Ajker Patrika

ঢাকায় ৩ বছরে আমূল পরিবর্তন করেছি: তাপস

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ১৬ মে ২০২৩, ১৫: ২৫
ঢাকায় ৩ বছরে আমূল পরিবর্তন করেছি: তাপস

৫০ বছরের পুঞ্জীভূত নাগরিক সমস্যা সমাধানে গত তিন বছরে কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ঢাকা অবসবাসযোগ্য নগরী ছিল। গত তিন বছরে আমরা আমূল পরিবর্তন করতে পেরেছি। পাঁচটি রূপরেখার আলোকে পরিকল্পনা সাজিয়েছি। 

আজ মঙ্গলবার নগর ভবনে দায়িত্ব গ্রহণের তিন বছর পূর্তি উপলক্ষে ‘উন্নত ঢাকার উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় তিন বছর’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস এসব কথা বলেছেন। 

মেয়র তাপস বলেন, ‘গত তিন বছরে দায়িত্ব পালনের সময় নগরীর জলাবদ্ধতা দূর করাই সবচেয়ে বড় সফলতা। দায়িত্ব গ্রহণের পর জলাবদ্ধতা দূর করাকেই সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছি। আগে বৃষ্টির সময় নগরীর ৭০ শতাংশ ডুবে যেত। কিন্তু এখন জলাবদ্ধতা হচ্ছে না। গত তিন বছরে জলাবদ্ধতা নিরসনে নিজস্ব অর্থায়নে ২২৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ১৩৬টি স্থানে অবকাঠামো নির্মাণ ও উন্নয়ন করা হয়েছে, যার সুফল গত বছর থেকেই নগরবাসী পেতে শুরু করেছে।’ 

মেয়র তাপস আরও বলেন, শ্যামপুর, মান্ডা, জিরানী ও কালুনগর খালের বর্জ্য ও পলি অপসারণ এবং খালের নান্দনিক পরিবেশ তৈরির জন্য ৮৯৮ কোটি টাকার প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। ধোলাইখাল ও বুড়িগঙ্গায় নান্দনিক পরিবেশ তৈরির কাজ হাতে নেওয়া হচ্ছে। তিন বছরে ৩৬টি অন্তর্বর্তীকালীন বর্জ্য স্থানান্তর কেন্দ্র তৈরি করা হয়েছে। বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। 

দুর্নীতির বিরুদ্ধে সুশাসনের লক্ষ্যে অভিযান চালানো হচ্ছে উল্লেখ করে মেয়র বলেন, ‘তিন বছরে দুর্নীতি-অনিয়মের অভিযোগে শতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারীকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় পাঁচ শতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। ৩৫০ জন পরিচ্ছন্নতাকর্মী নিয়োগ দিয়ে স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় তাঁদের বাসা বরাদ্দ দিয়েছি।’ 

তাপস বলেন, ঢাকা নগর পরিবহনের মাধ্যমে বাসরুট রেশনালাইজেশন চালু করা হয়েছে। এই পরিকল্পনা পুরোপুরি বাস্তবায়নের মাধ্যমে পরিবহনব্যবস্থায় শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা হবে। পর্যটনের বিস্তার ও ঐতিহ্য সংরক্ষণের লক্ষ্যে ঐতিহ্য বলয় বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। ৩৪ একর জমি উদ্ধার করা হয়েছে, যার মূল্য ৩ হাজার ১০০ কোটি টাকার ওপরে। এই অবৈধ উচ্ছেদ অভিযান চলমান থাকবে। তিন বছরে সাতটি খেলার মাঠ ও চারটি পার্কের উন্নয়নকাজ শেষ করেছি। প্রতি ওয়ার্ডে একটি করে ব্যায়ামাগার নির্মাণ করা হবে, যেখানে মেয়েদেরও ব্যায়াম করার সুযোগ থাকবে। মশা নিয়ন্ত্রণে প্রতি ওয়ার্ডে ১৩ জন মশককর্মী ও একজন করে সুপারভাইজার নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। সারা বছর এই কার্যক্রম চলবে। 

সবুজায়ন ও ছাদবাগান প্রসঙ্গে আজকের পত্রিকার প্রশ্নের জবাবে মেয়র বলেন, যাঁরা ছাদবাগান করেন, তাঁদের মাত্র ২০ শতাংশ তা পরিষ্কার রাখেন। তাই ছাদবাগানের মাধ্যমে সবুজায়নের কোনো পরিকল্পনা সিটি করপোরেশনের নেই। তবে তিন বছরে ২ লাখ গাছ লাগানো হয়েছে। আরও গাছ লাগানো হবে। 

সাত মসজিদ রোডে গাছ কাটা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘সড়কের গতি বাড়াতে সড়ক বিভাজক ঠিক করা হচ্ছে। বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতেই সেটা করা হচ্ছে। এ জন্য কিছু গাছ কাটা পড়েছে। আর সড়কের মাঝখানে উন্নত দেশে বড় গাছ লাগানো হয় না, বড় গাছ পড়ে দুর্ঘটনার ঝুঁকি থাকে। আমরা ভবিষ্যতে সড়ক বিভাজকে ফুল গাছের মতো ছোট গাছ লাগাব। বড় গাছ লাগাব না। আগামী বছর থেকে কাউন্সিলরেদের জন্য ১ কোটির বদলে ২ কোটি টাকা এবং সাংসদদের জন্য ২ কোটির বদলে ৪ কোটি টাকা উন্নয়ন বরাদ্দ দেওয়া হবে।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রধান নির্বাহী ও কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমানসহ অন্যরা। সংবাদ সম্মেলন শেষে নগর ভবন চত্বরে একটি গাছ রোপণ করেন মেয়র।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বগুড়ায় পুলিশ কনস্টেবল থেকে খোয়া গেছে ১০ রাউন্ড গুলি

বগুড়া প্রতিনিধি
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

বগুড়া সদর থানায় পাহারার দায়িত্বে থাকা পুলিশ কনস্টেবলের কাছ থেকে শটগানের ১০ রাউন্ড গুলি খোয়া গেছে।

গতকাল শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত আড়াইটা থেকে ভোররাত ৪টার মধ্যে এ ঘটনা ঘটে। আজ রোববার সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত খোয়া যাওয়া গুলি পাওয়া যায়নি।

বগুড়া জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) আতোয়ার হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

বগুড়া সদর থানা-পুলিশের একটি সূত্র জানায়, গতকাল দিবাগত রাত ১২টা থেকে ভোররাত ৪টা পর্যন্ত থানা পাহারার (সেন্ট্রি) দায়িত্বে ছিলেন কনস্টেবল অসিত কুমার। রাত আড়াইটার দিকে তিনি থানা থেকে বের হয়ে সাতমাথায় চা পান করতে যান। এ সময় তাঁর কাছে থাকা শটগানের ১০ রাউন্ড গুলি খোয়া যায়।

ভোররাত ৪টায় কনস্টেবল নুরুজ্জামান দায়িত্ব বুঝে নেওয়ার সময় অসিত কুমার ১০ রাউন্ড গুলি খোয়া যাওয়ার ঘটনাটি প্রকাশ করেন। আজ সকাল থেকে বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করেও খোয়া যাওয়া গুলির হদিস পাওয়া যায়নি।

বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আতোয়ার হোসেন বলেন, সদর থানা থেকে খোয়া যাওয়া গুলি এখনো পাওয়া যায়নি। সদর থানা থেকে এ-সংক্রান্ত প্রতিবেদন পাওয়া গেলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

জামায়াত প্রার্থীর সভায় পুলিশ কর্মকর্তার গান, ভিডিও ভাইরাল

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি
সাতক্ষীরায় জামায়াত প্রার্থীর সভায় পুলিশ কর্মকর্তা। ছবি: সংগৃহীত
সাতক্ষীরায় জামায়াত প্রার্থীর সভায় পুলিশ কর্মকর্তা। ছবি: সংগৃহীত

সাতক্ষীরায় দাঁড়িপাল্লা প্রতীকের প্রার্থীর সভায় এক পুলিশ কর্মকর্তার গান (জামায়াতের গুণগান-সংবলিত) পরিবেশনের অভিযোগ উঠেছে। আজ রোববার এর একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে বিষয়টি নিয়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে।

অভিযুক্ত মো. মহিবুল্লাহ পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক এএসআই, সশস্ত্র)। তিনি বাগেরহাট পুলিশ লাইনসে কর্মরত। এর আগে সাতক্ষীরা পুলিশ লাইনসে ছিলেন তিনি।

তিন মিনিট ১১ সেকেন্ডের ভিডিওতে দেখা যায়, সাতক্ষীরা–২ (সদর-দেবহাটা) আসনে দাঁড়িপাল্লা প্রতীকের প্রার্থী মুহাদ্দিস আব্দুল খালেকের একটি নির্বাচনী পথসভায় পুলিশের পোশাক পরিহিত মো. মহিবুল্লাহ গান পরিবেশন করেন। মাঝে মাঝে নারায়ে তাকবির স্লোগান দিয়ে দর্শকদের উজ্জীবিত করেন।

সূত্রে জানা গেছে, পথসভাটি ৭ ডিসেম্বরের। সাতক্ষীরা শহরের ১ নম্বর ওয়ার্ডের কাটিয়া আমতলা মোড়ে ওই পথসভা হয়। সভায় ১ নম্বর ওয়ার্ড জামায়াতের আমির মো. জিয়াউর রহমানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন দলের মনোনীত প্রার্থী ও কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সেক্রেটারি মুহাদ্দিস আব্দুল খালেক। সভার মাঝপথে মো. মহিবুল্লাহ এই গান পরিবেশন করেন।

আরও জানা গেছে, পুলিশের ওই এএসআই সাতক্ষীরা পুলিশ লাইনসে কর্মরত থাকাকালে আগরদাড়ির একটি মাহফিলে ইসলামি গান পরিবেশন করেছিলেন। তাঁর সংগীতে মুগ্ধ হয়ে মুহাদ্দিস আব্দুল খালেক তাঁকে পুরস্কৃত করেন। বাগেরহাটে বদলি হয়ে গেলেও তিনি খোঁজ নিয়ে ওই পথসভায় আসেন।

জানতে চাইলে এএসআই মো. মহিবুল্লাহ বলেন, ‘আমি কোনো রাজনৈতিক বক্তব্য দিইনি। মুহাদ্দিস আব্দুল খালেক আমাকে পুরস্কৃত করেছিলেন, সে কারণে আমি ইসলামি একটি সংগীত পরিবেশন করেছি’ বলেই লাইনটি কেটে দেন। পরে তাঁর নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।

এ বিষয়ে সাতক্ষীরা শহর জামায়াতের সেক্রেটারি খোরশেদ আলম বলেন, ‘পুলিশের পোশাক পরা ওই ব্যক্তি স্টেজে উঠে সংগীত পরিবেশন করতে চান। আমরা নিষেধ করা সত্ত্বেও তিনি সংগীত পরিবেশন করেছেন।’

সাতক্ষীরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মুকিত হাসান খাঁন জানান, অভিযুক্ত পুলিশ সদস্য বর্তমানে সাতক্ষীরায় কর্মরত নন। অপর প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পুলিশের পোশাক পরে কোনো রাজনৈতিক দলের প্রচারণায় অংশ নেওয়ার সুযোগ নেই।

বাগেরহাটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মুহাম্মদ মহিদুর রহমান বলেন, ‘বিষয়টি সম্পর্কে অবগত নই। এমন কিছু ঘটে থাকলে খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

পরকীয়ার অপবাদ দিয়ে গৃহবধূকে ধর্ষণচেষ্টা, কৌশলে পালিয়ে রক্ষা

মির্জাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে পরকীয়ার অপবাদ দিয়ে ঘরে ঢুকে এক গৃহবধূকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে থানায় মামলা হয়েছে। ধর্ষণের চেষ্টাকালে ওই গৃহবধূ কৌশলে পালিয়ে রক্ষা পান। গতকাল শনিবার বিকেলে উপজেলার একটি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

ভুক্তভোগী ওই গৃহবধূ গতকাল রাতে আজাহার মিয়া (৪২) ও রাজিব মিয়া (৩৫) নামের দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা করেন। ঘটনার পর থেকে তাঁরা পলাতক রয়েছেন। পুলিশ আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালাচ্ছে।

মামলার বাদী গৃহবধূ বলেন, ‘ঘটনার দিন বিকেলে শিশুসন্তান নিয়ে ভাড়া বাসায় ঘুমিয়ে ছিলাম। এ সময় আজাহার মিয়া ও রাজিব মিয়া আমার কক্ষের দরজা খুলতে বলেন। ঘরে অন্য পুরুষ রয়েছে—এমন অভিযোগ তুলে তাঁরা জোর করে শয়নকক্ষে ঢুকে পড়েন। এ সময় আশপাশের লোকজন জড়ো হলে তাঁরা ভয়ভীতি দেখিয়ে তাঁদের সরিয়ে দেন। এরপর শিশুকে জিম্মি ও স্বামীকে হত্যার ভয় দেখিয়ে ওই দুই ব্যক্তি ধর্ষণের চেষ্টা করেন। একপর্যায়ে কৌশলে ঘর থেকে বেরিয়ে আসি।’

এলাকার একাধিক বাসিন্দার সঙ্গে কথা হলে তাঁরা বলেন, যাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাঁরা এভাবেই এলাকায় প্রভাব বিস্তার করেন। সন্ধ্যার পর মদ পান করে এলাকায় অপরাধ কর্মকাণ্ড চালান।

বাড়ির মালিক বলেন, ‘অভিযুক্ত ব্যক্তিরা নানাভাবে অত্যাচার-নির্যাতন করে আসছে। এলাকায় তাদের বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ রয়েছে। আমার বাসার ভাড়াটের সঙ্গে যা হয়েছে, তা শতভাগ সত্য।’

মির্জাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গৃহবধূকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে এক নারী দুজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। আমরা আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু করেছি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সিলেটে সিএনজিচালিত অটোরিকশা ছিনতাইয়ের জন্য চালককে হত্যা

সিলেট প্রতিনিধি
শিপন আহমদ। ছবি: সংগৃহীত
শিপন আহমদ। ছবি: সংগৃহীত

সিলেটের ওসমানী নগর উপজেলায় সড়কের পাশ থেকে শিপন আহমদ (২৫) নামের এক সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) সকাল ৯টার দিকে সাদীপুর ইউনিয়নে কেশবখালী নদীর পাড় থেকে তাঁর লাশটি উদ্ধার করা হয়। তবে তাঁর অটোরিকশাটি পাওয়া যায়নি। শিপনের স্বজন ও পুলিশের ধারণা, অটোরিকশা ছিনতাইয়ের জন্য তাঁকে হত্যা করা হয়।

শিপন আহমদ উপজেলার দয়ামীর ইউনিয়নের রাইকধারা (গাংপাড়) গ্রামের আশরাফ আলীর ছেলে। তাঁর একটি কন্যাসন্তান রয়েছে।

পুলিশ জানায়, গতকাল শনিবার রাত ৮টার দিকে ভাড়ায় চালিত রেজিস্ট্রেশনবিহীন (পরীক্ষামূলক) সিএনজিচালিত অটোরিকশা নিয়ে বের হলে আর বাড়িতে ফেরেননি শিপন। রাত গভীর হলেও শিপনের মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায় এবং তাঁর কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।

আজ সকাল ৯টার দিকে ওসমানী নগরের সাদীপুর ইউনিয়নের বেগমপুর-চাতলপাড় রাস্তার পাশে কেশবখালী নদীর পাড়ে শিপনের লাশ দেখতে পান স্থানীয় লোকজন। পরে খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে তাঁর লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।

ওসমানী নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোরশেদুল আলম ভূঁইয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, চালক শিপনকে হত্যা করে তাঁর অটোরিকশাটি নিয়ে গেছে ছিনতাইকারীরা। এ ঘটনায় পুলিশ অটোরিকশাটি উদ্ধার ও জড়িত ব্যক্তিদের আটকের চেষ্টা করছে। তাঁর লাশ ময়নাতদন্তের জন্য সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত