছেন আলগী ইউনিয়নবাসী। ছবি: আজকের পত্রিকা
ভাঙ্গা উপজেলার কৈডুবি সদরদি এলাকায় রেলপথের ৮১ নম্বর গেটে গাছের গুঁড়ি ফেলে রেখে বিক্ষোভ করছেন আলগী ইউনিয়নবাসী। ছবি: আজকের পত্রিকা

সংসদীয় আসন পুনর্বহালের দাবিতে ফরিদপুরের ভাঙ্গায় মহাসড়কের পাশাপাশি এবার রেলপথ অবরোধ করে বিক্ষোভ করছে এলাকাবাসী। ফলে ঢাকা-খুলনা-বেনাপোল রেলপথে বন্ধ রয়েছে ট্রেন চলাচল, ভোগান্তির মুখে পড়েছে যাত্রীরা।

আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৭টা থেকে ভাঙ্গা উপজেলার কৈডুবি সদরদি এলাকায় রেলপথের ৮১ নম্বর গেটে গাছের গুঁড়ি ফেলে রেখে বিক্ষোভ করছে আলগী ইউনিয়নবাসী। এতে খুলনা থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী জাহানাবাদ এক্সপ্রেস নামে একটি ট্রেন আটকা পড়েছে।

ভাঙ্গা রেলওয়ে স্টেশন সূত্রে জানা যায়, পদ্মা রেল সেতু চালু হওয়ার পর থেকে ঢাকা-খুলনা-বেনাপোল রেলপথ দিয়ে একটি ট্রেন চলাচল করে আসছে। ট্রেনটি খুলনা থেকে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন পর্যন্ত জাহানাবাদ এক্সপ্রেস নামে ও ঢাকা থেকে বেনাপোল পর্যন্ত রুপসী বাংলা নামে চলাচল করে। আজ সকাল ৬ টায় খুলনা থেকে ছেড়ে আসলেও ২০ কিলোমিটার দূরে গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলায় একটি স্টেশনে আটকে রয়েছে৷

ট্রেনটি সকাল পৌনে ১০ টায় ঢাকায় পৌঁছানোর কথা ছিল এবং পুনরায় সকাল পৌনে ১১ টায় কমলাপুর থেকে বেনাপোল যাওয়ার কথা। কিন্তু আটকে যাওয়ায় চরম ভোগান্তির মধ্যে পড়েছেন এই রুটের যাত্রীরা।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ভাঙ্গা রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার সাকিবুর রহমান আকন্দ আজকের পত্রিকাকে বলেন, `খবর পাওয়া মাত্রই বিশৃঙ্খলা এড়াতে আমরা ২০ কিলোমিটার দূরে থেকেই ট্রেনটি বন্ধ করে দিয়েছি। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত এই পথে ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকবে।’

ভাঙ্গা উপজেলার কৈডুবি সদরদি এলাকায় রেলপথের ৮১ নম্বর গেটে গাছের গুঁড়ি ফেলে রেখে বিক্ষোভ করছেন আলগী ইউনিয়নবাসী। ছবি: আজকের পত্রিকা
ভাঙ্গা উপজেলার কৈডুবি সদরদি এলাকায় রেলপথের ৮১ নম্বর গেটে গাছের গুঁড়ি ফেলে রেখে বিক্ষোভ করছেন আলগী ইউনিয়নবাসী। ছবি: আজকের পত্রিকা

এদিকে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী ও স্থানীয় আলগী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. সিদ্দিকুর রহমান জানিয়েছেন, যতক্ষণ দাবি আদায় না হবে, ততক্ষণ রেলপথ দিয়ে কোনো ট্রেন চলাচল করতে দেওয়া হবে না।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান বলেন, ‘রেলপথ আটকানোর খবরটি জেনেছি। আমরা স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলছি, কিন্তু কোনো কথা শুনছে না তারা।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত