নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা ও গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে সরকার গঠন করেছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। টানা চতুর্থবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আগামীকাল শনিবার দুই দিনের সফরে গোপালগঞ্জে যাচ্ছেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
দুই দিনের সফরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির পিতার সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন এবং নির্বাচনী এলাকার (টুঙ্গিপাড়া ও কোটালীপাড়া উপজেলা) নেতা-কর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন।
প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। রাস্তাগুলো ব্যানার, ফেস্টুন ও তোরণ দিয়ে সাজানো হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে সর্বত্র সাজ সাজ রব। জেলাজুড়ে নেওয়া হয়েছে জোরদার নিরাপত্তাব্যবস্থা।
কোটালীপাড়া উপজেলা চেয়ারম্যান বিমল কৃষ্ণ বিশ্বাস বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর কন্যা পরপর চারবার প্রধানমন্ত্রী হলেন। বরাবরের মতো কোটালীপাড়ার মানুষ এবারও নেত্রীকে সর্বোচ্চ সম্মান দিয়েছে, সর্বোচ্চ ভোট দিয়েছে। আগামীকাল শনিবার হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি, স্বাধীনতার মহানায়ক, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন। পরে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন। পরদিন (১৪ জানুয়ারি) কোটালীপাড়ায় সাধারণ মানুষের মাঝে ছুটে আসবেন। আর এ কারণে সাধারণ ভোটারদের কৌতূহলের শেষ নেই।’
সাধারণ ভোটাররা আনন্দিত ও উচ্ছ্বসিত উল্লেখ করে বিমল কৃষ্ণ বিশ্বাস বলেন, ‘এ আনন্দ ইতিমধ্যে সারা কোটালীপাড়ায় ছড়িয়ে গেছে। আমরা বিস্মিত হয়েছি যে শত ব্যস্ততার মাঝেও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাদের জন্য সময় বের করেছেন। তিনি এখানে আসবেন, নেতা-কর্মীদের সঙ্গে সরাসরি সাক্ষাৎ বিনিময় করবেন। পরে সবার সঙ্গে বসে দুপুরের খাবার খাবেন। এ জন্য কোটালীপাড়াবাসী অত্যন্ত আনন্দিত।’
কোটালীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আয়নাল হোসেন শেখ বলেন, ‘প্রাণপ্রিয় নেত্রী অসংখ্যবার এই কোটালীপাড়ায় এসেছেন। তিনি এবারও বিপুল ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর বিজয়ের পরে তাঁকে বলেছিলাম, কোটালীপাড়াবাসী আপনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করবে, শুভেচ্ছা বিনিময় করবে। তিনি কোটালীপাড়া মানুষকে কত ভালোবাসেন যে উনি সঙ্গে সঙ্গে বলেছেন, ঢাকায় কেন কষ্ট করে আসতে হবে? আমি নিজেই কোটালীপাড়াবাসীর কাছে যাব। এ কারণে আগামী রোববার (১৪ জানুয়ারি) কোটালীপাড়ায় আসবেন প্রধানমন্ত্রী। এদিন বেলা ৩টায় মতবিনিময় সভায় অংশ নেবেন। তাঁর আগমনে কোটালীপাড়ার মানুষ আনন্দিত, উৎফুল্ল। আমরা তাঁকে ধন্যবাদ জানাই।’
সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে আয়নাল হোসেন শেখ বলেন, ‘আমরা শুধু অপেক্ষায় আমাদের প্রাণপ্রিয় নেত্রী, বাংলাদেশ সরকারের নবনির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী কখন আমাদের মাঝে আসবেন। কখন তাঁর মুখটি দেখতে পারব। কখন তাঁর সঙ্গে দুটি কথা বলতে পারব। আর কখন তাঁকে ফুলেল শুভেচ্ছা দিয়ে বরণ করব।’
টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. বাবুল শেখ বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী ও বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা শনিবার টুঙ্গিপাড়ায় আসবেন। ওই দিন টুঙ্গিপাড়ায় রাত্রিযাপন করবেন। রোববারও থাকবেন। প্রথমে টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনকে নিয়ে আলোচনা সভা ও মতবিনিময় সভা করবেন। আমরা টুঙ্গিপাড়াবাসী আনন্দিত, গর্বিত। কারণ, তিনি এই টুঙ্গিপাড়া ও কোটালীপাড়ার মানুষের ভোটে নির্বাচিত হন। তিনি পাঁচবারের প্রধানমন্ত্রী হলেন। এটি আমাদের জন্য আনন্দের বিষয়। প্রধানমন্ত্রী জনগণের জন্য যে উন্নয়ন করেছেন, সেই ধারাবাহিকতা বজায় রাখবেন এবং বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা বাস্তবায়ন করবেন।’
জেলা প্রশাসক কাজী মাহবুবুল আলম বলেন, ‘নবনির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শনিবার দুদিনের সফরে গোপালগঞ্জে আসবেন। এই সফরে প্রধানমন্ত্রী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিসৌধে আনুষ্ঠানিক শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন। এ ছাড়া টুঙ্গিপাড়া ও কোটালীপাড়ার দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন বলে আমরা আশা করছি। প্রধানমন্ত্রীর সফরকে উৎসবমুখর ও যথাযথ নিরাপত্তা নিশ্চিত করে সফলের লক্ষ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং সংশ্লিষ্ট সব দপ্তরের সমন্বয়ে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে।’

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে সরকার গঠন করেছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। টানা চতুর্থবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আগামীকাল শনিবার দুই দিনের সফরে গোপালগঞ্জে যাচ্ছেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
দুই দিনের সফরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির পিতার সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন এবং নির্বাচনী এলাকার (টুঙ্গিপাড়া ও কোটালীপাড়া উপজেলা) নেতা-কর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন।
প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। রাস্তাগুলো ব্যানার, ফেস্টুন ও তোরণ দিয়ে সাজানো হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে সর্বত্র সাজ সাজ রব। জেলাজুড়ে নেওয়া হয়েছে জোরদার নিরাপত্তাব্যবস্থা।
কোটালীপাড়া উপজেলা চেয়ারম্যান বিমল কৃষ্ণ বিশ্বাস বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর কন্যা পরপর চারবার প্রধানমন্ত্রী হলেন। বরাবরের মতো কোটালীপাড়ার মানুষ এবারও নেত্রীকে সর্বোচ্চ সম্মান দিয়েছে, সর্বোচ্চ ভোট দিয়েছে। আগামীকাল শনিবার হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি, স্বাধীনতার মহানায়ক, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন। পরে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন। পরদিন (১৪ জানুয়ারি) কোটালীপাড়ায় সাধারণ মানুষের মাঝে ছুটে আসবেন। আর এ কারণে সাধারণ ভোটারদের কৌতূহলের শেষ নেই।’
সাধারণ ভোটাররা আনন্দিত ও উচ্ছ্বসিত উল্লেখ করে বিমল কৃষ্ণ বিশ্বাস বলেন, ‘এ আনন্দ ইতিমধ্যে সারা কোটালীপাড়ায় ছড়িয়ে গেছে। আমরা বিস্মিত হয়েছি যে শত ব্যস্ততার মাঝেও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাদের জন্য সময় বের করেছেন। তিনি এখানে আসবেন, নেতা-কর্মীদের সঙ্গে সরাসরি সাক্ষাৎ বিনিময় করবেন। পরে সবার সঙ্গে বসে দুপুরের খাবার খাবেন। এ জন্য কোটালীপাড়াবাসী অত্যন্ত আনন্দিত।’
কোটালীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আয়নাল হোসেন শেখ বলেন, ‘প্রাণপ্রিয় নেত্রী অসংখ্যবার এই কোটালীপাড়ায় এসেছেন। তিনি এবারও বিপুল ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর বিজয়ের পরে তাঁকে বলেছিলাম, কোটালীপাড়াবাসী আপনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করবে, শুভেচ্ছা বিনিময় করবে। তিনি কোটালীপাড়া মানুষকে কত ভালোবাসেন যে উনি সঙ্গে সঙ্গে বলেছেন, ঢাকায় কেন কষ্ট করে আসতে হবে? আমি নিজেই কোটালীপাড়াবাসীর কাছে যাব। এ কারণে আগামী রোববার (১৪ জানুয়ারি) কোটালীপাড়ায় আসবেন প্রধানমন্ত্রী। এদিন বেলা ৩টায় মতবিনিময় সভায় অংশ নেবেন। তাঁর আগমনে কোটালীপাড়ার মানুষ আনন্দিত, উৎফুল্ল। আমরা তাঁকে ধন্যবাদ জানাই।’
সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে আয়নাল হোসেন শেখ বলেন, ‘আমরা শুধু অপেক্ষায় আমাদের প্রাণপ্রিয় নেত্রী, বাংলাদেশ সরকারের নবনির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী কখন আমাদের মাঝে আসবেন। কখন তাঁর মুখটি দেখতে পারব। কখন তাঁর সঙ্গে দুটি কথা বলতে পারব। আর কখন তাঁকে ফুলেল শুভেচ্ছা দিয়ে বরণ করব।’
টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. বাবুল শেখ বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী ও বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা শনিবার টুঙ্গিপাড়ায় আসবেন। ওই দিন টুঙ্গিপাড়ায় রাত্রিযাপন করবেন। রোববারও থাকবেন। প্রথমে টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনকে নিয়ে আলোচনা সভা ও মতবিনিময় সভা করবেন। আমরা টুঙ্গিপাড়াবাসী আনন্দিত, গর্বিত। কারণ, তিনি এই টুঙ্গিপাড়া ও কোটালীপাড়ার মানুষের ভোটে নির্বাচিত হন। তিনি পাঁচবারের প্রধানমন্ত্রী হলেন। এটি আমাদের জন্য আনন্দের বিষয়। প্রধানমন্ত্রী জনগণের জন্য যে উন্নয়ন করেছেন, সেই ধারাবাহিকতা বজায় রাখবেন এবং বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা বাস্তবায়ন করবেন।’
জেলা প্রশাসক কাজী মাহবুবুল আলম বলেন, ‘নবনির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শনিবার দুদিনের সফরে গোপালগঞ্জে আসবেন। এই সফরে প্রধানমন্ত্রী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিসৌধে আনুষ্ঠানিক শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন। এ ছাড়া টুঙ্গিপাড়া ও কোটালীপাড়ার দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন বলে আমরা আশা করছি। প্রধানমন্ত্রীর সফরকে উৎসবমুখর ও যথাযথ নিরাপত্তা নিশ্চিত করে সফলের লক্ষ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং সংশ্লিষ্ট সব দপ্তরের সমন্বয়ে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে।’
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা ও গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে সরকার গঠন করেছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। টানা চতুর্থবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আগামীকাল শনিবার দুই দিনের সফরে গোপালগঞ্জে যাচ্ছেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
দুই দিনের সফরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির পিতার সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন এবং নির্বাচনী এলাকার (টুঙ্গিপাড়া ও কোটালীপাড়া উপজেলা) নেতা-কর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন।
প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। রাস্তাগুলো ব্যানার, ফেস্টুন ও তোরণ দিয়ে সাজানো হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে সর্বত্র সাজ সাজ রব। জেলাজুড়ে নেওয়া হয়েছে জোরদার নিরাপত্তাব্যবস্থা।
কোটালীপাড়া উপজেলা চেয়ারম্যান বিমল কৃষ্ণ বিশ্বাস বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর কন্যা পরপর চারবার প্রধানমন্ত্রী হলেন। বরাবরের মতো কোটালীপাড়ার মানুষ এবারও নেত্রীকে সর্বোচ্চ সম্মান দিয়েছে, সর্বোচ্চ ভোট দিয়েছে। আগামীকাল শনিবার হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি, স্বাধীনতার মহানায়ক, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন। পরে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন। পরদিন (১৪ জানুয়ারি) কোটালীপাড়ায় সাধারণ মানুষের মাঝে ছুটে আসবেন। আর এ কারণে সাধারণ ভোটারদের কৌতূহলের শেষ নেই।’
সাধারণ ভোটাররা আনন্দিত ও উচ্ছ্বসিত উল্লেখ করে বিমল কৃষ্ণ বিশ্বাস বলেন, ‘এ আনন্দ ইতিমধ্যে সারা কোটালীপাড়ায় ছড়িয়ে গেছে। আমরা বিস্মিত হয়েছি যে শত ব্যস্ততার মাঝেও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাদের জন্য সময় বের করেছেন। তিনি এখানে আসবেন, নেতা-কর্মীদের সঙ্গে সরাসরি সাক্ষাৎ বিনিময় করবেন। পরে সবার সঙ্গে বসে দুপুরের খাবার খাবেন। এ জন্য কোটালীপাড়াবাসী অত্যন্ত আনন্দিত।’
কোটালীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আয়নাল হোসেন শেখ বলেন, ‘প্রাণপ্রিয় নেত্রী অসংখ্যবার এই কোটালীপাড়ায় এসেছেন। তিনি এবারও বিপুল ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর বিজয়ের পরে তাঁকে বলেছিলাম, কোটালীপাড়াবাসী আপনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করবে, শুভেচ্ছা বিনিময় করবে। তিনি কোটালীপাড়া মানুষকে কত ভালোবাসেন যে উনি সঙ্গে সঙ্গে বলেছেন, ঢাকায় কেন কষ্ট করে আসতে হবে? আমি নিজেই কোটালীপাড়াবাসীর কাছে যাব। এ কারণে আগামী রোববার (১৪ জানুয়ারি) কোটালীপাড়ায় আসবেন প্রধানমন্ত্রী। এদিন বেলা ৩টায় মতবিনিময় সভায় অংশ নেবেন। তাঁর আগমনে কোটালীপাড়ার মানুষ আনন্দিত, উৎফুল্ল। আমরা তাঁকে ধন্যবাদ জানাই।’
সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে আয়নাল হোসেন শেখ বলেন, ‘আমরা শুধু অপেক্ষায় আমাদের প্রাণপ্রিয় নেত্রী, বাংলাদেশ সরকারের নবনির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী কখন আমাদের মাঝে আসবেন। কখন তাঁর মুখটি দেখতে পারব। কখন তাঁর সঙ্গে দুটি কথা বলতে পারব। আর কখন তাঁকে ফুলেল শুভেচ্ছা দিয়ে বরণ করব।’
টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. বাবুল শেখ বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী ও বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা শনিবার টুঙ্গিপাড়ায় আসবেন। ওই দিন টুঙ্গিপাড়ায় রাত্রিযাপন করবেন। রোববারও থাকবেন। প্রথমে টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনকে নিয়ে আলোচনা সভা ও মতবিনিময় সভা করবেন। আমরা টুঙ্গিপাড়াবাসী আনন্দিত, গর্বিত। কারণ, তিনি এই টুঙ্গিপাড়া ও কোটালীপাড়ার মানুষের ভোটে নির্বাচিত হন। তিনি পাঁচবারের প্রধানমন্ত্রী হলেন। এটি আমাদের জন্য আনন্দের বিষয়। প্রধানমন্ত্রী জনগণের জন্য যে উন্নয়ন করেছেন, সেই ধারাবাহিকতা বজায় রাখবেন এবং বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা বাস্তবায়ন করবেন।’
জেলা প্রশাসক কাজী মাহবুবুল আলম বলেন, ‘নবনির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শনিবার দুদিনের সফরে গোপালগঞ্জে আসবেন। এই সফরে প্রধানমন্ত্রী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিসৌধে আনুষ্ঠানিক শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন। এ ছাড়া টুঙ্গিপাড়া ও কোটালীপাড়ার দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন বলে আমরা আশা করছি। প্রধানমন্ত্রীর সফরকে উৎসবমুখর ও যথাযথ নিরাপত্তা নিশ্চিত করে সফলের লক্ষ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং সংশ্লিষ্ট সব দপ্তরের সমন্বয়ে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে।’

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে সরকার গঠন করেছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। টানা চতুর্থবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আগামীকাল শনিবার দুই দিনের সফরে গোপালগঞ্জে যাচ্ছেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
দুই দিনের সফরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির পিতার সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন এবং নির্বাচনী এলাকার (টুঙ্গিপাড়া ও কোটালীপাড়া উপজেলা) নেতা-কর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন।
প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। রাস্তাগুলো ব্যানার, ফেস্টুন ও তোরণ দিয়ে সাজানো হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে সর্বত্র সাজ সাজ রব। জেলাজুড়ে নেওয়া হয়েছে জোরদার নিরাপত্তাব্যবস্থা।
কোটালীপাড়া উপজেলা চেয়ারম্যান বিমল কৃষ্ণ বিশ্বাস বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর কন্যা পরপর চারবার প্রধানমন্ত্রী হলেন। বরাবরের মতো কোটালীপাড়ার মানুষ এবারও নেত্রীকে সর্বোচ্চ সম্মান দিয়েছে, সর্বোচ্চ ভোট দিয়েছে। আগামীকাল শনিবার হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি, স্বাধীনতার মহানায়ক, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন। পরে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন। পরদিন (১৪ জানুয়ারি) কোটালীপাড়ায় সাধারণ মানুষের মাঝে ছুটে আসবেন। আর এ কারণে সাধারণ ভোটারদের কৌতূহলের শেষ নেই।’
সাধারণ ভোটাররা আনন্দিত ও উচ্ছ্বসিত উল্লেখ করে বিমল কৃষ্ণ বিশ্বাস বলেন, ‘এ আনন্দ ইতিমধ্যে সারা কোটালীপাড়ায় ছড়িয়ে গেছে। আমরা বিস্মিত হয়েছি যে শত ব্যস্ততার মাঝেও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাদের জন্য সময় বের করেছেন। তিনি এখানে আসবেন, নেতা-কর্মীদের সঙ্গে সরাসরি সাক্ষাৎ বিনিময় করবেন। পরে সবার সঙ্গে বসে দুপুরের খাবার খাবেন। এ জন্য কোটালীপাড়াবাসী অত্যন্ত আনন্দিত।’
কোটালীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আয়নাল হোসেন শেখ বলেন, ‘প্রাণপ্রিয় নেত্রী অসংখ্যবার এই কোটালীপাড়ায় এসেছেন। তিনি এবারও বিপুল ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর বিজয়ের পরে তাঁকে বলেছিলাম, কোটালীপাড়াবাসী আপনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করবে, শুভেচ্ছা বিনিময় করবে। তিনি কোটালীপাড়া মানুষকে কত ভালোবাসেন যে উনি সঙ্গে সঙ্গে বলেছেন, ঢাকায় কেন কষ্ট করে আসতে হবে? আমি নিজেই কোটালীপাড়াবাসীর কাছে যাব। এ কারণে আগামী রোববার (১৪ জানুয়ারি) কোটালীপাড়ায় আসবেন প্রধানমন্ত্রী। এদিন বেলা ৩টায় মতবিনিময় সভায় অংশ নেবেন। তাঁর আগমনে কোটালীপাড়ার মানুষ আনন্দিত, উৎফুল্ল। আমরা তাঁকে ধন্যবাদ জানাই।’
সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে আয়নাল হোসেন শেখ বলেন, ‘আমরা শুধু অপেক্ষায় আমাদের প্রাণপ্রিয় নেত্রী, বাংলাদেশ সরকারের নবনির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী কখন আমাদের মাঝে আসবেন। কখন তাঁর মুখটি দেখতে পারব। কখন তাঁর সঙ্গে দুটি কথা বলতে পারব। আর কখন তাঁকে ফুলেল শুভেচ্ছা দিয়ে বরণ করব।’
টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. বাবুল শেখ বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী ও বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা শনিবার টুঙ্গিপাড়ায় আসবেন। ওই দিন টুঙ্গিপাড়ায় রাত্রিযাপন করবেন। রোববারও থাকবেন। প্রথমে টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনকে নিয়ে আলোচনা সভা ও মতবিনিময় সভা করবেন। আমরা টুঙ্গিপাড়াবাসী আনন্দিত, গর্বিত। কারণ, তিনি এই টুঙ্গিপাড়া ও কোটালীপাড়ার মানুষের ভোটে নির্বাচিত হন। তিনি পাঁচবারের প্রধানমন্ত্রী হলেন। এটি আমাদের জন্য আনন্দের বিষয়। প্রধানমন্ত্রী জনগণের জন্য যে উন্নয়ন করেছেন, সেই ধারাবাহিকতা বজায় রাখবেন এবং বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা বাস্তবায়ন করবেন।’
জেলা প্রশাসক কাজী মাহবুবুল আলম বলেন, ‘নবনির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শনিবার দুদিনের সফরে গোপালগঞ্জে আসবেন। এই সফরে প্রধানমন্ত্রী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিসৌধে আনুষ্ঠানিক শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন। এ ছাড়া টুঙ্গিপাড়া ও কোটালীপাড়ার দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন বলে আমরা আশা করছি। প্রধানমন্ত্রীর সফরকে উৎসবমুখর ও যথাযথ নিরাপত্তা নিশ্চিত করে সফলের লক্ষ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং সংশ্লিষ্ট সব দপ্তরের সমন্বয়ে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে।’

১৬ ডিসেম্বর আত্মসমর্পণের দিন নির্ধারিত ছিল। পাকিস্তানি বাহিনী দেশ থেকে পালানোর জন্য চেষ্টা করছিল, সে সময় তারা জীবিত থাকবে—না মৃত থাকবে, সে বিষয়ে কোনো ফয়সালা হয়নি, সে সময় পাকিস্তানি যোদ্ধারা বাংলাদেশের বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করবে, এটি আমি মনে করি রীতিমতো অবান্তর।
৪ মিনিট আগে
সিনিয়র সাংবাদিক ও টক শোর আলোচিত মুখ আনিস আলমগীরকে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। তিনি বর্তমানে ডিবি কার্যালয়ে রয়েছেন।
২০ মিনিট আগে
চট্টগ্রামে নগরের কোতোয়ালি থানা এলাকায় ফুটপাত থেকে হকার ইসমাইলের লাশ উদ্ধারের ঘটনায় আরও দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আসামিদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাতে পুলিশ বলছে, ফুটপাতে দোকান চালানো নিয়ে বিরোধের জেরে ভাড়াটে খুনিদের দিয়ে ইসমাইলকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়।
৪৪ মিনিট আগে
সুদানে জাতিসংঘ শান্তি রক্ষা মিশনে সন্ত্রাসীদের ড্রোন হামলায় নিহত বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী শামীম রেজার রাজবাড়ীর বাড়িতে মাতম চলছে। প্রতিবেশীরা তাঁর পরিবারকে সান্ত্বনা দেওয়ার চেষ্টা করলেও কান্না বাঁধ মানছে না।
১ ঘণ্টা আগেচবি প্রতিনিধি

পাকিস্তানি বাহিনী বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করবে, এটি অবান্তর বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খান। শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে আজ রোববার চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) উপাচার্য দপ্তরে ‘মুক্তচিন্তা, মুক্তিযুদ্ধ এবং একাত্তরের বুদ্ধিজীবী হত্যা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
অধ্যাপক মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খান বলেন, ‘১৬ ডিসেম্বর আত্মসমর্পণের দিন নির্ধারিত ছিল। পাকিস্তানি বাহিনী দেশ থেকে পালানোর জন্য চেষ্টা করছিল, সে সময় তারা জীবিত থাকবে—না মৃত থাকবে, সে বিষয়ে কোনো ফয়সালা হয়নি, সে সময় পাকিস্তানি যোদ্ধারা বাংলাদেশের বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করবে, এটি আমি মনে করি রীতিমতো অবান্তর।’
এ সময় তিনি ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর কী হয়েছিল, তা জানতে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে স্বাধীন নিরপেক্ষ কমিশন গঠন করার অনুরোধ করেন।
মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খান বলেন, ‘এই হত্যাকাণ্ড একটি আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের অংশ ছিল। আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে এ দেশকে আরেকটা দেশের করদরাজ্যে পরিণত করার জন্য বুদ্ধিজীবীদের ষড়যন্ত্রমূলক হত্যা করা হয়েছে। আমরা আজ পর্যন্ত জহির রায়হানকে খুঁজে পাইনি। যদি জহির রায়হানকে খুঁজে পাওয়া যেত, সত্যিকার ইতিহাস আমরা পেতাম।’
মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খান আরও বলেন, ‘গতকাল টিভিতে দেখলাম, মুক্তিযোদ্ধা আখতারুজ্জামান (সদ্য জামায়াতে যোগ দেওয়া সাবেক এমপি মেজর অব. আখতারুজ্জামান) বক্তব্য দিচ্ছেন। তাঁকে যখন প্রশ্ন করা হলো যে আপনি তো বলতেন, ১৯৭১ সালে লাখ লাখ লোক শাহাদাত বরণ করেছে। এখন আপনি এর বিপরীত রাজনীতিতে যুক্ত হলেন, এটি কেন?
মুক্তিযোদ্ধা আখতারুজ্জামান বললেন, ‘এগুলো হচ্ছে রেটরিক (আলংকারিক) বক্তব্য। এগুলো তো সত্য নয়। রেটরিক বক্তব্য আমরা জাতির সামনে শুনতে চাই না। আমরা রিয়েলিটি চাই। আমরা সত্যিকারভাবে বাংলাদেশে কী ঘটেছিল ১৯৭১ সালে, সেই ঘটনায় কারা কারা শহীদ হয়েছে, সেই তথ্য আমরা জানতে চাই। কারা কারা হত্যা করেছে, সেই তথ্য এখন পর্যন্ত আমাদের জানা হয়নি।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মো. কামাল উদ্দিনের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন উপাচার্য মুহাম্মদ ইয়াহইয়া আখতার। সভায় প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ও চবি জাদুঘরের পরিচালক ড. মোহাম্মদ জাহিদুর রহমান।
বক্তব্য দেন ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, ছাত্র উপদেষ্টা, বিভিন্ন হলের প্রভোস্ট, চাকসুর সহসভাপতি (ভিপি), সাধারণ সম্পাদক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক প্রমুখ। সঞ্চালনা করেন প্রক্টর অধ্যাপক হোসেন শহীদ সরওয়ার্দী।
এর আগে সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের বুদ্ধিজীবী চত্বরে ১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণে পুষ্পাঞ্জলি অর্পণ করা হয়। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার থেকে একটি র্যালি শুরু হয়ে কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার প্রদক্ষিণ করে প্রশাসনিক ভবনের সামনে এসে শেষ হয়।
এ দিকে ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ড নিয়ে উপ-উপাচার্যের (একাডেমিক) মন্তব্য নিয়ে বিভিন্ন মাধ্যমে চলছে আলোচনা-সমালোচনা। এ বিষয়ে কথা বলতে অধ্যাপক শামীম উদ্দিন খানের মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করে সাড়া না পাওয়ায় তাঁর বক্তব্য জানা যায়নি।

পাকিস্তানি বাহিনী বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করবে, এটি অবান্তর বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খান। শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে আজ রোববার চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) উপাচার্য দপ্তরে ‘মুক্তচিন্তা, মুক্তিযুদ্ধ এবং একাত্তরের বুদ্ধিজীবী হত্যা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
অধ্যাপক মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খান বলেন, ‘১৬ ডিসেম্বর আত্মসমর্পণের দিন নির্ধারিত ছিল। পাকিস্তানি বাহিনী দেশ থেকে পালানোর জন্য চেষ্টা করছিল, সে সময় তারা জীবিত থাকবে—না মৃত থাকবে, সে বিষয়ে কোনো ফয়সালা হয়নি, সে সময় পাকিস্তানি যোদ্ধারা বাংলাদেশের বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করবে, এটি আমি মনে করি রীতিমতো অবান্তর।’
এ সময় তিনি ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর কী হয়েছিল, তা জানতে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে স্বাধীন নিরপেক্ষ কমিশন গঠন করার অনুরোধ করেন।
মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খান বলেন, ‘এই হত্যাকাণ্ড একটি আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের অংশ ছিল। আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে এ দেশকে আরেকটা দেশের করদরাজ্যে পরিণত করার জন্য বুদ্ধিজীবীদের ষড়যন্ত্রমূলক হত্যা করা হয়েছে। আমরা আজ পর্যন্ত জহির রায়হানকে খুঁজে পাইনি। যদি জহির রায়হানকে খুঁজে পাওয়া যেত, সত্যিকার ইতিহাস আমরা পেতাম।’
মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খান আরও বলেন, ‘গতকাল টিভিতে দেখলাম, মুক্তিযোদ্ধা আখতারুজ্জামান (সদ্য জামায়াতে যোগ দেওয়া সাবেক এমপি মেজর অব. আখতারুজ্জামান) বক্তব্য দিচ্ছেন। তাঁকে যখন প্রশ্ন করা হলো যে আপনি তো বলতেন, ১৯৭১ সালে লাখ লাখ লোক শাহাদাত বরণ করেছে। এখন আপনি এর বিপরীত রাজনীতিতে যুক্ত হলেন, এটি কেন?
মুক্তিযোদ্ধা আখতারুজ্জামান বললেন, ‘এগুলো হচ্ছে রেটরিক (আলংকারিক) বক্তব্য। এগুলো তো সত্য নয়। রেটরিক বক্তব্য আমরা জাতির সামনে শুনতে চাই না। আমরা রিয়েলিটি চাই। আমরা সত্যিকারভাবে বাংলাদেশে কী ঘটেছিল ১৯৭১ সালে, সেই ঘটনায় কারা কারা শহীদ হয়েছে, সেই তথ্য আমরা জানতে চাই। কারা কারা হত্যা করেছে, সেই তথ্য এখন পর্যন্ত আমাদের জানা হয়নি।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মো. কামাল উদ্দিনের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন উপাচার্য মুহাম্মদ ইয়াহইয়া আখতার। সভায় প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ও চবি জাদুঘরের পরিচালক ড. মোহাম্মদ জাহিদুর রহমান।
বক্তব্য দেন ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, ছাত্র উপদেষ্টা, বিভিন্ন হলের প্রভোস্ট, চাকসুর সহসভাপতি (ভিপি), সাধারণ সম্পাদক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক প্রমুখ। সঞ্চালনা করেন প্রক্টর অধ্যাপক হোসেন শহীদ সরওয়ার্দী।
এর আগে সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের বুদ্ধিজীবী চত্বরে ১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণে পুষ্পাঞ্জলি অর্পণ করা হয়। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার থেকে একটি র্যালি শুরু হয়ে কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার প্রদক্ষিণ করে প্রশাসনিক ভবনের সামনে এসে শেষ হয়।
এ দিকে ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ড নিয়ে উপ-উপাচার্যের (একাডেমিক) মন্তব্য নিয়ে বিভিন্ন মাধ্যমে চলছে আলোচনা-সমালোচনা। এ বিষয়ে কথা বলতে অধ্যাপক শামীম উদ্দিন খানের মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করে সাড়া না পাওয়ায় তাঁর বক্তব্য জানা যায়নি।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে সরকার গঠন করেছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। টানা চতুর্থবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আগামীকাল শনিবার দুই দিনের সফরে গোপালগঞ্জে যাচ্ছেন তিনি
১২ জানুয়ারি ২০২৪
সিনিয়র সাংবাদিক ও টক শোর আলোচিত মুখ আনিস আলমগীরকে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। তিনি বর্তমানে ডিবি কার্যালয়ে রয়েছেন।
২০ মিনিট আগে
চট্টগ্রামে নগরের কোতোয়ালি থানা এলাকায় ফুটপাত থেকে হকার ইসমাইলের লাশ উদ্ধারের ঘটনায় আরও দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আসামিদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাতে পুলিশ বলছে, ফুটপাতে দোকান চালানো নিয়ে বিরোধের জেরে ভাড়াটে খুনিদের দিয়ে ইসমাইলকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়।
৪৪ মিনিট আগে
সুদানে জাতিসংঘ শান্তি রক্ষা মিশনে সন্ত্রাসীদের ড্রোন হামলায় নিহত বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী শামীম রেজার রাজবাড়ীর বাড়িতে মাতম চলছে। প্রতিবেশীরা তাঁর পরিবারকে সান্ত্বনা দেওয়ার চেষ্টা করলেও কান্না বাঁধ মানছে না।
১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সিনিয়র সাংবাদিক ও টক শোর আলোচিত মুখ আনিস আলমগীরকে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। তাঁকে আটক বা গ্রেপ্তার করা হয়েছে কি না তা এখনো নিশ্চিত নয়। তবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে জানিয়েছেন ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার ও ডিবির প্রধান মো. শফিকুল ইসলাম।
এর আগে রাত ৮টার দিকে ধানমন্ডির একটি জিম থেকে আনিস আলমগীরকে ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হয়। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত (রাত ৯টা) তিনি ডিবি কার্যালয়ে ছিলেন।
আনিস আলমগীরকে আটক বা গ্রেপ্তার করা হয়েছে কি না জানতে চাইলে ডিবির প্রধান মো. শফিকুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘তাঁর সঙ্গে কথা বলে এ বিষয়ে আমরা বিস্তারিত জানাব। তাঁর সঙ্গে এখনো কথা বলিনি, আমি ডিবি কার্যালয়ে গিয়ে তাঁর সঙ্গে কথা বলব, তারপর বিস্তারিত বলতে পারব।’
সাংবাদিক আনিস আলমগীর দৈনিক আজকের কাগজসহ বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে কাজ করেছেন। সাম্প্রতিক সময়ে টেলিভিশন টক শোতে নানা বক্তব্য দিয়ে আলোচনায় ছিলেন তিনি।

সিনিয়র সাংবাদিক ও টক শোর আলোচিত মুখ আনিস আলমগীরকে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। তাঁকে আটক বা গ্রেপ্তার করা হয়েছে কি না তা এখনো নিশ্চিত নয়। তবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে জানিয়েছেন ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার ও ডিবির প্রধান মো. শফিকুল ইসলাম।
এর আগে রাত ৮টার দিকে ধানমন্ডির একটি জিম থেকে আনিস আলমগীরকে ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হয়। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত (রাত ৯টা) তিনি ডিবি কার্যালয়ে ছিলেন।
আনিস আলমগীরকে আটক বা গ্রেপ্তার করা হয়েছে কি না জানতে চাইলে ডিবির প্রধান মো. শফিকুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘তাঁর সঙ্গে কথা বলে এ বিষয়ে আমরা বিস্তারিত জানাব। তাঁর সঙ্গে এখনো কথা বলিনি, আমি ডিবি কার্যালয়ে গিয়ে তাঁর সঙ্গে কথা বলব, তারপর বিস্তারিত বলতে পারব।’
সাংবাদিক আনিস আলমগীর দৈনিক আজকের কাগজসহ বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে কাজ করেছেন। সাম্প্রতিক সময়ে টেলিভিশন টক শোতে নানা বক্তব্য দিয়ে আলোচনায় ছিলেন তিনি।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে সরকার গঠন করেছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। টানা চতুর্থবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আগামীকাল শনিবার দুই দিনের সফরে গোপালগঞ্জে যাচ্ছেন তিনি
১২ জানুয়ারি ২০২৪
১৬ ডিসেম্বর আত্মসমর্পণের দিন নির্ধারিত ছিল। পাকিস্তানি বাহিনী দেশ থেকে পালানোর জন্য চেষ্টা করছিল, সে সময় তারা জীবিত থাকবে—না মৃত থাকবে, সে বিষয়ে কোনো ফয়সালা হয়নি, সে সময় পাকিস্তানি যোদ্ধারা বাংলাদেশের বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করবে, এটি আমি মনে করি রীতিমতো অবান্তর।
৪ মিনিট আগে
চট্টগ্রামে নগরের কোতোয়ালি থানা এলাকায় ফুটপাত থেকে হকার ইসমাইলের লাশ উদ্ধারের ঘটনায় আরও দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আসামিদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাতে পুলিশ বলছে, ফুটপাতে দোকান চালানো নিয়ে বিরোধের জেরে ভাড়াটে খুনিদের দিয়ে ইসমাইলকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়।
৪৪ মিনিট আগে
সুদানে জাতিসংঘ শান্তি রক্ষা মিশনে সন্ত্রাসীদের ড্রোন হামলায় নিহত বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী শামীম রেজার রাজবাড়ীর বাড়িতে মাতম চলছে। প্রতিবেশীরা তাঁর পরিবারকে সান্ত্বনা দেওয়ার চেষ্টা করলেও কান্না বাঁধ মানছে না।
১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রামে নগরের কোতোয়ালি থানা এলাকায় ফুটপাত থেকে হকার ইসমাইলের লাশ উদ্ধারের ঘটনায় আরও দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আসামিদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাতে পুলিশ বলছে, ফুটপাতে দোকান চালানো নিয়ে বিরোধের জেরে ভাড়াটে খুনিদের দিয়ে ইসমাইলকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়।
হত্যাকাণ্ডের দুই সপ্তাহ পর আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) বিকেলে চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের (সিএমপি) উপকমিশনার (দক্ষিণ) মো. আলমগীর হোসেন নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান।
এর আগে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় গতকাল শনিবার রাতে নগরের মেরিনার্স রোডের ইয়াকুবনগর লইট্টাঘাটা এলাকা থেকে দুজনকে গ্রেপ্তার করে র্যাব-৭। পরে তাঁদের পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার বিনু বৈদ্যর ছেলে রুবেল বৈদ্য (৩১) ও পটিয়া উপজেলার দক্ষিণ মালিয়ারার রতন নাথের ছেলে রাজু নাথ (৩৮)।
গত ২৭ নভেম্বর দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে নগরীর কোতোয়ালি থানার কাছে লালদীঘি মোড়ে সাইকেল চালিয়ে বাসায় ফেরার পথে ছুরিকাঘাতে খুন হন ইসমাইল। পুলিশ প্রথমে ঘটনাটি ছিনতাই হিসেবে ধারণা করে। পরে তদন্তে পরিকল্পিত হত্যার তথ্য পায়। পুলিশের হাতে আসা একটি সিসিটিভি ফুটেজে মোটরসাইকেলে থাকা তিন যুবককে হত্যায় অংশ নিতে দেখা গেছে।
এ ঘটনায় পরদিন কোতোয়ালি থানায় অজ্ঞাতনামা তিনজনকে আসামি করে নিহত ইসমাইলের স্ত্রী নাহিদা আক্তারের করা মামলায় পুলিশ মনির হোসেন ওরফে নয়ন নামের একজনকে গ্রেপ্তার দেখায়।
সংবাদ সম্মেলনে সিএমপির উপকমিশনার মো. আলমগীর হোসেন বলেন, ফুটপাতের দোকান নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে মূলত ভাড়াটে খুনি দিয়ে মো. ইসমাইলকে হত্যা করা হয়েছে। এই খুনের সঙ্গে মোটরসাইকেলে থাকা সরাসরি যে তিনজনের জড়িত থাকার তথ্য ছিল, সবাই গ্রেপ্তার হয়েছেন। খুনে ব্যবহৃত টিপ ছুরি ও মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়েছে।
আলমগীর হোসেন আরও বলেন, ‘ঘটনার পর ইসমাইলের খোয়া যাওয়া মোবাইল ফোনটি মনির হোসেন নামের যাঁর কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়, তাঁকে আমরা প্রথমেই গ্রেপ্তার করি। এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তিনজনের অন্যতম আসামি তিনি। তাঁর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী আরও দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।’
গ্রেপ্তার তিনজন মূলত ভাড়াটে খুনি হিসেবে এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন বলে দাবি করে পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, তাঁদের মধ্যে রাজুর বিরুদ্ধে তিনটি ও রুবেল বৈদ্যর বিরুদ্ধে পাঁচটি মামলা রয়েছে। ডাকাতি, দস্যুতা ও খুনের অভিযোগে এসব মামলা হয়েছিল।
আলমগীর হোসেন বলেন, ‘ইসমাইলের সঙ্গে ফুটপাতের দোকান নিয়ে যাঁর সঙ্গে বিরোধ ছিল, মূলত তিনিই খুনিদের ভাড়া করেছিলেন। ওই ব্যক্তিসহ আরও দুজনের বিষয়ে আমরা তথ্য পেয়েছি। তদন্তের স্বার্থে আমরা এখন তাঁদের নাম প্রকাশ করছি না।’

চট্টগ্রামে নগরের কোতোয়ালি থানা এলাকায় ফুটপাত থেকে হকার ইসমাইলের লাশ উদ্ধারের ঘটনায় আরও দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আসামিদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাতে পুলিশ বলছে, ফুটপাতে দোকান চালানো নিয়ে বিরোধের জেরে ভাড়াটে খুনিদের দিয়ে ইসমাইলকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়।
হত্যাকাণ্ডের দুই সপ্তাহ পর আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) বিকেলে চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের (সিএমপি) উপকমিশনার (দক্ষিণ) মো. আলমগীর হোসেন নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান।
এর আগে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় গতকাল শনিবার রাতে নগরের মেরিনার্স রোডের ইয়াকুবনগর লইট্টাঘাটা এলাকা থেকে দুজনকে গ্রেপ্তার করে র্যাব-৭। পরে তাঁদের পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার বিনু বৈদ্যর ছেলে রুবেল বৈদ্য (৩১) ও পটিয়া উপজেলার দক্ষিণ মালিয়ারার রতন নাথের ছেলে রাজু নাথ (৩৮)।
গত ২৭ নভেম্বর দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে নগরীর কোতোয়ালি থানার কাছে লালদীঘি মোড়ে সাইকেল চালিয়ে বাসায় ফেরার পথে ছুরিকাঘাতে খুন হন ইসমাইল। পুলিশ প্রথমে ঘটনাটি ছিনতাই হিসেবে ধারণা করে। পরে তদন্তে পরিকল্পিত হত্যার তথ্য পায়। পুলিশের হাতে আসা একটি সিসিটিভি ফুটেজে মোটরসাইকেলে থাকা তিন যুবককে হত্যায় অংশ নিতে দেখা গেছে।
এ ঘটনায় পরদিন কোতোয়ালি থানায় অজ্ঞাতনামা তিনজনকে আসামি করে নিহত ইসমাইলের স্ত্রী নাহিদা আক্তারের করা মামলায় পুলিশ মনির হোসেন ওরফে নয়ন নামের একজনকে গ্রেপ্তার দেখায়।
সংবাদ সম্মেলনে সিএমপির উপকমিশনার মো. আলমগীর হোসেন বলেন, ফুটপাতের দোকান নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে মূলত ভাড়াটে খুনি দিয়ে মো. ইসমাইলকে হত্যা করা হয়েছে। এই খুনের সঙ্গে মোটরসাইকেলে থাকা সরাসরি যে তিনজনের জড়িত থাকার তথ্য ছিল, সবাই গ্রেপ্তার হয়েছেন। খুনে ব্যবহৃত টিপ ছুরি ও মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়েছে।
আলমগীর হোসেন আরও বলেন, ‘ঘটনার পর ইসমাইলের খোয়া যাওয়া মোবাইল ফোনটি মনির হোসেন নামের যাঁর কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়, তাঁকে আমরা প্রথমেই গ্রেপ্তার করি। এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তিনজনের অন্যতম আসামি তিনি। তাঁর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী আরও দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।’
গ্রেপ্তার তিনজন মূলত ভাড়াটে খুনি হিসেবে এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন বলে দাবি করে পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, তাঁদের মধ্যে রাজুর বিরুদ্ধে তিনটি ও রুবেল বৈদ্যর বিরুদ্ধে পাঁচটি মামলা রয়েছে। ডাকাতি, দস্যুতা ও খুনের অভিযোগে এসব মামলা হয়েছিল।
আলমগীর হোসেন বলেন, ‘ইসমাইলের সঙ্গে ফুটপাতের দোকান নিয়ে যাঁর সঙ্গে বিরোধ ছিল, মূলত তিনিই খুনিদের ভাড়া করেছিলেন। ওই ব্যক্তিসহ আরও দুজনের বিষয়ে আমরা তথ্য পেয়েছি। তদন্তের স্বার্থে আমরা এখন তাঁদের নাম প্রকাশ করছি না।’

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে সরকার গঠন করেছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। টানা চতুর্থবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আগামীকাল শনিবার দুই দিনের সফরে গোপালগঞ্জে যাচ্ছেন তিনি
১২ জানুয়ারি ২০২৪
১৬ ডিসেম্বর আত্মসমর্পণের দিন নির্ধারিত ছিল। পাকিস্তানি বাহিনী দেশ থেকে পালানোর জন্য চেষ্টা করছিল, সে সময় তারা জীবিত থাকবে—না মৃত থাকবে, সে বিষয়ে কোনো ফয়সালা হয়নি, সে সময় পাকিস্তানি যোদ্ধারা বাংলাদেশের বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করবে, এটি আমি মনে করি রীতিমতো অবান্তর।
৪ মিনিট আগে
সিনিয়র সাংবাদিক ও টক শোর আলোচিত মুখ আনিস আলমগীরকে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। তিনি বর্তমানে ডিবি কার্যালয়ে রয়েছেন।
২০ মিনিট আগে
সুদানে জাতিসংঘ শান্তি রক্ষা মিশনে সন্ত্রাসীদের ড্রোন হামলায় নিহত বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী শামীম রেজার রাজবাড়ীর বাড়িতে মাতম চলছে। প্রতিবেশীরা তাঁর পরিবারকে সান্ত্বনা দেওয়ার চেষ্টা করলেও কান্না বাঁধ মানছে না।
১ ঘণ্টা আগেরাজবাড়ী প্রতিনিধি

সুদানে জাতিসংঘ শান্তি রক্ষা মিশনে সন্ত্রাসীদের ড্রোন হামলায় নিহত বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী শামীম রেজার রাজবাড়ীর বাড়িতে মাতম চলছে। প্রতিবেশীরা তাঁর পরিবারকে সান্ত্বনা দেওয়ার চেষ্টা করলেও কান্না বাঁধ মানছে না।
নিহত শামীম রেজা কালুখালী উপজেলার মৃগী ইউনিয়নের হোগলাডাঙ্গী গ্রামের আলমগীর ফকিরের ছেলে।

শামীমের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, কান্না-আহাজারিতে পরিবেশ ভারী হয়ে উঠেছে। প্রতিবেশীরা শামীমের বাবা, ভাইকে সান্ত্বনা দেওয়ার চেষ্টা করছেন। শামীমের মা ও স্ত্রী কান্নায় ভেঙে পড়েছেন।
শামীমের চাচা আনিস জানান, তিন ভাই ও এক বোনের মধ্যে শামীম সবার বড়। ২০১৭ সালে সেনাবাহিনীতে সৈনিক পদে যোগ দেন তিনি। গত ৭ নভেম্বর তিনি জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে অংশ নিতে সুদানে গিয়েছিলেন।
শামীমের ছোট ভাই সোহান ফকির বলেন, ‘গতকাল টেলিভিশনে সুদানের ঘটনার খবর দেখার পর থেকেই আমরা ভীষণ দুশ্চিন্তায় ছিলাম। ভাইয়ের মোবাইল ফোন বন্ধ ছিল। রাত ১২টার পর আমরা নিশ্চিত হই ভাই আর নেই। গত শুক্রবার সে বাড়িতে ভিডিও কলে কথা বলেছিল।’
বাবা আলমগীর ফকির কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘শুক্রবারও কথা বলেছি। শামীম তখন বলল, আব্বু তুমি ভালো থেকো আমি ডিউটিতে যাব। আমার ছেলেকে এনে দাও তোমরা। ’
স্থানীয় মাসুদ, শাহজাহান, মাহবুব বিশ্বাস বলেন, ‘এই মৃত্যুর খবর পাওয়ার পর শামীমের পরিবারের সদস্যরা ভেঙে পড়েছেন। শামীম ছিল তাঁর পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী। তাঁর পরিবার এখন কীভাবে চলবে? আমরা এলাকাবাসী দাবি জানাই, শামীমের লাশ যেন দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনে। সেই সঙ্গে শামীমের ছোট ভাই সোহানকে যেন একটা চাকরির ব্যবস্থা করে দেয় সরকার।’
কালুখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মেজবাহ উদ্দিন বলেন, ‘নিহত শামীমের পরিবারকে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সহায়তা করা হবে। মরদেহ আসার বিষয়ে এখন পর্যন্ত যেটা জানতে পেরেছি, আগামী ১৭ তারিখে আসবে। তবে এখনো নিশ্চিত না। আশা করি, আগামীকাল সঠিক তথ্য জানতে পারব।’
উল্লেখ্য, গতকাল শনিবার সুদানের আবেই এলাকায় জাতিসংঘ শান্তি রক্ষা মিশনের আওতাধীন কাদুগলি লজিস্টিক বেসে সন্ত্রাসী ড্রোন হামলায় শামীমসহ ছয় বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী নিহত হন।

সুদানে জাতিসংঘ শান্তি রক্ষা মিশনে সন্ত্রাসীদের ড্রোন হামলায় নিহত বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী শামীম রেজার রাজবাড়ীর বাড়িতে মাতম চলছে। প্রতিবেশীরা তাঁর পরিবারকে সান্ত্বনা দেওয়ার চেষ্টা করলেও কান্না বাঁধ মানছে না।
নিহত শামীম রেজা কালুখালী উপজেলার মৃগী ইউনিয়নের হোগলাডাঙ্গী গ্রামের আলমগীর ফকিরের ছেলে।

শামীমের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, কান্না-আহাজারিতে পরিবেশ ভারী হয়ে উঠেছে। প্রতিবেশীরা শামীমের বাবা, ভাইকে সান্ত্বনা দেওয়ার চেষ্টা করছেন। শামীমের মা ও স্ত্রী কান্নায় ভেঙে পড়েছেন।
শামীমের চাচা আনিস জানান, তিন ভাই ও এক বোনের মধ্যে শামীম সবার বড়। ২০১৭ সালে সেনাবাহিনীতে সৈনিক পদে যোগ দেন তিনি। গত ৭ নভেম্বর তিনি জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে অংশ নিতে সুদানে গিয়েছিলেন।
শামীমের ছোট ভাই সোহান ফকির বলেন, ‘গতকাল টেলিভিশনে সুদানের ঘটনার খবর দেখার পর থেকেই আমরা ভীষণ দুশ্চিন্তায় ছিলাম। ভাইয়ের মোবাইল ফোন বন্ধ ছিল। রাত ১২টার পর আমরা নিশ্চিত হই ভাই আর নেই। গত শুক্রবার সে বাড়িতে ভিডিও কলে কথা বলেছিল।’
বাবা আলমগীর ফকির কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘শুক্রবারও কথা বলেছি। শামীম তখন বলল, আব্বু তুমি ভালো থেকো আমি ডিউটিতে যাব। আমার ছেলেকে এনে দাও তোমরা। ’
স্থানীয় মাসুদ, শাহজাহান, মাহবুব বিশ্বাস বলেন, ‘এই মৃত্যুর খবর পাওয়ার পর শামীমের পরিবারের সদস্যরা ভেঙে পড়েছেন। শামীম ছিল তাঁর পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী। তাঁর পরিবার এখন কীভাবে চলবে? আমরা এলাকাবাসী দাবি জানাই, শামীমের লাশ যেন দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনে। সেই সঙ্গে শামীমের ছোট ভাই সোহানকে যেন একটা চাকরির ব্যবস্থা করে দেয় সরকার।’
কালুখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মেজবাহ উদ্দিন বলেন, ‘নিহত শামীমের পরিবারকে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সহায়তা করা হবে। মরদেহ আসার বিষয়ে এখন পর্যন্ত যেটা জানতে পেরেছি, আগামী ১৭ তারিখে আসবে। তবে এখনো নিশ্চিত না। আশা করি, আগামীকাল সঠিক তথ্য জানতে পারব।’
উল্লেখ্য, গতকাল শনিবার সুদানের আবেই এলাকায় জাতিসংঘ শান্তি রক্ষা মিশনের আওতাধীন কাদুগলি লজিস্টিক বেসে সন্ত্রাসী ড্রোন হামলায় শামীমসহ ছয় বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী নিহত হন।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে সরকার গঠন করেছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। টানা চতুর্থবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আগামীকাল শনিবার দুই দিনের সফরে গোপালগঞ্জে যাচ্ছেন তিনি
১২ জানুয়ারি ২০২৪
১৬ ডিসেম্বর আত্মসমর্পণের দিন নির্ধারিত ছিল। পাকিস্তানি বাহিনী দেশ থেকে পালানোর জন্য চেষ্টা করছিল, সে সময় তারা জীবিত থাকবে—না মৃত থাকবে, সে বিষয়ে কোনো ফয়সালা হয়নি, সে সময় পাকিস্তানি যোদ্ধারা বাংলাদেশের বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করবে, এটি আমি মনে করি রীতিমতো অবান্তর।
৪ মিনিট আগে
সিনিয়র সাংবাদিক ও টক শোর আলোচিত মুখ আনিস আলমগীরকে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। তিনি বর্তমানে ডিবি কার্যালয়ে রয়েছেন।
২০ মিনিট আগে
চট্টগ্রামে নগরের কোতোয়ালি থানা এলাকায় ফুটপাত থেকে হকার ইসমাইলের লাশ উদ্ধারের ঘটনায় আরও দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আসামিদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাতে পুলিশ বলছে, ফুটপাতে দোকান চালানো নিয়ে বিরোধের জেরে ভাড়াটে খুনিদের দিয়ে ইসমাইলকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়।
৪৪ মিনিট আগে