Ajker Patrika

রাজধানীতে পৃথক ঘটনায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে নারীসহ ৪ জনের মৃত্যু

ঢামেক প্রতিনিধি
আপডেট : ২৮ মে ২০২৪, ১২: ১০
রাজধানীতে পৃথক ঘটনায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে নারীসহ ৪ জনের মৃত্যু

ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে রাজধানীতে চলমান বৃষ্টির মধ্যে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে পৃথক ঘটনায় নারীসহ চারজনের মৃত্যু হয়েছে। এরা হলেন খিলগাঁও রিয়াজবাগ এলাকার রিকশার গ্যারেজে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়া রাকিব (২৫), খিলগাঁও সিপাহীবাগে রাস্তায় জমে থাকা পানির মধ্যে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়া মরিয়ম বেগম (৪৫), যাত্রাবাড়ীতে টিনের প্রাচীর স্পর্শ করে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়া লিজা আক্তার (১৬) ও বাড্ডা জিএম বাড়ি এলাকায় রাস্তা পানিতে আল আমিন (১৭)। 

গতকাল সোমবার দিবাগত রাত সাড়ে ৯টা থেকে রাত দেড়টার মধ্যে পৃথক চারটি ঘটনা ঘটে। মুমূর্ষু অবস্থায় স্বজন ও সহকর্মীরা তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে এলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। 

মৃত রাকিবকে হাসপাতালে নিয়ে আসা তাঁর সহকর্মী খোকন মিয়া জানান, তাঁরা খিলগাঁওয়ের রিয়াজবাগ ৬ নম্বর গলিতে একটি রিকশার গ্যারেজে থাকেন। ওই এলাকায় তাঁরা রিকশা চালান। রাতে বৃষ্টির কারণে তাঁদের রিকশার গ্যারেজটিতে পানি জমে ছিল। সেই পানির মধ্যে রিকশা রেখে এর ব্যাটারি চার্জ করছিলেন রাকিব। তখন সেই চার্জার খুলতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন তিনি। রাকিবের বাড়ি ঝালকাঠির কাঁঠালিয়া উপজেলারর উত্তর চড়াইল গ্রামে। বাবার নাম মো. দুলাল হোসেন। 

মৃত মরিয়মকে হাসপাতালে নিয়ে আসা প্রতিবেশী মো. নাহিদ নামের এক যুবক জানান, রাত ৯টার দিকে খিলগাঁও সিপাহীবাগ আইসক্রিমের গলির মক্কা টাওয়ারের পাশে একটি রাস্তার পানিতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন মরিয়ম নামে ওই নারী। বৃষ্টির কারণে হাঁটুপানি জমেছিল সেখানে। তাঁদের ধারণা, জমে থাকা পানিতে বিদ্যুতের কোনো তার ছিঁড়ে পড়েছিল বা বৈদ্যুতিক খুঁটি বিদ্যুতায়িত হয়েছিল। আর সেখান থেকেই ওই নারী বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। 

নাহিদ আরও জানান, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ওই নারীকে পানিতে পড়ে থাকতে দেখে তিনি এবং স্থানীয়রা তাঁকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসক তাঁকে মৃত বলে জানান। একই স্থানে কিছুদিন পরপরই এমন দুর্ঘটনা ঘটে বলে দাবি করেন তিনি। 

নিহত মরিয়মের ছেলে মো. ইয়ামিন জানান, তাদের বাড়ি বরগুনা জেলার বেতাগী উপজেলায়। ইয়াছিনের বাবার নাম আব্দুল বারেক। খিলগাঁও মেরাদিয়া কবরস্থান গলিতে থাকেন। স্থানীয় একটি গার্মেন্টসে চাকরি করতেন তার মা মরিয়ম। রাতে গার্মেন্টস থেকে বাসায় ফেরেন। এরপর আমাকে খুঁজতে বাসা থেকে বের হয়েছিলেন তিনি। এর পরই রাস্তায় এই দুর্ঘটনার শিকার হন। 

এদিকে মৃত লিজার ভাই মো. রাকিব জানান, তাঁদের বাড়ি নোয়াখালী জেলার চরজব্বার উপজেলার ধানের শীষ গ্রামে। বাবার নাম সিরাজ মিয়া। বর্তমানে যাত্রাবাড়ীর মাতুয়াইল দরবার শরীফ এলাকায় ভাড়া থাকেন। লিজা এলাকায় একটি পলিথিন কারখানায় চাকরি করত। রাত ৯টার দিকে বাসার পাশে টিনের প্রাচীর কোনো কারণে স্পর্শ করলে সেখান থেকে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয় সে। দেখতে পেয়ে পরিবারের সদস্যরা তাকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে এলে চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে মৃত ঘোষণা করেন। 

এদিকে মৃত আল আমিনকে হাসপাতালে নিয়ে আসা সহকর্মী জাহিদ হাসান জানান, আল আমিনের বাড়ি নড়াইল জেলার লোহাগড়া থানার কাশিপুর গ্রামে। বাবার নাম জাহাঙ্গির আলম। বর্তমানে বাড্ডা জিএম বাড়ি এলাকায় থাকে। ওই এলাকায় যশোর টিম্বার নামে একটি স মিলে চাকরি করে। রাত সারে ১১টার দিকে বাসা থেকে স মিলে আসার সময় রাস্তায় জমে থাকা বৃষ্টির পানিতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয় আল আমিন। সেখান থেকে তাকে দ্রুত ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে এলে চিকিৎসক রাত দেড়টার দিকে মৃত ঘোষণা করেন। 

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া জানান, রাতে পৃথক জায়গা থেকে চারজন বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ঢাকা মেডিকেলে মারা যায়। চারটি মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মামলার আসামিসহ বিএসইসির ২২ কর্মকর্তাকে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত

‘ভারতে ঢুকে’ পাকিস্তানি সেনাদের গুলি, সীমান্তে সংঘাত গড়াল ষষ্ঠ দিনে

বন্ধুকে ছাত্রলীগ সাজিয়ে পুলিশে দিয়ে তাঁর প্রেমিকাকে ধর্ষণ করলেন ছাত্রদল নেতা

মানিকগঞ্জে রাতের আঁধারে স্থানান্তর করা বিদ্যালয় ভবন পরিদর্শনে কর্মকর্তারা

পরিপাকতন্ত্রের ওষুধের পেছনেই মানুষের ব্যয় সাড়ে ৫ হাজার কোটি টাকা

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত