Ajker Patrika

দুর্গাপূজা ঘিরে নারকেল-গুড়ের দাম চড়া

ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) প্রতিনিধি 
ফুলবাড়ী বাজারে নারকেল, গুড়ের দাম বেড়েছে। ছবি: আজকের পত্রিকা
ফুলবাড়ী বাজারে নারকেল, গুড়ের দাম বেড়েছে। ছবি: আজকের পত্রিকা

সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়ে গেছে। আর পূজায় নাড়ু, মোয়া, পায়েস, সন্দেশসহ নানা রকম মিষ্টিজাতীয় খাবার বানানো হয়। তার মধ্যে নারকেলের নাড়ু, নারকেল গুড়ের সন্দেশ না থাকলে যেন জমে না পূজার প্রসাদ। এ ছাড়াও মন্দিরে পূজার আচারে নারকেলের প্রয়োজন হয়। পূজা ঘিরে নারকেলের চাহিদা অন্যান্য সময়ের তুলনায় তাই কয়েক গুণ বেড়ে যায়। এ সুযোগে বাজারে এটির দামও বেড়ে যায়।

দিনাজপুরের ফুলবাড়ী পৌর শহরসহ বিভিন্ন হাটবাজারে দেখা মিলছে থরে থরে সাজিয়ে রাখা নারকেলের পসরা। তা কিনতে আসছেন ক্রেতারা। তবে নারকেলের চড়া দাম শুনে মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্তদের কপালে ভাঁজ পড়ছে। পৌর বাজার ঘুরে জানা যায়, চাহিদা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাজারে গুড় ও নারকেলের দামও বেড়েছে। গত পূজায় এক জোড়া নারকেলের দাম ছিল আকারভেদে ১৫০-২০০ টাকা। সেই নারকেল এ বছর বিক্রি হচ্ছে ২৬০ থেকে ৩৫০ টাকা জোড়া। সে অনুযায়ী, প্রতিটি নারকেলের দাম ১২০-১২৫ টাকা। এদিকে বেড়েছে গুড়ের দামও। যে গুড় গত বছর মিলেছে ৮০-৯০ টাকায়, তা এ বছর বিক্রি হচ্ছে ১১০-১২০ টাকায়।

বিক্রেতারা জানান, দুর্গাপূজা উপলক্ষে গুড় এবং ঝুনা নারকেলের চাহিদা প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। তবে দামও গুনতে হচ্ছে বেশি। বাজারের গিয়ে দেখা যায়, মানভেদে প্রতি কেজি আখের গুড় বিক্রি হচ্ছে ১১০-১২০ টাকায়; যা আগের চেয়ে ১০-২০ টাকা বেশি। অন্যদিকে আকার ও মানভেদে প্রতি জোড়া নারকেল (দুটি) ২৬০-৩৫০ টাকা পর্যন্ত কিক্রি হচ্ছে। এতে করে প্রতিটি নারকেল বিক্রি হচ্ছে ১৩০-১৭০ টাকা পর্যন্ত।

খুচরা বিক্রেতারা মফিজুল ইসলাম, রহিদুল ইসলাম ও আইয়ুব আলী জানান, আড়তে নারকেলের দাম বেশি, তাই বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। এসব নারকেল খুলনা, ভোলা, বরিশাল ও নোয়াখালী থেকে আসে। ব্যবসায়ীদের মতে, ডাবের চাহিদা এবং দাম বেশি থাকার কারণে নারকেলের দাম একটু বেশি। তারা আরও জানান, দাম বেশি হওয়ায় বেচাকেনা কম হচ্ছে। অনেকে দাম শুনে ফিরে যাচ্ছেন।

ক্রেতা পরিতোষ কুমার বলেন, নারকেল ছাড়া পূজার কথা ভাবাই যায় না। পূজায় আত্মীয়স্বজন বাড়িতে বেড়াতে আসে। তাদের আপ্যায়নে মিষ্টিজাতীয় খাবার করতে হয়। এর মধ্যে নারকেলের নাড়ু অন্যতম। তাই এ সময় চাহিদা, দাম উভয়ই বাড়ে। তিনি বলেন, আশ্বিন-কার্তিক মাসে সংসারে অভাব থাকে। কিন্তু অভাব যতই হোক, মা দুর্গার পূজায় ফলমূল, মোয়া, নাড়ু, নারকেল তো দিতে হয়। দাম বেশি হলেও কিনতে হবে। রাজারামপুর গ্রামের কল্পনা রানী বলেন, ‘পূজা চলছে। বাড়িতে বাচ্চারা আছে, অতিথি এলে তাদেরও তো আপ্যায়ন করতে হবে। তাই দুটো নারকেল কিনলাম।’

বিশ্বনাথ নামে আরেক ক্রেতা বলেন, ‘দাম বেশি হলেও পুজোয় নারকেল এবং গুড় আমাদের কিনতেই হয়। তাই ৫২০ টাকায় খোসাসহ চারটি নারকেল কিনেছি, ২২০ টাকায় দুই কেজি গুড় কিনেছি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জাতিসংঘে নেতানিয়াহুর ভাষণের সময় ওয়াকআউট করল কোন কোন দেশ, বাংলাদেশও কি ছিল

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও ফার্স্ট লেডির সঙ্গে ড. ইউনূস, পাশে মেয়ে দীনা

জুনেও যুক্তরাষ্ট্রে গিয়েছিলাম, এবার বাধা দেওয়ায় বিস্মিত হয়েছি: সোহেল তাজ

ভারতীয় সাংবাদিকের প্রশ্নে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর জবাব ভাইরাল

বিএনপির চোখ জামায়াত ও চরমোনাইয়ের দিকে

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত