নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

শুধু জাল নোট তৈরি কিংবা বিক্রি নয়, জাল নোট তৈরির প্রযুক্তিও বিক্রি করে আসছিলেন লিয়াকত হোসেন জাকির ওরফে মাজার জাকির। জাল নোট তৈরির কারিগরদের কাছে তিনি ‘গুরু জাকির’ নামে পরিচিত। ২৫ বছর ধরে এই কাজের সঙ্গে যুক্ত আছেন তিনি। জাকিরসহ চক্রের চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগ।
আজ শনিবার সকাল ৯টা থেকে দুপুর পর্যন্ত রাজধানীর যাত্রাবাড়ী দনিয়া ও কদমতলী এলাকায় অভিযান চালিয়ে ডিএমপির লালবাগ গোয়েন্দা বিভাগ তাঁদের গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন লিয়াকত হোসেন জাকির ওরফে মাজার জাকির, তাঁর চার নারী সহযোগী লিমা আক্তার রিনা, সাজেদা আক্তার, রোমানা ইসলাম ও মমতাজ বেগম। তাঁদের বিরুদ্ধে কদমতলী থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা হয়েছে।
ঈদকে সামনে রেখে পশুর হাটে জাল নোট ছড়িয়ে দিতে এসব চক্র ফের সক্রিয় হয়ে উঠেছে বলে জানিয়েছে ডিবি।
ডিবি লালবাগ বিভাগের উপকমিশনার মশিউর রহমান বলেন, যাত্রাবাড়ীর দনিয়া ও কদমতলী এলাকার দুটি বাসায় অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁদের তৈরি করা প্রায় সোয়া এক কোটি জাল টাকা এবং আরও প্রায় তিন কোটি জাল নোট তৈরির সরঞ্জাম জব্দ করা হয়েছে। দুটি বাসায় দীর্ঘদিন ধরে জাল নোট তৈরি করা হতো। চক্রটি কম্পিউটারে গ্রাফিকস ও ফটোশপের মাধ্যমে জাল নোটে নিরাপত্তা সুতা, ওয়াটার মার্ক ও কালার শিফটিং কোয়ালিটি সবকিছু নিখুঁতভাবে করে। সাধারণ চোখে তাঁদের তৈরি জাল নোট নকল মনে হয় না। তবে বেশিক্ষণ নাড়াচাড়া করে দেখলে বা মেশিনে ধরলে এটি ধরা পড়ে। জাল নোট তৈরির সময় সহযোগী বা অন্য কেউ কারখানায় ধরা পড়লে জাকির মাজারে মাজারে অবস্থান করে। তখন মাজারের কর্মী হয়ে ঘুরে বেড়ান। এ জন্য তাঁকে মাজার জাকির বলা হয়।
ডিবি জানায়, বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় জাল নোটের ছোট ছোট ঘরোয়া কারখানা স্থাপনকারীরা জাকিরের কাছ থেকে কারিগর, সফটকপি, পরামর্শ এমনকি মডেল জাল টাকা ও রুপি নেয়। নতুন অপরাধীদের কাছে জাকির প্রযুক্তি বিক্রি করে। এ জন্য এই অপরাধীদের কাছে জাকির ‘গুরু জাকির’ হিসেবেও পরিচিত।
২৫ বছর ধরে জাল নোটের খুচরা ও পাইকারি ব্যবসা করার পাশাপাশি বিভিন্ন মানের জাল নোট ও জাল রুপি তৈরিতে অত্যন্ত দক্ষ লিয়াকত হোসেন জাকির। ২০১২ সাল থেকে ৫০০ ও ১০০০ টাকার জালনো ট তৈরি করলেও বর্তমানে মানুষ যাতে সন্দেহ না করে, সে জন্য বড় নোট জাল করার পাশাপাশি ১০০ টাকা, ২০০ টাকার নোটও জাল করে থাকেন।
এর আগে ২০১৩, ২০১৮ ও ২০২০ সালে জাকিরকে অন্তত ছয়বার গ্রেপ্তার করা হন। তবে তিনি সংশোধন হননি। জামিনে বেরিয়ে পুরোনো অপরাধে জড়ান। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখ এড়াতে তিনি খুলনা ও বাগেরহাটের বিলাসবহুল এলাকায় বাসাভাড়া নিয়ে সিসি ক্যামেরায় নজরদারি করে বাসার ভেতরে জাল নোট তৈরি ও বিক্রি করার কাজ করে আসছিলেন।
বাগেরহাট ও খুলনা এলাকা থেকে উত্তরাঞ্চলের জাল নোটের কারবারিরা টাকা নিতে ঝুঁকি হওয়ায় যাত্রাবাড়ীর দনিয়ায় লিমা আক্তার রিনার বাসায় একটি অস্থায়ী কারখানা গড়ে তোলেন তিনি। সেখান থেকেই ঈদে জাল নোট সরবরাহ করার কথা ছিল। আগে জাল নোটের একটি এক লাখ টাকার বান্ডিল ১২ থেকে ১৫ হাজার টাকায় বিক্রি হলেও বর্তমানে কাগজ, ল্যাপটপ, কম্পিউটারের কালি ও আনুষঙ্গিক উপকরণের দাম বেড়ে যাওয়ায় প্রতিটি ১০০০ টাকার এক লাখের একটি বান্ডিল ১৮ থেকে ২০ হাজার টাকায় বিক্রি করতেন জাকির। তিনি বিভিন্ন এলাকায় জাল নোট পাইকারি বিক্রি করতেন। পুরুষ–নারী মিলে তাঁর প্রায় ১৫–২০ জন কর্মচারী রয়েছে। তাঁদের তিনি দুই থেকে আড়াই লাখ টাকা বেতন দিতেন। অনলাইনে জাল নোটের অর্ডার নিতেন জাকির। এরপর কুরিয়ারের মাধ্যমে পৌঁছে দিতেন।
জাকিরের সহযোগী লিমা আক্তার রিনা এর আগে দুবার এবং রুমানা ইসলাম ইয়াবা ও আইসসহ গ্রেপ্তার হয়ে জেলহাজতে ছিলেন।
জাল নোট তৈরি চক্রের বিষয়ে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) হারুন অর রশীদ বলেন, ঈদকে সামনে রেখে এই চক্র সক্রিয় হয়ে উঠেছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা বাজারে কী পরিমাণ টাকা ছেড়েছে, সে বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
হারুন অর রশীদ বলেন, পশুর হাটগুলোতে যন্ত্রের মাধ্যমে টাকা আসল–নকল যাচাই করে গ্রহণ করতে হবে। সতর্ক থাকতে হবে। সচেতন হতে হবে। জাকিরকে এর আগেও একাধিকবার গ্রেপ্তার করা হয়। তবে প্রতিবারই জামিন পেয়ে একই অপরাধে জড়ান। জেলখানায় গিয়ে নতুন নতুন চক্র তৈরি করেন, জামিনের পর তাঁদের নিয়ে জাল নোটের ব্যবসা তৈরি করেন।

শুধু জাল নোট তৈরি কিংবা বিক্রি নয়, জাল নোট তৈরির প্রযুক্তিও বিক্রি করে আসছিলেন লিয়াকত হোসেন জাকির ওরফে মাজার জাকির। জাল নোট তৈরির কারিগরদের কাছে তিনি ‘গুরু জাকির’ নামে পরিচিত। ২৫ বছর ধরে এই কাজের সঙ্গে যুক্ত আছেন তিনি। জাকিরসহ চক্রের চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগ।
আজ শনিবার সকাল ৯টা থেকে দুপুর পর্যন্ত রাজধানীর যাত্রাবাড়ী দনিয়া ও কদমতলী এলাকায় অভিযান চালিয়ে ডিএমপির লালবাগ গোয়েন্দা বিভাগ তাঁদের গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন লিয়াকত হোসেন জাকির ওরফে মাজার জাকির, তাঁর চার নারী সহযোগী লিমা আক্তার রিনা, সাজেদা আক্তার, রোমানা ইসলাম ও মমতাজ বেগম। তাঁদের বিরুদ্ধে কদমতলী থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা হয়েছে।
ঈদকে সামনে রেখে পশুর হাটে জাল নোট ছড়িয়ে দিতে এসব চক্র ফের সক্রিয় হয়ে উঠেছে বলে জানিয়েছে ডিবি।
ডিবি লালবাগ বিভাগের উপকমিশনার মশিউর রহমান বলেন, যাত্রাবাড়ীর দনিয়া ও কদমতলী এলাকার দুটি বাসায় অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁদের তৈরি করা প্রায় সোয়া এক কোটি জাল টাকা এবং আরও প্রায় তিন কোটি জাল নোট তৈরির সরঞ্জাম জব্দ করা হয়েছে। দুটি বাসায় দীর্ঘদিন ধরে জাল নোট তৈরি করা হতো। চক্রটি কম্পিউটারে গ্রাফিকস ও ফটোশপের মাধ্যমে জাল নোটে নিরাপত্তা সুতা, ওয়াটার মার্ক ও কালার শিফটিং কোয়ালিটি সবকিছু নিখুঁতভাবে করে। সাধারণ চোখে তাঁদের তৈরি জাল নোট নকল মনে হয় না। তবে বেশিক্ষণ নাড়াচাড়া করে দেখলে বা মেশিনে ধরলে এটি ধরা পড়ে। জাল নোট তৈরির সময় সহযোগী বা অন্য কেউ কারখানায় ধরা পড়লে জাকির মাজারে মাজারে অবস্থান করে। তখন মাজারের কর্মী হয়ে ঘুরে বেড়ান। এ জন্য তাঁকে মাজার জাকির বলা হয়।
ডিবি জানায়, বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় জাল নোটের ছোট ছোট ঘরোয়া কারখানা স্থাপনকারীরা জাকিরের কাছ থেকে কারিগর, সফটকপি, পরামর্শ এমনকি মডেল জাল টাকা ও রুপি নেয়। নতুন অপরাধীদের কাছে জাকির প্রযুক্তি বিক্রি করে। এ জন্য এই অপরাধীদের কাছে জাকির ‘গুরু জাকির’ হিসেবেও পরিচিত।
২৫ বছর ধরে জাল নোটের খুচরা ও পাইকারি ব্যবসা করার পাশাপাশি বিভিন্ন মানের জাল নোট ও জাল রুপি তৈরিতে অত্যন্ত দক্ষ লিয়াকত হোসেন জাকির। ২০১২ সাল থেকে ৫০০ ও ১০০০ টাকার জালনো ট তৈরি করলেও বর্তমানে মানুষ যাতে সন্দেহ না করে, সে জন্য বড় নোট জাল করার পাশাপাশি ১০০ টাকা, ২০০ টাকার নোটও জাল করে থাকেন।
এর আগে ২০১৩, ২০১৮ ও ২০২০ সালে জাকিরকে অন্তত ছয়বার গ্রেপ্তার করা হন। তবে তিনি সংশোধন হননি। জামিনে বেরিয়ে পুরোনো অপরাধে জড়ান। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখ এড়াতে তিনি খুলনা ও বাগেরহাটের বিলাসবহুল এলাকায় বাসাভাড়া নিয়ে সিসি ক্যামেরায় নজরদারি করে বাসার ভেতরে জাল নোট তৈরি ও বিক্রি করার কাজ করে আসছিলেন।
বাগেরহাট ও খুলনা এলাকা থেকে উত্তরাঞ্চলের জাল নোটের কারবারিরা টাকা নিতে ঝুঁকি হওয়ায় যাত্রাবাড়ীর দনিয়ায় লিমা আক্তার রিনার বাসায় একটি অস্থায়ী কারখানা গড়ে তোলেন তিনি। সেখান থেকেই ঈদে জাল নোট সরবরাহ করার কথা ছিল। আগে জাল নোটের একটি এক লাখ টাকার বান্ডিল ১২ থেকে ১৫ হাজার টাকায় বিক্রি হলেও বর্তমানে কাগজ, ল্যাপটপ, কম্পিউটারের কালি ও আনুষঙ্গিক উপকরণের দাম বেড়ে যাওয়ায় প্রতিটি ১০০০ টাকার এক লাখের একটি বান্ডিল ১৮ থেকে ২০ হাজার টাকায় বিক্রি করতেন জাকির। তিনি বিভিন্ন এলাকায় জাল নোট পাইকারি বিক্রি করতেন। পুরুষ–নারী মিলে তাঁর প্রায় ১৫–২০ জন কর্মচারী রয়েছে। তাঁদের তিনি দুই থেকে আড়াই লাখ টাকা বেতন দিতেন। অনলাইনে জাল নোটের অর্ডার নিতেন জাকির। এরপর কুরিয়ারের মাধ্যমে পৌঁছে দিতেন।
জাকিরের সহযোগী লিমা আক্তার রিনা এর আগে দুবার এবং রুমানা ইসলাম ইয়াবা ও আইসসহ গ্রেপ্তার হয়ে জেলহাজতে ছিলেন।
জাল নোট তৈরি চক্রের বিষয়ে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) হারুন অর রশীদ বলেন, ঈদকে সামনে রেখে এই চক্র সক্রিয় হয়ে উঠেছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা বাজারে কী পরিমাণ টাকা ছেড়েছে, সে বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
হারুন অর রশীদ বলেন, পশুর হাটগুলোতে যন্ত্রের মাধ্যমে টাকা আসল–নকল যাচাই করে গ্রহণ করতে হবে। সতর্ক থাকতে হবে। সচেতন হতে হবে। জাকিরকে এর আগেও একাধিকবার গ্রেপ্তার করা হয়। তবে প্রতিবারই জামিন পেয়ে একই অপরাধে জড়ান। জেলখানায় গিয়ে নতুন নতুন চক্র তৈরি করেন, জামিনের পর তাঁদের নিয়ে জাল নোটের ব্যবসা তৈরি করেন।
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

শুধু জাল নোট তৈরি কিংবা বিক্রি নয়, জাল নোট তৈরির প্রযুক্তিও বিক্রি করে আসছিলেন লিয়াকত হোসেন জাকির ওরফে মাজার জাকির। জাল নোট তৈরির কারিগরদের কাছে তিনি ‘গুরু জাকির’ নামে পরিচিত। ২৫ বছর ধরে এই কাজের সঙ্গে যুক্ত আছেন তিনি। জাকিরসহ চক্রের চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগ।
আজ শনিবার সকাল ৯টা থেকে দুপুর পর্যন্ত রাজধানীর যাত্রাবাড়ী দনিয়া ও কদমতলী এলাকায় অভিযান চালিয়ে ডিএমপির লালবাগ গোয়েন্দা বিভাগ তাঁদের গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন লিয়াকত হোসেন জাকির ওরফে মাজার জাকির, তাঁর চার নারী সহযোগী লিমা আক্তার রিনা, সাজেদা আক্তার, রোমানা ইসলাম ও মমতাজ বেগম। তাঁদের বিরুদ্ধে কদমতলী থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা হয়েছে।
ঈদকে সামনে রেখে পশুর হাটে জাল নোট ছড়িয়ে দিতে এসব চক্র ফের সক্রিয় হয়ে উঠেছে বলে জানিয়েছে ডিবি।
ডিবি লালবাগ বিভাগের উপকমিশনার মশিউর রহমান বলেন, যাত্রাবাড়ীর দনিয়া ও কদমতলী এলাকার দুটি বাসায় অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁদের তৈরি করা প্রায় সোয়া এক কোটি জাল টাকা এবং আরও প্রায় তিন কোটি জাল নোট তৈরির সরঞ্জাম জব্দ করা হয়েছে। দুটি বাসায় দীর্ঘদিন ধরে জাল নোট তৈরি করা হতো। চক্রটি কম্পিউটারে গ্রাফিকস ও ফটোশপের মাধ্যমে জাল নোটে নিরাপত্তা সুতা, ওয়াটার মার্ক ও কালার শিফটিং কোয়ালিটি সবকিছু নিখুঁতভাবে করে। সাধারণ চোখে তাঁদের তৈরি জাল নোট নকল মনে হয় না। তবে বেশিক্ষণ নাড়াচাড়া করে দেখলে বা মেশিনে ধরলে এটি ধরা পড়ে। জাল নোট তৈরির সময় সহযোগী বা অন্য কেউ কারখানায় ধরা পড়লে জাকির মাজারে মাজারে অবস্থান করে। তখন মাজারের কর্মী হয়ে ঘুরে বেড়ান। এ জন্য তাঁকে মাজার জাকির বলা হয়।
ডিবি জানায়, বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় জাল নোটের ছোট ছোট ঘরোয়া কারখানা স্থাপনকারীরা জাকিরের কাছ থেকে কারিগর, সফটকপি, পরামর্শ এমনকি মডেল জাল টাকা ও রুপি নেয়। নতুন অপরাধীদের কাছে জাকির প্রযুক্তি বিক্রি করে। এ জন্য এই অপরাধীদের কাছে জাকির ‘গুরু জাকির’ হিসেবেও পরিচিত।
২৫ বছর ধরে জাল নোটের খুচরা ও পাইকারি ব্যবসা করার পাশাপাশি বিভিন্ন মানের জাল নোট ও জাল রুপি তৈরিতে অত্যন্ত দক্ষ লিয়াকত হোসেন জাকির। ২০১২ সাল থেকে ৫০০ ও ১০০০ টাকার জালনো ট তৈরি করলেও বর্তমানে মানুষ যাতে সন্দেহ না করে, সে জন্য বড় নোট জাল করার পাশাপাশি ১০০ টাকা, ২০০ টাকার নোটও জাল করে থাকেন।
এর আগে ২০১৩, ২০১৮ ও ২০২০ সালে জাকিরকে অন্তত ছয়বার গ্রেপ্তার করা হন। তবে তিনি সংশোধন হননি। জামিনে বেরিয়ে পুরোনো অপরাধে জড়ান। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখ এড়াতে তিনি খুলনা ও বাগেরহাটের বিলাসবহুল এলাকায় বাসাভাড়া নিয়ে সিসি ক্যামেরায় নজরদারি করে বাসার ভেতরে জাল নোট তৈরি ও বিক্রি করার কাজ করে আসছিলেন।
বাগেরহাট ও খুলনা এলাকা থেকে উত্তরাঞ্চলের জাল নোটের কারবারিরা টাকা নিতে ঝুঁকি হওয়ায় যাত্রাবাড়ীর দনিয়ায় লিমা আক্তার রিনার বাসায় একটি অস্থায়ী কারখানা গড়ে তোলেন তিনি। সেখান থেকেই ঈদে জাল নোট সরবরাহ করার কথা ছিল। আগে জাল নোটের একটি এক লাখ টাকার বান্ডিল ১২ থেকে ১৫ হাজার টাকায় বিক্রি হলেও বর্তমানে কাগজ, ল্যাপটপ, কম্পিউটারের কালি ও আনুষঙ্গিক উপকরণের দাম বেড়ে যাওয়ায় প্রতিটি ১০০০ টাকার এক লাখের একটি বান্ডিল ১৮ থেকে ২০ হাজার টাকায় বিক্রি করতেন জাকির। তিনি বিভিন্ন এলাকায় জাল নোট পাইকারি বিক্রি করতেন। পুরুষ–নারী মিলে তাঁর প্রায় ১৫–২০ জন কর্মচারী রয়েছে। তাঁদের তিনি দুই থেকে আড়াই লাখ টাকা বেতন দিতেন। অনলাইনে জাল নোটের অর্ডার নিতেন জাকির। এরপর কুরিয়ারের মাধ্যমে পৌঁছে দিতেন।
জাকিরের সহযোগী লিমা আক্তার রিনা এর আগে দুবার এবং রুমানা ইসলাম ইয়াবা ও আইসসহ গ্রেপ্তার হয়ে জেলহাজতে ছিলেন।
জাল নোট তৈরি চক্রের বিষয়ে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) হারুন অর রশীদ বলেন, ঈদকে সামনে রেখে এই চক্র সক্রিয় হয়ে উঠেছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা বাজারে কী পরিমাণ টাকা ছেড়েছে, সে বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
হারুন অর রশীদ বলেন, পশুর হাটগুলোতে যন্ত্রের মাধ্যমে টাকা আসল–নকল যাচাই করে গ্রহণ করতে হবে। সতর্ক থাকতে হবে। সচেতন হতে হবে। জাকিরকে এর আগেও একাধিকবার গ্রেপ্তার করা হয়। তবে প্রতিবারই জামিন পেয়ে একই অপরাধে জড়ান। জেলখানায় গিয়ে নতুন নতুন চক্র তৈরি করেন, জামিনের পর তাঁদের নিয়ে জাল নোটের ব্যবসা তৈরি করেন।

শুধু জাল নোট তৈরি কিংবা বিক্রি নয়, জাল নোট তৈরির প্রযুক্তিও বিক্রি করে আসছিলেন লিয়াকত হোসেন জাকির ওরফে মাজার জাকির। জাল নোট তৈরির কারিগরদের কাছে তিনি ‘গুরু জাকির’ নামে পরিচিত। ২৫ বছর ধরে এই কাজের সঙ্গে যুক্ত আছেন তিনি। জাকিরসহ চক্রের চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগ।
আজ শনিবার সকাল ৯টা থেকে দুপুর পর্যন্ত রাজধানীর যাত্রাবাড়ী দনিয়া ও কদমতলী এলাকায় অভিযান চালিয়ে ডিএমপির লালবাগ গোয়েন্দা বিভাগ তাঁদের গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন লিয়াকত হোসেন জাকির ওরফে মাজার জাকির, তাঁর চার নারী সহযোগী লিমা আক্তার রিনা, সাজেদা আক্তার, রোমানা ইসলাম ও মমতাজ বেগম। তাঁদের বিরুদ্ধে কদমতলী থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা হয়েছে।
ঈদকে সামনে রেখে পশুর হাটে জাল নোট ছড়িয়ে দিতে এসব চক্র ফের সক্রিয় হয়ে উঠেছে বলে জানিয়েছে ডিবি।
ডিবি লালবাগ বিভাগের উপকমিশনার মশিউর রহমান বলেন, যাত্রাবাড়ীর দনিয়া ও কদমতলী এলাকার দুটি বাসায় অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁদের তৈরি করা প্রায় সোয়া এক কোটি জাল টাকা এবং আরও প্রায় তিন কোটি জাল নোট তৈরির সরঞ্জাম জব্দ করা হয়েছে। দুটি বাসায় দীর্ঘদিন ধরে জাল নোট তৈরি করা হতো। চক্রটি কম্পিউটারে গ্রাফিকস ও ফটোশপের মাধ্যমে জাল নোটে নিরাপত্তা সুতা, ওয়াটার মার্ক ও কালার শিফটিং কোয়ালিটি সবকিছু নিখুঁতভাবে করে। সাধারণ চোখে তাঁদের তৈরি জাল নোট নকল মনে হয় না। তবে বেশিক্ষণ নাড়াচাড়া করে দেখলে বা মেশিনে ধরলে এটি ধরা পড়ে। জাল নোট তৈরির সময় সহযোগী বা অন্য কেউ কারখানায় ধরা পড়লে জাকির মাজারে মাজারে অবস্থান করে। তখন মাজারের কর্মী হয়ে ঘুরে বেড়ান। এ জন্য তাঁকে মাজার জাকির বলা হয়।
ডিবি জানায়, বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় জাল নোটের ছোট ছোট ঘরোয়া কারখানা স্থাপনকারীরা জাকিরের কাছ থেকে কারিগর, সফটকপি, পরামর্শ এমনকি মডেল জাল টাকা ও রুপি নেয়। নতুন অপরাধীদের কাছে জাকির প্রযুক্তি বিক্রি করে। এ জন্য এই অপরাধীদের কাছে জাকির ‘গুরু জাকির’ হিসেবেও পরিচিত।
২৫ বছর ধরে জাল নোটের খুচরা ও পাইকারি ব্যবসা করার পাশাপাশি বিভিন্ন মানের জাল নোট ও জাল রুপি তৈরিতে অত্যন্ত দক্ষ লিয়াকত হোসেন জাকির। ২০১২ সাল থেকে ৫০০ ও ১০০০ টাকার জালনো ট তৈরি করলেও বর্তমানে মানুষ যাতে সন্দেহ না করে, সে জন্য বড় নোট জাল করার পাশাপাশি ১০০ টাকা, ২০০ টাকার নোটও জাল করে থাকেন।
এর আগে ২০১৩, ২০১৮ ও ২০২০ সালে জাকিরকে অন্তত ছয়বার গ্রেপ্তার করা হন। তবে তিনি সংশোধন হননি। জামিনে বেরিয়ে পুরোনো অপরাধে জড়ান। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখ এড়াতে তিনি খুলনা ও বাগেরহাটের বিলাসবহুল এলাকায় বাসাভাড়া নিয়ে সিসি ক্যামেরায় নজরদারি করে বাসার ভেতরে জাল নোট তৈরি ও বিক্রি করার কাজ করে আসছিলেন।
বাগেরহাট ও খুলনা এলাকা থেকে উত্তরাঞ্চলের জাল নোটের কারবারিরা টাকা নিতে ঝুঁকি হওয়ায় যাত্রাবাড়ীর দনিয়ায় লিমা আক্তার রিনার বাসায় একটি অস্থায়ী কারখানা গড়ে তোলেন তিনি। সেখান থেকেই ঈদে জাল নোট সরবরাহ করার কথা ছিল। আগে জাল নোটের একটি এক লাখ টাকার বান্ডিল ১২ থেকে ১৫ হাজার টাকায় বিক্রি হলেও বর্তমানে কাগজ, ল্যাপটপ, কম্পিউটারের কালি ও আনুষঙ্গিক উপকরণের দাম বেড়ে যাওয়ায় প্রতিটি ১০০০ টাকার এক লাখের একটি বান্ডিল ১৮ থেকে ২০ হাজার টাকায় বিক্রি করতেন জাকির। তিনি বিভিন্ন এলাকায় জাল নোট পাইকারি বিক্রি করতেন। পুরুষ–নারী মিলে তাঁর প্রায় ১৫–২০ জন কর্মচারী রয়েছে। তাঁদের তিনি দুই থেকে আড়াই লাখ টাকা বেতন দিতেন। অনলাইনে জাল নোটের অর্ডার নিতেন জাকির। এরপর কুরিয়ারের মাধ্যমে পৌঁছে দিতেন।
জাকিরের সহযোগী লিমা আক্তার রিনা এর আগে দুবার এবং রুমানা ইসলাম ইয়াবা ও আইসসহ গ্রেপ্তার হয়ে জেলহাজতে ছিলেন।
জাল নোট তৈরি চক্রের বিষয়ে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) হারুন অর রশীদ বলেন, ঈদকে সামনে রেখে এই চক্র সক্রিয় হয়ে উঠেছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা বাজারে কী পরিমাণ টাকা ছেড়েছে, সে বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
হারুন অর রশীদ বলেন, পশুর হাটগুলোতে যন্ত্রের মাধ্যমে টাকা আসল–নকল যাচাই করে গ্রহণ করতে হবে। সতর্ক থাকতে হবে। সচেতন হতে হবে। জাকিরকে এর আগেও একাধিকবার গ্রেপ্তার করা হয়। তবে প্রতিবারই জামিন পেয়ে একই অপরাধে জড়ান। জেলখানায় গিয়ে নতুন নতুন চক্র তৈরি করেন, জামিনের পর তাঁদের নিয়ে জাল নোটের ব্যবসা তৈরি করেন।

রাজধানীর ডেমরায় ভুয়া ডিবি (গোয়েন্দা) পুলিশ পরিচয়ে এক ব্যক্তিকে অপহরণের চেষ্টা ও চাঁদা দাবির ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে ডেমরা থানা-পুলিশ। আজ শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বাঁশেরপুল ফেয়ার হ্যাভেন ব্লু টাওয়ারের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
২ ঘণ্টা আগে
ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদ এলাকায় একটি মাদ্রাসার একতলা ভবনে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে শিশুসহ চারজন আহত হয়েছে। আজ শুক্রবার হাসনাবাদ উম্মুল কুরা ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসায় এ ঘটনা ঘটে।
২ ঘণ্টা আগে
মো. হানিফ মাঝি (৪২), পেশায় জেলে। বাড়ি উপকূলীয় দ্বীপ জেলা ভোলার চরফ্যাশন উপজেলায়। হতদরিদ্র এই জেলে সারা জীবন নদীতে জাল টেনে জীবিকা নির্বাহ করেন। অসুস্থ স্ত্রী রহিমা বেগমের চিকিৎসার জন্য রওনা হয়ে চাঁদপুরের মেঘনায় লঞ্চ দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান তিনি।
৩ ঘণ্টা আগে
কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলায় পিকআপ ভ্যানের চাপায় মোটরসাইকেল আরোহী দুই কিশোর নিহত হয়েছে। আজ শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার বাহিরচর ইউনিয়নের ষোল দাগ ক্যানেলপাড়া হাসপাতাল রোডে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
৩ ঘণ্টা আগেশ্যামপুর-কদমতলী (ঢাকা) প্রতিনিধি

রাজধানীর ডেমরায় ভুয়া ডিবি (গোয়েন্দা) পুলিশ পরিচয়ে এক ব্যক্তিকে অপহরণের চেষ্টা ও চাঁদা দাবির ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে ডেমরা থানা-পুলিশ। আজ শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বাঁশেরপুল ফেয়ার হ্যাভেন ব্লু টাওয়ারের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী মো. সোহাগ থানায় একটি মামলা করেন। পুলিশ গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের কাছ থেকে একটি সাদা রঙের প্রাইভেট কার, দুটি ওয়াকিটকি ও ওয়াকিটকির চার্জার জব্দ করে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা নিজেদের নাম-ঠিকানা প্রকাশ করলেও পলাতক আসামিদের বিষয়ে কোনো তথ্য দেননি।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন মো. মাহমুদুল হাসান খান (২৫); তিনি ঝালকাঠি জেলার রাজাপুর থানার নারিকেলবাড়িয়া গ্রামের আমজাদ আলী খানের ছেলে, বর্তমানে নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লা থানার শহীদবাগ মাতুয়াইল মেডিকেল এলাকায় বসবাসকারী। শরীয়তপুর জেলার নড়িয়া থানার করাই বটতলা বিজারী গ্রামের মো. বজলু রশিদের ছেলে মো. হোসেন রানা (২৯); বর্তমানে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানার ধলপুরের মাদ্রাসা গলি এলাকায় বসবাস করেন। এ ছাড়া ঢাকার কেরানীগঞ্জ থানার দক্ষিণ বাগাপুর গ্রামের মৃত ইউসুফ আলীর ছেলে মো. মমিন (২৪)।
ভুক্তভোগী মো. সোহাগ জানান, জুমার নামাজ পড়ার জন্য বাসা থেকে বের হয়ে বাঁশেরপুল ফেয়ার হ্যাভেন ব্লু টাওয়ারের সামনে পৌঁছালে কয়েকজন ব্যক্তি তাঁর পথ রোধ করে। তারা নিজেদের ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে যাত্রাবাড়ী থানায় মামলা রয়েছে বলে দাবি করে এবং থানায় নিয়ে যাওয়ার কথা বলে। এ সময় আসামি মাহমুদুল হাসান খান তাঁকে বাঁচতে হলে ১০ লাখ টাকা দিতে হবে বলে হুমকি দেন।
ভুক্তভোগী পরিবারকে জানাতে চাইলে অভিযুক্তরা জোরপূর্বক তাঁকে একটি প্রাইভেট কারে তোলার চেষ্টা করে এবং তাঁর হাতে থাকা আনুমানিক ৩০ হাজার টাকা মূল্যের একটি হাতঘড়ি ছিনিয়ে নেয়। তিনি চিৎকার করলে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এসে অভিযুক্তদের পরিচয় জানতে চাইলে তাঁদের সঙ্গে থাকা অজ্ঞাতনামা আরও ২-৩ জন কৌশলে পালিয়ে যায়।
তবে স্থানীয়দের সহায়তায় তিনজনকে আটক করা হয়। অভিযুক্তরা কোনো বৈধ পরিচয়পত্র দেখাতে না পারায় পরিস্থিতি উত্তেজনাকর হয়ে উঠলে খবর পেয়ে ডেমরা থানা-পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং আটক ব্যক্তিদের হেফাজতে নেয়।
এ বিষয়ে ডেমরা থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মুরাদ হোসেন বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আসামিদের গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের শনিবার আদালতে পাঠানো হবে এবং পলাতক অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশের চেষ্ঠা অব্যাহত রয়েছে।

রাজধানীর ডেমরায় ভুয়া ডিবি (গোয়েন্দা) পুলিশ পরিচয়ে এক ব্যক্তিকে অপহরণের চেষ্টা ও চাঁদা দাবির ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে ডেমরা থানা-পুলিশ। আজ শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বাঁশেরপুল ফেয়ার হ্যাভেন ব্লু টাওয়ারের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী মো. সোহাগ থানায় একটি মামলা করেন। পুলিশ গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের কাছ থেকে একটি সাদা রঙের প্রাইভেট কার, দুটি ওয়াকিটকি ও ওয়াকিটকির চার্জার জব্দ করে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা নিজেদের নাম-ঠিকানা প্রকাশ করলেও পলাতক আসামিদের বিষয়ে কোনো তথ্য দেননি।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন মো. মাহমুদুল হাসান খান (২৫); তিনি ঝালকাঠি জেলার রাজাপুর থানার নারিকেলবাড়িয়া গ্রামের আমজাদ আলী খানের ছেলে, বর্তমানে নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লা থানার শহীদবাগ মাতুয়াইল মেডিকেল এলাকায় বসবাসকারী। শরীয়তপুর জেলার নড়িয়া থানার করাই বটতলা বিজারী গ্রামের মো. বজলু রশিদের ছেলে মো. হোসেন রানা (২৯); বর্তমানে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানার ধলপুরের মাদ্রাসা গলি এলাকায় বসবাস করেন। এ ছাড়া ঢাকার কেরানীগঞ্জ থানার দক্ষিণ বাগাপুর গ্রামের মৃত ইউসুফ আলীর ছেলে মো. মমিন (২৪)।
ভুক্তভোগী মো. সোহাগ জানান, জুমার নামাজ পড়ার জন্য বাসা থেকে বের হয়ে বাঁশেরপুল ফেয়ার হ্যাভেন ব্লু টাওয়ারের সামনে পৌঁছালে কয়েকজন ব্যক্তি তাঁর পথ রোধ করে। তারা নিজেদের ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে যাত্রাবাড়ী থানায় মামলা রয়েছে বলে দাবি করে এবং থানায় নিয়ে যাওয়ার কথা বলে। এ সময় আসামি মাহমুদুল হাসান খান তাঁকে বাঁচতে হলে ১০ লাখ টাকা দিতে হবে বলে হুমকি দেন।
ভুক্তভোগী পরিবারকে জানাতে চাইলে অভিযুক্তরা জোরপূর্বক তাঁকে একটি প্রাইভেট কারে তোলার চেষ্টা করে এবং তাঁর হাতে থাকা আনুমানিক ৩০ হাজার টাকা মূল্যের একটি হাতঘড়ি ছিনিয়ে নেয়। তিনি চিৎকার করলে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এসে অভিযুক্তদের পরিচয় জানতে চাইলে তাঁদের সঙ্গে থাকা অজ্ঞাতনামা আরও ২-৩ জন কৌশলে পালিয়ে যায়।
তবে স্থানীয়দের সহায়তায় তিনজনকে আটক করা হয়। অভিযুক্তরা কোনো বৈধ পরিচয়পত্র দেখাতে না পারায় পরিস্থিতি উত্তেজনাকর হয়ে উঠলে খবর পেয়ে ডেমরা থানা-পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং আটক ব্যক্তিদের হেফাজতে নেয়।
এ বিষয়ে ডেমরা থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মুরাদ হোসেন বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আসামিদের গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের শনিবার আদালতে পাঠানো হবে এবং পলাতক অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশের চেষ্ঠা অব্যাহত রয়েছে।

শুধু জাল নোট তৈরি কিংবা বিক্রি নয়, জাল নোট তৈরির প্রযুক্তিও বিক্রি করে আসছিলেন লিয়াকত হোসেন জাকির ওরফে মাজার জাকির। জাল নোট তৈরির কারিগরদের কাছে তিনি ‘গুরু জাকির’ নামে পরিচিত। ২৫ বছর ধরে এই কাজের সঙ্গে যুক্ত আছেন তিনি। জাকিরসহ চক্রের চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভা
০৮ জুন ২০২৪
ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদ এলাকায় একটি মাদ্রাসার একতলা ভবনে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে শিশুসহ চারজন আহত হয়েছে। আজ শুক্রবার হাসনাবাদ উম্মুল কুরা ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসায় এ ঘটনা ঘটে।
২ ঘণ্টা আগে
মো. হানিফ মাঝি (৪২), পেশায় জেলে। বাড়ি উপকূলীয় দ্বীপ জেলা ভোলার চরফ্যাশন উপজেলায়। হতদরিদ্র এই জেলে সারা জীবন নদীতে জাল টেনে জীবিকা নির্বাহ করেন। অসুস্থ স্ত্রী রহিমা বেগমের চিকিৎসার জন্য রওনা হয়ে চাঁদপুরের মেঘনায় লঞ্চ দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান তিনি।
৩ ঘণ্টা আগে
কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলায় পিকআপ ভ্যানের চাপায় মোটরসাইকেল আরোহী দুই কিশোর নিহত হয়েছে। আজ শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার বাহিরচর ইউনিয়নের ষোল দাগ ক্যানেলপাড়া হাসপাতাল রোডে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
৩ ঘণ্টা আগেকেরানীগঞ্জ (ঢাকা) প্রতিনিধি

ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদ এলাকায় একটি মাদ্রাসার একতলা ভবনে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে শিশুসহ চারজন আহত হয়েছে। আজ শুক্রবার হাসনাবাদ উন্মুল কুরা ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসায় এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলো ওই মাদ্রাসার শিক্ষক আলামিনের দুই ছেলে উমায়েদ (১০) ও আবদুল্লাহ (৮), মেয়ে রাবেয়া (৬) এবং সিএনজিচালিত অটোরিকশার গ্যারেজের শ্রমিক জাকির হোসেন (৪৫)।
খবর পেয়ে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়। প্রাথমিকভাবে এটি গ্যাস বিস্ফোরণ নয় বলে জানিয়েছে পুলিশ। বিষয়টি তদন্তে র্যাব ও সিআইডির বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিটকে জানানো হয়েছে।
বিস্ফোরণে মাদ্রাসা ভবনের জানালার কাচ ভেঙে যায় এবং দেয়ালের একটি অংশ উড়ে যায়। পাশের একটি ভবনও ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
এ বিষয়ে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল আলম বলেন, তদন্ত শেষে বিস্ফোরণের প্রকৃত কারণ জানা যাবে।

ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদ এলাকায় একটি মাদ্রাসার একতলা ভবনে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে শিশুসহ চারজন আহত হয়েছে। আজ শুক্রবার হাসনাবাদ উন্মুল কুরা ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসায় এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলো ওই মাদ্রাসার শিক্ষক আলামিনের দুই ছেলে উমায়েদ (১০) ও আবদুল্লাহ (৮), মেয়ে রাবেয়া (৬) এবং সিএনজিচালিত অটোরিকশার গ্যারেজের শ্রমিক জাকির হোসেন (৪৫)।
খবর পেয়ে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়। প্রাথমিকভাবে এটি গ্যাস বিস্ফোরণ নয় বলে জানিয়েছে পুলিশ। বিষয়টি তদন্তে র্যাব ও সিআইডির বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিটকে জানানো হয়েছে।
বিস্ফোরণে মাদ্রাসা ভবনের জানালার কাচ ভেঙে যায় এবং দেয়ালের একটি অংশ উড়ে যায়। পাশের একটি ভবনও ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
এ বিষয়ে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল আলম বলেন, তদন্ত শেষে বিস্ফোরণের প্রকৃত কারণ জানা যাবে।

শুধু জাল নোট তৈরি কিংবা বিক্রি নয়, জাল নোট তৈরির প্রযুক্তিও বিক্রি করে আসছিলেন লিয়াকত হোসেন জাকির ওরফে মাজার জাকির। জাল নোট তৈরির কারিগরদের কাছে তিনি ‘গুরু জাকির’ নামে পরিচিত। ২৫ বছর ধরে এই কাজের সঙ্গে যুক্ত আছেন তিনি। জাকিরসহ চক্রের চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভা
০৮ জুন ২০২৪
রাজধানীর ডেমরায় ভুয়া ডিবি (গোয়েন্দা) পুলিশ পরিচয়ে এক ব্যক্তিকে অপহরণের চেষ্টা ও চাঁদা দাবির ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে ডেমরা থানা-পুলিশ। আজ শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বাঁশেরপুল ফেয়ার হ্যাভেন ব্লু টাওয়ারের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
২ ঘণ্টা আগে
মো. হানিফ মাঝি (৪২), পেশায় জেলে। বাড়ি উপকূলীয় দ্বীপ জেলা ভোলার চরফ্যাশন উপজেলায়। হতদরিদ্র এই জেলে সারা জীবন নদীতে জাল টেনে জীবিকা নির্বাহ করেন। অসুস্থ স্ত্রী রহিমা বেগমের চিকিৎসার জন্য রওনা হয়ে চাঁদপুরের মেঘনায় লঞ্চ দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান তিনি।
৩ ঘণ্টা আগে
কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলায় পিকআপ ভ্যানের চাপায় মোটরসাইকেল আরোহী দুই কিশোর নিহত হয়েছে। আজ শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার বাহিরচর ইউনিয়নের ষোল দাগ ক্যানেলপাড়া হাসপাতাল রোডে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
৩ ঘণ্টা আগেশিমুল চৌধুরী, ভোলা

মো. হানিফ মাঝি (৪২), পেশায় জেলে। বাড়ি উপকূলীয় দ্বীপ জেলা ভোলার চরফ্যাশন উপজেলায়। হতদরিদ্র এ জেলে সারা জীবন নদীতে জাল টেনে জীবিকা নির্বাহ করেছেন। অসুস্থ স্ত্রী রহিমা বেগমের চিকিৎসার জন্য রওনা হয়ে চাঁদপুরের মেঘনায় লঞ্চ দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান তিনি।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে ঘন কুয়াশার কারণে মেঘনা নদীতে ঢাকা থেকে বরিশালগামী একটি যাত্রীবাহী লঞ্চের ধাক্কায় জাকির সম্রাট-৩ লঞ্চে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। মুহূর্তে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়লে অনেকে নদীতে ঝাঁপ দেন।
নদীতে ভাসমান জাকির সম্রাট-৩ থেকে গুরুতর আহত অবস্থায় হানিফসহ কয়েক যাত্রীকে এমভি কর্ণফুলী-৯ লঞ্চযোগে ঢাকার সদরঘাটে নেওয়ার পথে তাঁর মৃত্যু হয়।
হানিফ মাঝি ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার আহাম্মদপুর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ফরিদাবাদ গ্রামের মো. গেদু শনির ছেলে।
স্থানীয় লোকজন জানান, চার সন্তান ও স্ত্রীর সংসারে নদীতে মাছ শিকারই হানিফ মাঝির একমাত্র আয়ের পথ। সম্প্রতি স্ত্রী রহিমা বেগম গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। এলাকার হাসপাতালে চিকিৎসায় সুস্থ না হওয়ায় ধারদেনা করে তাঁকে ঢাকায় নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন জেলে হানিফ।
গতকাল বিকেলে স্ত্রীকে নিয়ে চরফ্যাশন উপজেলার ঘোষেরহাট লঞ্চঘাট থেকে এমভি জাকির সম্রাট-৩ লঞ্চে উঠে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হন। কিন্তু রাত ২টার দিকে সন্তানেরা খবর পান, তাঁর বাবা হানিফ মাঝি আর নেই।
এ খবর ফরিদাবাদ গ্রামে পৌঁছালে গ্রামজুড়ে শোকের ছায়া নেমে আসে। আজ শুক্রবার বিকেলে নিহত হানিফ মাঝির বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। একমাত্র উপার্জনক্ষম বাবাকে হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েন হানিফের সন্তানেরা। বসতঘরের সামনে সন্তানেরা কান্নায় ভেঙে পড়েন।
তাঁরা বলেন, ‘আমাদের মা অনেক দিন ধরে অসুস্থ। বাবাই সংসারের একমাত্র উপার্জনকারী। ধারদেনা করে চিকিৎসার জন্য ঢাকায় যাচ্ছিলেন। রাত ১টার দিকে ফোনে খবর পাই, দুর্ঘটনায় বাবা মারা গেছেন।’ বরিশালগামী এমভি অ্যাডভেঞ্চার-৯ লঞ্চ ও জাকির সম্রাট-৩ লঞ্চচালকের বিচার দাবি করেন তাঁরা।
নিহত হানিফের ভাই আক্তার বলেন, চিকিৎসার জন্য যাত্রা করা মানুষটি শেষপর্যন্ত লাশ হলেন। নদীর বুকে ঘটে যাওয়া সংঘর্ষ শুধু দুটি লঞ্চের নয়, এটি গরিব জেলে পরিবারের জীবনের সঙ্গে নিয়তির ভয়াবহ সংঘর্ষ। নিহত হানিফ মাঝির পরিবারকে ক্ষতিপূরণের দাবি করেন তিনি।
এ বিষয়ে দুলারহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দুর্ঘটনায় আহাম্মদপুর ইউনিয়নের হানিফ নামের একজনের নিহতের খবর পেয়েছি। পরিবারের সার্বিক খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। তবে নৌ পুলিশ লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তরের ব্যবস্থা করবে।’

মো. হানিফ মাঝি (৪২), পেশায় জেলে। বাড়ি উপকূলীয় দ্বীপ জেলা ভোলার চরফ্যাশন উপজেলায়। হতদরিদ্র এ জেলে সারা জীবন নদীতে জাল টেনে জীবিকা নির্বাহ করেছেন। অসুস্থ স্ত্রী রহিমা বেগমের চিকিৎসার জন্য রওনা হয়ে চাঁদপুরের মেঘনায় লঞ্চ দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান তিনি।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে ঘন কুয়াশার কারণে মেঘনা নদীতে ঢাকা থেকে বরিশালগামী একটি যাত্রীবাহী লঞ্চের ধাক্কায় জাকির সম্রাট-৩ লঞ্চে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। মুহূর্তে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়লে অনেকে নদীতে ঝাঁপ দেন।
নদীতে ভাসমান জাকির সম্রাট-৩ থেকে গুরুতর আহত অবস্থায় হানিফসহ কয়েক যাত্রীকে এমভি কর্ণফুলী-৯ লঞ্চযোগে ঢাকার সদরঘাটে নেওয়ার পথে তাঁর মৃত্যু হয়।
হানিফ মাঝি ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার আহাম্মদপুর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ফরিদাবাদ গ্রামের মো. গেদু শনির ছেলে।
স্থানীয় লোকজন জানান, চার সন্তান ও স্ত্রীর সংসারে নদীতে মাছ শিকারই হানিফ মাঝির একমাত্র আয়ের পথ। সম্প্রতি স্ত্রী রহিমা বেগম গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। এলাকার হাসপাতালে চিকিৎসায় সুস্থ না হওয়ায় ধারদেনা করে তাঁকে ঢাকায় নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন জেলে হানিফ।
গতকাল বিকেলে স্ত্রীকে নিয়ে চরফ্যাশন উপজেলার ঘোষেরহাট লঞ্চঘাট থেকে এমভি জাকির সম্রাট-৩ লঞ্চে উঠে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হন। কিন্তু রাত ২টার দিকে সন্তানেরা খবর পান, তাঁর বাবা হানিফ মাঝি আর নেই।
এ খবর ফরিদাবাদ গ্রামে পৌঁছালে গ্রামজুড়ে শোকের ছায়া নেমে আসে। আজ শুক্রবার বিকেলে নিহত হানিফ মাঝির বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। একমাত্র উপার্জনক্ষম বাবাকে হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েন হানিফের সন্তানেরা। বসতঘরের সামনে সন্তানেরা কান্নায় ভেঙে পড়েন।
তাঁরা বলেন, ‘আমাদের মা অনেক দিন ধরে অসুস্থ। বাবাই সংসারের একমাত্র উপার্জনকারী। ধারদেনা করে চিকিৎসার জন্য ঢাকায় যাচ্ছিলেন। রাত ১টার দিকে ফোনে খবর পাই, দুর্ঘটনায় বাবা মারা গেছেন।’ বরিশালগামী এমভি অ্যাডভেঞ্চার-৯ লঞ্চ ও জাকির সম্রাট-৩ লঞ্চচালকের বিচার দাবি করেন তাঁরা।
নিহত হানিফের ভাই আক্তার বলেন, চিকিৎসার জন্য যাত্রা করা মানুষটি শেষপর্যন্ত লাশ হলেন। নদীর বুকে ঘটে যাওয়া সংঘর্ষ শুধু দুটি লঞ্চের নয়, এটি গরিব জেলে পরিবারের জীবনের সঙ্গে নিয়তির ভয়াবহ সংঘর্ষ। নিহত হানিফ মাঝির পরিবারকে ক্ষতিপূরণের দাবি করেন তিনি।
এ বিষয়ে দুলারহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দুর্ঘটনায় আহাম্মদপুর ইউনিয়নের হানিফ নামের একজনের নিহতের খবর পেয়েছি। পরিবারের সার্বিক খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। তবে নৌ পুলিশ লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তরের ব্যবস্থা করবে।’

শুধু জাল নোট তৈরি কিংবা বিক্রি নয়, জাল নোট তৈরির প্রযুক্তিও বিক্রি করে আসছিলেন লিয়াকত হোসেন জাকির ওরফে মাজার জাকির। জাল নোট তৈরির কারিগরদের কাছে তিনি ‘গুরু জাকির’ নামে পরিচিত। ২৫ বছর ধরে এই কাজের সঙ্গে যুক্ত আছেন তিনি। জাকিরসহ চক্রের চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভা
০৮ জুন ২০২৪
রাজধানীর ডেমরায় ভুয়া ডিবি (গোয়েন্দা) পুলিশ পরিচয়ে এক ব্যক্তিকে অপহরণের চেষ্টা ও চাঁদা দাবির ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে ডেমরা থানা-পুলিশ। আজ শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বাঁশেরপুল ফেয়ার হ্যাভেন ব্লু টাওয়ারের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
২ ঘণ্টা আগে
ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদ এলাকায় একটি মাদ্রাসার একতলা ভবনে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে শিশুসহ চারজন আহত হয়েছে। আজ শুক্রবার হাসনাবাদ উম্মুল কুরা ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসায় এ ঘটনা ঘটে।
২ ঘণ্টা আগে
কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলায় পিকআপ ভ্যানের চাপায় মোটরসাইকেল আরোহী দুই কিশোর নিহত হয়েছে। আজ শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার বাহিরচর ইউনিয়নের ষোল দাগ ক্যানেলপাড়া হাসপাতাল রোডে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
৩ ঘণ্টা আগেকুষ্টিয়া প্রতিনিধি

কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলায় পিকআপ ভ্যানের চাপায় মোটরসাইকেল আরোহী দুই কিশোর নিহত হয়েছে। আজ শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার বাহিরচর ইউনিয়নের ষোল দাগ ক্যানেলপাড়া হাসপাতাল রোডে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলো মিরপুর উপজেলার বিজনগর এলাকার হাবিবুর রহমানের ছেলে সিয়াম শেখ (১৬) এবং একই এলাকার আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে আ. রশিদ (১৬)।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, আজ বিকেলে সিয়াম ও রশিদ মটরসাইকেল নিয়ে ভেড়ামারার লালন শাহ সেতু, হার্ডিঞ্জ ব্রিজ ও মনি পার্ক এলাকায় ঘুরতে যায়। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় ষোল দাগ ক্যানেলপাড়া এলাকায় এলে কুষ্টিয়া থেকে আসা একটি পিকআপ ভ্যান তাদের মোটরসাইকেলটিকে চাপা দেয়।
এতে ঘটনাস্থলেই মোটরসাইকেলচালক সিয়াম নিহত হয়। স্থানীয়রা গুরুতর আহত আরেক কিশোর রশিদকে উদ্ধার করে ভেড়ামারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ভেড়ামারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ জাহেদুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, পিকআপ ভ্যানটি জব্দ করা হয়েছে। তবে চালক ও সহকারী পালিয়ে গেছেন।

কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলায় পিকআপ ভ্যানের চাপায় মোটরসাইকেল আরোহী দুই কিশোর নিহত হয়েছে। আজ শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার বাহিরচর ইউনিয়নের ষোল দাগ ক্যানেলপাড়া হাসপাতাল রোডে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলো মিরপুর উপজেলার বিজনগর এলাকার হাবিবুর রহমানের ছেলে সিয়াম শেখ (১৬) এবং একই এলাকার আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে আ. রশিদ (১৬)।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, আজ বিকেলে সিয়াম ও রশিদ মটরসাইকেল নিয়ে ভেড়ামারার লালন শাহ সেতু, হার্ডিঞ্জ ব্রিজ ও মনি পার্ক এলাকায় ঘুরতে যায়। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় ষোল দাগ ক্যানেলপাড়া এলাকায় এলে কুষ্টিয়া থেকে আসা একটি পিকআপ ভ্যান তাদের মোটরসাইকেলটিকে চাপা দেয়।
এতে ঘটনাস্থলেই মোটরসাইকেলচালক সিয়াম নিহত হয়। স্থানীয়রা গুরুতর আহত আরেক কিশোর রশিদকে উদ্ধার করে ভেড়ামারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ভেড়ামারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ জাহেদুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, পিকআপ ভ্যানটি জব্দ করা হয়েছে। তবে চালক ও সহকারী পালিয়ে গেছেন।

শুধু জাল নোট তৈরি কিংবা বিক্রি নয়, জাল নোট তৈরির প্রযুক্তিও বিক্রি করে আসছিলেন লিয়াকত হোসেন জাকির ওরফে মাজার জাকির। জাল নোট তৈরির কারিগরদের কাছে তিনি ‘গুরু জাকির’ নামে পরিচিত। ২৫ বছর ধরে এই কাজের সঙ্গে যুক্ত আছেন তিনি। জাকিরসহ চক্রের চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভা
০৮ জুন ২০২৪
রাজধানীর ডেমরায় ভুয়া ডিবি (গোয়েন্দা) পুলিশ পরিচয়ে এক ব্যক্তিকে অপহরণের চেষ্টা ও চাঁদা দাবির ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে ডেমরা থানা-পুলিশ। আজ শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বাঁশেরপুল ফেয়ার হ্যাভেন ব্লু টাওয়ারের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
২ ঘণ্টা আগে
ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদ এলাকায় একটি মাদ্রাসার একতলা ভবনে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে শিশুসহ চারজন আহত হয়েছে। আজ শুক্রবার হাসনাবাদ উম্মুল কুরা ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসায় এ ঘটনা ঘটে।
২ ঘণ্টা আগে
মো. হানিফ মাঝি (৪২), পেশায় জেলে। বাড়ি উপকূলীয় দ্বীপ জেলা ভোলার চরফ্যাশন উপজেলায়। হতদরিদ্র এই জেলে সারা জীবন নদীতে জাল টেনে জীবিকা নির্বাহ করেন। অসুস্থ স্ত্রী রহিমা বেগমের চিকিৎসার জন্য রওনা হয়ে চাঁদপুরের মেঘনায় লঞ্চ দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান তিনি।
৩ ঘণ্টা আগে