নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
নিষিদ্ধঘোষিত আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের ব্যানারে সরকারবিরোধী গোপন বৈঠক, শেখ হাসিনার ‘প্রত্যাবর্তন পরিকল্পনা’ ও রাজধানীতে প্রশিক্ষণমূলক কর্মকাণ্ড—সব মিলিয়ে ফের সরব হয়ে উঠেছে রাজনৈতিক নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষাকারী একটি শক্তি। এই অভিযোগে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার একটি কনভেনশন সেন্টার থেকে সংঘবদ্ধভাবে পরিকল্পনার অভিযোগে অন্তত ২২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। সেনাবাহিনীর এক মেজর পদমর্যাদার কর্মকর্তাকেও হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
ডিবি ও ভাটারা থানা-পুলিশ জানায়, ৮ জুলাই সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বসুন্ধরার কে বি কনভেনশন সেন্টারে ‘নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগ’ একটি বৈঠক ডাকে, যেখানে ৩০০–৪০০ লোক অংশ নেন। অংশ নেওয়া ব্যক্তিরা শেখ হাসিনার আহ্বানে সারা দেশ থেকে ঢাকায় লোক এনে শাহবাগ মোড় দখল করে দেশে ‘অস্থিরতা সৃষ্টি’ ও শেখ হাসিনার ‘পুনরায় ক্ষমতাসীন হওয়া’ নিশ্চিত করার পরিকল্পনা করেন। বৈঠকে সরকারবিরোধী স্লোগানও দেওয়া হয় বলে পুলিশের অভিযোগ।
এ ঘটনায় ১৩ জুলাই সন্ত্রাসবিরোধী আইনে ভাটারা থানায় মামলা হয়, যার তদন্ত করছে ডিএমপির গোয়েন্দা বিভাগ। এ পর্যন্ত ২২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে যুবলীগ নেতা, আওয়ামী লীগের এক নারী নেত্রী, ছাত্রলীগ কর্মী, সাবেক সরকারি কর্মকর্তা ও কনভেনশন সেন্টারটির ব্যবস্থাপকও রয়েছেন।
ডিএমপির মুখপাত্র উপকমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান বলেন, ওই মামলায় এখন পর্যন্ত ২২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁরা এখন কারাগারে রয়েছেন।
ডিবি জানায়, গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা ‘প্রিয় স্বদেশ’, ‘এফ ৭১ গেরিলা’, ‘শেখ হাসিনা’, ‘বঙ্গবন্ধু প্রজন্ম’সহ একাধিক হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের সক্রিয় সদস্য। গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদন বলছে, নিষিদ্ধ সংগঠনের এই অংশ আবারও সংগঠিত হয়ে সাংগঠনিক প্রশিক্ষণ ও কৌশলগত পুনর্বিন্যাসে ব্যস্ত ছিল। সেই কাজের অন্যতম সমন্বয়কারী ছিলেন সেনাবাহিনীর মেজর সাদিকুল হক ওরফে মেজর সাদিক।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন বরগুনার যুবলীগ নেতা সোহেল রানা ও গোপালগঞ্জের আওয়ামী লীগ নেত্রী শামীমা নাসরিন। তদন্তসংশ্লিষ্টরা জানান, এই দুজনকে মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদে উঠে এসেছে কনভেনশন সেন্টারে কীভাবে সংগঠনের সদস্যদের এনে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছিল এবং শেখ হাসিনাকে ‘ঘোষণার মাধ্যমে’ ফেরত আনার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছিল।
ডিবি বলছে, কনভেনশন সেন্টারের ব্যবস্থাপক মুজাহিদ পরিকল্পিতভাবে সিসিটিভি ক্যামেরা বন্ধ রেখেছিলেন। সেখানকার অনেকের বক্তব্য অনুযায়ী, দিনজুড়ে সেখানে ব্যানারবিহীন একধরনের ‘রাজনৈতিক রিহার্সেল’ চলছিল। এরই অংশ হিসেবে ঢাকার বাইরে থেকেও লোকজন আনা হয়।
তদন্ত কর্মকর্তারা জানান, তাঁদের তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় এই পরিকল্পনায় জড়িত আরও ব্যক্তিদের শনাক্ত করার কাজ চলছে। তাঁরা বলছেন, এই পরিকল্পনা ছিল সুসংগঠিত ও ধাপে ধাপে বাস্তবায়নযোগ্য, এর মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়তে পারত।
পুলিশ বলছে, এই ষড়যন্ত্রের পেছনে আরও প্রভাবশালী ব্যক্তি বা গোষ্ঠী জড়িত কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তদন্তে অগ্রগতির ওপর নির্ভর করে গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের রিমান্ডে এনে মুখোমুখি জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
এদিকে মেজর সাদিক সম্পর্কে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বলছে, তিনি বসুন্ধরার ওই কনভেনশন সেন্টারে দ্বিতীয় তলা ভাড়া নিয়ে ‘রাজনৈতিক প্রশিক্ষণ’ দিচ্ছিলেন। এমনকি এর আগে রাজধানীর আরও অন্তত চারটি জায়গায় গোপন প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয়। কিন্তু সেসব জায়গার সিসিটিভি ফুটেজ মুছে ফেলা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার সেনাসদরে সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি স্বীকার করে মিলিটারি অপারেশনস ডাইরেক্টরেটের কর্নেল মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, মেজর সাদিকের বিষয়ে তদন্ত চলছে। হেফাজতে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে সেনাবাহিনীর বিধিমালা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নিষিদ্ধঘোষিত আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের ব্যানারে সরকারবিরোধী গোপন বৈঠক, শেখ হাসিনার ‘প্রত্যাবর্তন পরিকল্পনা’ ও রাজধানীতে প্রশিক্ষণমূলক কর্মকাণ্ড—সব মিলিয়ে ফের সরব হয়ে উঠেছে রাজনৈতিক নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষাকারী একটি শক্তি। এই অভিযোগে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার একটি কনভেনশন সেন্টার থেকে সংঘবদ্ধভাবে পরিকল্পনার অভিযোগে অন্তত ২২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। সেনাবাহিনীর এক মেজর পদমর্যাদার কর্মকর্তাকেও হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
ডিবি ও ভাটারা থানা-পুলিশ জানায়, ৮ জুলাই সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বসুন্ধরার কে বি কনভেনশন সেন্টারে ‘নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগ’ একটি বৈঠক ডাকে, যেখানে ৩০০–৪০০ লোক অংশ নেন। অংশ নেওয়া ব্যক্তিরা শেখ হাসিনার আহ্বানে সারা দেশ থেকে ঢাকায় লোক এনে শাহবাগ মোড় দখল করে দেশে ‘অস্থিরতা সৃষ্টি’ ও শেখ হাসিনার ‘পুনরায় ক্ষমতাসীন হওয়া’ নিশ্চিত করার পরিকল্পনা করেন। বৈঠকে সরকারবিরোধী স্লোগানও দেওয়া হয় বলে পুলিশের অভিযোগ।
এ ঘটনায় ১৩ জুলাই সন্ত্রাসবিরোধী আইনে ভাটারা থানায় মামলা হয়, যার তদন্ত করছে ডিএমপির গোয়েন্দা বিভাগ। এ পর্যন্ত ২২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে যুবলীগ নেতা, আওয়ামী লীগের এক নারী নেত্রী, ছাত্রলীগ কর্মী, সাবেক সরকারি কর্মকর্তা ও কনভেনশন সেন্টারটির ব্যবস্থাপকও রয়েছেন।
ডিএমপির মুখপাত্র উপকমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান বলেন, ওই মামলায় এখন পর্যন্ত ২২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁরা এখন কারাগারে রয়েছেন।
ডিবি জানায়, গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা ‘প্রিয় স্বদেশ’, ‘এফ ৭১ গেরিলা’, ‘শেখ হাসিনা’, ‘বঙ্গবন্ধু প্রজন্ম’সহ একাধিক হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের সক্রিয় সদস্য। গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদন বলছে, নিষিদ্ধ সংগঠনের এই অংশ আবারও সংগঠিত হয়ে সাংগঠনিক প্রশিক্ষণ ও কৌশলগত পুনর্বিন্যাসে ব্যস্ত ছিল। সেই কাজের অন্যতম সমন্বয়কারী ছিলেন সেনাবাহিনীর মেজর সাদিকুল হক ওরফে মেজর সাদিক।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন বরগুনার যুবলীগ নেতা সোহেল রানা ও গোপালগঞ্জের আওয়ামী লীগ নেত্রী শামীমা নাসরিন। তদন্তসংশ্লিষ্টরা জানান, এই দুজনকে মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদে উঠে এসেছে কনভেনশন সেন্টারে কীভাবে সংগঠনের সদস্যদের এনে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছিল এবং শেখ হাসিনাকে ‘ঘোষণার মাধ্যমে’ ফেরত আনার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছিল।
ডিবি বলছে, কনভেনশন সেন্টারের ব্যবস্থাপক মুজাহিদ পরিকল্পিতভাবে সিসিটিভি ক্যামেরা বন্ধ রেখেছিলেন। সেখানকার অনেকের বক্তব্য অনুযায়ী, দিনজুড়ে সেখানে ব্যানারবিহীন একধরনের ‘রাজনৈতিক রিহার্সেল’ চলছিল। এরই অংশ হিসেবে ঢাকার বাইরে থেকেও লোকজন আনা হয়।
তদন্ত কর্মকর্তারা জানান, তাঁদের তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় এই পরিকল্পনায় জড়িত আরও ব্যক্তিদের শনাক্ত করার কাজ চলছে। তাঁরা বলছেন, এই পরিকল্পনা ছিল সুসংগঠিত ও ধাপে ধাপে বাস্তবায়নযোগ্য, এর মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়তে পারত।
পুলিশ বলছে, এই ষড়যন্ত্রের পেছনে আরও প্রভাবশালী ব্যক্তি বা গোষ্ঠী জড়িত কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তদন্তে অগ্রগতির ওপর নির্ভর করে গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের রিমান্ডে এনে মুখোমুখি জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
এদিকে মেজর সাদিক সম্পর্কে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বলছে, তিনি বসুন্ধরার ওই কনভেনশন সেন্টারে দ্বিতীয় তলা ভাড়া নিয়ে ‘রাজনৈতিক প্রশিক্ষণ’ দিচ্ছিলেন। এমনকি এর আগে রাজধানীর আরও অন্তত চারটি জায়গায় গোপন প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয়। কিন্তু সেসব জায়গার সিসিটিভি ফুটেজ মুছে ফেলা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার সেনাসদরে সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি স্বীকার করে মিলিটারি অপারেশনস ডাইরেক্টরেটের কর্নেল মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, মেজর সাদিকের বিষয়ে তদন্ত চলছে। হেফাজতে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে সেনাবাহিনীর বিধিমালা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
নিষিদ্ধঘোষিত আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের ব্যানারে সরকারবিরোধী গোপন বৈঠক, শেখ হাসিনার ‘প্রত্যাবর্তন পরিকল্পনা’ ও রাজধানীতে প্রশিক্ষণমূলক কর্মকাণ্ড—সব মিলিয়ে ফের সরব হয়ে উঠেছে রাজনৈতিক নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষাকারী একটি শক্তি। এই অভিযোগে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার একটি কনভেনশন সেন্টার থেকে সংঘবদ্ধভাবে পরিকল্পনার অভিযোগে অন্তত ২২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। সেনাবাহিনীর এক মেজর পদমর্যাদার কর্মকর্তাকেও হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
ডিবি ও ভাটারা থানা-পুলিশ জানায়, ৮ জুলাই সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বসুন্ধরার কে বি কনভেনশন সেন্টারে ‘নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগ’ একটি বৈঠক ডাকে, যেখানে ৩০০–৪০০ লোক অংশ নেন। অংশ নেওয়া ব্যক্তিরা শেখ হাসিনার আহ্বানে সারা দেশ থেকে ঢাকায় লোক এনে শাহবাগ মোড় দখল করে দেশে ‘অস্থিরতা সৃষ্টি’ ও শেখ হাসিনার ‘পুনরায় ক্ষমতাসীন হওয়া’ নিশ্চিত করার পরিকল্পনা করেন। বৈঠকে সরকারবিরোধী স্লোগানও দেওয়া হয় বলে পুলিশের অভিযোগ।
এ ঘটনায় ১৩ জুলাই সন্ত্রাসবিরোধী আইনে ভাটারা থানায় মামলা হয়, যার তদন্ত করছে ডিএমপির গোয়েন্দা বিভাগ। এ পর্যন্ত ২২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে যুবলীগ নেতা, আওয়ামী লীগের এক নারী নেত্রী, ছাত্রলীগ কর্মী, সাবেক সরকারি কর্মকর্তা ও কনভেনশন সেন্টারটির ব্যবস্থাপকও রয়েছেন।
ডিএমপির মুখপাত্র উপকমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান বলেন, ওই মামলায় এখন পর্যন্ত ২২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁরা এখন কারাগারে রয়েছেন।
ডিবি জানায়, গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা ‘প্রিয় স্বদেশ’, ‘এফ ৭১ গেরিলা’, ‘শেখ হাসিনা’, ‘বঙ্গবন্ধু প্রজন্ম’সহ একাধিক হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের সক্রিয় সদস্য। গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদন বলছে, নিষিদ্ধ সংগঠনের এই অংশ আবারও সংগঠিত হয়ে সাংগঠনিক প্রশিক্ষণ ও কৌশলগত পুনর্বিন্যাসে ব্যস্ত ছিল। সেই কাজের অন্যতম সমন্বয়কারী ছিলেন সেনাবাহিনীর মেজর সাদিকুল হক ওরফে মেজর সাদিক।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন বরগুনার যুবলীগ নেতা সোহেল রানা ও গোপালগঞ্জের আওয়ামী লীগ নেত্রী শামীমা নাসরিন। তদন্তসংশ্লিষ্টরা জানান, এই দুজনকে মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদে উঠে এসেছে কনভেনশন সেন্টারে কীভাবে সংগঠনের সদস্যদের এনে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছিল এবং শেখ হাসিনাকে ‘ঘোষণার মাধ্যমে’ ফেরত আনার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছিল।
ডিবি বলছে, কনভেনশন সেন্টারের ব্যবস্থাপক মুজাহিদ পরিকল্পিতভাবে সিসিটিভি ক্যামেরা বন্ধ রেখেছিলেন। সেখানকার অনেকের বক্তব্য অনুযায়ী, দিনজুড়ে সেখানে ব্যানারবিহীন একধরনের ‘রাজনৈতিক রিহার্সেল’ চলছিল। এরই অংশ হিসেবে ঢাকার বাইরে থেকেও লোকজন আনা হয়।
তদন্ত কর্মকর্তারা জানান, তাঁদের তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় এই পরিকল্পনায় জড়িত আরও ব্যক্তিদের শনাক্ত করার কাজ চলছে। তাঁরা বলছেন, এই পরিকল্পনা ছিল সুসংগঠিত ও ধাপে ধাপে বাস্তবায়নযোগ্য, এর মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়তে পারত।
পুলিশ বলছে, এই ষড়যন্ত্রের পেছনে আরও প্রভাবশালী ব্যক্তি বা গোষ্ঠী জড়িত কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তদন্তে অগ্রগতির ওপর নির্ভর করে গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের রিমান্ডে এনে মুখোমুখি জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
এদিকে মেজর সাদিক সম্পর্কে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বলছে, তিনি বসুন্ধরার ওই কনভেনশন সেন্টারে দ্বিতীয় তলা ভাড়া নিয়ে ‘রাজনৈতিক প্রশিক্ষণ’ দিচ্ছিলেন। এমনকি এর আগে রাজধানীর আরও অন্তত চারটি জায়গায় গোপন প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয়। কিন্তু সেসব জায়গার সিসিটিভি ফুটেজ মুছে ফেলা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার সেনাসদরে সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি স্বীকার করে মিলিটারি অপারেশনস ডাইরেক্টরেটের কর্নেল মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, মেজর সাদিকের বিষয়ে তদন্ত চলছে। হেফাজতে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে সেনাবাহিনীর বিধিমালা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নিষিদ্ধঘোষিত আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের ব্যানারে সরকারবিরোধী গোপন বৈঠক, শেখ হাসিনার ‘প্রত্যাবর্তন পরিকল্পনা’ ও রাজধানীতে প্রশিক্ষণমূলক কর্মকাণ্ড—সব মিলিয়ে ফের সরব হয়ে উঠেছে রাজনৈতিক নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষাকারী একটি শক্তি। এই অভিযোগে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার একটি কনভেনশন সেন্টার থেকে সংঘবদ্ধভাবে পরিকল্পনার অভিযোগে অন্তত ২২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। সেনাবাহিনীর এক মেজর পদমর্যাদার কর্মকর্তাকেও হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
ডিবি ও ভাটারা থানা-পুলিশ জানায়, ৮ জুলাই সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বসুন্ধরার কে বি কনভেনশন সেন্টারে ‘নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগ’ একটি বৈঠক ডাকে, যেখানে ৩০০–৪০০ লোক অংশ নেন। অংশ নেওয়া ব্যক্তিরা শেখ হাসিনার আহ্বানে সারা দেশ থেকে ঢাকায় লোক এনে শাহবাগ মোড় দখল করে দেশে ‘অস্থিরতা সৃষ্টি’ ও শেখ হাসিনার ‘পুনরায় ক্ষমতাসীন হওয়া’ নিশ্চিত করার পরিকল্পনা করেন। বৈঠকে সরকারবিরোধী স্লোগানও দেওয়া হয় বলে পুলিশের অভিযোগ।
এ ঘটনায় ১৩ জুলাই সন্ত্রাসবিরোধী আইনে ভাটারা থানায় মামলা হয়, যার তদন্ত করছে ডিএমপির গোয়েন্দা বিভাগ। এ পর্যন্ত ২২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে যুবলীগ নেতা, আওয়ামী লীগের এক নারী নেত্রী, ছাত্রলীগ কর্মী, সাবেক সরকারি কর্মকর্তা ও কনভেনশন সেন্টারটির ব্যবস্থাপকও রয়েছেন।
ডিএমপির মুখপাত্র উপকমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান বলেন, ওই মামলায় এখন পর্যন্ত ২২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁরা এখন কারাগারে রয়েছেন।
ডিবি জানায়, গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা ‘প্রিয় স্বদেশ’, ‘এফ ৭১ গেরিলা’, ‘শেখ হাসিনা’, ‘বঙ্গবন্ধু প্রজন্ম’সহ একাধিক হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের সক্রিয় সদস্য। গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদন বলছে, নিষিদ্ধ সংগঠনের এই অংশ আবারও সংগঠিত হয়ে সাংগঠনিক প্রশিক্ষণ ও কৌশলগত পুনর্বিন্যাসে ব্যস্ত ছিল। সেই কাজের অন্যতম সমন্বয়কারী ছিলেন সেনাবাহিনীর মেজর সাদিকুল হক ওরফে মেজর সাদিক।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন বরগুনার যুবলীগ নেতা সোহেল রানা ও গোপালগঞ্জের আওয়ামী লীগ নেত্রী শামীমা নাসরিন। তদন্তসংশ্লিষ্টরা জানান, এই দুজনকে মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদে উঠে এসেছে কনভেনশন সেন্টারে কীভাবে সংগঠনের সদস্যদের এনে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছিল এবং শেখ হাসিনাকে ‘ঘোষণার মাধ্যমে’ ফেরত আনার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছিল।
ডিবি বলছে, কনভেনশন সেন্টারের ব্যবস্থাপক মুজাহিদ পরিকল্পিতভাবে সিসিটিভি ক্যামেরা বন্ধ রেখেছিলেন। সেখানকার অনেকের বক্তব্য অনুযায়ী, দিনজুড়ে সেখানে ব্যানারবিহীন একধরনের ‘রাজনৈতিক রিহার্সেল’ চলছিল। এরই অংশ হিসেবে ঢাকার বাইরে থেকেও লোকজন আনা হয়।
তদন্ত কর্মকর্তারা জানান, তাঁদের তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় এই পরিকল্পনায় জড়িত আরও ব্যক্তিদের শনাক্ত করার কাজ চলছে। তাঁরা বলছেন, এই পরিকল্পনা ছিল সুসংগঠিত ও ধাপে ধাপে বাস্তবায়নযোগ্য, এর মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়তে পারত।
পুলিশ বলছে, এই ষড়যন্ত্রের পেছনে আরও প্রভাবশালী ব্যক্তি বা গোষ্ঠী জড়িত কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তদন্তে অগ্রগতির ওপর নির্ভর করে গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের রিমান্ডে এনে মুখোমুখি জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
এদিকে মেজর সাদিক সম্পর্কে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বলছে, তিনি বসুন্ধরার ওই কনভেনশন সেন্টারে দ্বিতীয় তলা ভাড়া নিয়ে ‘রাজনৈতিক প্রশিক্ষণ’ দিচ্ছিলেন। এমনকি এর আগে রাজধানীর আরও অন্তত চারটি জায়গায় গোপন প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয়। কিন্তু সেসব জায়গার সিসিটিভি ফুটেজ মুছে ফেলা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার সেনাসদরে সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি স্বীকার করে মিলিটারি অপারেশনস ডাইরেক্টরেটের কর্নেল মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, মেজর সাদিকের বিষয়ে তদন্ত চলছে। হেফাজতে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে সেনাবাহিনীর বিধিমালা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
গেটের সামনে ভিড় করছেন কার্গো ভিলেজের কর্মচারীরা। উদ্বেগ প্রকাশ করে তাঁরা বলছেন, এখনো ধোঁয়া বের হচ্ছে। মনে হচ্ছে, আগুন পুরোপুরি নেভেনি। পুরো আমদানি কার্গো ভিলেজ পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
১৯ মিনিট আগেপুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শনিবার দিবাগত রাতের কোনো এক সময় দুর্বৃত্তরা এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। ভোররাতে পরিবারের লোকজন বাইরে বের হয়ে মুসার রক্তাক্ত লাশ দেখতে পায়। নিহত ব্যক্তির বুকে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের একাধিক চিহ্ন পাওয়া গেছে।
২২ মিনিট আগেফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার কাদিরদি বাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। শনিবার (১৮ অক্টোবর) দিবাগত রাত ১০টার দিকে বাচ্চু মোল্লার মার্কেটে এই আগুন লাগে। এতে মুদি, কাপড়, ওষুধ, জুতা, বীজসহ কমপক্ষে ২০টি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
৩৪ মিনিট আগেমেহেরপুরের গাংনী উপজেলার বামন্দী ইউনিয়নের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত বামন্দী নিশিপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজ এবং বামন্দী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠ টানা চার মাস জলমগ্ন অবস্থায় রয়েছে। দীর্ঘদিনের এই জলাবদ্ধতা নিরসনে কর্তৃপক্ষ কোনো উদ্যোগ না নেওয়ায় দুই প্রতিষ্ঠানের হাজারো শিক্ষার্থীর পাঠদান মারাত্মকভাবে ব্যা
৩৮ মিনিট আগেউত্তরা-বিমানবন্দর (ঢাকা) প্রতিনিধি
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের আমদানি কার্গো ভিলেজে গতকাল শনিবার ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে বিপুল ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। দীর্ঘ ৮ ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে এলেও এখনো সেখান থেকে ধোঁয়া বের হচ্ছে। বিমানবন্দরের ৮ নম্বর গেট-সংলগ্ন আমদানি কার্গো ভিলেজে আজ রোববার সকালে এই দৃশ্য দেখা যায়।
গেটের সামনে ভিড় করছেন কার্গো ভিলেজের কর্মচারীরা। উদ্বেগ প্রকাশ করে তাঁরা বলছেন, এখনো ধোঁয়া বের হচ্ছে। মনে হচ্ছে, আগুন পুরোপুরি নেভেনি। পুরো আমদানি কার্গো ভিলেজ পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
আমদানি কার্গো ভিলেজের গেট দিয়ে ভেতরে কাউকে ঢুকতে দিচ্ছে না আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। ঘটনাস্থলে কাজ করছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স কর্মকর্তা আবদুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আগুন পুরো নিভে গেছে। আমাদের শুধু র্যাম্পিং ডাউনের (অগ্নিনির্বাপণ তৎপরতা গুটিয়ে আনা) কাজ চলছে।’
আবদুর রহমান আরও বলেন, কার্গো ভিলেজে কোথাও কোনোভাবে আগুন ধরতে পারে এমন কিছু আছে কি না, সে জন্য ভেতরে সবকিছু খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখা হচ্ছে।
ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে গতকাল শনিবার বেলা সোয়া ২টার দিকে আগুন লাগে। আগুনে কার্গো ভিলেজের আমদানি কমপ্লেক্সের পুরোটা পুড়ে গেছে। এই ঘটনায় বেলা সাড়ে ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত দেশের প্রধান এই বিমানবন্দরে আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ ফ্লাইটের সব উড়োজাহাজ ওঠানামা বন্ধ থাকে। যাত্রীরা চরম দুর্ভোগে পড়ে। আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ১৩টি স্টেশনের ৩৭টি ইউনিট কাজ করে। রাত সোয়া ৯টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
আগুন নেভাতে গিয়ে আহত হয়েছেন ২২ জন। ক্ষয়ক্ষতির বিষয় এখনো নিরূপণ করতে পারেনি কর্তৃপক্ষ। আমদানিকারকেরা বড় ধরনের আর্থিক ক্ষতির আশঙ্কা করছেন। বিমানবন্দরের ভেতরে নজিরবিহীন এই অগ্নিকাণ্ডকে অনেকে রহস্যজনক বলছেন। অনেকে বলছেন, বিমানবন্দরে সার্বক্ষণিক ফায়ার ইউনিট থাকার পরও আগুন এভাবে ছড়িয়ে পড়ায় প্রশ্ন উঠেছে।
অন্তর্বর্তী সরকার বলেছে, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নাশকতা বা অগ্নিসংযোগের কোনো বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ পাওয়া গেলে সরকার তাৎক্ষণিক ও দৃঢ় পদক্ষেপ নেবে। ঘটনা তদন্তে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস সাত সদস্যের ও কাস্টমস পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করেছে।
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের আমদানি কার্গো ভিলেজে গতকাল শনিবার ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে বিপুল ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। দীর্ঘ ৮ ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে এলেও এখনো সেখান থেকে ধোঁয়া বের হচ্ছে। বিমানবন্দরের ৮ নম্বর গেট-সংলগ্ন আমদানি কার্গো ভিলেজে আজ রোববার সকালে এই দৃশ্য দেখা যায়।
গেটের সামনে ভিড় করছেন কার্গো ভিলেজের কর্মচারীরা। উদ্বেগ প্রকাশ করে তাঁরা বলছেন, এখনো ধোঁয়া বের হচ্ছে। মনে হচ্ছে, আগুন পুরোপুরি নেভেনি। পুরো আমদানি কার্গো ভিলেজ পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
আমদানি কার্গো ভিলেজের গেট দিয়ে ভেতরে কাউকে ঢুকতে দিচ্ছে না আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। ঘটনাস্থলে কাজ করছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স কর্মকর্তা আবদুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আগুন পুরো নিভে গেছে। আমাদের শুধু র্যাম্পিং ডাউনের (অগ্নিনির্বাপণ তৎপরতা গুটিয়ে আনা) কাজ চলছে।’
আবদুর রহমান আরও বলেন, কার্গো ভিলেজে কোথাও কোনোভাবে আগুন ধরতে পারে এমন কিছু আছে কি না, সে জন্য ভেতরে সবকিছু খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখা হচ্ছে।
ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে গতকাল শনিবার বেলা সোয়া ২টার দিকে আগুন লাগে। আগুনে কার্গো ভিলেজের আমদানি কমপ্লেক্সের পুরোটা পুড়ে গেছে। এই ঘটনায় বেলা সাড়ে ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত দেশের প্রধান এই বিমানবন্দরে আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ ফ্লাইটের সব উড়োজাহাজ ওঠানামা বন্ধ থাকে। যাত্রীরা চরম দুর্ভোগে পড়ে। আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ১৩টি স্টেশনের ৩৭টি ইউনিট কাজ করে। রাত সোয়া ৯টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
আগুন নেভাতে গিয়ে আহত হয়েছেন ২২ জন। ক্ষয়ক্ষতির বিষয় এখনো নিরূপণ করতে পারেনি কর্তৃপক্ষ। আমদানিকারকেরা বড় ধরনের আর্থিক ক্ষতির আশঙ্কা করছেন। বিমানবন্দরের ভেতরে নজিরবিহীন এই অগ্নিকাণ্ডকে অনেকে রহস্যজনক বলছেন। অনেকে বলছেন, বিমানবন্দরে সার্বক্ষণিক ফায়ার ইউনিট থাকার পরও আগুন এভাবে ছড়িয়ে পড়ায় প্রশ্ন উঠেছে।
অন্তর্বর্তী সরকার বলেছে, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নাশকতা বা অগ্নিসংযোগের কোনো বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ পাওয়া গেলে সরকার তাৎক্ষণিক ও দৃঢ় পদক্ষেপ নেবে। ঘটনা তদন্তে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস সাত সদস্যের ও কাস্টমস পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করেছে।
নিষিদ্ধঘোষিত আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের ব্যানারে সরকারবিরোধী গোপন বৈঠক, শেখ হাসিনার ‘প্রত্যাবর্তন পরিকল্পনা’ ও রাজধানীতে প্রশিক্ষণমূলক কর্মকাণ্ড—সব মিলিয়ে ফের সরব হয়ে উঠেছে রাজনৈতিক নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষাকারী একটি শক্তি। এই অভিযোগে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার একটি কনভেনশন সেন্টার থেকে সংঘবদ্ধভাবে পরিকল্পনার অভি
৩১ জুলাই ২০২৫পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শনিবার দিবাগত রাতের কোনো এক সময় দুর্বৃত্তরা এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। ভোররাতে পরিবারের লোকজন বাইরে বের হয়ে মুসার রক্তাক্ত লাশ দেখতে পায়। নিহত ব্যক্তির বুকে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের একাধিক চিহ্ন পাওয়া গেছে।
২২ মিনিট আগেফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার কাদিরদি বাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। শনিবার (১৮ অক্টোবর) দিবাগত রাত ১০টার দিকে বাচ্চু মোল্লার মার্কেটে এই আগুন লাগে। এতে মুদি, কাপড়, ওষুধ, জুতা, বীজসহ কমপক্ষে ২০টি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
