Ajker Patrika

হাসপাতালের পার্কিংয়ে ২ মরদেহ: এখনো অস্বাভাবিক কিছু পায়নি পুলিশ

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ঘটনাস্থল থেকে আলামত সংগ্রহ করছে পুলিশ ও সিআইডির ক্রাইম ইউনিট। ছবি: আজকের পত্রিকা
ঘটনাস্থল থেকে আলামত সংগ্রহ করছে পুলিশ ও সিআইডির ক্রাইম ইউনিট। ছবি: আজকের পত্রিকা

‎রাজধানীর মৌচাকে ডা. সিরাজুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালের পার্কিংয়ে গাড়ি থেকে দুজনের লাশ উদ্ধারের ঘটনায় এখন পর্যন্ত অস্বাভাবিক কিছু পায়নি পুলিশ। হাসপাতালের সিসি ক্যামেরার ফুটেজে বেজমেন্টে বাইরের কাউকে প্রবেশ করতে দেখা যায়নি। ঘটনাস্থলেও কাউকে দেখা যায়নি বলে জানিয়েছে রমনা বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মাসুদ আলম।

আজ মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) দুপুরে শাহবাগ থানায় সাংবাদিকদের তিনি এসব তথ্য জানান।

‎‎মাসুদ আলম বলেন, ‘আমরা সিসি ফুটেজের পুরোটা দেখার চেষ্টা করেছি। সেখানে কোনো অস্বাভাবিক ঘটনা ঘটেছে কি না, কেউ গেল কি না দেখেছি। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট কেমিক্যাল এক্সামিনেশন হবে, সিআইডির তদন্ত সব বিষয় একসঙ্গে করলে আমরা ঘটনাটা বুঝতে পারব। এর বাইরে নিহত ব্যক্তিদের পরিবারের পক্ষ থেকেও বিভিন্ন বিষয় থাকতে পারে। আমরা তাঁদের বিষয়গুলোও নেব এবং তদন্ত করব।’

‎সিসি ক্যামেরা ফুটেজে ঘটনাস্থলে কাউকে দেখা গেছে কি না, জানতে চাইলে ডিসি মাসুদ আলম বলেন, ‘এখন পর্যন্ত ওইভাবে আমরা কাউকে পাইনি। তবে হাসপাতালের দুজন কর্মচারীকে আমরা পেয়েছি, হাসপাতালে কোনো স্মোকিং এরিয়া না থাকায় তাঁরা নিচে গিয়ে স্মোকিং করে এসেছেন। তাঁদের দুজনের সঙ্গেই আমরা কথা বলেছি। সেখানে তাঁদের সঙ্গে জড়িত কোনো কিছু মনে হয়নি। অস্বাভাবিক কোনো কিছু এখন পর্যন্ত মনে হয়নি।’

ডিসি মাসুদ আলম বলেন, ‘ঘটনা যেহেতু ঘটেছে, কী কারণে ঘটেছে, কেন ঘটেছে, তার উত্তর এখনই দেওয়া সম্ভব নয়। ময়নাতদন্তের রিপোর্টসহ অন্য রিপোর্ট পাওয়ার পর জানা যাবে। আমরা সিসি ফুটেজ আরও পর্যবেক্ষণ করব।’

‎এ ঘটনায় মামলা হবে বলেও জানান মাসুদ আলম। তবে প্রাথমিকভাবে পুলিশ অপমৃত্যুর মামলা নেবে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট ও অন্যান্য বিষয় আরও পর্যবেক্ষণ করে হত্যার কোনো আলামত পাওয়া গেলে, সেটা হত্যা মামলা হিসেবে নেওয়া হবে।

‎এর আগে গতকাল সোমবার (১১ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীর মৌচাকে ডা. সিরাজুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালের পার্কিংয়ের একটি প্রাইভেট কার থেকে জাকির হোসেন ও মিজানুর রহমানের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। জাকির হোসেন ও মিজানুর রহমান, দুজন সম্পর্কে বন্ধু। তাঁদের বাড়ি নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলায়।

জাকির ভাড়ায় গাড়ি চালান। গত শনিবার (৯ আগস্ট) রাতে বিমানবন্দরে ভাড়া নিয়ে আসেন তিনি। পরদিন রোববার ভোরে এক রোগীকে নিতে ওই প্রাইভেট কারে হাসপাতালে আসেন তাঁরা। গাড়িটি পার্কিংয়ে ছিল। সোমবার দুপুরে জাকির ও মিজানের লাশ উদ্ধার করা হয় সেই গাড়ি থেকে। পরে মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়।

‎মঙ্গলবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে নিহত জাকিরের বাবা আবু তাহের আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমার ছেলে গাড়ি চালাত। সে আমেরিকায় যাওয়ার জন্য দালালের মাধ্যমে পল্টনে একটি এজেন্সিতে ২৫ লাখ টাকা দিয়েছিল। সেই টাকা নিয়ে তাদের মধ্যে ঝামেলাও চলছিল। ১০ আগস্ট আমার ছেলেকে টাকা ফেরত দেওয়ার কথা ছিল। আমাদের ধারণা, হত্যার সঙ্গে তাদের সম্পৃক্ততা থাকতে পারে।’

‎নিহত ব্যক্তির পরিবারের এসব অভিযোগ আমলে নিয়ে তদন্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন রমনা বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার মাসুদ আলম।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মৌচাকে গাড়িতে লাশ: ২৫ লাখ টাকায় যুক্তরাষ্ট্রের কথা বলে জাকিরকে শ্রীলঙ্কায় নিয়েছিল দালাল

যেভাবে শেখ হাসিনাকে ফেরানোর পরিকল্পনা চলছিল, স্বীকারোক্তিতে জানালেন মেজর সাদিকের স্ত্রী জাফরিন

টেলিটক এখন গলার কাঁটা পর্যায়ে চলে এসেছে: ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব

সিন্ধু পানিবণ্টন নিয়ে আন্তর্জাতিক আদালতের রায় পাকিস্তানের বড় জয়: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

বাংলাদেশের চার পাটপণ্যে ভারতের বন্দর নিষেধাজ্ঞা

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত