Ajker Patrika

মিরপুরে উদ্ধার ১৬ লাশের চেহারা দেখে শনাক্ত সম্ভব নয়, ডিএনএ টেস্ট প্রয়োজন: ফায়ার সার্ভিস

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের পরিচালক (অপারেশন অ্যান্ড মেইনটেন্যান্স) লে. কর্নেল মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরী। ছবি: আজকের পত্রিকা
সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের পরিচালক (অপারেশন অ্যান্ড মেইনটেন্যান্স) লে. কর্নেল মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরী। ছবি: আজকের পত্রিকা

‎রাজধানীর মিরপুরের রূপনগরে রাসায়নিক গুদাম ও পোশাক কারখানায় অগ্নিকাণ্ডে উদ্ধার হওয়া ১৬টি মরদেহই পোশাক কারখানার ভবন থেকে পাওয়া গেছে। তবে তাঁদের কারও পরিচয়ই জানা যায়নি। ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে, ডিএনএ টেস্ট ছাড়া তাঁদের পরিচয় জানা সম্ভব নয়।

আজ মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৭টার দিকে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের পরিচালক (অপারেশন অ্যান্ড মেইনটেন্যান্স) লে. কর্নেল মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরী। ‎

‎তাজুল ইসলাম বলেন, অগ্নিকাণ্ডে গার্মেন্টস অংশ থেকে মোট ১৬টি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। একজন ভলান্টিয়ার আহত হয়েছেন। তবে এই দুর্ঘটনায় ফায়ার সার্ভিসের কেউ আহত হননি। ‎

‎মৃতদেহগুলো একে একে অ্যাম্বুলেন্সে করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। মৃতদেহগুলোর অবস্থা দেখে মনে হয়েছে, ডিএনএ টেস্ট ছাড়া তাঁদের পরিচয় শনাক্ত করা সম্ভব নয়। চেহারা দেখে কিংবা অন্য কোনোভাবে শনাক্ত করা সম্ভব হচ্ছে না। ‎

‎তাজুল ইসলাম আরও বলেন, প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, এই অগ্নিকাণ্ডের ফলে যে বিস্ফোরণটি হয়েছে, তাতে যে সাদা ধোঁয়া বা টক্সিক গ্যাস উৎপন্ন হয়েছিল, তা অত্যন্ত বিষাক্ত। আগুন লাগার প্রথম দিকেই ফ্ল্যাশ ওভার হয়েছিল এবং আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। এই বিষাক্ত গ্যাসের কারণে আকস্মিকভাবেই হয়তো নিহতরা সেন্সলেস হয়ে পড়েছিলেন। পরবর্তীকালে মারা গেছেন।

‎তাজুল ইসলাম বলেন, মৃতদেহগুলো দোতলা এবং তিনতলা মিলিয়ে বিভিন্ন কর্নারে পাওয়া গেছে। তাঁরা নিচেও নামতে পারেননি এবং ওপরে ছাদে যাওয়ার যে গ্রিলের দরজা ছিল সেটি দুটি তালা দিয়ে বন্ধ ছিল, সে কারণে ওপরেও যেতে পারেননি। ফলে দুই ও তিনতলায় অধিকাংশ মানুষ মারা যায়।

‎আগুন নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে তাজুল ইসলাম বলেন, ফায়ার সার্ভিসের মোট ১২টি ইউনিট এই কার্যক্রমে যুক্ত হয়েছে এবং এখনো কাজ করছে। গার্মেন্টস অংশের আগুন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ হয়েছে। কিন্তু রাসায়নিকের গুদামের আগুন এখনো নিয়ন্ত্রণ হয়নি। অগ্নিনির্বাপণের কাজ এখনো সম্পন্ন হয়নি।

ফায়ার সার্ভিসের এই কর্মকর্তা আরও বলেন, রাসায়নিক গুদামটি এখনো সেফ বা নিরাপদ না। সেখানে এখনো শিখা রয়েছে এবং ধোঁয়া উঠছে। এই আগুন নিয়ন্ত্রণ করতে আরও সময় লাগতে পারে।

‎গুদামে রাসায়নিক পণ্যের বিষয়ে তাজুল ইসলাম বলেন, যতটুকু জানা গেছে, রাসায়নিকের গুদামে ছয়-সাত ধরনের কেমিক্যাল ছিল। আগুন নিয়ন্ত্রণে ও সার্চিং কার্যক্রমে হিউম্যানলেস টেকনোলজি, যেমন—লুপ ৬০ ড্রোন এবং গ্রাউন্ড মনিটর ব্যবহার করা হচ্ছে। আগুন নেভানোর জন্য সাধারণত পাউডার, ওয়াটার, এনজাইম এবং হাইড্রোজেন পারঅক্সাইডও ব্যবহার করা হচ্ছে। লাশ বের করার জন্য কিছুক্ষণ সার্চিং অপারেশন বন্ধ রাখা হয়েছিল বলেও জানান তিনি। ‎

‎আশপাশের শ্রমিকদের জিজ্ঞাসা করেও গার্মেন্টসটির নাম জানা যায়নি বলেও জানান তিনি। রাসায়নিক গুদাম ও পোশাক কারখানার কোনো ধরনের বৈধতা ছিল না বলেও জানান ফায়ার সার্ভিসের এই কর্মকর্তা। ‎

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

শুরু থেকে শেষ: হংকংয়ের মাটিতে বাংলাদেশের ড্র

ভারতে দলিত পুলিশ কর্মকর্তার আত্মহত্যায় তোলপাড়, সুইসাইড নোটে বর্ণবৈষম্যের অভিযোগ

বাংলাদেশ-হংকং ফুটবল ম্যাচ টিভিতে দেখাবে না, তাহলে দেখার উপায়

ভারতে আত্মহত্যা করা পুলিশকে ‘দুর্নীতিবাজ’ বলে তদন্ত কর্মকর্তারও আত্মহত্যা, রেখে গেলেন তিন পাতার ‘সুইসাইড নোট’

সখীপুরে শ্রমিক দল নেতার বিরুদ্ধে শিশুশিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগ

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ভবনের সামনে আগুন দেখে পেছনের কাচের জানালা ভেঙে বের হন নাজমুল

রাসেল মাহমুদ, ঢাকা
ছবি: আজকের পত্রিকা
ছবি: আজকের পত্রিকা

‎রাজধানীর মিরপুরের শিয়ালবাড়িতে অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে যাওয়া পোশাক কারখানার চারতলায় কাজ করেন মোহাম্মদ নাজমুল। গত এক বছর ধরে আরএন ফ্যাশনের কাটিং মাস্টার তিনি। আজ মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) সকালে আগুন লাগার সময় তিনি চারতলায় ছিলেন। বিকট শব্দে ভবনের সামনে বাইরে আগুন দেখে পেছনের জানালার কাচ ভেঙে বের হন নাজমুলসহ আরও চারজন।

আজ ‎সন্ধ্যায় যোগাযোগ করা হলে আজকের পত্রিকাকে শিয়ালবাড়িতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার বর্ণনা দেন নাজমুল।

‎নাজমুল জানান, বেলা সাড়ে ১১টায় বাইরে বিকট শব্দ শুনতে পান তিনি। চারতলা থেকে ভবনের সামনের জানালা দিয়ে দেখেন, নিচে কেমিক্যাল গুদাম ও একটি ওয়াশ কারখানায় আগুন দাউ দাউ করে জ্বলছে। আগুন ছড়িয়ে পড়ে এবং সামনের একটি গাড়িতে লাগে। গাড়িটি ব্লাস্ট হয়ে আগুন তাঁদের ফ্যাক্টরির ভেতরে প্রবেশ করে। আগুন কারখানার ভেতরে ঢোকার পর কর্মীরা সামনে দিয়ে বাইরে আসার চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু অক্সিজেনের অভাবে তাঁরা পারেননি। তাৎক্ষণিকভাবে তিনি কাপড় দিয়ে নাক-মুখ বেঁধে ফেলেন। দৌড়ে পেছনের দিকে গিয়ে জানালার কাচ ভাঙেন। পরে সেখান দিয়ে তাঁদের চারতলা থেকে তিনিসহ চারজন জানালা দিয়ে পাশের টিনের ছাউনিতে লাফ দেন। তিনতলা ও চারতলা মিলিয়ে ২০ জনের মতো কাজ করতেন তাঁরা। এর মধ্যে আটজন বের হতে পেরেছেন।

‎নাজমুল আরও বলেন, ‘চারতলা থেকে আমি, কাটারম্যান মামুন, একজন বুয়া ও একজন নতুন কর্মী বাইরে আসতে পেরেছি। তিনতলা থেকে সোহেল, একজন আয়রনম্যানসহ তিনজন বাইরে আসতে পেরেছি। এই তিনজনই আহত অবস্থায় হাসপাতালে আছেন। তবে আমাদের ১২ জন বের হতে পারেননি। তাঁরা নিখোঁজ রয়েছেন। নিখোঁজদের মধ্যে জিএম আল মামুন ও স্টোরের দায়িত্বে থাকা খালেদ, যিনি লেভেল টেবিলের দায়িত্বে ছিলেন।’

নাজমুল জানান, তিন নম্বর সড়কের যে ভবনে আগুন লাগে, সেটা পাঁচতলার। হোল্ডিং নম্বর—৪১। চারতলার ওপরে টিনের ছাউনি দিয়ে আরেকটি তলা করা হয়েছে। এর মধ্যে ভবনের নিচতলা ছিল একেবারে ফাঁকা। দোতলায় হান্নান নামের এক ব্যক্তির স্মার্ট প্রিন্ট ফ্যাক্টরি ছিল। দোতলায় গেঞ্জি ও শীতের পোশাক তৈরি হতো। আর নাজমুলদের গার্মেন্টসটি তিন ও চারতলা মিলিয়ে। আরএন ফ্যাশন নামের গার্মেন্টসটির মালিক নজরুল ইসলাম ও রেজাউল ইসলাম। তাঁদের কারখানায় গেঞ্জি তৈরি করা হয়। পাঁচতলায় ছিল রাজিব নামের একজনের বিসমিল্লাহ প্রিন্ট ফ্যাক্টরি। ভবনের মাঝামাঝি একটাই সিঁড়ি ছিল।

‎এদিকে স্থানীয় একাধিক বাসিন্দার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, কেমিক্যাল ফ্যাক্টরির মালিকের নাম শাহ আলম। ২০১৯ সালে গাবতলীর দিয়াবাড়িতে তাঁর আরেকটি কেমিক্যাল গুদামে আগুন লেগেছিল। তিন নম্বর সড়কে কেমিক্যাল গুদাম ছাড়াও ৪ নম্বর সড়কে তাঁর আরেকটি গুদাম রয়েছে। শিয়ালবাড়ি ৬ নম্বর সড়কে ২১ নম্বরের দোতলা বাড়ির নিচতলায় তাঁর দাপ্তরিক কার্যালয়। আর ৭ নম্বর সড়কের ছয়তলার ১১ নম্বর বাড়িটি শাহ আলমের। তিনি সেখানেই থাকেন।

স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, শাহ আলম কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত নন। তবে প্রশাসনের লোকজনের সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

শুরু থেকে শেষ: হংকংয়ের মাটিতে বাংলাদেশের ড্র

ভারতে দলিত পুলিশ কর্মকর্তার আত্মহত্যায় তোলপাড়, সুইসাইড নোটে বর্ণবৈষম্যের অভিযোগ

বাংলাদেশ-হংকং ফুটবল ম্যাচ টিভিতে দেখাবে না, তাহলে দেখার উপায়

ভারতে আত্মহত্যা করা পুলিশকে ‘দুর্নীতিবাজ’ বলে তদন্ত কর্মকর্তারও আত্মহত্যা, রেখে গেলেন তিন পাতার ‘সুইসাইড নোট’

সখীপুরে শ্রমিক দল নেতার বিরুদ্ধে শিশুশিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগ

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

শিক্ষকের সঙ্গে চলে গেল সব শিক্ষার্থীও

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
মাওলানা নুর উদ্দিন। ছবি: সংগৃহীত
মাওলানা নুর উদ্দিন। ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রামে এক মাদ্রাসাশিক্ষক চাকরি ছেড়ে চলে যাওয়ার পর তাঁর সঙ্গে প্রতিষ্ঠানটির সব শিক্ষার্থী চলে গেছে বলে জানা গেছে। চট্টগ্রাম নগরের আকবরশাহ থানার শাপলা আবাসিক এলাকায় ওমর ইবনুল খাত্তাব (রা.) ইসলামী একাডেমী নামের মাদ্রাসায় এই ঘটনা ঘটেছে।

চাকরি ছেড়ে চলে যাওয়া ওই মাদ্রাসা শিক্ষকের নাম মাওলানা নুর উদ্দিন।

স্থানীয়রা জানায়, বর্তমানে শাপলা আবাসিক এলাকায় ইমাম নগর জামে মসজিদে মাদ্রাসাটির শিক্ষার্থীরা রয়েছে। ওমর ইবনুল খাত্তাব (রা.) ইসলামী একাডেমী মাদ্রাসা থেকে মসজিদটির দূরত্ব অন্তত ৭০ মিটার হবে।

মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ বলছে, তাদের মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা ও অর্থদাতা মোহাম্মদ ওমর ফারুক মাদ্রাসার মাওলানা নুর উদ্দিনকে প্রধান পরিচালক হিসেবে নিয়োগ দিয়েছিলেন। গত ১২ সেপ্টেম্বর মাদ্রাসার চাকরি ছেড়ে বেরিয়ে যান মাওলানা নুর উদ্দিন। মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, তিনি মাদ্রাসা থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় সেখানে অধ্যয়নরত ১৫২ শিক্ষার্থীকে ভুল বুঝিয়ে ও প্রলোভিত করে তাঁর সঙ্গে অন্যত্র নিয়ে যান।

বর্তমানে মাদ্রাসাটির দায়িত্বে থাকা মাওলানা আল আমিন বলেন, ‘আমরা এই ঘটনায় থানায় একটা সাধারণ ডায়েরি করতে গেলে পুলিশ আমাদের জিডি গ্রহণ করেনি। বর্তমানে আদালতে একটি মামলার প্রস্তুতি চলছে। কারণ বাচ্চাদের কিছু হলে আইনগতভাবে এর দায়ভার তো আমাদের নিতে হবে। সেসব শিক্ষার্থী এই মাদ্রাসার রেজিস্টার্ডভুক্ত।’

আকবর শাহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আরিফুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমার কাছে এই নামের কোনো মাদ্রাসার কেউ অভিযোগ নিয়ে আসেননি। আমি এই ঘটনা সম্পর্কে জানিও না।’ ওসি আরও বলেন, ‘থানায় প্রত্যেক নাগরিকের আইনগত সেবা পাওয়ার অধিকার রয়েছে। তাঁদের থানায় আসতে বলেন। তাঁদের অভিযোগ শুনে আমরা অবশ্যই প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেব।’

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে মাওলানা নুর উদ্দিন বলেন, ‘সেখান থেকে শিক্ষার্থীদের আমি জোর করে নিয়ে আসেনি, তারা স্বেচ্ছায় আমার সঙ্গে চলে এসেছে। বর্তমানে আমি আলাদা একটি মাদ্রাসা গড়ে তুলছি।’ শিক্ষার্থীদের মসজিদে রাখার বিষয়ে নুর উদ্দিন বলেন, ‘আমি মসজিদের ইমাম। সেই হিসেবে এলাকাবাসীর সম্মতি নিয়ে শিক্ষার্থীদের আপাতত মসজিদের ভেতরে রাখা হচ্ছে। তাদের জন্য একটা স্থাপনা নির্মাণ করা হচ্ছে, সেটার কাজ শেষ হলে সেখানে সবাইকে নিয়ে যাওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

শুরু থেকে শেষ: হংকংয়ের মাটিতে বাংলাদেশের ড্র

ভারতে দলিত পুলিশ কর্মকর্তার আত্মহত্যায় তোলপাড়, সুইসাইড নোটে বর্ণবৈষম্যের অভিযোগ

বাংলাদেশ-হংকং ফুটবল ম্যাচ টিভিতে দেখাবে না, তাহলে দেখার উপায়

ভারতে আত্মহত্যা করা পুলিশকে ‘দুর্নীতিবাজ’ বলে তদন্ত কর্মকর্তারও আত্মহত্যা, রেখে গেলেন তিন পাতার ‘সুইসাইড নোট’

সখীপুরে শ্রমিক দল নেতার বিরুদ্ধে শিশুশিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগ

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

খুলনায় দুর্বৃত্তের হামলায় ২ যুবক গুলিবিদ্ধ

খুলনা প্রতিনিধি
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

খুলনায় দুর্বৃত্তের হামলায় দুই যুবক গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁদের উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে শহরের নিরালা তালুকদার কমিউনিটি সেন্টারের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

আহত ব্যক্তিরা হলেন মনির হাওলাদার ও হানিফ হাওলাদার।

স্থানীয়রা জানায়, রাত সাড়ে ৮টার দিকে ১৫টি মোটরসাইকেলে ২০ জন দুর্বৃত্ত নিরালা ১৯ নম্বর রোডের মনির ও হানিফের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এ সময় তাঁদের লক্ষ্য গুলি ছুড়তে থাকে দুর্বৃত্তরা। তাদের ছোড়া গুলি হানিফের গলায় এবং মনিরের নিতম্বে বিদ্ধ হয়। গুলির শব্দ পেয়ে স্থানীয় লোকজন বের হলে দুর্বৃত্তরা ঘটনাস্থল থেকে পলিয়ে যায়। খবর পেয়ে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে খুলনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মাদকের বিষয়কে কেন্দ্র করে এ গুলির ঘটনা। প্রতিপক্ষের গুলিতে তারা দুজন আহত হয়। আহত মনিরের বিরুদ্ধে দুটি মাদকের মামলা রয়েছে। তবে ঘটনাটি যারা ঘটিয়েছে, তাদের গ্রেপ্তারে আমরা অভিযান চালাচ্ছি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

শুরু থেকে শেষ: হংকংয়ের মাটিতে বাংলাদেশের ড্র

ভারতে দলিত পুলিশ কর্মকর্তার আত্মহত্যায় তোলপাড়, সুইসাইড নোটে বর্ণবৈষম্যের অভিযোগ

বাংলাদেশ-হংকং ফুটবল ম্যাচ টিভিতে দেখাবে না, তাহলে দেখার উপায়

ভারতে আত্মহত্যা করা পুলিশকে ‘দুর্নীতিবাজ’ বলে তদন্ত কর্মকর্তারও আত্মহত্যা, রেখে গেলেন তিন পাতার ‘সুইসাইড নোট’

সখীপুরে শ্রমিক দল নেতার বিরুদ্ধে শিশুশিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগ

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

সাতক্ষীরায় হারানো ১০৮ মোবাইল উদ্ধার, মালিকদের কাছে হস্তান্তর

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি
উদ্ধার করা মোবাইল মালিকদের কাছে হস্তান্তর। ছবি: আজকের পত্রিকা
উদ্ধার করা মোবাইল মালিকদের কাছে হস্তান্তর। ছবি: আজকের পত্রিকা

সাতক্ষীরায় হারিয়ে যাওয়া ১০৮টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করে মালিকদের কাছে হস্তান্তর করেছে সাতক্ষীরা জেলা পুলিশ। একই সঙ্গে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে প্রতারণার শিকার হয়ে খোয়া যাওয়া ৩ লাখ ৬০ হাজার ২৬০ টাকা উদ্ধার করে ২০ জন মালিকের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

আজ মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) দুপুরে সাতক্ষীরা পুলিশ লাইনস ড্রিলশেডে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম এসব মোবাইল ফোন ও টাকা সংশ্লিষ্ট মালিকদের কাছে হস্তান্তর করেন।

পুলিশ সুপার জানান, অপরাধ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধের পাশাপাশি পুলিশের সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সেল সাইবার জগতে সংঘটিত অপরাধ প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।

এর ধারাবাহিকতায় চলতি বছরের জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট থানায় মোবাইল ফোন হারানোর ২২৫টি জিডি হয়। এর মধ্যে ১০৮টি মোবাইল উদ্ধার করা হয়েছে। এ ছাড়া মোবাইল ব্যাংকিং বিকাশ ও নগদের মাধ্যমে প্রতারণার শিকার ২০ জন ভুক্তভোগীর ৩ লাখ ৬০ হাজার ২৬০ টাকা উদ্ধার করে তাঁদের কাছে টাকা ফেরত দেওয়া হয়।

এ সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মুকিত হোসেন খান উপস্থিত ছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

শুরু থেকে শেষ: হংকংয়ের মাটিতে বাংলাদেশের ড্র

ভারতে দলিত পুলিশ কর্মকর্তার আত্মহত্যায় তোলপাড়, সুইসাইড নোটে বর্ণবৈষম্যের অভিযোগ

বাংলাদেশ-হংকং ফুটবল ম্যাচ টিভিতে দেখাবে না, তাহলে দেখার উপায়

ভারতে আত্মহত্যা করা পুলিশকে ‘দুর্নীতিবাজ’ বলে তদন্ত কর্মকর্তারও আত্মহত্যা, রেখে গেলেন তিন পাতার ‘সুইসাইড নোট’

সখীপুরে শ্রমিক দল নেতার বিরুদ্ধে শিশুশিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগ

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত