Ajker Patrika

এস আলম-পিকে হালদারের বিরুদ্ধে ২৭০ কোটি টাকা আত্মসাতের মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ০৩ জুলাই ২০২৫, ০৭: ৩৬
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাইফুল আলম ও এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংক ও রিলায়েন্স ফিন্যান্সের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রশান্ত কুমার হালদারসহ (পিকে হালদার) মোট ১৫ জনের বিরুদ্ধে পৃথক তিনটি মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

দুদকের অভিযোগে বলা হয়েছে, তাঁদের বিরুদ্ধে রিলায়েন্স ফিন্যান্স লিমিটেড থেকে অস্তিত্বহীন ও কাগুজে প্রতিষ্ঠানের নামে ২৭০ কোটি টাকা ঋণ নিয়ে আত্মসাৎ এবং ৯০ কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে এসব মামলা করা হয়েছে।

আজ বুধবার (২ জুলাই) দুদক প্রধান কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানিয়েছে কমিশনের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন।

দুদকের মহাপরিচালক বলেন, মেসার্স এম এ ট্রেডিং, মেসার্স মোস্তফা অ্যান্ড কোং এবং মেসার্স সাইফুল অ্যান্ড কোং নামে তিনটি প্রতিষ্ঠানের নামে যথাক্রমে ১০৪ কোটি ২০ লাখ ৭৭ হাজার টাকা, ৯৪ কোটি ৬৩ লাখ ৩৩ হাজার টাকা ও ৭১ কোটি ৫১ লাখ ৫৯ হাজার টাকা ঋণ গ্রহণ করে আত্মসাৎ করা হয়।

আক্তার হোসেন বলেন, ঋণ নিয়ে শুধু অর্থ আত্মসাতই করেনি। কাগুজে প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে এই অর্থের একটি অংশ (৯০ কোটি টাকা) এস আলম গ্রুপের স্বার্থসংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান ‘এস আলম সুপার এডিবল অয়েল লিমিটেড’-এর হিসাবে স্থানান্তর করা হয়। যার প্রমাণ পেয়েছ দুদক।

তিনটি মামলায় যাদেরকে আসামি করা হয়েছে তারা হলেন, এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান ও রিলায়েন্স ফিন্যান্স লিমিটেডের প্রাক্তন চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাইফুল আলম, এস আলম গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুস সামাদ, এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংক ও রিলায়েন্সের সাবেক এমডি পিকে হালাদারকে আসামা করা হয়েছে।

এ ছাড়া, রিলায়েন্স ফিন্যান্সের পরিচালক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ হাসান ও শাহানা ফেরদৌস রিলায়েন্স ফিন্যান্সের ইভিপি রাশেদুল হক, ম্যানেজার নাহিদা রুনাই, এসভিপি কাজী আহমেদ আমাল, ডেপুটি ম্যানেজার জুমারাতুল বান্না, মারিন ভেজিটেবল অয়েলের সাবেক এমডি জহির আহমেদ ও পরিচালক টিপু সুলতানকে তিনটি মামলা আসামি করা হয়েছে।

অন্যদিকে পৃথক তিন মামলায় আসামি করা হয়েছে মেসার্স এ এম ট্রেডিংয়ের স্বত্বাধিকারী মো. আবদুল্লাহ আল মামুন, মেসার্স মোস্তফা এন্ড কোংয়ের স্বত্বাধিকারী মো. গোলাম মোস্তফা ও মেসার্স সাইফুল এন্ড কোংয়ের স্বত্বাধিকারী মো. সাইফুল ইসলামকে।

তাদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ দণ্ডবিধি ১৮৬০ এর ৪০২ / ১০৯ / ৪২০ / ৪৬৭ / ৪৬৮ / ৪৭১ ধারা, দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭ এর ৫ (২) ধারা এবং মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪ (২) ও ৪ (৩) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।

দুদক জানিয়েছে, এই অর্থ আত্মসাৎ ও পাচারের ঘটনায় রাষ্ট্রের অর্থনৈতিক নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়েছে। বিষয়টি গুরুত্বসহকারে তদন্ত করে অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

যুবলীগ নেতাকে ধরতে ভবন ঘেরাও, যুবদল নেতাকে ফোন করে বললেন—‘লাভ নেই’

প্রধান উপদেষ্টাকে নিয়ে পোস্ট দেওয়া সেই ঊর্মি চাকরিচ্যুত

জাতিসংঘ মানবাধিকার বিষয়ক প্রধানকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা

‘উপজেলায় এখন কী কাজ’—বলেই সাবেক মেয়রের ছেলেকে মারধর

‘আপনি তো জনপ্রতিনিধি না’ বলায় ডিসিকে প্রত্যাহার দাবিতে রাজপথে আরিফুল হক

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত