নিজস্ব প্রতিবেদক, সাভার
ঢাকার সাভারে ফজলু মিয়া নামে এক রিকশাচালককে লোহার পাইপ দিয়ে পিটিয়ে পা ভেঙে দিয়েছেন ট্রাফিক পুলিশের এক কনস্টেবল। আজ শুক্রবার ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের গেন্ডা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
ফজলুকে পিটিয়ে পা ভেঙে দেওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়লে রিকশাচালকেরা সাভার প্রেসক্লাবের সামনে জড়ো হয়ে থানা রোড অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন। এ সময় তাঁরা ঘটনার সঙ্গে জড়িত কনস্টেবলের শাস্তি ও বিচার দাবি করেন।
ফজলু মিয়া (৩৪) দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলার আবুল হোসেনের ছেলে। তিনি প্রায় ২২ বছর ধরে স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে সাভারে থেকে রিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন।
ফজলু মিয়া বলেন, ‘আজ (শুক্রবার) বেলা ১১টার দিকে আমি ব্যাটারিচালিত রিকশা নিয়ে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক হয়ে ঢাকামুখী লেন দিয়ে যাচ্ছিলাম। পাকিজা কারখানার সামনে পৌঁছালে ট্রাফিক পুলিশের র্যাকার চালক সোহেল রানা আমাকে রিকশা থামানোর জন্য সিগনাল দেন। আমি ভয়ে রিকশা টেনে যাই। তখন কনস্টেবল সোহেল রানাসহ দুজন মোটরসাইকেল নিয়ে আমাকে ধাওয়া করেন। তাঁরা উপজেলা পরিষদের সামনে গেন্ডা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় গিয়ে আমাকে ধরে ফেলেন।’
ফজলু মিয়া আরও বলেন, ‘আমি সড়কের পাশে রিকশা সাইড করার পরপরই সোহেল রানা একটি লোহার পাইপ দিয়ে প্রথমে আমার বাম পায়ে আঘাত করেন। আমি হাত দিয়ে থামাতে গেলে তিনি ওই পাইপ দিয়ে আমার ডান পায়ে জোরে আঘাত করেন। পাইপের বাড়িতে আমার ডান পা ভেঙে যায়। আমি চিৎকার দিয়ে সড়কের ওপর পড়ে গেলে লোকজন এসে সোহেল রানা ও তাঁর সঙ্গে থাকা ব্যক্তিকে ঘিরে ফেলে। জনতা মারমুখো হলে তাঁরা (পুলিশ) দোষ স্বীকার করে আমাকে চিকিৎসার আশ্বাস দিলে লোকজন চলে যান।’
ফজলু মিয়া আরও বলেন, ‘এরপর কনস্টেবল সোহেল রানা আমাকে একটি রিকশায় তুলে সরকারি হাসপাতালে (সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স) পাঠিয়ে দিয়ে চলে যান। সরকারি হাসপাতালে যাওয়ার পর ডাক্তাররা আমাকে অন্য হাসপাতালে যেতে বলেন। পরে আমি স্থানীয় সুপার মেডিকেল হসপিটালে যাই। সেখানে আমার ডান পা ব্যান্ডেজ করে দেওয়া হয়।’
পুলিশ জানায়, ফজলুকে পা ভেঙে দেওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়ার পর বেশ কিছু রিকশাচালক সাভার প্রেসক্লাবের সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করেন। বিক্ষোভ থেকে তাঁরা ফজলুর বিচার দাবি করেন।
বিক্ষোভ থেকে রুবেল মিয়া নামে এক রিকশা চালক বলেন,‘পুলিশের র্যাকার চালক সোহেল রানা মহাসড়কে উঠলেই রিকশা আটক করে র্যাকার বিলের নামে টাকা নেন। টাকা না দিলেই তিনি রিকশা চালকদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন। প্রতিবাদ করলেই মারধর করেন।’
জানতে চাইলে সুপার মেডিকেল হসপিটালের চিকিৎসক হাফিজ-আল-আসাদ বলেন, ‘রিকশাচালক ফজলু মিয়া দুই পায়ে গুরুতর আঘাত পেয়েছেন। আঘাতে তাঁর ডান পায়ের হাঁটুর নিচে ভেঙে গেছে।’
এ ব্যাপারে জানতে সোহেল রানার মোবাইলে একাধিকবার কল করেও তিনি ফোন ধরেননি।
ঢাকা জেলা (উত্তর) ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক হোসেন শহীদ চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সিগনাল না মানায় রিকশা চালকের সঙ্গে সোহেল রানার প্রথমে কথা-কাটাকাটি হয়। পরে উত্তেজিত হয়ে সম্ভবত তাঁকে (রিকশাচালক) আঘাত করেন। ঘটনার পরে পুলিশের পক্ষ থেকে ওই রিকশা চালককে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে।’
ঢাকার সাভারে ফজলু মিয়া নামে এক রিকশাচালককে লোহার পাইপ দিয়ে পিটিয়ে পা ভেঙে দিয়েছেন ট্রাফিক পুলিশের এক কনস্টেবল। আজ শুক্রবার ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের গেন্ডা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
ফজলুকে পিটিয়ে পা ভেঙে দেওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়লে রিকশাচালকেরা সাভার প্রেসক্লাবের সামনে জড়ো হয়ে থানা রোড অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন। এ সময় তাঁরা ঘটনার সঙ্গে জড়িত কনস্টেবলের শাস্তি ও বিচার দাবি করেন।
ফজলু মিয়া (৩৪) দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলার আবুল হোসেনের ছেলে। তিনি প্রায় ২২ বছর ধরে স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে সাভারে থেকে রিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন।
ফজলু মিয়া বলেন, ‘আজ (শুক্রবার) বেলা ১১টার দিকে আমি ব্যাটারিচালিত রিকশা নিয়ে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক হয়ে ঢাকামুখী লেন দিয়ে যাচ্ছিলাম। পাকিজা কারখানার সামনে পৌঁছালে ট্রাফিক পুলিশের র্যাকার চালক সোহেল রানা আমাকে রিকশা থামানোর জন্য সিগনাল দেন। আমি ভয়ে রিকশা টেনে যাই। তখন কনস্টেবল সোহেল রানাসহ দুজন মোটরসাইকেল নিয়ে আমাকে ধাওয়া করেন। তাঁরা উপজেলা পরিষদের সামনে গেন্ডা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় গিয়ে আমাকে ধরে ফেলেন।’
ফজলু মিয়া আরও বলেন, ‘আমি সড়কের পাশে রিকশা সাইড করার পরপরই সোহেল রানা একটি লোহার পাইপ দিয়ে প্রথমে আমার বাম পায়ে আঘাত করেন। আমি হাত দিয়ে থামাতে গেলে তিনি ওই পাইপ দিয়ে আমার ডান পায়ে জোরে আঘাত করেন। পাইপের বাড়িতে আমার ডান পা ভেঙে যায়। আমি চিৎকার দিয়ে সড়কের ওপর পড়ে গেলে লোকজন এসে সোহেল রানা ও তাঁর সঙ্গে থাকা ব্যক্তিকে ঘিরে ফেলে। জনতা মারমুখো হলে তাঁরা (পুলিশ) দোষ স্বীকার করে আমাকে চিকিৎসার আশ্বাস দিলে লোকজন চলে যান।’
ফজলু মিয়া আরও বলেন, ‘এরপর কনস্টেবল সোহেল রানা আমাকে একটি রিকশায় তুলে সরকারি হাসপাতালে (সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স) পাঠিয়ে দিয়ে চলে যান। সরকারি হাসপাতালে যাওয়ার পর ডাক্তাররা আমাকে অন্য হাসপাতালে যেতে বলেন। পরে আমি স্থানীয় সুপার মেডিকেল হসপিটালে যাই। সেখানে আমার ডান পা ব্যান্ডেজ করে দেওয়া হয়।’
পুলিশ জানায়, ফজলুকে পা ভেঙে দেওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়ার পর বেশ কিছু রিকশাচালক সাভার প্রেসক্লাবের সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করেন। বিক্ষোভ থেকে তাঁরা ফজলুর বিচার দাবি করেন।
বিক্ষোভ থেকে রুবেল মিয়া নামে এক রিকশা চালক বলেন,‘পুলিশের র্যাকার চালক সোহেল রানা মহাসড়কে উঠলেই রিকশা আটক করে র্যাকার বিলের নামে টাকা নেন। টাকা না দিলেই তিনি রিকশা চালকদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন। প্রতিবাদ করলেই মারধর করেন।’
জানতে চাইলে সুপার মেডিকেল হসপিটালের চিকিৎসক হাফিজ-আল-আসাদ বলেন, ‘রিকশাচালক ফজলু মিয়া দুই পায়ে গুরুতর আঘাত পেয়েছেন। আঘাতে তাঁর ডান পায়ের হাঁটুর নিচে ভেঙে গেছে।’
এ ব্যাপারে জানতে সোহেল রানার মোবাইলে একাধিকবার কল করেও তিনি ফোন ধরেননি।
ঢাকা জেলা (উত্তর) ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক হোসেন শহীদ চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সিগনাল না মানায় রিকশা চালকের সঙ্গে সোহেল রানার প্রথমে কথা-কাটাকাটি হয়। পরে উত্তেজিত হয়ে সম্ভবত তাঁকে (রিকশাচালক) আঘাত করেন। ঘটনার পরে পুলিশের পক্ষ থেকে ওই রিকশা চালককে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে।’
রাজশাহীতে জুলাই অভ্যুত্থানের এক বছরের বেশি সময় পর একটি মামলা হয়েছে। মামলায় ১৩৫ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরও ৫০০ থেকে ৭০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। সময়ের ব্যবধান ছাড়াও এজাহারভুক্ত আসামিদের পরিচয় এ মামলা নিয়ে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। আসামিদের অনেকেই ‘পয়সাওয়ালা ব্যক্তি’ হিসেবে পরিচিত হওয়ায় অভিযোগ...
১৫ মিনিট আগেমৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের মণিপুরী ললিতকলা একাডেমি। ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর এই প্রতিষ্ঠান ঘিরে নানা অনিয়ম আর দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। একাডেমিতে মৈতৈ, বিষ্ণুপ্রিয়া এবং পাঙন—এই তিন সম্প্রদায়ের সমান সুযোগ-সুবিধা থাকার কথা থাকলেও শুধু বিষ্ণুপ্রিয়া মণিপুরীদের প্রতিনিধিত্ব রয়েছে। এতে বঞ্চিত হওয়ার অভিযোগ রয়েছে...
১ ঘণ্টা আগেরংপুরের তারাগঞ্জে ভূমি অফিসের সহায়ক রশিদুজ্জামান বিপ্লবের ঘুষ নেওয়ার ভিডিও দিয়ে জিম্মি করে চাঁদাবাজির অভিযোগকে ঘিরে উত্তপ্ত পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পাল্টাপাল্টি বিবৃতিতে মুখোমুখি অবস্থানে রয়েছে ছাত্রদল ও জামায়াত। ইতিমধ্যে অভিযুক্ত কর্মচারীকে অন্যত্র বদলি...
১ ঘণ্টা আগেপিরোজপুরে দুর্বৃত্তদের হামলায় জুজখোলা সম্মিলিত বহুমুখী উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিপুল মিত্র (৫০) গুরুতর আহত হয়েছেন। মুখোশধারী হামলাকারীরা তাঁর দুই পা ও ডান হাত ভেঙে দেয় বলে জানা গেছে। তাঁর সঙ্গে থাকা সহকারী শিক্ষক অসীম কুমারও (৪৬) আহত হয়েছেন।
১ ঘণ্টা আগে