Ajker Patrika

সড়কে গাড়ির বদলে দোকান

  • গুলিস্তানে সব ফুটপাতেই দোকান, সড়কগুলোর অর্ধেকই দখল।
  • কয়েকটি সংযোগ সড়কে যান চলাচল একরকম বন্ধ হয়ে গেছে।
  • ট্রাফিক পুলিশ বলছে, সড়ক ছাড়তে বললেও হকাররা শোনে না।
আব্দুল্লাহ আল গালিব, ঢাকা
রাস্তা ও ফুটপাত দখল করে বসানো হয়েছে দোকান। ঈদ সামনে রেখে এসব দোকানে ভিড় বাড়ছে নিম্ন আয়ের মানুষের। কিন্তু চলাচলের রাস্তা দখল হওয়ায় ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে নগরবাসীকে। সম্প্রতি রাজধানীর গুলিস্তানে। ছবি: আজকের পত্রিকা
রাস্তা ও ফুটপাত দখল করে বসানো হয়েছে দোকান। ঈদ সামনে রেখে এসব দোকানে ভিড় বাড়ছে নিম্ন আয়ের মানুষের। কিন্তু চলাচলের রাস্তা দখল হওয়ায় ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে নগরবাসীকে। সম্প্রতি রাজধানীর গুলিস্তানে। ছবি: আজকের পত্রিকা

সড়কের একাংশে জটে বাস, প্রাইভেট কার, মোটরসাইকেল, সিএনজিচালিত অটোরিকশা, রিকশার লম্বা সারি। সড়কের বাকি অংশ হকারদের পসরা। সড়কসংলগ্ন ফুটপাতজুড়ে পুরোদস্তুর দোকান। তাই পথচারীরা ঝুঁকি নিয়ে হাঁটছেন যানবাহন ও হকারদের পসরার মাঝে থাকা সরু অংশ দিয়ে। কোথাও কোথাও সে সুযোগও নেই রিকশা বা মোটরসাইকেলের আগে যাওয়ার আশায় সরু পথও বন্ধ করায়।

এ চিত্র গত মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় রাজধানীর ব্যস্ততম এলাকা গুলিস্তানের। সেখানে ফুটপাতগুলো অনেক আগেই হকারদের দখলে চলে গেছে। এরপর থেকে চলছে সড়ক দখল। দখলের কারণে কয়েকটি সড়কে যান চলাচলই বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে বাকি সড়কগুলোতে চাপ বেড়ে যানজট আরও তীব্র হয়েছে। হানিফ উড়ালসড়ক থেকে গুলিস্তান প্রান্তে নামা যানবাহন আটকে থাকায় উড়ালসড়কেও প্রতিদিন তীব্র যানজটের হচ্ছে।

জিপিওর কাছে জটে আটকে পড়া রিকশার যাত্রী সুবর্ণা কর্মকার বললেন, ‘পল্টন থেকে ফুলবাড়িয়া হেঁটে গেলেও ১০ মিনিট লাগে অথচ ২০ মিনিট একই জায়গায় বসে আছি। রোদ আর মানুষের ভিড়ের কারণে হাঁটতেও ইচ্ছা করছে না।’

শুধু সুবর্ণাই নন, বিভিন্ন যানবাহনে থাকা যাত্রীদের অনেকের চোখে-মুখে বিরক্তির ছাপ। জিরো পয়েন্ট থেকে গোলাপশাহ মাজারমুখী (নর্থ সাউথ রোড) সড়কের একাংশেও দোকান বসিয়েছেন হকাররা। গোলাপশাহ মাজার থেকে গুলিস্তান কমপ্লেক্সমুখী সড়কে শুধু রিকশা ও মোটরসাইকেল চলার মতো জায়গা অবশিষ্ট রয়েছে, বাকিটায় চৌকি ফেলে হকাররা পসরা সাজিয়েছেন। একই অবস্থা গুলিস্তান থেকে ফুলবাড়িয়ামুখী সড়কে। রমনা ভবন ও আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের মাঝখানের সড়কে প্রায় ১৬ বছর ধরেই যান চলাচল বন্ধ। কিছু দিন আগে বন্ধ হয়েছে গুলিস্তানে ফোয়ারা ঘেঁষে নবাবপুরমুখী সড়ক। এই সড়ক দিয়ে বাসসহ বিভিন্ন যান হানিফ উড়ালসড়কে উঠতে পারত। এখন এগুলোকে গুলিস্তান পার্কের ভেতর দিয়ে ঘুরে টিকাটুলি দিয়ে উড়ালসড়কে উঠতে হচ্ছে। ফোয়ারার পাশের বন্ধ সড়কে এ সুযোগে বসেছেন কয়েকজন হকার।

গোলাপশাহ মাজারের সামনের সড়কে নেমে বায়তুল মোকাররমের দিকে হেঁটে যাচ্ছিলেন শাহ আলম নামের এক ব্যক্তি। বললেন, জটের কারণে যানবাহনে উঠে গরমে বসে থাকতে হবে। কিন্তু দোকান আর যানবাহনের কারণে হেঁটে যাওয়াও কষ্ট। কখন চাপা দেয়, এ ভয়।

হকাররা জানান, পুলিশ এখন খুব একটা বিরক্ত করে না। ভ্যানে করে প্যান্ট বিক্রি করছিলেন সাগর নামের একজন। তিনি জানান, এ বছর তাঁদের কাউকে চাঁদা দিতে হচ্ছে না। তাই হকারের সংখ্যা তুলনামূলক বেড়েছে। পুলিশ খুব বেশি বিরক্ত করছে না। তবে ভিআইপি কেউ গেলে তখন রাস্তা ছাড়তে বলে। তখন ১০-১৫ মিনিটের জন্য সড়ক ছেড়ে দেন তাঁরা। পুলিশ চলে গেলে আবার বসেন।

গোলাপশাহ মাজারসংলগ্ন সড়কের পাশে টুপি বিক্রি করা একজন বলেন, ‘আমরা তো আর রাস্তার মাঝখানে বসি নাই। এক পাশেই বসছি, তাইলে গাড়ি চলতে সমস্যা কই?’

আজমেরী গ্লোরি নামের একটি বাসের চালক স্বপন বলেন, আগে এখানে সব সময় জট থাকলেও তা ছিল কম। এখন জট বেড়েছে। হকাররা সড়কের অর্ধেক নিয়ে নিয়েছে। বাস চালানো কঠিন।

ট্রাফিক পুলিশের কর্মকর্তারা বলছেন, হকারদের বারবার সড়ক ছাড়তে বললেও তাঁরা শোনেন না। একপাশ থেকে সরিয়ে দিলে আরেক পাশে গিয়ে বসেন। বলপ্রয়োগ করতে গেলে পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে অশোভন আচরণও করেন কেউ কেউ।

জিরো পয়েন্টে দায়িত্বরত ট্রাফিক সার্জেন্ট কুদ্দুস আলী বলেন, এখানে যানজটের মূল কারণ হকার ও রিকশা। পুরো রাস্তায় হাঁটার মতো জায়গা নেই। হকারদের সরানোর চেষ্টা করলেও কিছুক্ষণ পর আবার বসে যায়। এখানে হাজার হাজার হকার। তাঁদের সরাতে গেলে যানজট লেগে যায়। আবার যান চলাচল ঠিক রাখায় মনোযোগ দিলে হকাররা সড়কে পসরা সাজান।

জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর পুলিশের উপকমিশনার (ট্রাফিক-মতিঝিল বিভাগ) জালাল উদ্দিন চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, সড়ক বেদখলের ক্ষেত্রে ট্রাফিক পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। ঈদকে কেন্দ্র করে কোনো হকার যেন রাস্তায় বসে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করতে না পারেন, সে বিষয়ে খেয়াল রাখছে পুলিশ।

এ বিষয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. মো. জিল্লুর রহমান বলেন, গুলিস্তানে হকার নিয়ন্ত্রণে সিটি করপোরেশন নিয়মিত ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করছে। সপ্তাহে অন্তত দুবার হকার উচ্ছেদ করা হচ্ছে। কিন্তু এখানে সমস্যা খুব প্রকট। বিকেল ৪টায় উচ্ছেদ অভিযান করে ফিরে এলে ৫টায় আবার তাঁরা বসে যান। তিনি বলেন, স্থায়ী সমাধান করতেও সময় লাগবে। পুনর্বাসনের পদক্ষেপ আগেও নেওয়া হয়েছে, মার্কেট করে দেওয়া হয়েছে; কিন্তু নতুন করে আবার হকার সৃষ্টি হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

নির্বাচনকে পিছিয়ে দেওয়া মানেই দেশের সর্বনাশ: মির্জা ফখরুল

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি
আজ সকালে ঠাকুরগাঁও জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনে বক্তব্য দেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবি: আজকের পত্রিকা
আজ সকালে ঠাকুরগাঁও জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনে বক্তব্য দেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবি: আজকের পত্রিকা

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আজকে নির্বাচনকে বানচাল করে দেওয়ার এবং পিছিয়ে দেওয়ার যে চক্রান্ত চলছে, তা সফল হলে দেশের সর্বনাশ হবে। এই সংকটময় মুহূর্তে একটি নির্বাচিত সরকার খুব জরুরি। তিনি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আর কালক্ষেপণ না করে দ্রুত নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আহ্বান জানিয়েছেন। সোমবার (১০ নভেম্বর) বেলা ১১টায় ঠাকুরগাঁও জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনে জেলা মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযোদ্ধা সন্তানদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই কথা বলেন।

বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ঠাকুরগাঁও জেলা ইউনিট কমান্ডের আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা নুর করিম সভায় সভাপতিত্ব করেন।

বিএনপি মহাসচিব জানান, তার দল অন্তর্বর্তী সরকারকে সম্মান করে ও শ্রদ্ধা করে এবং আশা করে যে, তিনি (প্রধান উপদেষ্টা) অতি দ্রুত আর কোনো কাল বিলম্ব না করে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার ব্যবস্থা করবেন। দেশে একটি নির্বাচিত সরকার প্রতিষ্ঠা করবেন।

তিনি বলেন, ’একটা কথা মনে রাখতে হবে দেশটা আমাদের, এই মাটি আমাদের। এই মানুষগুলো আমাদের।’

মির্জা ফখরুল অভিযোগ করেন, ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধকে পরিকল্পিতভাবে ভুলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলছে। যারা একাত্তরে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর দোসর ছিল, সেই চক্রই এখন ধর্মীয় অনুভূতিকে ব্যবহার করে দেশটাকে ’গ্রাস করার চেষ্টা’ করছে। এসময় তিনি সব ষড়যন্ত্র রুখে দেওয়ার জন্য মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি আহ্বান জানান।

মুক্তিযোদ্ধাদের উদ্দেশে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘আজকে একটা চেষ্টা করা হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধকে ঘুরিয়ে দেওয়ার। বলা হচ্ছে—’৭১-এ হয় নাই, আমরা কিছুই করি নাই। দেশটার জন্য আমরা কোনো অবদানই রাখিনি। এখন যারা ’২৪-এ করেছে তারাই সব করেছে—এইরকম একটা ধারণা দিচ্ছে।’

তিনি প্রশ্ন রাখেন, ‘দীর্ঘ ৯ মাস যারা যুদ্ধ করেছি, পরিবার পরিজনের কোনো খবর নিতে পারিনি... সেই দিনটাকে ভুলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলে সেটাকে কি ভুলিয়ে দেওয়া যায়?’ মুক্তিযোদ্ধারা ’না’ বললে তিনি দৃঢ়তার সঙ্গে বলেন, ‘আমার জন্মটাকে কি আমি ভুলতে পারি?’

বিএনপি মহাসচিব অভিযোগ করেন, একটি মহল দেশের স্বাধীনতা ও মূল্যবোধের বিরুদ্ধে কাজ করছে। তিনি বলেন, ’আজকে সুপরিকল্পিতভাবে একটি চক্র, একটি মহল, যারা ১৯৭১ সালে পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর সঙ্গে যোগসাজশ করে এদেশের মুক্তিযোদ্ধাদের হত্যা করেছিল, তাদের পরিবারকে হত্যা করেছিল, তাদের মেয়েদেরকে তুলে দিয়েছিল পাক বাহিনীর হাতে। তাদের সঙ্গে কি এদেশের মানুষ আপোষ করতে পারে?’

তাঁর এই বক্তব্যের সমর্থনে উপস্থিত মুক্তিযোদ্ধারা ’না’ সূচক মন্তব্য করেন। এসময় একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা স্লোগান দেন, ’একাত্তরের হাতিয়ার, গর্জে উঠুক আরেকবার। রাজাকার আল বদর হুঁশিয়ার সাবধান।’

মির্জা ফখরুল ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আমি এসব কথা বলতে চাই না, কিন্তু যারা দেশটাকে গিলে খাওয়ার চেষ্টা করছে, গ্রাস করার চেষ্টা করতেছে’, তাদের রুখতে আজ বিভেদের চেতনাকে সামনে আনতে হবে।

তিনি জানান, তাদের দল ক্ষমতায় থাকাকালে বেগম খালেদা জিয়া মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয় তৈরি করেছিলেন এবং মুক্তিযোদ্ধার ভাতা শুরু করেছিলেন। তিনি হিন্দু-মুসলমান নির্বিশেষে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

রাজধানীতে স্কুলে যাওয়ার পথে ট্রাকের ধাক্কা, প্রতিবন্ধী শিশুর মৃত্যু

ঢামেক প্রতিবেদক
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

রাজধানীর বনশ্রীতে ট্রাক ধাক্কায় আরাফ আফতাহী (৮) নামে এক প্রতিবন্ধী শিশু মারা গেছে। আজ সোমবার সকাল সোয়া ৯টার দিকে এই দুর্ঘটনা ঘটে।

মুমূর্ষু অবস্থায় আরাফ আফতাহীকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনা হয়। বেলা ১১টার দিকে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

নিহত আরাফের বাবা ইঞ্জিনিয়ার আজহারুল ইসলাম জানান, তাদের বাসা বনশ্রী জি ব্লকে। বাসার বিপরীতে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের একটি স্কুলে পড়ত আরাফ। সকালে তাদের বাসার আয়া সোনিয়া আরাফকে স্কুলে নিয়ে যাচ্ছিলেন। রাস্তা পার হওয়ার সময় দ্রুতগতির একটি ট্রাক আরাফকে ধাক্কা দেয়। এতে আরাফ রাস্তায় পড়ে গুরুতর আহত হয়। খবর পেয়ে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে ফরাজি হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেলে আনার পর চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ঢাকা মেডিকেল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ মো. ফারুক মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মরদেহ মর্গে রাখা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

অতীতের কলঙ্ক মুছতে হলে একটি ভালো নির্বাচনের বিকল্প নেই: নির্বাচন কমিশনার আনোয়ারুল

কুমিল্লা প্রতিনিধি
বক্তব্য রাখছেন নির্বাচন কমিশনার আনোয়ারুল ইসলাম সরকার। ছবি: আজকের পত্রিকা
বক্তব্য রাখছেন নির্বাচন কমিশনার আনোয়ারুল ইসলাম সরকার। ছবি: আজকের পত্রিকা

অতীতের ভুল ও বিতর্ক কাটিয়ে একটি গ্রহণযোগ্য জাতীয় নির্বাচন আয়োজন করা এখন সময়ের দাবি বলে মন্তব্য করেছেন নির্বাচন কমিশনার আনোয়ারুল ইসলাম সরকার। তিনি বলেন, ‘অতীতের কলঙ্ক মুছতে হলে একটি ভালো নির্বাচনের বিকল্প নেই।’

সোমবার (১০ নভেম্বর) সকালে বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন একাডেমি (বার্ড) কুমিল্লার সম্মেলন কক্ষে নির্বাচন কমিশন সচিবালয় আয়োজিত ‘ভোট গ্রহণকারী কর্মকর্তাদের দায়িত্ব পালনে চ্যালেঞ্জ ও উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক দিনব্যাপী কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

নির্বাচন কমিশনার বলেন, দেশের ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব নির্ধারণে আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই মাঠপর্যায়ের নির্বাচন পরিচালনায় দায়িত্বপ্রাপ্ত সব কর্মকর্তা-কর্মচারীকে সাহস এবং পেশাদারির সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে হবে। একক প্রচেষ্টায় সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়—প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও নির্বাচন কর্মকর্তাদের সমন্বিত ভূমিকা অপরিহার্য।

প্রিসাইডিং কর্মকর্তাদের উদ্দেশে তিনি আরও বলেন, ‘ভোটের দিন নিরপেক্ষতা ও সততা বজায় রেখে দায়িত্ব পালন করতে হবে। কোনো চাপ, ভীতি বা প্রভাবের কাছে নতিস্বীকার করা নয়।’

অনুষ্ঠানে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের যুগ্ম সচিব আব্দুল হালিম খান, কুমিল্লার জেলা প্রশাসক আমিরুল কায়সার, জেলা পুলিশ সুপার নাজির আহমেদ খান, আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ আজিজুল ইসলাম এবং জেলা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা শেখ মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।

কর্মশালায় কুমিল্লা জেলার বিভিন্ন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা, প্রিসাইডিং কর্মকর্তাসহ ভোট পরিচালনায় যুক্ত কর্মকর্তারা অংশ নেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

নেত্রকোনায় এনসিপির কেন্দ্রীয় সংগঠকের বাসায় দুর্বৃত্তের আগুন

নেত্রকোনা প্রতিনিধি
আগুনে পুড়ে যাওয়ার দৃশ্য। ছবি : আজকের পত্রিকা
আগুনে পুড়ে যাওয়ার দৃশ্য। ছবি : আজকের পত্রিকা

নেত্রকোনায় জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কেন্দ্রীয় সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) প্রীতম সোহাগের বাড়ির ফটকে দুর্বৃত্তরা আগুন ধরিয়ে দিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল রোববার দিবাগত রাত ১২টার দিকে সদর উপজেলার গজিনপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। রাজনৈতিক বিরোধের জেরে দুর্বৃত্তরা আতঙ্ক সৃষ্টি করতে এ কাজ করেছে বলে দাবি করেন প্রীতম সোহাগ।

প্রীতম সোহাগ বলেন, ‘রোববার দিবাগত রাত ১২টার দিকে কে বা কারা বাড়ির ফটকের সামনে আগুন দেয়। এতে আমার স্ত্রীর স্যান্ডেল, পাপোশ পুড়ে যায়। এ ছাড়া ওপরে থাকা বিদ্যুতের কার্ড মিটার ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তবে বড় ধরনের কোনো ক্ষতি হয়নি, আগুন নিভে যায়। আজ সোমবার সকাল ৬টার দিকে পাশের বাড়ির লোকজন আমাকে ঘুম থেকে ডেকে বিষয়টি জানান।’

প্রীতম সোহাগ বলেন, ‘ধারণা করছি, আমার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ এই অগ্নিসন্ত্রাস করেছে। যারা রাজনৈতিকভাবে আমার সঙ্গে পেরে উঠছে না। তবে এসবে আমি ভীত নই। যারা এই হীন কাজ করেছে, তাদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি। বিষয়টি আমি থানা-পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে জানিয়েছি।’

আগুনে পুড়ে যাওয়া অংশের ভিডিও করে প্রীতম সোহাগ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে তাঁর নিজস্ব আইডিতে আজ সকাল ৭টার দিকে পোস্ট করেন। এতে মুহূর্তে ভাইরাল হয়ে যায়।

এ ব্যাপারে নেত্রকোনা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী শাহনেওয়াজ বলেন, ‘এনসিপি নেতার বাড়ির গেটে আগুন দিয়েছে বলে শুনেছি। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এই ঘটনায় তদন্ত চলছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত