সৈয়দ ঋয়াদ, ঢাকা

ঢাকাসহ দেশজুড়ে অনুভূত ২১ নভেম্বরের প্রবল ভূমিকম্পের জের মানুষের মন থেকে কাটেনি। ৫ দশমিক ৭ মাত্রার ভূমিকম্পের পর এক সপ্তাহে আরও সাতবার কিছুটা কম মাত্রার ভূমিকম্প বা পরাঘাতে কেঁপেছে দেশ। এই অবস্থায় লাখ লাখ বহুতল ভবনসহ অসংখ্য পাকা বাড়িতে ঠাসা রাজধানীজুড়েই উদ্বেগ রয়ে গেছে। ভবন নির্মাণের ক্ষেত্রে বিধিবিধান মানা এবং এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষের সক্রিয় নজরদারি কম থাকা উদ্বেগের বড় কারণ। বড় ভূমিকম্প-পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকারি কর্তৃপক্ষ ও নাগরিকদের প্রস্তুতি কতটা, সেই প্রশ্নও অনিবার্যভাবে উঠে এসেছে।
ভূমিকম্প বিশেষজ্ঞ ও প্রকৌশলীরা বলছেন, রাজধানীতে ৭ মাত্রার ভূমিকম্প হলেও ভয়াবহ বিপর্যয় হতে পারে। শতাব্দীর বেশি সময় এই অঞ্চলে খুব বড় মাত্রার ভূমিকম্প না হওয়ায় ভূগর্ভে টেকটোনিক প্লেটগুলোর সংযোগস্থলে প্রচুর শক্তি সঞ্চিত হয়েছে। এ কারণে এখানে বড় ভূমিকম্পের আশঙ্কা রয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কিছু আগে-পরে তা ঘটবেই। তবে তা কবে হবে, আগেই বলা সম্ভব নয়। এ কারণে ভবন নির্মাণ ও সংস্কারে সতর্কতা এবং ভূমিকম্প ঘটলে করণীয় বিষয়ে সচেতনতার দিকে নজর দেওয়াই সবচেয়ে জরুরি কাজ। এ ক্ষেত্রে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।
গত ১০ বছরে রাজউক, বুয়েট ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের করা গবেষণায় বলা হয়েছে, রাজধানীর নদী-তীরবর্তী বা নিচু জলাভূমি ভরাট করে তৈরি করা এলাকাগুলো ভূমিকম্পের ক্ষেত্রে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ। এসব স্থানে ভবন নির্মাণে বাড়তি সতর্কতার কথা বলা হয়েছে। তবে রাজধানীর আরও অনেক এলাকার মতো নিচু জমি ভরাট করে নির্মিত ভবনগুলোরও বেশির ভাগ তৈরি হয়েছে যথাযথভাবে নিয়ম না মেনে। খোদ রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) নিজেদের সমীক্ষার বরাত দিয়ে বলেছে, টাঙ্গাইলের মধুপুর ফল্টে (চ্যুতি) ৬ দশমিক ৯ মাত্রার ভূমিকম্প হলে ঢাকা শহরের ৪০ শতাংশ ভবন ধসে পড়তে পারে।
বুয়েটসহ বিভিন্ন গবেষণাপ্রতিষ্ঠানের গবেষণা বলছে, পুরান ঢাকার অর্ধেকের বেশি ভবনের বয়স ৩০ থেকে ৪৫ বছর। নিচু জমিতে বালু ফেলে অসংখ্য বহুতল ভবন নির্মাণ করা হয়েছে মিরপুর ও মোহাম্মদপুরে।
ফায়ার সার্ভিসের প্রস্তুতি
ভূমিকম্পের বিষয়ে ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের প্রস্তুতি নিয়ে জানতে চাইলে সংস্থাটির পরিচালক (প্রশিক্ষণ, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) লে. কর্নেল এম এ আজাদ আনোয়ার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ভূমিকম্পের মাত্রার ওপর নির্ভর করবে সবকিছু। আমাদের যথেষ্ট দক্ষ জনবল রয়েছে। কেউ কেউ বলছেন যন্ত্রপাতির কথা। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা ধারণা করছেন, ৭ বা ৭ দশমিক ৫ মাত্রার ভূমিকম্প হলে ৪ থেকে ৬ লাখ ভবন ধসে পড়তে পারে। এই অবস্থায় শুধু যন্ত্রপাতির সংখ্যার বিষয়টি আর বিবেচ্য হবে না; তখন এটি আর সক্ষমতার মধ্যে থাকবে না। ভয়াবহ ভূমিকম্পে আধুনিক প্রযুক্তিও কখনো কখনো অপর্যাপ্ত হয়ে পড়ে।’
আজাদ আনোয়ার আরও বলেন, ‘বাস্তবতা হচ্ছে, কিছু জায়গায় ফায়ার সার্ভিস পৌঁছাতেও পারবে না। আর ৪৮ বা ৭২ ঘণ্টা পর উদ্ধার করা হলেও তা খুব একটা ফলপ্রসূ কিছু হবে না। এই ধরনের দুর্যোগে পুরো জাতিকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। সরকারি-বেসরকারি সব উদ্যোগ প্রয়োজন হবে।’
গবেষণায় বলা হয়েছে, ঢাকার ৫০ শতাংশ ভবন নির্মিত হয়েছে মাটির সঠিক গুণগত মান পরীক্ষা ছাড়াই। নকশা অনুযায়ী রড বা কংক্রিট ব্যবহার করা হয়নি ৪০ শতাংশ ভবনে। আর ২৫ শতাংশ বাণিজ্যিক ভবনে অনুমোদিত নকশা পরে পরিবর্তন করা হয়েছে। এই বাস্তবতায় প্রকৌশলী ও স্থপতিরা ঢাকায় ভবন নির্মাণের বিষয়ে সতর্কবার্তা দিয়েছেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ভূমিকম্প বিশারদ সৈয়দ হুমায়ুন আখতার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘রাজধানী ঢাকার মতো একটি জনবহুল শহর দিনের পর দিন অপরিকল্পিতভাবে গড়ে উঠেছে। এখন হঠাৎ রাতারাতি সিদ্ধান্ত নিয়ে কোনো কিছু পরিবর্তন করা যাবে না। তবে জনগণকে সচেতন করা, এই বিষয়ে গণমাধ্যমে বেশি বেশি প্রচার করা, বিভিন্ন বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টি করা জরুরি। তাহলে ক্ষতি কমানো সম্ভব।’
বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, ভবনের কলামে ৩ মিলিমিটারের বেশি চওড়া ফাটল, বিমে তির্যক ফাটল এবং বেসমেন্ট, ছাদ বা লিফটের শ্যাফটে দীর্ঘ ফাটল থাকলে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে।
পুরান ঢাকার চকবাজারের এক ব্যবসায়ী বললেন, ‘শুক্রবারের ভূমিকম্পের পর দরজা আটকে যায়। দেয়ালেও ফাটল। কিন্তু এখান থেকে বের হয়ে যাব কোথায়? নিরাপদ বাসা কোথায় পাব? নিশ্চয়তা কী?’
আতঙ্কিত হওয়া যাবে না
আমাদের দেশে সাধারণত ভূমিকম্পের সময় আতঙ্কিত হয়ে বেশি হতাহতের ঘটনা ঘটে। গত শুক্রবারের ভূমিকম্পটি বড় ধরনের ঝাঁকুনি দেওয়ায় তা আতঙ্কিত করেছে সবাইকে। তবে এ বিষয়ে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের ২৫০ শয্যার টিবি হাসপাতালের উপপরিচালক আয়শা আক্তার বলেন, ‘ভূমিকম্পে আতঙ্কিত হওয়া যাবে না; বিশেষ করে শিশু, নারী ও বৃদ্ধরা ট্রমাটাইজড হয়ে পড়ে। এতে ঝুঁকি আরও বাড়বে। ভূমিকম্পের সময় সবাইকে ভবনের নিরাপদ স্থানে থাকার চেষ্টা করতে হবে। ফায়ার সার্ভিসসহ কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা মানতে হবে।’
বিশেষজ্ঞ পরামর্শ
পরিস্থিতি মোকাবিলায় উচ্চ ঝুঁকিতে থাকা ভবনের তালিকা প্রকাশ, সরকারি-বেসরকারি জরুরি ইঞ্জিনিয়ারিং ইউনিট গঠন, ফল্টলাইনভিত্তিক রিস্ক জোন চিহ্নিত করা, পুরান ঢাকা ও মিরপুরে বাধ্যতামূলক নিরাপত্তা সমীক্ষা, ভবন সংস্কারে রাষ্ট্রীয় বরাদ্দ বা তহবিল ও জনগণকে ফাটল-নিরাপত্তা বিষয়ে সচেতন করার ব্যাপারে গুরুত্ব দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটির বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সদস্য নগর ও পরিবেশবিদ স্থপতি ইকবাল হাবিব আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘রাজধানী ঢাকার ভবনগুলোর ৯৪ শতাংশ কোনো না কোনোভাবে অবৈধ ও অনুমোদনহীন। একটি নীতিমালার মধ্য দিয়ে প্রতিটি ভবন পরীক্ষা করে সেগুলো নিরাপদ করার একটি সরকারি নির্দেশনা থাকা সত্ত্বেও মন্ত্রণালয় সেটি বাস্তবায়ন করছে না।’

ঢাকাসহ দেশজুড়ে অনুভূত ২১ নভেম্বরের প্রবল ভূমিকম্পের জের মানুষের মন থেকে কাটেনি। ৫ দশমিক ৭ মাত্রার ভূমিকম্পের পর এক সপ্তাহে আরও সাতবার কিছুটা কম মাত্রার ভূমিকম্প বা পরাঘাতে কেঁপেছে দেশ। এই অবস্থায় লাখ লাখ বহুতল ভবনসহ অসংখ্য পাকা বাড়িতে ঠাসা রাজধানীজুড়েই উদ্বেগ রয়ে গেছে। ভবন নির্মাণের ক্ষেত্রে বিধিবিধান মানা এবং এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষের সক্রিয় নজরদারি কম থাকা উদ্বেগের বড় কারণ। বড় ভূমিকম্প-পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকারি কর্তৃপক্ষ ও নাগরিকদের প্রস্তুতি কতটা, সেই প্রশ্নও অনিবার্যভাবে উঠে এসেছে।
ভূমিকম্প বিশেষজ্ঞ ও প্রকৌশলীরা বলছেন, রাজধানীতে ৭ মাত্রার ভূমিকম্প হলেও ভয়াবহ বিপর্যয় হতে পারে। শতাব্দীর বেশি সময় এই অঞ্চলে খুব বড় মাত্রার ভূমিকম্প না হওয়ায় ভূগর্ভে টেকটোনিক প্লেটগুলোর সংযোগস্থলে প্রচুর শক্তি সঞ্চিত হয়েছে। এ কারণে এখানে বড় ভূমিকম্পের আশঙ্কা রয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কিছু আগে-পরে তা ঘটবেই। তবে তা কবে হবে, আগেই বলা সম্ভব নয়। এ কারণে ভবন নির্মাণ ও সংস্কারে সতর্কতা এবং ভূমিকম্প ঘটলে করণীয় বিষয়ে সচেতনতার দিকে নজর দেওয়াই সবচেয়ে জরুরি কাজ। এ ক্ষেত্রে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।
গত ১০ বছরে রাজউক, বুয়েট ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের করা গবেষণায় বলা হয়েছে, রাজধানীর নদী-তীরবর্তী বা নিচু জলাভূমি ভরাট করে তৈরি করা এলাকাগুলো ভূমিকম্পের ক্ষেত্রে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ। এসব স্থানে ভবন নির্মাণে বাড়তি সতর্কতার কথা বলা হয়েছে। তবে রাজধানীর আরও অনেক এলাকার মতো নিচু জমি ভরাট করে নির্মিত ভবনগুলোরও বেশির ভাগ তৈরি হয়েছে যথাযথভাবে নিয়ম না মেনে। খোদ রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) নিজেদের সমীক্ষার বরাত দিয়ে বলেছে, টাঙ্গাইলের মধুপুর ফল্টে (চ্যুতি) ৬ দশমিক ৯ মাত্রার ভূমিকম্প হলে ঢাকা শহরের ৪০ শতাংশ ভবন ধসে পড়তে পারে।
বুয়েটসহ বিভিন্ন গবেষণাপ্রতিষ্ঠানের গবেষণা বলছে, পুরান ঢাকার অর্ধেকের বেশি ভবনের বয়স ৩০ থেকে ৪৫ বছর। নিচু জমিতে বালু ফেলে অসংখ্য বহুতল ভবন নির্মাণ করা হয়েছে মিরপুর ও মোহাম্মদপুরে।
ফায়ার সার্ভিসের প্রস্তুতি
ভূমিকম্পের বিষয়ে ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের প্রস্তুতি নিয়ে জানতে চাইলে সংস্থাটির পরিচালক (প্রশিক্ষণ, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) লে. কর্নেল এম এ আজাদ আনোয়ার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ভূমিকম্পের মাত্রার ওপর নির্ভর করবে সবকিছু। আমাদের যথেষ্ট দক্ষ জনবল রয়েছে। কেউ কেউ বলছেন যন্ত্রপাতির কথা। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা ধারণা করছেন, ৭ বা ৭ দশমিক ৫ মাত্রার ভূমিকম্প হলে ৪ থেকে ৬ লাখ ভবন ধসে পড়তে পারে। এই অবস্থায় শুধু যন্ত্রপাতির সংখ্যার বিষয়টি আর বিবেচ্য হবে না; তখন এটি আর সক্ষমতার মধ্যে থাকবে না। ভয়াবহ ভূমিকম্পে আধুনিক প্রযুক্তিও কখনো কখনো অপর্যাপ্ত হয়ে পড়ে।’
আজাদ আনোয়ার আরও বলেন, ‘বাস্তবতা হচ্ছে, কিছু জায়গায় ফায়ার সার্ভিস পৌঁছাতেও পারবে না। আর ৪৮ বা ৭২ ঘণ্টা পর উদ্ধার করা হলেও তা খুব একটা ফলপ্রসূ কিছু হবে না। এই ধরনের দুর্যোগে পুরো জাতিকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। সরকারি-বেসরকারি সব উদ্যোগ প্রয়োজন হবে।’
গবেষণায় বলা হয়েছে, ঢাকার ৫০ শতাংশ ভবন নির্মিত হয়েছে মাটির সঠিক গুণগত মান পরীক্ষা ছাড়াই। নকশা অনুযায়ী রড বা কংক্রিট ব্যবহার করা হয়নি ৪০ শতাংশ ভবনে। আর ২৫ শতাংশ বাণিজ্যিক ভবনে অনুমোদিত নকশা পরে পরিবর্তন করা হয়েছে। এই বাস্তবতায় প্রকৌশলী ও স্থপতিরা ঢাকায় ভবন নির্মাণের বিষয়ে সতর্কবার্তা দিয়েছেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ভূমিকম্প বিশারদ সৈয়দ হুমায়ুন আখতার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘রাজধানী ঢাকার মতো একটি জনবহুল শহর দিনের পর দিন অপরিকল্পিতভাবে গড়ে উঠেছে। এখন হঠাৎ রাতারাতি সিদ্ধান্ত নিয়ে কোনো কিছু পরিবর্তন করা যাবে না। তবে জনগণকে সচেতন করা, এই বিষয়ে গণমাধ্যমে বেশি বেশি প্রচার করা, বিভিন্ন বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টি করা জরুরি। তাহলে ক্ষতি কমানো সম্ভব।’
বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, ভবনের কলামে ৩ মিলিমিটারের বেশি চওড়া ফাটল, বিমে তির্যক ফাটল এবং বেসমেন্ট, ছাদ বা লিফটের শ্যাফটে দীর্ঘ ফাটল থাকলে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে।
পুরান ঢাকার চকবাজারের এক ব্যবসায়ী বললেন, ‘শুক্রবারের ভূমিকম্পের পর দরজা আটকে যায়। দেয়ালেও ফাটল। কিন্তু এখান থেকে বের হয়ে যাব কোথায়? নিরাপদ বাসা কোথায় পাব? নিশ্চয়তা কী?’
আতঙ্কিত হওয়া যাবে না
আমাদের দেশে সাধারণত ভূমিকম্পের সময় আতঙ্কিত হয়ে বেশি হতাহতের ঘটনা ঘটে। গত শুক্রবারের ভূমিকম্পটি বড় ধরনের ঝাঁকুনি দেওয়ায় তা আতঙ্কিত করেছে সবাইকে। তবে এ বিষয়ে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের ২৫০ শয্যার টিবি হাসপাতালের উপপরিচালক আয়শা আক্তার বলেন, ‘ভূমিকম্পে আতঙ্কিত হওয়া যাবে না; বিশেষ করে শিশু, নারী ও বৃদ্ধরা ট্রমাটাইজড হয়ে পড়ে। এতে ঝুঁকি আরও বাড়বে। ভূমিকম্পের সময় সবাইকে ভবনের নিরাপদ স্থানে থাকার চেষ্টা করতে হবে। ফায়ার সার্ভিসসহ কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা মানতে হবে।’
বিশেষজ্ঞ পরামর্শ
পরিস্থিতি মোকাবিলায় উচ্চ ঝুঁকিতে থাকা ভবনের তালিকা প্রকাশ, সরকারি-বেসরকারি জরুরি ইঞ্জিনিয়ারিং ইউনিট গঠন, ফল্টলাইনভিত্তিক রিস্ক জোন চিহ্নিত করা, পুরান ঢাকা ও মিরপুরে বাধ্যতামূলক নিরাপত্তা সমীক্ষা, ভবন সংস্কারে রাষ্ট্রীয় বরাদ্দ বা তহবিল ও জনগণকে ফাটল-নিরাপত্তা বিষয়ে সচেতন করার ব্যাপারে গুরুত্ব দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটির বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সদস্য নগর ও পরিবেশবিদ স্থপতি ইকবাল হাবিব আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘রাজধানী ঢাকার ভবনগুলোর ৯৪ শতাংশ কোনো না কোনোভাবে অবৈধ ও অনুমোদনহীন। একটি নীতিমালার মধ্য দিয়ে প্রতিটি ভবন পরীক্ষা করে সেগুলো নিরাপদ করার একটি সরকারি নির্দেশনা থাকা সত্ত্বেও মন্ত্রণালয় সেটি বাস্তবায়ন করছে না।’
সৈয়দ ঋয়াদ, ঢাকা

ঢাকাসহ দেশজুড়ে অনুভূত ২১ নভেম্বরের প্রবল ভূমিকম্পের জের মানুষের মন থেকে কাটেনি। ৫ দশমিক ৭ মাত্রার ভূমিকম্পের পর এক সপ্তাহে আরও সাতবার কিছুটা কম মাত্রার ভূমিকম্প বা পরাঘাতে কেঁপেছে দেশ। এই অবস্থায় লাখ লাখ বহুতল ভবনসহ অসংখ্য পাকা বাড়িতে ঠাসা রাজধানীজুড়েই উদ্বেগ রয়ে গেছে। ভবন নির্মাণের ক্ষেত্রে বিধিবিধান মানা এবং এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষের সক্রিয় নজরদারি কম থাকা উদ্বেগের বড় কারণ। বড় ভূমিকম্প-পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকারি কর্তৃপক্ষ ও নাগরিকদের প্রস্তুতি কতটা, সেই প্রশ্নও অনিবার্যভাবে উঠে এসেছে।
ভূমিকম্প বিশেষজ্ঞ ও প্রকৌশলীরা বলছেন, রাজধানীতে ৭ মাত্রার ভূমিকম্প হলেও ভয়াবহ বিপর্যয় হতে পারে। শতাব্দীর বেশি সময় এই অঞ্চলে খুব বড় মাত্রার ভূমিকম্প না হওয়ায় ভূগর্ভে টেকটোনিক প্লেটগুলোর সংযোগস্থলে প্রচুর শক্তি সঞ্চিত হয়েছে। এ কারণে এখানে বড় ভূমিকম্পের আশঙ্কা রয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কিছু আগে-পরে তা ঘটবেই। তবে তা কবে হবে, আগেই বলা সম্ভব নয়। এ কারণে ভবন নির্মাণ ও সংস্কারে সতর্কতা এবং ভূমিকম্প ঘটলে করণীয় বিষয়ে সচেতনতার দিকে নজর দেওয়াই সবচেয়ে জরুরি কাজ। এ ক্ষেত্রে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।
গত ১০ বছরে রাজউক, বুয়েট ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের করা গবেষণায় বলা হয়েছে, রাজধানীর নদী-তীরবর্তী বা নিচু জলাভূমি ভরাট করে তৈরি করা এলাকাগুলো ভূমিকম্পের ক্ষেত্রে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ। এসব স্থানে ভবন নির্মাণে বাড়তি সতর্কতার কথা বলা হয়েছে। তবে রাজধানীর আরও অনেক এলাকার মতো নিচু জমি ভরাট করে নির্মিত ভবনগুলোরও বেশির ভাগ তৈরি হয়েছে যথাযথভাবে নিয়ম না মেনে। খোদ রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) নিজেদের সমীক্ষার বরাত দিয়ে বলেছে, টাঙ্গাইলের মধুপুর ফল্টে (চ্যুতি) ৬ দশমিক ৯ মাত্রার ভূমিকম্প হলে ঢাকা শহরের ৪০ শতাংশ ভবন ধসে পড়তে পারে।
বুয়েটসহ বিভিন্ন গবেষণাপ্রতিষ্ঠানের গবেষণা বলছে, পুরান ঢাকার অর্ধেকের বেশি ভবনের বয়স ৩০ থেকে ৪৫ বছর। নিচু জমিতে বালু ফেলে অসংখ্য বহুতল ভবন নির্মাণ করা হয়েছে মিরপুর ও মোহাম্মদপুরে।
ফায়ার সার্ভিসের প্রস্তুতি
ভূমিকম্পের বিষয়ে ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের প্রস্তুতি নিয়ে জানতে চাইলে সংস্থাটির পরিচালক (প্রশিক্ষণ, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) লে. কর্নেল এম এ আজাদ আনোয়ার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ভূমিকম্পের মাত্রার ওপর নির্ভর করবে সবকিছু। আমাদের যথেষ্ট দক্ষ জনবল রয়েছে। কেউ কেউ বলছেন যন্ত্রপাতির কথা। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা ধারণা করছেন, ৭ বা ৭ দশমিক ৫ মাত্রার ভূমিকম্প হলে ৪ থেকে ৬ লাখ ভবন ধসে পড়তে পারে। এই অবস্থায় শুধু যন্ত্রপাতির সংখ্যার বিষয়টি আর বিবেচ্য হবে না; তখন এটি আর সক্ষমতার মধ্যে থাকবে না। ভয়াবহ ভূমিকম্পে আধুনিক প্রযুক্তিও কখনো কখনো অপর্যাপ্ত হয়ে পড়ে।’
আজাদ আনোয়ার আরও বলেন, ‘বাস্তবতা হচ্ছে, কিছু জায়গায় ফায়ার সার্ভিস পৌঁছাতেও পারবে না। আর ৪৮ বা ৭২ ঘণ্টা পর উদ্ধার করা হলেও তা খুব একটা ফলপ্রসূ কিছু হবে না। এই ধরনের দুর্যোগে পুরো জাতিকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। সরকারি-বেসরকারি সব উদ্যোগ প্রয়োজন হবে।’
গবেষণায় বলা হয়েছে, ঢাকার ৫০ শতাংশ ভবন নির্মিত হয়েছে মাটির সঠিক গুণগত মান পরীক্ষা ছাড়াই। নকশা অনুযায়ী রড বা কংক্রিট ব্যবহার করা হয়নি ৪০ শতাংশ ভবনে। আর ২৫ শতাংশ বাণিজ্যিক ভবনে অনুমোদিত নকশা পরে পরিবর্তন করা হয়েছে। এই বাস্তবতায় প্রকৌশলী ও স্থপতিরা ঢাকায় ভবন নির্মাণের বিষয়ে সতর্কবার্তা দিয়েছেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ভূমিকম্প বিশারদ সৈয়দ হুমায়ুন আখতার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘রাজধানী ঢাকার মতো একটি জনবহুল শহর দিনের পর দিন অপরিকল্পিতভাবে গড়ে উঠেছে। এখন হঠাৎ রাতারাতি সিদ্ধান্ত নিয়ে কোনো কিছু পরিবর্তন করা যাবে না। তবে জনগণকে সচেতন করা, এই বিষয়ে গণমাধ্যমে বেশি বেশি প্রচার করা, বিভিন্ন বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টি করা জরুরি। তাহলে ক্ষতি কমানো সম্ভব।’
বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, ভবনের কলামে ৩ মিলিমিটারের বেশি চওড়া ফাটল, বিমে তির্যক ফাটল এবং বেসমেন্ট, ছাদ বা লিফটের শ্যাফটে দীর্ঘ ফাটল থাকলে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে।
পুরান ঢাকার চকবাজারের এক ব্যবসায়ী বললেন, ‘শুক্রবারের ভূমিকম্পের পর দরজা আটকে যায়। দেয়ালেও ফাটল। কিন্তু এখান থেকে বের হয়ে যাব কোথায়? নিরাপদ বাসা কোথায় পাব? নিশ্চয়তা কী?’
আতঙ্কিত হওয়া যাবে না
আমাদের দেশে সাধারণত ভূমিকম্পের সময় আতঙ্কিত হয়ে বেশি হতাহতের ঘটনা ঘটে। গত শুক্রবারের ভূমিকম্পটি বড় ধরনের ঝাঁকুনি দেওয়ায় তা আতঙ্কিত করেছে সবাইকে। তবে এ বিষয়ে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের ২৫০ শয্যার টিবি হাসপাতালের উপপরিচালক আয়শা আক্তার বলেন, ‘ভূমিকম্পে আতঙ্কিত হওয়া যাবে না; বিশেষ করে শিশু, নারী ও বৃদ্ধরা ট্রমাটাইজড হয়ে পড়ে। এতে ঝুঁকি আরও বাড়বে। ভূমিকম্পের সময় সবাইকে ভবনের নিরাপদ স্থানে থাকার চেষ্টা করতে হবে। ফায়ার সার্ভিসসহ কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা মানতে হবে।’
বিশেষজ্ঞ পরামর্শ
পরিস্থিতি মোকাবিলায় উচ্চ ঝুঁকিতে থাকা ভবনের তালিকা প্রকাশ, সরকারি-বেসরকারি জরুরি ইঞ্জিনিয়ারিং ইউনিট গঠন, ফল্টলাইনভিত্তিক রিস্ক জোন চিহ্নিত করা, পুরান ঢাকা ও মিরপুরে বাধ্যতামূলক নিরাপত্তা সমীক্ষা, ভবন সংস্কারে রাষ্ট্রীয় বরাদ্দ বা তহবিল ও জনগণকে ফাটল-নিরাপত্তা বিষয়ে সচেতন করার ব্যাপারে গুরুত্ব দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটির বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সদস্য নগর ও পরিবেশবিদ স্থপতি ইকবাল হাবিব আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘রাজধানী ঢাকার ভবনগুলোর ৯৪ শতাংশ কোনো না কোনোভাবে অবৈধ ও অনুমোদনহীন। একটি নীতিমালার মধ্য দিয়ে প্রতিটি ভবন পরীক্ষা করে সেগুলো নিরাপদ করার একটি সরকারি নির্দেশনা থাকা সত্ত্বেও মন্ত্রণালয় সেটি বাস্তবায়ন করছে না।’

ঢাকাসহ দেশজুড়ে অনুভূত ২১ নভেম্বরের প্রবল ভূমিকম্পের জের মানুষের মন থেকে কাটেনি। ৫ দশমিক ৭ মাত্রার ভূমিকম্পের পর এক সপ্তাহে আরও সাতবার কিছুটা কম মাত্রার ভূমিকম্প বা পরাঘাতে কেঁপেছে দেশ। এই অবস্থায় লাখ লাখ বহুতল ভবনসহ অসংখ্য পাকা বাড়িতে ঠাসা রাজধানীজুড়েই উদ্বেগ রয়ে গেছে। ভবন নির্মাণের ক্ষেত্রে বিধিবিধান মানা এবং এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষের সক্রিয় নজরদারি কম থাকা উদ্বেগের বড় কারণ। বড় ভূমিকম্প-পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকারি কর্তৃপক্ষ ও নাগরিকদের প্রস্তুতি কতটা, সেই প্রশ্নও অনিবার্যভাবে উঠে এসেছে।
ভূমিকম্প বিশেষজ্ঞ ও প্রকৌশলীরা বলছেন, রাজধানীতে ৭ মাত্রার ভূমিকম্প হলেও ভয়াবহ বিপর্যয় হতে পারে। শতাব্দীর বেশি সময় এই অঞ্চলে খুব বড় মাত্রার ভূমিকম্প না হওয়ায় ভূগর্ভে টেকটোনিক প্লেটগুলোর সংযোগস্থলে প্রচুর শক্তি সঞ্চিত হয়েছে। এ কারণে এখানে বড় ভূমিকম্পের আশঙ্কা রয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কিছু আগে-পরে তা ঘটবেই। তবে তা কবে হবে, আগেই বলা সম্ভব নয়। এ কারণে ভবন নির্মাণ ও সংস্কারে সতর্কতা এবং ভূমিকম্প ঘটলে করণীয় বিষয়ে সচেতনতার দিকে নজর দেওয়াই সবচেয়ে জরুরি কাজ। এ ক্ষেত্রে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।
গত ১০ বছরে রাজউক, বুয়েট ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের করা গবেষণায় বলা হয়েছে, রাজধানীর নদী-তীরবর্তী বা নিচু জলাভূমি ভরাট করে তৈরি করা এলাকাগুলো ভূমিকম্পের ক্ষেত্রে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ। এসব স্থানে ভবন নির্মাণে বাড়তি সতর্কতার কথা বলা হয়েছে। তবে রাজধানীর আরও অনেক এলাকার মতো নিচু জমি ভরাট করে নির্মিত ভবনগুলোরও বেশির ভাগ তৈরি হয়েছে যথাযথভাবে নিয়ম না মেনে। খোদ রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) নিজেদের সমীক্ষার বরাত দিয়ে বলেছে, টাঙ্গাইলের মধুপুর ফল্টে (চ্যুতি) ৬ দশমিক ৯ মাত্রার ভূমিকম্প হলে ঢাকা শহরের ৪০ শতাংশ ভবন ধসে পড়তে পারে।
বুয়েটসহ বিভিন্ন গবেষণাপ্রতিষ্ঠানের গবেষণা বলছে, পুরান ঢাকার অর্ধেকের বেশি ভবনের বয়স ৩০ থেকে ৪৫ বছর। নিচু জমিতে বালু ফেলে অসংখ্য বহুতল ভবন নির্মাণ করা হয়েছে মিরপুর ও মোহাম্মদপুরে।
ফায়ার সার্ভিসের প্রস্তুতি
ভূমিকম্পের বিষয়ে ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের প্রস্তুতি নিয়ে জানতে চাইলে সংস্থাটির পরিচালক (প্রশিক্ষণ, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) লে. কর্নেল এম এ আজাদ আনোয়ার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ভূমিকম্পের মাত্রার ওপর নির্ভর করবে সবকিছু। আমাদের যথেষ্ট দক্ষ জনবল রয়েছে। কেউ কেউ বলছেন যন্ত্রপাতির কথা। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা ধারণা করছেন, ৭ বা ৭ দশমিক ৫ মাত্রার ভূমিকম্প হলে ৪ থেকে ৬ লাখ ভবন ধসে পড়তে পারে। এই অবস্থায় শুধু যন্ত্রপাতির সংখ্যার বিষয়টি আর বিবেচ্য হবে না; তখন এটি আর সক্ষমতার মধ্যে থাকবে না। ভয়াবহ ভূমিকম্পে আধুনিক প্রযুক্তিও কখনো কখনো অপর্যাপ্ত হয়ে পড়ে।’
আজাদ আনোয়ার আরও বলেন, ‘বাস্তবতা হচ্ছে, কিছু জায়গায় ফায়ার সার্ভিস পৌঁছাতেও পারবে না। আর ৪৮ বা ৭২ ঘণ্টা পর উদ্ধার করা হলেও তা খুব একটা ফলপ্রসূ কিছু হবে না। এই ধরনের দুর্যোগে পুরো জাতিকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। সরকারি-বেসরকারি সব উদ্যোগ প্রয়োজন হবে।’
গবেষণায় বলা হয়েছে, ঢাকার ৫০ শতাংশ ভবন নির্মিত হয়েছে মাটির সঠিক গুণগত মান পরীক্ষা ছাড়াই। নকশা অনুযায়ী রড বা কংক্রিট ব্যবহার করা হয়নি ৪০ শতাংশ ভবনে। আর ২৫ শতাংশ বাণিজ্যিক ভবনে অনুমোদিত নকশা পরে পরিবর্তন করা হয়েছে। এই বাস্তবতায় প্রকৌশলী ও স্থপতিরা ঢাকায় ভবন নির্মাণের বিষয়ে সতর্কবার্তা দিয়েছেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ভূমিকম্প বিশারদ সৈয়দ হুমায়ুন আখতার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘রাজধানী ঢাকার মতো একটি জনবহুল শহর দিনের পর দিন অপরিকল্পিতভাবে গড়ে উঠেছে। এখন হঠাৎ রাতারাতি সিদ্ধান্ত নিয়ে কোনো কিছু পরিবর্তন করা যাবে না। তবে জনগণকে সচেতন করা, এই বিষয়ে গণমাধ্যমে বেশি বেশি প্রচার করা, বিভিন্ন বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টি করা জরুরি। তাহলে ক্ষতি কমানো সম্ভব।’
বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, ভবনের কলামে ৩ মিলিমিটারের বেশি চওড়া ফাটল, বিমে তির্যক ফাটল এবং বেসমেন্ট, ছাদ বা লিফটের শ্যাফটে দীর্ঘ ফাটল থাকলে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে।
পুরান ঢাকার চকবাজারের এক ব্যবসায়ী বললেন, ‘শুক্রবারের ভূমিকম্পের পর দরজা আটকে যায়। দেয়ালেও ফাটল। কিন্তু এখান থেকে বের হয়ে যাব কোথায়? নিরাপদ বাসা কোথায় পাব? নিশ্চয়তা কী?’
আতঙ্কিত হওয়া যাবে না
আমাদের দেশে সাধারণত ভূমিকম্পের সময় আতঙ্কিত হয়ে বেশি হতাহতের ঘটনা ঘটে। গত শুক্রবারের ভূমিকম্পটি বড় ধরনের ঝাঁকুনি দেওয়ায় তা আতঙ্কিত করেছে সবাইকে। তবে এ বিষয়ে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের ২৫০ শয্যার টিবি হাসপাতালের উপপরিচালক আয়শা আক্তার বলেন, ‘ভূমিকম্পে আতঙ্কিত হওয়া যাবে না; বিশেষ করে শিশু, নারী ও বৃদ্ধরা ট্রমাটাইজড হয়ে পড়ে। এতে ঝুঁকি আরও বাড়বে। ভূমিকম্পের সময় সবাইকে ভবনের নিরাপদ স্থানে থাকার চেষ্টা করতে হবে। ফায়ার সার্ভিসসহ কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা মানতে হবে।’
বিশেষজ্ঞ পরামর্শ
পরিস্থিতি মোকাবিলায় উচ্চ ঝুঁকিতে থাকা ভবনের তালিকা প্রকাশ, সরকারি-বেসরকারি জরুরি ইঞ্জিনিয়ারিং ইউনিট গঠন, ফল্টলাইনভিত্তিক রিস্ক জোন চিহ্নিত করা, পুরান ঢাকা ও মিরপুরে বাধ্যতামূলক নিরাপত্তা সমীক্ষা, ভবন সংস্কারে রাষ্ট্রীয় বরাদ্দ বা তহবিল ও জনগণকে ফাটল-নিরাপত্তা বিষয়ে সচেতন করার ব্যাপারে গুরুত্ব দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটির বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সদস্য নগর ও পরিবেশবিদ স্থপতি ইকবাল হাবিব আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘রাজধানী ঢাকার ভবনগুলোর ৯৪ শতাংশ কোনো না কোনোভাবে অবৈধ ও অনুমোদনহীন। একটি নীতিমালার মধ্য দিয়ে প্রতিটি ভবন পরীক্ষা করে সেগুলো নিরাপদ করার একটি সরকারি নির্দেশনা থাকা সত্ত্বেও মন্ত্রণালয় সেটি বাস্তবায়ন করছে না।’

ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা যায়, অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত দোকানগুলোর মধ্যে রয়েছে পারভেজ সওদাগরের দোকান, মনু বেকারি, সেলিম বেকারি, সেলিম সওদাগরের দোকান, সেলিম সওদাগরের গুদাম এবং একটি সেলুন। এতে প্রায় ৫০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
৮ মিনিট আগে
রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার বড় আলমপুর ইউনিয়নের মক্তাগাড়ি গ্রাম থেকে ওমরপুরগামী কাঁচা রাস্তার পাশে ধানখেত থেকে এক অটোভ্যানচালকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত ব্যক্তি হলেন উপজেলার চতরা ইউনিয়নের সোনাতলা গোবিন্দপাড়া গ্রামের মোয়াজ্জেম আলীর ছেলে নুরুল ইসলাম (৫৫)।
২৪ মিনিট আগে
রাজধানীর উত্তরায় জুলাই রেভেলস নামক একটি সংগঠনের সদস্য মোহাম্মদ রেজওয়ানের ওপর হামলার ঘটনায় জড়িত দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ। গ্রেপ্তাররা হলেন—মো. মাসুম ও মো. ফাহিম খান।
৩৫ মিনিট আগে
আল-আমিনের বাবা আব্দুর রাজ্জাক জানান, ডাকাতদের হাতে দা, চায়নিজ কুড়াল ও আগ্নেয়াস্ত্র (শটগান) ছিল। ডাকাতি শেষে ডাকাত দলটি পুনরায় নৌপথে ট্রলারযোগে পালিয়ে যায়।
১ ঘণ্টা আগেপটিয়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি

চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলায় আগুনে গুদামসহ সাতটি দোকান পুড়ে গেছে। রোববার (১৪ ডিসেম্বর) ভোর সাড়ে ৫টার দিকে উপজেলার গৈড়লার টেক এলাকায় এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। আগুনে দোকানগুলোর নগদ টাকা ও বিপুল পরিমাণ মালপত্র পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। তবে কীভাবে আগুনের সূত্রপাত, তা এখনো নিশ্চিত করতে পারেনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা যায়, অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত দোকানগুলোর মধ্যে রয়েছে পারভেজ সওদাগরের দোকান, মনু বেকারি, সেলিম বেকারি, সেলিম সওদাগরের দোকান, সেলিম সওদাগরের গুদাম এবং একটি সেলুন। এতে প্রায় ৫০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
স্থানীয় ব্যবসায়ী আকিব জাবেদ বলেন, মনু বেকারিতে গ্যাস সংযোগ ছিল। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, গ্যাস লিকেজ থেকে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে।
পটিয়া ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার রাজেশ বড়ুয়া জানান, খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। তা না হলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আরও বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা ছিল।

চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলায় আগুনে গুদামসহ সাতটি দোকান পুড়ে গেছে। রোববার (১৪ ডিসেম্বর) ভোর সাড়ে ৫টার দিকে উপজেলার গৈড়লার টেক এলাকায় এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। আগুনে দোকানগুলোর নগদ টাকা ও বিপুল পরিমাণ মালপত্র পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। তবে কীভাবে আগুনের সূত্রপাত, তা এখনো নিশ্চিত করতে পারেনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা যায়, অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত দোকানগুলোর মধ্যে রয়েছে পারভেজ সওদাগরের দোকান, মনু বেকারি, সেলিম বেকারি, সেলিম সওদাগরের দোকান, সেলিম সওদাগরের গুদাম এবং একটি সেলুন। এতে প্রায় ৫০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
স্থানীয় ব্যবসায়ী আকিব জাবেদ বলেন, মনু বেকারিতে গ্যাস সংযোগ ছিল। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, গ্যাস লিকেজ থেকে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে।
পটিয়া ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার রাজেশ বড়ুয়া জানান, খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। তা না হলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আরও বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা ছিল।

ঢাকাসহ দেশজুড়ে অনুভূত ২১ নভেম্বরের প্রবল ভূমিকম্পের জের মানুষের মন থেকে কাটেনি। ৫ দশমিক ৭ মাত্রার ভূমিকম্পের পর এক সপ্তাহে আরও সাতবার কিছুটা কম মাত্রার ভূমিকম্প বা পরাঘাতে কেঁপেছে দেশ। এই অবস্থায় লাখ লাখ বহুতল ভবনসহ অসংখ্য পাকা বাড়িতে ঠাসা রাজধানীজুড়েই উদ্বেগ রয়ে গেছে।
১৫ দিন আগে
রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার বড় আলমপুর ইউনিয়নের মক্তাগাড়ি গ্রাম থেকে ওমরপুরগামী কাঁচা রাস্তার পাশে ধানখেত থেকে এক অটোভ্যানচালকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত ব্যক্তি হলেন উপজেলার চতরা ইউনিয়নের সোনাতলা গোবিন্দপাড়া গ্রামের মোয়াজ্জেম আলীর ছেলে নুরুল ইসলাম (৫৫)।
২৪ মিনিট আগে
রাজধানীর উত্তরায় জুলাই রেভেলস নামক একটি সংগঠনের সদস্য মোহাম্মদ রেজওয়ানের ওপর হামলার ঘটনায় জড়িত দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ। গ্রেপ্তাররা হলেন—মো. মাসুম ও মো. ফাহিম খান।
৩৫ মিনিট আগে
আল-আমিনের বাবা আব্দুর রাজ্জাক জানান, ডাকাতদের হাতে দা, চায়নিজ কুড়াল ও আগ্নেয়াস্ত্র (শটগান) ছিল। ডাকাতি শেষে ডাকাত দলটি পুনরায় নৌপথে ট্রলারযোগে পালিয়ে যায়।
১ ঘণ্টা আগেপীরগঞ্জ (রংপুর) প্রতিনিধি

রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার বড় আলমপুর ইউনিয়নের মক্তাগাড়ি গ্রাম থেকে ওমরপুরগামী কাঁচা রাস্তার পাশে ধানখেত থেকে এক অটোভ্যানচালকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত ব্যক্তি হলেন উপজেলার চতরা ইউনিয়নের সোনাতলা গোবিন্দপাড়া গ্রামের মোয়াজ্জেম আলীর ছেলে নুরুল ইসলাম (৫৫)।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, সকালে ধানখেতে একটি মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দিলে পীরগঞ্জ থানা-পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে।
এ বিষয়ে পীরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহেল রানা বলেন, ‘খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করেছি। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।’

রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার বড় আলমপুর ইউনিয়নের মক্তাগাড়ি গ্রাম থেকে ওমরপুরগামী কাঁচা রাস্তার পাশে ধানখেত থেকে এক অটোভ্যানচালকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত ব্যক্তি হলেন উপজেলার চতরা ইউনিয়নের সোনাতলা গোবিন্দপাড়া গ্রামের মোয়াজ্জেম আলীর ছেলে নুরুল ইসলাম (৫৫)।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, সকালে ধানখেতে একটি মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দিলে পীরগঞ্জ থানা-পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে।
এ বিষয়ে পীরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহেল রানা বলেন, ‘খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করেছি। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।’

ঢাকাসহ দেশজুড়ে অনুভূত ২১ নভেম্বরের প্রবল ভূমিকম্পের জের মানুষের মন থেকে কাটেনি। ৫ দশমিক ৭ মাত্রার ভূমিকম্পের পর এক সপ্তাহে আরও সাতবার কিছুটা কম মাত্রার ভূমিকম্প বা পরাঘাতে কেঁপেছে দেশ। এই অবস্থায় লাখ লাখ বহুতল ভবনসহ অসংখ্য পাকা বাড়িতে ঠাসা রাজধানীজুড়েই উদ্বেগ রয়ে গেছে।
১৫ দিন আগে
ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা যায়, অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত দোকানগুলোর মধ্যে রয়েছে পারভেজ সওদাগরের দোকান, মনু বেকারি, সেলিম বেকারি, সেলিম সওদাগরের দোকান, সেলিম সওদাগরের গুদাম এবং একটি সেলুন। এতে প্রায় ৫০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
৮ মিনিট আগে
রাজধানীর উত্তরায় জুলাই রেভেলস নামক একটি সংগঠনের সদস্য মোহাম্মদ রেজওয়ানের ওপর হামলার ঘটনায় জড়িত দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ। গ্রেপ্তাররা হলেন—মো. মাসুম ও মো. ফাহিম খান।
৩৫ মিনিট আগে
আল-আমিনের বাবা আব্দুর রাজ্জাক জানান, ডাকাতদের হাতে দা, চায়নিজ কুড়াল ও আগ্নেয়াস্ত্র (শটগান) ছিল। ডাকাতি শেষে ডাকাত দলটি পুনরায় নৌপথে ট্রলারযোগে পালিয়ে যায়।
১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানীর উত্তরায় জুলাই রেভেলস নামক একটি সংগঠনের সদস্য মোহাম্মদ রেজওয়ানের ওপর হামলার ঘটনায় জড়িত দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ। গ্রেপ্তাররা হলেন—মো. মাসুম ও মো. ফাহিম খান।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
উত্তরা-পূর্ব থানা সূত্রে জানা যায়, গতকাল শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা আনুমানিক সাড়ে ৭টার দিকে উত্তরার ৬ নম্বর সেক্টর এলাকায় জুলাই রেভেলস সংগঠনের সদস্য মোহাম্মদ রেজওয়ানের ওপর হামলা চালায় কতিপয় দুর্বৃত্ত। এতে তিনি আহত হলে দ্রুত তাঁকে স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেওয়া হয়।
হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করে দ্রুত আইনের আওতায় নিয়ে আসার জন্য পুলিশ রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে। অভিযান চলাকালে আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) ভোর আনুমানিক ৫টা ৩০ মিনিটের দিকে রাজধানীর দক্ষিণখান এলাকা থেকে দুই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে উত্তরা পূর্ব থানা পুলিশ।
তালেবুর রহমান জানান, মামলার সুষ্ঠু তদন্ত এবং এজাহারনামীয় অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান চলছে।
গতকাল শনিবার বিকেলে উত্তরার বিএনএস সেন্টারের সামনে ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক এবং আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধনে অংশ নিয়েছিলেন মোহাম্মদ রেজওয়ান। সেখান থেকে জুলাই রেভেলসের অফিসে এসে বসেছিলেন।
এ বিষয়ে জুলাই রেভেলসের সহসংগঠক মো. পারভেজ জানান, ‘হাদি ভাইয়ের ওপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন শেষ করে সন্ধ্যায় অফিসে বিশ্রাম নেওয়ার জন্য গিয়েছিলেন রেজওয়ান। এ সময় কিছু সন্ত্রাসী রেজওয়ানকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে। আহত রেজওয়ান সংগঠনের প্রস্তাবিত সহসংগঠক।’

রাজধানীর উত্তরায় জুলাই রেভেলস নামক একটি সংগঠনের সদস্য মোহাম্মদ রেজওয়ানের ওপর হামলার ঘটনায় জড়িত দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ। গ্রেপ্তাররা হলেন—মো. মাসুম ও মো. ফাহিম খান।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
উত্তরা-পূর্ব থানা সূত্রে জানা যায়, গতকাল শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা আনুমানিক সাড়ে ৭টার দিকে উত্তরার ৬ নম্বর সেক্টর এলাকায় জুলাই রেভেলস সংগঠনের সদস্য মোহাম্মদ রেজওয়ানের ওপর হামলা চালায় কতিপয় দুর্বৃত্ত। এতে তিনি আহত হলে দ্রুত তাঁকে স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেওয়া হয়।
হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করে দ্রুত আইনের আওতায় নিয়ে আসার জন্য পুলিশ রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে। অভিযান চলাকালে আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) ভোর আনুমানিক ৫টা ৩০ মিনিটের দিকে রাজধানীর দক্ষিণখান এলাকা থেকে দুই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে উত্তরা পূর্ব থানা পুলিশ।
তালেবুর রহমান জানান, মামলার সুষ্ঠু তদন্ত এবং এজাহারনামীয় অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান চলছে।
গতকাল শনিবার বিকেলে উত্তরার বিএনএস সেন্টারের সামনে ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক এবং আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধনে অংশ নিয়েছিলেন মোহাম্মদ রেজওয়ান। সেখান থেকে জুলাই রেভেলসের অফিসে এসে বসেছিলেন।
এ বিষয়ে জুলাই রেভেলসের সহসংগঠক মো. পারভেজ জানান, ‘হাদি ভাইয়ের ওপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন শেষ করে সন্ধ্যায় অফিসে বিশ্রাম নেওয়ার জন্য গিয়েছিলেন রেজওয়ান। এ সময় কিছু সন্ত্রাসী রেজওয়ানকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে। আহত রেজওয়ান সংগঠনের প্রস্তাবিত সহসংগঠক।’

ঢাকাসহ দেশজুড়ে অনুভূত ২১ নভেম্বরের প্রবল ভূমিকম্পের জের মানুষের মন থেকে কাটেনি। ৫ দশমিক ৭ মাত্রার ভূমিকম্পের পর এক সপ্তাহে আরও সাতবার কিছুটা কম মাত্রার ভূমিকম্প বা পরাঘাতে কেঁপেছে দেশ। এই অবস্থায় লাখ লাখ বহুতল ভবনসহ অসংখ্য পাকা বাড়িতে ঠাসা রাজধানীজুড়েই উদ্বেগ রয়ে গেছে।
১৫ দিন আগে
ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা যায়, অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত দোকানগুলোর মধ্যে রয়েছে পারভেজ সওদাগরের দোকান, মনু বেকারি, সেলিম বেকারি, সেলিম সওদাগরের দোকান, সেলিম সওদাগরের গুদাম এবং একটি সেলুন। এতে প্রায় ৫০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
৮ মিনিট আগে
রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার বড় আলমপুর ইউনিয়নের মক্তাগাড়ি গ্রাম থেকে ওমরপুরগামী কাঁচা রাস্তার পাশে ধানখেত থেকে এক অটোভ্যানচালকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত ব্যক্তি হলেন উপজেলার চতরা ইউনিয়নের সোনাতলা গোবিন্দপাড়া গ্রামের মোয়াজ্জেম আলীর ছেলে নুরুল ইসলাম (৫৫)।
২৪ মিনিট আগে
আল-আমিনের বাবা আব্দুর রাজ্জাক জানান, ডাকাতদের হাতে দা, চায়নিজ কুড়াল ও আগ্নেয়াস্ত্র (শটগান) ছিল। ডাকাতি শেষে ডাকাত দলটি পুনরায় নৌপথে ট্রলারযোগে পালিয়ে যায়।
১ ঘণ্টা আগেমুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি

মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ও আগ্নেয়াস্ত্রের মুখে জিম্মি করে স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকাসহ প্রায় ৫০ লাখ টাকার মালপত্র লুটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। শনিবার দিবাগত রাত ২টা থেকে ৩টার মধ্যে উপজেলার বালুচর ইউনিয়নের চান্দেরচর গ্রামের কুয়েতপ্রবাসী মো. আল-আমিনের ডুপ্লেক্স বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে। নৌপথে ট্রলারযোগে এসে ১২-১৫ জন মুখোশ পরা ডাকাত এই ডাকাতি করে।
ভুক্তভোগী পরিবার জানায়, কুয়েত থেকে দেশে ফেরার মাত্র পাঁচ দিনের মাথায় ডাকাতির কবলে পড়েন মো. আল-আমিন। ডাকাতেরা ঘরের দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশীয় অস্ত্র প্রদর্শন করে এবং একাধিক ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে পরিবারের সদস্যদের আতঙ্কিত করে তোলে। এ সময় তারা আনুমানিক ২৬ ভরি স্বর্ণালংকার, নগদ প্রায় ৫ লাখ টাকা, কুয়েতি মুদ্রা প্রায় ১০০ দিনার এবং দুটি মোবাইল ফোন লুট করে নেয়। লুট হওয়া মালপত্রের আনুমানিক মূল্য প্রায় ৫০ লাখ টাকা বলে দাবি করেছেন ভুক্তভোগীরা।
আল-আমিনের বাবা আব্দুর রাজ্জাক জানান, ডাকাতদের হাতে দা, চায়নিজ কুড়াল ও আগ্নেয়াস্ত্র (শটগান) ছিল। ডাকাতি শেষে ডাকাত দলটি পুনরায় নৌপথে ট্রলারযোগে পালিয়ে যায়।
এই ঘটনায় বাড়ির সিসিটিভি ফুটেজ উদ্ধার করা হয়েছে। ফুটেজে ১০-১৫ জনের একটি সশস্ত্র ডাকাত দলকে বাড়িতে প্রবেশ করতে দেখা গেছে।

সিরাজদিখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আ. হান্নান বলেন, ‘ডাকাতির খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত রয়েছি। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও অন্য কর্মকর্তারাও ঘটনাস্থলে রয়েছেন। এই ঘটনায় আমরা তদন্ত শুরু করেছি। আশা করছি, দ্রুত সময়ের মধ্যে ডাকাতদের শনাক্ত করতে পারব। তবে এখন পর্যন্ত এই ঘটনায় কোনো লিখিত অভিযোগ বা মামলা হয়নি।’

মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ও আগ্নেয়াস্ত্রের মুখে জিম্মি করে স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকাসহ প্রায় ৫০ লাখ টাকার মালপত্র লুটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। শনিবার দিবাগত রাত ২টা থেকে ৩টার মধ্যে উপজেলার বালুচর ইউনিয়নের চান্দেরচর গ্রামের কুয়েতপ্রবাসী মো. আল-আমিনের ডুপ্লেক্স বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে। নৌপথে ট্রলারযোগে এসে ১২-১৫ জন মুখোশ পরা ডাকাত এই ডাকাতি করে।
ভুক্তভোগী পরিবার জানায়, কুয়েত থেকে দেশে ফেরার মাত্র পাঁচ দিনের মাথায় ডাকাতির কবলে পড়েন মো. আল-আমিন। ডাকাতেরা ঘরের দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশীয় অস্ত্র প্রদর্শন করে এবং একাধিক ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে পরিবারের সদস্যদের আতঙ্কিত করে তোলে। এ সময় তারা আনুমানিক ২৬ ভরি স্বর্ণালংকার, নগদ প্রায় ৫ লাখ টাকা, কুয়েতি মুদ্রা প্রায় ১০০ দিনার এবং দুটি মোবাইল ফোন লুট করে নেয়। লুট হওয়া মালপত্রের আনুমানিক মূল্য প্রায় ৫০ লাখ টাকা বলে দাবি করেছেন ভুক্তভোগীরা।
আল-আমিনের বাবা আব্দুর রাজ্জাক জানান, ডাকাতদের হাতে দা, চায়নিজ কুড়াল ও আগ্নেয়াস্ত্র (শটগান) ছিল। ডাকাতি শেষে ডাকাত দলটি পুনরায় নৌপথে ট্রলারযোগে পালিয়ে যায়।
এই ঘটনায় বাড়ির সিসিটিভি ফুটেজ উদ্ধার করা হয়েছে। ফুটেজে ১০-১৫ জনের একটি সশস্ত্র ডাকাত দলকে বাড়িতে প্রবেশ করতে দেখা গেছে।

সিরাজদিখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আ. হান্নান বলেন, ‘ডাকাতির খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত রয়েছি। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও অন্য কর্মকর্তারাও ঘটনাস্থলে রয়েছেন। এই ঘটনায় আমরা তদন্ত শুরু করেছি। আশা করছি, দ্রুত সময়ের মধ্যে ডাকাতদের শনাক্ত করতে পারব। তবে এখন পর্যন্ত এই ঘটনায় কোনো লিখিত অভিযোগ বা মামলা হয়নি।’

ঢাকাসহ দেশজুড়ে অনুভূত ২১ নভেম্বরের প্রবল ভূমিকম্পের জের মানুষের মন থেকে কাটেনি। ৫ দশমিক ৭ মাত্রার ভূমিকম্পের পর এক সপ্তাহে আরও সাতবার কিছুটা কম মাত্রার ভূমিকম্প বা পরাঘাতে কেঁপেছে দেশ। এই অবস্থায় লাখ লাখ বহুতল ভবনসহ অসংখ্য পাকা বাড়িতে ঠাসা রাজধানীজুড়েই উদ্বেগ রয়ে গেছে।
১৫ দিন আগে
ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা যায়, অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত দোকানগুলোর মধ্যে রয়েছে পারভেজ সওদাগরের দোকান, মনু বেকারি, সেলিম বেকারি, সেলিম সওদাগরের দোকান, সেলিম সওদাগরের গুদাম এবং একটি সেলুন। এতে প্রায় ৫০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
৮ মিনিট আগে
রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার বড় আলমপুর ইউনিয়নের মক্তাগাড়ি গ্রাম থেকে ওমরপুরগামী কাঁচা রাস্তার পাশে ধানখেত থেকে এক অটোভ্যানচালকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত ব্যক্তি হলেন উপজেলার চতরা ইউনিয়নের সোনাতলা গোবিন্দপাড়া গ্রামের মোয়াজ্জেম আলীর ছেলে নুরুল ইসলাম (৫৫)।
২৪ মিনিট আগে
রাজধানীর উত্তরায় জুলাই রেভেলস নামক একটি সংগঠনের সদস্য মোহাম্মদ রেজওয়ানের ওপর হামলার ঘটনায় জড়িত দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ। গ্রেপ্তাররা হলেন—মো. মাসুম ও মো. ফাহিম খান।
৩৫ মিনিট আগে