নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
রাজধানীর মৌচাকে ডা. সিরাজুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালের পার্কিংয়ে একটি প্রাইভেটকার থেকে দুজনের লাশ উদ্ধারের ঘটনাটি হত্যাকাণ্ড বলে সন্দেহ করছে নিহতদের স্বজনেরা। মরদেহের শরীরে রক্ত ও মুখ ফোলা দেখেই এই সন্দেহ তাঁদের।
গত সোমবার দুপুরে ওই প্রাইভেট কার থেকে জাকির হোসেন (২৮) ও মিজানুর রহমান (৪৪) নামে দুই ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করে রমনা থানা-পুলিশ। তাঁদের হত্যা করা হয়েছে নাকি অন্য কোনো কারণে মৃত্যু হয়েছে—এ বিষয়ে তাৎক্ষণিক কিছু জানাতে পারেনি পুলিশ।
গতকাল মঙ্গলবার নিহত দুজনের মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলার লটপটিয়া গ্রামে জাকির হোসেনকে এবং একই উপজেলার দক্ষিণ গোমাতলী গ্রামে মিজানুর রহমানকে দাফন করা হয়।
আজ বুধবার রাতে নিহত জাকির হোসেনের বাবা মো. আবু তাহের আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘শরীর রক্তমাখা ছিল, মুখ ফোলা ছিল। স্বাভাবিক মৃত্যু হলে শরীরে রক্ত থাকবে কেন। গাড়িতেও নাকি রক্ত পড়ে ছিল। গাড়ির মধ্যেও লাশ উল্টো হয়ে পড়ে ছিল। স্বাভাবিক মৃত্যু হলে এসবতো হতো না।’
আবু তাহের আরও বলেন, ‘বিদেশে যাওয়ার টাকা যেই ট্র্যাভেল এজেন্সিকে দিয়েছিলাম, সেই টাকা ফেরত দেওয়া নিয়ে আমার ছেলেকে একবার মারধরও করেছিল। ঘটনার দিনও আমার ছেলেকে ১০ লাখ টাকা ফেরত দেওয়ার কথা ছিল। তাই সন্দেহ হয় এটা হত্যাকাণ্ড।’
জাকিরের মামাতো ভাই সাব্বির ইসলাম বুধবার (১৩ আগস্ট) রাতে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ট্রাভেল এজেন্সির ফজলু ও মিজান নামের যেই দুই ব্যক্তিকে বিদেশ যাওয়ার জন্য টাকা দেওয়া হয়েছিল, তাদের অফিস ঢাকার পল্টনে। তবে সেই অফিসে তাদের এজেন্সির কোনো নাম বা লোগো ছিল না। তাদের সঙ্গে জাকিরের ফোনে যোগাযোগ হতো। তদন্তের জন্য জাকিরের ফোনটি পুলিশের কাছে আছে। তাই ফজলু ও মিজানের কোনো নাম্বার আপাতত আমাদের কাছে নেই।’
নিহত মিজানুরের ভাগিনা মো. রিয়াদ মঙ্গলবার বলেছিলেন, ‘জাকির আর মিজানুর দুজন বন্ধু। জাকির প্রায়ই মিজানুরকে সঙ্গে নিয়ে যেতেন গাড়ি চালানো শেখাতে। শনিবার রাতে তারা বিমানবন্দরের উদ্দেশ্যে গাড়ি ভাড়া নিয়ে গ্রাম থেকে ঢাকায় আসেন। এরপর কী হয়েছে আমরা জানি না। তবে তাঁকে মেরে ফেলা হয়েছে এটা বুঝতে পারছি।’
এদিকে লাশের সুরতহাল প্রতিবেদনেও মরদেহের বিভিন্ন চিহ্ন উল্লেখ করা হয়েছে। মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদনে রমনা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আওলাদ হোসেন উল্লেখ করেন, জাকিরের শরীরে মাথা রক্তমাখা ও ফোলা, কপাল ফোলা ও পচন ধরেছিল। দুই চোখ বন্ধ, ফোলা, রক্তমাখা, ফোসকা পড়া। দুই কানও রক্তমাখা, ফোসকা পড়া এবং রক্ত নির্গমন পরিলক্ষিত হয়। এ ছাড়া রক্তমাখা খোলা মুখ খোলা এবং দাঁত দৃশ্যমান ছিল। সমগ্র মুখমন্ডল ফোলা, রক্তাক্ত।’
মিজানুরের লাশের ব্যাপারে আওলাদ হোসেন বলেন, ‘শরীর ও মাথা রক্তমাখা, ফোলা। কপাল রক্তমাখা ও ফোলা। দুই চোখ বন্ধ, ফোলা, রক্তমাখা, ফোসকা পড়া। দুই কানও রক্তমাখা, ফোসকা পড়া এবং রক্ত নির্গমন পরিলক্ষিত হয়। মুখ খোলা, জিহ্বা দৃশ্যমান। সমগ্র মুখমণ্ডল ফোলা, রক্তাক্ত।’
এ ঘটনায় গাড়িচালক জাকিরের বাবা আবু তাহের বাদী হয়ে রমনা থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা করেছেন। রমনা-থানা পুলিশ মামলাটি তদন্ত করছে। মামলার তদন্ত করতে ঘটনাস্থল থেকে তিনটি সিসি (ক্লোজ সার্কিট) ক্যামেরার প্রায় ৩২ ঘণ্টার ফুটেজ সংগ্রহ করে তা বিশ্লেষণ করেছে পুলিশ। ফুটেজে এই সময়ের মধ্যে পার্কিংয়ে থাকা ওই গাড়ির কাছে বাইরে থেকে কাউকে যেতে দেখা যায়নি। আবার গাড়ি থেকেও কাউকে বের হতে দেখা যায়নি বলে জানান মামলার তদন্তসংশ্লিষ্টরা।
তদন্তসংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, হাসপাতালের সামনের অংশে থাকা একটি এবং পার্কিংয়ে থাকা দুটি সিসি ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণ করা হয়েছে। ফুটেজে দেখা যায়, রোববার ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে গাড়িটি পার্কিংয়ে প্রবেশ করে। তারপর আর বের হয়নি। এই সময়ের মধ্যে ওই গাড়ির কাছে বাইরে থেকে কাউকে যেতেও দেখা যায়নি। পরে লাশ উদ্ধারের সময় পরীক্ষা-নিরীক্ষায় দেখা যায় অনেক সময় ধরে চালু থাকার কারণে গাড়ির গ্যাস শেষ হয়ে গিয়েছিল। এমনকি ব্যাটারির চার্জও শেষ হয়ে গিয়েছিল। ধারণা করা হচ্ছে, গাড়িটি থেকে প্রচুর পরিমাণ গ্যাস বের হয়ে কার্বন মনোঅক্সাইড তৈরি হয়। আবার দীর্ঘ সময় এসি চালু থাকায় সেখান থেকেও অতিমাত্রায় কার্বন মনোঅক্সাইড গ্যাস বের হয়ে থাকতে পারে। এই গ্যাস শ্বাসপ্রশ্বাসের সঙ্গে তাঁদের শরীরে প্রবেশ করে তাঁদের মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে। আর দীর্ঘ সময় ধরে গাড়ির মধ্যে বদ্ধ অবস্থায় থাকার কারণে গরমে এক দিনেই তাদের শরীর অস্বাভাবিক ফুলে যায়। তবে মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হতে ময়নাতদন্ত রিপোর্ট ও ফরেনসিক রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করছেন। সবকিছু মাথায় রেখেই তদন্ত চলছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর পুলিশের রমনা বিভাগের সহকারী কমিশনার (এসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন আজকের পত্রিকাকে বলেন, এখন পর্যন্ত এ ঘটনায় হত্যা বা অস্বাভাবিক কিছু পাওয়া যায়নি। তবে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, গাড়ির গ্যাস বের হয়ে সেটি বিষাক্ত কার্বন মনোঅক্সাইড তৈরি হয়ে মৃত্যু হতে পারে। তবে ময়নাতদন্তের ও ভিসেরা (ফরেনসিক) রিপোর্টের পর আমরা মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হতে পারব।
রাজধানীর মৌচাকে ডা. সিরাজুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালের পার্কিংয়ে একটি প্রাইভেটকার থেকে দুজনের লাশ উদ্ধারের ঘটনাটি হত্যাকাণ্ড বলে সন্দেহ করছে নিহতদের স্বজনেরা। মরদেহের শরীরে রক্ত ও মুখ ফোলা দেখেই এই সন্দেহ তাঁদের।
গত সোমবার দুপুরে ওই প্রাইভেট কার থেকে জাকির হোসেন (২৮) ও মিজানুর রহমান (৪৪) নামে দুই ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করে রমনা থানা-পুলিশ। তাঁদের হত্যা করা হয়েছে নাকি অন্য কোনো কারণে মৃত্যু হয়েছে—এ বিষয়ে তাৎক্ষণিক কিছু জানাতে পারেনি পুলিশ।
গতকাল মঙ্গলবার নিহত দুজনের মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলার লটপটিয়া গ্রামে জাকির হোসেনকে এবং একই উপজেলার দক্ষিণ গোমাতলী গ্রামে মিজানুর রহমানকে দাফন করা হয়।
আজ বুধবার রাতে নিহত জাকির হোসেনের বাবা মো. আবু তাহের আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘শরীর রক্তমাখা ছিল, মুখ ফোলা ছিল। স্বাভাবিক মৃত্যু হলে শরীরে রক্ত থাকবে কেন। গাড়িতেও নাকি রক্ত পড়ে ছিল। গাড়ির মধ্যেও লাশ উল্টো হয়ে পড়ে ছিল। স্বাভাবিক মৃত্যু হলে এসবতো হতো না।’
আবু তাহের আরও বলেন, ‘বিদেশে যাওয়ার টাকা যেই ট্র্যাভেল এজেন্সিকে দিয়েছিলাম, সেই টাকা ফেরত দেওয়া নিয়ে আমার ছেলেকে একবার মারধরও করেছিল। ঘটনার দিনও আমার ছেলেকে ১০ লাখ টাকা ফেরত দেওয়ার কথা ছিল। তাই সন্দেহ হয় এটা হত্যাকাণ্ড।’
জাকিরের মামাতো ভাই সাব্বির ইসলাম বুধবার (১৩ আগস্ট) রাতে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ট্রাভেল এজেন্সির ফজলু ও মিজান নামের যেই দুই ব্যক্তিকে বিদেশ যাওয়ার জন্য টাকা দেওয়া হয়েছিল, তাদের অফিস ঢাকার পল্টনে। তবে সেই অফিসে তাদের এজেন্সির কোনো নাম বা লোগো ছিল না। তাদের সঙ্গে জাকিরের ফোনে যোগাযোগ হতো। তদন্তের জন্য জাকিরের ফোনটি পুলিশের কাছে আছে। তাই ফজলু ও মিজানের কোনো নাম্বার আপাতত আমাদের কাছে নেই।’
নিহত মিজানুরের ভাগিনা মো. রিয়াদ মঙ্গলবার বলেছিলেন, ‘জাকির আর মিজানুর দুজন বন্ধু। জাকির প্রায়ই মিজানুরকে সঙ্গে নিয়ে যেতেন গাড়ি চালানো শেখাতে। শনিবার রাতে তারা বিমানবন্দরের উদ্দেশ্যে গাড়ি ভাড়া নিয়ে গ্রাম থেকে ঢাকায় আসেন। এরপর কী হয়েছে আমরা জানি না। তবে তাঁকে মেরে ফেলা হয়েছে এটা বুঝতে পারছি।’
এদিকে লাশের সুরতহাল প্রতিবেদনেও মরদেহের বিভিন্ন চিহ্ন উল্লেখ করা হয়েছে। মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদনে রমনা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আওলাদ হোসেন উল্লেখ করেন, জাকিরের শরীরে মাথা রক্তমাখা ও ফোলা, কপাল ফোলা ও পচন ধরেছিল। দুই চোখ বন্ধ, ফোলা, রক্তমাখা, ফোসকা পড়া। দুই কানও রক্তমাখা, ফোসকা পড়া এবং রক্ত নির্গমন পরিলক্ষিত হয়। এ ছাড়া রক্তমাখা খোলা মুখ খোলা এবং দাঁত দৃশ্যমান ছিল। সমগ্র মুখমন্ডল ফোলা, রক্তাক্ত।’
মিজানুরের লাশের ব্যাপারে আওলাদ হোসেন বলেন, ‘শরীর ও মাথা রক্তমাখা, ফোলা। কপাল রক্তমাখা ও ফোলা। দুই চোখ বন্ধ, ফোলা, রক্তমাখা, ফোসকা পড়া। দুই কানও রক্তমাখা, ফোসকা পড়া এবং রক্ত নির্গমন পরিলক্ষিত হয়। মুখ খোলা, জিহ্বা দৃশ্যমান। সমগ্র মুখমণ্ডল ফোলা, রক্তাক্ত।’
এ ঘটনায় গাড়িচালক জাকিরের বাবা আবু তাহের বাদী হয়ে রমনা থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা করেছেন। রমনা-থানা পুলিশ মামলাটি তদন্ত করছে। মামলার তদন্ত করতে ঘটনাস্থল থেকে তিনটি সিসি (ক্লোজ সার্কিট) ক্যামেরার প্রায় ৩২ ঘণ্টার ফুটেজ সংগ্রহ করে তা বিশ্লেষণ করেছে পুলিশ। ফুটেজে এই সময়ের মধ্যে পার্কিংয়ে থাকা ওই গাড়ির কাছে বাইরে থেকে কাউকে যেতে দেখা যায়নি। আবার গাড়ি থেকেও কাউকে বের হতে দেখা যায়নি বলে জানান মামলার তদন্তসংশ্লিষ্টরা।
তদন্তসংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, হাসপাতালের সামনের অংশে থাকা একটি এবং পার্কিংয়ে থাকা দুটি সিসি ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণ করা হয়েছে। ফুটেজে দেখা যায়, রোববার ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে গাড়িটি পার্কিংয়ে প্রবেশ করে। তারপর আর বের হয়নি। এই সময়ের মধ্যে ওই গাড়ির কাছে বাইরে থেকে কাউকে যেতেও দেখা যায়নি। পরে লাশ উদ্ধারের সময় পরীক্ষা-নিরীক্ষায় দেখা যায় অনেক সময় ধরে চালু থাকার কারণে গাড়ির গ্যাস শেষ হয়ে গিয়েছিল। এমনকি ব্যাটারির চার্জও শেষ হয়ে গিয়েছিল। ধারণা করা হচ্ছে, গাড়িটি থেকে প্রচুর পরিমাণ গ্যাস বের হয়ে কার্বন মনোঅক্সাইড তৈরি হয়। আবার দীর্ঘ সময় এসি চালু থাকায় সেখান থেকেও অতিমাত্রায় কার্বন মনোঅক্সাইড গ্যাস বের হয়ে থাকতে পারে। এই গ্যাস শ্বাসপ্রশ্বাসের সঙ্গে তাঁদের শরীরে প্রবেশ করে তাঁদের মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে। আর দীর্ঘ সময় ধরে গাড়ির মধ্যে বদ্ধ অবস্থায় থাকার কারণে গরমে এক দিনেই তাদের শরীর অস্বাভাবিক ফুলে যায়। তবে মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হতে ময়নাতদন্ত রিপোর্ট ও ফরেনসিক রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করছেন। সবকিছু মাথায় রেখেই তদন্ত চলছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর পুলিশের রমনা বিভাগের সহকারী কমিশনার (এসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন আজকের পত্রিকাকে বলেন, এখন পর্যন্ত এ ঘটনায় হত্যা বা অস্বাভাবিক কিছু পাওয়া যায়নি। তবে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, গাড়ির গ্যাস বের হয়ে সেটি বিষাক্ত কার্বন মনোঅক্সাইড তৈরি হয়ে মৃত্যু হতে পারে। তবে ময়নাতদন্তের ও ভিসেরা (ফরেনসিক) রিপোর্টের পর আমরা মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হতে পারব।
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
রাজধানীর মৌচাকে ডা. সিরাজুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালের পার্কিংয়ে একটি প্রাইভেটকার থেকে দুজনের লাশ উদ্ধারের ঘটনাটি হত্যাকাণ্ড বলে সন্দেহ করছে নিহতদের স্বজনেরা। মরদেহের শরীরে রক্ত ও মুখ ফোলা দেখেই এই সন্দেহ তাঁদের।
গত সোমবার দুপুরে ওই প্রাইভেট কার থেকে জাকির হোসেন (২৮) ও মিজানুর রহমান (৪৪) নামে দুই ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করে রমনা থানা-পুলিশ। তাঁদের হত্যা করা হয়েছে নাকি অন্য কোনো কারণে মৃত্যু হয়েছে—এ বিষয়ে তাৎক্ষণিক কিছু জানাতে পারেনি পুলিশ।
গতকাল মঙ্গলবার নিহত দুজনের মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলার লটপটিয়া গ্রামে জাকির হোসেনকে এবং একই উপজেলার দক্ষিণ গোমাতলী গ্রামে মিজানুর রহমানকে দাফন করা হয়।
আজ বুধবার রাতে নিহত জাকির হোসেনের বাবা মো. আবু তাহের আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘শরীর রক্তমাখা ছিল, মুখ ফোলা ছিল। স্বাভাবিক মৃত্যু হলে শরীরে রক্ত থাকবে কেন। গাড়িতেও নাকি রক্ত পড়ে ছিল। গাড়ির মধ্যেও লাশ উল্টো হয়ে পড়ে ছিল। স্বাভাবিক মৃত্যু হলে এসবতো হতো না।’
আবু তাহের আরও বলেন, ‘বিদেশে যাওয়ার টাকা যেই ট্র্যাভেল এজেন্সিকে দিয়েছিলাম, সেই টাকা ফেরত দেওয়া নিয়ে আমার ছেলেকে একবার মারধরও করেছিল। ঘটনার দিনও আমার ছেলেকে ১০ লাখ টাকা ফেরত দেওয়ার কথা ছিল। তাই সন্দেহ হয় এটা হত্যাকাণ্ড।’
জাকিরের মামাতো ভাই সাব্বির ইসলাম বুধবার (১৩ আগস্ট) রাতে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ট্রাভেল এজেন্সির ফজলু ও মিজান নামের যেই দুই ব্যক্তিকে বিদেশ যাওয়ার জন্য টাকা দেওয়া হয়েছিল, তাদের অফিস ঢাকার পল্টনে। তবে সেই অফিসে তাদের এজেন্সির কোনো নাম বা লোগো ছিল না। তাদের সঙ্গে জাকিরের ফোনে যোগাযোগ হতো। তদন্তের জন্য জাকিরের ফোনটি পুলিশের কাছে আছে। তাই ফজলু ও মিজানের কোনো নাম্বার আপাতত আমাদের কাছে নেই।’
নিহত মিজানুরের ভাগিনা মো. রিয়াদ মঙ্গলবার বলেছিলেন, ‘জাকির আর মিজানুর দুজন বন্ধু। জাকির প্রায়ই মিজানুরকে সঙ্গে নিয়ে যেতেন গাড়ি চালানো শেখাতে। শনিবার রাতে তারা বিমানবন্দরের উদ্দেশ্যে গাড়ি ভাড়া নিয়ে গ্রাম থেকে ঢাকায় আসেন। এরপর কী হয়েছে আমরা জানি না। তবে তাঁকে মেরে ফেলা হয়েছে এটা বুঝতে পারছি।’
এদিকে লাশের সুরতহাল প্রতিবেদনেও মরদেহের বিভিন্ন চিহ্ন উল্লেখ করা হয়েছে। মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদনে রমনা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আওলাদ হোসেন উল্লেখ করেন, জাকিরের শরীরে মাথা রক্তমাখা ও ফোলা, কপাল ফোলা ও পচন ধরেছিল। দুই চোখ বন্ধ, ফোলা, রক্তমাখা, ফোসকা পড়া। দুই কানও রক্তমাখা, ফোসকা পড়া এবং রক্ত নির্গমন পরিলক্ষিত হয়। এ ছাড়া রক্তমাখা খোলা মুখ খোলা এবং দাঁত দৃশ্যমান ছিল। সমগ্র মুখমন্ডল ফোলা, রক্তাক্ত।’
মিজানুরের লাশের ব্যাপারে আওলাদ হোসেন বলেন, ‘শরীর ও মাথা রক্তমাখা, ফোলা। কপাল রক্তমাখা ও ফোলা। দুই চোখ বন্ধ, ফোলা, রক্তমাখা, ফোসকা পড়া। দুই কানও রক্তমাখা, ফোসকা পড়া এবং রক্ত নির্গমন পরিলক্ষিত হয়। মুখ খোলা, জিহ্বা দৃশ্যমান। সমগ্র মুখমণ্ডল ফোলা, রক্তাক্ত।’
এ ঘটনায় গাড়িচালক জাকিরের বাবা আবু তাহের বাদী হয়ে রমনা থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা করেছেন। রমনা-থানা পুলিশ মামলাটি তদন্ত করছে। মামলার তদন্ত করতে ঘটনাস্থল থেকে তিনটি সিসি (ক্লোজ সার্কিট) ক্যামেরার প্রায় ৩২ ঘণ্টার ফুটেজ সংগ্রহ করে তা বিশ্লেষণ করেছে পুলিশ। ফুটেজে এই সময়ের মধ্যে পার্কিংয়ে থাকা ওই গাড়ির কাছে বাইরে থেকে কাউকে যেতে দেখা যায়নি। আবার গাড়ি থেকেও কাউকে বের হতে দেখা যায়নি বলে জানান মামলার তদন্তসংশ্লিষ্টরা।
তদন্তসংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, হাসপাতালের সামনের অংশে থাকা একটি এবং পার্কিংয়ে থাকা দুটি সিসি ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণ করা হয়েছে। ফুটেজে দেখা যায়, রোববার ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে গাড়িটি পার্কিংয়ে প্রবেশ করে। তারপর আর বের হয়নি। এই সময়ের মধ্যে ওই গাড়ির কাছে বাইরে থেকে কাউকে যেতেও দেখা যায়নি। পরে লাশ উদ্ধারের সময় পরীক্ষা-নিরীক্ষায় দেখা যায় অনেক সময় ধরে চালু থাকার কারণে গাড়ির গ্যাস শেষ হয়ে গিয়েছিল। এমনকি ব্যাটারির চার্জও শেষ হয়ে গিয়েছিল। ধারণা করা হচ্ছে, গাড়িটি থেকে প্রচুর পরিমাণ গ্যাস বের হয়ে কার্বন মনোঅক্সাইড তৈরি হয়। আবার দীর্ঘ সময় এসি চালু থাকায় সেখান থেকেও অতিমাত্রায় কার্বন মনোঅক্সাইড গ্যাস বের হয়ে থাকতে পারে। এই গ্যাস শ্বাসপ্রশ্বাসের সঙ্গে তাঁদের শরীরে প্রবেশ করে তাঁদের মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে। আর দীর্ঘ সময় ধরে গাড়ির মধ্যে বদ্ধ অবস্থায় থাকার কারণে গরমে এক দিনেই তাদের শরীর অস্বাভাবিক ফুলে যায়। তবে মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হতে ময়নাতদন্ত রিপোর্ট ও ফরেনসিক রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করছেন। সবকিছু মাথায় রেখেই তদন্ত চলছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর পুলিশের রমনা বিভাগের সহকারী কমিশনার (এসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন আজকের পত্রিকাকে বলেন, এখন পর্যন্ত এ ঘটনায় হত্যা বা অস্বাভাবিক কিছু পাওয়া যায়নি। তবে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, গাড়ির গ্যাস বের হয়ে সেটি বিষাক্ত কার্বন মনোঅক্সাইড তৈরি হয়ে মৃত্যু হতে পারে। তবে ময়নাতদন্তের ও ভিসেরা (ফরেনসিক) রিপোর্টের পর আমরা মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হতে পারব।
রাজধানীর মৌচাকে ডা. সিরাজুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালের পার্কিংয়ে একটি প্রাইভেটকার থেকে দুজনের লাশ উদ্ধারের ঘটনাটি হত্যাকাণ্ড বলে সন্দেহ করছে নিহতদের স্বজনেরা। মরদেহের শরীরে রক্ত ও মুখ ফোলা দেখেই এই সন্দেহ তাঁদের।
গত সোমবার দুপুরে ওই প্রাইভেট কার থেকে জাকির হোসেন (২৮) ও মিজানুর রহমান (৪৪) নামে দুই ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করে রমনা থানা-পুলিশ। তাঁদের হত্যা করা হয়েছে নাকি অন্য কোনো কারণে মৃত্যু হয়েছে—এ বিষয়ে তাৎক্ষণিক কিছু জানাতে পারেনি পুলিশ।
গতকাল মঙ্গলবার নিহত দুজনের মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলার লটপটিয়া গ্রামে জাকির হোসেনকে এবং একই উপজেলার দক্ষিণ গোমাতলী গ্রামে মিজানুর রহমানকে দাফন করা হয়।
আজ বুধবার রাতে নিহত জাকির হোসেনের বাবা মো. আবু তাহের আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘শরীর রক্তমাখা ছিল, মুখ ফোলা ছিল। স্বাভাবিক মৃত্যু হলে শরীরে রক্ত থাকবে কেন। গাড়িতেও নাকি রক্ত পড়ে ছিল। গাড়ির মধ্যেও লাশ উল্টো হয়ে পড়ে ছিল। স্বাভাবিক মৃত্যু হলে এসবতো হতো না।’
আবু তাহের আরও বলেন, ‘বিদেশে যাওয়ার টাকা যেই ট্র্যাভেল এজেন্সিকে দিয়েছিলাম, সেই টাকা ফেরত দেওয়া নিয়ে আমার ছেলেকে একবার মারধরও করেছিল। ঘটনার দিনও আমার ছেলেকে ১০ লাখ টাকা ফেরত দেওয়ার কথা ছিল। তাই সন্দেহ হয় এটা হত্যাকাণ্ড।’
জাকিরের মামাতো ভাই সাব্বির ইসলাম বুধবার (১৩ আগস্ট) রাতে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ট্রাভেল এজেন্সির ফজলু ও মিজান নামের যেই দুই ব্যক্তিকে বিদেশ যাওয়ার জন্য টাকা দেওয়া হয়েছিল, তাদের অফিস ঢাকার পল্টনে। তবে সেই অফিসে তাদের এজেন্সির কোনো নাম বা লোগো ছিল না। তাদের সঙ্গে জাকিরের ফোনে যোগাযোগ হতো। তদন্তের জন্য জাকিরের ফোনটি পুলিশের কাছে আছে। তাই ফজলু ও মিজানের কোনো নাম্বার আপাতত আমাদের কাছে নেই।’
নিহত মিজানুরের ভাগিনা মো. রিয়াদ মঙ্গলবার বলেছিলেন, ‘জাকির আর মিজানুর দুজন বন্ধু। জাকির প্রায়ই মিজানুরকে সঙ্গে নিয়ে যেতেন গাড়ি চালানো শেখাতে। শনিবার রাতে তারা বিমানবন্দরের উদ্দেশ্যে গাড়ি ভাড়া নিয়ে গ্রাম থেকে ঢাকায় আসেন। এরপর কী হয়েছে আমরা জানি না। তবে তাঁকে মেরে ফেলা হয়েছে এটা বুঝতে পারছি।’
এদিকে লাশের সুরতহাল প্রতিবেদনেও মরদেহের বিভিন্ন চিহ্ন উল্লেখ করা হয়েছে। মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদনে রমনা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আওলাদ হোসেন উল্লেখ করেন, জাকিরের শরীরে মাথা রক্তমাখা ও ফোলা, কপাল ফোলা ও পচন ধরেছিল। দুই চোখ বন্ধ, ফোলা, রক্তমাখা, ফোসকা পড়া। দুই কানও রক্তমাখা, ফোসকা পড়া এবং রক্ত নির্গমন পরিলক্ষিত হয়। এ ছাড়া রক্তমাখা খোলা মুখ খোলা এবং দাঁত দৃশ্যমান ছিল। সমগ্র মুখমন্ডল ফোলা, রক্তাক্ত।’
মিজানুরের লাশের ব্যাপারে আওলাদ হোসেন বলেন, ‘শরীর ও মাথা রক্তমাখা, ফোলা। কপাল রক্তমাখা ও ফোলা। দুই চোখ বন্ধ, ফোলা, রক্তমাখা, ফোসকা পড়া। দুই কানও রক্তমাখা, ফোসকা পড়া এবং রক্ত নির্গমন পরিলক্ষিত হয়। মুখ খোলা, জিহ্বা দৃশ্যমান। সমগ্র মুখমণ্ডল ফোলা, রক্তাক্ত।’
এ ঘটনায় গাড়িচালক জাকিরের বাবা আবু তাহের বাদী হয়ে রমনা থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা করেছেন। রমনা-থানা পুলিশ মামলাটি তদন্ত করছে। মামলার তদন্ত করতে ঘটনাস্থল থেকে তিনটি সিসি (ক্লোজ সার্কিট) ক্যামেরার প্রায় ৩২ ঘণ্টার ফুটেজ সংগ্রহ করে তা বিশ্লেষণ করেছে পুলিশ। ফুটেজে এই সময়ের মধ্যে পার্কিংয়ে থাকা ওই গাড়ির কাছে বাইরে থেকে কাউকে যেতে দেখা যায়নি। আবার গাড়ি থেকেও কাউকে বের হতে দেখা যায়নি বলে জানান মামলার তদন্তসংশ্লিষ্টরা।
তদন্তসংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, হাসপাতালের সামনের অংশে থাকা একটি এবং পার্কিংয়ে থাকা দুটি সিসি ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণ করা হয়েছে। ফুটেজে দেখা যায়, রোববার ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে গাড়িটি পার্কিংয়ে প্রবেশ করে। তারপর আর বের হয়নি। এই সময়ের মধ্যে ওই গাড়ির কাছে বাইরে থেকে কাউকে যেতেও দেখা যায়নি। পরে লাশ উদ্ধারের সময় পরীক্ষা-নিরীক্ষায় দেখা যায় অনেক সময় ধরে চালু থাকার কারণে গাড়ির গ্যাস শেষ হয়ে গিয়েছিল। এমনকি ব্যাটারির চার্জও শেষ হয়ে গিয়েছিল। ধারণা করা হচ্ছে, গাড়িটি থেকে প্রচুর পরিমাণ গ্যাস বের হয়ে কার্বন মনোঅক্সাইড তৈরি হয়। আবার দীর্ঘ সময় এসি চালু থাকায় সেখান থেকেও অতিমাত্রায় কার্বন মনোঅক্সাইড গ্যাস বের হয়ে থাকতে পারে। এই গ্যাস শ্বাসপ্রশ্বাসের সঙ্গে তাঁদের শরীরে প্রবেশ করে তাঁদের মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে। আর দীর্ঘ সময় ধরে গাড়ির মধ্যে বদ্ধ অবস্থায় থাকার কারণে গরমে এক দিনেই তাদের শরীর অস্বাভাবিক ফুলে যায়। তবে মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হতে ময়নাতদন্ত রিপোর্ট ও ফরেনসিক রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করছেন। সবকিছু মাথায় রেখেই তদন্ত চলছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর পুলিশের রমনা বিভাগের সহকারী কমিশনার (এসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন আজকের পত্রিকাকে বলেন, এখন পর্যন্ত এ ঘটনায় হত্যা বা অস্বাভাবিক কিছু পাওয়া যায়নি। তবে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, গাড়ির গ্যাস বের হয়ে সেটি বিষাক্ত কার্বন মনোঅক্সাইড তৈরি হয়ে মৃত্যু হতে পারে। তবে ময়নাতদন্তের ও ভিসেরা (ফরেনসিক) রিপোর্টের পর আমরা মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হতে পারব।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) হল সংসদ নির্বাচনের ফল ঘোষণা নিয়ে ছাত্রদল ও ছাত্রশিবিরের মধ্যে হট্টগোলের ঘটনা ঘটেছে। বুধবার দিবাগত রাত ১২টা ৫০ মিনিটে প্রকৌশল অনুষদ ভবনের সামনে এ হট্টগোল শুরু হয়। দিবাগত রাত ১টা ১০ মিনিটেও দুই পক্ষ সেখানে অবস্থান নিচ্ছিল।
৫ ঘণ্টা আগেপুরান ঢাকা থেকে কেমিক্যাল ব্যবসা সরাতে সাত বছর আগে মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানে কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের কাজ শুরু করে সরকার। এই প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হওয়ার বাকি আর মাত্র দুই মাস, অথচ এখনো সীমানাপ্রাচীর নির্মাণের কাজও শেষ হয়নি।
৫ ঘণ্টা আগেচট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচনে অতীশ দীপঙ্কর হল ও মাস্টারদা সূর্য সেন হলে ভাইস প্রেসিডেন্ট (ভিপি) পদে এগিয়ে রয়েছে ছাত্রদল। চাকসু নির্বাচনে অতীশ দীপঙ্কর হলে ছাত্রদলের ভিপি প্রার্থী সাজ্জাত হোসেন হৃদয় পেয়েছেন ২২৩ ভোট। এই হলে ছাত্রশিবিরের ভিপি প্রার্থী...
৫ ঘণ্টা আগেআদালত ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের আদেশ উপেক্ষা করে বরগুনা পৌরসভায় যানবাহন থেকে টোলের নামে চাঁদা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। চালকদের অভিযোগ, নির্ধারিত হারে চাঁদা না দিলে হুমকি, মারধর, এমনকি গাড়িও আটকে রাখা হয়।
৫ ঘণ্টা আগেচবি প্রতিনিধি
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) হল সংসদ নির্বাচনের ফল ঘোষণা নিয়ে ছাত্রদল ও ছাত্রশিবিরের মধ্যে হট্টগোলের ঘটনা ঘটেছে। বুধবার দিবাগত রাত ১২টা ৫০ মিনিটে প্রকৌশল অনুষদ ভবনের সামনে এ হট্টগোল শুরু হয়। দিবাগত রাত ১টা ১০ মিনিটেও দুই পক্ষ সেখানে অবস্থান নিচ্ছিল। ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা সহ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মো. কামাল উদ্দিনকে প্রকৌশল অনুষদ ভবনে অবরুদ্ধ করে রেখেছেন।
ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদের অভিযোগ, সোহরাওয়ার্দী হলে ভিপি পদে জমাদিউল আওয়ালকে কারচুপির মাধ্যমে ফেল করানো হয়েছে। তাঁকে ১ হাজার ২০৩ ভোট দেওয়া হয়েছে, এই পদে ছাত্রশিবির সমর্থিত নেয়ামত উল্লাহ ১ হাজার ২০৬ ভোট পেয়েছেন বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
ঘটনাস্থলে ছাত্রদলের এক কর্মী দাবি করেন, প্রকৌশল অনুষদের ৩১২ নম্বর কক্ষে দর্শন ও সংস্কৃত বিভাগের শিক্ষার্থীরা ভোট দিয়েছে। অথচ এই কক্ষে জমাদিউল আওয়াল পেয়েছেন ৩ ভোট। এমনটি হওয়ার কথা নয়। আর দর্শন বিভাগের অনেকের সঙ্গে জমাদিউল আওয়ালের সুসম্পর্ক রয়েছে। তাঁকে কারচুপির মাধ্যমে ৩ ভোট দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে সহ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মো. কামাল উদ্দিনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, তিনি ফলাফল ঘোষণা শেষে চলে যাচ্ছিলেন। এরপর একদল শিক্ষার্থী তাঁর পথ আটকে সোহরাওয়ার্দী হল সংসদে এই ভবনের ৩১২ নম্বর কক্ষের ভোট আবার গণনার দাবি করেছেন। এ সময় তিনি এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেন। তবে তাঁরা মানেননি। সর্বশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত তাঁকে আটকে রাখা হয়েছে।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) হল সংসদ নির্বাচনের ফল ঘোষণা নিয়ে ছাত্রদল ও ছাত্রশিবিরের মধ্যে হট্টগোলের ঘটনা ঘটেছে। বুধবার দিবাগত রাত ১২টা ৫০ মিনিটে প্রকৌশল অনুষদ ভবনের সামনে এ হট্টগোল শুরু হয়। দিবাগত রাত ১টা ১০ মিনিটেও দুই পক্ষ সেখানে অবস্থান নিচ্ছিল। ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা সহ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মো. কামাল উদ্দিনকে প্রকৌশল অনুষদ ভবনে অবরুদ্ধ করে রেখেছেন।
ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদের অভিযোগ, সোহরাওয়ার্দী হলে ভিপি পদে জমাদিউল আওয়ালকে কারচুপির মাধ্যমে ফেল করানো হয়েছে। তাঁকে ১ হাজার ২০৩ ভোট দেওয়া হয়েছে, এই পদে ছাত্রশিবির সমর্থিত নেয়ামত উল্লাহ ১ হাজার ২০৬ ভোট পেয়েছেন বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
ঘটনাস্থলে ছাত্রদলের এক কর্মী দাবি করেন, প্রকৌশল অনুষদের ৩১২ নম্বর কক্ষে দর্শন ও সংস্কৃত বিভাগের শিক্ষার্থীরা ভোট দিয়েছে। অথচ এই কক্ষে জমাদিউল আওয়াল পেয়েছেন ৩ ভোট। এমনটি হওয়ার কথা নয়। আর দর্শন বিভাগের অনেকের সঙ্গে জমাদিউল আওয়ালের সুসম্পর্ক রয়েছে। তাঁকে কারচুপির মাধ্যমে ৩ ভোট দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে সহ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মো. কামাল উদ্দিনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, তিনি ফলাফল ঘোষণা শেষে চলে যাচ্ছিলেন। এরপর একদল শিক্ষার্থী তাঁর পথ আটকে সোহরাওয়ার্দী হল সংসদে এই ভবনের ৩১২ নম্বর কক্ষের ভোট আবার গণনার দাবি করেছেন। এ সময় তিনি এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেন। তবে তাঁরা মানেননি। সর্বশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত তাঁকে আটকে রাখা হয়েছে।
রাজধানীর মৌচাকে ডা. সিরাজুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালের পার্কিংয়ে একটি প্রাইভেটকার থেকে দুজনের লাশ উদ্ধারের ঘটনাটি হত্যাকাণ্ড বলে সন্দেহ করছে নিহতদের স্বজনেরা। মরদেহের শরীরে রক্ত ও মুখ ফোলা দেখেই এই সন্দেহ তাঁদের।
১৪ আগস্ট ২০২৫পুরান ঢাকা থেকে কেমিক্যাল ব্যবসা সরাতে সাত বছর আগে মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানে কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের কাজ শুরু করে সরকার। এই প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হওয়ার বাকি আর মাত্র দুই মাস, অথচ এখনো সীমানাপ্রাচীর নির্মাণের কাজও শেষ হয়নি।
৫ ঘণ্টা আগেচট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচনে অতীশ দীপঙ্কর হল ও মাস্টারদা সূর্য সেন হলে ভাইস প্রেসিডেন্ট (ভিপি) পদে এগিয়ে রয়েছে ছাত্রদল। চাকসু নির্বাচনে অতীশ দীপঙ্কর হলে ছাত্রদলের ভিপি প্রার্থী সাজ্জাত হোসেন হৃদয় পেয়েছেন ২২৩ ভোট। এই হলে ছাত্রশিবিরের ভিপি প্রার্থী...
৫ ঘণ্টা আগেআদালত ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের আদেশ উপেক্ষা করে বরগুনা পৌরসভায় যানবাহন থেকে টোলের নামে চাঁদা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। চালকদের অভিযোগ, নির্ধারিত হারে চাঁদা না দিলে হুমকি, মারধর, এমনকি গাড়িও আটকে রাখা হয়।
৫ ঘণ্টা আগেআয়নাল হোসেন, ঢাকা
পুরান ঢাকা থেকে কেমিক্যাল ব্যবসা সরাতে সাত বছর আগে মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানে কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের কাজ শুরু করে সরকার। এই প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হওয়ার বাকি আর মাত্র দুই মাস, অথচ এখনো সীমানাপ্রাচীর নির্মাণের কাজও শেষ হয়নি।
সরকারি তথ্য অনুযায়ী, গত সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কাজের অগ্রগতি ৭৮ শতাংশ। কিন্তু বাস্তবে সেখানে এখনো ঝোপঝাড়ে ভরা মাঠ। কয়েকটি ভবনের নির্মাণকাজ চলছে, বিদ্যুতের খুঁটি বসানো হয়েছে। কিন্তু রাস্তা, ড্রেন, ডাম্পিং ইয়ার্ড কিছুই এখনো সম্পন্ন হয়নি। প্লট হস্তান্তর হয়নি, তাই ব্যবসায়ীরাও সরছেন না।
প্রকল্প পরিচালক মফিজুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাঁকে ফোনে পাওয়া যায়নি। পরে খুদে বার্তা পাঠানো হলে ফিরতি বার্তায় জানান, সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৭৮ শতাংশ অগ্রগতি হয়েছে। আগামী বছর প্লট হস্তান্তর করা হবে।
বিসিক চেয়ারম্যান মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, প্রকল্পের মেয়াদ আরও দুই বছর বাড়ানোর জন্য শিল্প মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে। তবে অনুমোদন এখনো পাওয়া যায়নি। অনুমোদন পাওয়া গেলে ২০২৭ সালের ডিসেম্বরে প্রকল্পের কাজ শেষ হবে।
এই রাসায়নিক পল্লির জন্য ৩০৮ দশমিক ৩৩ একর জমি অধিগ্রহণ করেছে সরকার। পরিকল্পনা অনুযায়ী এখানে হবে ১ হাজার ৮৪৩টি প্লট, থাকবে রাস্তা, ড্রেন, ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ ফাঁড়ি, পানি সরবরাহব্যবস্থা, ইনসিনেরেটর ও জেটি। কিন্তু কাজের গতি বলছে, এসবের বাস্তবায়নের মাধ্যমে নিরাপদ শিল্পাঞ্চল গড়ে তোলা এখনো বহু দূর।
কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক প্রকল্পের কাজের এমন দশায় পুরান ঢাকায় আগের মতোই চলছে কেমিক্যাল ব্যবসা।
২০১০ সালের নিমতলী ও ২০১৯ সালের চুড়িহাট্টার ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়। তারপরও নিরাপত্তাব্যবস্থায় তেমন অগ্রগতি হয়নি। বরং ব্যবসা ছড়িয়ে পড়েছে মিরপুর, সাভার, আশুলিয়া, টঙ্গী ও নারায়ণগঞ্জের মতো শহরগুলোয়। কিন্তু দ্রুত যেকোনো বিপর্যয় সামাল দিতে ফায়ার সার্ভিসেরও পর্যাপ্ত প্রস্তুতি নেই। কেমিক্যালের আগুন নেভাতে তাদের সক্ষমতা সীমিত। ফলে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটলে ভয়াবহ বিপর্যয় ঘটতে পারে।
পুরান ঢাকার ব্যবসায়ীরা বলছেন, তাঁরা সরতে চান, কিন্তু শর্ত পূরণ না হলে তা সম্ভব নয়। বাংলাদেশ কেমিক্যাল অ্যান্ড পারফিউমারি মার্চেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম মিলন বলেন, গুদামঘর স্থানান্তরের জন্য তাঁরা প্রস্তুত। তবে প্লট বুঝে না পেলে তাঁরা কীভাবে যাবেন। তাঁরা শিল্পের কাঁচামাল সরবরাহ করে থাকেন। সঠিকভাবে এসব মালামাল সংরক্ষণের জন্য রাসায়নিক পল্লিতে গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানি, ফায়ার সার্ভিস ও অন্যান্য ব্যবস্থাপনা গড়ে উঠতে সময় লাগবে। বিষয়গুলো নিয়ে তাদের পক্ষ থেকে বিসিককে বারবার তাগিদ দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু নির্মাণকাজ সম্পন্ন করে হস্তান্তর করা না হলে ব্যবসায়ীদের কী করণীয় থাকতে পারে?
প্রকল্পের ধীরগতি নিয়ে অসন্তোষ রয়েছে পরিবেশবিদদেরও। বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য জাভেদ জাহান বলেন, তখন জোরজবরদস্তি করে প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছিল। এটি ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনা করে ঢাকার কাছাকাছি হাজারীবাগ বা আশপাশে অল্প পরিমাণ জমিতে নির্মাণ হলে এত দিনে স্থানান্তর হয়ে যেত। কিন্তু পল্লি দূরে তৈরি হওয়ায় ব্যবসায়ীদের সেখানে যেতে আগ্রহ কম। সরকারও ঢিলেতালে হাঁটছে।
রসায়নবিদেরা বলছেন, কেমিক্যাল ব্যবসা জটিল ও সংবেদনশীল। এ কাজে দক্ষতা জরুরি। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের একজন অধ্যাপক বলেন, কেমিক্যাল কেনাবেচা কিংবা এগুলো নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করতে হলে এসব সম্পর্কে বিশদ ধারণা থাকা প্রয়োজন। একেকটি কেমিক্যালের একেক রকম চরিত্র। কেমিস্ট, রিসার্সার, সায়েন্টিফিকদের এসব সম্পর্কে পূর্ণাঙ্গ ধারণা থাকে। এসব কেমিক্যালের ডিলিংস সম্পর্কে সঠিক ধারণা না থাকলে সেটি অন্ধকারে ঢিল মারার মতো অবস্থা হবে। এতে যেকোনো সময় বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
পুরান ঢাকা থেকে কেমিক্যাল ব্যবসা সরাতে সাত বছর আগে মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানে কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের কাজ শুরু করে সরকার। এই প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হওয়ার বাকি আর মাত্র দুই মাস, অথচ এখনো সীমানাপ্রাচীর নির্মাণের কাজও শেষ হয়নি।
সরকারি তথ্য অনুযায়ী, গত সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কাজের অগ্রগতি ৭৮ শতাংশ। কিন্তু বাস্তবে সেখানে এখনো ঝোপঝাড়ে ভরা মাঠ। কয়েকটি ভবনের নির্মাণকাজ চলছে, বিদ্যুতের খুঁটি বসানো হয়েছে। কিন্তু রাস্তা, ড্রেন, ডাম্পিং ইয়ার্ড কিছুই এখনো সম্পন্ন হয়নি। প্লট হস্তান্তর হয়নি, তাই ব্যবসায়ীরাও সরছেন না।
প্রকল্প পরিচালক মফিজুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাঁকে ফোনে পাওয়া যায়নি। পরে খুদে বার্তা পাঠানো হলে ফিরতি বার্তায় জানান, সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৭৮ শতাংশ অগ্রগতি হয়েছে। আগামী বছর প্লট হস্তান্তর করা হবে।
বিসিক চেয়ারম্যান মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, প্রকল্পের মেয়াদ আরও দুই বছর বাড়ানোর জন্য শিল্প মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে। তবে অনুমোদন এখনো পাওয়া যায়নি। অনুমোদন পাওয়া গেলে ২০২৭ সালের ডিসেম্বরে প্রকল্পের কাজ শেষ হবে।
এই রাসায়নিক পল্লির জন্য ৩০৮ দশমিক ৩৩ একর জমি অধিগ্রহণ করেছে সরকার। পরিকল্পনা অনুযায়ী এখানে হবে ১ হাজার ৮৪৩টি প্লট, থাকবে রাস্তা, ড্রেন, ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ ফাঁড়ি, পানি সরবরাহব্যবস্থা, ইনসিনেরেটর ও জেটি। কিন্তু কাজের গতি বলছে, এসবের বাস্তবায়নের মাধ্যমে নিরাপদ শিল্পাঞ্চল গড়ে তোলা এখনো বহু দূর।
কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক প্রকল্পের কাজের এমন দশায় পুরান ঢাকায় আগের মতোই চলছে কেমিক্যাল ব্যবসা।
২০১০ সালের নিমতলী ও ২০১৯ সালের চুড়িহাট্টার ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়। তারপরও নিরাপত্তাব্যবস্থায় তেমন অগ্রগতি হয়নি। বরং ব্যবসা ছড়িয়ে পড়েছে মিরপুর, সাভার, আশুলিয়া, টঙ্গী ও নারায়ণগঞ্জের মতো শহরগুলোয়। কিন্তু দ্রুত যেকোনো বিপর্যয় সামাল দিতে ফায়ার সার্ভিসেরও পর্যাপ্ত প্রস্তুতি নেই। কেমিক্যালের আগুন নেভাতে তাদের সক্ষমতা সীমিত। ফলে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটলে ভয়াবহ বিপর্যয় ঘটতে পারে।
পুরান ঢাকার ব্যবসায়ীরা বলছেন, তাঁরা সরতে চান, কিন্তু শর্ত পূরণ না হলে তা সম্ভব নয়। বাংলাদেশ কেমিক্যাল অ্যান্ড পারফিউমারি মার্চেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম মিলন বলেন, গুদামঘর স্থানান্তরের জন্য তাঁরা প্রস্তুত। তবে প্লট বুঝে না পেলে তাঁরা কীভাবে যাবেন। তাঁরা শিল্পের কাঁচামাল সরবরাহ করে থাকেন। সঠিকভাবে এসব মালামাল সংরক্ষণের জন্য রাসায়নিক পল্লিতে গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানি, ফায়ার সার্ভিস ও অন্যান্য ব্যবস্থাপনা গড়ে উঠতে সময় লাগবে। বিষয়গুলো নিয়ে তাদের পক্ষ থেকে বিসিককে বারবার তাগিদ দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু নির্মাণকাজ সম্পন্ন করে হস্তান্তর করা না হলে ব্যবসায়ীদের কী করণীয় থাকতে পারে?
প্রকল্পের ধীরগতি নিয়ে অসন্তোষ রয়েছে পরিবেশবিদদেরও। বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য জাভেদ জাহান বলেন, তখন জোরজবরদস্তি করে প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছিল। এটি ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনা করে ঢাকার কাছাকাছি হাজারীবাগ বা আশপাশে অল্প পরিমাণ জমিতে নির্মাণ হলে এত দিনে স্থানান্তর হয়ে যেত। কিন্তু পল্লি দূরে তৈরি হওয়ায় ব্যবসায়ীদের সেখানে যেতে আগ্রহ কম। সরকারও ঢিলেতালে হাঁটছে।
রসায়নবিদেরা বলছেন, কেমিক্যাল ব্যবসা জটিল ও সংবেদনশীল। এ কাজে দক্ষতা জরুরি। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের একজন অধ্যাপক বলেন, কেমিক্যাল কেনাবেচা কিংবা এগুলো নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করতে হলে এসব সম্পর্কে বিশদ ধারণা থাকা প্রয়োজন। একেকটি কেমিক্যালের একেক রকম চরিত্র। কেমিস্ট, রিসার্সার, সায়েন্টিফিকদের এসব সম্পর্কে পূর্ণাঙ্গ ধারণা থাকে। এসব কেমিক্যালের ডিলিংস সম্পর্কে সঠিক ধারণা না থাকলে সেটি অন্ধকারে ঢিল মারার মতো অবস্থা হবে। এতে যেকোনো সময় বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
রাজধানীর মৌচাকে ডা. সিরাজুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালের পার্কিংয়ে একটি প্রাইভেটকার থেকে দুজনের লাশ উদ্ধারের ঘটনাটি হত্যাকাণ্ড বলে সন্দেহ করছে নিহতদের স্বজনেরা। মরদেহের শরীরে রক্ত ও মুখ ফোলা দেখেই এই সন্দেহ তাঁদের।
১৪ আগস্ট ২০২৫চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) হল সংসদ নির্বাচনের ফল ঘোষণা নিয়ে ছাত্রদল ও ছাত্রশিবিরের মধ্যে হট্টগোলের ঘটনা ঘটেছে। বুধবার দিবাগত রাত ১২টা ৫০ মিনিটে প্রকৌশল অনুষদ ভবনের সামনে এ হট্টগোল শুরু হয়। দিবাগত রাত ১টা ১০ মিনিটেও দুই পক্ষ সেখানে অবস্থান নিচ্ছিল।
৫ ঘণ্টা আগেচট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচনে অতীশ দীপঙ্কর হল ও মাস্টারদা সূর্য সেন হলে ভাইস প্রেসিডেন্ট (ভিপি) পদে এগিয়ে রয়েছে ছাত্রদল। চাকসু নির্বাচনে অতীশ দীপঙ্কর হলে ছাত্রদলের ভিপি প্রার্থী সাজ্জাত হোসেন হৃদয় পেয়েছেন ২২৩ ভোট। এই হলে ছাত্রশিবিরের ভিপি প্রার্থী...
৫ ঘণ্টা আগেআদালত ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের আদেশ উপেক্ষা করে বরগুনা পৌরসভায় যানবাহন থেকে টোলের নামে চাঁদা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। চালকদের অভিযোগ, নির্ধারিত হারে চাঁদা না দিলে হুমকি, মারধর, এমনকি গাড়িও আটকে রাখা হয়।
৫ ঘণ্টা আগেচবি প্রতিনিধি
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচনে অতীশ দীপঙ্কর হল ও মাস্টারদা সূর্য সেন হলে ভাইস প্রেসিডেন্ট (ভিপি) পদে এগিয়ে রয়েছে ছাত্রদল।
চাকসু নির্বাচনে অতীশ দীপঙ্কর হলে ছাত্রদলের ভিপি প্রার্থী সাজ্জাত হোসেন হৃদয় পেয়েছেন ২২৩ ভোট। এই হলে ছাত্রশিবিরের ভিপি প্রার্থী ইব্রাহীম রনি পেয়েছেন ৯০ ভোট।
এই হলের সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে ছাত্রদলের মো. শাফায়েত হোসেন পেয়েছেন ১৬৪ ভোট। ছাত্রশিবিরের সাঈদ বিন হাবিব পেয়েছেন ৮৩ ভোট।
এছাড়া এজিএস পদে ছাত্রদলের আইয়ুবুর রহমান তৌফিক পেয়েছেন ২৬৬ ভোট এবং ছাত্রশিবিরের সাজ্জাদ হোসেন মুন্না পেয়েছেন ৪৫ ভোট।
অন্যদিকে, মাস্টারদা সূর্য সেন হলেও ভিপি পদে এগিয়ে রয়েছে ছাত্রদল। এ হলে ভিপি পদে ছাত্রদল সমর্থিত সাজ্জাদ হোসেন পেয়েছেন ১৪১ ভোট। আর ছাত্রশিবির সমর্থিত ইব্রাহীম হোসেন পেয়েছেন ১৩০ ভোট।
এই হলে জিএস প্রার্থী ছাত্রশিবিরের সাঈদ বিন হাবিব ১৭৫ ভোট পেয়ে এগিয়ে আছেন। এজিএস পদে এগিয়ে আছেন ছাত্রদলের আইয়ুবুর রহমান। তিনি পেয়েছেন ১৭০ ভোট।
নির্বাচন কমিশনের সদস্যসচিব এ কে এম আরিফুল হক সিদ্দিকী এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচনে অতীশ দীপঙ্কর হল ও মাস্টারদা সূর্য সেন হলে ভাইস প্রেসিডেন্ট (ভিপি) পদে এগিয়ে রয়েছে ছাত্রদল।
চাকসু নির্বাচনে অতীশ দীপঙ্কর হলে ছাত্রদলের ভিপি প্রার্থী সাজ্জাত হোসেন হৃদয় পেয়েছেন ২২৩ ভোট। এই হলে ছাত্রশিবিরের ভিপি প্রার্থী ইব্রাহীম রনি পেয়েছেন ৯০ ভোট।
এই হলের সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে ছাত্রদলের মো. শাফায়েত হোসেন পেয়েছেন ১৬৪ ভোট। ছাত্রশিবিরের সাঈদ বিন হাবিব পেয়েছেন ৮৩ ভোট।
এছাড়া এজিএস পদে ছাত্রদলের আইয়ুবুর রহমান তৌফিক পেয়েছেন ২৬৬ ভোট এবং ছাত্রশিবিরের সাজ্জাদ হোসেন মুন্না পেয়েছেন ৪৫ ভোট।
অন্যদিকে, মাস্টারদা সূর্য সেন হলেও ভিপি পদে এগিয়ে রয়েছে ছাত্রদল। এ হলে ভিপি পদে ছাত্রদল সমর্থিত সাজ্জাদ হোসেন পেয়েছেন ১৪১ ভোট। আর ছাত্রশিবির সমর্থিত ইব্রাহীম হোসেন পেয়েছেন ১৩০ ভোট।
এই হলে জিএস প্রার্থী ছাত্রশিবিরের সাঈদ বিন হাবিব ১৭৫ ভোট পেয়ে এগিয়ে আছেন। এজিএস পদে এগিয়ে আছেন ছাত্রদলের আইয়ুবুর রহমান। তিনি পেয়েছেন ১৭০ ভোট।
নির্বাচন কমিশনের সদস্যসচিব এ কে এম আরিফুল হক সিদ্দিকী এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
রাজধানীর মৌচাকে ডা. সিরাজুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালের পার্কিংয়ে একটি প্রাইভেটকার থেকে দুজনের লাশ উদ্ধারের ঘটনাটি হত্যাকাণ্ড বলে সন্দেহ করছে নিহতদের স্বজনেরা। মরদেহের শরীরে রক্ত ও মুখ ফোলা দেখেই এই সন্দেহ তাঁদের।
১৪ আগস্ট ২০২৫চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) হল সংসদ নির্বাচনের ফল ঘোষণা নিয়ে ছাত্রদল ও ছাত্রশিবিরের মধ্যে হট্টগোলের ঘটনা ঘটেছে। বুধবার দিবাগত রাত ১২টা ৫০ মিনিটে প্রকৌশল অনুষদ ভবনের সামনে এ হট্টগোল শুরু হয়। দিবাগত রাত ১টা ১০ মিনিটেও দুই পক্ষ সেখানে অবস্থান নিচ্ছিল।
৫ ঘণ্টা আগেপুরান ঢাকা থেকে কেমিক্যাল ব্যবসা সরাতে সাত বছর আগে মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানে কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের কাজ শুরু করে সরকার। এই প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হওয়ার বাকি আর মাত্র দুই মাস, অথচ এখনো সীমানাপ্রাচীর নির্মাণের কাজও শেষ হয়নি।
৫ ঘণ্টা আগেআদালত ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের আদেশ উপেক্ষা করে বরগুনা পৌরসভায় যানবাহন থেকে টোলের নামে চাঁদা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। চালকদের অভিযোগ, নির্ধারিত হারে চাঁদা না দিলে হুমকি, মারধর, এমনকি গাড়িও আটকে রাখা হয়।
৫ ঘণ্টা আগেবরগুনা প্রতিনিধি
আদালত ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের আদেশ উপেক্ষা করে বরগুনা পৌরসভায় যানবাহন থেকে টোলের নামে চাঁদা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। চালকদের অভিযোগ, নির্ধারিত হারে চাঁদা না দিলে হুমকি, মারধর, এমনকি গাড়িও আটকে রাখা হয়।
সম্প্রতি সরেজমিনে দেখা গেছে, বরগুনা শহরের প্রবেশপথ ক্রোক ব্রিজ, পৌর বাস টার্মিনাল ও সোনাখালী এলাকায় প্রকাশ্যে সব ধরনের যাত্রী এবং পণ্যবাহী যানবাহন থেকে প্রতিদিন চাঁদা আদায় করা হচ্ছে। অটোরিকশা কিংবা ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেলচালকেরাও চাঁদা থেকে রেহাই পাচ্ছেন না।
যানবাহনের চালকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রতিদিন ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা থেকে ১০ টাকা, সিএনজিচালিত ও মাহিন্দ্রা অটোরিকশা থেকে ২০ টাকা, ট্রাক ও বাস থেকে ২০০, পিকআপ ভ্যান থেকে ১০০ টাকা করে চাঁদা তোলা হয়।
সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দর থেকে পণ্য নিয়ে বরগুনায় আসা একাধিক ট্রাকচালক ও তাঁদের সহকারী জানান, খুলনা ও বাগেরহাটের ভেতর দিয়ে দীর্ঘ পথ অতিক্রম করে এলেও সড়কের কোথাও চাঁদা দিতে হয় না। কিন্তু বরগুনা পৌরসভায় ঢোকার আগেই তাঁদের কাছ থেকে ২০০ টাকা করে আদায় করা হয়।
টোল আদায় করার জন্য পৌরসভা থেকে ইজারা নেওয়া সাগর জমাদ্দার বলেন, ‘পৌরসভা মোট তিনবার দরপত্র আহ্বান করে। এর মধ্যে তৃতীয়বারের সময় আমরা ইজারা পেয়েছি।’
জানা গেছে, গত ২১ এপ্রিল বরগুনা জেলার সব সড়ক ও মহাসড়কে যানবাহনের কাছ থেকে টোল আদায় বন্ধের নির্দেশ দেন আদালত। বরগুনার দ্রুত বিচার আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এস এম শরিয়ত উল্লাহ্ এই আদেশ দেন। বেতাগী উপজেলার টেম্পোস্ট্যান্ডের ইজারাদার মো. খোকন হাওলাদার বরগুনার দ্রুত বিচার আদালতে মামলাটি করেন। তাঁর অভিযোগ ছিল, তিনি টেম্পোস্ট্যান্ড ইজারা নিলেও টোল আদায় করতে পারছেন না। জোর করে অন্যরা টোল আদায় করছেন।
আদালতের আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৫ সেপ্টেম্বর সড়ক থেকে টাকা আদায় বন্ধের নির্দেশ দেয় স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের পৌর-১ শাখা। এর আগেও সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগ টার্মিনাল ছাড়া সব সড়ক ও মহাসড়ক থেকে টোলের নামে চাঁদা আদায় বন্ধের নির্দেশনা দেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী নাজমুস সাকিব বলেন, বরগুনা পৌরসভায় বিভিন্ন সড়ক থেকে টোলের নামে যে টাকা আদায় করা হচ্ছে, তা সম্পূর্ণ চাঁদাবাজি এবং আদালতের আদেশের পরিপন্থী।
বরগুনা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) মো. নুরুল আমিন বলেন, টার্মিনাল যদি না থাকে, তাহলে সেখানে অস্থায়ী টার্মিনাল ব্যবহৃত হবে। তবে কোনো অবকাঠামো বা সুযোগ-সুবিধা না দিয়ে নিজেরা ঘোষণা দিয়ে সেখানে কোনো টাকা নেওয়া যাবে না।
বরগুনা সচেতন নাগরিক কমিটির সভাপতি মনির হোসেন কামাল বলেন, টাকা অবৈধভাবে আদায়ের কারণে পরিবহন ব্যয় ও ভোগান্তি বেড়েছে।
বরগুনা পৌরসভার নির্বাহী কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা যে ইজারা দিয়েছি, এ ব্যাপারে আপনাদের অনেক তথ্য দিয়েছি। তথ্য দিতে দিতে বিষয়টি এখন শেষ পর্যায়ে গেছে। এটা নিয়ে আবার সমস্যা হইছে কী? আমরা বাসস্ট্যান্ড ইজারা দিয়েছি। ক্রোক ব্রিজ ও সোনাখালী—এই দুই প্রান্তে বসে টাকা ওঠানো হয়।’
বরগুনা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শফিউল আলম বলেন, ‘যদি এটি করা হয়ে থাকে, তাহলে অবশ্যই অন্যায় এবং একটি বিধিবহির্ভূত কাজ। বিষয়টি নিয়ে পৌরসভা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলব। তাঁরা যেন এ ধরনের কাজ থেকে বিরত থাকেন, তা আমরা দেখভাল করব।’
আদালত ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের আদেশ উপেক্ষা করে বরগুনা পৌরসভায় যানবাহন থেকে টোলের নামে চাঁদা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। চালকদের অভিযোগ, নির্ধারিত হারে চাঁদা না দিলে হুমকি, মারধর, এমনকি গাড়িও আটকে রাখা হয়।
সম্প্রতি সরেজমিনে দেখা গেছে, বরগুনা শহরের প্রবেশপথ ক্রোক ব্রিজ, পৌর বাস টার্মিনাল ও সোনাখালী এলাকায় প্রকাশ্যে সব ধরনের যাত্রী এবং পণ্যবাহী যানবাহন থেকে প্রতিদিন চাঁদা আদায় করা হচ্ছে। অটোরিকশা কিংবা ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেলচালকেরাও চাঁদা থেকে রেহাই পাচ্ছেন না।
যানবাহনের চালকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রতিদিন ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা থেকে ১০ টাকা, সিএনজিচালিত ও মাহিন্দ্রা অটোরিকশা থেকে ২০ টাকা, ট্রাক ও বাস থেকে ২০০, পিকআপ ভ্যান থেকে ১০০ টাকা করে চাঁদা তোলা হয়।
সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দর থেকে পণ্য নিয়ে বরগুনায় আসা একাধিক ট্রাকচালক ও তাঁদের সহকারী জানান, খুলনা ও বাগেরহাটের ভেতর দিয়ে দীর্ঘ পথ অতিক্রম করে এলেও সড়কের কোথাও চাঁদা দিতে হয় না। কিন্তু বরগুনা পৌরসভায় ঢোকার আগেই তাঁদের কাছ থেকে ২০০ টাকা করে আদায় করা হয়।
টোল আদায় করার জন্য পৌরসভা থেকে ইজারা নেওয়া সাগর জমাদ্দার বলেন, ‘পৌরসভা মোট তিনবার দরপত্র আহ্বান করে। এর মধ্যে তৃতীয়বারের সময় আমরা ইজারা পেয়েছি।’
জানা গেছে, গত ২১ এপ্রিল বরগুনা জেলার সব সড়ক ও মহাসড়কে যানবাহনের কাছ থেকে টোল আদায় বন্ধের নির্দেশ দেন আদালত। বরগুনার দ্রুত বিচার আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এস এম শরিয়ত উল্লাহ্ এই আদেশ দেন। বেতাগী উপজেলার টেম্পোস্ট্যান্ডের ইজারাদার মো. খোকন হাওলাদার বরগুনার দ্রুত বিচার আদালতে মামলাটি করেন। তাঁর অভিযোগ ছিল, তিনি টেম্পোস্ট্যান্ড ইজারা নিলেও টোল আদায় করতে পারছেন না। জোর করে অন্যরা টোল আদায় করছেন।
আদালতের আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৫ সেপ্টেম্বর সড়ক থেকে টাকা আদায় বন্ধের নির্দেশ দেয় স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের পৌর-১ শাখা। এর আগেও সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগ টার্মিনাল ছাড়া সব সড়ক ও মহাসড়ক থেকে টোলের নামে চাঁদা আদায় বন্ধের নির্দেশনা দেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী নাজমুস সাকিব বলেন, বরগুনা পৌরসভায় বিভিন্ন সড়ক থেকে টোলের নামে যে টাকা আদায় করা হচ্ছে, তা সম্পূর্ণ চাঁদাবাজি এবং আদালতের আদেশের পরিপন্থী।
বরগুনা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) মো. নুরুল আমিন বলেন, টার্মিনাল যদি না থাকে, তাহলে সেখানে অস্থায়ী টার্মিনাল ব্যবহৃত হবে। তবে কোনো অবকাঠামো বা সুযোগ-সুবিধা না দিয়ে নিজেরা ঘোষণা দিয়ে সেখানে কোনো টাকা নেওয়া যাবে না।
বরগুনা সচেতন নাগরিক কমিটির সভাপতি মনির হোসেন কামাল বলেন, টাকা অবৈধভাবে আদায়ের কারণে পরিবহন ব্যয় ও ভোগান্তি বেড়েছে।
বরগুনা পৌরসভার নির্বাহী কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা যে ইজারা দিয়েছি, এ ব্যাপারে আপনাদের অনেক তথ্য দিয়েছি। তথ্য দিতে দিতে বিষয়টি এখন শেষ পর্যায়ে গেছে। এটা নিয়ে আবার সমস্যা হইছে কী? আমরা বাসস্ট্যান্ড ইজারা দিয়েছি। ক্রোক ব্রিজ ও সোনাখালী—এই দুই প্রান্তে বসে টাকা ওঠানো হয়।’
বরগুনা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শফিউল আলম বলেন, ‘যদি এটি করা হয়ে থাকে, তাহলে অবশ্যই অন্যায় এবং একটি বিধিবহির্ভূত কাজ। বিষয়টি নিয়ে পৌরসভা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলব। তাঁরা যেন এ ধরনের কাজ থেকে বিরত থাকেন, তা আমরা দেখভাল করব।’
রাজধানীর মৌচাকে ডা. সিরাজুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালের পার্কিংয়ে একটি প্রাইভেটকার থেকে দুজনের লাশ উদ্ধারের ঘটনাটি হত্যাকাণ্ড বলে সন্দেহ করছে নিহতদের স্বজনেরা। মরদেহের শরীরে রক্ত ও মুখ ফোলা দেখেই এই সন্দেহ তাঁদের।
১৪ আগস্ট ২০২৫চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) হল সংসদ নির্বাচনের ফল ঘোষণা নিয়ে ছাত্রদল ও ছাত্রশিবিরের মধ্যে হট্টগোলের ঘটনা ঘটেছে। বুধবার দিবাগত রাত ১২টা ৫০ মিনিটে প্রকৌশল অনুষদ ভবনের সামনে এ হট্টগোল শুরু হয়। দিবাগত রাত ১টা ১০ মিনিটেও দুই পক্ষ সেখানে অবস্থান নিচ্ছিল।
৫ ঘণ্টা আগেপুরান ঢাকা থেকে কেমিক্যাল ব্যবসা সরাতে সাত বছর আগে মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানে কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের কাজ শুরু করে সরকার। এই প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হওয়ার বাকি আর মাত্র দুই মাস, অথচ এখনো সীমানাপ্রাচীর নির্মাণের কাজও শেষ হয়নি।
৫ ঘণ্টা আগেচট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচনে অতীশ দীপঙ্কর হল ও মাস্টারদা সূর্য সেন হলে ভাইস প্রেসিডেন্ট (ভিপি) পদে এগিয়ে রয়েছে ছাত্রদল। চাকসু নির্বাচনে অতীশ দীপঙ্কর হলে ছাত্রদলের ভিপি প্রার্থী সাজ্জাত হোসেন হৃদয় পেয়েছেন ২২৩ ভোট। এই হলে ছাত্রশিবিরের ভিপি প্রার্থী...
৫ ঘণ্টা আগে