নিজস্ব প্রতিবেদক, সাভার
অভাবের তাড়নায় পড়ালেখা করতে পারেনি মঞ্জয় মল্লিক (১৬)। শিশু বয়সেই বাবাকে সহায়তা করতে বেছে নেয় কর্মজীবন। কাঠমিস্ত্রি বাবা আর তার আয়ে ভালোই চলছিল সংসার। কোটা সংস্কার আন্দোলনের মধ্যে পড়ে মঞ্জয়ের একটি হাতে পুলিশের গুলি লাগে। সেই হাত কেটে ফেলতে হয়েছে।
মঞ্জয় কাজ করে ঢাকার সাভার প্রেসক্লাবে। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত তাকে দায়িত্ব পালন করতে হতো। কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সৃষ্ট সহিংসতার মধ্যে নিরাপত্তার কারণে সাংবাদিকদের অনেকে ক্লাবে না গেলেও মঞ্জয় নিয়মিত ক্লাব খুলে বসে থাকত।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঞ্জয় আজকের পত্রিকাকে বলে, ‘গত রোববার আন্দোলনকারীরা প্রেসক্লাবে হামলা করে ভাঙচুর করে। পরদিন সোমবার বিকেলে ক্লাবে গিয়ে আমি ধ্বংসস্তূপ সরাচ্ছিলাম। কাজের মধ্যে থাকা অবস্থায় আন্দোলনকারীরা ওই দিন আবার ক্লাবে হামলা করে। তারা ক্লাবে ঢুকে আগুন ধরিয়ে দেয়। আমি ভয়ে ক্লাব থেকে বের হয়ে থানার দিকে দৌড়াতে থাকি। এ সময় ক্লাবের মাত্র ১ হাজার ফুট দূরে থাকা সাভার থানার পুলিশ গুলি করতে করতে ক্লাবের দিকে যাচ্ছিল। আমি আন্দোলনকারী ও পুলিশের মাঝে পড়ে পাশেই ছোট্ট একটি গলির ভেতরে ঢুকে পড়ি। সেখানে ঢুকেই পুলিশ আমাকে গুলি করে।’
মঞ্জয় বলে, ‘গলির ভেতরে ঢোকার পর পুলিশের এক কনস্টেবল বন্দুক তাক করে আমার দিকে আসেন। আমি পরিচয় দেওয়ার পর ওই পুলিশ গুলি না করে আমাকে গলি থেকে বের হয়ে যাওয়ার সুযোগ দেন। কিন্তু গলি থেকে বের হয়ে সামনের দিকে আগাতেই পেছন থেকে তিনি আমাকে লক্ষ্য করে গুলি করেন। গুলি এসে লাগে আমার ডান হাতের কনুইয়ের নিচে। গুলি লাগার এক-দেড় ঘণ্টা পর লোকজন আমাকে উদ্ধার করে এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এনে ভর্তি করেন। ওই দিনই চিকিৎসকেরা আমার হাত কেটে ফেলেন।’
এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অর্থোপেডিকস বিভাগের চিকিৎসক রাজ বলেন, ‘গুলিতে মঞ্জয়ের ডান হাতের কনুইয়ের নিচ থেকে হাড় গুঁড়ো গুঁড়ো হয়ে গিয়েছিল। ছিন্নভিন্ন হয়ে গিয়েছিল হাতের ওই অংশের সব নার্ভ। এ জন্য শত চেষ্টা করেও তার হাত রক্ষা করা যায়নি। তাই হাত কেটে ফেলতে হয়েছে।’
মঞ্জয়ের বাবা রঞ্জিত মল্লিক বলেন, ‘এখন কাঠের কাজে আগের মতো পয়সা নাই। ঘরভাড়া দেওয়ার পর যে টাকা থাকত, তাতে সংসার চলত না। তাই পুলারে প্রেসক্লাবে কাজে দিছিলাম। দুজনের টাকায় মোটামুটি ভালোই চলত। এহন তো খুব বিপদে পইড়া গেলাম। হাত ছাড়া তো ও আর কাজ করবার পারব না।’
মঞ্জয়ের মা জোসনা মল্লিক বলেন, ‘ট্যাকার লিগা পুলাডোরে পড়াইবার পারি নাই। তাই কাজে দিছিলাম। গুলি লাইগা হেই পুলা আমার পঙ্গু অইয়া গেল। ছাত্র আর পুলিশের গন্ডগোলে আমার সংসারডাই তছনছ অইয়া গেল।’
অভাবের তাড়নায় পড়ালেখা করতে পারেনি মঞ্জয় মল্লিক (১৬)। শিশু বয়সেই বাবাকে সহায়তা করতে বেছে নেয় কর্মজীবন। কাঠমিস্ত্রি বাবা আর তার আয়ে ভালোই চলছিল সংসার। কোটা সংস্কার আন্দোলনের মধ্যে পড়ে মঞ্জয়ের একটি হাতে পুলিশের গুলি লাগে। সেই হাত কেটে ফেলতে হয়েছে।
মঞ্জয় কাজ করে ঢাকার সাভার প্রেসক্লাবে। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত তাকে দায়িত্ব পালন করতে হতো। কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সৃষ্ট সহিংসতার মধ্যে নিরাপত্তার কারণে সাংবাদিকদের অনেকে ক্লাবে না গেলেও মঞ্জয় নিয়মিত ক্লাব খুলে বসে থাকত।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঞ্জয় আজকের পত্রিকাকে বলে, ‘গত রোববার আন্দোলনকারীরা প্রেসক্লাবে হামলা করে ভাঙচুর করে। পরদিন সোমবার বিকেলে ক্লাবে গিয়ে আমি ধ্বংসস্তূপ সরাচ্ছিলাম। কাজের মধ্যে থাকা অবস্থায় আন্দোলনকারীরা ওই দিন আবার ক্লাবে হামলা করে। তারা ক্লাবে ঢুকে আগুন ধরিয়ে দেয়। আমি ভয়ে ক্লাব থেকে বের হয়ে থানার দিকে দৌড়াতে থাকি। এ সময় ক্লাবের মাত্র ১ হাজার ফুট দূরে থাকা সাভার থানার পুলিশ গুলি করতে করতে ক্লাবের দিকে যাচ্ছিল। আমি আন্দোলনকারী ও পুলিশের মাঝে পড়ে পাশেই ছোট্ট একটি গলির ভেতরে ঢুকে পড়ি। সেখানে ঢুকেই পুলিশ আমাকে গুলি করে।’
মঞ্জয় বলে, ‘গলির ভেতরে ঢোকার পর পুলিশের এক কনস্টেবল বন্দুক তাক করে আমার দিকে আসেন। আমি পরিচয় দেওয়ার পর ওই পুলিশ গুলি না করে আমাকে গলি থেকে বের হয়ে যাওয়ার সুযোগ দেন। কিন্তু গলি থেকে বের হয়ে সামনের দিকে আগাতেই পেছন থেকে তিনি আমাকে লক্ষ্য করে গুলি করেন। গুলি এসে লাগে আমার ডান হাতের কনুইয়ের নিচে। গুলি লাগার এক-দেড় ঘণ্টা পর লোকজন আমাকে উদ্ধার করে এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এনে ভর্তি করেন। ওই দিনই চিকিৎসকেরা আমার হাত কেটে ফেলেন।’
এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অর্থোপেডিকস বিভাগের চিকিৎসক রাজ বলেন, ‘গুলিতে মঞ্জয়ের ডান হাতের কনুইয়ের নিচ থেকে হাড় গুঁড়ো গুঁড়ো হয়ে গিয়েছিল। ছিন্নভিন্ন হয়ে গিয়েছিল হাতের ওই অংশের সব নার্ভ। এ জন্য শত চেষ্টা করেও তার হাত রক্ষা করা যায়নি। তাই হাত কেটে ফেলতে হয়েছে।’
মঞ্জয়ের বাবা রঞ্জিত মল্লিক বলেন, ‘এখন কাঠের কাজে আগের মতো পয়সা নাই। ঘরভাড়া দেওয়ার পর যে টাকা থাকত, তাতে সংসার চলত না। তাই পুলারে প্রেসক্লাবে কাজে দিছিলাম। দুজনের টাকায় মোটামুটি ভালোই চলত। এহন তো খুব বিপদে পইড়া গেলাম। হাত ছাড়া তো ও আর কাজ করবার পারব না।’
মঞ্জয়ের মা জোসনা মল্লিক বলেন, ‘ট্যাকার লিগা পুলাডোরে পড়াইবার পারি নাই। তাই কাজে দিছিলাম। গুলি লাইগা হেই পুলা আমার পঙ্গু অইয়া গেল। ছাত্র আর পুলিশের গন্ডগোলে আমার সংসারডাই তছনছ অইয়া গেল।’
সহপাঠীদের থেকে জানা যায়, বিকেলে এক যুবক ওই শিক্ষার্থীকে মেস থেকে উদ্ধার করে প্রথমে ন্যাশনাল মেডিকেল ইনস্টিটিউট এবং পরে মিটফোর্ড হাসপাতালে নিয়ে যান। সন্দেহজনক হওয়ায় তাঁকে সূত্রাপুর থানায় পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। তাঁর নাম ইয়াসিন মজুমদার।
২ মিনিট আগেনাটোর-বগুড়া মহাসড়কে সিংড়ার শেরকোল এলাকায় ধানের ট্রাক থেকে চাঁদাবাজির সময় বিএনপি নেতাসহ তিনজনকে আটক করেছেন সেনাবাহিনী সদস্যরা। আটককৃতরা হলেন শেরকোল ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদীন, ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক পলাশ আহমেদ ও জয়নাল আবেদীনের অনুসারী মিলন হোসেন। আটকের পর তাদেরকে...
৪৪ মিনিট আগেনোয়াখালী জেলা শহর মাইজদীর হাউজিং এলাকা থেকে মিরাজ হোসেন শান্ত নামে এক যুবলীগ নেতাকে অবরুদ্ধ করে পুলিশে সোপর্দ করেছেন স্থানীয়রা। মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে হাউজিং সরকারি আবাসিক এলাকার সামনে থেকে তাকে আটক করা হয়।
১ ঘণ্টা আগেনীলফামারীর ডিমলা উপজেলার বাবুরহাট বাজারে নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার এক মাস যেতে না যেতেই উঠে যাচ্ছে সড়কের আরসিসি ঢালাই। এ ছাড়া সড়কটির সম্প্রসারণ জয়েন্টগুলোতে আঁকাবাঁকা ফাটল দেখা দিয়েছে। বিষয়টি বুঝতে পেরে সংশ্লিষ্টরা তাড়াহুড়া করে বিটুমিন দিয়ে ফাটল বন্ধের চেষ্টা চালিয়েছেন বলে জানা গেছে।
৮ ঘণ্টা আগে