সাভার পৌরসভা
অরূপ রায়, সাভার

ঢাকার সাভার পৌরসভায় ২০১৬ সাল থেকে ৯ বছরে শতকোটি টাকার উন্নয়নকাজের ৭০ কোটির কাজই করেছেন সাবেক মেয়রের ছেলেরা। এসব কাজের অধিকাংশই নিম্নমানের হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের আগে বেশির ভাগ কাজের বিলও তুলে নিয়ে গেছেন তাঁরা।
পৌরসভা থেকে জানানো হয়েছে, ২০১৬ সালের ২ ফেব্রুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের ১৮ আগস্ট পর্যন্ত টানা প্রায় ৯ বছর সাভার পৌরসভার মেয়রের দায়িত্বে ছিলেন পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল গনি। এ সময় পৌর এলাকায় ১০১ কোটি টাকার ড্রেন ও সড়ক উন্নয়নের কাজ হয়েছে। এর মধ্যে মেসার্স শিকদার কনস্ট্রাকশন অ্যান্ড বিল্ডার্স নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান প্রায় ৬৯ কোটি টাকার কাজ করেছে, যা ওই সময়ের মোট কাজের প্রায় ৭০ শতাংশ।
শিকদার কনস্ট্রাকশন অ্যান্ড বিল্ডার্সের লাইসেন্সে কাজ হলেও মূলত এই বিপুল অঙ্কের টাকার কাজ করেছেন মেয়রের বড় ছেলে আশুলিয়া থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফারুক হাসান তুহিন, মেজ ছেলে কামরুল হাসান শাহীন ও ছোট ছেলে মেহেদী হাসান তুষার।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সাভার পৌরসভার এক কর্মকর্তা আজকের পত্রিকাকে বলেন, শিকদার কনস্ট্রাকশন যেসব কাজ করেছে, তার প্রায় সব কটিতে ব্যবহার করা হয়েছে নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী। অধিকাংশ কাজে চুক্তি অনুযায়ী রড ব্যবহার করা হয়নি। এ কারণে নির্মাণ বা সংস্কারের কয়েক মাসের মধ্যে অনেক সড়ক ও ড্রেন ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এর পরও মেয়র ও তাঁর ছেলেদের কারণে শিকদার কনস্ট্রাকশনের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া যায়নি।
ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, সম্প্রতি দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) অনুসন্ধানেও শিকদার কনস্ট্রাকশনের কাজে দুর্নীতির প্রমাণ মিলেছে।
তথ্য অধিকার আইন ব্যবহার করে শিকদার কনস্ট্রাকশন অ্যান্ড বিল্ডার্সের বিভিন্ন কাজের তথ্য চেয়ে আজকের পত্রিকার পক্ষ থেকে পৌরসভার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার কাছে আবেদন করা হয়। আবেদনের পর পৌরসভা থেকে বেশ কিছু তথ্য সরবরাহ করা হয়।
সরবরাহ করা তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা যায়, ২০১৭-১৮ অর্থবছর থেকে ২০২৪-২৫ অর্থবছর পর্যন্ত ১০১ কোটি টাকার ড্রেন ও সড়কের উন্নয়নকাজ হয়েছে। এর মধ্যে মেসার্স শিকদার কনস্ট্রাকশন অ্যান্ড বিল্ডার্স ৭০ কোটি ২৫ লাখ ৪২ হাজার ৫৫৬ টাকার কাজ পেয়েছে। এসব কাজের কোনোটার পুরো এবং কোনোটার আংশিক কাজ সম্পন্ন হয়েছে।
সরবরাহ করা তথ্য অনুযায়ী, শিকদার কনস্ট্রাকশন গত ৯ বছরে ৬৬ কোটি ৯১ লাখ ৯ হাজার ২৩৫ টাকায় ৬৮টি ড্রেন ও সড়কের আংশিক বা পুরো কাজ করে বিলের অধিকাংশই উত্তোলন করে নিয়েছে। মেয়রের ছেলেদের মনোনীত কোনো ব্যক্তি শিকদার কনস্ট্রাকশনের মালিক এ কাদের শিকদারের কাছ থেকে লিখিত ক্ষমতা নিয়ে বিল উত্তোলন করে নেন।
তবে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের একটি প্যাকেজে ৪টি কাজের মধ্যে একটি ড্রেন নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ ওঠায় ওই প্যাকেজের কোনো কাজের বিল দেওয়া হয়নি। আর বাকি ৫টি কাজের আদেশ দেওয়া হয়নি।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, গুরুত্বপূর্ণ নগরকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের (আইইউআইডিপি) আওতায় ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ১ কোটি ৮৩ লাখ ৭০ হাজার টাকায় রেডিওকলোনি এলাকায় ৩৩৭ মিটার আরসিসি ড্রেন, রাজাসন এলাকায় সড়কসহ ১১০ মিটার আরসিসি ড্রেন এবং গেণ্ডা এলাকায় ১৭৬ মিটার আরসিসি ড্রেন নির্মাণের কাজ পায় শিকদার কনস্ট্রাকশন অ্যান্ড বিল্ডার্স।
কার্যাদেশের পর ২০২৪ সালের নভেম্বর মাসে নির্মাণকাজ শুরু করা হয়। কাজ শুরুর পাঁচ মাস পর গত ৭ এপ্রিল দুদকের অনুসন্ধানে রেডিওকলোনিতে ৩৩৭ মিটার ড্রেন নির্মাণে বড় ধরনের অনিয়ম ধরা পড়ে। ড্রেনটিতে রডের দুটি জালি ব্যবহার করার কথা থাকলেও একটি জালি ব্যবহার করেই প্রায় ৭০ শতাংশ কাজ শেষ করা হয়।
টানা পাঁচ মাস এই অনিয়ম চলে এলেও কাজের দেখভালের দায়িত্বে থাকা উপসহকারী প্রকৌশলী ও কার্যসহকারী কোনো ব্যবস্থা নেননি।
দুদকের ঢাকা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আরিফ আহম্মেদ বলেন, ‘ড্রেন নির্মাণের কাজে পুরোটাই অনিয়ম হয়েছে। যার চাক্ষুষ প্রমাণ পাওয়া গেছে। একই প্যাকেজে বাকি তিনটি কাজেও অনিয়ম হয়েছে বলে আমার ধারণা। তবে ওইসব কাজ শেষ হয়ে যাওয়ায় তা খতিয়ে দেখা যায়নি।’
জানতে চাইলে রেডিওকলোনির ৩৭৭ মিটার ড্রেন নির্মাণকাজের দেখভালের দায়িত্বে থাকা উপসহকারী প্রকৌশলী বাপ্পী শাহরিয়ার বলেন, ‘আমাকে একসঙ্গে অনেক কাজ তদারকির দায়িত্ব দেওয়া হয়। যে কারণে একার পক্ষে সব কাজের তদারকি করা সম্ভব হয় না। এভাবেই হয়তোবা ড্রেন নির্মাণের কাজে অনিয়মের বিষয়টি আমার নজর এড়িয়ে গেছে।’
শুধু ড্রেন নির্মাণে নয়, অনেক কাজে দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে শিকদার কনস্ট্রাকশন অ্যান্ড বিল্ডার্সের বিরুদ্ধে। কিন্তু মেয়র আর তাঁর ছেলেদের প্রভাবে পৌরসভার প্রকৌশল বিভাগ কোনো ব্যবস্থা নিতে পারেনি।
আরসিসিস ঢালাই ও ঢালাইয়ের দুপাশে ইউনিব্লক দিয়ে পৌরসভার এক নম্বর ওয়ার্ডের ভাটপাড়া গুদারাঘাট থেকে কালভার্ট হয়ে শুকুরজান স্কুল পর্যন্ত ৩১০ মিটার সড়কের উন্নয়ন করা হয়। ২০২২-২৩ অর্থবছরে কাজটি করে মেসার্স শিকদার কনস্ট্রাকশন অ্যান্ড বিল্ডার্স।
সম্প্রতি ওই সড়কে গিয়ে দেখা যায়, কালভার্টের পূর্ব পাশে সড়কের বেশ কিছু অংশ দেবে গেছে। অনেক জায়গায় ইউনিব্লক উঠে গেছে।
এ বিষয়ে জানতে আত্মগোপনে থাকা এক নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর রমজান আহম্মেদের সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহারের পাশাপাশি চুক্তি অনুযায়ী রড না দেওয়ায় কাজ শেষ হওয়ার কয়েক মাসের মধ্যে তা দেবে যায়।’
রমজান আহম্মেদ আরও বলেন, ‘শিকদার কনস্ট্রাকশন আমার ওয়ার্ডে যেসব ড্রেন ও সড়কের কাজ করেছে, সবই নিম্নমানের কাজ হয়েছে। ইতিমধ্যে অনেক সড়কের বিভিন্ন স্থান দেবে গেছে। ড্রেনের স্লাব ও ম্যানহোলের ঢাকনা ভেঙে গেছে।’
যোগাযোগ করা হলে মেসার্স শিকদার কনস্ট্রাকশন অ্যান্ড বিল্ডার্সের মালিক এ কাদের শিকদার বলেন, ‘মেয়র আবদুল গনির ছেলেরা আমার লাইসেন্সে কৌশলে সব কাজ হাতিয়ে নিতেন। আর নিম্নমানের কাজ করে এবং কাজে অনিয়ম করেও বাবার সুবাদে বিল পেয়ে যেতেন। এখন সেসবের খেসারত দিতে হচ্ছে আমাকে।’
হোয়াটসঅ্যাপে যোগাযোগ করা হলে মেয়র আবদুল গনির বড় ছেলে আশুলিয়া থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফারুক হাসান তুহিন বলেন, ‘আমার দুই ভাই ও আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হচ্ছে, তা সত্য নয়। আমি ঠিকাদারি করেছি গণপূর্ত অধিদপ্তরে। আর আমার ভাইয়েরা অন্য পেশায় জড়িত ছিলেন।’
তবে সাভার পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী আমজাদ হোসেন বলেন, ‘শিকদার কনস্ট্রাকশনের লাইসেন্সে যত কাজ হয়েছে সব কাজ করেছেন সাবেক মেয়র আবদুল গনির ছেলেরা। যে কারণে কাজে অনিয়ম হয়ে থাকলেও বলার কিছু ছিল না।’
কাজে অনিয়ম এবং শিকদার কনস্ট্রাকশনের নামে ৭০ কোটি টাকার কাজের প্রসঙ্গে সাভারের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও সাভার পৌরসভার প্রশাসক মো. আবুবকর সরকার বলেন, ‘আমি পৌরসভার দায়িত্ব পাওয়ার আগে কী হয়েছে, তা আমার জানা নেই। কার লাইসেন্সে কে কাজ করেছেন, তাও আমি জানি না। তবে দুদক যে কাজে অনিয়ম পেয়েছে, তা আমার নজরে এসেছে। বিষয়টি পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সেন্ট্রাল প্রকিউরমেন্ট টেকনিক্যাল ইউনিটের (সিপিটিইউ) বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের মহাপরিচালককে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। সেখান থেকে সিদ্ধান্ত পাওয়ার পর পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

ঢাকার সাভার পৌরসভায় ২০১৬ সাল থেকে ৯ বছরে শতকোটি টাকার উন্নয়নকাজের ৭০ কোটির কাজই করেছেন সাবেক মেয়রের ছেলেরা। এসব কাজের অধিকাংশই নিম্নমানের হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের আগে বেশির ভাগ কাজের বিলও তুলে নিয়ে গেছেন তাঁরা।
পৌরসভা থেকে জানানো হয়েছে, ২০১৬ সালের ২ ফেব্রুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের ১৮ আগস্ট পর্যন্ত টানা প্রায় ৯ বছর সাভার পৌরসভার মেয়রের দায়িত্বে ছিলেন পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল গনি। এ সময় পৌর এলাকায় ১০১ কোটি টাকার ড্রেন ও সড়ক উন্নয়নের কাজ হয়েছে। এর মধ্যে মেসার্স শিকদার কনস্ট্রাকশন অ্যান্ড বিল্ডার্স নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান প্রায় ৬৯ কোটি টাকার কাজ করেছে, যা ওই সময়ের মোট কাজের প্রায় ৭০ শতাংশ।
শিকদার কনস্ট্রাকশন অ্যান্ড বিল্ডার্সের লাইসেন্সে কাজ হলেও মূলত এই বিপুল অঙ্কের টাকার কাজ করেছেন মেয়রের বড় ছেলে আশুলিয়া থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফারুক হাসান তুহিন, মেজ ছেলে কামরুল হাসান শাহীন ও ছোট ছেলে মেহেদী হাসান তুষার।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সাভার পৌরসভার এক কর্মকর্তা আজকের পত্রিকাকে বলেন, শিকদার কনস্ট্রাকশন যেসব কাজ করেছে, তার প্রায় সব কটিতে ব্যবহার করা হয়েছে নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী। অধিকাংশ কাজে চুক্তি অনুযায়ী রড ব্যবহার করা হয়নি। এ কারণে নির্মাণ বা সংস্কারের কয়েক মাসের মধ্যে অনেক সড়ক ও ড্রেন ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এর পরও মেয়র ও তাঁর ছেলেদের কারণে শিকদার কনস্ট্রাকশনের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া যায়নি।
ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, সম্প্রতি দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) অনুসন্ধানেও শিকদার কনস্ট্রাকশনের কাজে দুর্নীতির প্রমাণ মিলেছে।
তথ্য অধিকার আইন ব্যবহার করে শিকদার কনস্ট্রাকশন অ্যান্ড বিল্ডার্সের বিভিন্ন কাজের তথ্য চেয়ে আজকের পত্রিকার পক্ষ থেকে পৌরসভার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার কাছে আবেদন করা হয়। আবেদনের পর পৌরসভা থেকে বেশ কিছু তথ্য সরবরাহ করা হয়।
সরবরাহ করা তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা যায়, ২০১৭-১৮ অর্থবছর থেকে ২০২৪-২৫ অর্থবছর পর্যন্ত ১০১ কোটি টাকার ড্রেন ও সড়কের উন্নয়নকাজ হয়েছে। এর মধ্যে মেসার্স শিকদার কনস্ট্রাকশন অ্যান্ড বিল্ডার্স ৭০ কোটি ২৫ লাখ ৪২ হাজার ৫৫৬ টাকার কাজ পেয়েছে। এসব কাজের কোনোটার পুরো এবং কোনোটার আংশিক কাজ সম্পন্ন হয়েছে।
সরবরাহ করা তথ্য অনুযায়ী, শিকদার কনস্ট্রাকশন গত ৯ বছরে ৬৬ কোটি ৯১ লাখ ৯ হাজার ২৩৫ টাকায় ৬৮টি ড্রেন ও সড়কের আংশিক বা পুরো কাজ করে বিলের অধিকাংশই উত্তোলন করে নিয়েছে। মেয়রের ছেলেদের মনোনীত কোনো ব্যক্তি শিকদার কনস্ট্রাকশনের মালিক এ কাদের শিকদারের কাছ থেকে লিখিত ক্ষমতা নিয়ে বিল উত্তোলন করে নেন।
তবে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের একটি প্যাকেজে ৪টি কাজের মধ্যে একটি ড্রেন নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ ওঠায় ওই প্যাকেজের কোনো কাজের বিল দেওয়া হয়নি। আর বাকি ৫টি কাজের আদেশ দেওয়া হয়নি।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, গুরুত্বপূর্ণ নগরকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের (আইইউআইডিপি) আওতায় ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ১ কোটি ৮৩ লাখ ৭০ হাজার টাকায় রেডিওকলোনি এলাকায় ৩৩৭ মিটার আরসিসি ড্রেন, রাজাসন এলাকায় সড়কসহ ১১০ মিটার আরসিসি ড্রেন এবং গেণ্ডা এলাকায় ১৭৬ মিটার আরসিসি ড্রেন নির্মাণের কাজ পায় শিকদার কনস্ট্রাকশন অ্যান্ড বিল্ডার্স।
কার্যাদেশের পর ২০২৪ সালের নভেম্বর মাসে নির্মাণকাজ শুরু করা হয়। কাজ শুরুর পাঁচ মাস পর গত ৭ এপ্রিল দুদকের অনুসন্ধানে রেডিওকলোনিতে ৩৩৭ মিটার ড্রেন নির্মাণে বড় ধরনের অনিয়ম ধরা পড়ে। ড্রেনটিতে রডের দুটি জালি ব্যবহার করার কথা থাকলেও একটি জালি ব্যবহার করেই প্রায় ৭০ শতাংশ কাজ শেষ করা হয়।
টানা পাঁচ মাস এই অনিয়ম চলে এলেও কাজের দেখভালের দায়িত্বে থাকা উপসহকারী প্রকৌশলী ও কার্যসহকারী কোনো ব্যবস্থা নেননি।
দুদকের ঢাকা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আরিফ আহম্মেদ বলেন, ‘ড্রেন নির্মাণের কাজে পুরোটাই অনিয়ম হয়েছে। যার চাক্ষুষ প্রমাণ পাওয়া গেছে। একই প্যাকেজে বাকি তিনটি কাজেও অনিয়ম হয়েছে বলে আমার ধারণা। তবে ওইসব কাজ শেষ হয়ে যাওয়ায় তা খতিয়ে দেখা যায়নি।’
জানতে চাইলে রেডিওকলোনির ৩৭৭ মিটার ড্রেন নির্মাণকাজের দেখভালের দায়িত্বে থাকা উপসহকারী প্রকৌশলী বাপ্পী শাহরিয়ার বলেন, ‘আমাকে একসঙ্গে অনেক কাজ তদারকির দায়িত্ব দেওয়া হয়। যে কারণে একার পক্ষে সব কাজের তদারকি করা সম্ভব হয় না। এভাবেই হয়তোবা ড্রেন নির্মাণের কাজে অনিয়মের বিষয়টি আমার নজর এড়িয়ে গেছে।’
শুধু ড্রেন নির্মাণে নয়, অনেক কাজে দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে শিকদার কনস্ট্রাকশন অ্যান্ড বিল্ডার্সের বিরুদ্ধে। কিন্তু মেয়র আর তাঁর ছেলেদের প্রভাবে পৌরসভার প্রকৌশল বিভাগ কোনো ব্যবস্থা নিতে পারেনি।
আরসিসিস ঢালাই ও ঢালাইয়ের দুপাশে ইউনিব্লক দিয়ে পৌরসভার এক নম্বর ওয়ার্ডের ভাটপাড়া গুদারাঘাট থেকে কালভার্ট হয়ে শুকুরজান স্কুল পর্যন্ত ৩১০ মিটার সড়কের উন্নয়ন করা হয়। ২০২২-২৩ অর্থবছরে কাজটি করে মেসার্স শিকদার কনস্ট্রাকশন অ্যান্ড বিল্ডার্স।
সম্প্রতি ওই সড়কে গিয়ে দেখা যায়, কালভার্টের পূর্ব পাশে সড়কের বেশ কিছু অংশ দেবে গেছে। অনেক জায়গায় ইউনিব্লক উঠে গেছে।
এ বিষয়ে জানতে আত্মগোপনে থাকা এক নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর রমজান আহম্মেদের সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহারের পাশাপাশি চুক্তি অনুযায়ী রড না দেওয়ায় কাজ শেষ হওয়ার কয়েক মাসের মধ্যে তা দেবে যায়।’
রমজান আহম্মেদ আরও বলেন, ‘শিকদার কনস্ট্রাকশন আমার ওয়ার্ডে যেসব ড্রেন ও সড়কের কাজ করেছে, সবই নিম্নমানের কাজ হয়েছে। ইতিমধ্যে অনেক সড়কের বিভিন্ন স্থান দেবে গেছে। ড্রেনের স্লাব ও ম্যানহোলের ঢাকনা ভেঙে গেছে।’
