Ajker Patrika

বাহারি স্টলে রকমারি বই

শরীফ নাসরুল্লাহ, ঢাকা
পছন্দের বইয়ের পাতা ওলটাচ্ছেন কয়েকজন। গতকাল রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যান প্রাঙ্গণে। ছবি: আজকের পত্রিকা
পছন্দের বইয়ের পাতা ওলটাচ্ছেন কয়েকজন। গতকাল রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যান প্রাঙ্গণে। ছবি: আজকের পত্রিকা

বইমেলার দ্বিতীয় দিন ছিল গতকাল। ঝকঝকে নতুন স্টল আর প্যাভিলিয়নগুলো এরই মধ্যে দর্শক-ক্রেতার পদচারণে মুখর। নতুন বইয়ের খোঁজখবর নিচ্ছেন বইপ্রেমীরা। নতুন বই অবশ্য আসা শুরু হয়েছে মাত্র। প্রকাশকদের ভাষ্য, সব বই মেলায় আসতে প্রথম সপ্তাহ পেরিয়ে যাবে। বরাবরের মতো তারপরও আসবে আরও কিছু নতুন বই। পাঠকেরা অবশ্য ঘেঁটে দেখছেন ও কিনছেন নতুন-পুরোনো সবই।

এবারের মেলায় অংশগ্রহণ করা প্রকাশনা সংস্থার সংখ্যা বিশাল। মেলায় অংশ নিয়েছে ৭০৮টি প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান, যা গতবার ছিল ৬৪২। বিভিন্ন রকমের বইয়ের পসরা সাজিয়ে বসেছেন এসব প্রকাশক।

বইমেলায় ঢুকতেই চোখে পড়বে অনুপম প্রকাশনীর প্যাভিলিয়ন। সৃজনশীল বই বের করে প্রতিষ্ঠানটি। এবার তারা গুরুত্ব দিয়েছে রহস্য ও রোমাঞ্চ উপন্যাসে।

অনুপমের মিডিয়া ম্যানেজার শাহীন বলেন, তাঁরা সৌমেন সাহার ‘বিশ্বভরা রহস্য সিরিজ’ এবং ধ্রুব এষের তিনটি রোমাঞ্চ উপন্যাস একসঙ্গে এনেছেন ‘থ্রিলারস’ নামে। আহসান হাবিবের তিনটি রোমাঞ্চ গল্প নিয়ে ‘অপারেশন ফুল মুন’ও তাঁদের এবারের নতুন সংযোজন।

অনুপমের প্যাভিলিয়নের কাছেই পাওয়া গেল প্রকাশনীর কর্ণধার মিলনকান্তি নাথের দেখা। তিনি বললেন, শুরু হিসেবে আগত লোকজনের সংখ্যা বেশ ভালো। বইও কিনছে তারা।

সৃজনশীল নানা বই বের করে বেঙ্গল বুকস। বিক্রয়কর্মী মো. জাকির হোসেন জানিয়েছেন, তাঁদের কিছু নতুন বই এসেছে, আরও আসবে। তবে তাঁদের পুরোনো বইগুলোও নেড়েচেড়ে দেখছেন পাঠক। মো. আজিজুর রহমান লসকরের ‘আমেরিকার আদিবাসীদের লোককাহিনি’ এনেছে বেঙ্গল। শিল্পসংস্কৃতি অঙ্গনের বিশিষ্টজনদের জীবনী তাঁদের অন্যতম আকর্ষণ। শিল্পী জয়নুল আবেদিন, সফিউদ্দীন আহমেদ, রফিকুন নবী, স্থপতি মাজহারুল ইসলামকে নিয়ে বই এনেছে বেঙ্গল।

ফিউচার উম্মাহ বিডি নামের একটি স্টলে বাবার সঙ্গে দেখা গেল দুই শিশুসন্তানকে। এক ছেলে বাবার কাছে পাজল (ধাঁধা) বই কিনতে চাইল। বইয়ের পাতায় পাতায় নানা পাজল। সেগুলো মিলিয়ে তৈরি হয় নানা কিছু।

শিশুদের বই নিয়ে বইয়ের ডালা সাজিয়েছে মহাকাল প্রকাশনীও। ছবি ও লেখা নিয়ে সাজানো বইগুলো। ‘সাত দৈত্যের দেশে’, ‘ডাইনোসর’, ‘নেকড়ে ও সাত ছাগলছানা’ বইগুলো নিয়ে এসেছে তারা।

ভৌতিক ও রোমাঞ্চকর বইয়ের পসরা দেখা গেল জাগৃতিতে। আফজাল হোসেনের ‘কারিন’, তুহিন রহমানের ‘বুড়োর কফিন’ পাঠক কিনছেন বলে জানালেন বিক্রয়কর্মী লাবণী।

ভাষাচিত্রের বিক্রয়কর্মী শাহ আলম জানিয়েছেন, এবার তাঁরা সিকুয়েলই (পরবর্তী পর্ব) বেশি বের করছেন। অতিপ্রাকৃত উপন্যাসে ক্রেতা-দর্শকের আগ্রহ বেশি দেখছেন। গতবার যেগুলো বেশি বিক্রি হয়েছে, সেগুলোর নতুন পর্ব আনছেন তাঁরা। এগুলোর মধ্যে আছে হাসান তারেক চৌধুরীর ‘গড পার্টিকেল’। গীতিকার গাজী মাজহারুল আনোয়ারের বিখ্যাত গানগুলো সৃষ্টির নেপথ্যের গল্প নিয়ে বই ‘অল্প কথার গল্প গান’-এর পঞ্চম খণ্ড এসেছে।

বাংলা ধরিত্রীর প্রধান নির্বাহী দিলোয়ার হোসেন জানালেন, বামপন্থী রাজনৈতিক বইসহ সব ধরনের বই বের করেন তাঁরা। নজরুল ইসলামের ‘আগামী বাংলাদেশের দশ করণীয়’, জ্ঞান চক্রবর্তীর ‘ঢাকা জেলার কমিউনিস্ট আন্দোলনের অতীত যুগ’ এবং কাজল বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘নির্বাচিত রাজনৈতিক কবিতা’ তাঁদের নতুন বই।

নটিলাস পাবলিকেশনস থেকে বেশি বিক্রি হয়েছে হারুকি মুরাকামির ‘অদ্ভুত লাইব্রেরি’ এবং সঞ্জয় দের ভ্রমণকাহিনি। প্রকাশনীর মালিক আশিক সারোয়ার জানান, তাঁরা বিদেশি বই অনুবাদ করে পাঠকের কাছে নিয়ে আসছেন।

বেশ কিছু ইসলামি প্রকাশনীও চোখে পড়েছে মেলায়। মাকতাবাতুল ইসলাম তাদের মধ্যে একটি। ইসলামি ঐতিহাসিক বিভিন্ন ঘটনাভিত্তিক সৃজনশীল গল্প, উপন্যাস এনেছে তারা। এ ছাড়া এনেছে জুলাই অভ্যুত্থানে অংশ নিয়ে প্রাণ দেওয়া মাদ্রাসার ছাত্র-শিক্ষকদের নিয়ে ‘জুলাই বিপ্লবে আলেম শহীদ যারা’ নামের বই। মাকতাবাতুল ইসলামের স্বত্বাধিকারী আহমাদ গালিব বলেন, ‘আগে আমাদের মতো প্রকাশনীগুলো সুযোগ পেত না। বাংলা একাডেমির সব শর্ত পূরণ করা সত্ত্বেও সুযোগ দেওয়া হতো না। এবার ঝামেলা পোহাতে হয়নি। সব শর্ত পূরণ করেছি। সব নিয়মতান্ত্রিকভাবে হয়েছে।’ ইসলামি ঘরানার স্টলের মধ্যে আরও আছে মাম্মী প্রকাশনী, সোলেমানিয়া বুক হাউস, আলোকিত প্রকাশনী, হাদীছ ফাউন্ডেশন ইত্যাদি।

রাজনৈতিক বই নিয়ে স্টলও দেখা গেছে। বিএনপির নেতৃত্ব ও রাজনীতি বিশেষ করে জিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়াকে কেন্দ্র করে বই সাজিয়েছে ইতি প্রকাশন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের স্টল রয়েছে। ইসলামী ছাত্রশিবির নিয়ে এসেছে আইসিএস প্রকাশনী।

নানা বইয়ের ভিড়ে পাঠক কিনেছে তাদের পছন্দের বই। জানিয়েছে প্রিয় লেখকের কথা। নৌবাহিনীর কর্মকর্তা জিয়াউল হাসান বললেন, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, বিভূতিভূষণের বই পড়তে ভালো লাগে তাঁর। তাঁদের লেখা কিছু বই কিনছেন।

দুই বান্ধবী খুব তাড়াহুড়ো করে বের হচ্ছিলেন মেলা থেকে। জানালেন হুমায়ূন আহমেদ পছন্দ তাঁদের। যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আসা মিরাজুল ইসলাম কিনেছেন আহমদ ছফার ‘ওংকার’ ও ‘বাঙালি মুসলমানের মন’, ম্যাক্সিম গোর্কির ‘মা’। জানালেন, বেড়াতে এসেছিলেন ঢাকায়, বাড়তি পাওনা হিসেবে মেলাও ঘুরলেন।

বাংলা একাডেমি জানিয়েছে, মেলায় রোববার নতুন বই এসেছে ১৩টি।

বিভিন্ন আয়োজন:

গতকাল বইমেলার মূল মঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় ‘হেলাল হাফিজের রাজনৈতিক পাঠ’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ড. কুদরত-ই-হুদা। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন মৃদুল মাহবুব। সভাপতিত্ব করেন সুমন রহমান। প্রাবন্ধিক বলেন, উনসত্তরের গর্ভ থেকে যেসব কবির জন্ম হয়েছিল, কবি হেলাল হাফিজ তাঁদের অন্যতম। তাঁর কবিতার উচ্চারণ ছিল রাখঢাকহীন।

লেখক বলছি মঞ্চে নিজেদের নতুন বই নিয়ে আলোচনা করেন কবি রাসেল রায়হান, কথাসাহিত্যিক হুমায়ুন শফিক এবং শিশুসাহিত্যিক আশিক মুস্তাফা। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে আবৃত্তি করেন কবি হাসান হাফিজ এবং জাকির আবু জাফর। আবৃত্তি পরিবেশন করেন আবৃত্তিশিল্পী অনন্যা লাবণী এবং শিপন হোসেন মানব। সুমন মজুমদারের পরিচালনায় ছিল সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘সঙ্গীতমঞ্জুরী শিল্পীগোষ্ঠী’-এর পরিবেশনা। সংগীত পরিবেশন করেন শিল্পী রিজিয়া পারভীন, প্রিয়াংকা গোপ, ইসরাত জাহান, মিজান মাহমুদ রাজীব, মো. মাইদুল হক ও নাফিজা ইবনাত কবির।

আজ বিকেল ৪টায় বইমেলার মূল মঞ্চে অনুষ্ঠিত হবে ‘হায়দার আকবর খান রনো’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন সোহরাব হাসান। আলোচনায় অংশগ্রহণ করবেন আবদুল্লাহ আল ক্বাফী রতন ও জলি তালুকদার।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বগুড়ায় পুলিশ কনস্টেবল থেকে খোয়া গেছে ১০ রাউন্ড গুলি

বগুড়া প্রতিনিধি
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

বগুড়া সদর থানায় পাহারার দায়িত্বে থাকা পুলিশ কনস্টেবলের কাছ থেকে শটগানের ১০ রাউন্ড গুলি খোয়া গেছে।

গতকাল শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত আড়াইটা থেকে ভোররাত ৪টার মধ্যে এ ঘটনা ঘটে। আজ রোববার সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত খোয়া যাওয়া গুলি পাওয়া যায়নি।

বগুড়া জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) আতোয়ার হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

বগুড়া সদর থানা-পুলিশের একটি সূত্র জানায়, গতকাল দিবাগত রাত ১২টা থেকে ভোররাত ৪টা পর্যন্ত থানা পাহারার (সেন্ট্রি) দায়িত্বে ছিলেন কনস্টেবল অসিত কুমার। রাত আড়াইটার দিকে তিনি থানা থেকে বের হয়ে সাতমাথায় চা পান করতে যান। এ সময় তাঁর কাছে থাকা শটগানের ১০ রাউন্ড গুলি খোয়া যায়।

ভোররাত ৪টায় কনস্টেবল নুরুজ্জামান দায়িত্ব বুঝে নেওয়ার সময় অসিত কুমার ১০ রাউন্ড গুলি খোয়া যাওয়ার ঘটনাটি প্রকাশ করেন। আজ সকাল থেকে বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করেও খোয়া যাওয়া গুলির হদিস পাওয়া যায়নি।

বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আতোয়ার হোসেন বলেন, সদর থানা থেকে খোয়া যাওয়া গুলি এখনো পাওয়া যায়নি। সদর থানা থেকে এ-সংক্রান্ত প্রতিবেদন পাওয়া গেলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

জামায়াত প্রার্থীর সভায় পুলিশ কর্মকর্তার গান, ভিডিও ভাইরাল

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি
সাতক্ষীরায় জামায়াত প্রার্থীর সভায় পুলিশ কর্মকর্তা। ছবি: সংগৃহীত
সাতক্ষীরায় জামায়াত প্রার্থীর সভায় পুলিশ কর্মকর্তা। ছবি: সংগৃহীত

সাতক্ষীরায় দাঁড়িপাল্লা প্রতীকের প্রার্থীর সভায় এক পুলিশ কর্মকর্তার গান (জামায়াতের গুণগান-সংবলিত) পরিবেশনের অভিযোগ উঠেছে। আজ রোববার এর একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে বিষয়টি নিয়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে।

অভিযুক্ত মো. মহিবুল্লাহ পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক এএসআই, সশস্ত্র)। তিনি বাগেরহাট পুলিশ লাইনসে কর্মরত। এর আগে সাতক্ষীরা পুলিশ লাইনসে ছিলেন তিনি।

তিন মিনিট ১১ সেকেন্ডের ভিডিওতে দেখা যায়, সাতক্ষীরা–২ (সদর-দেবহাটা) আসনে দাঁড়িপাল্লা প্রতীকের প্রার্থী মুহাদ্দিস আব্দুল খালেকের একটি নির্বাচনী পথসভায় পুলিশের পোশাক পরিহিত মো. মহিবুল্লাহ গান পরিবেশন করেন। মাঝে মাঝে নারায়ে তাকবির স্লোগান দিয়ে দর্শকদের উজ্জীবিত করেন।

সূত্রে জানা গেছে, পথসভাটি ৭ ডিসেম্বরের। সাতক্ষীরা শহরের ১ নম্বর ওয়ার্ডের কাটিয়া আমতলা মোড়ে ওই পথসভা হয়। সভায় ১ নম্বর ওয়ার্ড জামায়াতের আমির মো. জিয়াউর রহমানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন দলের মনোনীত প্রার্থী ও কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সেক্রেটারি মুহাদ্দিস আব্দুল খালেক। সভার মাঝপথে মো. মহিবুল্লাহ এই গান পরিবেশন করেন।

আরও জানা গেছে, পুলিশের ওই এএসআই সাতক্ষীরা পুলিশ লাইনসে কর্মরত থাকাকালে আগরদাড়ির একটি মাহফিলে ইসলামি গান পরিবেশন করেছিলেন। তাঁর সংগীতে মুগ্ধ হয়ে মুহাদ্দিস আব্দুল খালেক তাঁকে পুরস্কৃত করেন। বাগেরহাটে বদলি হয়ে গেলেও তিনি খোঁজ নিয়ে ওই পথসভায় আসেন।

জানতে চাইলে এএসআই মো. মহিবুল্লাহ বলেন, ‘আমি কোনো রাজনৈতিক বক্তব্য দিইনি। মুহাদ্দিস আব্দুল খালেক আমাকে পুরস্কৃত করেছিলেন, সে কারণে আমি ইসলামি একটি সংগীত পরিবেশন করেছি’ বলেই লাইনটি কেটে দেন। পরে তাঁর নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।

এ বিষয়ে সাতক্ষীরা শহর জামায়াতের সেক্রেটারি খোরশেদ আলম বলেন, ‘পুলিশের পোশাক পরা ওই ব্যক্তি স্টেজে উঠে সংগীত পরিবেশন করতে চান। আমরা নিষেধ করা সত্ত্বেও তিনি সংগীত পরিবেশন করেছেন।’

সাতক্ষীরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মুকিত হাসান খাঁন জানান, অভিযুক্ত পুলিশ সদস্য বর্তমানে সাতক্ষীরায় কর্মরত নন। অপর প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পুলিশের পোশাক পরে কোনো রাজনৈতিক দলের প্রচারণায় অংশ নেওয়ার সুযোগ নেই।

বাগেরহাটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মুহাম্মদ মহিদুর রহমান বলেন, ‘বিষয়টি সম্পর্কে অবগত নই। এমন কিছু ঘটে থাকলে খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

পরকীয়ার অপবাদ দিয়ে গৃহবধূকে ধর্ষণচেষ্টা, কৌশলে পালিয়ে রক্ষা

মির্জাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে পরকীয়ার অপবাদ দিয়ে ঘরে ঢুকে এক গৃহবধূকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে থানায় মামলা হয়েছে। ধর্ষণের চেষ্টাকালে ওই গৃহবধূ কৌশলে পালিয়ে রক্ষা পান। গতকাল শনিবার বিকেলে উপজেলার একটি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

ভুক্তভোগী ওই গৃহবধূ গতকাল রাতে আজাহার মিয়া (৪২) ও রাজিব মিয়া (৩৫) নামের দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা করেন। ঘটনার পর থেকে তাঁরা পলাতক রয়েছেন। পুলিশ আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালাচ্ছে।

মামলার বাদী গৃহবধূ বলেন, ‘ঘটনার দিন বিকেলে শিশুসন্তান নিয়ে ভাড়া বাসায় ঘুমিয়ে ছিলাম। এ সময় আজাহার মিয়া ও রাজিব মিয়া আমার কক্ষের দরজা খুলতে বলেন। ঘরে অন্য পুরুষ রয়েছে—এমন অভিযোগ তুলে তাঁরা জোর করে শয়নকক্ষে ঢুকে পড়েন। এ সময় আশপাশের লোকজন জড়ো হলে তাঁরা ভয়ভীতি দেখিয়ে তাঁদের সরিয়ে দেন। এরপর শিশুকে জিম্মি ও স্বামীকে হত্যার ভয় দেখিয়ে ওই দুই ব্যক্তি ধর্ষণের চেষ্টা করেন। একপর্যায়ে কৌশলে ঘর থেকে বেরিয়ে আসি।’

এলাকার একাধিক বাসিন্দার সঙ্গে কথা হলে তাঁরা বলেন, যাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাঁরা এভাবেই এলাকায় প্রভাব বিস্তার করেন। সন্ধ্যার পর মদ পান করে এলাকায় অপরাধ কর্মকাণ্ড চালান।

বাড়ির মালিক বলেন, ‘অভিযুক্ত ব্যক্তিরা নানাভাবে অত্যাচার-নির্যাতন করে আসছে। এলাকায় তাদের বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ রয়েছে। আমার বাসার ভাড়াটের সঙ্গে যা হয়েছে, তা শতভাগ সত্য।’

মির্জাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গৃহবধূকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে এক নারী দুজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। আমরা আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু করেছি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সিলেটে সিএনজিচালিত অটোরিকশা ছিনতাইয়ের জন্য চালককে হত্যা

সিলেট প্রতিনিধি
শিপন আহমদ। ছবি: সংগৃহীত
শিপন আহমদ। ছবি: সংগৃহীত

সিলেটের ওসমানী নগর উপজেলায় সড়কের পাশ থেকে শিপন আহমদ (২৫) নামের এক সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) সকাল ৯টার দিকে সাদীপুর ইউনিয়নে কেশবখালী নদীর পাড় থেকে তাঁর লাশটি উদ্ধার করা হয়। তবে তাঁর অটোরিকশাটি পাওয়া যায়নি। শিপনের স্বজন ও পুলিশের ধারণা, অটোরিকশা ছিনতাইয়ের জন্য তাঁকে হত্যা করা হয়।

শিপন আহমদ উপজেলার দয়ামীর ইউনিয়নের রাইকধারা (গাংপাড়) গ্রামের আশরাফ আলীর ছেলে। তাঁর একটি কন্যাসন্তান রয়েছে।

পুলিশ জানায়, গতকাল শনিবার রাত ৮টার দিকে ভাড়ায় চালিত রেজিস্ট্রেশনবিহীন (পরীক্ষামূলক) সিএনজিচালিত অটোরিকশা নিয়ে বের হলে আর বাড়িতে ফেরেননি শিপন। রাত গভীর হলেও শিপনের মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায় এবং তাঁর কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।

আজ সকাল ৯টার দিকে ওসমানী নগরের সাদীপুর ইউনিয়নের বেগমপুর-চাতলপাড় রাস্তার পাশে কেশবখালী নদীর পাড়ে শিপনের লাশ দেখতে পান স্থানীয় লোকজন। পরে খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে তাঁর লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।

ওসমানী নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোরশেদুল আলম ভূঁইয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, চালক শিপনকে হত্যা করে তাঁর অটোরিকশাটি নিয়ে গেছে ছিনতাইকারীরা। এ ঘটনায় পুলিশ অটোরিকশাটি উদ্ধার ও জড়িত ব্যক্তিদের আটকের চেষ্টা করছে। তাঁর লাশ ময়নাতদন্তের জন্য সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত