Ajker Patrika

সিরাজদিখানে ২০ বছর পর ধলেশ্বরী নদীর তীরে বসছে পশুর হাট

মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি
পশুর হাট তৈরির প্রস্তুতি চলছে। ছবি: আজকের পত্রিকা
পশুর হাট তৈরির প্রস্তুতি চলছে। ছবি: আজকের পত্রিকা

প্রায় ২০ বছর পর মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার মালখানগর ইউনিয়নের তালতলা বাজারসংলগ্ন ধলেশ্বরী নদীর তীরে পুনরায় বসছে কোরবানির অস্থায়ী পশুর হাট। একসময় এই হাটটি স্থানীয়দের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয় ছিল। তবে নানা কারণে এটি স্থানান্তর হয়ে মালখানগর কলেজ মাঠে চলে যায়।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বন্ধ হয়ে যাওয়া ঐতিহ্যবাহী এই হাটটি পুনরায় চালুর দাবিতে দীর্ঘদিন ধরেই এলাকাবাসীর আগ্রহ ছিল। অবশেষে হাট ইজারাদারদের উদ্যোগে এবং স্থানীয় প্রশাসনের সহায়তায় নদীর তীরে আবারও হাট বসানোর প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।

জানা গেছে, এ বছর চার লাখ টাকায় মালখানগর হাটের ইজারা নিয়েছেন মো. বিপ্লব মাদবর। তিনি হাট পরিচালনায় আধুনিক সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে নানা প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

সোমবার (২৬ মে) দুপুর ১২টার দিকে সরেজমিন দেখা গেছে, হাটের মাঠে চলছে মাটি সমান করার কাজ। গরু বাঁধার জন্য বাঁশ দিয়ে তৈরি করা হচ্ছে অস্থায়ী খুঁটি। শ্রমিকেরা ব্যস্ত সময় পার করছেন অবকাঠামো নির্মাণে। পাশাপাশি পানি ও আলোর ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে বৈদ্যুতিক লাইন স্থাপন এবং পানির ট্যাংক বসানোর কাজও শুরু হয়েছে।

হাট ইজারাদার মো. বিপ্লব মাদবর বলেন, ‘আমরা চাই এলাকাবাসীকে নিরাপদ, সুশৃঙ্খল ও পরিচ্ছন্ন একটি হাট পরিবেশ দিতে। সে লক্ষ্যে সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।’

মালখানগর গ্রামের বাসিন্দা হাবিবুর রহমান বলেন, ‘প্রায় ২০ বছর আগে ধলেশ্বরী নদীর তীরে লঞ্চঘাট এলাকায় একটি বড় পশুর হাট বসত। এটি ছিল আমাদের জন্য উৎসবের মতো—শুধু কেনাবেচাই নয়, মানুষের মিলনমেলাও হতো। পরে ২০০৫ সালের দিকে হাটটি মালখানগর কলেজ মাঠে স্থানান্তর করা হয়। এবার বহু বছর পর আবার সেই জায়গায় হাট বসানো হচ্ছে—এটা দেখে ছোটবেলার অনেক স্মৃতি চোখে ভেসে উঠছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘সে সময়ের গরুর হাট, মানুষের ভিড়, নদীর ধারে চিৎকার—সবকিছু যেন আবার ফিরে এসেছে। এটা আমাদের আবেগের সঙ্গে জড়িয়ে থাকা একটি ঐতিহ্য। হাট ফিরে আসায় আমরা খুব খুশি।’

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহিনা আক্তার বলেন, ‘আগামী ৩ জুন থেকে উপজেলার হাট-বাজারগুলোতে কোরবানির পশু বিক্রি শুরু হবে। হাট ঘিরে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। প্রতিটি হাটে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পোশাকে ও সাদাপোশাকে পুলিশ সদস্য মোতায়েন থাকবে। ক্রেতা-বিক্রেতারা যেন নিরাপদে হাটে আসতে পারেন, সে লক্ষ্যে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে দ্রুত আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত