নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
২৮ মাস অপেক্ষা করেও টাকা ফেরত না পেয়ে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান আলেশা মার্টের চেয়ারম্যান মঞ্জুর আলম শিকদারের গ্রেপ্তার দাবি করেছেন ভুক্তভোগী গ্রাহকেরা। আজ শুক্রবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান তারা। আলেশা মার্টের সকল ক্ষতিগ্রস্ত গ্রাহকবৃন্দের ব্যানারে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সংগঠনের সম্পাদক রাসেল খান বলেন, প্রায় নয় হাজার গ্রাহকের ৩০০ কোটি টাকা আলেশা মার্টে আটকে ছিল। এর মধ্যে পেমেন্ট গেটওয়েতে থাকা ৪২ কোটি টাকা গ্রাহকেরা বুঝে পেয়েছেন বলে জানা যায়। বাকি ২৫৮ কোটি টাকা গ্রাহকেরা এখনো ফেরত পাননি। নানারকম মিথ্যা আশ্বাসের মাধ্যমে চেয়ারম্যান মনজুর আলম শিকদার ২৮ মাস অতিবাহিত করেছেন। কিন্তু তিনি গ্রাহকদের মূল টাকা ফেরত দেওয়ার ব্যাপারে কোনো সুরাহা করতে পারেননি।
এছাড়া ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শফিক জামান ভোক্তাদের টাকা পাওয়ার বিভিন্ন রকম আশ্বাস ও ধৈর্য ধরতে বললেও বর্তমান টাকা ফেরত দেওয়ার ব্যাপারে কোনো তথ্য পাওয়া যাচ্ছে না। বর্তমান গ্রাহকেরা টাকা ফেরত পাওয়ার ব্যাপারে সঠিক তথ্য না পেয়ে হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন। অনেকে ঋণের দায়ে জর্জরিত, তাই ঘরছাড়া, এলাকাছাড়া হয় আত্মীয়-স্বজন বন্ধু বান্ধবের বাসায় অবস্থান করছেন।
আলেশা হোল্ডিংস লিমিটেডের একটি অঙ্গ প্রতিষ্ঠান হিসেবে ২০২১ সালের জানুয়ারিতে যাত্রা শুরু করে আলেশা মার্ট। ‘আছি তো আমরা আছি তো’—এই স্লোগান নিয়ে বাজারে আসে প্রতিষ্ঠানটি। বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুন্সী নিজে উপস্থিত থেকে এর উদ্বোধন করেন।
ভুক্তভোগী গ্রাহকেরা বলেন, নিয়মিত বিভিন্ন ক্যাম্পেইন আয়োজন করে গ্রাহকদের নজরে আসে আলেশা মার্ট। কয়েক মাস সময়মতো পণ্য ডেলিভারি দিয়ে গ্রাহকের আস্থা অর্জন করে তারা। ২০২১ সালের মে-জুন মাসে একটি ক্যাম্পেইন শুরু করে, যেখানে বাইকের ওপর ৩৫ শতাংশ ছাড় দিয়ে ৪৫ দিনের মধ্যে বাইক প্রদান করবে, এমন প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। ওই ক্যাম্পেইনে ৪৬ হাজার বাইকের অর্ডার জমা পড়ে বলে গ্রাহকেরা জানান। এরপর আগস্ট মাসে ব্যাংক ডিপোজিটের মাধ্যমে টাকা পরিশোধ করলে বাইকের ওপর ৩৩ শতাংশ ছাড় পাওয়া যাবে বলে আরেকটি ক্যাম্পেইন চালু করে আলেশা। এই দুই ক্যাম্পেইন মিলে প্রায় ৩০০ কোটি টাকার অর্ডার পায় আলেশা মার্ট। কিন্তু এই পণ্যগুলো ডেলিভারি দিতে তারা ব্যর্থ হয়। এরপর গ্রাহকদের চাপের মুখে গ্রাহকদের বিভিন্ন তারিখের রিফান্ড চেক ধরিয়ে দিতে শুরু করে তারা। কিন্তু সেই চেকগুলোও ব্যাংকে ডিজঅনার হয়।
আলেশা মার্টের ভুক্তভোগী গ্রাহকদের সংগঠনের সভাপতি বিপ্লব আলী আরাফাত বলেন, আলেশা মার্টের বেশির ভাগ গ্রাহকই বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। টাকা হারিয়ে তারা হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন।
গ্রাহকেরা বলেন, বিভিন্ন সময় ফেসবুক লাইভে এসে আলেশা চেয়ারম্যান নানা রকম আশ্বাস দিয়েছেন। কিন্তু তিনি টাকা ফেরত দিতে ব্যর্থ হয়েছেন। গ্রাহকেরা চেয়ারম্যান মনজুর আলম শিকদার ও তার স্ত্রী প্রতিষ্ঠানটির সিইও সাদিয়া চৌধুরীর বিরুদ্ধে আইনের আশ্রয় নিয়েছেন। বর্তমানে তাদের নামে সহস্রাধিক চেক ডিজঅনার ও প্রতারণার মামলা রয়েছে। শতাধিক মামলায় তাদের নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছে। শতাধিক গ্রেপ্তারি পরোয়ানা থাকার পরেও চেয়ারম্যান মনজুর আলম সিকদার ও স্ত্রী সাদিয়া চৌধুরী এক ধরনের অদৃশ্য ক্ষমতাবলে ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়ে যাচ্ছেন বলে মনে করেন ভুক্তভোগী গ্রাহকেরা।
সংবাদ সম্মেলনে গ্রাহকেরা বলেন, ‘আমরা কোনো লভ্যাংশ চাচ্ছি না। আমাদের মূল টাকা আমরা ফেরত চাই।’
আলেশা চেয়ারম্যানের সম্পত্তি জব্দ করে টাকা পরিশোধের দাবি জানান গ্রাহকেরা। টাকার দাবিতে চেয়ারম্যান মনজুর আলম সিকদারের বাসা ঘেরাও করা হবে বলেও জানান তারা।
২৮ মাস অপেক্ষা করেও টাকা ফেরত না পেয়ে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান আলেশা মার্টের চেয়ারম্যান মঞ্জুর আলম শিকদারের গ্রেপ্তার দাবি করেছেন ভুক্তভোগী গ্রাহকেরা। আজ শুক্রবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান তারা। আলেশা মার্টের সকল ক্ষতিগ্রস্ত গ্রাহকবৃন্দের ব্যানারে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সংগঠনের সম্পাদক রাসেল খান বলেন, প্রায় নয় হাজার গ্রাহকের ৩০০ কোটি টাকা আলেশা মার্টে আটকে ছিল। এর মধ্যে পেমেন্ট গেটওয়েতে থাকা ৪২ কোটি টাকা গ্রাহকেরা বুঝে পেয়েছেন বলে জানা যায়। বাকি ২৫৮ কোটি টাকা গ্রাহকেরা এখনো ফেরত পাননি। নানারকম মিথ্যা আশ্বাসের মাধ্যমে চেয়ারম্যান মনজুর আলম শিকদার ২৮ মাস অতিবাহিত করেছেন। কিন্তু তিনি গ্রাহকদের মূল টাকা ফেরত দেওয়ার ব্যাপারে কোনো সুরাহা করতে পারেননি।
এছাড়া ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শফিক জামান ভোক্তাদের টাকা পাওয়ার বিভিন্ন রকম আশ্বাস ও ধৈর্য ধরতে বললেও বর্তমান টাকা ফেরত দেওয়ার ব্যাপারে কোনো তথ্য পাওয়া যাচ্ছে না। বর্তমান গ্রাহকেরা টাকা ফেরত পাওয়ার ব্যাপারে সঠিক তথ্য না পেয়ে হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন। অনেকে ঋণের দায়ে জর্জরিত, তাই ঘরছাড়া, এলাকাছাড়া হয় আত্মীয়-স্বজন বন্ধু বান্ধবের বাসায় অবস্থান করছেন।
আলেশা হোল্ডিংস লিমিটেডের একটি অঙ্গ প্রতিষ্ঠান হিসেবে ২০২১ সালের জানুয়ারিতে যাত্রা শুরু করে আলেশা মার্ট। ‘আছি তো আমরা আছি তো’—এই স্লোগান নিয়ে বাজারে আসে প্রতিষ্ঠানটি। বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুন্সী নিজে উপস্থিত থেকে এর উদ্বোধন করেন।
ভুক্তভোগী গ্রাহকেরা বলেন, নিয়মিত বিভিন্ন ক্যাম্পেইন আয়োজন করে গ্রাহকদের নজরে আসে আলেশা মার্ট। কয়েক মাস সময়মতো পণ্য ডেলিভারি দিয়ে গ্রাহকের আস্থা অর্জন করে তারা। ২০২১ সালের মে-জুন মাসে একটি ক্যাম্পেইন শুরু করে, যেখানে বাইকের ওপর ৩৫ শতাংশ ছাড় দিয়ে ৪৫ দিনের মধ্যে বাইক প্রদান করবে, এমন প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। ওই ক্যাম্পেইনে ৪৬ হাজার বাইকের অর্ডার জমা পড়ে বলে গ্রাহকেরা জানান। এরপর আগস্ট মাসে ব্যাংক ডিপোজিটের মাধ্যমে টাকা পরিশোধ করলে বাইকের ওপর ৩৩ শতাংশ ছাড় পাওয়া যাবে বলে আরেকটি ক্যাম্পেইন চালু করে আলেশা। এই দুই ক্যাম্পেইন মিলে প্রায় ৩০০ কোটি টাকার অর্ডার পায় আলেশা মার্ট। কিন্তু এই পণ্যগুলো ডেলিভারি দিতে তারা ব্যর্থ হয়। এরপর গ্রাহকদের চাপের মুখে গ্রাহকদের বিভিন্ন তারিখের রিফান্ড চেক ধরিয়ে দিতে শুরু করে তারা। কিন্তু সেই চেকগুলোও ব্যাংকে ডিজঅনার হয়।
আলেশা মার্টের ভুক্তভোগী গ্রাহকদের সংগঠনের সভাপতি বিপ্লব আলী আরাফাত বলেন, আলেশা মার্টের বেশির ভাগ গ্রাহকই বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। টাকা হারিয়ে তারা হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন।
গ্রাহকেরা বলেন, বিভিন্ন সময় ফেসবুক লাইভে এসে আলেশা চেয়ারম্যান নানা রকম আশ্বাস দিয়েছেন। কিন্তু তিনি টাকা ফেরত দিতে ব্যর্থ হয়েছেন। গ্রাহকেরা চেয়ারম্যান মনজুর আলম শিকদার ও তার স্ত্রী প্রতিষ্ঠানটির সিইও সাদিয়া চৌধুরীর বিরুদ্ধে আইনের আশ্রয় নিয়েছেন। বর্তমানে তাদের নামে সহস্রাধিক চেক ডিজঅনার ও প্রতারণার মামলা রয়েছে। শতাধিক মামলায় তাদের নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছে। শতাধিক গ্রেপ্তারি পরোয়ানা থাকার পরেও চেয়ারম্যান মনজুর আলম সিকদার ও স্ত্রী সাদিয়া চৌধুরী এক ধরনের অদৃশ্য ক্ষমতাবলে ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়ে যাচ্ছেন বলে মনে করেন ভুক্তভোগী গ্রাহকেরা।
সংবাদ সম্মেলনে গ্রাহকেরা বলেন, ‘আমরা কোনো লভ্যাংশ চাচ্ছি না। আমাদের মূল টাকা আমরা ফেরত চাই।’
আলেশা চেয়ারম্যানের সম্পত্তি জব্দ করে টাকা পরিশোধের দাবি জানান গ্রাহকেরা। টাকার দাবিতে চেয়ারম্যান মনজুর আলম সিকদারের বাসা ঘেরাও করা হবে বলেও জানান তারা।
গোপালগঞ্জ জেলা শহরের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি সড়কে বছরের পর বছর বাস, ট্রাক ও মাইক্রোবাস পার্ক করে রাখা হচ্ছে। বিভিন্ন সড়কের এক লেন দখল করে রাখা হচ্ছে এসব যানবাহন। এতে প্রতিদিন যানজটসহ নানা ভোগান্তিতে পড়ছে মানুষ। মালিক-শ্রমিকেরা বলছেন, নির্ধারিত স্ট্যান্ড না থাকায় বাধ্য হয়ে রাস্তায় গাড়ি রাখছেন তাঁরা।
২৩ মিনিট আগেআলুতে বছরের পর বছর লাভ করে অভ্যস্ত জয়পুরহাটের কৃষক ও ব্যবসায়ীরা। তবে এবার পড়েছেন বড় ধরনের বিপাকে। একদিকে বাজারে আলুর দাম অস্থির, অন্যদিকে হিমাগারে সংরক্ষণ ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় হিমশিম খাচ্ছেন সবাই। সংরক্ষণ মৌসুমের শুরুতে স্থানীয় প্রশাসনের চাপে ভাড়া না বাড়াতে বাধ্য হলেও পরে কিছু হিমাগারের মালিক নানা অজুহা
২৭ মিনিট আগেনীলফামারীর সৈয়দপুরে চলছে জুয়ার জমজমাট আসর। উপজেলার দেড় শতাধিক স্থানে এসব আসর বসে বলে জানা গেছে। প্রতিদিন ২০-৩০ লাখ টাকা লেনদেন হয় এসব আসরে। সেই হিসাবে প্রতি মাসে জুয়াড়িদের কাছে হাতবদল হয় ৬ থেকে ৯ কোটি টাকা। এদিকে, জুয়ার কারণে অনেক পরিবার সর্বস্বান্ত হচ্ছে। জুয়ার টাকা সংগ্রহ করতে গিয়ে এলাকায় বেড়েছে
১ ঘণ্টা আগেইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মুহাম্মদ মুনিরুল মওলাকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
২ ঘণ্টা আগে