মাদারীপুর প্রতিনিধি
অনেক স্বপ্ন আর আশা ছিল ইতালিতে যাবেন। সেই স্বপ্নপূরণ আর উন্নত জীবনের আশায় প্রায় সাত মাস আগে বাড়ি ছাড়েন মাদারীপুর সদর উপজেলার কুনিয়া ইউনিয়নের খাটোপাড়া গ্রামের শহিদুল বেপারীর ছেলে সাইদুল বেপারী (২২)। তবে ভাগ্য সহায় হয়নি। কয়েকটি দেশ ঘুরে লিবিয়ায় গিয়ে বন্দী হন মাফিয়াদের হাতে। আটকে রেখে করা হয় মাসের পর মাস নির্যাতন। আদায় করা হয় পরিবারের থেকে দফায় দফায় ৬০ লাখের মতো টাকা। তবুও মুক্তি মেলেনি এই যুবকের। অবশেষে প্রাণই গেলে মাফিয়াদের হাতে। জীবিত অবস্থায় ইতালি যেতে না পারলেও সাইদুলের লাশ গেছে তাঁর স্বপ্নের দেশে।
গত বুধবার রাতে সাইদুলের মৃত্যুর খবর পৌঁছে তাঁর বাড়ি। এ খবরে ভেঙে পড়েন পরিবারের সদস্যরা। কোনো সান্ত্বনাই তাঁদের কান্না থামাতে পারছে না।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, সদর উপজেলার আদিত্যপুর গ্রামের লালু খানের ছেলে শিপন খান প্রলোভন দেখিয়ে সাইদুলকে লিবিয়া নিয়ে মাফিয়াদের কাছে বিক্রি করেন। পরে মাফিয়াদের নির্যাতনে মৃত্যু হয় তাঁর। ১৫ ফেব্রুয়ারি ট্রলারে অন্য অভিবাসীদের সঙ্গে সাইদুলের লাশ ইতালি পাঠানো হয়।
নিহতের বাবা শহিদুল বলেন, ‘দালাল শিপন লিবিয়া পাঠিয়ে আমার ছেলেকে বন্দী করে রাখে। এরপর নির্যাতন করে ধাপে ধাপে ৬০ লাখ টাকা নেয়। সাইদুলকে তিন বেলা খাবারও দিত না। একপর্যায়ে মারা গেলে মরদেহ ট্রলারে করে ইতালি পাঠায়। আমার দালাল শিপন খানের কঠিন বিচার চাই। এমন ঘটনা ভবিষ্যতে যেন শিপন আর করতে সাহস না পায়।’
প্রতিবেশী সাহাবুদ্দিন বেপারী বলেন, মানুষের কাছ থেকে ধারদেনা করে, চড়া সুদে টাকা এনে এবং জমি বিক্রি করে দালালের হাতে ৬০ লাখ টাকা তুলে দেওয়া হয়। তবুও প্রাণ দিতে হলো সাইদুলকে।
শিপন খান মোবাইল ফোনে বলেন, ঘটনাটি মীমাংসা হয়েছে। নতুন করে সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ দেওয়ার কথা নয়। লিবিয়া দিয়ে ইতালি যাওয়ার পথে একটি দুর্ঘটনায় সাইদুল মারা গেছেন।
মাদারীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোকছেদুর রহমান বলেন, ‘লিবিয়ায় নির্যাতনে এক যুবকের মারা যাওয়ার খবর পেয়েছি। নিহতের পরিবার থেকে লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
অনেক স্বপ্ন আর আশা ছিল ইতালিতে যাবেন। সেই স্বপ্নপূরণ আর উন্নত জীবনের আশায় প্রায় সাত মাস আগে বাড়ি ছাড়েন মাদারীপুর সদর উপজেলার কুনিয়া ইউনিয়নের খাটোপাড়া গ্রামের শহিদুল বেপারীর ছেলে সাইদুল বেপারী (২২)। তবে ভাগ্য সহায় হয়নি। কয়েকটি দেশ ঘুরে লিবিয়ায় গিয়ে বন্দী হন মাফিয়াদের হাতে। আটকে রেখে করা হয় মাসের পর মাস নির্যাতন। আদায় করা হয় পরিবারের থেকে দফায় দফায় ৬০ লাখের মতো টাকা। তবুও মুক্তি মেলেনি এই যুবকের। অবশেষে প্রাণই গেলে মাফিয়াদের হাতে। জীবিত অবস্থায় ইতালি যেতে না পারলেও সাইদুলের লাশ গেছে তাঁর স্বপ্নের দেশে।
গত বুধবার রাতে সাইদুলের মৃত্যুর খবর পৌঁছে তাঁর বাড়ি। এ খবরে ভেঙে পড়েন পরিবারের সদস্যরা। কোনো সান্ত্বনাই তাঁদের কান্না থামাতে পারছে না।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, সদর উপজেলার আদিত্যপুর গ্রামের লালু খানের ছেলে শিপন খান প্রলোভন দেখিয়ে সাইদুলকে লিবিয়া নিয়ে মাফিয়াদের কাছে বিক্রি করেন। পরে মাফিয়াদের নির্যাতনে মৃত্যু হয় তাঁর। ১৫ ফেব্রুয়ারি ট্রলারে অন্য অভিবাসীদের সঙ্গে সাইদুলের লাশ ইতালি পাঠানো হয়।
নিহতের বাবা শহিদুল বলেন, ‘দালাল শিপন লিবিয়া পাঠিয়ে আমার ছেলেকে বন্দী করে রাখে। এরপর নির্যাতন করে ধাপে ধাপে ৬০ লাখ টাকা নেয়। সাইদুলকে তিন বেলা খাবারও দিত না। একপর্যায়ে মারা গেলে মরদেহ ট্রলারে করে ইতালি পাঠায়। আমার দালাল শিপন খানের কঠিন বিচার চাই। এমন ঘটনা ভবিষ্যতে যেন শিপন আর করতে সাহস না পায়।’
প্রতিবেশী সাহাবুদ্দিন বেপারী বলেন, মানুষের কাছ থেকে ধারদেনা করে, চড়া সুদে টাকা এনে এবং জমি বিক্রি করে দালালের হাতে ৬০ লাখ টাকা তুলে দেওয়া হয়। তবুও প্রাণ দিতে হলো সাইদুলকে।
শিপন খান মোবাইল ফোনে বলেন, ঘটনাটি মীমাংসা হয়েছে। নতুন করে সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ দেওয়ার কথা নয়। লিবিয়া দিয়ে ইতালি যাওয়ার পথে একটি দুর্ঘটনায় সাইদুল মারা গেছেন।
মাদারীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোকছেদুর রহমান বলেন, ‘লিবিয়ায় নির্যাতনে এক যুবকের মারা যাওয়ার খবর পেয়েছি। নিহতের পরিবার থেকে লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
২০১৯ সালের গোড়ায় মডেল মসজিদের কাজ শুরু হয়। এখন ২০২৫ সালের মাঝামাঝি চলছে, প্রায় সাত বছর পার হলেও ৮০ শতাংশ কাজও শেষ হয়নি। অথচ তিন বছরের চুক্তিতে কাজ শুরু হয়েছিল।”
৯ মিনিট আগেজমানো পানি পচে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে, মশা ও মাছির জন্ম হয়ে পরিবেশ চরম আকারে দুষিত হচ্ছে। দ্রুত পৌর শহরের অর্ধলাখ মানুষকে রক্ষায় কালভার্ট ও ড্রেনেজ দখল করে স্থাপনা উচ্ছেদের দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা। অভিযোগ রয়েছে পৌর কর্তৃপক্ষ পানি নিস্কাশনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিলেও কার্যকর ব্যবস্থা নিচ্ছেন
১৩ মিনিট আগেসরেজমিনে কুর্নী ও বহনতলী এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, সড়কের বিভিন্ন স্থানে বড় বড় গর্তে বৃষ্টির পানি জমে আছে। এতে গর্তের গভীরতা ও অবস্থান বোঝা কঠিন হয়ে পড়েছে চালকদের জন্য। প্রতিনিয়ত যানবাহন এসব গর্তে পড়ে দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে।
২৪ মিনিট আগেউপজেলার বড়বিল-তুলাবিল-কালাপানি সড়কের পান্নাবিল এলাকায় একটি ব্রিজ সম্পূর্ণভাবে দেবে গেছে। এ ছাড়া একসত্যাপাড়া-বড়বিল, যোগ্যাছোলা-আছারতলী ও গচ্ছাবিল-চইক্যাবিল সড়কে চলমান কার্পেটিং প্রকল্পের ৪০-৫০ শতাংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কংক্রিট-বালু দিয়ে প্রস্তুত সড়ক অংশ খরস্রোতে ভেসে গেছে।
২৮ মিনিট আগে