যোগাযোগ করা হলে মেসার্স শিকদার কনস্ট্রাকশন অ্যান্ড বিল্ডার্সের মালিক এ কাদের শিকদার বলেন, ‘মেয়র আবদুল গনির ছেলেরা আমার লাইসেন্সে কৌশলে সব কাজ হাতিয়ে নিতেন। আর নিম্নমানের কাজ করে এবং কাজে অনিয়ম করেও বাবার সুবাদে বিল পেয়ে যেতেন। এখন সেসবের খেসারত দিতে হচ্ছে আমাকে।’
হোয়াটসঅ্যাপে যোগাযোগ করা হলে মেয়র আবদুল গনির বড় ছেলে আশুলিয়া থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফারুক হাসান তুহিন বলেন, ‘আমার দুই ভাই ও আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হচ্ছে, তা সত্য নয়। আমি ঠিকাদারি করেছি গণপূর্ত অধিদপ্তরে। আর আমার ভাইয়েরা অন্য পেশায় জড়িত ছিলেন।’
তবে সাভার পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী আমজাদ হোসেন বলেন, ‘শিকদার কনস্ট্রাকশনের লাইসেন্সে যত কাজ হয়েছে সব কাজ করেছেন সাবেক মেয়র আবদুল গনির ছেলেরা। যে কারণে কাজে অনিয়ম হয়ে থাকলেও বলার কিছু ছিল না।’
কাজে অনিয়ম এবং শিকদার কনস্ট্রাকশনের নামে ৭০ কোটি টাকার কাজের প্রসঙ্গে সাভারের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও সাভার পৌরসভার প্রশাসক মো. আবুবকর সরকার বলেন, ‘আমি পৌরসভার দায়িত্ব পাওয়ার আগে কী হয়েছে, তা আমার জানা নেই। কার লাইসেন্সে কে কাজ করেছেন, তাও আমি জানি না। তবে দুদক যে কাজে অনিয়ম পেয়েছে, তা আমার নজরে এসেছে। বিষয়টি পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সেন্ট্রাল প্রকিউরমেন্ট টেকনিক্যাল ইউনিটের (সিপিটিইউ) বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের মহাপরিচালককে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। সেখান থেকে সিদ্ধান্ত পাওয়ার পর পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেছেন, ‘আমরা যে অঙ্গীকার নিয়ে এসেছিলাম, বিচারের কাজ শুরু করব। আমরা বিচারের কাজ শুরু করতে পেরেছি। আগামী সপ্তাহে ফ্যাসিস্ট খুনি শেখ হাসিনার বিচার হবে এবং একটা রায় পাব। এতে জুলাই শহীদদের পরিবারের কিছুটা হলেও ব্যথা লাঘব হবে।’
১ ঘণ্টা আগে
মেহেরপুরের গাংনীতে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে ব্যাপক পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে গাংনী বাজারে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
২ ঘণ্টা আগে
নাটোর শহরতলির ফুলবাগান এলাকার সেলিম ভূঁইয়া নামের এক ব্যবসায়ীর গুদাম থেকে ১৫০ বস্তা চাল লুট করে নিয়েছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল সোমবার দিবাগত রাত ২টার দিকে এই ঘটনা ঘটে। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে পুলিশ জানায়, সোমবার রাত আনুমানিক ২টার দিকে ফুলবাগান এলাকার সড়ক ভবন-সংলগ্ন সেলিম ট্রেডার্সের সামনে একটি ট্রাক এনে দাঁড়
২ ঘণ্টা আগে
সাতক্ষীরা-৩ (আশাশুনি-কালিগঞ্জ) আসনে বিএনপির মনোনয়ন না পাওয়ায় ‘গরিবের ডাক্তার’ নামে পরিচিত মো. শহিদুল আলমের সমর্থকেরা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন।
২ ঘণ্টা আগেলক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেছেন, ‘আমরা যে অঙ্গীকার নিয়ে এসেছিলাম, বিচারের কাজ শুরু করব। আমরা বিচারের কাজ শুরু করতে পেরেছি। আগামী সপ্তাহে ফ্যাসিস্ট খুনি শেখ হাসিনার বিচার হবে এবং একটা রায় পাব। এতে জুলাই শহীদদের পরিবারের কিছুটা হলেও ব্যথা লাঘব হবে।’
আজ মঙ্গলবার দুপুরে লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে জুলাই শহীদ পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় তিনি এসব কথা বলেন। মাহফুজ আলম বলেন, ‘আরও অনেকেরই ট্রাইব্যুনালে বিচারকাজ চলছে। ট্রাইব্যুনাল চলমান রয়েছে। যাঁরা ছাত্র-জনতাকে হত্যার সঙ্গে ও গুমের সঙ্গে জড়িত ছিলেন, তাঁদের সবারই বিচার হবে। পরবর্তী সরকারে যাঁরা আসবেন, তাঁরা এ বিচারকাজ এগিয়ে নেবেন।’
উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘সংস্কারকাজে আমরা অনেক দূর অগ্রসর হয়েছি। রাজনৈতিক দলগুলো ঐকমত্য হয়ে জুলাই সনদে স্বাক্ষর করেছে। এটা বাংলাদেশের জন্য বড় একটি প্রাপ্তি যে রাজনৈতিক দলগুলো বসে সরকার গৃহীত একটা দলিলে আসতে পারা। সবাই মিলে সর্বসম্মত হয়েছেন। এর ভেতর দিয়ে বাংলাদেশ একটা নতুন পর্যায়ে গেল। জুলাই সনদ ও সংস্কার কার্যক্রমের মাধ্যমে পরবর্তীকালে যে নির্বাচিত সরকার আসবে, তারা যদি এই কাজগুলো করতে পারে, তাহলে আমরা যে নতুন বাংলাদেশ চেয়েছিলাম, সে রকম একটা বাংলাদেশ হবে। যেখানে সবার ক্ষমতার ভারসাম্য থাকবে। বিচারে আইনের শাসন থাকবে, সুবিচার থাকবে। গুম-খুন আর ফেরত আসবে না।’
রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশে মাহফুজ আলম বলেন, ‘আসুন বাংলাদেশ পন্থার মধ্য দিয়ে আমরা যারা ফ্যাসিবাদবিরোধী শক্তি আছি, ঐক্যবদ্ধ হই। সংস্কারগুলো করার জন্য সরকারকে সহযোগিতা করুন। শহীদদের পথ অনুসরণ করে আমরা শাহাদাতের পথ বেছে নেব। আমরা আবার লড়াই করব। আমরা শুধু আওয়ামী লীগের ফ্যাসিস্ট শাসনব্যবস্থা উৎখাত করে সন্তুষ্ট নই, বরং আওয়ামী লীগ ফ্যাসিজমের যত বৈশিষ্ট্য বিভিন্ন প্রান্তে, প্রশাসনে, শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনে রয়ে গেছে, তাদেরকেও বিচারের আওতায় আনব।’
এই উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘আমার এলাকায় রামগঞ্জ তথা লক্ষ্মীপুরে মাদক নিরাময় কেন্দ্র, নার্সিং কলেজ স্থাপন, সদর হাসপাতালের উন্নতি, শিক্ষাব্যবস্থাসহ অনেকগুলো কমিশন সংস্কারের প্রস্তাবনা প্রস্তুত করেছে। খুব শিগগির রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ঐকমত্যের ভিত্তিতে যে সংস্কার না করলেই নয়, নির্বাচনের পূর্বে সেসব সংস্কার করতে চাই। এই সংস্কারগুলো মুখের বুলি নয়। শেখ হাসিনা যে প্রতিষ্ঠানগুলো ধ্বংস করে দিয়েছেন, যে প্রতিষ্ঠানগুলো হাসিনাকে টিকিয়ে রেখেছে, সেই প্রতিষ্ঠানগুলোকে একই রকম রেখে আমরা নির্বাচন করতে পারি না। নির্বাচন করার আগে অবশ্যই হাসিনার ওই প্রতিষ্ঠান ও দালালেরা আছে, তাদের উৎখাত করে এবং খুনি হাসিনাসহ তাঁর দোসরদের বিচার করে আমাদের নির্বাচনের দিকে এগোতে হবে। সাবেক মন্ত্রী মরহুম জিয়াউল হক জিয়ার রেখে যাওয়া অসমাপ্ত কাজগুলো সমাপ্ত করা হবে।’
এ সময় আগামী সংসদ নির্বাচনে লক্ষ্মীপুর-১ (রামগঞ্জ) আসন থেকে নির্বাচন করবেন কি না জানতে চাইলে জবাবে উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বিষয়টি এড়িয়ে যান। সভা শেষে রামগঞ্জের দরিদ্র কৃষকদের মধ্যে কৃষি প্রণোদনা বিতরণ, জুলাই শহীদ পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ এবং সাবেক এমপি ও প্রতিমন্ত্রী জিয়াউল হক জিয়ার নবম মৃত্যুবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে যোগ দেন।

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেছেন, ‘আমরা যে অঙ্গীকার নিয়ে এসেছিলাম, বিচারের কাজ শুরু করব। আমরা বিচারের কাজ শুরু করতে পেরেছি। আগামী সপ্তাহে ফ্যাসিস্ট খুনি শেখ হাসিনার বিচার হবে এবং একটা রায় পাব। এতে জুলাই শহীদদের পরিবারের কিছুটা হলেও ব্যথা লাঘব হবে।’
আজ মঙ্গলবার দুপুরে লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে জুলাই শহীদ পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় তিনি এসব কথা বলেন। মাহফুজ আলম বলেন, ‘আরও অনেকেরই ট্রাইব্যুনালে বিচারকাজ চলছে। ট্রাইব্যুনাল চলমান রয়েছে। যাঁরা ছাত্র-জনতাকে হত্যার সঙ্গে ও গুমের সঙ্গে জড়িত ছিলেন, তাঁদের সবারই বিচার হবে। পরবর্তী সরকারে যাঁরা আসবেন, তাঁরা এ বিচারকাজ এগিয়ে নেবেন।’
উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘সংস্কারকাজে আমরা অনেক দূর অগ্রসর হয়েছি। রাজনৈতিক দলগুলো ঐকমত্য হয়ে জুলাই সনদে স্বাক্ষর করেছে। এটা বাংলাদেশের জন্য বড় একটি প্রাপ্তি যে রাজনৈতিক দলগুলো বসে সরকার গৃহীত একটা দলিলে আসতে পারা। সবাই মিলে সর্বসম্মত হয়েছেন। এর ভেতর দিয়ে বাংলাদেশ একটা নতুন পর্যায়ে গেল। জুলাই সনদ ও সংস্কার কার্যক্রমের মাধ্যমে পরবর্তীকালে যে নির্বাচিত সরকার আসবে, তারা যদি এই কাজগুলো করতে পারে, তাহলে আমরা যে নতুন বাংলাদেশ চেয়েছিলাম, সে রকম একটা বাংলাদেশ হবে। যেখানে সবার ক্ষমতার ভারসাম্য থাকবে। বিচারে আইনের শাসন থাকবে, সুবিচার থাকবে। গুম-খুন আর ফেরত আসবে না।’
রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশে মাহফুজ আলম বলেন, ‘আসুন বাংলাদেশ পন্থার মধ্য দিয়ে আমরা যারা ফ্যাসিবাদবিরোধী শক্তি আছি, ঐক্যবদ্ধ হই। সংস্কারগুলো করার জন্য সরকারকে সহযোগিতা করুন। শহীদদের পথ অনুসরণ করে আমরা শাহাদাতের পথ বেছে নেব। আমরা আবার লড়াই করব। আমরা শুধু আওয়ামী লীগের ফ্যাসিস্ট শাসনব্যবস্থা উৎখাত করে সন্তুষ্ট নই, বরং আওয়ামী লীগ ফ্যাসিজমের যত বৈশিষ্ট্য বিভিন্ন প্রান্তে, প্রশাসনে, শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনে রয়ে গেছে, তাদেরকেও বিচারের আওতায় আনব।’
এই উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘আমার এলাকায় রামগঞ্জ তথা লক্ষ্মীপুরে মাদক নিরাময় কেন্দ্র, নার্সিং কলেজ স্থাপন, সদর হাসপাতালের উন্নতি, শিক্ষাব্যবস্থাসহ অনেকগুলো কমিশন সংস্কারের প্রস্তাবনা প্রস্তুত করেছে। খুব শিগগির রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ঐকমত্যের ভিত্তিতে যে সংস্কার না করলেই নয়, নির্বাচনের পূর্বে সেসব সংস্কার করতে চাই। এই সংস্কারগুলো মুখের বুলি নয়। শেখ হাসিনা যে প্রতিষ্ঠানগুলো ধ্বংস করে দিয়েছেন, যে প্রতিষ্ঠানগুলো হাসিনাকে টিকিয়ে রেখেছে, সেই প্রতিষ্ঠানগুলোকে একই রকম রেখে আমরা নির্বাচন করতে পারি না। নির্বাচন করার আগে অবশ্যই হাসিনার ওই প্রতিষ্ঠান ও দালালেরা আছে, তাদের উৎখাত করে এবং খুনি হাসিনাসহ তাঁর দোসরদের বিচার করে আমাদের নির্বাচনের দিকে এগোতে হবে। সাবেক মন্ত্রী মরহুম জিয়াউল হক জিয়ার রেখে যাওয়া অসমাপ্ত কাজগুলো সমাপ্ত করা হবে।’
এ সময় আগামী সংসদ নির্বাচনে লক্ষ্মীপুর-১ (রামগঞ্জ) আসন থেকে নির্বাচন করবেন কি না জানতে চাইলে জবাবে উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বিষয়টি এড়িয়ে যান। সভা শেষে রামগঞ্জের দরিদ্র কৃষকদের মধ্যে কৃষি প্রণোদনা বিতরণ, জুলাই শহীদ পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ এবং সাবেক এমপি ও প্রতিমন্ত্রী জিয়াউল হক জিয়ার নবম মৃত্যুবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে যোগ দেন।

ঢাকার সাভার পৌরসভায় ২০১৬ সাল থেকে ৯ বছরে শতকোটি টাকার উন্নয়নকাজের ৭০ কোটির কাজই করেছেন সাবেক মেয়রের ছেলেরা। এসব কাজের অধিকাংশই নিম্নমানের হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের আগে বেশির ভাগ কাজের বিলও তুলে নিয়ে গেছেন তাঁরা।
১৪ জুন ২০২৫
মেহেরপুরের গাংনীতে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে ব্যাপক পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে গাংনী বাজারে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
২ ঘণ্টা আগে
নাটোর শহরতলির ফুলবাগান এলাকার সেলিম ভূঁইয়া নামের এক ব্যবসায়ীর গুদাম থেকে ১৫০ বস্তা চাল লুট করে নিয়েছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল সোমবার দিবাগত রাত ২টার দিকে এই ঘটনা ঘটে। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে পুলিশ জানায়, সোমবার রাত আনুমানিক ২টার দিকে ফুলবাগান এলাকার সড়ক ভবন-সংলগ্ন সেলিম ট্রেডার্সের সামনে একটি ট্রাক এনে দাঁড়
২ ঘণ্টা আগে
সাতক্ষীরা-৩ (আশাশুনি-কালিগঞ্জ) আসনে বিএনপির মনোনয়ন না পাওয়ায় ‘গরিবের ডাক্তার’ নামে পরিচিত মো. শহিদুল আলমের সমর্থকেরা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন।
২ ঘণ্টা আগেগাংনী (মেহেরপুর) প্রতিনিধি

দলীয় প্রার্থীর প্রাথমিক তালিকা প্রকাশের পরপরই মেহেরপুরের গাংনীতে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে ব্যাপক পাল্টাপাল্টি ধাওয়া, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে গাংনী বাজারে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। বর্তমানে এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।
জানা গেছে, গতকাল সোমবার বিএনপি থেকে মেহেরপুর-২ আসনে আমজাদ হোসেনকে দলীয় প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা দেওয়ার পর থেকে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছিল। এর জেরে আজ পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।
গাংনী উপজেলা বিএনপির সভাপতি আলফাজ উদ্দিন কালু, যিনি মনোনয়ন না পাওয়া জেলা বিএনপির সভাপতি জাভেদ মাসুদ মিল্টনের সমর্থক। তিনি অভিযোগ করেন, আমজাদ হোসেনের সমর্থকেরা তাঁদের অফিসে ভাঙচুর চালিয়েছেন। অন্যদিকে আমজাদ হোসেনের সমর্থকেরা অভিযোগ করেন, প্রথমে মিল্টনের সমর্থকেরা একতরফাভাবে হামলা চালান। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তখন দর্শকের ভূমিকায় ছিল।
জানতে চাইলে মেহেরপুর-২ (গাংনী) আসনে বিএনপির মনোনয়ন পাওয়া সাবেক এমপি আমজাদ হোসেন বলেন, ‘মনোনয়ন না পাওয়া জেলা বিএনপির সভাপতি জাভেদ মাসুদ মিল্টনের সমর্থকেরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে উপজেলা বিএনপির কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর করেছে। এতে অন্তত ১০ নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন।’

বক্তব্য জানতে বিএনপির সভাপতি জাভেদ মাসুদ মিল্টনের মোবাইল ফোনে কল দেওয়া হলে তা বন্ধ পাওয়া যায়। এ বিষয়ে গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বানী ইসরাইল বলেন, উভয় পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার পর গাংনীতে উত্তেজনা বিরাজ করছে। তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ কাজ করছে।


দলীয় প্রার্থীর প্রাথমিক তালিকা প্রকাশের পরপরই মেহেরপুরের গাংনীতে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে ব্যাপক পাল্টাপাল্টি ধাওয়া, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে গাংনী বাজারে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। বর্তমানে এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।
জানা গেছে, গতকাল সোমবার বিএনপি থেকে মেহেরপুর-২ আসনে আমজাদ হোসেনকে দলীয় প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা দেওয়ার পর থেকে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছিল। এর জেরে আজ পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।
গাংনী উপজেলা বিএনপির সভাপতি আলফাজ উদ্দিন কালু, যিনি মনোনয়ন না পাওয়া জেলা বিএনপির সভাপতি জাভেদ মাসুদ মিল্টনের সমর্থক। তিনি অভিযোগ করেন, আমজাদ হোসেনের সমর্থকেরা তাঁদের অফিসে ভাঙচুর চালিয়েছেন। অন্যদিকে আমজাদ হোসেনের সমর্থকেরা অভিযোগ করেন, প্রথমে মিল্টনের সমর্থকেরা একতরফাভাবে হামলা চালান। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তখন দর্শকের ভূমিকায় ছিল।
জানতে চাইলে মেহেরপুর-২ (গাংনী) আসনে বিএনপির মনোনয়ন পাওয়া সাবেক এমপি আমজাদ হোসেন বলেন, ‘মনোনয়ন না পাওয়া জেলা বিএনপির সভাপতি জাভেদ মাসুদ মিল্টনের সমর্থকেরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে উপজেলা বিএনপির কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর করেছে। এতে অন্তত ১০ নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন।’

বক্তব্য জানতে বিএনপির সভাপতি জাভেদ মাসুদ মিল্টনের মোবাইল ফোনে কল দেওয়া হলে তা বন্ধ পাওয়া যায়। এ বিষয়ে গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বানী ইসরাইল বলেন, উভয় পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার পর গাংনীতে উত্তেজনা বিরাজ করছে। তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ কাজ করছে।


ঢাকার সাভার পৌরসভায় ২০১৬ সাল থেকে ৯ বছরে শতকোটি টাকার উন্নয়নকাজের ৭০ কোটির কাজই করেছেন সাবেক মেয়রের ছেলেরা। এসব কাজের অধিকাংশই নিম্নমানের হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের আগে বেশির ভাগ কাজের বিলও তুলে নিয়ে গেছেন তাঁরা।
১৪ জুন ২০২৫
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেছেন, ‘আমরা যে অঙ্গীকার নিয়ে এসেছিলাম, বিচারের কাজ শুরু করব। আমরা বিচারের কাজ শুরু করতে পেরেছি। আগামী সপ্তাহে ফ্যাসিস্ট খুনি শেখ হাসিনার বিচার হবে এবং একটা রায় পাব। এতে জুলাই শহীদদের পরিবারের কিছুটা হলেও ব্যথা লাঘব হবে।’
১ ঘণ্টা আগে
নাটোর শহরতলির ফুলবাগান এলাকার সেলিম ভূঁইয়া নামের এক ব্যবসায়ীর গুদাম থেকে ১৫০ বস্তা চাল লুট করে নিয়েছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল সোমবার দিবাগত রাত ২টার দিকে এই ঘটনা ঘটে। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে পুলিশ জানায়, সোমবার রাত আনুমানিক ২টার দিকে ফুলবাগান এলাকার সড়ক ভবন-সংলগ্ন সেলিম ট্রেডার্সের সামনে একটি ট্রাক এনে দাঁড়
২ ঘণ্টা আগে
সাতক্ষীরা-৩ (আশাশুনি-কালিগঞ্জ) আসনে বিএনপির মনোনয়ন না পাওয়ায় ‘গরিবের ডাক্তার’ নামে পরিচিত মো. শহিদুল আলমের সমর্থকেরা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন।
২ ঘণ্টা আগেনাটোর প্রতিনিধি

নাটোর শহরতলির ফুলবাগান এলাকার সেলিম ভূঁইয়া নামের এক ব্যবসায়ীর গুদাম থেকে ১৫০ বস্তা চাল লুট করে নিয়েছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল সোমবার দিবাগত রাত ২টার দিকে এই ঘটনা ঘটে।
সিসিটিভি ফুটেজ দেখে পুলিশ জানায়, সোমবার রাত আনুমানিক ২টার দিকে ফুলবাগান এলাকার সড়ক ভবন-সংলগ্ন সেলিম ট্রেডার্সের সামনে একটি ট্রাক এনে দাঁড় করায় দুর্বৃত্তরা। তারা শাটারের তালা ভেঙে ও কেটে দোকানে প্রবেশ করে ক্যাশ বাক্স থেকে নগদ ১২ হাজার টাকাসহ প্রায় ১৫০ বস্তা চাল ট্রাকে লোড করে নিয়ে যায়।
ব্যবসায়ী সেলিম ভূঁইয়া বলেন, ‘ফজরের নামাজের সময় স্থানীয় এক ব্যক্তি ফোনে জানান, গুদামের শাটার কাটা ও আরেকটি পুরোপুরি খোলা। পরে সেখানে এসে দেখি, দুর্বৃত্তরা স্তূপাকারে রাখা চালের বস্তাগুলো নিয়ে গেছে। স্টক রেজিস্টার থেকে জেনেছি, চালের বস্তা ছিল ১৫০টি।’
এ বিষয়ে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহাবুর রহমান আজকের পত্রিকাকে জানান, এই ঘটনায় একটি মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

নাটোর শহরতলির ফুলবাগান এলাকার সেলিম ভূঁইয়া নামের এক ব্যবসায়ীর গুদাম থেকে ১৫০ বস্তা চাল লুট করে নিয়েছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল সোমবার দিবাগত রাত ২টার দিকে এই ঘটনা ঘটে।
সিসিটিভি ফুটেজ দেখে পুলিশ জানায়, সোমবার রাত আনুমানিক ২টার দিকে ফুলবাগান এলাকার সড়ক ভবন-সংলগ্ন সেলিম ট্রেডার্সের সামনে একটি ট্রাক এনে দাঁড় করায় দুর্বৃত্তরা। তারা শাটারের তালা ভেঙে ও কেটে দোকানে প্রবেশ করে ক্যাশ বাক্স থেকে নগদ ১২ হাজার টাকাসহ প্রায় ১৫০ বস্তা চাল ট্রাকে লোড করে নিয়ে যায়।
ব্যবসায়ী সেলিম ভূঁইয়া বলেন, ‘ফজরের নামাজের সময় স্থানীয় এক ব্যক্তি ফোনে জানান, গুদামের শাটার কাটা ও আরেকটি পুরোপুরি খোলা। পরে সেখানে এসে দেখি, দুর্বৃত্তরা স্তূপাকারে রাখা চালের বস্তাগুলো নিয়ে গেছে। স্টক রেজিস্টার থেকে জেনেছি, চালের বস্তা ছিল ১৫০টি।’
এ বিষয়ে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহাবুর রহমান আজকের পত্রিকাকে জানান, এই ঘটনায় একটি মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

ঢাকার সাভার পৌরসভায় ২০১৬ সাল থেকে ৯ বছরে শতকোটি টাকার উন্নয়নকাজের ৭০ কোটির কাজই করেছেন সাবেক মেয়রের ছেলেরা। এসব কাজের অধিকাংশই নিম্নমানের হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের আগে বেশির ভাগ কাজের বিলও তুলে নিয়ে গেছেন তাঁরা।
১৪ জুন ২০২৫
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেছেন, ‘আমরা যে অঙ্গীকার নিয়ে এসেছিলাম, বিচারের কাজ শুরু করব। আমরা বিচারের কাজ শুরু করতে পেরেছি। আগামী সপ্তাহে ফ্যাসিস্ট খুনি শেখ হাসিনার বিচার হবে এবং একটা রায় পাব। এতে জুলাই শহীদদের পরিবারের কিছুটা হলেও ব্যথা লাঘব হবে।’
১ ঘণ্টা আগে
মেহেরপুরের গাংনীতে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে ব্যাপক পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে গাংনী বাজারে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
২ ঘণ্টা আগে
সাতক্ষীরা-৩ (আশাশুনি-কালিগঞ্জ) আসনে বিএনপির মনোনয়ন না পাওয়ায় ‘গরিবের ডাক্তার’ নামে পরিচিত মো. শহিদুল আলমের সমর্থকেরা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন।
২ ঘণ্টা আগেদেবহাটা ও সাতক্ষীরা প্রতিনিধি

সাতক্ষীরা-৩ (আশাশুনি-কালিগঞ্জ) আসনে বিএনপির মনোনয়ন না পাওয়ায় ‘গরিবের ডাক্তার’ নামে পরিচিত মো. শহিদুল আলমের সমর্থকেরা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন।
আজ মঙ্গলবার সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত কালিগঞ্জ প্রধান মহাসড়কে স্থানীয় নেতা-কর্মী ও সমর্থকেরা টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেন। এতে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়, সাধারণ মানুষ ভোগান্তিতে পড়ে।
বিক্ষোভকারীরা অভিযোগ করেন, শহিদুল আলম দীর্ঘদিন ধরে সাধারণ মানুষের পাশে থেকে মানবিক সেবা দিয়ে আসছেন। কিন্তু তাঁকে মনোনয়ন না দিয়ে অন্যকে প্রার্থী করায় দলীয় নেতা-কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে।
এ সময় তাঁরা শহিদুল আলমকে মনোনয়ন দেওয়ার দাবিতে স্লোগান দেন এবং কেন্দ্রীয় নেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। বিক্ষোভে উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা জেলা বিএনপির সদস্য শেখ নুরুজ্জামান, নলতা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. আজিজুর রহমান, নলতা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি কেসমতুল বারি, সাধারণ সম্পাদক মিলন কুমার সরকার, কালিগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক দপ্তর সম্পাদক শেখ খায়রুল আলম, সাবেক ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক ও ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ।

সাতক্ষীরা-৩ (আশাশুনি-কালিগঞ্জ) আসনে বিএনপির মনোনয়ন না পাওয়ায় ‘গরিবের ডাক্তার’ নামে পরিচিত মো. শহিদুল আলমের সমর্থকেরা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন।
আজ মঙ্গলবার সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত কালিগঞ্জ প্রধান মহাসড়কে স্থানীয় নেতা-কর্মী ও সমর্থকেরা টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেন। এতে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়, সাধারণ মানুষ ভোগান্তিতে পড়ে।
বিক্ষোভকারীরা অভিযোগ করেন, শহিদুল আলম দীর্ঘদিন ধরে সাধারণ মানুষের পাশে থেকে মানবিক সেবা দিয়ে আসছেন। কিন্তু তাঁকে মনোনয়ন না দিয়ে অন্যকে প্রার্থী করায় দলীয় নেতা-কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে।
এ সময় তাঁরা শহিদুল আলমকে মনোনয়ন দেওয়ার দাবিতে স্লোগান দেন এবং কেন্দ্রীয় নেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। বিক্ষোভে উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা জেলা বিএনপির সদস্য শেখ নুরুজ্জামান, নলতা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. আজিজুর রহমান, নলতা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি কেসমতুল বারি, সাধারণ সম্পাদক মিলন কুমার সরকার, কালিগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক দপ্তর সম্পাদক শেখ খায়রুল আলম, সাবেক ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক ও ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ।

ঢাকার সাভার পৌরসভায় ২০১৬ সাল থেকে ৯ বছরে শতকোটি টাকার উন্নয়নকাজের ৭০ কোটির কাজই করেছেন সাবেক মেয়রের ছেলেরা। এসব কাজের অধিকাংশই নিম্নমানের হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের আগে বেশির ভাগ কাজের বিলও তুলে নিয়ে গেছেন তাঁরা।
১৪ জুন ২০২৫
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেছেন, ‘আমরা যে অঙ্গীকার নিয়ে এসেছিলাম, বিচারের কাজ শুরু করব। আমরা বিচারের কাজ শুরু করতে পেরেছি। আগামী সপ্তাহে ফ্যাসিস্ট খুনি শেখ হাসিনার বিচার হবে এবং একটা রায় পাব। এতে জুলাই শহীদদের পরিবারের কিছুটা হলেও ব্যথা লাঘব হবে।’
১ ঘণ্টা আগে
মেহেরপুরের গাংনীতে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে ব্যাপক পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে গাংনী বাজারে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
২ ঘণ্টা আগে
নাটোর শহরতলির ফুলবাগান এলাকার সেলিম ভূঁইয়া নামের এক ব্যবসায়ীর গুদাম থেকে ১৫০ বস্তা চাল লুট করে নিয়েছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল সোমবার দিবাগত রাত ২টার দিকে এই ঘটনা ঘটে। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে পুলিশ জানায়, সোমবার রাত আনুমানিক ২টার দিকে ফুলবাগান এলাকার সড়ক ভবন-সংলগ্ন সেলিম ট্রেডার্সের সামনে একটি ট্রাক এনে দাঁড়
২ ঘণ্টা আগে