Ajker Patrika

পদ্মা সেতু রক্ষা বাঁধে ভাঙন ঠেকাতে জিও ব্যাগ ফেলছে পাউবো

শরীয়তপুর প্রতিনিধি
শরীয়তপুরের জাজিরায় পদ্মা সেতু প্রকল্প রক্ষা বাঁধে ভাঙন ঠেকাতে বালুভর্তি জিও ব্যাগ ফেলা শুরু করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। ছবি: আজকের পত্রিকা
শরীয়তপুরের জাজিরায় পদ্মা সেতু প্রকল্প রক্ষা বাঁধে ভাঙন ঠেকাতে বালুভর্তি জিও ব্যাগ ফেলা শুরু করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। ছবি: আজকের পত্রিকা

শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার মাঝিরঘাট এলাকার পদ্মা সেতু প্রকল্প রক্ষা বাঁধে ভাঙন ঠেকাতে কাজ শুরু করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। আজ মঙ্গলবার (৮ জুলাই) সকাল থেকে প্রায় ১০০ শ্রমিক ও দুটি বার্জ দিয়ে ভাঙনকবলিত এলাকায় বালুভর্তি জিও ব্যাগ ফেলা শুরু করা হয়।

গতকাল সোমবার (৭ জুলাই) বেলা সাড়ে ৩টার দিকে পদ্মার ভাঙনে মাঝিরঘাট এলাকার পদ্মা সেতু প্রকল্প রক্ষা বাঁধের ২০০ মিটার বিলীন হয়ে যায়। এতে পদ্মাপারের ১০টি বসতঘর ও ৯টি দোকানঘর ভাঙনের শিকার হয়। এ ছাড়া বেশ কিছু দোকানপাট ও বসতবাড়ি অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

শরীয়তপুর পাউবো সূত্র জানায়, ২০১০-১১ অর্থবছরে ১১০ কোটি টাকা ব্যয়ে জাজিরার পদ্মা সেতু ল্যান্ডিং পয়েন্ট থেকে মাঝিরঘাট জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত ২ কিলোমিটার ভাটিতে পদ্মা সেতু প্রকল্পের কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ড বাঁধ নির্মাণ করে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ।

গত বছরের ৩ নভেম্বরে মাঝিরঘাট জিরো পয়েন্ট এলাকায় বাঁধটির প্রায় ১০০ মিটার ধসে পড়ে। এ বছর বাঁধটির সংস্কারে দায়িত্ব দেওয়া হয় পাউবোকে। দুই কোটি ৮৭ লাখ টাকা ব্যয়ে ওই স্থানে বালুভর্তি জিওব্যাগ ও সিসি ব্লক ফেলার কাজ শুরু করে তারা। গত কোরবানির ঈদের দিন ভোররাতে জিরো পয়েন্টে আবারও ভাঙন দেখা দেয়। ওই সময় বাঁধের আড়াই শ মিটার অংশ নদীতে তলিয়ে যায়। ওই সময় ১৩টি বসতঘর ও দুটি দোকানঘর সরিয়ে নেন এলাকাবাসী।

আজ সকালে শরীয়তপুরের জেলা প্রশাসক (ভারপ্রাপ্ত) মো. ওয়াহিদ হোসেন, জাজিরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাবেরী রায়, পানি উন্নয়ন বোর্ড ফরিদপুরের প্রধান প্রকৌশলী মো. শাজাহান সিরাজ, শরীয়তপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ তারেক হাসানসহ প্রশাসন ও পাউবোর কর্মকর্তারা ভাঙনকবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন।

জাজিরা উপজেলা প্রশাসন ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত ২৬টি পরিবারের তালিকা প্রস্তুত করেছে। এর মধ্যে আজ দুপুরে ১০টি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে টিন ও আর্থিক সাহায্য দেওয়া হয়েছে।

জাজিরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাবেরী রায় বলেন, ‘ভাঙনে এ পর্যন্ত ১০টি বসতঘর ও ৯টি দোকানঘর বিলীন হয়েছে বলে আমরা জেনেছি। গতকাল রাতের বেলায় ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত ৩০টি পরিবারের মাঝে শুকনা খাবার পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। আজকে আমরা ক্ষতিগ্রস্ত মোট ২৬টি পরিবারের তালিকা প্রস্তুত করেছি। এর মধ্যে ১০ পরিবারকে টিন এবং আর্থিক সাহায্য প্রদান করা হয়েছে।’

শরীয়তপুর পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ তারেক হাসান বলেন, ‘আমরা আজ সকাল থেকে জরুরি আপৎকালীন কাজের অংশ হিসেবে ভাঙনকবলিত এলাকায় বালুভর্তি জিও ব্যাগ ফেলা শুরু করেছি। প্রায় ১০০ শ্রমিক জিও ব্যাগ ফেলার কাজে নিয়োজিত রয়েছেন।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এখন ইরানের ৩০০ কিলোমিটারের মধ্যে ঢুকতে পারবে না ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান

ভারী বৃষ্টি কোথায় কতদিন থাকবে, জানাল আবহাওয়া অধিদপ্তর

দক্ষিণ এশিয়ার নয়া আঞ্চলিক জোটের সম্ভাব্য নাম ‘সাকা’, প্রথম সম্মেলন ইসলামাবাদে

ইয়েমেনে ক্লিনিক খুলে ফেঁসে গেছেন ভারতীয় নার্স, এখন ফাঁসির অপেক্ষা

সেভেন সিস্টার্সকে সংযোগকারী ভারত-মিয়ানমারের কালাদান প্রকল্প চালু হবে ২০২৭ সালে

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত