Ajker Patrika

গ্রামীণ ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান সাইফুল মজিদসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা

অনলাইন ডেস্ক
গ্রামীণ ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ড. এ কে এম সাইফুল মজিদ। ছবি: সংগৃহীত
গ্রামীণ ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ড. এ কে এম সাইফুল মজিদ। ছবি: সংগৃহীত

নোবেল বিজয়ী ড. ইউনূসের মালিকানাধীন গ্রামীণ টেলিকম ভবনে হামলা ও ভাঙচুর করার ঘটনায় গ্রামীণ ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ড. এ কে এম সাইফুল মজিদসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। আজ রোববার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট পার্থ চন্দ্রের আদালতে গ্রামীণ কল্যাণের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল কালাম মোহাম্মদ মাঈনুদ্দীন চৌধুরী এ মামলা দায়ের করেন।

আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে অভিযোগটি এজাহার হিসেবে গ্রহণ করতে রাজধানীর শাহ আলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। মামলা দায়েরের বিষয়টি আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেছেন সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী তৌহিদুর রহমান। আদালতে বাদী পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মামুন।

আরও যাদের আসামি করা হয়েছে তারা হলেন—ব্যারিস্টার মাসুদ আক্তার, মাসুদ আক্তার অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েট’স এর কনসালট্যান্ট টিএম জুবায়ের, গ্রামীণ ব্যাংকের সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার হারুন আর রশিদ ও কৃষ্ণকান্ত রায়, মো. তরিকুল ইসলাম ও গোলাম জাকারিয়া, প্রিন্সিপাল অফিসার গোবিন্দ সাহা, সার্জেন্ট অবসরপ্রাপ্ত জিয়াউর রহমান ও নুরুজ্জামান মৃধা, গ্রামীণ ব্যাংকের গবেষণা ও উন্নয়ন কেন্দ্রের সদস্য রাজু মিয়া ও মিজানুর রহমান, লেফটেন্যান্ট কর্নেল অবসরপ্রাপ্ত জাহাঙ্গীর হাসান, কর্নেল অবসরপ্রাপ্ত মো. রাশেদ আলী, গ্রামীণ ব্যাংকের গবেষণা ও উন্নয়ন কেন্দ্রের উপদেষ্টা আব্দুর রশিদ, একই কেন্দ্রের গণ সংযোগ কর্মকর্তা মো. তানন খান, সহকারী মহাব্যবস্থাপক ফয়জুল হক, উপ মহা ব্যবস্থাপক মামুনুর রশীদ এবং উপ ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রদীপ কুমার সাহা। এ ছাড়াও ১৬ জন অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে।

মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, গত ১২ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সকাল আটটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত আসামিরা রাজধানীর শাহ আলী থানার মিরপুর চিড়িয়াখানা রোডের গ্রামীণ টেলিকম ভবনে ঢুকে ক্ষতিসাধন ও নথি গায়েবের চেষ্টা করেন। তারা গ্রামীণ টেলিকম ভবনে ঢুকে গ্রামীণ পরিবারের আটটি প্রতিষ্ঠান হামলা ও দখল করার চেষ্টা করে। প্রতিষ্ঠানগুলো হলো—গ্রামীণ টেলিকম, গ্রামীণ কল্যাণ, গ্রামীণ মৎস্য ও পশু সম্পদ ফাউন্ডেশন, গ্রামীণ কৃষি ফাউন্ডেশন, গ্রামীণ সামগ্রী, গ্রামীণ ফান্ড, গ্রামীণ শক্তি ও গ্রামীণ কমিউনিকেশন।

আসামিরা আটটি প্রতিষ্ঠানের আসবাবপত্র ভাঙচুর করেন। বিভিন্ন নথিপত্র তছনছ করে ফেলেন। একপর্যায়ে তারা ওই আটটি প্রতিষ্ঠানে তালা লাগিয়ে দেন। প্রতিষ্ঠানগুলোর চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ ইউনূস ওই অফিসে ঢুকতে গেলেও বাধার সৃষ্টি করা হয়।

ঘটনার পর শাহ আলী থানায় মামলা করতে গেলে বাদীর মামলা নেয়নি থানা কর্তৃপক্ষ। তারা সাধারণ ডায়েরি নিয়ে তদন্ত করার পরও কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মামলার আসামিসহ বিএসইসির ২২ কর্মকর্তাকে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত

‘ভারতে ঢুকে’ পাকিস্তানি সেনাদের গুলি, সীমান্তে সংঘাত গড়াল ষষ্ঠ দিনে

অভিনেতা সিদ্দিককে মারধর করে থানায় সোপর্দ, ছিঁড়ে ফেলা হয় পরনের পোশাক

এনবিআর চেয়ারম্যানের কক্ষের সামনে কর্মকর্তাদের অবস্থান

ঐকমত্য কমিশনের সদস্যদের তেলের বরাদ্দ ২৫০ থেকে বেড়ে ৫০০ লিটার

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত