নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
হত্যার চার মাস পর পরিবহনমালিক আনোয়ার হোসেন সিকদারের (৫৩) মাটিচাপা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় গতকাল রোববার তিনজনকে গ্রেপ্তার করার পর তাঁদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে লাশটি উদ্ধার করা হয়। ব্যবসায়িক লেনদেন নিয়ে বিরোধের জেরে আনোয়ারকে হত্যা করা হয়েছে।
আজ সোমবার (২৬ মে) দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ডিএমপির উত্তরা বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. মুহিদুল ইসলাম।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন মো. সবুজ ফকির (২৮), কালাম (২২) ও মো. শাকিল (১৮)। তাঁদের দেওয়া তথ্যমতে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত একটি লোহার পাইপ উদ্ধার করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে ডিসি বলেন, হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী ছিলেন আসাদুল ও সবুজ। রাইদা বাসের চালক আসাদুলের কাছে ১৮ লাখ টাকায় কিস্তিতে একটি বাস বিক্রি করেন রাইদা বাস ডিপোর মালিক আনোয়ার। আসাদুল বাস বিক্রির ১২ লাখ টাকা পরিশোধ করেন আনোয়ারের কাছে। বাকি টাকা গত ১৭ জানুয়ারির না দিতে পারলে বাস ও টাকা পাবেন না বলে জানিয়ে দেন তিনি। এদিকে সবুজ ২ লাখ টাকা সুদে ধার নেন আনোয়ারের কাছ থেকে। ধার নেওয়ার বেশি পরিমাণ টাকা সুদ দিলেও সেই টাকা পরিশোধ আর শেষ হয় না। পরে তাঁরা আনোয়ারকে হত্যার পরিকল্পনা করেন।
পরিকল্পনা অনুযায়ী রাইদা বাসের চালক ও হেলপারেরা গত ১৭ জানুয়ারি সকালে রাজধানীর দিয়াবাড়ি মেট্রো গোলচত্বর এলাকায় আনোয়ারকে রাইদা বাস ডিপোর ভেতরে হত্যা করেন। তাঁরা প্রথমে আনোয়ারের মাথায় লোহার পাইপ দিয়ে আঘাত করেন এবং পরে গলায় ধারালো ছুরি দিয়ে আঘাত করে হত্যা করেন। হত্যার পর তাঁরা লাশ গুম ও প্রমাণ নষ্ট করার জন্য আনোয়ারের মরদেহ বাস ডিপোর উত্তর পাশে টিনের বেড়ার কাছে মাটিতে পুঁতে রাখেন।
ঘটনার বিষয়ে ডিসি বলেন, গত ১৭ জানুয়ারি সকালে আনোয়ার হোসেন বাসা থেকে ডিপোর উদ্দেশে বের হন। ওই দিন সন্ধ্যা পর্যন্ত তিনি বাসায় ফিরে না আসায় এবং ফোন রিসিভ না করায় তাঁর পরিবারের সদস্যরা বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেন। কিন্তু তাঁকে কোথাও না পেয়ে পরদিন ১৮ জানুয়ারি তুরাগ থানায় একটি নিখোঁজ জিডি করেন আনোয়ারের স্ত্রী শিউলি আক্তার।
ওই জিডির সূত্র ধরে তথ্য পাওয়া যায়, ব্যবসায়িক লেনদেন নিয়ে বিরোধের জেরে আনোয়ারকে হত্যা করা হয়েছে। পরে হত্যায় জড়িত কালাম ও শাকিলকে আশুলিয়া এলাকা থেকে গতকাল রোববার গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে সবুজ নামের আরেকজনকে উত্তরার দিয়াবাড়ি এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মুহিদুল বলেন, গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে গতকালই তুরাগ থানা-পুলিশ মাটিচাপা দেওয়া আনোয়ারের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করে। পরে মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
এ ঘটনায় ভিকটিম আনোয়ারের স্ত্রী শিউলি আক্তার বাদী হয়ে গ্রেপ্তারসহ আরও ৫-৬ জনের বিরুদ্ধে তুরাগ থানায় গতকাল একটি হত্যা মামলা করেন। সেই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাঁদের আদালতে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে পুলিশের কাছে তাঁরা হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। হত্যাকাণ্ডে জড়িত পলাতক অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানান ডিসি মুহিদুল।
হত্যার চার মাস পর পরিবহনমালিক আনোয়ার হোসেন সিকদারের (৫৩) মাটিচাপা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় গতকাল রোববার তিনজনকে গ্রেপ্তার করার পর তাঁদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে লাশটি উদ্ধার করা হয়। ব্যবসায়িক লেনদেন নিয়ে বিরোধের জেরে আনোয়ারকে হত্যা করা হয়েছে।
আজ সোমবার (২৬ মে) দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ডিএমপির উত্তরা বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. মুহিদুল ইসলাম।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন মো. সবুজ ফকির (২৮), কালাম (২২) ও মো. শাকিল (১৮)। তাঁদের দেওয়া তথ্যমতে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত একটি লোহার পাইপ উদ্ধার করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে ডিসি বলেন, হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী ছিলেন আসাদুল ও সবুজ। রাইদা বাসের চালক আসাদুলের কাছে ১৮ লাখ টাকায় কিস্তিতে একটি বাস বিক্রি করেন রাইদা বাস ডিপোর মালিক আনোয়ার। আসাদুল বাস বিক্রির ১২ লাখ টাকা পরিশোধ করেন আনোয়ারের কাছে। বাকি টাকা গত ১৭ জানুয়ারির না দিতে পারলে বাস ও টাকা পাবেন না বলে জানিয়ে দেন তিনি। এদিকে সবুজ ২ লাখ টাকা সুদে ধার নেন আনোয়ারের কাছ থেকে। ধার নেওয়ার বেশি পরিমাণ টাকা সুদ দিলেও সেই টাকা পরিশোধ আর শেষ হয় না। পরে তাঁরা আনোয়ারকে হত্যার পরিকল্পনা করেন।
পরিকল্পনা অনুযায়ী রাইদা বাসের চালক ও হেলপারেরা গত ১৭ জানুয়ারি সকালে রাজধানীর দিয়াবাড়ি মেট্রো গোলচত্বর এলাকায় আনোয়ারকে রাইদা বাস ডিপোর ভেতরে হত্যা করেন। তাঁরা প্রথমে আনোয়ারের মাথায় লোহার পাইপ দিয়ে আঘাত করেন এবং পরে গলায় ধারালো ছুরি দিয়ে আঘাত করে হত্যা করেন। হত্যার পর তাঁরা লাশ গুম ও প্রমাণ নষ্ট করার জন্য আনোয়ারের মরদেহ বাস ডিপোর উত্তর পাশে টিনের বেড়ার কাছে মাটিতে পুঁতে রাখেন।
ঘটনার বিষয়ে ডিসি বলেন, গত ১৭ জানুয়ারি সকালে আনোয়ার হোসেন বাসা থেকে ডিপোর উদ্দেশে বের হন। ওই দিন সন্ধ্যা পর্যন্ত তিনি বাসায় ফিরে না আসায় এবং ফোন রিসিভ না করায় তাঁর পরিবারের সদস্যরা বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেন। কিন্তু তাঁকে কোথাও না পেয়ে পরদিন ১৮ জানুয়ারি তুরাগ থানায় একটি নিখোঁজ জিডি করেন আনোয়ারের স্ত্রী শিউলি আক্তার।
ওই জিডির সূত্র ধরে তথ্য পাওয়া যায়, ব্যবসায়িক লেনদেন নিয়ে বিরোধের জেরে আনোয়ারকে হত্যা করা হয়েছে। পরে হত্যায় জড়িত কালাম ও শাকিলকে আশুলিয়া এলাকা থেকে গতকাল রোববার গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে সবুজ নামের আরেকজনকে উত্তরার দিয়াবাড়ি এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মুহিদুল বলেন, গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে গতকালই তুরাগ থানা-পুলিশ মাটিচাপা দেওয়া আনোয়ারের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করে। পরে মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
এ ঘটনায় ভিকটিম আনোয়ারের স্ত্রী শিউলি আক্তার বাদী হয়ে গ্রেপ্তারসহ আরও ৫-৬ জনের বিরুদ্ধে তুরাগ থানায় গতকাল একটি হত্যা মামলা করেন। সেই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাঁদের আদালতে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে পুলিশের কাছে তাঁরা হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। হত্যাকাণ্ডে জড়িত পলাতক অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানান ডিসি মুহিদুল।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) স্নাতক প্রথম বর্ষের (২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষ) ক্লাস আগামী ২১ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। গতকাল বুধবার (১৩ আগস্ট) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টায় গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক
১২ মিনিট আগেপুলিশ সুপার বলেন, মাদক নিয়ন্ত্রণে সরকারের আরও একটি বিভাগ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর কাজ করছে। তবে মাদক নির্মূলের জন্য সবার সহযোগিতা জরুরি। তিনি তথ্য দিয়ে কিংবা সামাজিক প্রতিরোধের মাধ্যমে মাদক নির্মূলের আহ্বান জানান। প্রয়োজনে মাদকের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সামাজিকভাবে বয়কট করার পরামর্শও দে
১৫ মিনিট আগেঠাকুরগাঁওয়ে সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা জবায়দুর রহমান হত্যা মামলায় বিএনপির ১২৩ নেতা-কর্মীকে খালাস দিয়েছেন আদালত। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে ঠাকুরগাঁও অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ সমরেশ শীল আসামিদের উপস্থিতিতে এ রায় দেন। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন এ হত্যাকাণ্ড ঘটে।
১৯ মিনিট আগেকর্মসূচিতে অফিসার্স সমিতির সভাপতি মোক্তার হোসেন বলেন, ‘আমরা আমাদের সব বৈষম্য দূরীকরণের জন্য আগেও আন্দোলন করেছিলাম। পরে প্রশাসনের আশ্বাসে স্থগিত করেছি। কিন্তু বর্তমানে এই প্রশাসন আমাদের সঙ্গে প্রতারণা করছে। দেশের বাকি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে প্রাতিষ্ঠানিক সুবিধা বহাল থাকলেও আমাদের সঙ্গে বৈষম্য করার জবাব
৩৩ মিনিট আগে