৩৪ মিনিট আগেমেহেরপুরের গাংনী উপজেলার বামন্দী ইউনিয়নের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত বামন্দী নিশিপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজ এবং বামন্দী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠ টানা চার মাস জলমগ্ন অবস্থায় রয়েছে। দীর্ঘদিনের এই জলাবদ্ধতা নিরসনে কর্তৃপক্ষ কোনো উদ্যোগ না নেওয়ায় দুই প্রতিষ্ঠানের হাজারো শিক্ষার্থীর পাঠদান মারাত্মকভাবে ব্যা
৩৮ মিনিট আগেকুষ্টিয়া প্রতিনিধি
কুষ্টিয়া সদর উপজেলায় নিজের বসতঘরের বারান্দায় মোশারফ হোসেন মুসা (৫৫) নামের এক ভ্যানচালককে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। রোববার (১৯ অক্টোবর) সকালে উপজেলার হরিনারায়ণপুর ইউনিয়নের শান্তিডাঙ্গা গ্রাম থেকে পুলিশ নিহত ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।
নিহত মোশারফ হোসেন মুসা একই এলাকার মৃত আকবর মন্ডলের ছেলে। তিনি পেশায় ভ্যানচালক ছিলেন এবং প্রতিদিনের মতো শনিবার রাতে বসতঘরের বারান্দায় ঘুমাচ্ছিলেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শনিবার দিবাগত রাতের কোনো এক সময় দুর্বৃত্তরা এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। ভোররাতে পরিবারের লোকজন বাইরে বের হয়ে মুসার রক্তাক্ত লাশ দেখতে পায়। নিহত ব্যক্তির বুকে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের একাধিক চিহ্ন পাওয়া গেছে।
ঘটনার কারণ নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে ভিন্নমত রয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা ভ্যান চুরি করতে এসে মুসাকে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে বলে ধারণা করলেও পরিবারের দাবি, পূর্বশত্রুতার জেরে পরিকল্পিতভাবে তাঁকে হত্যা করা হয়েছে।
নিহত ব্যক্তির মেয়ে শিখা দৃঢ়তার সঙ্গে বলেন, ‘ভ্যান চুরির জন্য আমার বাবাকে কখনো এমন নির্মমভাবে হত্যা করতে পারে না। পূর্বশত্রুতার জের ধরে তাঁকে হত্যা করা হয়েছে।’ তিনি এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানান।
জানতে চাইলে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেহেদি হাসান বলেন, নিহত ব্যক্তির বুকে হাঁসুয়া-জাতীয় ধারালো কিছু দিয়ে আঘাত করা হয়েছে। শুধু ভ্যান চুরির জন্য এমন নির্মম হত্যাকাণ্ড না-ও হতে পারে। কারণ, তাহলে অপরাধীরা ভ্যান নিয়ে যেত।
ওসি আরও বলেন, বিষয়টি নিয়ে পুলিশ কাজ করছে। দ্রুত অপরাধীদের গ্রেপ্তার করা হবে।
কুষ্টিয়া সদর উপজেলায় নিজের বসতঘরের বারান্দায় মোশারফ হোসেন মুসা (৫৫) নামের এক ভ্যানচালককে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। রোববার (১৯ অক্টোবর) সকালে উপজেলার হরিনারায়ণপুর ইউনিয়নের শান্তিডাঙ্গা গ্রাম থেকে পুলিশ নিহত ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।
নিহত মোশারফ হোসেন মুসা একই এলাকার মৃত আকবর মন্ডলের ছেলে। তিনি পেশায় ভ্যানচালক ছিলেন এবং প্রতিদিনের মতো শনিবার রাতে বসতঘরের বারান্দায় ঘুমাচ্ছিলেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শনিবার দিবাগত রাতের কোনো এক সময় দুর্বৃত্তরা এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। ভোররাতে পরিবারের লোকজন বাইরে বের হয়ে মুসার রক্তাক্ত লাশ দেখতে পায়। নিহত ব্যক্তির বুকে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের একাধিক চিহ্ন পাওয়া গেছে।
ঘটনার কারণ নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে ভিন্নমত রয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা ভ্যান চুরি করতে এসে মুসাকে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে বলে ধারণা করলেও পরিবারের দাবি, পূর্বশত্রুতার জেরে পরিকল্পিতভাবে তাঁকে হত্যা করা হয়েছে।
নিহত ব্যক্তির মেয়ে শিখা দৃঢ়তার সঙ্গে বলেন, ‘ভ্যান চুরির জন্য আমার বাবাকে কখনো এমন নির্মমভাবে হত্যা করতে পারে না। পূর্বশত্রুতার জের ধরে তাঁকে হত্যা করা হয়েছে।’ তিনি এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানান।
জানতে চাইলে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেহেদি হাসান বলেন, নিহত ব্যক্তির বুকে হাঁসুয়া-জাতীয় ধারালো কিছু দিয়ে আঘাত করা হয়েছে। শুধু ভ্যান চুরির জন্য এমন নির্মম হত্যাকাণ্ড না-ও হতে পারে। কারণ, তাহলে অপরাধীরা ভ্যান নিয়ে যেত।
ওসি আরও বলেন, বিষয়টি নিয়ে পুলিশ কাজ করছে। দ্রুত অপরাধীদের গ্রেপ্তার করা হবে।
নিষিদ্ধঘোষিত আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের ব্যানারে সরকারবিরোধী গোপন বৈঠক, শেখ হাসিনার ‘প্রত্যাবর্তন পরিকল্পনা’ ও রাজধানীতে প্রশিক্ষণমূলক কর্মকাণ্ড—সব মিলিয়ে ফের সরব হয়ে উঠেছে রাজনৈতিক নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষাকারী একটি শক্তি। এই অভিযোগে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার একটি কনভেনশন সেন্টার থেকে সংঘবদ্ধভাবে পরিকল্পনার অভি
৩১ জুলাই ২০২৫গেটের সামনে ভিড় করছেন কার্গো ভিলেজের কর্মচারীরা। উদ্বেগ প্রকাশ করে তাঁরা বলছেন, এখনো ধোঁয়া বের হচ্ছে। মনে হচ্ছে, আগুন পুরোপুরি নেভেনি। পুরো আমদানি কার্গো ভিলেজ পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
১৯ মিনিট আগেফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার কাদিরদি বাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। শনিবার (১৮ অক্টোবর) দিবাগত রাত ১০টার দিকে বাচ্চু মোল্লার মার্কেটে এই আগুন লাগে। এতে মুদি, কাপড়, ওষুধ, জুতা, বীজসহ কমপক্ষে ২০টি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
৩৪ মিনিট আগেমেহেরপুরের গাংনী উপজেলার বামন্দী ইউনিয়নের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত বামন্দী নিশিপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজ এবং বামন্দী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠ টানা চার মাস জলমগ্ন অবস্থায় রয়েছে। দীর্ঘদিনের এই জলাবদ্ধতা নিরসনে কর্তৃপক্ষ কোনো উদ্যোগ না নেওয়ায় দুই প্রতিষ্ঠানের হাজারো শিক্ষার্থীর পাঠদান মারাত্মকভাবে ব্যা
৩৮ মিনিট আগেফরিদপুর প্রতিনিধি
ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার কাদিরদি বাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। শনিবার (১৮ অক্টোবর) দিবাগত রাত ১০টার দিকে বাচ্চু মোল্লার মার্কেটে এই আগুন লাগে। এতে মুদি, কাপড়, ওষুধ, জুতা, বীজসহ কমপক্ষে ২০টি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা বলছেন, আগুনে অন্তত কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। খবর পেয়ে স্থানীয় লোকজন এবং মধুখালী ও বোয়ালমারী ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা প্রায় দেড় ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।
এলাকাবাসী ও ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা গেছে, রাত ১০টার দিকে বাজারের বাচ্চু মোল্লার মার্কেটে নাসিরের কাপড়ের দোকান থেকে আগুনের সূত্রপাত। দ্রুত সময়ে আগুন পার্শ্ববর্তী মুদি, ওষুধ, চা, বীজ, জুতার দোকানসহ অন্যান্য দোকানে ছড়িয়ে পড়ে।
স্থানীয় বাসিন্দা অবসরপ্রাপ্ত সেনাসদস্য মনির হোসেন বলেন, ‘বাজারের ব্যবসায়ীরা দোকানপাট বন্ধ করে চলে যাওয়ায় বাজারে পাহারাদার ছাড়া বেশি লোক ছিল না। আগুনের শোরগোল শুনে বাড়ি থেকে দৌড়ে গিয়ে দেখি কয়েকটা দোকানে আগুন ছড়িয়ে পড়েছে। পাশে আমারও কয়েকটি দোকান রয়েছে। তবে আমার দোকান আল্লাহ রক্ষা করেছেন।’
নিশিকান্ত দাশ নামের আরেক বাসিন্দা বলেন, বাজারে বাচ্চু মোল্লার মার্কেটের নাসিরের কাপড়ের দোকান থেকে আগুনের সূত্রপাত। আগুনে কমপক্ষে ২০টি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এতে অন্তত কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
বোয়ালমারী ফায়ার সার্ভিসের লিডার খালেক শেখ বলেন, ‘খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর আগেই মধুখালী ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছিলেন। আমরা আসার পরে একযোগে দুই ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা স্থানীয় বাসিন্দাদের সহায়তায় এক ঘণ্টা চেষ্টার ফলে আগুন নেভাতে সক্ষম হই।’
মধুখালী ফায়ার সার্ভিসের ইনচার্জ রাশেদুল আলম বলেন, আগুনে ১৩টি দোকান পুড়ে গেছে। এক ঘণ্টার আগেই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়; তবে অভিযান সম্পন্ন করতে প্রায় দেড় ঘণ্টা লেগেছে। ধারণা করা হচ্ছে, বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিটের মাধ্যমে আগুনের সূত্রপাত। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আরও পরে হয়তো জানা যাবে।
ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার কাদিরদি বাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। শনিবার (১৮ অক্টোবর) দিবাগত রাত ১০টার দিকে বাচ্চু মোল্লার মার্কেটে এই আগুন লাগে। এতে মুদি, কাপড়, ওষুধ, জুতা, বীজসহ কমপক্ষে ২০টি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা বলছেন, আগুনে অন্তত কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। খবর পেয়ে স্থানীয় লোকজন এবং মধুখালী ও বোয়ালমারী ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা প্রায় দেড় ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।
এলাকাবাসী ও ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা গেছে, রাত ১০টার দিকে বাজারের বাচ্চু মোল্লার মার্কেটে নাসিরের কাপড়ের দোকান থেকে আগুনের সূত্রপাত। দ্রুত সময়ে আগুন পার্শ্ববর্তী মুদি, ওষুধ, চা, বীজ, জুতার দোকানসহ অন্যান্য দোকানে ছড়িয়ে পড়ে।
স্থানীয় বাসিন্দা অবসরপ্রাপ্ত সেনাসদস্য মনির হোসেন বলেন, ‘বাজারের ব্যবসায়ীরা দোকানপাট বন্ধ করে চলে যাওয়ায় বাজারে পাহারাদার ছাড়া বেশি লোক ছিল না। আগুনের শোরগোল শুনে বাড়ি থেকে দৌড়ে গিয়ে দেখি কয়েকটা দোকানে আগুন ছড়িয়ে পড়েছে। পাশে আমারও কয়েকটি দোকান রয়েছে। তবে আমার দোকান আল্লাহ রক্ষা করেছেন।’
নিশিকান্ত দাশ নামের আরেক বাসিন্দা বলেন, বাজারে বাচ্চু মোল্লার মার্কেটের নাসিরের কাপড়ের দোকান থেকে আগুনের সূত্রপাত। আগুনে কমপক্ষে ২০টি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এতে অন্তত কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
বোয়ালমারী ফায়ার সার্ভিসের লিডার খালেক শেখ বলেন, ‘খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর আগেই মধুখালী ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছিলেন। আমরা আসার পরে একযোগে দুই ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা স্থানীয় বাসিন্দাদের সহায়তায় এক ঘণ্টা চেষ্টার ফলে আগুন নেভাতে সক্ষম হই।’
মধুখালী ফায়ার সার্ভিসের ইনচার্জ রাশেদুল আলম বলেন, আগুনে ১৩টি দোকান পুড়ে গেছে। এক ঘণ্টার আগেই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়; তবে অভিযান সম্পন্ন করতে প্রায় দেড় ঘণ্টা লেগেছে। ধারণা করা হচ্ছে, বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিটের মাধ্যমে আগুনের সূত্রপাত। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আরও পরে হয়তো জানা যাবে।
নিষিদ্ধঘোষিত আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের ব্যানারে সরকারবিরোধী গোপন বৈঠক, শেখ হাসিনার ‘প্রত্যাবর্তন পরিকল্পনা’ ও রাজধানীতে প্রশিক্ষণমূলক কর্মকাণ্ড—সব মিলিয়ে ফের সরব হয়ে উঠেছে রাজনৈতিক নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষাকারী একটি শক্তি। এই অভিযোগে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার একটি কনভেনশন সেন্টার থেকে সংঘবদ্ধভাবে পরিকল্পনার অভি
৩১ জুলাই ২০২৫গেটের সামনে ভিড় করছেন কার্গো ভিলেজের কর্মচারীরা। উদ্বেগ প্রকাশ করে তাঁরা বলছেন, এখনো ধোঁয়া বের হচ্ছে। মনে হচ্ছে, আগুন পুরোপুরি নেভেনি। পুরো আমদানি কার্গো ভিলেজ পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
১৯ মিনিট আগেপুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শনিবার দিবাগত রাতের কোনো এক সময় দুর্বৃত্তরা এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। ভোররাতে পরিবারের লোকজন বাইরে বের হয়ে মুসার রক্তাক্ত লাশ দেখতে পায়। নিহত ব্যক্তির বুকে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের একাধিক চিহ্ন পাওয়া গেছে।
২২ মিনিট আগেমেহেরপুরের গাংনী উপজেলার বামন্দী ইউনিয়নের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত বামন্দী নিশিপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজ এবং বামন্দী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠ টানা চার মাস জলমগ্ন অবস্থায় রয়েছে। দীর্ঘদিনের এই জলাবদ্ধতা নিরসনে কর্তৃপক্ষ কোনো উদ্যোগ না নেওয়ায় দুই প্রতিষ্ঠানের হাজারো শিক্ষার্থীর পাঠদান মারাত্মকভাবে ব্যা
৩৮ মিনিট আগেমেহেরপুর প্রতিনিধি
মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার বামন্দী ইউনিয়নের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত বামন্দী নিশিপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজ এবং বামন্দী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠ টানা চার মাস জলমগ্ন অবস্থায় রয়েছে। দীর্ঘদিনের এই জলাবদ্ধতা নিরসনে কর্তৃপক্ষ কোনো উদ্যোগ না নেওয়ায় দুই প্রতিষ্ঠানের হাজারো শিক্ষার্থীর পাঠদান মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। পাশাপাশি খেলাধুলা বন্ধ থাকায় উঠতি বয়সের ছেলেরা মাদকাসক্তে জড়িয়ে পড়ার দুশ্চিন্তা করছেন অভিভাবকেরা।
দীর্ঘ চার মাস জলাবদ্ধতা থাকায় এই দুটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরিবেশ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সামান্য বৃষ্টিতেই মাঠে পানি জমে যায় এবং নিষ্কাশনের কোনো ব্যবস্থা না থাকায় তা দীর্ঘস্থায়ী রূপ নেয়। জলাবদ্ধতার কারণে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের প্রতিষ্ঠানে আসা-যাওয়া অত্যন্ত কষ্টকর হয়ে উঠেছে। অভিভাবক এবং প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ এই পানি থেকে রোগ ছড়ানোর আশঙ্কায় চরম দুশ্চিন্তা করছে।
স্থানীয় বাসিন্দা ও অভিভাবক সোহেল রানা বাবু বলেন, বামন্দীর প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত দুটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দীর্ঘদিন ধরে জলাবদ্ধতা তৈরি হয়েছে, কিন্তু এখন পর্যন্ত ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ কোনো উদ্যোগ নেয়নি। কোমলমতি শিক্ষার্থীদের কথা চিন্তা করে অতিদ্রুত পানি নিষ্কাশন করা উচিত।
সোহেল রানা আরও বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে এই দুটি প্রতিষ্ঠানে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হলেও কর্তৃপক্ষ কোনো কার্যকর উদ্যোগ নেয়নি। আমি আমার ছোট সন্তানকে এই প্রতিষ্ঠানে পাঠাতে ভয় পাই কোনো দুর্ঘটনা ঘটবে বলে। তা ছাড়া এই পানি এত নোংরা যে এখান থেকে বড় ধরনের কোনো রোগ ছড়াতে পারে।’
জলাবদ্ধতার কারণে শিক্ষার্থীদের স্বাভাবিক লেখাপড়ার পাশাপাশি শারীরিক ও মানসিক বিকাশও বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী সাজিম হোসেনের ভাষ্য, ‘আমরা দীর্ঘদিন ধরে এই জলাবদ্ধতার মধ্য দিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আসছি। এতে আমাদের জামাকাপড় নোংরা হয়ে যায়। লেখাপড়ার ক্ষতি হচ্ছে। খেলাধুলা করতে পারছি না। দ্রুত পানি নিষ্কাশন করে লেখাপড়ার পরিবেশ ও খেলার মাঠের উপযোগী করে দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।’
পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী সিয়াম আহমেদ বলে, ‘স্কুলে এসে এই নোংরা পানিতে পড়ে গিয়ে অনেকের বই ও পোশাক ভিজে যায়। দীর্ঘদিন ধরে খেলাধুলা করতে না পারায় আমাদের খুব খারাপ লাগছে। কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ, তারা যেন স্কুলমাঠের পানি বের করে দেওয়ার ব্যবস্থা করে।’
বামন্দী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. হাফিজুর রহমান বলেন, আমরা চার মাস ধরে এই জলাবদ্ধতার মধ্যে রয়েছি। জলাবদ্ধতার কারণে আমাদের একটি ক্লাসরুম বন্ধ রয়েছে। এখানে বাচ্চাদের নিরাপত্তা চরমভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে। আমরা বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। তবে এর কোনো সমাধান পাইনি। আদৌ এর সমাধান পাব কি না, জানি না। তবে আমাদের কষ্টের শেষ নেই।’
বামন্দী নিশিপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ সাজ্জাদুল আলম বলেন, ‘বামন্দী নিশিপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজ আঙিনায় জলাবদ্ধতার কারণে আমাদের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের আসা-যাওয়া অত্যন্ত কষ্টকর হয়ে যাচ্ছে। তাই গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও জেলা প্রশাসকের কাছে আকুল আবেদন, অতিদ্রুত পানি নিষ্কাশন করে লেখাপড়ার পরিবেশ করে দিন। আর জেলা পরিষদের যে ২ লাখ টাকার কাজ হওয়ার কথা, তা এখনো হয়নি। তাই এটা দেখার জন্য কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছি।
বামন্দী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল আওয়াল বলেন, ‘বামন্দী নিশিপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজ ও বামন্দী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের যে মাঠ রয়েছে, তা এখন কেউ স্কুলের মাঠ বলবে না। ওটাকে এখন ডোবা বা পুকুর বলবে। ছোট শিশুরা স্কুলে আসে। তারা যদি কোনো দুর্ঘটনায় পড়ে তাহলে এর দায়িত্ব কে নেবে। আমরা আমাদের সন্তানদের নিয়ে অনেক চিন্তিত। তাই উপজেলা প্রশাসন ও জেলা প্রশাসনকে অনুরোধ করব এই পানি নিষ্কাশন করে শিক্ষার পরিবেশ ফিরিয়ে আনার। তা ছাড়া যুবসমাজের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ খেলাধুল। তারা খেলাধুলা করতে পারছে না। এ কারণে মাদকাসক্ত হওয়ার ভয়ও বেশি থাকে। ছেলেদের ভবিষ্যৎ যাতে নষ্ট না হয়, সেই কথা বিবেচনা করে অতিদ্রুত পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত। তাই প্রশাসনের নিকট জোরালো দাবি জানাচ্ছি দ্রুত ড্রেনেজের ব্যবস্থা করে এই পানি নিষ্কাশন করার।’
গাংনী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) এস এম জয়নুল ইসলাম বলেন, বামন্দী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ যেসব বিদ্যালয়ে জলাবদ্ধতার কারণে শিক্ষার্থীর পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে, তা দ্রুত নিরসনের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
গাংনী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা (অতিরিক্ত) মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘জলাবদ্ধতার বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে। আর জলাবদ্ধতা নিরসনের ব্যাপারে তারা যেভাবে নির্দেশনা দেবেন, সেভাবে কাজ করব।
গাংনী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘বামন্দী নিশিপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজের নিজস্ব গভর্নিং বডি রয়েছে। তা ছাড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নিজস্ব কিছু আয় রয়েছে। আমরা তাদের নির্দেশনা দিয়েছি জলাবদ্ধতা নিরসনের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে। তা ছাড়া কোনো সহযোগিতা লাগলে সে বিষয়ে বিভিন্ন পরামর্শসহ সহযোগিতা করা হবে। আর বামন্দী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যে জলাবদ্ধতা তৈরি হয়েছে, আমরা সংশ্লিষ্ট ডিপার্টমেন্টের সঙ্গে কথা বলে কীভাবে জলাবদ্ধতা দূর করা যায়, সে বিষয়টিও দেখব।’
মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার বামন্দী ইউনিয়নের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত বামন্দী নিশিপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজ এবং বামন্দী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠ টানা চার মাস জলমগ্ন অবস্থায় রয়েছে। দীর্ঘদিনের এই জলাবদ্ধতা নিরসনে কর্তৃপক্ষ কোনো উদ্যোগ না নেওয়ায় দুই প্রতিষ্ঠানের হাজারো শিক্ষার্থীর পাঠদান মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। পাশাপাশি খেলাধুলা বন্ধ থাকায় উঠতি বয়সের ছেলেরা মাদকাসক্তে জড়িয়ে পড়ার দুশ্চিন্তা করছেন অভিভাবকেরা।
দীর্ঘ চার মাস জলাবদ্ধতা থাকায় এই দুটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরিবেশ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সামান্য বৃষ্টিতেই মাঠে পানি জমে যায় এবং নিষ্কাশনের কোনো ব্যবস্থা না থাকায় তা দীর্ঘস্থায়ী রূপ নেয়। জলাবদ্ধতার কারণে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের প্রতিষ্ঠানে আসা-যাওয়া অত্যন্ত কষ্টকর হয়ে উঠেছে। অভিভাবক এবং প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ এই পানি থেকে রোগ ছড়ানোর আশঙ্কায় চরম দুশ্চিন্তা করছে।
স্থানীয় বাসিন্দা ও অভিভাবক সোহেল রানা বাবু বলেন, বামন্দীর প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত দুটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দীর্ঘদিন ধরে জলাবদ্ধতা তৈরি হয়েছে, কিন্তু এখন পর্যন্ত ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ কোনো উদ্যোগ নেয়নি। কোমলমতি শিক্ষার্থীদের কথা চিন্তা করে অতিদ্রুত পানি নিষ্কাশন করা উচিত।
সোহেল রানা আরও বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে এই দুটি প্রতিষ্ঠানে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হলেও কর্তৃপক্ষ কোনো কার্যকর উদ্যোগ নেয়নি। আমি আমার ছোট সন্তানকে এই প্রতিষ্ঠানে পাঠাতে ভয় পাই কোনো দুর্ঘটনা ঘটবে বলে। তা ছাড়া এই পানি এত নোংরা যে এখান থেকে বড় ধরনের কোনো রোগ ছড়াতে পারে।’
জলাবদ্ধতার কারণে শিক্ষার্থীদের স্বাভাবিক লেখাপড়ার পাশাপাশি শারীরিক ও মানসিক বিকাশও বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী সাজিম হোসেনের ভাষ্য, ‘আমরা দীর্ঘদিন ধরে এই জলাবদ্ধতার মধ্য দিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আসছি। এতে আমাদের জামাকাপড় নোংরা হয়ে যায়। লেখাপড়ার ক্ষতি হচ্ছে। খেলাধুলা করতে পারছি না। দ্রুত পানি নিষ্কাশন করে লেখাপড়ার পরিবেশ ও খেলার মাঠের উপযোগী করে দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।’
পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী সিয়াম আহমেদ বলে, ‘স্কুলে এসে এই নোংরা পানিতে পড়ে গিয়ে অনেকের বই ও পোশাক ভিজে যায়। দীর্ঘদিন ধরে খেলাধুলা করতে না পারায় আমাদের খুব খারাপ লাগছে। কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ, তারা যেন স্কুলমাঠের পানি বের করে দেওয়ার ব্যবস্থা করে।’
বামন্দী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. হাফিজুর রহমান বলেন, আমরা চার মাস ধরে এই জলাবদ্ধতার মধ্যে রয়েছি। জলাবদ্ধতার কারণে আমাদের একটি ক্লাসরুম বন্ধ রয়েছে। এখানে বাচ্চাদের নিরাপত্তা চরমভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে। আমরা বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। তবে এর কোনো সমাধান পাইনি। আদৌ এর সমাধান পাব কি না, জানি না। তবে আমাদের কষ্টের শেষ নেই।’
বামন্দী নিশিপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ সাজ্জাদুল আলম বলেন, ‘বামন্দী নিশিপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজ আঙিনায় জলাবদ্ধতার কারণে আমাদের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের আসা-যাওয়া অত্যন্ত কষ্টকর হয়ে যাচ্ছে। তাই গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও জেলা প্রশাসকের কাছে আকুল আবেদন, অতিদ্রুত পানি নিষ্কাশন করে লেখাপড়ার পরিবেশ করে দিন। আর জেলা পরিষদের যে ২ লাখ টাকার কাজ হওয়ার কথা, তা এখনো হয়নি। তাই এটা দেখার জন্য কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছি।
বামন্দী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল আওয়াল বলেন, ‘বামন্দী নিশিপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজ ও বামন্দী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের যে মাঠ রয়েছে, তা এখন কেউ স্কুলের মাঠ বলবে না। ওটাকে এখন ডোবা বা পুকুর বলবে। ছোট শিশুরা স্কুলে আসে। তারা যদি কোনো দুর্ঘটনায় পড়ে তাহলে এর দায়িত্ব কে নেবে। আমরা আমাদের সন্তানদের নিয়ে অনেক চিন্তিত। তাই উপজেলা প্রশাসন ও জেলা প্রশাসনকে অনুরোধ করব এই পানি নিষ্কাশন করে শিক্ষার পরিবেশ ফিরিয়ে আনার। তা ছাড়া যুবসমাজের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ খেলাধুল। তারা খেলাধুলা করতে পারছে না। এ কারণে মাদকাসক্ত হওয়ার ভয়ও বেশি থাকে। ছেলেদের ভবিষ্যৎ যাতে নষ্ট না হয়, সেই কথা বিবেচনা করে অতিদ্রুত পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত। তাই প্রশাসনের নিকট জোরালো দাবি জানাচ্ছি দ্রুত ড্রেনেজের ব্যবস্থা করে এই পানি নিষ্কাশন করার।’
গাংনী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) এস এম জয়নুল ইসলাম বলেন, বামন্দী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ যেসব বিদ্যালয়ে জলাবদ্ধতার কারণে শিক্ষার্থীর পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে, তা দ্রুত নিরসনের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
গাংনী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা (অতিরিক্ত) মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘জলাবদ্ধতার বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে। আর জলাবদ্ধতা নিরসনের ব্যাপারে তারা যেভাবে নির্দেশনা দেবেন, সেভাবে কাজ করব।
গাংনী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘বামন্দী নিশিপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজের নিজস্ব গভর্নিং বডি রয়েছে। তা ছাড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নিজস্ব কিছু আয় রয়েছে। আমরা তাদের নির্দেশনা দিয়েছি জলাবদ্ধতা নিরসনের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে। তা ছাড়া কোনো সহযোগিতা লাগলে সে বিষয়ে বিভিন্ন পরামর্শসহ সহযোগিতা করা হবে। আর বামন্দী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যে জলাবদ্ধতা তৈরি হয়েছে, আমরা সংশ্লিষ্ট ডিপার্টমেন্টের সঙ্গে কথা বলে কীভাবে জলাবদ্ধতা দূর করা যায়, সে বিষয়টিও দেখব।’
নিষিদ্ধঘোষিত আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের ব্যানারে সরকারবিরোধী গোপন বৈঠক, শেখ হাসিনার ‘প্রত্যাবর্তন পরিকল্পনা’ ও রাজধানীতে প্রশিক্ষণমূলক কর্মকাণ্ড—সব মিলিয়ে ফের সরব হয়ে উঠেছে রাজনৈতিক নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষাকারী একটি শক্তি। এই অভিযোগে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার একটি কনভেনশন সেন্টার থেকে সংঘবদ্ধভাবে পরিকল্পনার অভি
৩১ জুলাই ২০২৫গেটের সামনে ভিড় করছেন কার্গো ভিলেজের কর্মচারীরা। উদ্বেগ প্রকাশ করে তাঁরা বলছেন, এখনো ধোঁয়া বের হচ্ছে। মনে হচ্ছে, আগুন পুরোপুরি নেভেনি। পুরো আমদানি কার্গো ভিলেজ পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
১৯ মিনিট আগেপুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শনিবার দিবাগত রাতের কোনো এক সময় দুর্বৃত্তরা এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। ভোররাতে পরিবারের লোকজন বাইরে বের হয়ে মুসার রক্তাক্ত লাশ দেখতে পায়। নিহত ব্যক্তির বুকে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের একাধিক চিহ্ন পাওয়া গেছে।
২২ মিনিট আগেফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার কাদিরদি বাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। শনিবার (১৮ অক্টোবর) দিবাগত রাত ১০টার দিকে বাচ্চু মোল্লার মার্কেটে এই আগুন লাগে। এতে মুদি, কাপড়, ওষুধ, জুতা, বীজসহ কমপক্ষে ২০টি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
৩৪ মিনিট আগে